বহুপথ ঘুরে এসে তোমার কথা মনে পড়ে ফের
ওখানে কি বৃষ্টি হয়? তুষার পড়ে?
আমার বন্ধ জানালার পাশে এক গভীর ব্যপ্তিহীন বৃষ্টিপাত।
আমাদের কোথাও যাওয়ার কথা ছিল!
গল্পগুলি রাগে-অভিমানে আমরা পুড়িয়ে এসে বসেছি এইখানে।
গল্পগুলো বলা হয়নি কোথাও, গল্পগুলি ছাই হয়ে উড়তে-উড়তে
আজ বন্ধ জানালার পাশে।
আমি কি তাকে ভেতরে আসতে দেবো?
নাকি, না-ঘুমানো রাত্রির মতো সমুদ্রের ওপার থেকে
ওমর শেহাব ভাইয়ের কল্যাণে বাংলাদেশের কিছু খবরের কাগজগুলোর আর্কাইভ আমার হাতে আসে কয়েক মাস আগে। ব্যস্ততার মধ্যে সেগুলো ভালো করে ঘেটে দেখা হয়নি অনেকদিন ধরে। শেষমেশ সময় পেলাম কিছুদিন আগে আর্কাইভ নিয়ে একটু সময় নিয়ে বসার। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা তৎকালীন মিডিয়াতে কিভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল তা জানবার কৌতূহল ছিল অনেক বছর ধরে। কোন খবরের কাগজেই যে ঘটনার আসল নির্মম চিত্র তুলে ধরা
দুর্গাপূজা বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
২০০১ সালেও দুর্গাপূজা এসেছিল এই জনপদে। সেবার মহালয়া ছিল অক্টোবরের ১৭ তারিখ, সোমবার। ২২ তারিখ ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে পূজা শুরু আর ২৬ অক্টোবর শুক্রবারে বিসর্জনের মাধ্যমে পূজা শেষ।
সেবার খুব বন্যা হলো, ১৯৮৮ সাল। বড়’রা সবকিছুতে বেশি বেশি চিন্তা না করতে পারলে খুব সমস্যায় পড়ে যান, ছোটদের চিন্তা করার সময় কোথায়! সারা দেশ বন্যায় তলিয়ে গেল, তলিয়ে গেল প্রায় পুরো ঢাকা শহর; ঢাকা শহরের বড় বড় রাস্তায় নেমে এলো নৌকা, তলিয়ে গেল পাড়া-মহল্লা এবং ছুটি হয়ে গেল স্কুল!
আমি আমার মর্দে মুজাহিদ ভাইদের পক্ষ থেকে এই সব মডারেট মুসলিম নামক জালেমেদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুইড়া দিলাম । পারলে হ্যাশট্যাগ আর স্ট্যাটাস দিয়া সিধা স্বীকার করেন, “ইসলামের শুরু থেকে যত মুর্তি ভাঙ্গা হইছে সব ভুল এবং অন্যায় । আর যারা ভাঙ্গছে তারা অন্যায় করছে” । পারবেন ? না পারলে স্ট্যাটাস আর হ্যাশট্যাগানি বন্ধ কইরা সাইডলাইনে বইসা তামাশা দেখেন আর মর্দে মুজাহিদ ভাইদের নির্বিঘ্নে মুর্তি ভাঙতে দেন । মুর্তি ভাঙাই সহী ইসলামের অংশ । “মুর্তিভাঙা সহী ইসলাম নহে” টাইপ ভ্রান্তিমুলক স্ট্যাটাস দিয়া মুসলিমদের বিভ্রান্ত করবেন না ।
“There are two tragedies in life. One is to lose your heart's desire. The other is to gain it.”― George Bernard Shaw, Man and Superman
মানুষের প্রেম যে খালি মানুষের সাথে হয়--এমন না।
সচল থাকেন, সচল রাখেন।
পাহাড়ের যে রহস্য- সেটা অন্য সব রহস্যের থেকে আলাদা।
সর্বশেষ ইমনের করা কাজ দেখেছিলাম আমাদের বসার ঘরের টিভিতে, সেটা ছিল আরএময়াইটি-র ফিল্ম কোর্সের জন্যে ওর বানানো একটা শর্ট ফিল্ম। ইমন আর তন্বীর মেলবোর্নে থাকাকালীন একটা বছর আমাদের জন্যে উল্লেখযোগ্য একটা সময় হয়ে থাকবে আজীবন, সেটা নিয়ে লিখেছি আগে এখানেই, নাম ছিল ‘গগন আজ দেশে ফিরছে”। সে দিন সকাল বেলা আমাদের বাসায় বসে দুইজনে ব্যাগ গোছাচ্ছে, আর পাশের ঘরে বসে আমি ভীষণ মন খারাপ করে লিখে চলেছি সেই ব্লগ, অতঃপর রাতে যখন ওদের প্লেনে তুলে দিয়ে আসলাম, মনে আছে তারপরের অনেকগুলো দিন আমার আর তিথি-র চারপাশ জুড়ে ছিল একটা অদ্ভুত শূন্যতা।
সেই প্লেন উড়ে চলে যাবার বছর চারেক বাদেই যে আমি আবু শাহেদ ইমনের পরিচালিত সিনেমা বড় পর্দায় দেখার জন্যে এই মেলবোর্নেরই এক সিনেমা হলের টিকেটের লাইনে দাঁড়াবো, সত্যি বলছি, এই কথা সেদিন ঘুর্নাক্ষরেও ভাবিনি!