কাউরে কিছু না জানায়ে কুন্তী সিদ্ধান্ত নেয় ধৃতরাষ্ট্র আর গান্ধারীর লগে বনবাসে যাবার। ধৃতরাষ্ট্র আর গান্ধারীর বানপ্রস্থে যাওয়ার কথা সকলেই জানত। যুদ্ধের পনেরো বছর পরে ভীমের জ্বালায় ধৃতরাষ্ট্র বাধ্য হইছেন বানপ্রস্থ বাইছা নিতে...
// পাথরের মত শীতল হৃদয়হীন কেন বল,
আমি তো দিনের শেষে হাত রেখে দেখেছি পাথরে জমে আছে উত্তাপ...
বিবর্ণ কেন শীতকাল, ধূসর সুন্দর একটা রঙ...কুয়াশার রঙ সাদা...
বেঁচে থাকতেই হবে যেকোন প্রকারেই,
কারণ অন্ধ কিংবা খঞ্জরাও গান গায়,
বহুদূরের মরে যাওয়া তারারাও রাত হলে দপদপ করে জ্বলে ওঠে...//
// কোটি কোটি নক্ষত্ররা বহুদূরে মরে গেছে, অথচ আমাদের আকাশে তারা আজও কী দারুণ সহাস্য দীপ্যমান।
পুলিশ যে আমাকে কেন এত ভালোবাসে তা আমি আজ অব্দি বুঝতে পারলামনা। কারণে অকারণে আমাকেই ধরে। আরে ব্যাটা চোর ধর। মানে বড় চোর ধর। আমিতো খালি চুরি করে সিগারেট খেতাম, তাও আজকাল ছেড়ে দিয়েছি। আরে ভাই, আপনারাই বলুন, আমার চেহারাটা একটু খারাপ বলে কি আমাকে অযথাই ধরতে হবে??!! এটা কোন কথা হল? দেশে কি আইন বলে কিছু নাই?
…
[ স্বীকারোক্তি : পাঠক বন্ধুদের অবগতির জন্য প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, এটাকে বিজ্ঞাপনী-পোস্ট ভাবার কারণ নেই। কেননা, প্রদত্ত প্রচ্ছদের ছবিটা সংশ্লিষ্ট গ্রন্থের পরিচয়কারী বিজ্ঞাপনী-সুলভ মনে হলেও বস্তুত এটি এখনো অপ্রকাশিত মৌলিক পোস্ট, যা চার্বাক-দর্শন ও বর্তমান গ্রন্থের আলোকে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও জানি না সচলায়তনের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে কিনা ! সেরকম হলে মডু ভায়েরা অবশ্যই প্রথম পাতা থেকে পোস্টটি নির্দ্বিধায় সরিয়ে দিতে পারেন। সবাইকে স্বাগতম ! ]
একটা পর্যায় থেকে, মানব সভ্যতার ইতিহাস আসলে ধর্মেরই ইতিহাস। সম্ভবত কথাটা বলেছিলেন দার্শনিক ম্যাক্স মুলার, যিনি প্রাচীন ভারতীয় দর্শন তথা বৈদিক সাহিত্য বা সংস্কৃতিরও একজন অনুসন্ধিৎসু বিদ্বান হিসেবে খ্যাতিমান। তবে যে-ই বলে থাকুন না কেন, সভ্যতার এক দুর্দান্ত বিন্দুতে দাঁড়িয়েও উক্তিটির রেশ এখনো যেভাবে আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুব দৃশ্যমানভাবেই বহমান, তাতে করে এর সত্যতা একবিন্দ্ওু হ্রাস পায় নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা অনেক বেশিই প্রকট থেকে প্রকটতরই হচ্ছে বলে মনে হয়।
ছোটবেলায় বেলায় মাঝি বলতে একজনকেই চিনতাম। নারাণ মাঝি। ওঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাখিওড়া গ্রামে। আসলে পাখিওড়া আর আমাদের গ্রাম পাশাপাশি। সেকালে কাঁটাতার ছিল না। চোরাচালান ছিল অবাধ। নারাণ মাঝিই চোরাচালানিদের ‘সবে ধন নীলমনি’। তাছাড়া পাশাপাশি গ্রাম, গাঁয়ের বেশিরভাগ মানুষই রিফিউজি, তাই আত্মীয়-স্বজনের বিরাট একটা অংশ রয়ে গেছে ওপারে। ইছামতী সেকালেও খরস্র্রোতা ছিল না। তবে এখনকার চেয়ে অবস্থটা বেশ ভালো ছিল। তাই নায়রী পারাপারেও নারাণ মাঝির ডাক পড়ত।
নোটন নোটন কোবিগুলো
ঝোটন বেধেছে
সবাই মিলে কাগজ কালি'র
গুষ্ঠি মেরেছে।
অসময়ের ঘুম, ভাংতেই সব কেমন লাগতে শুরু করল। পাশের স্টুডিওটাতে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে থাকে। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে হাটতে চলতে। ছেলেটা নতুন বিয়ে করেই চলে এসেছে পিএইচডির জন্য। ভাবেসাবে মনে হয় বেশ ধার্মিক গোছের। ঘুম ভেঙ্গেছিল পাশের রুমের পুজার মন্ত্র শুনে, কেমন যেন গা ছমছম করছিল। বিছানা নাই, নিজের ম্যাট্রেসটার উপর গুম হয়ে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষন! শীতের বিকেলে গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে থাকতে খুব ইচ্ছা করছিল। সন্ধ্যা হতে খুব দেরী নেই। ঘরে খাবারও তেমন কিছু নেই। নাহ, বের না হলে হচ্ছে না!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ইহা ছহীহ ভ্রমণব্লগ নহে,
বর্ণনা খুঁজিয়া লজ্জা দিবেন না
দেশে কাকের চেয়ে কোবি বেশি। কোবি শব্দটার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যারা কবি নয়, কিন্তু কবিতাকে আশ্রয় করে কী যেন একটা করতে চায়, তারাই কোবি। যেমন, দৈনিক কোবি। কোবতে লিখতে গিয়ে চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার নিয়ে দুইদিনের বৈরাগী কোবিদের কথাবার্তা-কারবারে বিরক্ত হয়ে একটা কোবতে লিখলাম। সিস্টেমকে ধ্বংস করতে গেলে নাকি সিস্টেমের অংশ হতে হয়। যদিও কোবতের ভেতরে বর্ণিত কোবিদের একজন হতে পাল্লাম্না এখনও। বড় হয়ে হবো আশঙ্কা করি।
একটা কোবি ছায়ায় বসে, একটা কোবি রোদে