যে বান্দরবন দেখে নি, সে বাংলাদেশটাই দেখে নি।
খাল গিয়াকে বিয়ে করে খুশিতে আটখানা খালিসি। এসোসে এত বড় বীর আর একটাও নেই। দশাসই সব ছাগলের পিঠে চড়ে একের পর এক গ্রাসল্যান্ড জয় করে গিয়া নিজেকে খালদের খাল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নতুন এলাকা জয় করার উপায় এত অনায়াস ছিলো যে স্বয়ং আলেকজান্ডার লজ্জা পেয়ে যেতেন। গিয়া নতুন এলাকার সর্বোচ্চ কোন ঢিবিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিবেন, "আজকে থেকে এই এলাকার বাপ মা আমি", আর সাথে সাথে সবাই দল বেঁধে তার অধিকার মেনে নিত। খালিসির খুশিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে তার বিয়েতে তিন তিনটা ড্রাগনের ডিম উপহার দেন ফালু মর্মন্ট।
§
ব্রিটেন থেকে ৫২ জন নারী আইসিসের খেলাফতের ছায়ায় জিহাদ করতে সিরিয়া গেছে। এরা ঐ দেশ থেকে মোট হিজরতকারিদের সংখ্যার ১০ শতাংশ। বিবিসির এক খবরে এক গবেষণার ফাইন্ডিংসের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বের করার চেষ্টা হয়েছে কেন সিরিয়ায় নারীরা জিহাদ করতে যাচ্ছে। এর চুম্বক অংশগুলো তুলে রাখলাম,
— অনেক সময় নিয়ে, প্রচুর গবেষণার পরেই তারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাচ্ছে।
সচলের প্রথম দিকে ভোখেনব্লাট নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। কাজের চাপে ও নানাবিধ অজুহাতপ্রসূত কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়নি। টাগেসব্লাট নামে নতুন এই সিরিজটা শুরু করলাম। এটা ফেইসবুক স্টাটাসের বিকল্প হিসেবে চালু রাখা যায় কিনা সেটার একটা এক্সপেরিমেন্ট। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক ছাড়া কিছু পাবার নেই। আমার স্টাটাসগুলোতে এমন কোন গুঢ় আলাপ হয় না যেটা মিস করার মতো। আর পাঠকেরা পরে সেগুলো পড়েও না বা পড়ার জন্য খুঁজেও পায় না। এর থেকে সেগুলো এখানে লিখে রাখলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। সচলের লেখা আমার অন্য লেখাগুলোর মতো এই সিরিজটা সিরিয়াস ধরণের হবে না। বাক্যগঠন, চিন্তাভাবনার খুঁত থাকতে পারে। হালকা মেজাজে খুব চিন্তাভাবনা না করে জার্নাল ধরণের লেখা হবে এগুলো।
১.
দোকানদার প্রথমেই একটা বেড়ে প্রশ্ন করে বসল ...
“আসল বই কিইন্যা কী করবেন?”
আমি তার দিকে খানিকটা সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম। ব্যাটার মতিগতি ঠিক বুঝা যাচ্ছে না।
সে তার মত করে গম্ভীরভাবে বলতে থাকলো, “ইন্ডিয়ান বাংলার যত বই আছে, তার মধ্যে কেবল আনন্দ পাবলিশার্সের বাঁধাই-ই সবচেয়ে ভালো। অন্যগুলো অত টেকসই না। দু-তিনদিনেই ছিঁড়ে যায়, এমন অবস্থা।”
বিতর্কটা বহুদিনের। নাচ গান থাকলেই সেটা ভালো সিনেমার সীমানার বাইরে। আবার নাচ গান না থাকলে সেটি ভালো ছবি। বা এমনও বলা হয়ে থাকে, জীবনমুখী সিনেমার রঙটা একটু ফিকে হতেই পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, জীবনমুখী গল্প মানেই কী ধুসর? কারও জীবনে কী রংধনুর সাত রং নেই?
সাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষ তার একটি লেখায় বলেছিলেন, "পৃথিবীর সব গল্প বলা হয়ে গেছে, এখন কীভাবে বলতে হবে সেটাই জানা প্রয়োজন।" এ ব্যক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তিতর্কের অবকাশ আছে। সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। তবে বলে ফেলা গল্পগুলোকেও অন্যভাবে বলবার আকাঙ্ক্ষায় কেউ কেউ কলম ধরেন বৈকি। তখন জানা কাহিনি কিংবা জানাশোনা জনপদের চেহারা নতুনভাবে ধরা দেয় যেন আমাদের চোখে। নইলে ক্ষুধার্ত জনজীবন কিংবা নিম্নবর
সন্দেশের বই নিয়ে লেখার আমন্ত্রণ দেখার পর থেকেই ভাবছি কিছু একটা নিয়ে লিখব। কিন্তু কোন বইটা নিয়ে লেখা যায় সেটা ঠিক করতে করতেই মাস পার হয়ে গেল। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বই কিনেছি আর সবচেয়ে কম পড়েছি! তারপরেও কোন বইটা মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে ভাবতে গিয়েই মনে হল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর কথা। অবশ্যই এটাই ২০১৫ সালের আমার আবিষ্কার।
আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামদানী শাড়ি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন- এটা নতুন কোন তথ্য নয়। আবার আমাদের ভূতপূর্ব ফাস্র্টলেডি এবং বর্তমানের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশান এরশাদ এরও জামদানী, বেনারসী শাড়ির প্রতি আলাদা টান ছিলো বলে শোনা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া জামদানী না বেনারশী নাকি টাঙ্গাইল শাড়ি পছন্দ করতেন বা করেন সেরকম কোন সংবাদ শোনা যায় না। তবে তাঁর পরিধানে বরাবর