হ'তে পারে ভ্রম
ভ্রমের ভ্রমর।
ফুলেতে মধুর রেণু, রেণুর মধুতে বিষ-
শঙ্খচূড় মাতাল হয়েছে-
হ'তে পারে উষ্ণতার হিমে
আটকে পড়েছে মরা মাছি
এভাবেই উত্তাপ আকাঙ্খায় তুমি বাঁচো
আমিও কিছুটা বেঁচে আছি।
শঙ্কার ভেতরে ঢুকে দেখি
মৃত্যুভয় বিছিয়ে রেখেছে
মরণ রে তুহুঁ মম--
মরণ দুচোখে আয়
মরণ মরণে আয়
জীবনের ছায়ায় ছায়ায়-
সাপ্তাহিক ছুটির সকালে একরকম নিয়ম করেই দেশের চ্যানেলগুলো দেখি। দুনিয়ার অন্যপ্রান্তে থাকায় ঐ সময়টাতে সব চ্যানেলেই খালি খবর আর খবর। তাই দেখি বসে বসে। রাজনীতির খবর, খেলার খবর, খারাপ খবর, সবই দেখি। খারাপ খবর দেখতে দেখতে হার্ট শক্ত হয়ে গেছে। টিভির রিপোর্টাররাও বোধহয় বুঝতে পারে কতটুকু 'নিতে' পারবে এই শক্ত হার্টের দর্শকেরা। তাই অবলীলায় তারা খুনের লাশের ছবি ঝাপসা করে দেখায়। ঝাপসা ছবির প্রান্ত দিয়ে লাল রক্ত
বানের জলে ভেসে যায় সবকিছুই। অজ্ঞাতও থেকে যায় সবকিছু মানে কতকিছু। তাতাথৈথৈ এর তালিখালিও ধরতে পারি নিখুঁত। শুধু ভেসে যেবার আগে কূলে কূলে আঁচড়ের দাগগুলি সবসময় রেখে যেতে পারি না। যারা পারে তাঁদের যেতে হয় হয় আগে। বাকিরা স্রোতের টানে পানাশ্যাওলার সাথে।
সবুজ পাতার নাম ধরে ডাকতেই
একটা ঘন অরণ্য চুপচাপ সামনে এসে দাঁড়ালো,
তার কাছেই চেয়ে নিয়েছি আকন্দের বীজ
শিকড় কুড়িয়ে নেয়ার সময়
করতলে উঠে এসেছিলো বিষাদের মতিচূর
তখনও আমার নয়ের ঘরের নামতা পাঠের কৈশোর
জেনেছিলাম, এ ঘন অরণ্য আমার মা হারানো দুধভাই
এ অরণ্য বিষাদের ডাকনাম
এই যে ঝাপুরঝুপুর গহন অরণ্য
চাঁদের আলোয় অমরাবতী এক রাত্রিপুর,
এখানে দলবেধে শেয়ালের ডাক
এখানে হাওয়ায় হাততালি
এই লেখার মূল উদ্দেশ্য 'ঈশ্বর' নামক ধারণাটির ইতিহাস বর্ণনা। ঈশ্বর বাস্তবে থাকুক বা না-ই থাকুক মানুষের ধারণায় আছে—এই ধারণার ইতিহাসই বলব। বাস্তবে ঈশ্বর আছেন কি-না সেই আলোচনাও ধারণার ইতিহাসের মধ্যেই প্রোথিত, কারণ ঈশ্বর এসে কাউকে বলে যাননি যে তিনি আছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সবাই নিজেদের স্মৃতি, যুক্তি বা কল্পনা দিয়ে ঈশ্বর আছেন কি-না তা বুঝার চেষ্টা করেছে। অবতীর্ণ বাণীও আক্ষরিক অর্থে অবতীর্ণ নয়, বরং উৎসারিত। স্মৃতি, যুক্তি, ও কল্পনার মধ্যে প্রথমে যুক্তি নিয়ে কথা বলব। বিজ্ঞান যুক্তির (রিজন) অন্তর্ভুক্ত, আর দর্শন মানবিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। দার্শনিকরা কিভাবে যুগে যুগে ঈশ্বরের ধারণাটি সূত্রায়িত ও পুনঃসূত্রায়িত করেছেন তা-ই প্রথমে আলোচনা করব। ফোকাস থাকবে মূলত পাশ্চাত্য দর্শনের উপর, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয়, চৈনিক, ও ইসলামি বিশ্বে দর্শনের কিছু জিনিসও যুক্ত হবে।
রাজা দশরথ মইরাই গেলেন। পোলার লাইগা কানতে কানতে মাত্র চাইর দিন টিকলেন তিনি। সুমন্ত্র রামরে ফালাইয়া আসছে দুই দিনের পথ দূরে। ফিরতেও লাগছে দুইদিন। রাম যাইবার কালে পথে পড়া রাজারে কুড়াইয়া আইনা যে বিছানায় শোয়ানো হইছিল; সেই বিছানা তিনি আর ছাড়তে পারেন নাই। থাইকা থাইকা কানছেন আর এরে তারে জিগাইছেন- সুমন্ত্র ফিরছেনি?
আমার ঠাকুদা একাত্তরে শহীদ হয়েছিলেন। সাদা শাড়ির ঠাকুমার বাকি জীবনটা কেটেছে গাছের সাথে। প্রতিটা গাছ ছিল তাঁর ভালোবাসা!
[justify]
কতোকাল আর বেলাইনে রবে, এসে পড়ো ভাই লাইনেই।
দেখো কতো লোক, তাগুতকে ছেড়ে, এলো আল্লার আইনেই।
এ দুনিয়া আর কতোকাল রবে?
ডাক আসলেই উঠে যেতে হবে।
জেনে রেখো ভাই, বেইমান হলে, আরশের তলে ঠাঁই নেই।
বিধর্মি সব বন্ধুকে ছাড়ো, মুসলিম বিনে ভাই নেই।
দেখো ভাই এই নেক রাহে এলে, জান্নাত পাবে ফাইন এই।
চলো ভাই আজ মসজিদে চলো,
আল্লার পথে তলোয়ার তোলো।
দেখো আল্লার কুদরত তুমি, তলোয়ারের এই শাইনেই।