তারপর একটা প্রকান্ড ঢেউ আসল। আমি ছিটকে গিয়ে পরলাম জাহাজের কিনারায়। অনেক দূরে মিটিমিটি জ্বলে থাকা আলো, জানিনা সেকি তারা নাকি বাতিঘর। রাত, অন্ধকার, ঝুম সমুদ্র, উত্তাল ঢেউ আর আমি। হয়তো এটিই আমার জীবনের শেষ রাত। ছোট্ট জীবনের এই নিগাঢ় অন্ধকারে কি অসহায় আমি!
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেদিকেই তাকাই বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবাই নাকি হতভম্ব, শেল শকড, বিস্মিত । এ ঘটনা কল্পনাতীত ।
আমার মৌলিক প্রশ্ন ঃ আপনারা কি এতটাই নির্বোধ নাকি এটা আপনাদের ভন্ডামি ?
গত ২/৩ বছর ধরে দেশের ছেলেমেয়েদের কখনো নাস্তিক, কখনো ব্লগার, কখনো হিন্দু, কখনো খ্রিস্টান হবার অপরাধে দিনে দুপুরে রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয়েছে । তখন আপনি নিশ্চুপ ছিলেন । তাদের রক্তমাখা নিথর দেহ, সহধর্মিনীর সাহায্যের আকুতি কিছুই আপনাদের নীরবতার দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি । অনলাইনে মৃত ব্যক্তির চরিত্র সনদ খুজেছেন । বিভিন্ন নোংরা আস্তাকুড় ঘেটে বের করেছিলেন একেকবার একেক রকম অজুহাত । সেই সস্তা অজুহাতের কাছে নিজের বিবেক বিক্রী করে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন ।
ইরানের বাইরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইরানি কবি রুমি হলেও ইরানের ভিতরে হাফিজের তুল্য জনপ্রিয় আর কোনো কবি নেই। দূরপাশ্চাত্য থেকে শুরু করে এই প্রাচ্য পর্যন্ত সবখানে তার প্রভাব প্রকট। বাংলায় নজরুল হাফিজ অনুবাদ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ পারস্য ভ্রমণকালে হাফিজের সমাধিতে গিয়ে ভেবেছেন "কত-শত বৎসর পরে জীবনমৃত্যুর ব্যবধান পেরিয়ে এই কবরের পাশে এমন একজন মুসাফির এসেছে যে মানুষ হাফেজের চিরকালের জানা লোক।" ইউরোপের মহাকবি