এক।।
ঃ বুঝলে আহমেদ, আমরা ছিলাম এগারো ভাই। আমি সবার ছোটো। বড় ভাইয়ের সাথে আমার আঠারো বছরের তফাৎ। কেনিয়া তে এটা অবশ্য তেমন কোন ব্যাপারই না। বিশেষ করে আমরা যে গ্রামে থাকতাম সেখানে।
ঃ তোমাদের গ্রামের নাম কি হামফ্রে?
ঃ নাম জেনে কী করবে? উচ্চারণ করতে পারবেনা। ধরে নাও সোহালি।
ঃ এ নামটাও মন্দ নয়। বাংলাদেশে কাছাকাছি নামের একটা গ্রাম রয়েছে।
ঃ তাই নাকি? কী নাম সে গ্রামের?
প্রিয় সাগ্নিক,
তোর বয়স এখন ঠিক দুই মাস তেইশ দিন। এই দুই মাস আমার পুরোটাই কেটেছে একমাত্র তোকে নিয়েই। তোর চোখ, তোর মুখ, তোর নাক, চুল, আঙুল, তোর শ্বাস-প্রশ্বাস এসব নিয়েই দেখতে দেখতে কেমন এতগুলো দিন পার হয়ে গেল, দ্যাখ। তোর সবকিছু আমার কতটা প্রিয় তুইতো বুঝতে পারিস, সোনা আমার। আর কারও না বুঝলেও চলে এসব, না বুঝলেই ভালো বরং, অন্যেরা এসব কথা যত কম জানবে ততই কম জ্বালাবে, তাই না?
সিটে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখজোড়া ঘুমের ভারে প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। এমন সময় সামনের সিটে রাখা হাতের দিকে নজরটা যায়। বিশেষ করে ঘড়ির দিকে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সেটা নষ্ট।