১)
অপারেশন শেষ হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় আধশোয়া, হাতে গল্পের বই, সুনীলের লেখা ভ্রমণ কাহিনী - ছবির দেশে কবিতার দেশে। সামনের বারান্দায় চোখ পড়তেই ধাঁধা লাগলো - আমার সামনে দাঁড়ানো শামসুর রাহমান!
২)
শৈশবের স্মৃতি আমাকে নিত্য তাড়িয়ে বেড়ায়। ফেলে আসা খুব ছোট ছোট সাদামাটা ঘটনাগুলোকেও আমার কাছে একেকটা উচ্চাঙ্গের উপন্যাসের মত মনে হয় কিংবা কোনো কাব্যগাথা। অতীতের সেইসব মনিমুক্তা একত্রিত করে একটি মালা গাঁথবার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। সেই তাগিদেই শুরু করলাম-
কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সেই অঞ্চলের বায়ু দূষণ এবং ইকোসিস্টেম এর এসিডিফেকেশন এর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসবে গণ্য করা হয়।[১] কয়লা নির্ভর থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট এ কয়লা পোড়ানোর পর যেই অবশিষ্টাংশ থাকে তার শতকরা ১৫ থেকে ৩০ ভাগ থাকে ফ্লাই এশ।[২] সাধারণত এই ফ্লাই এশ কোন নির্দিষ্ট ল্যান্ডফিল এ ডাম্পিং এর ব্যবস্থা থাকতে হয়। ল্যান্ডফিল সেই ধরণের জায়গা যেইখানে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েস্ট একরক
আমরা এখনো কবজি ডুবিয়ে মাছ মাংস খাই। খিচুড়ি, বিরিয়ানী, তেহারি- নেহারি, চটপটি- ফুচকা, তেলেভাজা চপ, তন্দুরি সালাদ সব খাই। সেমাই দধি আইসক্রিম মিষ্টান্ন কিছুই বাকী নাই। বেড়াতে যাবার সময় আমরা এখনো সুগন্ধী মাখি, জুতো পালিশ করি, জামা ইস্তিরি করি। গায়ে সাবান, মুখে ফেসওয়াশ, চুলে তেল শ্যাম্পু কণ্ডিশনার দেই। অফিস করি, বেতন তুলি, মানিব্যাগের টাকা ফুরোলে বন্ধুর কাছ থেকে ধার করি। সবই আগের মতো আছে শুধু একটি বাড়তি
কথা কিন্তু কথার নিচে মুখোশ পরা,
মিথ্যা হয়ে লুকিয়ে আছে ট্রয়ের ঘোড়া।
দরজা খুলে আনছো তাকে ভেতর বাড়ি,
মিষ্টি হেসে রাখছো যেন বন্ধু ভারি।
কথার পেটে লুকিয়ে যারা ছদ্মবেশে,
খেলনা হয়ে আত্মহারা তোমায় ঘেঁষে।
একটু পরে রাজপ্রাসাদে কথার সুরে,
চাঁদের মতো যখন তুমি আকাশ জুড়ে-
গুপ্ত খুনি ওই কথারা হঠাৎ এসে,
তোমার জিভে আলতো করে পড়বে বসে।
তখন তুমি নিজের কথা হারিয়ে তাতে,
১
একটি গল্প বলি। উনিশ বছরের তৌহিদের গল্প। পড়াশোনায় খারাপ ছিলো না কোনো কালেই তবে মাধ্যমিকের পরে তার বাবার কাজের বদলিতে অন্য শহরে পাড়ি জমালে তাদের পরিবার সে একা হয়ে পড়ে, আগের বন্ধুবান্ধবদের হারায়, খানিকটা বিষণ্নতায় ভুগে, পড়াশোনায় তেমন মন বসে না। অথচ ছোটবেলা থেকে সে স্বপ্ন দেখতো সে “সুপারহিরোদের” মতো কিছুটা করে একদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
পেতে পেতে দুঃখ এখন
দিতেও পারি,
তবু আছি আগের মতোই
অসংসারী-
অগোছালো ছিলাম যেমন
ইচ্ছামতো-
ভেঙে গড়ে নতুন আবার
ভাঙাই যেতো,
সবকিছু আছেই তেমন
কেবল জানি,
ভালোবেসে দুঃখ দেয়ার
মন্ত্রখানি-
লোকে ডাকে দুঃখওয়ালা
যদিও আমি,
হেসে হেসে মিহিন আঘাত
কমই জানি-
দিতে পারি দুঃখ যেটুক
নিজের মতো,
আহা, যদি ওটুক শুধুও
তোমার হতো!
সিডনি, জুন- ২০১৬।
গাইবান্ধায় দমবন্ধ লাগছিলো, ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। কোন তাড়া নেই, ব্যাস্ততা নেই, প্রগাঢ় আলসেমিতে দুপুর অবধি শুয়ে বসে সময় কাটছে আমার। একদিন খুব ইচ্ছে হল সিনেমা দেখার। গুলিস্তানের তখন রমরমা, শহরে এয়ারকন্ডিশন্ড হল তো ওই একটাই।
ঠিক বাড়ি ফেরবার সময়ই আচমকা বৃষ্টি এসে পড়বে কে জানতো। বাবুলমুন্সী বললো আরেক কাপ চা হোক। হোক তাই হোক, তথাস্তু। চায়ের দোকানে আটকা পড়লে কাপের পর কাপ চা গেলা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে। বাড়ি ফেরা দরকার ছিল, রাতও কম হয়নি। কিন্তু বাবুলমুন্সীকে দেখলে মনে হবে এটাই যেন তার বাড়ি। তার বাড়িতে বৃষ্টিতে আটকা পড়া অতিথিকে চা সেধে আপ্যায়ন করছে। বেশ খুশি খুশি চেহারা নিয়ে বৃষ্টি দেখছে । আচমকা বৃষ্টি নামায় যেন ভারি খুশিই