অনেক দিন পর । কেমন আছেন বন্ধুরা? মাঝে মাঝে আসি, পড়ে চলে যাই। লগিন আর করা হয়ে ওঠে না। লেখাও হয় না। আজ কতকাল পরে আবার মনে হল, সেই বন্ধুরা কেমন আছেন দেখে আসি। কনফুসিয়াস, স্নিগ্ধা, আশালতা, আয়নামতি, ষষ্ঠ পান্ডব, সত্যপীর, নজরুল, ধূসর গোধূলি, তারেক অণু, অনিকেত, প্রফেসর হিজবিজবিজ, এক লহমা --আরো আরো অনেকে, সবাই কেমন আছেন ?
দ্বিতীয় পর্বের লিংকঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55688
জিপসি বুড়ি ইয়ালেল্লে
রণ শেখের গল্প ধীরজা পেরিয়ে এতদূর যাবে কে জানতো? শম্ভুনাথ তো চেয়েছিল কেবল হুন্দামুড়ির পেছনে লুকিয়ে থাকা আজব একটা দেশে যেতে, যে দেশের কথা সোনাপুর গঞ্জের হাটুরেদের মুখে মুখে ফেরে। অথচ নিয়তির কী খেলা দেখুন, তার জীবনটা জড়িয়ে গেলো বাগদাসারের সাথে।
জ্যামের মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জের ব্যাকসিটে এলিয়ে বসে আবুল সাহেব আইফোন সিক্স এস দিয়ে ফেসবুকে ঢুকে আজকের প্রধান ফেসবুক ইস্যু “আজ গরীব বলে...” তে “আজ গরীব বলে আমার নতুন মার্সিডজ কারে মাত্র ৫ লিটার তেল তুলতে পারলাম ১০ লিটারের যায়গায়” লিখে পোস্ট করে বেশ একটা মজা করা গেল ভেবে মুচকি হাসতে হাসতে জানালার কাচের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ চমকে উঠলেন!
চারিদিকে মৃত্যুর চেয়েও হিম এক নীরবতা। বিশাল বিস্তীর্ণ ধবধবে সাদা করাল এক জগতে ডানা মেলে আছে যে শূন্যতা তাকে ভেদ করার সাহস কারো নেই, এমনকি সূর্যের আলোও তা পারে না বছরের অর্ধেক সময় জুড়ে, সেখানে টিমটিমে জীবন এবং প্রদীপ্ত আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রোজনামচা লিখে চলেছেন এক সিংহপুরুষ। এক যুগ ধরে চালিয়ে আসা অভিযানের পর অভিযানের লক্ষ্য অবশেষে পূরণ হয়েছে তাই, কিছুদিন আগেই সঙ্গীদের নিয়ে এক ভয়ংকর বরফ মহাদেশের বিশে
যখন তনুর প্রতি অবিচারের এবং বিচারহীনতার হতাশা গ্রাস করে ফেলে সকালটা, গাঢ় করে তোলে রাতের অন্ধকার... ভারতী, ছবি, সবিতার পচন ধরা লাশের গন্ধ এসে নাকে লাগে... মনে পড়ে যায় ইয়াসমীন কিংবা তারো আগের শবমেহেরের কথা... দূর্ণীতি, অব্যবস্থাপনা, লাশের আর রক্তের গন্ধ আসে নাকে... আর অভিজিৎ রায়... হায় রক্ত!
[ সাড়ে চার দশক আগে, এই বাংলাদশটা ধুম করে আকাশ থেকে পড়েনি। ওসব পৌরাণিক কাহিনীতেই হয়। বাস্তবে মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রান যে বলিদান দিতে হয়, তার কোনও হিসাব নেই। স্বাধীনতা কেবলই মুক্তির সূচনা মাত্র। মুক্তি যেহেতু আসেনি বলিদান আজো অব্যাহত আছে। সেই বলিদান যেন আমরা বৃথা না করে দেই। অনেক দাম দিয়ে কেনা এই দুঃখিনী বাংলা। ]
"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................
যতদূর মনে পড়ে ১৯৭১ এর মার্চে রোদের তীব্রতা যেন একটু বেশিই ছিলো। এই উত্তাপ প্রকৃতির খেয়াল না বাঙ্গালীর মনের ক্ষোভের প্রতিফলন – তা ৪৫ বছর পর আজ আর স্মৃতি আলাদা করতে পারেনা।
দেখুন আমার শিরদাঁড়া নেই,
ঢুকিয়ে রেখেছি খাপে।
“আর ছিল দশবন্ত, পাল্কিবেয়ারার ছেলে। কারখানায় কাজ করত আর তার দেয়ালে নানান ছবি এঁকে রাখত মনের খেয়ালে। হঠাৎ একদিন মহাদর্শী বাদশার নজরে আসে এই দেয়ালের ছবি। তিনি খাজা (আব্দুস সামাদ) এর কাছে একে ছবির কাজ শিখতে পাঠান। দুদিন না যেতেই দশবন্ত তার সময়ের সবচাইতে দুর্দান্ত এবং অতুলনীয় চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠে, কিন্তু মস্তিষ্কবিকৃতির করাল গ্রাস অসাধারন মানুষটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আত্মহত্যা। কিছু অসামান্য প্রভুখন্ড সে রেখে গেছে বৈকি।”
প্রিয় পাঠক আজকের ছবির গল্প রযমনামা (অর্থাৎ যুদ্ধের গল্প) হতে উন্মাদ শিল্পী দশবন্তের এ নাইট অ্যাসল্ট অন দ্য পাণ্ডব ক্যাম্প।