ঙ.
ইঞ্জিনের মাউন্টিং এর কাজ করাতে গিয়ে আলাপ হলো নবু'দার সাথে। নবকিশোর চাকমা। নানিয়ারচরে বাড়ি হলে কি হবে, ঢাকায় থাকতে থাকতে আমার থেকেও বেশি ঢাকাইয়া উনি। 'দেশের বাড়ি' যাওয়া তার হয় না, কারণ 'দেশের বাড়ি' বলে কিছু তার নাই ।
মোঃ সাইফুল ইসলাম এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্রতম ব্যাক্তি। তার একাউন্টে কোন ক্রেডিট নেই। একটা ক্রেডিটও না। এক ক্রেডিট থাকলেও অবশ্য কোন লাভ হত না। আজকাল এক ক্রেডিটে একটা চুষনি লজেন্সও কেনা যায় না।
ছোটখাট এক সফটওয়্যার কম্পানিতে একদম নিচের দিককার ধরতে গেলে কোন পদই না এই রকম এক পদে কাজ করত সাইফুল। বেতন ভাল ছিল না। তারপরও মাস শেষে কিছু একটা পাওয়া যেত। সেটা দিয়ে কোন কোনমতে জীবন চালিয়ে নেয়া যেত।
পৃথিবীতে আপন বলতে তার কেউ নেই। সে বড় হয়েছিল এতিখানায়। এতিমখানায় লেখা পড়ার সিস্টেম খুবই নিম্ন মানের। টেনেটুনে পরীক্ষায় পাস করেছিল বলে লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর কোথাও চাকরী হয়নি। তারপর কিভাবে যেন অনেক দেন দরবার করে এই কাজটা পেয়ে গিয়েছিল। টেনেটুনে পাস করা প্রায় ফেল্টু ছাত্রের কাজের কোয়ালিটি আর কতইবা ভাল হবে? কাজের চার মাসের মাথায় বড়সর কিছু ভুল করে বসল। সাইফুলের বস তাকে ডেকে বলল,"আসসালামু আলাইকুম। আপনি এবার আসতে পারেন।" ফলস্বরুপ কাজ ছেড়ে তাকে চিরতরে চলে আসতে হল।
১।
একটার নাম ছিল ঘরকোপ, আরেকটা বেল্লাপার। ঘর কোপ শুরু হোতো মাটিতে দুটো ঢ্যাঁড়া কেটে। সবার লক্ষ্য দুটো লাইন পরস্পরকে যেখানে ছেদ করে গিয়েছে সেই বিন্দুর যত কাছে থাকা যায়। সবচেয়ে দুরে থাকা ছেলেটার জায়গা হতো একটা বৃত্তের মাঝখানে। বৃত্তের চার পাশে ভিড় করে অন্য সবাই, বৃত্তবাসীর মুখ শুকনো, চোখে রাজ্যের দুশ্চিন্তা।
বাঘ নিয়ে বাঙ্গালীর জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। একটা সময় ছিল যখন বাংলার বিশাল অংশই ঘন জংলায় ভর্তি ছিল। সে সময় সন্ধ্যাবেলাতেই বাঘের ডাক শোনা যেত। বাঘের হানাও রীতিমত দৈনন্দিন বাস্তবতা ছিল সে সময়। আর সে জন্যই ছোটরা ছড়া কাটতো আগে গেলে সোনা পায়, পিছে গেলে বাঘে খায়, আর বড়রা বলতো যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। প্রবাদ-প্রবচন আর বাগধারায় বাঘের পায়ের ছাপ কম নেই। কিন্তু সে সব দিন গেছে। ক্রমাগত শহুরে আগ্রাসনে
২০১৬ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর। এবছরের শেষ নাগাদ বারাক ওবামা পূর্ণ করবেন তার আট বছরের দায়িত্বকাল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাধারণত রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাট এই দুই দলের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে মূল নির্বাচনের বছর খানেক আগেই শুরু হয়ে যায় প্রার্থী নির্বাচনের লড়াই। প্রতি দল থেকেই সচরাচর আট-দশজন প্রার্থী হতে চান। এদের অধিকাংশই দেখা যায় নানান রাজ্যের সিনেটর কিংবা গভর্নর। এছাড়া
[justify]