ভারতীয় পুরাণ ঘাঁইটা ইতিহাস খুঁজতে যাওয়ার সব থিকা বড়ো ঝামেলাটা হইল এইসব পুরাণের রচয়িতা ঋষি কিংবা কবিদের অন্য কোন বিষয়ে কোন জ্ঞান আছিল আর কোন বিষয়ে আছিল না সেইটা নিশ্চিত না হইলেও একটা বিষয় পরিষ্কার যে তাগো মধ্যে বিন্দুমাত্র সময়-সংখ্যা কিংবা ইতিহাস জ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব আছিল না; অথবা অদরকারি মনে কইরা তারা এই তিনটা জিনিসের লগে বাচ্চাপোলাপানের মতো খেলানেলা কইরা গেছেন। সময় মাপতে গিয়া তারা ষাইট বচ্ছর আর
আমি তবে আড়াই হাজার সাঁওতাল পোড়াবাড়ি
হিন্দু মায়ের ভেঙে দেওয়া শাখা মুছে দেয়া সিঁদুর
আমি জাতীয়তাবাদের কাছে হেরে যাওয়া পাহাড়ি
আমি সমাধিকার না পাওয়া নারীর ফিকে রোদ্দুর
আমি মানুষকে জিতিয়ে দিতে গিয়ে কেবল
অমানুষের কাছে শুধু হই পরাজিত
তোমার সাথে ধর্মে মতে মিল না হলে প্রবল
বন্ধু হওয়া যায় না একেমন অযাচিত
এই মাটি তোমার আমার এই দেশ একাত্তরে মা
তবে কেনো রাজনীতির লাস্যে স্বপ্ন দিচ্ছো জমা
জুন ৫ , লে। রাত ৯ টা ৪৫
দূরে ধুসর পাহাড়, নীল আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি। আমির খান খেলনা এরোপ্লেন ওড়াচ্ছেন আকাশে। সঙ্গে একরাশ কচিকাচা। ক্লোজ শটে করিনা এগিয়ে আসছেন একটা পুরোনো স্কুটার চড়ে।পরনে কনের বেশ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল অতল জলরাশি ।
চিঠিটা সবার জন্য নয়, কিন্তু সিংহভাগ মার্কিন প্রবাসী বাঙালী মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য
আমার প্রবাসী "মডারেট" ভাই বোনেরা,
পূর্বজন্মে আমি ছিলাম শুঁয়োপোকা । বেগুন গাছের পাতার নিচে ছিল আমার বাস । ঢেঁড়সে কামড় বসিয়ে আমার রসনা তৃপ্ত হতো। অতঃপর দুর-গাছ পরিক্রমায় শ্রান্ত আমি, ঢেঁড়সেরই পাতার নিচে একটু গড়িয়ে নিতাম। দুর কোন শিমের পাতায় খুঁজে পেতাম আমার প্রাণেশ্বরী। জনান্তিকে বেজে উঠত মহা-মিলনের সুর; পাতারই বাঁশী দিয়ে - "আমি পরাণের সাথে খেলিব আজিকে মরণ-খেলা; নিশীথ-বেলা"। বোধ করি রিপু-চক্রের বাধ্য আমি লোভ করেছিলাম অন্য কোন ফলে। ধ
সাম্প্রতিক নাসিরনগর বৃত্তান্ত আমাদের কলঙ্কের তালিকায় আনকোরা কোনো সংযোজন নয়, এটি আবহমান বাংলার ইতিহাসেরই এবং ঐতিহ্যেরই একটি কালো অংশ। এই নিয়ে সন্ধ্যার এক আড্ডায় জোর বিতর্ক চলছিল, পারিষদেরা সকলেই শিক্ষিত। একজন বললো- সাম্প্রদায়িক কলহ হাজার হাজার বছর ধরেই বৈশ্বিক একটি সমস্যা; সম্প্রদায়ের বিভাজন তাতে কেবল ধর্মে ধর্মে নয়, বর্ণে বর্ণেও; এতে অত্যাচারি আর অত্যাচারিতের রুপ পরিবর্তিত হয় , কিন্তু অত্যাচারের র
একজনের শৈশবকে বোঝা গেলে, মানুষটির মনের ভেতর বাহির ধরা যায়। কেননা বলা হয়ে থাকে, মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত শৈশবকে বহন করে চলে। তাই নভেরাকে আমরা বুঝতে গেলে, তার শৈশবের ছবি সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। নভেরা আহমেদকে নিয়ে আলোচনার এটি একটি সীমাবদ্ধতা, আমরা তার কাছ থেকে কোন কথা শুনিনি। অন্যদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে যতটুকু পাওয়া যায় তা খুবই খন্ডিত এবং সীমাবদ্ধ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত ধারণা প্রসূত। সমস্ত কিছ
ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে অয়ন তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
বাংলাদেশে হিন্দুরা যেই পরিমাণ অসহায়ত্ব নিয়ে থাকেন, আমাদের পদে পদে লজ্জা পাওয়া উচিত আমরা এরকম একটা রাষ্ট্রব্যবস্থার নাগরিকত্ব ধারণ করি বলে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচুর চমৎকার সব কাজ আছে। এই সরকারের সময়ে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে দেশে অতটুকু আর কারো দিয়ে হতোনা এই কথা নিঃসন্দেহ হয়েই বলা যায়। কিন্তু একজন দরিদ্র কৈবর্তের শেষ সম্পদ মাছ ধরা জাল যখন লুট হয়ে যায় ধর্ম রক্ষার নামে, পূজারীর সামনে যখন ধুলায় লুটায় তার পরম আদরের প্রতিমা তখন এইসব উন্নয়নকে মনে হয় সেই মণিহারের মতো। যাকে ধরতে গেলেই লাগে, যারে পরতে গেলেই বাজে। আমরা উন্নয়নের ওম চাই চাই প্রিয় রাষ্ট্র-সুপ্রীয় সরকার কিন্তু আমার দেশের মানুষের চিতার আগুনের তাপে নয়। সময় থাকতে এই আগুন নেভান। চিতা যেন দাবানলে বদলে না যায়। দাবানল দেবালয় এড়ায় না।