[justify]এই গল্পটার মূল উৎস আমার জানা নেই। গল্পটি প্রথম পড়েছিলাম ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ নামের একটা রূপকথার গল্প সংকলনে। বইটি মোটেও দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের বিখ্যাত সংকলনটি নয়, বরং দেশ-বিদেশের খান পঞ্চাশেক রূপকথাকে স্থানীয় পটভূমিতে পুনর্লিখন করে অজ্ঞাত কোন সংকলকের করা একটি বই। পরবর্তীতে গল্পটির একটু ঊনিশ-বিশ ভার্সান আরও কয়েক জায়গায় পড়েছি, কিন্তু কোথাও এর মূল উৎস উল্লেখ করা ছিল না। শৈশবে একই প্রকার গল্
মনে করেন বহুদিন আগের কথা। বিকাল। কালিকট বন্দরে এক কেজি রোমান্টিক মন নিয়ে বসে আছেন আপনি। সাথে আপনার ভালোবাসা। মিছে আশা। মৃদুমন্দ বাতাস। সাগরের কুলুকুলু সঙ্গীত। ঝাল লবণ সহকারে বাদাম। কতনা সুন্দর দিনটি।
এমন সময় জনৈক পর্তুগীজ ভাস্কো দা গামা হুমহাম আওয়াজ করে নানাবিধ জাহাজ নিয়ে কোথা থেকে বন্দরে উপস্থিত। আপনি তো হতবাক। সাথে হতবাক আপনার পাশে বসে বসে ঝাল বাদাম খাওয়া কতিপয় তিউনিসীয় সওদাগর। ভারতে তাদের আনাগোনা বহুদিন। তারা গামা মামার ভাষাও কিঞ্চিৎ জানে। তারা শুকনা মুখে কইবে, ওহে গামা। কী চাই হে, এই দূর ভারতীয় বন্দরে তোমাদের চাওয়া পাওয়া কী?
তার উত্তরে গামা অ্যান্ড কোম্পানি বললঃ “আমাদের চাওয়া পাওয়া সহজ। আমরা এসেছি খ্রিস্টান আর মশলার খোঁজে।”
খ্রিস্টান আর মশলা?