মম গৃহে পালিত সে
রহস্যময় কুয়ান্টাম কাজের
ছেলে।
সারাদিন সে কি করে, কি খায়, বেড়ায় না ঘুমায়, আমি কুন খবর রাখি না।
শুধু জানি রাত্তির ঘনালে
টিভি-ফেসবুক সব বন্দো করে আমি ও আমার পত্নী প্রাণপ্রিয়া হোসনে আরা
যখন মশারি
চারখানি অসমান রশির নির্মম জট ফরমুলা ছাড়িয়ে টাঙ্গিয়ে পড়ি শুয়ে
কুয়ান্টাম কাজের ছেলে সব দ্বিধা দুর করে আচম্বিত ফুঁয়ে
দুদ্দাড় দউড়িয়ে সে অন করে মম লেপ্টপ
আমি একবার বুমেরাং বানিয়েছিলাম।
স্কুলে কী একটা প্রতিযোগিতায় জেতার পর দারুণ একটা বই দিয়েছিলো আমাকে। রাশান বই, সেই বইয়ে নানান রকম জিনিসের গল্প। একটা গল্প ছিলো বুমেরাং নিয়ে। লেখার শেষে ছোট্ট করে বলে দেওয়া কী ভাবে বুমেরাং বানাতে হয়- নিখুঁত বর্ণনা, একেবারে ধাপে ধাপে, মাপে মাপে।
প্রথমে বানালাম কার্ডবোর্ড দিয়ে। এটা মডেল, দেখতে চাই কাজ করে কিনা।
০১/০৩/২০১৮
অতর্ণা হাসান
অন্ধকার। ঘন কালো অন্ধকার। সূক্ষ্ম একটা দাগের মতন আলোটা এলো। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে, চারপাশে। কিন্তু সব ঝাপসা, সব ঘোলাটে।
আলোটাই কি ফ্যাকাসে? নাহ, ফ্লুরোসেন্ট বাতির সাদাটে আলো, সাদা সিলিং। বাম দিক থেকে হালকা ঠাণ্ডা বাতাস। কিছু কিছু বুঝতে পারছি। কিন্তু তার মধ্যে দেখার অংশটা কম, অধিকাংশই ধারনা করে নেয়া।
চোখ খোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালাম। এই ফ্যাকাসে-ঘোলা পৃথিবীর মাঝে একটু ঝকঝকা রঙের ছোঁয়া যদি পাওয়া যায়। আমার সমস্ত মনোযোগ এনে আমার চোখের তারায় বসালাম। কিছুটা দেখতে পাচ্ছি। অসংখ্য টিউব, পাইপ আমার দৃষ্টির সীমানায়।
Before the line
ভালো আছো?
বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও।
Between the lines
কী ভাবছো?
কই কিছু না তো...
After the line
পালাচ্ছো, কোথা থেকে?