কৃষ্ণবিবরের কথা শুনলে মনে হয় এরকম বিচিত্র কিছুর বাস্তব অস্তিত্ব থাকা সম্ভবপর নয়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে এদেরকে এই মহাবিশ্মের প্রায় সবখানেই খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা এখনই প্রায় ডজনখানেকের অবস্থান সম্বন্ধে অবগত। আন্দাজ করা হয় এই ছায়াপথে হয়ত প্রায় লক্ষ লক্ষ পরিমানে এদের অস্তিত্ব রয়েছে। আর ছায়াপথের বাইরের আঁধারে লুকিয়ে কোটি কোটি । বিজ্ঞানীদের অনুমান প্রতিটা গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটা অতি-বৃহদাকার কৃষ্ণবিবরের অবস্থান রয়েছে। আমাদের এই আকাশগঙ্গা সহ। এইসব দানবীয় আকারের স্থানকালের বক্রতার উৎপত্তি আর গতিপ্রকৃতি বিজ্ঞানীদের ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছে শত বছর ধরে।
তবে এই কথা ত বার বার প্রমাণিত হয়েছে বাস্তবতা আসলে মানুষের কল্পনার চাইতেও বিচিত্র।
ছবিঃ বিশ্বের প্রথম ধারণকৃত কৃষ্ণবিবরের চিত্র। খুলে দিলো মহাজাগতিক এই ঘটনা সম্পর্কে জানার নতুন দুয়ার।
কবির জন্য নির্বাসনের আইনগুলো কিছুটা শিথিলযোগ্যই ছিল। দুচোখে কৌতূহল এআর আনন্দ নিয়ে পুশকিন ক্রিমিয়ার কৃষ্ণসাগর তীরের বাকচিসারায়ে এক সংস্কার করা প্রাচীন তাতার প্রাসাদ নিয়ে কৌতুকও করেছিলেন। কাছেই এক ঝর্ণার সম্পর্কে এই কিংবদন্তীও শুনেন যে এক গোত্রপতি বৃদ্ধ খান তারই হারেমের এক কুমারীর প্রেমে পড়েন, এবং সম্ভবত এই প্রেমই সেই তরুণীর মৃত্যুর কারণ ছিল, হারেমের কোন মহিলা হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে খুন করে, খান
১
অধ্যাপক লতিফ সাহেব চায়ের দোকানে বসে আছেন। গলির সেলুনে সিরিয়াল দিয়ে এসে বেশ কিছুক্ষণ হল এখানে বসেছেন। শেভ করে বাসায় ফিরবেন। এরই মধ্যে পাশের বাসার জামান সাহেব এশার নামাজ শেষ করে এসে তার সাথে যোগ দিলেন। এক গলিতে থাকলেও তাদের মাঝে যে খুব কথা হয়, তেমন নয়। এটা-সেটা নিয়ে কথা বলতে বলতে একসময় ছেলেমেয়ে নিয়ে কথা উঠল।
গাণ্ডুরিয়ায় নারী, পুরুষ, আর গাণ্ডুরদের বাস।
গাণ্ডুরদের দেখে চট করে গাণ্ডুর ঠাওরানো মুশকিল বলেই সমস্যাটা যুগের পর যুগ ধরে মীমাংসা এড়িয়ে টিকে আছে।
কিছু গাণ্ডুর দেখতে নারীর মতো, আবার অনেক গাণ্ডুরকে পুরুষ থেকে আলাদা করতে গেলে অণুবীক্ষণের নিচে টেনে নিতে হবে। গাণ্ডুররা এমনিতে ভালোই, কিন্তু সমস্যা হয় যখন তারা মুখ খোলে। কিংবা দেয়ালে চিকা মারে। কিংবা যখন ওদের শক্তির দরকার হয়।
বাপরে!
কোরো নাকো অবহেলা
প্রকৃতির চাপ রে।।
............
এইতো!
এতোদিনে এলে তুমি
ঠিক পথে, সেই তো।
গলছে দখিন মেরু
উত্তরও উষ্ণ
প্রকৃতি পুলিশ নয়
খায় না সে ঘুষ, নো!
বাড়ছে ধূসর মরু
মানুষের স্বার্থে
সবুজ উজাড় হলে
টিকবে কে আর্থে!
পোড়ে তেল ওড়ে ছাই
কল কারখানাতে
বাঁচবে কোথায় গেলে
বৈরুত! ঘানাতে?
নদীর পানিতে বিষ
মাছ নেই সাগরে
প্রলয় ঘনায় বলে!
এইবার জাগো রে
ও মন তারে কোথায় ফেলে এলে?
মাত্র ২৭ বছর বয়সে কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া জেন, তারপরো আরো আবিস্কার উপহার দিয়েছেন। শিম্পাঞ্জীরা নিরীহ নিরামিষভোজী বলে আমাদের যে ধারনা ছিলো সেটাকে ভুল প্রমান করেছেন। তারা সর্বভোজী, আমাদের মতই। আর দূঃখজনকভাবে যুদ্ধবাজ। সেই ২২ বছর বয়সে, প্রবল উৎসাহ নিয়ে জেন যখন এস এস কেনিয়া ক্যাসেল-এ উঠেছিলো কেনিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ী দেবার জন্য, সে জানত না তার কাজ একদিন শুধু শিম্পাঞ্জীদের সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে না, উপরোন্তু, প্রাণীর চেতনার জটিলতা সম্পর্কেও আমাদের ধারণা লাভ করতে একদিন সাহায্য করবে।
ছবিঃ ন্যাট জিও-তে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের তুলনায় সর্বাধিকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জেন গুডালের কর্মজীবনের উপর।
তাঁর কবিতার এত প্রসারে হুইটম্যান হয়তো খুশীই হতেন কিন্তু আমি জানি যে কবিতার কাছে পৌঁছাতে শুধু একটি বই আর মোটেলের কক্ষই যথেষ্ট না। আমার একজন ইংরেজি শিক্ষকের দরকার ছিল, ১৯৮৯ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র Dead Poet’s Societyর রবিন উইলিয়ামসের মত একজনকে, যে তার ছাত্রদের নিজস্ব চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করতে বলে কবিতার বইয়ের সূচনা কথা ছিঁড়ে ফেলতে বলে কবিতার রোমান্সে হুইটম্যানের প্রবল অস্তিত্বকে ব্ল্যাকবোর্ডে ধরার চেষ্ট
ওয়াল্ট হুইটম্যানে উপরে পারিবাহিক আবহের প্রভাব ছিল খুব সামান্য। মা মূলত ধর্মীয় বইপত্র পড়তেন। বাবা ছিলেন পোড় খাওয়া শ্রমিক (!) ও মদে আসক্ত। তাদের ৭ সন্তানের মধ্যে ৩ জনই কোন না কোন মানসিক সমস্যায় ভুগতেন। বিদ্যালয় তাদের কাছে কোন সময়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না, ওয়াল্ট ১১ বছর বয়সেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন, যদিও সুযোগ পেলেই বই ধার করে পড়তে থাকতেন আরব্য রজনী, জেমস ফেনিমোর কুপার আর স্যার ওয়াল্টার স্কটের