দশ।।
শমশের খাঁর শরীর ভালো নেই। দুপুরে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাবার পর থেকে পেটের ভেতর ভুটভাট শব্দ হচ্ছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বুক থেকে গলা অবধি তীব্র একটা জ্বলুনি। স্ত্রী সুরজাহান একবার মিনমিন করে জিগ্যেস করেছিলেন বুকে গরম তেল মালিশ করে দেবেন কিনা। শুনেই তাঁর মেজাজটা ভাদ্র মাসের শুকনো বিলে লাফাতে থাকা কই মাছের মতো খলবল করে উঠলো। এই মহিলার কি কোনই মায়া দয়া নেই? কতোবার বলেছেন তরকারিতে ঝালটা একটু কম দিতে, কিন্তু কে শোনে কার কথা! মাছের ঝোল রাঁধতে গেলে সুরজাহান বেগমের আর হুশ থাকে না। আর রান্নাটাও এমন স্বাদের হয় যে গলা পর্যন্ত না খেয়ে ওঠে আসা মুশকিল। বুক জ্বালিয়ে দিয়ে এখন এসেছে তেল মালিশ করতে! মেজাজ কিছুটা ঠাণ্ডা হবার পর কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক দিলেন,
বুধো আচমকা থমকে গিয়ে নাকটা ওপরে ওঁচাতেই তার মস্ত শিংদুটো সিধুর পাঁজর থেকে বিঘৎখানেক দূরে এসে থিতু হলো। সিধু পেছনে হেলে বসে বুধোর পিঠে কম্বলের ওপর চাপানো কাঠের আসনটার শিং এক হাতে শক্ত করে ধরলো। বুধো আচমকা ঘুরে ছুট লাগাতে পারে; তখন ছিটকে পড়লে সিধু জখম তো হবেই, বুধোর পায়ের নিচে পড়লে মৃত্যুও অসম্ভব নয়।
সিধুর হাঁটুর নিচে বুধোর প্রকাণ্ড ফুসফুস কয়েকবার ফুলে ফুলে উঠলো, নাক দিয়ে ফোঁসফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে দু'পা পিছিয়ে এলো বুধো। লক্ষণ ভালো নয়। ধনুকটা খাপ থেকে টেনে বের করে হাতে নিলো সিধু। বৈরী গন্ধ পেয়েছে বুধো, কিন্তু পালাবে না সে। তার মানে দাঁড়ায়, গন্ধটা শ্বাপদের নয়।
পদার্থ বিজ্ঞানে ফি বছর নোবেল প্রাইজ দেয়ার রেওয়াজটা শুরু সেই ১৯০১ সাল থেকে, তারপর একে একে ২০৯ জন পদার্থবিদ বিজ্ঞানের এই সর্বোচ্চ পুরষ্কার প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন । এই বিরল সম্মানার্থীদের তালিকা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ত্বত্তীয় পদার্থবিদদের চেয়ে গবেষক পদার্থবিদরাই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে। এ যাবত নোবেল প্রাপ্ত পদার্থবিদদের মোট ৭১.৩% গবেষক পদার্থবিদ, আর বাকিরা ত
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস।দুপুর থেকে সবার মন উড়ুউড়ু করে।অফিসের কাজের চাপ একটু কম থাকলে অনেকেই আগে আগে বাসার দিকে ছুট লাগান। পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে একটু বেশি সময় কাটানোর আশায়।কিন্তু অজানাকে জানা ই যাদের একমাত্র তৃষ্ণা, জ্ঞান চর্চাই তাদের মনের খোরাক জোগাবে তাতে আর আশ্চর্য কি!
[justify] এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে...
ঘুমে ঢুলছি।
সেই সক্কালে, যাকে বলে কাকভোরে জেগে, চুলা জ্বালিয়ে আর মুরগিরে খাওন দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। সারাদিনে দম ফেলার সুযোগ হয়নি একবারও, দুপুরে খাওয়ারও।
গত সন্ধ্যায় বইপড়ুয়া এবং অতিথি সচল এক ছোট্ট বন্ধুযুগলের বিবাহের নেমতন্ন ছিলো, শরীর বইছিলো না বলে যাইনি। দু'জন খুব কষে গালি দিচ্ছে নিশ্চয়ই।
(এই লেখাটির শুরু সচল এস এম মাহবুব মুর্শেদ-এর পোস্ট ‘বড় বনাম ছোট প্রতিষ্ঠান: একটি সাবজেক্টিভ তুলনা’-তে করা আমার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। আমার মন্তব্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের বেসরকারি চাকুরি নিয়ে বিধায় সেটি নিয়ে বর্ধিত আলোচনা ঐ পোস্টে দেবার পরিবর্তে একটি ভিন্ন পোস্ট হিসাবে দিলাম। এতে কোন প্রকার বিধি লঙ্ঘিত হলে তা জানানোর জন্য পাঠকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকলো। বিধি লঙ্ঘনের আপত্তি উত্থাপিত হলে পোস্টটি অনতিবিলম্বে মুছে ফেলা হবে।)
“YOU CAN'T HANDLE THE TRUTH! ... Son, we live in a world that has walls, and those walls have to be guarded by men with guns. Who's gonna do it? You? ”
[A Few Good Men (1992)]
বেশ কিছুদিন আগে সুহান রিজওয়ান ফেসবুকে নক দিয়ে বলেছিল আমার স্মৃতির শহর বইটা তার আগামী বইতে একটু কাজে লাগবে, আমার সম্মতি আছে কিনা। আমি সানন্দে সম্মতি দিয়েছি, কিন্তু একটু অবাকও হয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই সুহান রিজওয়ানের "সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ" বইটা বের হয়ে গেছে। সুহান পরিশ্রমী লেখক, বড় ক্যানভাসে লেখালেখি করে। "সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ" ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস, যার কেন্দ্রে আছেন আমাদের প্রায় ভুলে যাওয়া এক নায়ক তাজউদ্দীন আহমেদ।
মনে করুন আপনি একজন চিত্রশিল্পী। যেমন তেমন শিল্পী না, চিত্রাঙ্কনের জটিল সব প্রক্রিয়া আপনার নখদর্পনে। যেকোন লোকের চেহারা বা যেকোন জিনিস হুবহু এঁকে ফেলা আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। রং, আলো-ছায়ার ব্যবহার, দর্শানুপাত, গঠনপ্রকৃতি, মাধ্যম এসব আপনি গুলে খেয়েছেন। যে যেটাই আপনার কাছে এঁকে দেবার আবদার করুক না কেন, আপনি এঁকে ফেলতে পারেন। এখন ভাবুন আপনি এমন একটা ছবি আকতে চান যাতে কোন "কিছু"-র উপস্থিতি থাকবে না। ধরা যাক, আপনার উদ্দেশ্য দর্শকের কাছে আপনি আপনার গতিপ্রকৃতি, আপনার চলাফেরা, স্থানপরিবর্তনের যে গতিধারা তা তুলে ধরতে চান। কিন্তু কোন ধরনের গতিশীল কিছু বা স্থানান্তর বিষয়ক কোন ঘটনা চিত্রায়িত না করেই আপনি তা করতে চান। কোন কিছু থাকা মানেই কিন্তু সেটা আপনার উদ্দেশ্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়ে হবে। কারণ তাতে কোন ঘটনা বা বস্তুর সাপেক্ষে সেই গতিধারার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। যেটাকে আপনি উপস্থাপনের মূল বিষয় করতে যাচ্ছেন তা হয়ে যাচ্ছে আরেক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। আপনি শুধুমাত্র সেই গতিপ্রকৃতিকেই চিত্রবন্দি করতে চান। কিভাবে করবেন?
ছবিঃ লুসিফার । সময়কালঃ ১৯৪৭।
পরী রাজ্যের মিস ওয়ার্ল্ড হাফসা বানু একটু জিরিয়ে নেবার জন্য বটতলা গ্রামের বটগাছের নীচে বসে নিজের পাখা চুল্কাচ্ছিল। তার যে কি রুপের বাহার তা বলে বোঝাবার নয়। রুপ হবেইবা না কেন? সেতো আর যেনতেন পরী নয়। পরীদের মিস ওয়ার্ল্ড বলে কথা।