করোনার প্রার্দুভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সমগ্র বাংলাদেশও যখন ঘরের মধ্যে বন্দি জীবন যাপিত করেছিল, এদেশের হতদ্ররিদ্র মানুষের মুখে শুধু একটাই কথা ছিল- "করোনায় মরতে রাজি, কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় নয়"। হয়ত তাই কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য তাঁর "হে মহাজীবন" কবিতায় লিখেছিলেন –
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়;
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া আজকের দিনের বড়সড় কোনো নগরীকেই আর বেশি দিন টিকিয়ে রাখা (সাস্টেইনেবল) বা নিদেনপক্ষে কার্যকর রাখা যাবে না। আধুনিক প্রযুক্তির যানবাহন আর তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দরকার এক নগর থেকে আর এক নগরের মাঝে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য, দরকার নগরের অভ্যন্তরে নাগরিকদের এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাতায়াতের জন্য। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য দরকার নগরীর জ্বালানী (এ্যানার্জি) চাহিদা মেটানো
দিগন্ত জুড়ে লালচে আভা ছড়িয়ে পড়ছিল, সূর্যটা হঠাৎই উঠল। বাবার সাথে ওইদিনের আলাপের কথা ভাবল সান্টিয়াগো, খুশি খুশি লাগল। কত প্রাসাদ প্রতিম দালান দেখলো, কত মেয়ে দেখলো, কিন্তু যে মেয়েটার জন্য গত কয়দিন থেকে ও অধীর হয়ে আছে, তার সাথে কোনোকিছুরই তুলনা চলেনা।
এই জীবনে কতভাবেই না আমরা ‘আমি’ হয়ে উঠতে পারি
ভাবুক মানুষটা তার উত্তর খুঁজে বেড়ায়,
আর রাতভর মোমবাতিটা কেবল জ্বলে যায়।
হীরে তো আসলে একটুকরো পাথরই শুধু, তাই না
যে জেনে গিয়েছিল কীভাবে উজ্বল হয়ে উঠতে হয়?
শহীদের রক্ত কি ভবঘুরের মাতাল গ্লাসের
এক চুমুক মদিরার চেয়েও বেশি পবিত্র?
দূর পৃথিবীর পথে কোন এক অমল ভোরে
কখনও কি কথা হয়েছিল তোমার সাথে আমার?
তিরের আঘাত থেকে কি বাঁচিয়েছিলে আমায় কখনও
করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী ভাইরাস, সবার জন্য সমান, রাজা-প্রজা যেই হোক, কোন ভেদাভেদ নেই, আসলে এটা একটা ন্যাচারাল অর্ডার, মানুষের সৃষ্টি এই কৃত্রিম সামাজিক বৈষম্যকে ব্যালান্স করতে প্রকৃতি প্রদত্ত সমাধান। ফেসবুক ফিডে জনৈক বামপন্থী বন্ধুর অনেকটা এরকমই একটা স্ট্যাটাস পড়ছিলাম।