এবারের বিষয় পরিবর্তন আমিই করি। দ্বিতীয় সপ্তাহের আঁকটোবরের বিষয় হলো পৃথিবীর এমন কোন স্থান যেখানে আপনি ভ্রমণ করেছেন। আমি একটা জায়গার ছবি আঁকলাম। দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা।
প্রথম সপ্তাহের ছবির বিষয়ের প্রস্তাব (প্রিয় কোনো বইয়ের চরিত্র বা দৃশ্য) এসেছে যে বাঘা শিল্পীর কাছ থেকে, তিনি এখন হপ্তা-পুরোনো কনিষ্ঠ ভাইকে নিয়ে ব্যস্ত। আশা করি শিগগীরই আঁকটোবরে তার ছবির দেখা পাবো। সজীব ওসমান সে প্রস্তাবের ওপর যোগ করেছেন আরেক প্রস্তাব, আঁকা ছবিটা যেন একই সাথে একটা ধাঁধাও হয়। দুটি প্রস্তাবই মেনে নিয়ে কাঁচা হাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আমি ছবি আঁকতে পারি না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় শেষ ছবিটা এঁকেছিলাম একটা মুরগির ডিমের খোসায়। তারপর থেকে আর কখনো রঙপেন্সিল হাতে নেইনি। গতকাল সরবত খানের ঘটনাটা লেখার পর মনে হলো এটার সাথে একটা ছবি যোগ করে দেয়া যাক। যুগের সাথে ছবি আঁকার পদ্ধতির বিবর্তন ঘটেছে। এবার ডিমের খোসার বদলে মোবাইলের খোসার ওপর আঙুল বুলিয়ে আঁকা। ছবি কিছু না হোক আঁকিবুকি তো হবে। এলোমেলো আঁকিবুকিও আঁকটোবারের উদ্যোগে সামিল হতে পারে। আর কিছু না হলে সরবত খানের বিড়ম্বনার সাথে তো পরিচয় হবে।
উত্তরাধুনিক সাহিত্য সমালোচক শরিফুল মালিকের বাসায় ঢুকেই বাকহীন হয়ে গেলেন রজনীগন্ধা পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক সরবত খান।
ছবি আঁকতে পারিনা নাইলে নিজেই এঁকে উল্টায় ফেলতাম। সুতরাং প্ল্যান বি - নয় বছরের মেয়েটাকে বললাম তার প্রিয় চরিত্রের একটা ছবি এঁকে দিতে।
আজকে আঁকটোবরের প্রথম দিন, তাই প্রথম ছবিটা আমিই দিলাম। অক্টোবর মাসে আমরা প্রতিবছর সচলে ছবি এঁকে উদযাপন করে ইঙ্কটোবর কার্যক্রম। বিশ্ব ইঙ্কটোবর উদযাপন সম্বন্ধে জানতে এখানে খোঁজ নিতে পারেন। আমরাও প্রতিদিন না হলেও অক্টোবর জুড়ে প্রতি সপ্তাহে একটা করে ছবি আঁকতে পারি বিভিন্ন বিষয়ে।
সিসিফাস- হোমারের 'ইলিয়াডে' বর্ণিত গ্রীক পুরাণের একটি চরিত্র। কথিত আছে, সিসিফাস ছিলো প্রাচীন এফিরিয়া বা কোরিন্থের রাজা। অনেকটা দুষ্টু রাজা বলা যায়, নিজের ভাতিঝিকে ফুঁসলানো আর প্রজা ও পর্যটকদের ওপর অহেতুক ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য দেবতারা সিসিফাসের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। দেবতাদের রাজা জিউস যখন রাজকুমারী এজিনাকে অপহরণ করে সিসিফাসের কারণে তার বউ হেরা ও এজিনার বাপের কাছে ধরা খেলো, জিউস তখন রেগেমেগে গ্রীক
আমরা কি নিজের চোখে
নিজের মুখটা দেখেছি কখনও?
দেখিনি। আমরা আমাদের দেখি আয়নায়।
চোখ মেললে তুমি দেখবে আমাকে; আমি তোমাকে।
তাহলে; আমি আমাকে কীভাবে দেখবো?
তুমি তোমাকে?
তিনি বললেন।।
পূর্বকথা
অধিক কী বলি আর
পাখটিভিস্ট বন্ধু ওয়াছিম কাগমারির কথা।
হলে গেনু পরস্ত্রীক, 'হাওয়া' সিনামাটি অবলোকিনু
বাইর হইতে না হইতে কুথা হতে আসিয়া সে ঠাসিল কলার মম।
হুঙ্কারিয়া শুধাল কুশল, খেলায়েত কবি! শালিকের মাংস দিয়া ভাতভুত খেয়ে
খুব মুটাগাটা হয়েছস দেহি! তারপর সে দৃষ্টি হানে হাওয়াসাথী পরস্ত্রীর দিকে,
হাসে কিটিকিটি।
আমি পড়ি মহা মুশকিলে। শালিকের মাংস আমি কেন খাব? পাবই বা কুথা?