১।
শিক্ষার্থীরা শাটডাউন ডাক দিছিলো। আগের যুগে যাকে আমরা হরতাল বলতাম। কী আর এমন করতো এরা? রাস্তা ঘাট আটকায় রাখতো হয়ত দুএক বেলা। কিন্তু সরকার আগ বাড়িয়ে, শাটডাউনের বাপ তথা ‘ব্লাক আউট’ করে দিলো সারা দেশে। ৫ থেকে ১০ দিন দেশ ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন।
আমি বিদেশে থাকি, লোকাল দেশি বাজারে আম্রপালি আম পাওয়া যায়। কিনতে গেছি। এই এলাকায় দেশি প্রবাসি শ্রমিকদের আগাগোনাই বেশি। চারিদিকে বাঙলা। লোকজনের ফোনে দেশ থেকে আসা নানা রকম বিভৎস ভিডিওর শব্দ পাচ্ছি। সবার মুখ থমথমে।
আহমদ ছফা এই ধূলির ধরা থেকে বিদায় নেন শ্রাবণের ১৩ তারিখে বঙ্গতয় ১৪০৮ সালে । তখনই মনে এই প্রশ্ন উঁকি দেয় মরিবার জন্য ছফা ভাই কেন শ্রাবণকেই বেছে নিলেন? শ্রাবণ মানেই তো মেঘের ক্রন্দন যাকে আমরা মিষ্টি করে বৃষ্টি বলি । সেই বৃষ্টির দিনে আনন্দ করে ভেজা যায় কিংবা বাদুর ঝোলার মত বাসে চড়ে অফিস ঘরে কামলাগিরীও করা যায় কিন্তু মরা কি ঠিক ?
[কর্নেল তাহেরকে নিয়ে এই লেখাটি ২০০৮ সালে প্রথম সচলায়তনে প্রকাশিত হয় কিন্তু এটি আর সচলে নেই । পরে একুশে বইমেলা ২০০৯এ শুদ্ধস্বর হতে প্রকাশিত আমার 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা ' গ্রন্থে মুদ্রিত কিন্তু বইটি আর বাজারে নেই । গত ২১ জুলাই ছিল তাহেরের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী তাই তাহেরের স্মরণে আবার দিলাম]
আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। কবিতার শব্দ ব্যবহারের স্বতঃবেদ্য স্বাভাবিকতা এবং বিশ্বাসের অনুকূলতা নির্মাণে তিনি নিঃসংশয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় একজন অগ্রগামী কবি। প্রখ্যাত সমালোচক অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায় বলেন, সমকালীন যে দুজন বাঙালি কবির দুর্দান্ত মৌলিকতা এবং বহমানতা আমাকে বারবার আকৃষ্ট করেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশের আল মাহমুদ, অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
বাথরুমে খচরমচর শব্দে শেষ রাইতে ঘুম ভাঙলে পাত্তা দেয় না নবালি। বৌ বাথরুম করে ভাইবা পাশ ফিরতে গিয়া দেখে বৌ তো ঘুমায়। তারপর আর কিছু ভাবার আগে ঘুম চইলা আসায় ফটাশ ফটাশ শব্দে আবার ঘুম ভাঙলে সে ভাবে ঘরের কোনো পোলা বোধহয় বাথরুমে হাত মারতে আছে। আবার পাশফিরা শোয়ার সময় বাথরুমের দরজার তলা দিয়া কোনো আলো না দেইখা নবালি মনে মনে কয়- লাইটটা জ্বালায়া নিলে পারত…
এত ছুটলে; হারিয়ে ফেলবে নিজেকে।
বুঝতে পারবে না- তুমি এখন কোথায়;
ভুলে যাবে- কোথা থেকে এসেছিলে;
খুঁজে পাবে না
কোথায় যাচ্ছো;
তাই নিজের কাছে এসে
একটু স্থির হযে বসো।
এবার বলো,
কে তুমি?
তিনি আবার কহিলেন;
“বলো, তুমি কে ?”
এই অসীম নীল আকাশ,
রাতের অন্ধকারের ভেতর জ্বলে থাকা ঐ তারাদল,
তার নীচে এই পৃথিবী, সেখানে— এই যে আমি
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছি
কে সে?