নীলাভ্র মেঘে মেঘে ঢেকে যায় সমাধি ও পাহাড়
আমি এখানে দাঁড়াবো- পরিত্যক্ত জন্মভূমি অমলিন ডালপালায়
ডাকে কৈশোরিক বটছায়ায়, লাল জলে ভীতিপ্রদ ডুবসাঁতার
বাবার প্রাচীন নৌকো খালে খালে ভাসে, অসীম পাথারে;
দোনলা বন্দুক, পাখি শিকার, বুনো উৎস...
মধ্যদুপুরে ঘর্মাক্ত ধুলো ও বাতাসে ক্ষীয়মাণ চিলের হাহাকারে
সকল পথে ও পান্থশালায় বৈশাখী ঝড়োবৃষ্টি
কাঁপায় আলোকময়ী মাংসজ প্রতীমা, মিনারে মিনারে মেঘ,
স্বয়ম্ভূ আলোর শরীরে ব্যপ্ত মধ্য দুপুর-স্নানরতা হাতের আভাস
আশেপাশে শুয়োরের প...
চুপচাপ শুয়ে ছিলো এতকাল আজ তাকে ডেকে আনি
তাকে ডাকার অধিকার অর্জনে সমর্থ কতিপয় মানুষ
সামান্য ইন্দ্রিয়বোধের অনুভব- অতিরিক্ত ব্যক্তিত্বে প্রতিবাদহীন
নৈসর্গিক বিদ্রোহে ওলটপালট আঙিনায়
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
অভিমানী সে, নির্বিরোধ ব...
ক.
সকাল হলে
একটি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো
আজন্ম পরিচিত মানুষ ছেড়ে চলে যাবো
মৃত্যুদন্ডিত
মৃত্যুদন্ডিতের মতো,
অথচ নির্দিষ্ট কোন দুঃখ নেই
উল্লেখযোগ্য কোন স্মৃতি নেই
শুধু মনে পড়ে
চিলেকোঠায় একটা পায়রা রোজ দুপুরে
উড়ে এসে বসতো হাতে মাথ...
তুমি হেসেছিলে-
অমন প্রলয় জরায়ু, ছেঁড়া মৃত্যুর রাত্রে
আমাকে স্পর্শকরতে পারেনি মৃত্যু
অজস্র পদ্মগোখরা উদ্ধত ফণায় ফণায়
নিয়ে এসেছে এক- একটি জ্যোতিমর্য় দেবশিশু
তুমি হেসেছিলে-
আমার সমস্ত বাতাস জুড়ে শিশুর মুখের গন্ধ
জন্ম যন্ত্রণ...
কী যেন কী ফেলেছি আমি
আমার করতল ফেটে গন্ধ বেরিয়ে আসছে তার
লোহিত রমণীর পেলব গলায়
তপ্ত কড়াইতে ধানের মতো ফুটে ওঠে
জন্মের প্রথম পদতলে সবুজ মৃত্তিকা
তার ভেতরেই অকস্মাৎ ভেসে ওঠে
পশমহীন মসৃন মটরশুটীর খোলার মতো চেরা
এক টুকরো মাংস, তা...
চলে যাবার সীমারেখায় আজ বৃত্তায়িত সবকিছু,
আর একটু ভালো করে দেখে নিই আকাশ, সূর্যস্তি-সুর
নিথর পানা পুকুর, বৃত্তায়িত আনন্দস্বরূপা উন্মোচিত রাজার পুর
খেলাঘরে কার কন্ঠহার পড়ে আছে নিরবধিকাল
সেই পরিচিত খুঁজে খুঁজে শেষাবধি আজ দাঁড়াত...চলে যাবার সীমারেখায় আজ বৃত্তায়িত সবকিছু,
আর একটু ভালো করে দেখে নিই আকাশ, সূর্যস্তি-সুর
নিথর পানা পুকুর, বৃত্তায়িত আনন্দস্বরূপা উন্মোচিত রাজার পুর
‘পিতৃপরিচয় মুছবো বলে শেযাবধি মুছি নিজেকে।’
সমস্ত মৃত্যুই স্বাভাবিক। বিশেষত আমাদের এই পোড়া দেশে, এমন অকল্পনীয় বিতিকিচ্ছিরি আর্থ সামাজিক পরিবেশে, যেখানে বেঁচে থাকাই অস্বাভাবিক, বলা যায় প্রায় অসম্ভব, সেখানে মৃত্যুই একমাত্র নি...‘পিতৃপরিচয় মুছবো বলে শেযাবধি মুছি নিজেকে।’
আত্মহত্যার আগে প্রায় দুই মাস ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে সুনীল সাইফুল্লাহ তাঁর কবিতার সংশোধন করছিলেন; এটা তাঁর মৃত্যুর প্রস্তুতি- তখন আমরা বুঝতে পারিনি। মৃত্যুর পর তাঁর বালিশের নীচে একটি পান্ডুলিপি পাওয়া গেল। তা দেখেই বোঝা যায় তা...আত্মহত্যার আগে প্রায় দুই মাস ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে সুনীল সাইফুল্লাহ তাঁর কবিতার সংশোধন করছিলেন; এটা তাঁর মৃত্যুর প্রস্তুতি- তখন আমরা বুঝতে পারিনি। মৃত্যুর পর তাঁর বা
১.
'আশি টাকায় দিবি? এই জুতাতো একসপ্তাও যাইবনা, দুইদিন পরলেই ছিড়া যাইব।' একটু সাহস নিয়েই ছেলেটিকে বলে ফেললাম।
ছেলেটার মুখের কথা যেন আটকে গেল। তার পরপরই ধাতস্থ হয়ে তুবড়ি ছোটানোর মতো করে বলল, 'আশি ট্যাকায় জুতা? জুতার ফিতাও তো পাইবেনন...