প্রথম সপ্তাহ: তিমি
পরের সপ্তাহের বিষয় আমি ঠিক করে দিচ্ছি। বিষয় বা থিম: বাউল/বাউলিয়ানা
খুব সকালে লাবনীর ঘুম ভাঙল এ্যালার্মের শব্দে। মোবাইলের এ্যালার্ম একটানা বেজেই চলেছে। আওয়াজটা বড় অদ্ভুত। একটা বাচ্চা ছেলে ঠাণ্ডা-কাশিতে ভাঙা খনখনে গলায় শুধু বলে যাচ্ছে – ‘মা'মনি সকাল হয়েছে উঠে পড়। মা'মনি সকাল হয়েছে উঠে পড়।’ বিরক্তি নিয়ে চোখ মেলতে মেলতে লাবনী ভাবে ছোট্ট খোকন মোবাইলে আবার এটা কখন রেকর্ড করলো? আর এ্যালার্মই বা কখন সেট করল?
অভীক একটা দুরন্ত সাত বছরের বাচ্চা। পাজল মিলায়, ফুটবল খেলে, অঙ্ক করে। মাঝেমাঝে ছবি আঁকে। আঁকটোবর উপলক্ষে অভীকের আঁকিঝুঁকি থেকে একটা পোস্ট।
বিষয়: একতারার ফু
- এইবার এর বিষয় বাউল।
- হোয়াট?
গুগল করে বাউল দেখলাম।
- এক স্ট্রিংএর এইটা কি?
- একতারা।
- এটা কি গিটার? তাহলে কর্ড কিভাবে হয়? নাকি বাঁশির মতো?
হারমোনিয়াম কিছুকিছু বাজাতে জানলেও কর্ড/নোট এ আমি কঅক্ষর গোমাংস। তাই কথা ঘুরাতে বললাম:
- তুমি বাউল একটা পারবে?
- একতারা পারবো। বাউল হার্ড।
- বাউলের বদলে কি আঁকতে পারো?
- ফু ফ্রম কোডস্পার্ক!
তাই ফু (Foo) কে কমলা রং করে একতারা হাতে ছবি। সে এখনো ভালো বাংলা পড়তে, লিখতে বা অনেক ক্ষেত্রে বলতে পারেনা। একতারা লেখাটা তাই দেখে দেখে লেখা।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদে সালীম আলীর বহুল পঠিত আত্মজীবনীটি পড়ে যেন অন্য রকমের স্বাদ পেলাম, উনি যেহেতু ইংরেজিতে লিখেছিলেন এবং সেই ভাষাতেই পড়েছিলাম একাধিকবার উদ্দেশ্যে অনেক আগে কিন্তু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদ যেন অসাধারণ ভাবানুবাদের এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে রইল, এত সুন্দর কাব্যিক ভাষা ও উপমা তিনি বাঙালি পাঠকের জন্য প্রয়োগ করেছেন যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো একটানা বইটি পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উ
আঁকটোবর কী কেন কীভাবে, তা নিয়ে গত বছর কিছুমিছু লিখেছিলাম। আঁকতেও শুরু করেছিলাম।
কিন্তু প্রতিদিন একটা করে ছবি আঁকা বেএএএএশ কষ্টকর কাজ। দু'চার দিন পরই খ্যামা দিতে ইচ্ছা করে। এ বছর তাই আয়োজনটা দৈনিক থেকে সাপ্তাহিকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। মোটের ওপর করণীয় খুবই সহজ। একটা বিষয় বেছে কেউ একজন আঁকতে শুরু করবেন। হপ্তা পাল্টালে বিষয়নির্বাচকও পাল্টে যাবে, অন্য কেউ বাছবেন আর বাকিরা আঁকবেন। সে আঁকা হতে পারে কাগজে, বনাতে, দেয়ালে, চামড়ায়, বৈদ্যুতিন দাগপাটে...। হতে পারে কালি, কয়লা, জলরং, তেলরং, মোমরং, খড়ি, পোড়ামাটি, উদ্ভিজ্জ রং, বৈদ্যুতিন দাগুনি দিয়ে। আঁকুন একটা বা অনেকগুলো ছবি।
আঁকা শেষ হলে পোস্ট করে দিন সচলে, আঁকটোবর শিরোনামে।
প্রথম হপ্তার বিষয় বাছার সুযোগটা আমিই নিচ্ছি: তিমি।
৩.
সূর্য উঠতে উঠতে সান্টিয়াগোর ঘুমও ভেঙ্গে গেল। যেখানে আগের রাতে চোখের সামনে তারার মত বিন্দু বিন্দু আলো দেখেছিল ও, এখন সেখানে শুধু সারি সারি খেজুর গাছ, যতদূর চোখ যায়।
“বাব্বাহ, আমরা শেষ পর্যন্ত আসতে পারলাম তাহলে!” বলল ইংরেজ, সেও উঠে পড়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এই অতি আধুনিক বইটি। বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে কাজী আনোয়ার হোসেন বইটি রচনা করেছিলেন তার প্রথম পুত্রের উদ্দেশ্য। (সেবার অনেক বই এমনকি মাসুদ রানাও একসময় বিদ্যুৎ মিত্র নামেই ছাপা হতো)। প্রথমে বইটির নাম ছিল 'যৌনসঙ্গম- সন্তানোৎপাদন, স্বর্গীয় প্রেম বা নিছক দৈহিক তৃপ্তি?' পাঠক পাঠিকার পরামর্শ অনুযায়ী দ্বিতীয় সংস্করণে নাম রাখা হয় 'যৌনসঙ্গম'। আর
রাত্তিরে ইদানীং তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি
নিমীলিত লেপ্টপ, বিস্ফারিত চক্ষু ও বিনিদ্র কান লয়ে
ঘন্টা দেড়দুই গুনি মশারির ছিদ্র আর শুনি বিবি ঘুমঘোরে কাকে যেন বকে।
মশা নয়, নয় কুন ফেসবুক-বান্ধবীর পালোয়ান খসমের ভয়
রক্তে খেলা করে আরও গুরুতর বিপন্ন বিস্ময়
ভয় করি রাত্রের রাজা ছিলিমোল্লা বাজাজকে।
১৩
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওআইসির (OIC) দ্বিতীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে আগত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন আবদুল রাজাকের সাথে স্বাগতিক দেশ, অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠকের আয়োজন করা হল। সময়মত আবদুল রাজাক বৈঠকের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলেও জুলফিকার আলী ভুট্টোর দেখা নেই। পাগল-প্রায় প্রটোকল অফিসাররা ভুট্টোর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেও ভুট্টোকে পাওয়া না গেলে আবদুল রাজাক ক্ষুব্ধ হন, এমনকি দেশে ফিরে যাবেন এমন কথাও বলেন।