কৈশোরের সব ভালো লাগার সময়ে কবিতাই ছিল বসত বাটি। কবিরাই ছিলেন আদর্শ। রাতভর কবিতা আবৃত্তিই ছিল একমাত্র ইবাদত।
তারপর বাস্তবতার চাপে, আর বিদেশের ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় নেমে মানসিক উৎকর্ষতার শেকড়ে আর জল পড়ে না। হাতের কাছে কোনো কবিতার বইও নেই। আবৃত্তি করার কথা মনেও আসে না।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানটি বরং শোনা হয়ে যায় কোনো না কোনো বাঙালি আস্তানায়: কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে। জোনাকীর আলো নেভে আর জ্বলে শাল মহুয়ার বনে।
কিন্তু এখ
বাংল ায় ব্লগ লেখা যাচ্ছে দেখে আমরা সবাই তো এসে হামলে পড়লাম বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে। কেউ পুত্র কন্যার ছবি আপলোড করছি। কেউ কবিতা লিখছি। কেউবা পত্রিকায় আগে ছাপা হওয়া সংবাদ তুলে দিচ্ছি। যারা অন্য মিডিয়াতে লিখেছেন তারা তাদের পুরনো লেখা আবার এখানে পোস্ট করছেন। কেউ বা এমনি এমনি একে তাকে ভেঙচি কাটছেন, ধমক দিচ্ছেন।
এসবের মানে হচ্ছে নতুন এই মাধ্যম, মানে ব্লগের কোনো চরিত্র এখনও তৈরি হয়নি। যেহেতু ইন্টারনেটে এটি প্রকাশ পাচ্ছে সেজন্য মানি যে এখানে স্বাধীনতা ব্
বাংল ায় ব্লগ লেখা যাচ্ছে দেখে আমরা সবাই তো এসে হামলে পড়লাম বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে। কেউ পুত্র কন্যার ছবি আপলোড করছি। কেউ কবিতা লিখছি। কেউবা পত্রিকায় আগে ছাপা হওয়া সংবাদ তুলে দিচ্ছি। যারা অন্য মিডিয়াতে লিখেছেন তারা তাদের পুরনো লেখা আবার এখানে পোস্ট করছেন। কেউ বা এমনি এমনি একে তাকে ভেঙচি কাটছেন, ধমক দিচ্ছেন।
এসবের মানে হচ্ছে নতুন এই মাধ্যম, মানে ব্লগের কোনো চরিত্র এখনও তৈরি হয়নি। যেহেতু ইন্টারনেটে এটি প্রকাশ পাচ্ছে সেজন্য মানি যে এখানে স্বাধীনতা ব্
ধারনা, হরতাল আর বিজয় দিবস 96 এ ভ ুতএর মন্তব্য আর ধারনায় ওয়ালীরএবং তাসকিয়া ও ইমরান এর মন্তব্যের ভিত্তিতে কিছু বলব।
ভুত হরতালের বর্বর স্বভাব এর সাথে চাক্ষুস পরিচয় 95এ। এর আগে হরতাল বিষয়টার ভয়াবহতা বুঝি নি। নতুন এসেছি ঢাকায় আর তখন ম্যারাথন হরতাল শুরু হলো। 24,36,48,72,96 দিনদিন ঘন্টা বাড়ে। মাসিক হিসেবে হরতাল এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এমন অবস্থা।
96 ঘন্টার হরতালের তৃতীয় দিন মামাতো ভাইয়ের জন্মদিন। সেখানে যাচ্ছি। লোকেশন মতিঝিল। ব্যাংকপাড়া আর স্টকএক্সচেঞ্জের দুই পাশে সারিসারি ট্রাক। ট্রাকের উপরে বসে থাকা দিনমজুরের দল যারা উপার্জনের জন্যে এসেছিলো। অনেকে অনেক কাজে আসে। আমার কিংবা আমার সাথেযারা তাদের এবং তাদের পরিবারের আহার সংস্থান
পড়াশোনা আর মহাকর্ষ গবেষনা করছেন এখন। মহাকর্ষীয় ত্বরন মাপছেন বিছানা থেকে ঝাপ দিয়ে
শুরুহচ্ছে জাতীয় হরতাল সপ্তাহের প্রথম দিন। আপনারা যারা সরকারি অফিসে চাকুরি করেন তাদের অবগতির জন্যে জানানো যাচ্ছে, আপনারা নিশ্চিন্তে পরিবারের সাথে সময় কাটান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কর্মকর্তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, রাজপথে মর্নিং ওয়াক করতে করতে অফিস যেতে পারেন তবে বেশী বোঝা নিয়ে চলবেন না। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে ঝেড়ে দৌড় দিতে হতে পারে। অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে পরুন ট্রাউজার হালকা টি শার্ট পায়ে রানিং সু। তবে হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ, পথে বেঘোরে মরতে হলে ঈমান নিয়ে মরুন জিকির করতে করতে পথ চলুন।
ব্যাবসায়ি ভাইদের সাময়িক অসুবিধার জন্যে আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনাদের সামান্য ক্ষতি মেনে নিন। গৃহীনিরা ঘরে ঘরে পিকনি
বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ। নামটি নিশ্চয়ই যুৎসই। কিন্তু ব্যানারে যে জলপ্রপাতের ছবি দেয়া আছে তা নামের সাথে যথেষ্ট সাযুজ্য বহন করে না। তার ওপর আমার ধারনায় এটি নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ফটোগ্রাফ।
ছবিটি নির্দোষ। বাংলা নতুন ব্লগের সাথে এর অনেক কিছুই খাপ খেয়ে যায়। বিপুল জলরাশির ধারা। জলের স্রোত। বাঁধ ভাঙ্গা না হলেও জলের এই উচ্ছল চলন ও গন্তব্যের দিকে ছুটে যাওয়া প্রচন্ড শক্তিতে বেশ আকর্ষণীয়। অবশ্য কেউ কেউ একে জলের পতনও বলতে পারেন। পতন বা পতিত কখনও ধ্বনাত্মক ধারনা জাগ
এক নপুংশক বিপ্লবে জন্ম তোমার
দুর্ভিক্ষ আর গুপ্তহত্যার নির্বাক ইতিহাস শৈশব।
সামাজিক ভয় আর অবরোধে তোমার বেড়ে ওঠা---
যথেচ্ছা সম্ভোগ শেষে , সমাজের শামুক খোলসে
লুকায় সামাজিক মানুষ,
প্রাগৈতিহাসিক বিচারে তোমাকে পাথর ছুড়ে মারে
ধর্মের ফেরীওয়ালা, তাদের অপরাধে।
নেতারা তোমাকে ধর্ষণ করে তোমার গর্ভে রোপন করে প্রগতির বীজ
তুমি প্রসব করো অভাব- দারিদ্র- জীর্নতা।
ভুল প্রেমিকের হাত ধরে হাটো-
এখানে চিন্তার দাসত্ব, শৈল্পিক পতিতাবৃত্তি
অপরাধীর নির্লজ্জ পৃষ্ঠপোষকতা
হত্যা লুনঠন আর নগ্ন শক্তি প্রদর্শনী
অসুস্থ এই সমাজে অসুস্থ প্রতিযোগীতায়
স্বপ্নহীন বেচে থাকা
রাজপথের সব মৃতু্যই ইতিহাসের আবর্জনা।
ভাগ বাটোয়ারার অশ্লীল ই
সিকোয়েন্স ঃ 1
সময় ঃ সকাল
চরিত্র ঃ শহীদ, রিয়া
স্থান ঃ বাংলাদেশ অফিস
ব্যাক টু ক্যামেরা রিভলভিং চেয়ারে বসে আছে শহীদ।
টেবিলের ওপর দু হাত দিয়ে তাল দিচ্ছে সে।
ডাড ডাড ডারা ডারা ডা ডারা ডারা ডা ডারা ডারা ডা
ডাড ডাড ডারা রারা রাররররররররর ডা।
(থিম মিউজিক। এরপর এটা বিভিন্ন দৃশ্যে বাজবে।)
দরজায় নকের শব্দ শোনা যায়।
শহীদ ভয়েস)ঃ কাম ইন।
ক্লোজআপে একটু করে দরজার ফাঁক দিয়ে মাথা বাড়ায় রিয়া।
রিয়া অবাক।
রিয়ার ভিউ পয়েন
ছোট বাচ্চাদের ভিতরে সামপ্রদায়িকতা ঢুকছে। দায় শিশুদের না। ওরা বড়দের অনুকরন করে। কয়েকটা জানা গল্প নতুন করে শোনাই। আমার মামাতো ভাই বয়েস হয়তো 6, আমার সাথে সম্পর্ক মোটামুটি। খেলছে নিজের মতো । আমাকে গম্ভীর মুখে বললো জানো লাল পিপড়া না হিন্দু। বললাম তাই নাকি কিভাবে বুঝলা। বললো ওরা হিন্দু বলেই কামড়ায় কালো পিপড়া মুসলমান লালপিপড়া হিন্দু। বললাম লাল পিপড়াতো হিন্দুদেরও কামড়ায় ধর্ম বিচার করে কামড়ায় এমনতো শুনি নি। উত্তর এ্যাহ তুমি বেশী জানো?
আমি ছোট বেলায় এ জিনিষ শুনেছি । অন্য একটা বিষয় শুনেছি রবীন্দ্রনাথ নজরূলের বিবাদ। রবীন্দ্রনাথ ষড়যন্ত্র করে বিষ দিয়ে নজরুলকে বোবা বানিয়েছে আর নোবেল চুড়ি করে নিয়েছে। এই গল্প বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু আমার ধারনা ছিলো