বেড়াতে যাওয়ার মত আবহাওয়া এখন ব্রিটেনে নেই। ঠান্ডা তেমন গা কাঁপানো না হলেও সারাদিন সূর্যের কোনো সাক্ষাৎ নেই। তাছাড়া আকাশ থেকে ঝুলে থাকে কুয়াশার চাদর। এমন মনমরা আবহাওয়ায় বেড়ানোতে কোনো আনন্দ হয় না। ব্রিটিশরা এসময় তাই ঘরকুনো হয়েই থাকে। আমারও যেতে মন সায় দিচ্ছিল না। বাস ধরতে হলে বিছানা ছাড়তে হবে সকাল ছ'টায়। শেঙ্পিয়ারের জন্মস্থান না দেখলেই বা এমন ক্ষতি কি। রবীন্দ্র, নজরম্নল, মাইকেল, জীবনানন্দ কারো জন্মস্থান-ইতো আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আমার ছাত্র-ছাত্রী
বেড়াতে যাওয়ার মত আবহাওয়া এখন ব্রিটেনে নেই। ঠান্ডা তেমন গা কাঁপানো না হলেও সারাদিন সূর্যের কোনো সাক্ষাৎ নেই। তাছাড়া আকাশ থেকে ঝুলে থাকে কুয়াশার চাদর। এমন মনমরা আবহাওয়ায় বেড়ানোতে কোনো আনন্দ হয় না। ব্রিটিশরা এসময় তাই ঘরকুনো হয়েই থাকে। আমারও যেতে মন সায় দিচ্ছিল না। বাস ধরতে হলে বিছানা ছাড়তে হবে সকাল ছ'টায়। শেঙ্পিয়ারের জন্মস্থান না দেখলেই বা এমন ক্ষতি কি। রবীন্দ্র, নজরম্নল, মাইকেল, জীবনানন্দ কারো জন্মস্থান-ইতো আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আমার ছাত্র-ছাত্রী
কবি হাসান হাফিজুর রহমান দু:খ করেই বলেছিলেন তোমাদের অভিধানে শহীদ আছে গাজী নেই। তারপর অনেক বছর গত হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও আমাদের জীবিত ব্যক্তিত্বদের যথাযথ সম্মান দেখাতে শিখিনি।
আশা করা হয়ে থাকে মুহাম্মদ ইউনুস তার গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য যেকোনো বছর পেয়ে যেতে পারেন নোবেল প্রাইজ। তা যদি তিনি নাও পান দারিদ্র্য দূরীকরণে তার নেতৃত্ব বিশ্বে আজ যথেষ্ট স্বীকৃত। এমনকি আমেরিকান পাঠ্যপুস্তকেও তার নাম উঠে এসেছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানের বাইবেল বলা হয় যে বইটিকে তা
তাকিয়ে আছেন বিগ ব্রাদার
বিগব্রাদার বলে একটি টিভি প্রোগ্রাম চলে বিলাতের চ্যানেল ফোরে। রিয়েলিটি টিভি শো। সারা বাড়ি ভর্তিক্যামেরা। এমনকি টয়লেটেও আছে মাইক্রোফোন। সুতরাং যারা সেই ঘরে ঢুকেছেন বের না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো প্রাইভেসি বলে কিছু নেই। জাতীয় টেলিভিশনে সবই দেখা যাচ্ছে। দেখছে মিলিয়ন মিলিয়ন লোক।
বিলাত এসে মনে হলো এদেশ সত্যি সত্যি বিগ ব্রাদারের দেশ। হাজার হাজার সিসিটিভি লাগানো সর্বত্র। ট্রেনে বাসেও রক্ষা নেই। মূলত: নিজের ঘর ছাড়া আপনি আছ
সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে আমার আগের পোস্টের এক মলাট সমালোচনা করেছেন সমালোচক। বইয়ের ভেতরে কি লেখা আছে তা না পড়ে প্রচ্ছদ দেখেই যেসব সমালোচনা লেখা হয় তাকে বলে মলাট সমালোচনা। তবে জাতির মান রেখেছেন তিনি। আর সব জাতিভাই-বোন সমালোচকদের মত লেখক কি বলেছেন তারচে' কি বলেননি তা নিয়েই সমালোচনা করার অপচেষ্টা করেছেন তিনি। অনেক বাঙালি মুসলমান যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনা করেন এই বলে যে, কোনো মুসলমান কোন পরিবারকে ঘিরে তিনি কোনো লেখা লেখেননি।
বাং
আমরা কবে নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারবো? বাংলার প্রথম অন লাইন জার্নালে মানুষ লিখছিলো শান্তিমতো। সবাই নিজের অবস্থান থেকে নিজের ভাবনা লিখলো। মন্তব্য পালটা মন্তব্য , চলছিলো ভালোই। কিন্তু কারো বক্তব্য সংশোধনের প্রয়োজন ছিলো না। এখন পর্যন্ত যতজন এখানে এসেছেন লিখেছেন তাদের বয়েস 20 থেকে বেশী। শুধুমাত্র শাওনকে বাদ দিলে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তারা নির্বাচনে নিজেদের মতামত জানাচ্ছে, নিজেদের জীবনে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের মতামতের ভার আছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিজস্ব মানসিকতা উচ্চারন নিয়ন্ত্রন করতে হবে তাও এমন এক দল মানুষের যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত স্নাতক পর্যায়ে। যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সহনশীলতা মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে কিভাবে?
শুরু হয়েছিলো এক রাতে। সামান্য একটা চিৎকারের অবশিষ্ট গল্প এটা।প্রায় মাঝরাত, ঘড়িতে সময় তখন স্থির। সামান্য মেঘ ছিলো চাঁদের আশেপাশে। সেই ম্লান ঘোলাটে আলোর নীচে শহরের তরল অন্ধকার গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হলো ল্যাম্পপোষ্টের কাছে।
সামান্য একটা চিৎকার,কিছু একটা ঘটছে,অশুভ কিছু একটা, দোকানের ঝাপ খুলছে সশব্দে,কিছু সম্মিলিত চিৎকার--ধর শালারে ধর,খানকির পোলারে কোপা,কোপা শালার পুতেরে--এলোমেলো পায়ের শব্দ,ধাবন্ত আর উদ্দেশ্যবিহীন। ঘুম আসছিলো না তাই বারান্দায় দাড়িয়ে দিনের শেষ সিগেিরটটা আয়েশ করে টানছি,নীল জামা আর চেক লুঙ্গি পড়া একজন হাটছিলো সাথে সাদা গেনজী আর স্যান্ডেলপায়ের একজন।রাতে ঘুম না এলে অনেকেই পথে পায়চারী করে এরাও তেমন দুজন। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকা রীতিমত
বর্তমানের কবিতার কিছু কিছু আমার পচ্ছন্দের। সবার সব কবিতা পড়তে পারি না । পকেটের সাস্থ্যচিন্তায় আর সংবাদ সাময়িকিতে যতটুকু ছাপা হয় তা যোগার করে পড়ার আলস্যে । তবুও যতটুকু সুযোগ হয়েছে তাতে আমার নিজের ধারনা হেলাল হাফিজের যে জলে আগুন জ্বলের মতো অন্য একটা কবিতা সংকলন পাওয়া কঠিন। স্বাধীনতার সমবয়সী এই কবি অত্যন্ত কৃপন। প্রায় 18 বছর ধরে লেখা গুটি কয়েক কবিতার এই সংকলনের পর আরও 18 বছর গেলো এখনও তার দ্্বীতিয় কবিতা সংকলন হাতে পেলাম না। শুনেছি কোন এক দৈনিকের সাহিত্য পাতার দেখাশোনা করছেন। এই কবির একেকটা কবিতার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় অনেক অনেক দিন। অপেক্ষা করতে ভালো লাগে। শব্দ ব্যাবহারের সচেতনতা দৃশ্যের নিপুন নির্মান কিংবা নাগরিক জীবনের নিজস্ব অনুভব তার কবিতা
সীমিত প্রবাস জীবনের ক্ষুদ্র উপলব্ধি ধর্মান্ধতা পশ্চাৎপদতার পরিচয় না। আর অন্য একটা উপলব্ধি যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম মৌলবাদী দেশ। চার্চে না যাওয়ার জন্যে একঘরে করে রাখার মতো আশ্চর্য ঘটনাও ঘটে এখানে। অবশ্য আশ্চর্যই বা বলি কিভাবে ব্যাক্তিসাতন্ত্রপুজা করতে করতে মানুষগুলো বিচ্ছিন্ন দ্্বীপের মতো। তাদের সংঘবদ্ধতার চাাহদা পুরন করার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নাই। 500 বছরে কতগুলো ভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মানুষ প্রাচুর্য আর প্রতিষ্ঠার লোভে আদিবাসিদের বঞ্চিত করে সমাজ তৈরি করেছে কিন্তু সংস্কৃতির সংমিশ্রন করে নি। এটা নৃত্বত্তের আলোচনা আমার করা শোভা পায় না। আমার বিশ্লেষন কোন জাতিয় ঐতিহ্য না থাকায় এরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত না। কোন রান্নার ধারা নেই কোন লোকগী
তাহসানের কৃতদাসের নির্বানের সাথে সাথে উদ্্বোধন হয়েছে মেঘদলের প্রথম সংকলনের। চারুকলার কয়েকজন ছাত্র মিলেমিশে গানে নতুন ছবি একেছে। 11টা গান। সবগুলো ভালো হওয়ার সম্ভবনা নেই সবগুলো ভালো নয় তবে চেনা অচেনা আর আকাশ মেঘে ঢাকা সংকলনের সেরা গান। ছেলেবেলা ক্রুসেড অন্য দুটো মোটামুটি মানের গান। শ্রুতিমধুর আমি কবিয়াল নই গানে জেমসের ছাপ স্পষ্ট। ওঁম গানটি সবমিলিয়ে কোন গন্তব্যে যায় নি। বাংলাদেশের গানের দলগুলোর মধ্যে ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদে লেখা ক্রুসেড গানের প্রভাব পড়বে এমন আশংকা প্রবল।
অন্য গানগুলো তেমন ভালো না । তবে যারা এই সংকলন কিনেছেন তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম। অন্তত গানের প্রতি আন্তরিকতা স্পর্শ করবে সবাইকে।