১.
টিভি নাটকে সদ্য শহরে পা রাখা গ্রাম্য যুবকের টিপিক্যাল মেক-আপটা চিন্তা করুন। আমাদের মেক্যানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হারুন ছিল ঠিক সেই জিনিস। মফস্বল শহর থেকে আসা অনেককে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ঢাকার রং গায়ে চড়াতে বেশীদিন সময় নেয় নি, কিন্তু হারুনের প্রথমদিনের গেটআপটা পরবর্তিতে খুউব একটা বদলায় নাই। ও যেন অব্যয়, অক্ষয়, অপরিবর্তনীয়। হারুনের চামড়া নিকষ কালো। পাটপাট করে নারকেল তেল সহযোগে চুল আঁচড়াতো। তেলের বারাবারিটা যে চুল সহ্য করতো না সেটা বোঝা যেত একটু কাছে থেকে দেখলেই – যেটুকু তেল “লাগবে না” বলে চুল উগড়ে দিতো, সেটা মাথার তালু বেয়ে গড়িয়ে এসে কপালে মাখামাখি হয়ে থাকতো! চুলের মতোই পরিপাটি থাকতো হারুনের শার্টের ইস্ত্রীর ভাঁজ -- কোনওদিন সেটা ভাঙ্গতে দেখি নি আমরা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেখতে হাবাগোবা টাইপ হলেও হারুনের মনটা ছিল প্রেমময়। ক্যাম্পাসে যখন কোনও মেয়ের দিকে সে তাকাতো, মুখটা ন্যাচারালী হা হয়ে যেতো! চোখ জোড়াতেও পলক পড়ার রেট কমে আসতো! বাংলা সিনেমার নায়ক ফারুকের কাম-অতৃপ্ত চাহনীর সাথে হারুনের সেই দৃষ্টির যথেষ্ট মিল পাই! ঠিকমতোন বোগল-বন্দী করতে না পারায় ফারুকের “বজ্র আঁটুনী” থেকে নায়িকা যখন ফস্কে যেত তখন ফারুকের ঠিক ঐরকম দৃষ্টি হতো! বলার অপেক্ষা রাখে না যে, শাবানা বা কবরীর মতোন বুকের পাটা না হলে কোনও মেয়েই এই দৃষ্টি বেশীক্ষণ সহ্য করতে পারবে না!
২.
হারুনের এই বুনো চাহনীর আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রেমিক মানুষটাকে খুঁজে পেতে আমাদের একটু সময় লেগে যায়। থার্ড ইয়ারে ওঠার পর সেটা আবিষ্কার করে আমি গোটা ক্লাসে চাউড় করে দেই। ঘটনাটা বলছি। তার আগে বলে রাখি যে, হারুন ছিল শেরেবাংলা হলের বাসিন্দা। আমি একই হলে, তবে অস্থায়ী। শুধু পি. এল. (প্রিপারেটরী লিভ) এর সময়টা ফাইট দেবার জন্য শেরেবাংলা হলে শাওনের রুমে আস্তানা গাড়তাম। একদিন সন্ধ্যার সময় বাক্সপেটরা সমেত হলে পৌছেই শুনলাম হারুন নাকি আমার খোঁজ করে গেছে। ভেবে অবাক হলাম হারুন আমার কাছে কি দরকারে?! পড়া বুঝতে নিশ্চই না! প্রায় দিনই আমি যখন পেছনের দরজা দিয়ে পা টিপে টিপে ক্লাস পালিয়ে প্রেম করতে যাই, তখন প্রায়শঃই হারুনকে দেখেছি আমার গমনপথের দিকে হাঁ করে বিস্মিত নেত্রে তাকিয়ে থাকতে! সুতরাং, আর যাই হোক, আমার কাছে পড়া বুঝতে হারুন আসবে না। যাহোক, রাতে সে নিজেই এসে আমার ঘোর কাটালো। জানতে পারলাম, সে এক গোপন সমস্যায় পড়ে আমার শরনাপন্ন হয়েছে।
- বস, আমার একটা কাম কইরা দেওয়া লাগবো।
- কি কাজ? (আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করি)
- এই একটু পারসোনাল বিষয় বুঝলা।
- না। বুঝায়া কও।
- বস তুমি তো প্রেম করো।
- হু তা করি (আমার ভয় আরোও বেড়ে যায়!)
- এই জন্যই তোমার কাছে আইছি। তুমি বুঝবা আমার বিষয়টা।
- হুমম। কিন্তু শাওনও তো আমার আগে থেকে প্রেম করে।
- কিন্তু সে তো আর আর্টিস্ট না।
বলা দরকার যে, ছাত্রাবস্থায় আঁকিবুকির দিকে আমার কিঞ্চিত ঝোঁক ছিল। বিভিন্ন সময় নানা উপলক্ষের পোস্টার, RAG-স্যুভেনীরের সম্পাদনা, অলঙ্করণ ইত্যাদি করার সুবাদে অনেকেই আমাকে আঁকিয়ে হিসেবে কিঞ্চিত কদর করতো। যাহোক, আমি হারুনকে বললাম,
- খুলে বলো হারুন, দেখি কিছু করার আছে কি না।
- বস, আমাকে একটা কার্ড পছন্দ কইরা দেওয়া লাগবো।
- কিসের কার্ড?
- একজনরে দিমু।
- আহ হা...আরে মিয়া এইটা আগে বলবা তো (আমার বুক থেকে পাথর নামে)। কাউরে পছন্দ হইছে?
- হু। (হারুন যারপরনাই লজ্জিত ভঙ্গীতে বলে।)
- কে? আমাদের ক্লাসের কেউ নাকি?
- উহু। ক্লাসের মাইয়া গুলান তো পাথরের দিল। প্রেম টেম এরা বুঝে না বস!
হারুনের কন্ঠে স্পষ্ট হতাশা। আমি মনে মনে হাসি চাপাই। দোষটা আমার না। হারুনের যে কারো সাথে প্রেম হতে পারে সেটা বোধ করি ক্লাসের কেউ বিশ্বাস করতো না! সেটা মূলতঃ ওর ঐ “হাভাতে” গেটআপের জন্য। আমি বললাম,
- শোন হারুন, ঘটনা খুলে বলো। কোথায় প্রেম করো।
- আরে বস প্রেম তো এহনও হয় নাই। চ্যাষ্টা করতাছি।
- কোথায়। ডি. ইউ. ?
- নাহ্ । ঢাকা মেডিকেল।
- আরে সাব্বাস!! ডাক্তার?!!
- হু। দোয়া কইরো বস। তোমার হেল্প দরকার এহন।
- কি হেল্প বইলা ফেল।
- ২ টা কার্ড কিনছি বস। তুমি একটু চয়েস কইরা দিবা।
- (আমি ব্যাপক বিস্মিত হই) কও কি? তোমার কার্ড আমি চুজ করবো?!!
- হু, তুমি অভিজ্ঞ লোক। আর কার্ডে টুকটাক কথাবার্তাও লিখা দিবা -- একটু আর্ট কইরা।
এইবার শাওনকে বাদ দিয়ে আমার কাছে আসার তাৎপর্য ধরতে পারলাম। পুরো প্যাকেজ ডিল -- কার্ড পছন্দকরণ, বাণী নিরূপন এবং অলঙ্করণ। বললাম,
- কিন্তু হারুন, এইটা কিরকম কথা! কার্ড তোমার। প্রেম তোমার। আর কথা লিখবো আমি?!
- হু বস। প্লিজ। এই হেলপ টা করো। ইংরাজীতে আমার খালি টেন্স ভুল হয়।
- ইংরেজীতে লিখতে হবে নাকি?
- হু অবশ্যই।
- কি লিখবো!
- এমন কিছু লিখবা য্যান ... ... হয়্যা যায়!
- হুমম্ । আর যদি না হয় তাইলে তো আমারেই ধরবা!
- আরে নাহ্ বস। না হইলে তো আমার কপালের দোষ! (হারুন বড়সড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে!)
- কিন্তু..(আমি আমতা আমতা করতে থাকি)..আচ্ছা দেখি কার্ড ২ টা দেখি আগে।
হারুন এই পর্যায়ে পকেট থেকে বের করে ২টা কার্ড এগিয়ে দেয় আমার দিকে। একটা কার্ডে মসজিদের ছবি -- বিরাটাকার গম্বুজ, পাশে স্বাস্থ্যবান বড় একটা চাঁদ। চাঁদের ঠিক মাঝখানে (ফিজিক্যালী ইম্পসিবল একটা পজিশনে) ষড়ভূজ তারা। সবগুলো জিনিসের রঙে লাল আর গোলাপির প্রাধান্য। দ্বিতীয় কার্ডটা গোলাপ ফুলের ছবি। কার্ডের উপরিভাগ অমসৃণ - সম্ভবতঃ এম্বোস করে ফুলটাকে তৃমাতৃক করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফুলের নীচে বড় বড় হরফে ইটালিক ফন্টে “I love you” লেখা। ২টা কার্ড দেখেই আমার ভেতরে হাসির একটা কুন্ডলী পাকালো! প্রেম নিবেদনের কার্ডে মসজিদ!! কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে পড়া একটা মেয়ে এই রকমের কার্ড দেখে প্রেমে বিগলিত হবে সে ব্যাপারে কনভিন্সড হতে পারছিলাম না। উপরন্তু হারুনের সেই “খাইয়া ফালামু” দৃষ্টি তো আছেই!! আমি মনের ভাব গোপন করে খুব গম্ভীরভাবে বললাম,
- হারুন, কার্ড তো ২টাই সুন্দর! আমি কনফিউজ্ড।
- আমার ও তো একই সমস্যা। তাই তো তোমারে বলতাছি। (কার্ড ২টার ব্যপারে হারুনের কন্ঠে আত্মতৃপ্তি ঝরে পরে!)
- আমি আর কি বলবো, তুমিই বলো কোনটা দেয়া যায়?
- না না তুমি কও।
- মেয়ে কি খুব ধার্মিক টাইপ?
- জানি না তো। ওর ছোট বনরে আমি পড়াইতে যাই। সেইখানে তারে পছন্দ হইছে।
- মেয়ের ভাব সাব কিরকম? মানে, তোমারে ও পছন্দ করে?
- মনে তো হয়। চা নিয়ে আসে আমার জন্য। বস তারে আমার চাইই চাই।
- হুমম। আমারে এইটা বলো, তুমি কি ডাইরেক্ট প্রোপোজ করবা নাকি শুধু ইঙ্গীত করবা যে, তুমি তারে পছন্দ করো?
- কোনটা করলে ভালো হয়?
- এইটা তো তুমি বলবা। তবে প্রথমেই ডাইরেক্ট বলার ফল ভালো নাও হতে পারে।
আমার এই কথায় হারুন একটু দমে গেল। ওর চেহারা দেখে বুঝলাম, আমার এই রেখে ঢেকে চলার নীতি তার খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না। এদিকে আমার অভিজ্ঞতাও নিতান্ত ফেলনা নয়! সুতরাং, কষ্ট করে হলেও মনে হয় সে রাজী হলো,
- হুমম মম...কি আর করা। তাইলে হালকাভাবেই বুঝানোর ব্যবস্থা করো।
- তাহলে তো মসজিদটাই ভালো হয়। কারণ ফুলেরটাতে I love you লেখা।
- (হারুন মাথা নাড়ায়) ঠিক আছে বস...এবারে সুন্দর কইরা একটা প্রেমের বাক্য লিখ্যা দ্যাও। ইংরাজীতে।
- একটু ভেবে লিখি? চট করে তো এইসব লেখা ঠিক না।
হারুন এই কথা শুনে ঝিলিক দিয়ে হাসি দিল; নিকষ কালো মুখের মধ্যে সাদা একপাটি নির্ভুল দাঁত দেখলাম ঝকঝক করে উঠলো। বললাম, আমি একটু নীচে ক্যান্টিনে যাই। কিছু মুখে দিতে দিতে ভাবা যাবে। এটা শুনেই হারুন ব্যস্তভাবে বাঁ হাতে লুঙ্গি গুছিয়ে ধরে ডান হাতে মানিব্যাগটা টেবিল থেকে তুলে নিয়ে বললো, বস চলো। কি খাবা। আমি তোমারে একটু আপ্যায়ন করাই।
বুঝলাম, কনসালটেন্সি ফি পেতে যাচ্ছি, দায়সারা আপত্তি তুললাম! হারুন আমার সেই ঠুনকো বাধা প্রত্যাখান করলো। সুতরাং, আমি লালমিয়ার ক্যান্টিনে গেলাম হারুন সমভিব্যহারে। খিঁচুড়ি আর গরুর মাংস মেরে দিলাম এক প্লেট। খাওয়া শেষে রুমে ফিরলাম। রাত গভীর হলে হারুন আবার আমার (তথা শাওনের রুমে) রুমে হানা দিল। বুঝলাম, লাইন ২/১ টা না লিখিয়ে আমার খিঁচুড়ি হজম হতে দেবে না হারুন।
পাঠক, এই পর্যায়ে দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে লাইন ২ টা আমার আজ আর মনে নেই। তবে হারুনের সেই প্রেমযোগ ব্যর্থ হয়েছিল! প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হারুন দড়ি ছেড়া গরুর মতোন ক’দিন ইস্ত্রী ছাড়া শার্ট পড়ে ক্যাম্পাসে ইতস্তঃ হাটাহাটি করলো দেখলাম। টিউশনিটা সম্ভবতঃ বজায় ছিল। তবে কতোদিন সেটা বলতে পারি না।
৩.
এই ভগ্নদশা হারুন কাটিয়ে উঠলো অল্প দিনেই। ভালো রেজাল্ট করলে এরকম মেয়ে যে ভুড়ি ভুড়ি পাওয়া যাবে এই অমোঘ বাণী শুনিয়ে শুনিয়ে বন্ধুরা হারুনকে সাইজ করে ফেললো। আমি একদিন ডেকে বললাম, “ক্লাসের কাউরে পছন্দ হয় না? হলে বলো, ফিট করে দেই”।
এই কথায় হারুনের ফারুকত্ব যেন আবার প্রান ফিরে পেল! কোনও কারণে আমার প্রতি তার অন্ধ বিশ্বাস ছিল বুঝতে পারি। বললো,
- বস, আমার কি এইসব হবে?
- আলবৎ হবে। তুমি তো অনেক ব্রিলিয়ান্ট। তোমার তো জি.পি.এ. আমার চে বেশী। আমার হলে তোমার হবে না কেন আমাকে বুঝাও!
এই সহজ সরল যুক্তিটা এতোদিন কেন মাথায় আসে নাই সেটা ভেবে হারুন মনে হয় নিজেকেই কিছুক্ষণ দুষলো।
- তাই তো বস! এইভাবে তো আমি ভাবি নাই!
- ভাবতে হবে। প্রেম ট্রেম অনেক ভাবাভাবির বিষয়। চট করে কারো এইসব হয় না। ধান্দা লাগে।
- তুমি আমারে একটা ব্যবস্থা কইরা দাও দোস্ত। (হারুন অনুনয় করে উঠে)
- হুমম, তাইলে আগে বলো কাউরে তোমার পছন্দ হয় কি না।
হারুন আমার কানের কাছে এসে একটা নামের এজাহার করতে চাইলো। ওর কপাল তেলে চটচট করছিল, আমি তেল লেগে যাবার ভয়ে একটু সরে গিয়ে বললাম, হারুন দিলের কথা চোরের মতোন বলবা?! আরে বুক চিতিয়ে বলো। হারুন এই কথায় খানিকটা ভড়কে গেল। একটু ভেবে কানে কানে বলার চিন্তা বাদ দিলো। আমি স্বস্তি ফিরে পেলাম। একটু কাছে এসে গলার স্বর নামিয়ে বললো, “রীমা”।
(চলবে)
আপডেট: ২য় খন্ড
[এই সেকূয়েলে আমি জীবনের নানান রঙীন স্মৃতি নিয়ে জাবর কাটবো বলে স্থির করেছি। এই কাজটুকু আমি ১০০% সত্যনিষ্ঠার সাথে করবো সেটা বলা যাচ্ছে না, কারণ আমার স্মরণশক্তির ওপর নিজেরই তেমন একটা আস্থা নেই। শিরোনামে সেটাই ধ্বণিত হয়েছে। আজকের কাহিণীতে উল্লেখিত প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা বাস্তব; শুধুমাত্র চুরান্ত বিপর্যয় রোধে মূল নামের জায়গাতে ছদ্মনাম ব্যবহৃত হয়েছে। এই লেখার পাত্রপাত্রীরা যদি লেখাটি পড়ে ফেলে এবং মর্মাহত হয় তাহলে তাদের কাছে অগ্রীম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গালাগালির জন্য আমার ই-মেইল ঠিকানা উন্মুক্ত রইলো।]
মন্তব্য
বস কোন ব্যাচ ?
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যেকারণে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছি, সেই একই কারণে এটা বলতে বিব্রত বোধ করছি।
আশা করি আমার এই অপারগতা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সেরম মজা পাইলাম।
কার্ড দু'টোর বর্ননা পড়ে হাসতে হাসতে এখন পেটে ব্যাথা করছে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
ধন্যবাদ অমিত।
পেটের চিকিতসা করে রেডি হয়ে থাকুন। ২য় খন্ডের জন্য আমন্ত্রন রইলো। হারুনকে নিয়ে আরেকটি স্মৃতি -- বলাবাহুল্য প্রেম ঘটিত!!
মসজিদের কারড দেখে
যে মেয়ে প্রেমে পড়েনা
তাকে কাফের নাস্তিক মুরতাদ ঘোষনা করি উচিত!!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অবশ্যই।
ভাগ্য ভালো আমাদের হারুনের, ঐ মেয়ের সাথে প্রেম করা লাগে নিই!!
মজা লাগলো।
আমিও আজই একটা 'চরিত' লিখবো ঠিক করে রেখেছিলাম। স্থগিত থাক আপাতত, আপনারটা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বলেন কি? আমার জন্য আটকে গেলেন আপনি?
তাহলে তো হাত চালাতে হয়!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২য় খন্ড জুড়ে দেওয়া হয়েছে লেখার একদম শেষে লিঙ্ক পাবেন
নতুন মন্তব্য করুন