এক
আমি কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম, বাংলা সিনেমার গানের ২/১ টা রিভিউ লিখবো। আমার মা’ কে দেখতাম প্রায়ই বৃহষ্পতিবার দুপুরে বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে বাংলা সিনেমা দেখতেন। আমি যেতে আসতে তাকে বলতাম, এগুলা দ্যাখো ক্যান, দ্যাখার কি আর কিছু নাই?!! মা বলতো, আরে বুঝবি না, এটা হচ্ছে ৩ ঘন্টার ননস্টপ বিনোদন। একটু বসেই দ্যাখ। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবে।
আমার মাঝে মাঝে বসা হতো, তবে সিনেমা দেখার চে’ মা’র সাথে গল্পগুজব বেশী হতো। আমার মায়ের আবার সন্তানের ব্যাক্তিগত জীবন সম্পর্কে সীমাহীন কৌতূহল ছিল। আমি যথাসাধ্য সেই কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করতাম।
ফিরে আসি বর্তমানে। মূলতঃ আমাদের মতোন যারা ছোট বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে (যেমন জার্মানী) থাকি, সেইসব প্রবাসীরা বাংলার ছিঁটেফোটা যেখানে যতোটুকু পাই চেটেপুটে খাই। ফলাফল হচ্ছে ‘সিনেবিট’-র মতোন আখাদ্য অনুষ্ঠানও মনোযোগ দিয়ে অবলোকন। ছুটির দিনে তো বটেই টিভি ছাড়লেই বারবার কেন যেন ‘সিনেবিট’ দেখতে হয়। বাংলাভিশনে একই অনুষ্ঠান ঠিক ক’বার প্রচারিত হয় সেটার সঠিক হিসেবটা আমার জানা নেই। আমি আমার দৃষ্টিতে দেখা সেই সিনেবিটের কিছু বিট্স এখানে তুলে দিলাম। শিমুলের সাম্প্রতিক “মেয়েরাও মাস্তান” শীর্ষক ব্লগটা আমাকে একপ্রস্থ উৎসাহ জুগিয়েছে বলতে দ্বিধা নেই।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ঢালিউডের অসময়ে রিটিয়ার্ড করা নায়িকা শিল্পী। মুখে পাউডারের অতিপৃক্ত দ্রবন মেখে ধবধবা সাদা একটা মুখাবয়ব নিয়ে নিত্য হাজির হয়। আমার ধারণা, এফ. ডি. সি. ছাড়লেও পাউডারের স্টক যে ফুরিয়ে যায় নাই, সেটা প্রমানের জন্যই এরকম মেক-আপের বন্দোবস্ত।
যেদিনের কথা বলছি সেদিন আমার জন্য সারপ্রাইজ ছিল বাংলা নাটকের শাহেদ। সে যে কবে সিনেমার নায়ক হলো সেটা টের পাইনি। ৫১বর্তি দেখে রায় দিয়েছিলাম যে, ছেলেটা অভিনয়টা শিখতে প্রচুর শ্রম দিচ্ছে। এরই মধ্যে হঠাৎ সিনেমাতে আবিষ্কার করে হিক্কা উঠলো। প্রাথমিকভাবে ধরে নিলাম, অভিনয় শেখাতে হয়তো আর মনোযোগ নেই ওর, তাই … … ।
দুই
শাহেদের নাচের বর্ণনা দেবার লোভটা আমি সম্বরণ করলেও আমার স্ত্রী করবে না। ও আমার লেখার প্রথম পাঠিকা। বলাবাহুল্য সে মাঝে মাঝে কর্তৃত্ব খাটায় – এটা যোগ করো, সেটা যোগ করো।
সুতরাং, শাহেদের নাচের বর্ণনাটা দিতে হচ্ছে। শাহেদ যে বিল্ডিঙের নীচে দলবল সমেত নৃত্য করছিল, নায়িকাকে দেখা গেল সেই দালানের দোতলার বারান্দায় ক্রমাগত তরপাচ্ছে – যেন দালানের আর্কিটেক্ট সবই ঠিকঠাক মতোন করেছে, শুধু সিঁড়ি বানাতে ভুলে গেছে! কারণ যে বাড়িতে সিঁড়ি আছে, সেই বাড়ির প্রেমমত্ত এক তরুণী নীচের উঠোনে নায়ককে একলা রেখে কেন এভাবে দ্বোতলায় কাটা মাছের মতোন লাফাবে সেটা বোধগম্য নয়। অন্যান্য সিনেমার মতোন তার বাবা তাকে বেঁধেও রাখেন নাই।
একটু পরেই নায়িকাকে দোতলায় স্থানান্তরের কারণ টের পাওয়া গেল। নীচ থেকে বিশেষ এঙ্গেলে ক্যামেরা ধরে ডিরেক্টর তার তৃষ্ণা মেটাচ্ছিলেন। যাহোক উপরে যখন এই উদ্দাহ নৃত্য, তখন শাহেদ নীচে এক দঙ্গল ব্যায়ামবীর কলিগদের নিয়ে পিটি করছে। আরামে দাঁড়ানো, সোজা হওয়া তো আছেই – আরোও কতোগুলি মূদ্রা আমাকে বারবার টেনেহিঁচড়ে প্রাইমারী স্কুলের এসেম্বলির মাঠে নিয়ে যেতে চাইলো। দুইপা কে চটের মধ্যে ভরে বস্তাদৌড়ের কথা কি সবার মনে আছে। থাকলে ভঙ্গীটি চিন্তা করুন। অবাস্তব মনে হলেও নাচের এক পর্যায়ে শাহেদ-বাহিনী সমবেতভাবে সেই ক্রীড়ানৃত্যও দেখালো। এসবের সাথে ছিল অজানা কোনও উৎস থেকে ঝরের মতোন দমকা বাতাসের ঝাপ্টা। নায়ক যেদিকেই মুখ ফিরাক না কেন বাতাসের ঝাপটা সে এড়াতে পারে না। অথচ এক কদম দূরে দাঁড়ানো সঙ্গীসাথীদের গায়ে ঝরের কোনও আঁচড়ই দেখা গেল না।
তিন
বিরহপূর্ণ এই গানটির পরে বেশ ক’টি গানে আমি কমেন্ট করছি না। লাফ দিয়ে চলে যাচ্ছি মাঝের মান্নান আর মৌসুমীর একটা গানের দৃশ্যে (যারা ভাবছেন আমার বানান ভুল হচ্ছে, তাদের বলছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস নামটা হয়তো মান্নান-ই ছিল, সিনেমার খাতিরে মান্না বানানো হয়েছে)। গানের কথা নিম্নরুপ:
“অন্তরেরই ঠিকানায়, একটা চিঠি এসেছে!
চিঠিতে কেউ মিষ্টি করে লিখে দিয়েছে!
আমাকে ভালোবেসেছে! আমাকে ভালোবেসেছে!”
চিঠির বর্ণনা শুরু হতেই মান্নানের যে লাজুক চেহারাটা হলো, সেটা দেখে বোঝা গেল চিঠির লেখক স্বয়ং উপস্থিত গানের দৃশ্যে। এই গানে দেখলাম, মৌসুমী যতোই অতিকায় হোক না কেন, তাতে তার স্পর্শানুভূতির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই। মোটাদের নাকি অনুভূতি কম থাকে। কিন্তু এখানে দেখলাম, মান্না মৌসুমীকে ছোঁবে কি, হাত বাড়ানোর আগেই মৌসুমীর মৃগী ব্যামোর লক্ষণ ধরা পরলো। সামান্য চিঠি লেখার প্রতিক্রিয়া যে সেটা নয়, তা পরিস্কার। বরং আমার মনে হচ্ছিল, মান্নান ২০০০ ভোল্টের দুইখান তার (নেগেটিভ আর পজেটিভ) নিয়ে মৌসুমীকে তাড়া করে বেরাচ্ছে! আর মৌসুমী সেটা থেকে বাঁচতে শরীরের ওজন ভুলে “গোল্লাছুট” খেলছে!
হালের নায়কদের মধ্যে মান্নানকে দেখে আমার মনে হয়েছে, মৌসুমীর মতোন অতিকায় প্রাণীদের পুরো কোমরটা দুই হাতের বেড়ে যদি কেউ আনতে পারে তাহলে সেটা একমাত্র এই লোক! কারণ, মৌসুমী যতোই পালিয়ে বেড়াক, তাকে ধরতে পারার আশা না ছেড়ে, বারবার সে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতোন ছুটে যাচ্ছিল দুইহাত বাড়িয়ে।
একবার দু’বার দেখলাম মান্নান সেটাতে সফলও হয়েছে। সেই দৃশ্যগুলোর বর্ণনা করা এই ব্লগের আওতার বাইরে। সংক্ষেপে শুধু এইটুকুন বলি, মান্নানের ভাত খাওয়ার মতো করে চুমু খাওয়া আর সেই চুমুর আঘাতে মৌসুমীর দাঁত দিয়ে নীচের ঠোট কামড়ানোর ক্লোজ শটে মনে হচ্ছিল, বিছানার দৃশ্যের শটগুলোকে রোটেট করে দাঁড়ানো শট বানানো হয়েছে। সাথে ক্যামেরার পেছনের মানুষটা যে পুরুষ সেটা অনুমান করা সহজ হয়ে যায়; কারণ ক্যামেরার ফ্রেমে তখন নায়কের প্রতি অবহেলাটা নিশ্চই কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়।
চার
এই গানের ধাক্কা সামলে উঠে এবারে চলে যাচ্ছি একেবারে শেষের গানে। দর্শকদের অনুরোধে প্রতি পর্বে উপস্থাপিকা একটা করে ঢেকি গেলেন। তবে অনুরোধে তার নিজের গান থাকলে সে যে যারপরনাই খুশী হয়, সেটা তার চেহারা দেখেই বোঝা যায়। এবারের অনুরোধ এসেছে মিড্ল-ইষ্ট সহ দেশের আনাচে-কানাচের অসংখ্য তৃষ্ণার্ত দর্শকের কাছ থেকে। শিল্পী অভিনীত ছবি “প্রিয়জন”। সেখানে শিল্পীর বিপরীতে আছে নায়ক রিয়াজ। বলাবাহুল্য শিল্পীর অনেক আগের একটি ছবি, যেখানে রিয়াজও নতুনদের কাতারে ছিলো। শুরুর দৃশ্যে হ্যাঙলা পাতলা রিয়াজ একটা জীপে করে গানের স্পটে হাজির হলো। সময় বাঁচাতে পথে থাকতে থাকতেই সে গান ধরলো,
“ঐ মেয়েটি বড় সুন্দরী
ইচ্ছে করে তার প্রেমে পড়ি।
প্রথম দেখায় তারে লাগলো ভালো
মনটা হলো চুরি।।”
অপরদিকে কোনওভাবে ঐ গান শুনে নায়িকা বুঝে ফেলে নায়কের তাড়া আছে। সুতরাং, শিল্পীও দেরী না করে নাচের কাজটা শুরু করে দেয়। আনন্দের গান, সুতরাং লাফঝাফ দিয়ে সেটা বুঝাতে হবে। শিল্পী দক্ষতার সাথে সেটা করলো। জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ মাটির উপর দাঁপালো। এরপর যুত করতে না পেরে ফুলের বাগান ধ্বংস করতে দৌড়ে একটা বাগানে ঢুকলো।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রিয়াজের আগমন। ঢুকেই শিল্পীর সাথে লন রোলিং এর কাজে মন দিল। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, শুরু থেকেই রিয়াজকে দেখলাম, কোনও জায়গাতেই স্বাভাবিক পথ ব্যবহার করে ঢুকছে না। ঢুকছে এদিক সেদিক দিয়ে। বিকল্প পথ দিয়ে ঢোকার এই মানসিকতা অব্যহত থাকলো পুরো গানে। এদিকে ক্যামেরা ম্যানের অবস্থা কাহিল! ফ্রেমে একটা ফুল গাছ দেখার পরপরই দেখা যায় উপর বা নীচ দিয়ে এলোপাথারীভাবে রিয়াজের ফ্রেমে প্রবেশ। এরপর সেই গাছ ধরে (সেটা দেবদারু হোক আর হাসনাহেনাই হোক) অযথা টানাটানি কিংবা পোলাপানের মতোন পাক খাওয়া। ঘটনা এমন দাঁড়ালো যে, ক্যামেরাতে একটা জনমানবহীন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখালেই আমি ভয়ে ভয়ে স্ক্রীনের চারপাশে চাইতে থাকি – কখন জানি কোনদিক থেকে রিয়াজ ঝাঁপিয়ে পড়ে!
রিয়াজ আর শিল্পীর এই গানের দৃশ্যে বেশ কয়েকটি পতনের স্লো মোশান শট আছে। প্রতি শটে বলাবাহুল্য, নীচে শিল্পী আর ওপরে রিয়াজ। কিন্তু ২ জন মাটি স্পর্শ করার আগ মুহুর্তে ক্যামেরার দৃশ্য পরিবর্তন হওয়ায় ল্যান্ডিং এর দৃশ্য দেখা হয় নাই একবারও। এটা মনে হয়, দর্শকের ক্ষুধার আগুনে নাড়ানী দেবার জন্য করা হয়েছে।
পাঁচ
বাংলা ছবির বেশ কটি নাচের দৃশ্য দেখে আমার একটা ধারনা পোক্ত হলো - আমাদের দেশীয় সিনেমার নাচের দৃশ্যে নায়ক নায়িকাদের মধ্যে বাড়তি একটা গতির ব্যাপার আছে। সবগুলো নাচে কেমন একটা গরু তাড়ানো ভাব। মনে হয় যেন ফিল্মটা জোরে ঘুরছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? ব্যাপারটা শিওর হবার জন্য আমি ঢুকলাম ‘ইউটিউব’ এ। সেখানে গিয়ে গতির পাশাপাশি আরোও কিছু ধারনা হলো। ছবির নাম, “আরমান”। নায়ক নায়িকা কাউকেই চিনি না। গানের কথা নিম্নরুপ:
“(নায়িকা) জানে না আব্বা, জানে না আম্মা
তুমি আমি বাইরে।।
(নায়ক) জানুক না আব্বা, জানুক না আম্মা
কোনও ক্ষতি নাই রে ... ... ”
যেমন গানের কথা, তেমন মানানসই বেপরোয়া কোরিওগ্রাফী! এতোক্ষন ধরে যে গতি আর ব্যায়ামের কথা বলেছি তার শতভাগ সার্থক চিত্রায়ন। গানের প্রথম দৃশ্যেই হোচট খাই বাংলাদেশী এক নায়িকার আফ্রীকান ফিগার দেখে! মনে মনে বললাম, আব্বা আম্মা জানলেও করার কি খুব বেশী কিছু ছিল? নায়িকার যে দসাসই শরীর, তাতে তার প্রেম ঠেকায় এরকম বুকের পাটা কারো হবার কথা নয়। গন্ধমাদন পর্বতের মতোন শরীর নিয়ে নায়িকা যখন লাফানো শুরু করলো তখন, টিভি পর্দা তো বটেই, গোটা দুনিয়া কেঁপে উঠলো। স্বয়ং নায়ককেও খুব একটা নায়িকার সাথে ঘষাঘষি করতে দেখলাম না; বরাবর পেছনে বা আশপাশে থেকেই তাল দিয়ে গেলো। সেধে সেধে এমন জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে কেইই বা ঝাঁপ দেয়! একদৃশ্যে বিশালবপু নায়িকা তুচ্ছাতিতুচ্ছ মাপের ব্লাউস পড়ে এসে নায়ককে জানালো,
“আজ হয় হোক না ভুল
স-ব ক-রবো কবুল
ফোটা-আ-ও প্রেমের মুকুল”
প্রেমের মুকুল ফোটানোর দৃশ্য আর দেখার সাহস হলো না। ইতিমধ্যে পুরো গান জুড়ে অপ্রমিত কায়দায় হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে আমার মধ্যে যথেষ্ট ভয় ঢুকে গেছে!! গানটির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, আগ্রহী মাত্র ঢুকে দেখবেন।ব্যায়ামের ব্যাপারে যাকিছু বলেছি সেটা একটুও বাড়িয়ে বলেছি কি না যাচাইয়ের সুযোগ রইলো।
http://youtube.com/watch?v=gLL85PUElWw&feature=related
ছয়
আমার কয়েকঘন্টার বাংলা সিনেমার গান চর্বনের নির্ঘন্ট রইলো আপনাদের সেবায়। পরিবর্তন, পরিবর্ধন - যেকোনও কিছুর ব্যাপারে স্বাগতম! শিমুলের মতোন পুরো ছবি দেখার সাহস আমার হয় নাই। তাই রিভিউটা শুধুই গানের।
১. বৃষ্টির দৃশ্যে নায়িকার পড়নের শাড়ির রং হবে ফিনফিনে সাদা, আনুষঙ্গিক বাকি জিনিস পত্রর রং হয় সাদা নয়তো কালো।
২. নায়িকা যতো জোরেই দৌড়াক নায়কের স্পিড তার চে বেশী হবে। ধরা পড়তেই হবে।
৩. গানের দৃশ্যে নায়ক-নায়িকাকে প্রথমবার যে পোষাকে দেখানো হবে, গানের একদম শেষে অবশ্যই অন্য পোষাকে দেখা যাবে।
৪. নাচের মূদ্রার ওপরে নায়িকার স্বাস্থ্যের কোনও প্রভাব থাকবে না; অর্থাৎ মোটা চিকন নির্বিশেষে সবাই নির্দিষ্ট এবং অত্যন্ত গতিশীল কতোগুলো মূদ্রায় নাচবে।
৫. দুঃখের গানের ক্ষেত্রে লিরিকস, চোখের পানি আর সেটের আগুণ (উৎস জানা যাবে না) ছাড়া আর কোনও কিছুই (যেমন মেক-আপ ইত্যাদি) পরিবর্তন হবে না।
৬. অন্তত একটা দৃশ্য থাকবে যেখানে নায়কের প্যান্ট, শার্ট, কোমরের বেল্ট, চশমা, হাতঘড়ি – এগুলো সবকিছুর রং সাদা হবে (আমার ধারণা এটা সব নায়কেরই পছন্দের একটি ব্যাপার)।
৭. নাচের দৃশ্য বন্ধ ঘরের ভেতরে হলেও কোনওখান দিয়ে ফুটো থাকায় প্রচুর বাতাসের ঝাপটা আসতে থাকবে। সেই বাতাসের সবচেয়ে নির্দয় টার্গেট হবে নায়িকার ওড়না বা স্কার্ট।
৮. সব নায়কের হাতেই কয়েকশো ভোল্টের কারেন্ট আছে। নায়িকাদের সাথে গানের দৃশ্যে এই ভোল্টেজ অবমুক্ত হয়।
৯. নাচের দৃশ্যে কখন কোন ঋতু চলছে এটার ধারণা নিতে হবে নায়কের পোষাক থেকে, নায়িকার পোষাক নয়। কারণ, নায়কের পোষাক-আষাক ঋতুনির্ভর হলেও নায়িকারটা পরিচালকের খায়েস নির্ভর।
মন্তব্য
জট্টিল পর্যবেক্ষণ
ABBA-র একটা গানে ছিলো DOES YOUR MOTHER KNOW THAT YOU'RE OUT?
আমার স্টকে বাংলাদেশী কোনও এক সিনেমার একটা গানের ভিডিও আছে। পেয়েছিলাম ওটা এক রুশ সাইটে, যেখানে লেখা ছিলো - "সেক্স: ইন্ডিয়ান স্টাইল"। ডাউনলোড করে দেখি, কিসের কী! ভিডিওটা রীতিমতো অশ্লীল। অতএব নিজ দায়িত্বে ডাউনলোড করুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমিতো ভাবছিলাম এডাল্ট কন্টেন্ট আছে বলে কবে না আবার এই বাংলা কাটপিসগুলো ইউটিউব থেকেই নামিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ!
কি যে অবস্থা! কিছুক্ষন ইউটিউবের "bangla movies" TAG এ অবস্থান আর সেইসব জায়গা ঘুরে আসার মধ্যে নীতিগত পার্থক্য কমই....
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
রীতিমত থিসিস রিপোর্ট!!! হা হা হা হা হা...
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"
হু, আধাঘন্টার থিসিস। আরোও দেখলে আরো লেখা সম্ভব। ওগুলো হচ্ছে অ-নির্মল হাসির খোরাক। আপনি বসে কিছুক্ষণ দেখেন; লেখার ফল্গুধারা বইতে থাকবে।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বিবরণটা খুব জীবন্ত হয়েছে। না দেখেও দেখা হয়ে গেলো। তবে একখান কথা, আপনার ধৈর্য অসীম না হলে এতোখানি দেখতেই পারতেন না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমি আমার মায়ের সাথে বাধ্য হয়েই মাঝে মধ্যে দেখতাম। ধৈর্য্যটা তখন থেকেই হয়েছে; আর এখন তো গবেষণার স্বার্থে কতোকিছুই করতে হয়
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
গুল্লি
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আর লজ্জা দিয়েন না। এ আর এমন কি।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভাইজান তো নস্টালজিক করে দিলেন...
কত দিন বাংলা সিনেমা দেখিনা... (
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
গাজীপুরে সিনেমা হল নাই নাকি মিয়াভাই?!
ঐ যে বর্ষণ নাকি ধ...ণ? ওগুলো হয়ে আসেন। কিংবা আনারকলি?!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
(বিপ্লব) এবং জাঝা ।
বিটিভির 'ছায়াছন্দ' প্রোগ্রামটা আমার ফেভারিট ছিল। রোববার রাত সাড়ে দশটায় দেখাতো। সর্বশেষ ছায়াছন্দ দেখছিলাম - 'পড়ে না চোখের পলক, কী তোমার রূপের ঝলক' গানটা দেখার জন্য। ঈদের ছায়াছন্দ ছিল।
তবে বাংলা সিনেমার আরেকটা গান জনপ্রিয় হয়েছিল খুব - "বন্ধুর দুইটা চোখ, যেনো দুই নালা বন্দুক। গুল্লি মাইরা ভাঙলো আমার মনেরই সিন্দুকরে, মনের সিন্দুক। সেই সিন্দুকের মধ্যে আছে - - -"। ছবির নাম - 'এই নিয়ে সংসার'।
হু ঠিক। ছায়াছন্দ দেখার টেকনিক্যাল প্রবলেম ছিল এই যে, বাড়ির বুয়া গোত্রের সবাই এসে ঐসময় টিভির সামনে ভীড় করে ফেলতো। আমার জায়গা কৈ বলেন?!
২নলা বন্দুক গানটা জটিল।
ভিডিওটা দেখছেন নাকি ভাই, লিঙ্ক দিলাম যে?
কি অসাধারণ কোরিওগ্রাফী খেয়াল করছেন?! এতো স্পিড আর কোনও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রীতে আছে বলে আমার মনে হয় না। বিশেষত ঐরকম আন্দেজ পর্বতমালার মতোন শরীর নিয়ে!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হা হা। ছায়াছন্দ। টাইটেল সংটা এরকম ছিলো - "গীতিকার লিখে গান, সুরকার দেয় সুর, শিল্পীর কন্ঠে সুর আর ছন্দে হয়ে ওঠে সুমধুর, ছা-য়া-ছ-ন্দ, ছা-য়া-ছ-ন্দ, ছা-য়া-ছ-ন্দ ।
ভিডিওটা এখনো দেখিনি। এই পিসিতে ভিডিও ব্লক আছে। বাসায় গিয়ে দেখবো, জানাবো।
ইউটিউব দেখলাম ভাই।
দেখিতে পাইয়াছি পর্বতমালা, দেখিতে পাইয়াছি গাভী,
বাংলা সিনেমা নিয়মিত দেখুন, এটাই আমাদের দাবী।
ইয়ে মানে, ভাই, দেশে কি চাল সস্তা এখন?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- চালের দাম যে বাড়ছে তার প্রমাণ দিলাম এইখানে।
নাহ, থাক দিমু না। কিমুন জানি লাগলো দেওনের পরে।
তার চাইতে লিংক দিয়া রাখি। যার মন চায় দেইখা লইয়েন
http://www.youtube.com/watch?v=rz7OGU9tMTg
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাউজুবিল্লাহ।
পোলাপাইনের বিয়া দেওন ফরজে আইন হয়্যে গেছে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
@ ধুসর আর সৌরভ
এটার মানে হলো, কেউ কেউ চাল পাচ্ছে, কেউ কেউ পাচ্ছে না।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
@ শিমুল
আপনি তো ফোরামে আগুন ছিটিয়ে দিলেন!! দেখছেন দেখছেন। কবিতা রচনার কি দরকার ছিল?!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
দারুণ উপমা!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সেটাই, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অতোসব করা কি সম্ভব?!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ছায়াছন্দ কিন্তু অনেক দৃশ্য সেন্সর করে দিত। যেখানে হয়ত ক্লোজ শট ছিল, সেখানে দেখা যাবে ফুল বা প্রজাপতি।
ওগুলো সেন্সর না, ওগুলারে বলে সিম্বোলিক শট!
হে হে !
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বর্ণনা এবং নয়টি অনুসিদ্ধান্তে (বিপ্লব) স্কোয়ার ! !
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব রহমান নিজেই যখন বিপ্লব দেন তখন ভালো লাগাটা অনেক বেশী হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বাংলা সিনেমা দেখার কিছু প্রিপারেশন আছে। লুংগি পরে, ক্ষয়ে যাওয়া স্পঞ্জের স্যান্ডেল, মুখে পান, পকেটে আকিজ বিড়ি আর হাতে একটা বাশী নিয়ে ঢুকে পড়া মফস্বলের কোন সিনেমা হলে। তারপর? মুহাহাহাহা...
যেইনা ক্যামেরাম্যানের চোখ উঁকিঝুঁকি দিবে জায়গামতো, লাফ দিয়ে সিটে উঠে বাশী ফুঁকতে থাকেন অনায়াসে। ব্যাপক মজা।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লিস্টের অধিকাংশ বস্তু আপাততঃ জোগড়ানো সম্ভব নয়। সেটা হলে আরেকটা বাঙলা সিনেমা দেখার রিস্ক নিয়েই ফেলতাম। তবে বেশ বুঝতে পারছি যে, ব্যাপারটা আপনি খুব কাছ থেকে অবলোকন করেছেন
বাঙলাদেশের হলে আমার শেষ ছবি ছিল, ব্রেভহার্ট। মধুমিতায়। এক কথায় অসাধারণ! ৪ বার কেঁদেছি রে ভাই।
তবে শিষ দেবার মতোন সীনও ছিল। বুঝতেই পারছেন কোন জায়গাগুলোতে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
- বাংলা সিনেমা হলে বসে দেখার মজাটাই হলো ঐভাবে।
আর ব্রেভহার্ট তো লুঙ্গি পরে দেখতে গিয়ে মজা পাবেন না। পান চিবিয়েও সুবিধা করতে পারবেন না। পঞ্চাশবারের বেশি হয়তো দেখে ফেলেছি, আবার পেলে আবারো দেখবো। কোন ছাড়াছাড়ি নাই। গাত্রে সূত্রহীন অংশগুলো দেখে ওখানে শীষ বাজালে লোকজন আপনাকে কিল-ঘুষি বখশিষ ও দিতে পারে।
কিন্তু পর্দাসহ সমগ্র হল কাঁপানো বাংলা ছবির নাচের দৃশ্যে আপনি মুক্ত এবং স্বাধীন। বিশ্বাস না হলে এ্যাপ্লাই করে দেইখেন। বিফলে পইসা ফেরত!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খালি বদ চিন্তা!
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
জটিল জটিল
আপনি স্টেট অব দ্যা আর্ট বাংলা টকি-দর্শক।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
গুল্লি
------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
@ সন্যাসী
আপনার লিংক পেয়ে পথমে ভেবেছিলাম, ভুতের মুখে রাম নাম! সন্যাসীর চোখে অশ্লীল???!!!!
ভিডিওটা দেখার পরে মনে হলো এই জিনিস! এই সংসারে আপনার মতোন সন্যাসীরেও ওরা থাকতে দেবে না!!!
@ বাকি সচল,
গ্রামের হুজুরদের মতোন বলি, ভাইসকল সন্যাসীর ঐ লিংকে কেউ যাইয়েন না। ওগুলান দেখাও পাপ! ছি! ছি! ছি! এ আমি কি দেখলাম। কেউ ভুলেও দেইখেন না (?) !!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বিজ্ঞাপনটা জব্বর হইছে! পাবলিক এখন ধুমাইয়া ডাউনলোড শুরু করছে, আমি নিশ্চিত।
ভাইরে, অ্যাভারেজ পুরুষের চিন্তাধারা আমার চিন্তাধারার চেয়ে কম অশ্লীল নয়। পার্থক্যটা শুধু এই যে, আমি তা প্রকাশ করতে খুব একটা শরম বোধ করি না। আর এই কারণেই, তলে তলে সবাই ইয়ে হলেও দোষ হয় সন্ন্যাসীর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মনে কষ্ট নিয়েন না ভাই। সেটা আমিও বুঝি। এতোকিছু বুছি আর এইটা বুঝুম না? আপনার সাথে মশ্করা করছি একটু।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আমার আগের মন্তব্যের শেষে ইমোটিকন বসিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলাম, মনে কষ্ট নিইনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নায়কনায়িকার সঙ্গমের দৃশ্য চিত্রায়ন নিয়ে আগে পরিচালকেরা খুব মুসিবতে থাকতেন। একটা ধামসী মেয়ের সাথে একটা দামড়া ছেলে প্রেম করবে নেচেকুঁদে, আরে সেখানেই থেমে যাবে, তা তো হতে পারে না। হতে পারলেও পাবলিক হতে দেবে না। দেখানো হতো, নায়িকার পাঁচ আঙুলের ফাঁকে নায়কের পাঁচ আঙুল। কিংবা, নায়িকা বালিশে মাথা রেখে নিমীলিত নয়নে অস্ফূট শব্দ করছে, ওদিকে নায়কের মাথা ফ্রেম থেকে আস্তে আস্তে নিচে নেমে যাচ্ছে। হুমহাম শব্দ হতো কিছু কিছু সিনেমায়। তারপরই বাগানের দৃশ্যায়ন। ফুলে ফুলে বাড়ি খাচ্ছে। অথবা গোবদা কোন ফুলের ওপর মানানসই একটি আনমনা পতঙ্গ।
স্থানকাল যা-ই হোক না কেন, পাত্রে পরিবর্তন এলেই সবকিছুতে গন্ডগোল। অর্থাৎ, এই পবিত্র কর্মটি ভিলেনকর্তৃক সম্পাদিত হলেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন। তখন বিছানার চাদর কুঁচকে যাবার দৃশ্য, নায়িকা (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপনায়িকা) ডানে বামে মাথা ঝাঁকাচ্ছে উন্মাদিনীর মতো, এর মাঝে ভিলেনের মহল্লাপ্রকম্পিত করে একটি ঠা ঠা রবে অট্টহাসি ... আর বিকল্প আউটডোরে তখন হর্টিকালচার বা এনটোমলজির পরিবর্তে মিটিয়োরোলজির ঘনঘটা, আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, সাইক্লোন হচ্ছে, সাগর ফুঁসে উঠছে, ইত্যাদি।
এখনকার পরিচালকেরা এই সিম্বলিক দৃশ্যায়নের ঘোরবিরোধী। বরং তাঁরা যাবতীয় রিসোর্স জড়ো করেন এই সঙ্গম/ধর্ষণ দৃশ্যকে ঘিরেই। বাংলা সিনেমা দেখলে মনে হয়, নায়িকার ওখানে নায়ক বা ভিলেনের কবলে পরে রতিভারাক্রান্ত হবার প্রয়োজনেই একটি দায়সারা কাহিনী কোনমতে বুড়ির ঘরের মতো দাঁড় করানো হয়েছে। কাহিনী কতটা বাস্তবানুগ, কোন হালের দর্শকও সে প্রশ্ন করে না যদি সিনেমাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্ষণ, সঙ্গম, নিদেন পক্ষে ক্যাবারে নাচ থাকে।
আমার জিজ্ঞাসা সেন্সরবোর্ডকে ঘিরে। বাংলাদেশে বোধ করি সিনেমার সার্টিফকেশন হয় না, হয় সেন্সরবোর্ড থেকে কিছু দৃশ্য বিসর্জন দিয়ে ছবি ফোঁকর গলে বেরোয় অথবা আটকা পড়ে যায়। কোন ছবির সম্ভাব্য দর্শকের বয়স কত হওয়া উচিত, এ নিয়ে কোন বক্তব্য যতদুর জানি সেন্সরবোর্ডের নেই। সঙ্গমের ব্যাপারে তাঁদের ম্যানিয়া ঈশ্বরের কাছাকাছি, কেউ কারো সাথে সিনেমায় সঙ্গম করছে, এটা দেখলেই তাঁরা শুধু প্রতিক্রিয়া দেখান। এই কাজটি যে তাঁরা ঠিকমতো করছেন, এমন কোন নজির আমরা মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলিতে দেখি না। তবে বড় মায়া লাগে বেচারাদের জন্য, বাংলা সিনেমা একটা দেখলেই চিরকেলে মাইগ্রেন (হাবিব মহাজন স্মর্তব্য) ঘটা স্বাভাবিক, আর এঁরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, অখাদ্য কুখাদ্য সব গিলেই চলছেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনেকদিন পরে আমার লেখার ল্যাজ ধরে আপনাকে পেলাম।
কথা ঠিক। ভালো ছবির দর্শক নেই সেটা সর্বৈব মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে। আর ভালো ছবি করতে কাড়ি কাড়ি টাকা লাগে তাওও একটা আঙশিক সত্য। সুতরাঙ সেরকম ছবি তৈরি না হওয়ার আসল অজুহাত নিশ্চই এতোদিন ভুলভাবে দেওয়া হতো।
আশা করি নতুন প্রজন্ম যেভাবে ফিল্ম তৈরিতে ঝুঁকছে, তাতে অচিরেই একটা বিপ্লব সূচিত হবে।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনাকেই কানে কানে বলি সিনেমায়তনের কথা, আর কাউকে বলবেন না, ঘুণাক্ষরেও না ...।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বেতারায়তন, খাদকায়তনের খবর কী?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কাউকে বলবো না। কিন্তু সন্যাসী তো শুনে ফেললো!
নায়িকা জোগাড়ের কাজটা কাকে দিবেন?
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
- আমার কিন্তু এটাই সবথেকে ভাল লাগল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি কৃতজ্ঞ!
পশ্চিম বাংলার সিনেমাতেও এগুলো মিলবে বলেই আমার ধারণা।
আমি বেশ কিছু দেখেছি যেগুলোর অধিকাংশই উত্তম আর সূচিত্রা যুগের। সেসময়ের ছবিগুলোর ব্যাপারে আমি কোনও তীর্যক মন্তব্য করি না। যেমন করি না রাজ্জাক-কবরী-ববিতা এদের সময়ের ছবিগুলো নিয়ে।
আমার মতে ইদানীং কালে ছবিগুলো ২ বাংলাতেই মান হারিয়েছে। অথচ পাশাপাশি বম্বের ফিল্মের মান উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হাহাহাহা দারুন লাগলো। বাবা মা র পাশে বসে লাপটোপ এ পরছিলাম আপনার লেখাটা আর টিভিতে সিরিয়স নাটক দেখছিলাম। এমন সিরিয়াস নাটকে হটাৎআমার হাসিতে তারা জানতে চাইল কি এমন পরছি তাই তাদের ও দেখালাম আপনার লেখা। খুব মজা লাগলো বর্ননা গুলো পরে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ওনাদের নাটকের মুডটাতো দিলেন নষ্ট করে ... ...!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
কী লিখলেন ভাই, এই মধ্যরাতে হাসি থামাতেই পারছি না
আজকে অ-নে-কদিন পর 'মায়ের দোয়া' নামে এক বাংলা সিনেমার কিয়দংশ দেখে ফেললাম, আলমগীর-শাবানা জুটির।
দুই ভিলেন ঢিশুম ঢিশুম গুলি করে, আলমগীর কাতরায় তবে আহত হয় না। কারণ শার্টের নিচে তার বুকে দড়ি দিয়ে ঝোলানো আছে ফ্রেমে বাঁধানো, কাপড়ে সুঁই -সুতা দিয়ে লেখা মায়ের দোয়া।
বোঝেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মায়ের দোয়া -মুভিটা একবার দেখেছি। জীবনে ভোলা সম্ভব না।
-সো
This video is unavailable.
ভিডিউটা দেখতে পারলাম না। আফসোস।
একটানে সবগুলা লেখা পড়লাম আপনার। হাসতে হাসতে দম শেষ হয়ে গেছে। ও মাই গড।
-সো
নতুন মন্তব্য করুন