আমাদের স্বাধীন বাংলার পতাকার মূল ডিজাইনার হিসেবে আমরা পটুয়া কামরুল হাসানকে জানি। কিন্তু,
আমাদেরসময়ের গতবছরের একটা রিপোর্টে (ডিসেম্বর ১৮, ২০০৭) এই তথ্যকে বিকৃত বলে উল্লেখ করে মূল ডিজাইনার হিসেবে শিবনারায়ণ দাশকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রিপোর্টটি পড়ে জানা গেল ইতিহাসের অনেক অজানা কথাই। এই পোস্টটির মূল কারণ রাগিব ভাইকে তথ্যটা জানানো যেন উনি বিষয়টা বাংলা উইকীতে নিয়ে আসতে পারেন। সন্দেহ নাই, বাংলায় আমাদের তথ্য সংগ্রামের একজন অগ্রপথিক তিনি । মন্তব্য করেই ক্ষান্ত থাকতাম, কিন্তু সেক্ষেত্রে আরোও অনেকে বিয়ষয়টা জানা থেকে বিরত থাকতে পারতো। তাই ছোট্ট করে এই পোস্ট।
লিঙ্কটি পাবেন এখানে।
- হ্যাটস অফ মানিক ভাই।
এই পেইজটা এভাবে ভচকে গেছে কেনো?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ধন্যবাদ দিয়ে আপনাদের কাউকে ছোট করতে চাইছি না।
অনেকগুলো উপদেশই গ্রহনযোগ্য।
রাজনৈতিক নেতাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। তথাপি বিষয়টা থেকে যেহেতূ তেমন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সম্ভাবনা কম বা নেই (কারণ আলোচিত ২জনের কেউই সক্রিয় রাজনীতি করতেন না বা করেন না), সুতরাং রাজনীতিকদের স্মৃতি যদি সহায়তা করে, তাহলে তারা নিশ্চই অনেক বড় সাহায্য করতে পারবেন এ বিষয়ে।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
দৈনিক আমাদের সময় এর রিপোর্টে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের নাম আছে। তাঁরা কি এ ব্যাপারটা খোলাসা করতে সাহায্য করবেন ? নাকি নয়া অজুহাত পেয়ে নুতন করে কাদা ছোঁড়ার খেলায় মেতে উঠবেন ?
গোলন্দাজ
হাসানুল হক ইনুকে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে
দেখা যাক তিনি কী বলেন?
এই পেইজটা এভাবে ভচকে গেছে কেনো
সে টা ত' আমারও প্রশ্ন।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই পেইজটির এই অবস্থা কেন? এই পেইজটির যিনি ডিজাইন করেছিলেন, তিনি কোথায়?
-------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মন্তব্য
দরকারি পোস্ট। ধন্যবাদ।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ্যা দরকারটা রাগিব উস্কে দিলেন। আমি ধন্যবাদটা ওনাকেও ভাগ করে দিলাম।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বিনীত ভাবে জানাচ্ছি যে , এ বিষয়ে আমি সচলায়তনে লিখেছিলাম এবং আমার লেখায় পতাকা পরিকল্পানার সাথে সংশ্লিষ্ট হেলালুর রহমান চিশতী’র কথাও উল্লেখ করেছিলাম যার কথা আমাদের সময়ের রিপোর্টে নেই । লেখাটার লিঙ্ক হলঃ
[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/11339[/url]
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানচিত্রসহ বাংলাদেশের পতাকার প্রথম ডিজাইনার কামরুল হাসান নন, ওটি শিবনারায়ণ দাসের করা। এ বিষয়ে অনেক আগে একটি লেখা কোথাও পড়েছিলাম, তবে আমার কাছে নেই। ওই লেখায় উল্লেখ ছিলো পতাকাটির নকশা জহুরুল হক হলে (তখনকার ইকবাল হল) করা হয়েছিলো এবং সেলাই করে পতাকা প্রস্তুত হয়েছিলো নিউ মার্কেট-বলাকা এলাকার একটি দর্জির দোকান থেকে।
স্বাধীনতার পরে মানচিত্র বাদ দিয়ে চূড়ান্ত নকশাটি সম্ভবত কামরুল হাসান করেন।
জালাল ভাই হয়তো তাঁর ভাণ্ডার খুঁজে প্রামাণ্য কিছু দিতে পারবেন। নাহলে অন্যত্র চেষ্টা করা যাবে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সাধুবাদ।
এগিয়ে চলুক ইতিহাসকে ত্রুটিহীন করে তোলার এ চেষ্টা।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মুহাম্মদ জুবায়ের ভাইয়ের জানা এর সাথে আমার জানা মিলিয়ে নেই।
স্বাধিন বাংলার পতাকার উদোক্তা এক কথায় ছাত্রলীগ এর সিরাজুল আলম খান (কাপালিক বলে পরিচিত ) নেতৃত্বাধীন ‘স্বাধিন বাংলা নিউক্লিয়াস’ ।৭০’ সালের ৭ ই জুন ঢাবি ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) ১১৮ নং কক্ষে (আস ম রবের রুম ) পতাকার পরিকল্পনা করা হয় । পরিকল্পনা সাথে জড়িতদের মধ্যে রব, সিরাজ, ইনু এখনও জীবিত আছেন । হেলাল মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। কাজী আরেফ আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৯০’র দশকে ।
। পতাকার পরিকল্পনার সাথে জড়িত কেউ অংকন করতে জানতো না বিধায় কুমিল্লার ছাত্রলীগ সেক্রেটারী শিবনারায়ান দাশ কে ঢাকায় আনা হয় । পতাকার কাঠামো সর্বসম্মত ভাবে ঠিক করা হয় আর অংকন করেন শিবনারায়ান ।
নীলক্ষেতের একটি টেইলার্স (নাম মনে পড়ছে না ) হোসেন , নাসিরুল্লাহ আর খালেক নির্দেশ মত পতাকা তৈরি করে দেন ।
৭০ সালের ৮ই জুন রেসকৌয়ার্স ময়দানে জনসভায় ডাকসু ভিপি আ স ম রব পতাকাটি বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন ।অবশ্য এর আগেই পতাকা নিয়ে শহর প্রদক্ষিন করে জয়বাংলা বাহিনী ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
জুবায়ের ভাই,
এটা ঠিক, পরে,
সম্ভবত না,উনি ই করেন,সরকারি ভাবে অনুমোদন করা হয়।
অনেকটা ইউ এস এ'র বিহাইনড দি গলপের মতো।
====
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
- আমার স্মৃতি ইদানিং ভয়ানক ভাবে বিট্রে করছে। পটুয়া কামরুল হাসান কি এখনো জীবিত? যদি জীবিত হোন তাহলে শিব নারায়ন দাশ এবং কামরুল হাসান, দু'জনের সঙ্গে কথা বলেও ব্যাপারটা পরিষ্কার ফেলা যায়।
পরিষ্কার এজন্য বলছি যে, আমরা এ যুগের সবাই জেনে এসেছি পটুয়া কামরুল হাসানের কথা। আমাদের প্রকৃত ঘটনা যেমন জানা উচিৎ তেমনি আমাদের পরবর্তী জেনারেশন যেনো সঠিক তথ্যই জেনে বড় হয়, সে চেষ্টাটাও এখনি করে ফেলা উচিৎ।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পটুয়া কামরুল হাসান জীবিত নন।
]
সে চেষ্টাটা করছে জালাল ভাই, জুবায়ের ভাই আর এই অধম।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)