কিছু কিছু বাস ড্রাইভার আছেন যারা যাত্রী সাধারনকে মালামাল জ্ঞান করে গাড়ি চালান। ঢাকায় থাকতে এ রকম বাসে ওঠার অভিজ্ঞতা আমার পর্যাপ্ত পরিমানে হয়েছে। ঐসব ড্রাইভার ভাইদের রাস্তার দিকে তাকানো থেকে শুরু করে ব্রেক চাপা বা স্টিয়ারিং ঘুরানো – সবটার মধ্যেই একটা তেজী ভাব লক্ষ্য করা যায় যেটা যাত্রীবাহী একটা বাস চালানোর জন্য আদৌ কোনও দরকারী গুণাবলীর মধ্যে পরে না। শুনেছিলাম, দেশের উত্তরাঞ্চলে ফসলের ফলন ভালো না হলে নাকি ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এইরকম সমীকরণেরও যে ভিত্তি থাকতে পারে সেটা জেনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন। কিন্তু ব্যাখ্যাটা সহজ। ফসলের ফলন কমে গেলে ট্রাক ড্রাইভার ভাইয়েরা জীবিকার তাগিদে ট্রাক রেখে পাবলিক বাস চালানো শুরু করে দেন! এর অবধারিত ফলস্বরুপ চালকের মাথায় চট করে এটা আসে না যে, গাড়িতে যারা আছেন তারা ধান/চাল বা আলু-পটলের মতোন নিষ্প্রান পদার্থ নয়, বরং প্রান এবং অনুভূতি সম্পন্ন প্রাণীকুল! এই শ্রেনীর চালকগন শেষ স্টপেজ ছাড়া কখনোই গাড়ি পুরোপুরি থামাতে চায় না। উঠা এবং নামা – দুইটাই যাত্রীদের করতে হয় দৌড়ের উপরে। এরও কিছু নিয়মকানুন আছে, যেমন বাম পা আগে ফেলে নামা এবং তারপরে বটগাছের মতোন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার অপচেষ্টা না করে উড়োজাহাজের মতোন খানিকটা দৌড়ে ধীরে ধীরে গতিকে নিয়ন্ত্রনে আনা ইত্যাদি।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যার যেটা ক্ষেত্র সেটা ছেড়ে আরেকটা করতে গেলে বিপত্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। ক্রিকেটে যখন বাংলাদেশ খারাপ করে তখন আমার প্রায়ই মনে হয় যে, দেশে ফুটবলের মড়ক লাগাতে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলারই হয়তো বল ফেলে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করছেন। এই জন্য সমস্যাও কম হচ্ছে না! বড় বলের অভিজ্ঞতা ছোট বলে ঠিকমতোন প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। একই সূত্র প্রযোজ্য শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রেও। বিয়ের ভিডিও করে যারা অভ্যস্ত, তারা যদি হুট করে টিভির নাটক বা বিজ্ঞাপনে হাত দেয় তাহলেও পরিণতি খুব ভালো হবার কারণ দেখি না। আমার নিজের এবং বন্ধুবান্ধবদের ২/৩ খানা বিয়ের ভিডিও দেখেই আমি এই অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কিন্তু সেগুলোর সংখ্যা নগণ্য।
আমার বিবাহের সময় দূর সম্পর্কের এক মামা প্রস্তাব দিলেন যে, তিনি যাবতীয় মাল্টিমিডিয়ার দায়দায়িত্ব নিতে চান। মামাকে অনেক বলে কয়েও নিবৃত করা গেল না। নিবৃত করার কারণ, ঐ মামা ‘বারডেম’ এর অফিসিয়াল ক্যামেরাম্যান। ঐখানকার রোগীদের নাঁড়িভুড়ির ছবি তোলাই তার কাজ। সুতরাং মামার স্টকে দামী দামী ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো দিয়ে শিল্পচর্চা যে খুব একটা হয়না সেটা বলাই বাহুল্য। সেটা ভেবেই মামাকে বললাম,
: মামা আপনি তাইলে আমাকে ভিডিওর একটা অরিজিন্যাল কপি দিয়েন।
মামা রাজী হলেন।
যাহোক বিয়ের বেশ কিছুদিন পরে সেই মামা একদিন আকন্ঠ উত্তেজনা নিয়ে বাসায় আসলেন। উত্তেজনার কারণ বলাবাহুল্য আমাদের বিয়ের ভিডিও। সেটা নাকি তার এযাবৎ কালের অন্যতম সেরা সৃষ্টি হয়েছে! এটা দেখে সেই সকল অর্বাচীনদের নাকি উচিৎ শিক্ষা হবে যারা মামা’কে বাদ দিয়ে অন্য লোক দিয়ে ভিডিও করায়! এই ধরণের পূর্বাভাস শুনে সবাই একরকম খাওয়া দাওয়া ফেলে তরিঘরি ভিডিও দেখতে বসে গেলাম।
শুরুতেই X-Files এর সাউন্ডট্র্যাক আর সাথে মহাকাশের অজস্র তারকা-মন্ডলীর দৃশ্য দেখে আশঙ্কা হচ্ছিল যে, ভুল করে ‘Star treck: the next generation’ এর সিডি দিয়ে গেল কি না! তবে খানিক পরেই স্ক্রীণে নিজেদের নামধাম, বংশ পরিচয় ফুটে ওঠায় সেই আশঙ্কা দ্রবীভূত হলো। পুরো সিডির কন্টেন্টকে দুইপর্বে দেখানো হলো। প্রথম পর্বে অনুষ্ঠানের কতোগুলো স্টিল ছবি দিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট টাইপের প্রেজেন্টেশন তৈরি করা হয়েছে, আর দ্বিতীয় পর্বে ভিডিও।
বিয়ে, রঙ, খুশী, আনন্দ এইসব KeyWord দিয়ে গুগলে বাংলা/হিন্দি গান সার্চ করলে প্রথম দুই পৃষ্ঠায় যা যা গান আসবে, তার সবই একে একে বাজতে শুরু করলো। সাথে স্টিল ছবির স্লাইড শো। এক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ছবিগুলোর আগমন এবং অন্তর্ধান - ইংরেজীতে যাকে ‘Transition Effects’ বলা হয়। ঐ ইফেক্টসগুলো দেখে ধারণা করলাম, মামা হয়তো বাজারের কমার্শিয়াল কোনও ভিডিও-এডিটিং সফটওয়্যারের বিটা-টেস্টিং এর দায়িত্ব নিয়েছেন। সেটা ধরে নিলে অন্ততঃ প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে যাবতীয় প্লাগ-ইনস আর স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করার একটা ব্যাক্ষ্যা পাওয়া যায়!
মুহুর্মুহু এনিমেশন আর স্পেশাল ইফেক্টের ছড়াছড়ি! কোনও একটা ছবিই সহজ সরল পথে স্ক্রীণে আসছে না; যাচ্ছেও না। ঘুরে ফিরে, নেচে-কুঁদে, তিড়িং বিড়িং করে আসছে। আমি ইফেক্টসগুলোর নিখুঁত বর্ণনা দিতে পারবো না, তবে দেখার সময় সেগুলোর কিছু কিছুর নাম চট করেই মাথায় এসেছে। এখানে সেই নামগুলোর কতক আউড়ে যেতে চাই। পাঠকের অনুধাবনের পক্ষে এটুকুই যথেষ্ট হবে বলে আশা করছি।
প্রথমেই বলা যায়, ‘পতাকা ইফেক্ট’-র কথা। একটা ছবি স্ক্রীণে আসে, তারপর আরেকটা আসে। তারপর আরেকটা। ৪/৫ টা ছবি এভাবে এসে স্তুপীকৃত হবার পরে শুরু হয় অন্তর্ধানের পালা -- একেকটা ছবি একেকটা পতাকার রুপ ধারণ করে পতপত করে উড়তে উড়তে চলে যায়।
এরপরে উল্লেখ করা যায়, ‘পথহারা ইফেক্ট’ - এই ইফেক্টে একেকটা ছবি প্রথমতঃ স্ক্রীণে এসে ফিরে যাবার পথ হারিয়ে ফেলে। ফলে খানিক সময় মনিটরের এদিক ওদিক ঘুড়াঘুড়ি করে তারপরে পথ খুঁজে পেয়ে স্ক্রীণ ত্যাগ করে।
আরোও আছে। এই মুহুর্তে মনে পরছে ‘জুয়েল আইচ’ ইফেক্টের কথা। এই ইফেক্টে একেকটা ছবিকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর আবার জোড়া লাগিয়ে পর্দা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। জুয়েল আইচের অনেক যাদূতেই দেখা যায় জিনিসপত্র এর ওর পকেট থেকে চোখের নিমিষে অন্য কারো পকেটে চালান হয়ে যায়। এই থিমের ওপরেও কিছু ইফেক্ট দেখলাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের একটা ছবি প্রথমে অজ্ঞাত কারণে ছিঁড়ে দুই টুকরো হলো। পরের ফ্রেমে একটা গ্রুপ ছবিতে আমার বাবা আর শ্বশুর দাঁড়ানো ছিলেন -- আগের ফ্রেমে দুই টুকরো হওয়া ছবিটার এক টুকরো উড়ে গিয়ে আমার বাবার পকেটে আর আরেক টুকরো আমার শ্বশুড়ের পকেটে ঢুকে গেল! এহেন যাদূকরী দৃশ্যের পরেই এদেরকে জুয়েল আইচ ইফেক্ট নাম দিয়েছি!
আরোও আছে লোডশেডিং ইফেক্ট। পরিস্কার ঝকঝকে একটা ছবি হঠাৎ করেই অন্ধকার হয়ে যাবে, আবার ঝকঝকে হয়ে উঠবে!
আমার ফেবারিট ইফেক্টটা হলো, আনারস ইফেক্ট। এইখানে দেখা যাবে, একেকটা ছবি পর্দায় এসে প্রথমতঃ কার্পেট গুটানোর ভঙ্গীতে রোল তৈরি করবে। এরপরে একটা অদৃশ্য ছুরি দিয়ে সেই রোলকে আনারসের মতোন ফালি ফালি করা হবে।
সবগুলো ইফেক্টের বর্ণনা দিয়ে অহেতুক এই লেখাটিকে দীর্ঘায়িত করছি না। দ্বিতীয় পর্বে চলে যাই। সেটা অডিও-ভিডিও। এই পর্বের সবচেয়ে অসহনীয় বিষয় হচ্ছে বিরক্তিকর রকমের প্রাসঙ্গিক সব গান! প্রাসঙ্গিকতা জিনিসটা কতোখানি বোরিং হতে পারে, সেটা উদাহরণ দিলেই পরিস্কার হয়ে যাবে।
এক দৃশ্যে আমার স্ত্রীকে দেখানো হচ্ছে – সাজুগুজু করে স্টেজে বসা। প্রথানুযায়ী ক্যামেরা-ম্যানের সাথে সহকারী হিসেবে একজন লোক থাকে আলোকসম্পাত করার জন্য। সেই লোকের কাজ হলো, হাবিয়া দোজখের মতোন গরম একটা লাইট নিয়ে অবজেক্টের ওপর আলোক-ক্ষেপনের নামে তাকে মূলতঃ বার-বি-কিউ করা! সেই লাইটের হলুদ আলোর মধ্যে বিচলিত আমার স্ত্রীকে দেখা গেল হাসার চেষ্টা করছে। একই দৃশ্যে আমার একটা স্টিল ছবিকে সাইক্লোনের মতোন ঘুরপাক দিয়ে ওর চোখের ভেতরে ফেলে দেয়া হলো! একবার নয়, বেশ কয়েকবার – লুপ করে সেই দৃশ্য দেখানো হলো। ঘুর্ণিঝরের এই মাতমের মধ্যে শুনলাম ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, “… … তুমি আমার জীবনের ফোটা ফুল”-- বলামাত্র আর দেরী নাই, আমার স্ত্রীর চেহারা ফেইড করে দেওয়া হলো। উপর দিয়ে জলছাপের মতোন ভেসে উঠলো এক বাগানের দৃশ্য – মোশন ক্যাপচারের মাধ্যমে একটা কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটার পুরো দৃশ্য দেখানো হলো দর্শককে! ৬০ এর দশকের বাংলা সিনেমায় রোমান্টিক গানের দৃশ্যে এরকম ফুল ফোটার অন্ততঃ ৫/৬ টা শট থাকতো যেখানে পরিচালকরা সকল চুমুর দৃশ্যকে ফুল দ্বারা প্রতিস্থাপন করতেন। নায়ক-নায়িকা ‘চুমু দেব দেব’ অবস্থায় পৌছালেই দৃশ্য কাট! পাত্রপাত্রীর জায়গায় চলে আসবে ফুল-লতা-পাতা। একটা ফুল আরেকটা ফুলের সাথে গিয়ে বিশ্রীভাবে ধাক্কা খাবে! কিংবা নায়িকা খাবলা দিয়ে ঘাস উপড়ে ফেলে দেবে, কিংবা -- একটু সাহসী পরিচালকগন জামা-কাপড় খামচা-খামচির দৃশ্য দেখাবেন। তবে, এগুলোর যেকোনওটার চেয়ে দৃশ্যটি ডাইরেক্ট দেখানো যে উত্তম ছিল, সেটা কে বোঝাবে কাকে!
পুরো সিডিটাই মামার এই ধরণের ক্ষ্যাপাটে শৈল্পিকতায় ভরপুর। এক নাগারে বেশিক্ষণ হজম করা কষ্টকর! উপরন্তু আরো দশটা বিয়ের ভিডিওর মতোন গতানুগতিক এবং অমানুষিক খাওয়া-দাওয়ার দৃশ্য তো ছিলই!
ট্রাক ড্রাইভারকে দিয়ে বাস চালানোর যে উপমাটা শুরুতে দিয়েছি সেটার ধারণাটা এখান থেকেই পাওয়া। আমার ধারণা, এই শ্রেণীর ভিডিও-এডিটরদের চুরান্ত লক্ষ্য থাকে ভবিষ্যতে একটা প্রযোজনা সংস্থা খোলার। তারা যখন সেই লক্ষ্যে সফলতা অর্জন করেন তখনই আমরা কিছু বিরল (!) নাটক আর বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ পাই।
আজকাল টিভিতে কিছু নাটক আর বিজ্ঞাপন দেখে চট করেই মনে হয়, ক্যামেরার পেছনে বা পরিচালনায় যিনি ছিলেন তিনি হয়তো নাটক বানানোর আগে বিয়ে আর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে হাত পাকিয়েছেন! ‘ওয়ালটন’ কোম্পানীর যাবতীয় বিজ্ঞাপন এই গোত্রের। এই কোম্পানীর জেনারেটর, ডিভিডি আর এনার্জি সেভিং বাতির বিজ্ঞাপন বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে দেখানো হয়। ‘ওয়ালটন ইন্সট্যান্ট পাওয়ার জেনারেটর’ বলে একটা পণ্যের বিজ্ঞাপনে সেদিন দেখলাম, দুইজন তরুণী পারলে জেনারেটর মাথায় তুলে নাচে। জিনিসটার উপকারীতা বোঝানোর জন্য ঐরকম হাই টোম্পো-নাচের প্রয়োজনীয়তা কি, সেটা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব হলো না। উপরন্তু, দুই তরুণীর একজনকে দেখেও মনে হলো না যে, জিনিসটা ওদের খুব কাজে লাগে। জেনারেটরের চেয়ে ৩/৪ কৌটা পাউডার বা ফেয়ার এন্ড লাভলি পেলে যে ওরা আরো বর্তে যেতো সেকথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কারণ, জেনারেটরের বিজ্ঞাপন হলে হবে কি, মেকআপ পুরোপুরি ঢালিউড-সিনেমার উপযোগী!
আমি জানতাম না যে, ওয়ালটন কোম্পানীর প্রতিটি বিজ্ঞাপনই এরকম ভয়াল দৃশ্যে ভরপুর! ধারণাটা হলো ওদের আরো কয়েকটা বিজ্ঞাপন দেখে। পণ্যের নাম ‘ওয়ালটন ডিভিডি প্লেয়ার’। পণ্যের নাম শুনেই বোধ করি বুঝতে পারছেন, যারা জেনারেটরের মতোন নিরস পণ্যের বিজ্ঞাপনে তরুনীর নাচ দেখিয়েছে, তারা ডিভিডি প্লেয়ার হাতে পেলে কিরকম ভয়ঙ্কর ক্ষেপে উঠতে পারেন! আদতে হলোও তাই। এখানেও একজন তরুণীকে নিয়ে পরপর কয়েকটা দৃশ্য দেখানো হলো যার প্রত্যেকটিতে ঐ তরুণী নাচের নামে হাইজাম্পের ভঙ্গীতে বিভিন্ন উচ্চতায় লাফিয়ে লাফিয়ে গান গাইলো। ওয়ালটন ডিভিডি প্লেয়ারের সঙ্গে রিমোট কন্ট্রোল থাকায় বিজ্ঞাপন পরিচালকের আনন্দই যে সবচেয়ে বেশী, সেটাও টের পাওয়া গেল – রিমোট নিয়ে তরুণীর উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গীটা ছিলো অনেকটা ওয়াটার-গান নিয়ে ছেলেপুলেদের পানি ছিটানোর আনন্দের মতোন!
এগুলো ছাড়াও ওয়ালটন টিভি, ফ্রিজ বা এনার্জী সেভিং বাতি – কোনটার নাম নেবো?! কেউ কারো চে কম নয়। সবগুলো বিজ্ঞাপনেই চিন্তার দৈন্যতাকে নাচ-গান দিয়ে ভরে দেবার কৌশলটা প্রকটভাবে ব্যর্থ হয়েছে নির্মানের দূর্বলতার কারণে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, ইদানীংকালে বাংলাদেশে টিভি বিজ্ঞাপনে একটা বিপ্লব সূচিত হয়েছে। প্রচুর ভালো ভালো বিজ্ঞাপন দেখে রুচিই বদলে গেল কি না জানি না, কিন্তু আজকাল অনেক বিজ্ঞাপন দেখেই হজম করতে পারি না।
শরীফ মেলামাইনও এই প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে নেই। শরীফ মেলামাইনের একটা পণ্য ‘আলপনা’র কথা এই মুহুর্তে মনে পরছে। বিজ্ঞাপনী শ্লোগানটা হলো (সম্ভবতঃ), “আলপনা -– যেন শিল্পীর হাতের ছোঁয়া”। প্রথম দৃশ্যে দুই মহিলা সাংসারিক আলাপচারিতায় মগ্ন। এদের একজন প্লেট গ্লাসের চেহারা এবং মান – দুটো নিয়েই উদ্বিগ্ন। আরেকজন তখন তার উদ্বেগ দূর করতে ‘আলপনা’র খোঁজ দিল। যদিও আমার আশঙ্কা হচ্ছিল, এই বুঝি মহিলা আঁচলের চিপা থেকে ২/১ পিস কাপ-পিরিচ বের করে বলবে: “চিন্তা কি? এই নাও আলপনা”! তবে সেরকম কিছু ঘটলো না। আলপনা’র সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত সেই দ্বিতীয় মহিলা জানালো,
: পাগলের মতোন রঙ দিয়ে আঁকা-ঝুকা করলেই আলপনা হয় না, আলপনা’র জন্য চাই শিল্পীর মন!
বলাবাহুল্য, এই কথা বলার সময় ডায়লগ অনুযায়ী দৃশ্য পরিবর্তিত হতে থাকলো - পাগলের প্রসঙ্গ আসামাত্র দৃশ্য বদলে দেখা গেল, একজন বৃদ্ধ পাগল দেয়ালে লাফিয়ে লাফিয়ে আঁকিবুকি করছেন। আবার ‘শিল্পীর মন’ বলা মাত্রই দৃশ্য বদলে দেখা গেল একজন ভদ্রলোক ধীরে সুস্থে ঠান্ডা মাথায় ক্যানভাসে তুলির আঁচড় টানছেন। কথার সাথে দৃশ্যের এইরকম মিল বোধ করি কোনও ডকুমেন্টরীতেও পাওয়া যাবে না! অনেকটা আমার বিয়ের ‘ফোটা ফুল’ –র মতোই আক্ষরিক এবং নিরেট প্রাসঙ্গিক!
শেষ করছি আরেকটা বিজ্ঞাপন দিয়ে। কোম্পানীর নাম ‘জেমস স্টোনস এন্ড জেমস জুয়েলার্স’। এদের কাজ হচ্ছে নানান রকমের ভাগ্য পরিবর্তক পাথর বিক্রি করা। এই বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
পুকুরের ধারে এক তরুণী ষন্ডামার্কা, বাবড়ী চুলের এক যুবককে বলছে,
: তোমার কি হয়েছে?
: জীবনে কিছুই হলো না... ! কপালটাই খারাপ! (যুবক চিন্তিত মুখে জানালো)
আর যায় কই! সাথে সাথে তরুণী চিৎকার দিয়ে গান ধরলো,
জীবনের রং বদলে যাবে
ব্যাবসায় উন্নতি হবে
চলে যাবে মনের হতাশা
পাবে পিয়ার ভালোবাসা
যদি করো খাটি পাথর ব্যবহার .... ... !!
বিদেশ থেকে আমদানীকৃত প্রতিষ্ঠান
জেমস জুয়েলারী এন্ড জেমস স্টোনস!!
এই বিজ্ঞাপন নিয়ে মন্তব্যের ভার আপনাতের হাতেই তুলে দিলাম।
মন্তব্য
লুৎফুল আরেফীন - আমি আপনার নামে antidepressant বাজারে ছাড়বো - এর চাইতে বড় কোন 'পুরস্কার'এর কথা এই মূহুর্তে মাথায় আসছে না। আপনি এদ্দিন কোথায় ঘাপ্টি মেরে ছিলেন দাদা?? হাস্যরসের অভাবে দেখুন গিয়ে পৃথিবী জুড়ে ক্ষিপ্ত মানুষ জন কি সব মারামারি করছে !
এত, এতও, এত্তো মজার একটা লেখার জন্য - ধন্যবাদ !!!
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা!
ছেড়ে দেন। এতো এতো গবেষণা করতেছি, কিন্তু প্যাটেন্ট বের করতে পারলাম না আজও, আফসোস!
ঘাপটি মেরে ছিলাম না, মৃদূল, হিমু এদেরকে অনেক আগেই কৈফিয়ত দিয়েছিলাম যে, ব্যস্ত আছি।
আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে সবচেয়ে আনন্দ কিন্তু আমারই হয়
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনার কী হইসে? আপনি কাজকাম ফেলে এগুলি ক্যান দ্যাখেন ???
গল্পকবিতাসিনেমাগানের রিভিউ করে অনেকেই, কিন্তু বিজ্ঞাপনের রিভিউ আপনার হাতেই বর্গা দেয়া হোক, জনতার মঞ্চে এই দাবি জানাই। প্রত্যেক রবিবার অন্তত একটা করে চলুক এই জিনিস।
এই পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো হেনোলাক্স কমপ্লেকশন ক্রিম আর তাসমেরি ফেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের কথা। কী একটা ভয়াল সময় যে আমরা পার করে এসেছি!
হাঁটুপানির জলদস্যু
হু দেখিই তো। বাসায় আসলেই হাতে গোণা গুটিকতক বিনোদনের একটি হলো দেশী টিভি
আপনার দাবীটি রক্ষা করা বড়ই কঠিন, তথাপি ইচ্ছে তো আমারও হয় যে, এই বিজ্ঞাপন গুলারে পচাই
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ইয়ে, আমারও একটা দাবী আছে - আপনি বিভিন্ন জিনিষের নামকরণ করাটাও চালু রাখুন। আপনার দেয়া নামগুলো পড়ে আপনার বিয়ের ভিডিও শটগুলো একদম চোখের সামনে দেখতে পেলাম - আপনাকে বা আপনাদের চতুর্দশ পুরুষের কাউকে কোনদিন চোখে না দেখেও ! বুঝুন তাহলে ?
আপনার লেখা নিয়ে আর কী বলব... আপনি আমার প্রিয়তম লেখক! যাদের লেখার শক্তি দেখে আমি বিস্ময়ে ধরাশায়ী হই। আমার ধারণা আপনার অসামান্য ক্ষমতা সম্পর্কে আপনি ঠিক নিজেও অবগত নন! আপনার ব্যাপারে আমার মতামত সম্পর্কে আরো একটু ধারণা নিতে চোখ বোলাতে পারেন হিমুর এই লেখাটির মন্তব্যে (যদি ইতিমধ্যেই চোখ বুলিয়ে না থাকেন)।
আপনার এই অসম্ভব হাস্যদায়ী লেখা ছয়-সাতজন কলিগসহ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে খেতে পড়লাম। বহুদিন পর আপনার লেখা দেখেই যাদেরকে হাঁকডাক করে সামনে এসে বসিয়েছি। সবাই মিলে ঘিরে বসেছে আমাকে, আর আমি উচ্চস্বরে পড়ছি সেটা। পড়তে পড়তে আর কি, পুরো মেঝেতে গড়াগড়ি। দুই-তিনজনের তো দম বের হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
আপনার ব্যস্ততা কমে থাকলে লিখতে থাকুন।
অকপটে স্বীকার করছি সচলায়তনে ঢুকেই অবচেতনে একজন লেখকের লেখার খোঁজ করতে থাকি, যার নামের মাঝখানে খণ্ড-ত-এর ফন্টসংক্রান্ত ঝামেলার কারণে ছোট্ট একটা বাক্স দাঁড়িয়ে আছে। আপনার লেখা দেখলে সেই অবচেতন তৃষ্ণায় জলসিঞ্চন ঘটে, নিরীহ পাঠকের এইটুক অধিকারের প্রতি মনোযোগী হবেন নিশ্চয়!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল! আপনি একটা সাঙ্ঘাতিক মানুষ! আপনার ওসওয়াসায় পড়েই লেখাটা লিখেছি, সেটা জেনে নিশ্চই খুশী হবেন। আপনাদের কেউ কেউ যখন কোথাও আমার নাম নেন, তখনই আমার মনে হয়, বাতাসে অক্সিজেনের নাব্যতায় টান পরেছে! দম বন্ধ অবস্থা হয়! সুতরাঙ এইভাবে বইলেন না, আমারে বাঁচতে দেন
আমার ইদানীং সচলে চোখ দেওয়া হয় না, কারণ আগেই বলেছি, পি.এইচ.ডি-র শেষ কয়েকটা মাস খুক খতরনাক হয়। আমি এখন সেই ফুলসেরাতের শেষের দিকে। ভালোমতোন শেষ করে নেই, তারপর আপনাদের জ্বালিয়ে দিতে পারবো আশা রাখি।
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হ, হেনো হেনো লাক্স, বইলা গলায় কেমন জানি একটা মোচর দিত। মনে আছে।
লেখায় পাঁচ। সাথে জাঝা।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মনে পরছে আমারও। আগে পরলে হয়তো লেখাটায় ঢুকে যেতো!
৫ তারার জন্য তো বটেই, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
জটিল লাগলো।
হেনোলাক্সটা সেইরকম ছিলো।
কাঁচ ভাইঙ্গা টুকরা টুকরা হইয়া যাইতো রুপের বহর দেইখা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হা হা হা
অনেকদিন পর সেইরকম একটা মজার লেখা পড়লাম।
আপনার বিয়ের ভিডিওটা সচলদেরকে দেখানোর একটা ব্যবস্থা করা যায় না আরেফীন ভাই?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই তো মারলেন আমারে! এতোক্ষণ তো কেউ এই দাবী করে নাই, আমিও নিশ্চিন্তই ছিলাম!
"কেউ চাইলেও ভিডিওটা দেখানো যাবে না" - এই শর্তে আমার স্ত্রী লেখাটি বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে।
এখন যেহেতূ, নাটকের নায়ক আমি আর নায়িকা আমার স্ত্রী, সেহেতূ, সত্বটা দুইজনেরই। আমি চাইলেও হবে না
আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
শিমুল আপা আরেফীন ভাই বিয়ের ভিডিওটা আমি আমার বিয়ের ভিডিওটা আপনাকে দেখাবো, আমার টাও ওই রকম মজার, এই রকম আরেকটা গল্প লেখা যাবে।
শিমুল আপা আপনার বিয়ের ভিডিওটাও দেখতে চাই।
দেখাবেন?
--- কামাল
বিয়ের ভিডিও দেখতে হয় সাউন্ড বন কইরা, বোবা বানায়া।
হিমুর করা দাবীর সঙ্গে একহাত দিচ্ছি সাথে বলছি যাবতীয় বিয়েরও রিভিউয়ের দায়িত্ব আপনার কান্ধে ফেলে দেওয়া হোক।
ইয়া হাবিবি
ইয়া হাবিবি! আপনাদের দাবীর প্রতি সম্মান দেবার ইচ্ছা ১০০ ভাগ আছে। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।
আপনের বিয়ের রিভিউ লিখবার আশা রইলো।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
এতদিন কোথায় ছিলেন ! আপনার এই লেখাগুলি ম্যালা মিস করেছি
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
একটু দূরেই ছিলাম ভাই।
ফুলাইয়া দিলেন তো আমারে!
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ব্যাপক হাসতে হাসতে পড়লাম------ আমার জামাইকে পড়ে শোনাতে চেষ্টা করছিলাম----- আমার হাসির দমকে রাগে উঠে চলে গেল--------
আমার বিয়ের ক্যাসেটের বলি-ও আপনার মত হয়েছে------ জীবনে একবারই দেখেছি------ ভয়ে আর ২ বার দেখিনি------ সেখানেও ছিল আত্মীয় নামের স্বজন
আর প্রায়ই আমাদের বন্ধুদের মাঝে একটা জিনিষ চলে তা হচ্ছে, ----সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখলেই ফোন করে অন্যদের সাবধান করে দেয়া যাতে ঐ প্রোডাক্টগুলো কেউ না কেনে ------- কারণ সবার তো আর ঐ বিজ্ঞাপন দেখার সৌভাগ্য হয় না-------
আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম-------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
আমি লেখাটা তৈরি করার স্বার্থে ৩য় বার দেখলাম।
দেখার রুচি হয় না বলাই বাহুল্য।
টিভি বিজ্ঞাপনের কথা আর নাই বললাম, হয়তো সামনে আরো বলার সুযোগ আসবে।
আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছি
পুরা
হাসির দরকার আছে। সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর বা ভ্রু কুঁচকে রাখলে মুখে দাগ পরবে, তখন আবার সেই দাগ দূর করতে না চাইলেও "হেনোলাক্স" লাগাতে হবে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আমার প্রিয় এড ছিল তিব্বত কদুর তেল
লেখা অতি সৌন্দর্য হইছে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হাহাহাহাহা....হু মনে পরছে।
ধন্যবাদ রেনেট।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনার লেখা অপূর্ব ভালো লাগে। আমরা অফিসের সবাই মিলে খুব মজা করে পড়ি। মুগ্ধ হই। ভীষণ অনুপ্রাণিত বোধ করি। আশা জাগে, আমাদের সাহিত্যের ক্রান্তি কালে কেউ বুঝি এগিয়ে এলো। সব কিছু সরিয়ে নতুন জায়গা তৈরি করলো কেউ।
সেদিন বাচালায়তনে এসে আবার চট করে কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন, আর কথা বলা হলো না।
আপনার অগ্নিপরীক্ষার জন্য রইলো শুভ কামনা। তারপর আর কোনো ক্ষমা নাই। লিখতেই হবে, এগিয়ে যেতেই হবে।
লুৎফুল ভাই, এইটা নতুন শিখছি। সচলে ঢুকে নানা জায়গা খুঁজি - কোথায় ব্যাবহার করা য়ায়। জায়গা বুঝে একটু গোলাগুলি করে নিলাম, আর কি!
আপনাদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত!
এইটা শিখলে আর এখানে কেন?! RAB এ নাম লেখান তারাতারি।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আগেও বলেছি, আবারও বলি, আপনার লেখায় সাদামাটা ঘটনার এতো রসালো ও তির্যক বর্ণনায় আমার মনে পড়ে যায় জেরোম. কে. জেরোমের লেখার কথা।
ঝামেলা শেষ হলে কনুই ডুবিয়ে লিখবেন। দাবি রইলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অনেক ধন্যবাদ গুরুজী
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
দুর্দান্ত!!!
কত কী মনে করালেন!
আমার বিয়ের ভিডিওঅলা বোধহয় ছিল ক্রিকেট ম্যাচের হাইলাইট এডিটর। পনের মিনিটে হলুদ-বিয়ে সব কাভার। তাও মাঝেমাঝেই স্টিলশট। তবে হ্যাঁ, ঐ দৃশ্যটা বাদ দেয় নাই, যেখানে জামাই আমার কানে কানে বলছিল "তোমারে তো দেখি যাত্রাদলের প্রিন্সেস এর মতো লাগতেছে।"
হুইল সম্পর্কে জানার জন্য ডান্ডা হাতে মিসেস অমুক তমুকের পায়ের তলায় বসা; এরিয়েল টুনিটেকের "খোকার শার্টের কী অবস্থা" ; আর তারও অনেক আগে শিমোরার "ঝাআনতাম না" মনে নাই কারো!?!
ক্যামেরাম্যান রসিক বলতেই হবে!
যাইহোক, আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে রসালো লেখায় হাত ভালোই পাকা, কিছু ছাড়েন না। পড়ে দেখি।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হেনোলাক্সের বিজ্ঞাপন প্রসংগেঃ
ফর্সা নারী ভালো, কালো মেয়ের জীবনে কষ্ট; এরকম ব্যাপারগুলো নিয়ে ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন কিংবা "ফেয়ার এন্ড লাভলী"র - - "রফিক ভাই জানলো না সে কি হারালো" টাইপ কথাগুলো যখন একটু আধটু সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছিলো, ১৯৯৫-৯৬ সালে, বিজ্ঞানপনকন্ঠ নাজমুল হুসাইন রেডিওতে হেনোলাক্সের একটা বিজ্ঞাপন করেছিলেন, এরকম -
"সুন্দর মনের মানুষই তো সুন্দর।
কিন্তু, দেখতে সুন্দর হলে আরও ভালো।
সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে কে?
হে-নো-লাক্স। হেনোলাক্স।
আমিন কসমেটিক্স এন্ড..."।
পোস্টে জাঝা।
ধন্যবাদ
ঐ বিজ্ঞাপনগুলো হলো টিভির সবচেয়ে কলঙ্কজনক বিজ্ঞাপন।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
খুবই মজা পাইলাম আরেফীন ভাই।আগামীতে বাংলা মিউজিক ভিডিও নিয়েও কোন লেখা দেখব বলে আশা রাখি।
নতুন লেখা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা রইল।
ভালো একটা আইডিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার মূল উদ্দেশ্যই আপনাদের নির্মল আনন্দ দেওয়া। সেটা যদি ঘটতে দেখি, সবচেয়ে বেশী খুশী কিন্তু আমারই হয়!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আমার মেজাপুর বিয়ের ভিডিওটা মারাত্মক! খালি খাওয়াদাওয়া... ভাইয়ার বাসায় গায়ে হলুদের খাওয়াদাওয়া, তারপর আমাদের বাসার, তারপর জামাই ক্লাবে আসার আগের, ক্লাবের, আপুরে ওদের বাসায় নেওয়ার পরের, বৌভাতের... যে লোকজন ভিডিও করছে তাদের আক্কেল মাশাআল্লাহ! আর কঠিন কিছু গানও আছে... আপু আর ভাইয়াকে বিদায় জানানোর সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক... দোয়া কোরো মা গো...। আবার স্টেজে আপুর চেহারা নিয়া নানান ক্যারিশমা, তার সাথে গান ...তুমি যে আমার শত জনমের প্রেম, আঁখিজলে গাঁথা মালা...
এটা দেখে ভাইয়া আপুকে এখনো ক্ষ্যাপায়, তুমি এই ক্যামেরাওয়ালার সাথেও প্রেম করলা কখন? আমি তো জানতাম বেকুব খালি আমিই ছিলাম !
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হা হা হা!! দারুণ লাগলো!!! মজা করে পড়লাম।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভাই অনেকদিন পর আপনার লেখা পাইলাম, বিয়ার ভিডিও এর কথা আর কইয়েন না, আমার বড় ভাইয়ের বিয়েরটায় আমার একটা সীন আসিলো এরকম, কে কি করসে কি বলসে জানি না, দেখি এক জায়গায় আমার স্টিল দাঁত কেলানির ছবি, মানে জামাইয়ের ছোটভাই হিসাবে আমারে হাইলাইট করসে !! আপনে যেমনে ইফেক্টের বর্ণনা দিসেন আপনের পায়ে নমস্কার ।
ভাই এই এডটা দেখলেই হাসতে হাসতে আমার খবর হইয়া যায় !
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এই তো আর কয়দিন, তারপর আর জামাইয়ের ছোটভাই হিসেবে নয়; জামাই হিসেবেই হাইলাইট করবে আপনারে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
দৃশ্য-১
টেবিলে সবাই মিলে খাইতে বসেছেন।
দৃশ্য-২
ফেরদৌস এর সাথে চ্যালেন্জ করে এক গৃহিনি হারপিক দিয়ে তার টয়লেট পরিস্কার করছে।
কখনও কি এই দুই দৃশ্য একসাথে আপনার জীবনে ঘটেছে?
প্রিয় (আপনার নাম),
এই দৃশ্য ঘটা তো খুবই স্বাভাবিক।
টয়লেটে হারপিক প্রয়োগের আগে দেখলে তো ভালো সমস্যা হবার কথা!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভাইজান,
ঐ অতিথিকে কি বাঁশ দিলেন, নাকি কিছুই বললেন না, নাকি পাত্তা দিলেন না, নাকি অন্যকিছু? ঠিকমতো বুঝলাম না।
প্রিয় মামুন-উর-রশিদ,
বাঁশ কি আপনার কাছে সস্তা মনে হয়?!
নাম লিখতে ভুলে গেছিলেন, সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র।
পাত্তা না দেবার মতোন লোক যে নই, সেটা আপনি ঠিকই বুঝেন
কোনও ভুল বোঝাবুঝি হলে বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বেদম হাসি হাসলাম। কয়েক দিন সচলায়তনে ঢুকতে পারি নাই আজকে ঢুইকাই বাজিমাত, এমন মজার কইরা লেখছেন ভাই !! আমি আমার অফিস রুমে একা একা পড়তে ছিলাম, মাঝখান পর্যন্ত পড়ে হাসতে হাসতে চেয়ার থেইকা পইড়া গেছি ভাগ্যিস কেউ দেখে নাই
কল্পনা আক্তার
..........................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
তাইলে এরপর থেকে লেখার সাথে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ সাথে দিয়ে দিতে হবে:
"পড়ার সময় চেয়ার বা তদ্রুপ উচু জায়গা পরিহার করুন। জানালা বা দরোজা যথাসম্ভব বন্ধ রাখুন!!"
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
কঠিন...
কতদিন পর এমন অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম মনে পড়ছে না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বহুত দেরী হয়ে গেলো এমন একটা আগুন লেখা পড়তে। নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু একটু পরেই ক্লাসে যেতে হবে। ভালো লাগাটা জানিয়ে দৌড় লাগাই।
---------------------------------
যাও মিয়া আগে ক্লাস শেষ করে আসো, হের পরে ... লিখো কিন্তু
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
মনে হয় সঠিক পর্যবেক্ষন!
এতোদিন কেথায় ছিলেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু দা! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছিলাম জার্মান দেশেই। একটু দৌড়ের উপর আছি আর কি!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আরেফী্ন
তোমাকে ডাক নামে ডাক লাম না। এইটা আমার প্রথম পোস্ট। বাংলায় লেখার চেষ্টা করচি।
বরাবর এর মত, অসাধারন একটা বর্ননা। তোমার লেখা আর ও আনন্দময় হউক। ঃ)
এজাজ ভাই,
নাম ধরেই ডাকেন, কোনও ঝামেলা নাই। অনেকেই ডাকে। আর আপনারে নিয়ে লেখা আসতেছে অচীরেই
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
এই লেখা অফলাইনে পড়েছিলাম দেখে সময়মত মন্তব্য করা হয়নি।
আপনার উদাহরণ বাছাই করার স্টাইলটা অসাধারণ। আপনার গদ্যে সুক্ষাতিসুক্ষ রসের উপাদান লেখাটাকে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে যায়।
এককথায় আপনাকে রসময় বলা যায়!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
ছিঃ ছিঃ কি কন!!! এইসব গুরুদের নাম ধরে সবাইরে ডাকা উচিত না!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ওই দ্যাখো কান্ড। কোথায় পায়জামা, পাঞ্জাবীর সাথে চটি আর কোথায় রসময়ের চটি!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
পাজামা পাঞ্জাবীর সাথে যেই চটি পড়ে সেইটার মানে বুঝলাম, কিন্তু রসময়ের চটি জিনিসটা কি ওস্তাদ?
---------------------------------
সত্যি জান না নাকি ফান করো?
অনেক অনেক মজা লাগল পড়ে।
তাড়াহুড়ায় কোন এক পেশাদার বিবাহ ভিডিওকারীর হাতে ছেড়ে দেয়ায় আমার বিয়ের ভিডিওতেও বহুৎ হাবিজাবি আছে। এখনো দেখে একা একাই হাসি। সবচেয়ে অস্বস্তির ব্যাপার ঘটেছিল যখন সবাই মিলে প্রথমবার ভিডিওটা দেখার সময় দেখা গেল বৌভাতে আমি যখন আসলাম মাত্র তখন বেবী নাজনীন এর কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত নামক বিশ্রী গানটা শুরু হল। আর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যটা এত প্রকট ভাবে বোঝা যাচ্ছিল যে আমি কাঠ হয়ে বসে ছিলাম আর আমার আঁতেল মাস্টার সাবও। আমার ছোট আপি গাধার মত হাসি চাপার চেষ্টা করার ভান করে করে আরও বেশি হাসছিল
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
আপনি আমার লেখা পড়ে কতোটুকু মজা পেয়েছেন জানি না, তবে আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে জান যাওয়ার অবস্থা ..... ... .... !!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভিডিওম্যানতো রসিক আছে দেখা যায়
আমি মইরা গেলেও আমার বিয়েতে কোন পেশাদার ভিডিওম্যান আসতে দিব না
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
বিছানা চাপড়ায়ে হাস্লাম ঃ)।
জেমস স্টোনের বিজ্ঞাপন দেখে কত নির্মল আনন্দপূর্ণ দুপুর বিকাল কেটেছে তার ইয়ত্তা নেই। ওই সিরিজের আরো কয়েকটা বিজ্ঞাপন ছিল। প্রত্যেকটা সমান আনন্দদায়ক।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমাদের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রথম বিজ্ঞাপন "মিস্টার নেভি ইয়োর নেভি" র কথাও ভুলা যায় না। স্মৃতি তুমি আসলেই বেদানা।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
হাসতে হাসতে বিষম খেলাম!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেকদিন পরে লেখাটায় চোখ বুলান হল আপনাদের কল্যাণে ধন্যবাদ সবাইকে মন্তব্যের জন্য।
এই সব ভিডিওগ্রাফারদের গাল দিচ্ছেন, আমার এক চেনা পাব্লিকের কথা বলি, শুনলে আর এদের বকবেন না। তার মনে হলো এই চিরাচরিত ধারার বিয়েমুভি বানিয়ে লাভ নেই, তাই সে আর্ট ফিলিম বানানোর জন্য পাত্রপাত্রীর এবং তাদের বাড়ির লোকেদের ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করলো। বাড়ির মা-মাসি-জ্যাঠা জাতীয় লোকজন 'এই যে বিয়ে হতে চলেছে তাতে আপনার কেমন লাগছে' গোছের প্রশ্ন শুনে বিষম-হোঁচট-গড়াগড়ি ইত্যাদি খেলেও তাকে দমানো যায় নি। কাজেই শেষমেশ যেটা তৈরি হয়েছিলো সেটা অবধারিতভাবেই প্রভুখণ্ড ছিলো একখানা। আর বাজারচলতি গানের পরিবর্তে তাতে বিভিন্ন জনের প্রিয় গানটান ছিলো, প্রাসঙ্গিকতার ভয়াবহতার কথা লিখেছেন, তার উল্টোটাও কিছু কম ভয়ালভয়ঙ্কর নয়। কখন যে কোন গান বেজে উঠবে বলা মুশকিল, বিয়ের দৃশ্যে 'আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান'ও বাজতে পারে!
তবে বিয়ের ভিডিওর সবচেয়ে বড়ো গুণ হলো ঠিকঠাক অ্যাঙ্গেল থেকে ফুটেজ না পেলে এরা আবার মালাবদল করিয়ে ছাড়ে, কাজেই গেড়োটা পোক্ত হয়। কাজেই সারাক্ষণ গালি না দিয়ে চলুন জয়ধ্বনি করি, জয় বাবা ভিডুবাবার জয়!
এই যে আরেকখান প্রভুখণ্ড:
এদের বাকিগুলোও একটার চেয়ে আরেকটা মারাত্মক...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ফেসবুকের কল্যানে এই লেখাটা পেলাম, এতদিন পরেও।
অসাধারণ লিখেছেন। একদিন সময় করে আপনার প্রোফাইল এ ঢুকে সব পড়ে আসতে হবে। এতদিনে নিশ্চই অনেক লিখে ফেলেছেন; কারণ আপনি তো এখন ডঃ।
সে যাক ভাবছি যদি কখনও বিয়ে করা হয় তাহলে আমার বিয়েতে কোন কমার্শিয়াল ক্যামেরাম্যান আনবো না; বন্ধু বান্ধব কাউকে দিয়ে ভিডিও করাবো; অতপর নিজেই সেটার এডিটিং করব!
ামার বিয়ের ভিডিয়তে ভরে দিয়েছে োচেনা সব ওদভুত গান। আমার বউ এর ছবির পিছনের গান sing is king, sing is king, sing is king.............
আপনার বিয়ের ভিডিওটা আমার দেখা খুবই দরকার। অনেক সুন্দর আর মজার একটা লেখা। লতা হারবাল টক শো দেখলে যেমন বোঝা যায় ঐ ব্যক্তির পূর্ব পেশা কী ছিল!
http://www.youtube.com/watch?v=1sJxSy8NLNk
ভাইয়া, আমার বিয়ের ভিডিওতে যখন আমাকে মালাবদলের জন্য বর এর কাছে নিয়ে আসছিল তখন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিসে "উঠ ছুড়ি তোর বিয়া লাইগাসে"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এত বছর পুরোনো পোষ্টটা এখনো সমান আনন্দের যোগানদার। এটাকে যিনি তুলে এনেছেন তার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। নইলে বঞ্চিত থাকতাম এরকম একটা লেখা থেকে।
আমার বিয়ের ভিডিও কাহিনীর কাছাকাছি হয়েছে দেখি। তবে ওটা ছিল পাড়ার অতি প্রিয় ভিডিও ম্যান। অতিরিক্ত খাতিরের ঝোলে পুরো ভিডিওতে মশলা আর ঝোলে মাখামাখি হয়ে আসল জিনিস হারিয়ে যাবার দশা। পতাকার ওড়াওড়ি পড়ে হেসে গড়াগড়ি খেলাম। আমি অরিজিনাল ভিডিওটা তুলে শেষমেষ সংরক্ষণ করেছিলাম সিডিতে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আফসোস হচ্ছে এতদিন পরে এই পোস্টটা পড়ার জন্য। শনিবার সকালটা শুরু হল হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়া দিয়ে।
আমার বিয়ের ভিডিও শুরু হয়েছে আমার বরের ভাগনার ছবি দিয়ে। মানে নায়ক-নায়িকার পরিচয় পর্বে নায়কের ছোটবেলার ছবি ভেবে পরিচালক থুক্কু ক্যামেরাম্যান আমার বরের ভাগনার ছবিকে "আনারস" স্টাইলে দেখিয়েছে। তারপরের শটে আমার বর বর সেজে বসে আছে। আর এরপরের স্টিল ছবি হচ্ছে ছোট ভাগ্নার ছবি তারপর > আমার বরের বর বেশে ছবি। পুরো ভিডিওটা একবারো দেখা হয়নি।
দুর্দান্ত !!!
এরোমা আর হারবাল এর এড গুলা তো চরম :
*লতা হারবাল
*আমীন হারবাল
*বোটানিক এরোমা
*সুমনস এরোমা
টিভি দেখি না ।কিন্তু সপ্তাহে একদিন নিয়মিত টিভিসি দেখি এবং বুঝি জিবন কত রংগিন
"আল্লাহর নেয়ামতকে কাজে লাগিয়ে ........."
এক সোলারপ্যানেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের শুরুর কথা এটা। বাকিটুকু আর শোনার ধৈর্য হয়নি।
হয়তো "বাড়িঘরে ব্যবহার করুন ১০০ভাগ হালাল বিদ্যুৎ শক্তি" টাইপ কিছু বলেছে এর পরে !
আমার মেয়েবেলার একটি বিটিভি কমার্শিয়ালের কথা মনে পড়লে এখনো হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। ফিলিপস্ বাল্ব।
রুপসী বাংলার হোঁদল-কুতকুত এক দুলাভাই শ্বশুড়বাড়িতে মাটিতে মাদুর বিছিয়ে পল্লী স্টাইলে ডিনার করতে বসে খুবই ব্যাজার। ইলিশ মাছের কাঁটাকুটা দেখা যাচ্ছেনা তো, তাই। শালা মানিক ফিলিপস্ বাল্ব লাগানো মাত্রই দুলাভাইয়ের সে কী উথাল-পাথাল আনন্দ: "ও মানিক, কী বাত্তি লাগাইলি! সব ফকফকা!!"
আপনার পোস্ট তো দারুন জমজমাট! চুড়ান্ত ভালো লেগেছে
.........আপনার লেখা পইড়া হাসি, আর কবে বিয়ার ভিডিও হইব ভাইবা কান্দি....
হাসতে হাসতে দঅম বন্ধ হয়ে গেলো...
nawarid nur saba
আমি সচলে নিবন্ধন করেচি ০৮/০৯/২০১১ তারিখে। এত ভাল লেগেছে আপনার লেখা পড়ে যে বোঝাতে পারব না। আমার তো ইচ্ছে করে যাবতীয় "ফেয়ারনেস" পন্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করে দেই।
বস এইটা কি লিখলেন????!!!!! আমি পাগলের মত হাসতেসি আর বাসার লোকজন আমার দিকে হা কইরা তাকায়া আছে!!!!!! চরম হইসে লেখাটা, পুরাই চরম!!!!!!!!
~
অসাধারণ!!!!!! ...~
এই পোস্টটা যতবার পড়ি ততবার একই তীব্রতায় হাসতে হাসতে বিষম খাওয়ার উপক্রম হয়।
লুৎফুল আরেফীন ভাই কোথায় হারিয়ে গেলেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
এমন লেখককের আর লেখা মানে পাঠকের পাঠাধিকার লঙ্গন করছেন লেখক। আরেফীন ভাই ফিরে আসুন।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
মজায় মজায় মাত!
তবে,
ভুল হলো! এখানে হবে, "যার ছায়া পড়েছে……চোখেরই আয়নাতে……“
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উফ্, এই রাতদুপুরে হাসতে হাসতে শেষ
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন