১.
আমার স্ত্রী প্রায় প্রতি রাতেই কয়েকটা করে স্বপ্ন দেখে। পারিবারিক কাহিনী নিয়ে ছোট ছোট স্বপ্ন। মাত্র একটা স্বপ্ন দিয়ে তার ঘুম কখনোই শেষ হয় না। অনেকের সিনেমা দেখে এসে সেটার কাহিনী বলার বদঅভ্যেস আছে। আমার স্ত্রীর সেই অভ্যেস নেই। তবে স্বপ্নের কাহিনী খুব এক্সাইটিং হলে আমাকে মাঝে মাঝে সকালে সেই কাহিনী শুনতে হয়। ওর স্বপ্নের গল্পগুলো নিঃসন্দেহে সিনেমার গল্পের থেকে ইন্টারেস্টিং! কারণ স্বপ্নের পাত্র-পাত্রী সবাই কমবেশী আমার চেনা-জানার মধ্যেই থাকে। সিনেমার তারকাদের মতোন অপরিচিত হয় না। তবে দুই ক্ষেত্রেই আমার সমস্যা একটাই। আমি হু হ্যা ছাড়া আর তেমন একটা অংশগ্রহন করতে পারি না। কারণ সিনেমা এবং স্বপ্ন -- দুইটাই আমার জন্য অনিয়মিত বিষয়। আমি সিনেমা যেমন কম দেখি, স্বপ্নও তেমন কম দেখি। দুই বা তিন মাসে একটা করে স্বপ্ন দেখি যেগুলো মূলতঃ হরর শো এর পর্যায়ে পরে! আর স্বপ্নের বিষয়বস্তুও দুইটা কাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকে, যেমন – কিছু একটা থেকে দৌড়ে পালানো দরকার কিন্তু আমি দৌড়ানো দূরে থাকুক ঠিকমতোন হাটতেও পারছি না, অথবা ক্লাসেঢুকেই জানলাম যে, মাত্র ১ ঘন্টা পরে পরীক্ষা! সবার পড়া কমপ্লিট! কিন্তু আমি বইটাই খুঁজে পাচ্ছি না! –এই দুইয়ের বাইরে আর কোনও কাহিনী আমার মনে পরেনা।
আমার যখন স্বপ্নের এমন খরা তখন কাউকে কাউকে দেখেছি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতে। জার্মানীর যে শহরে ছিলাম সেখানে আমি ছাড়াও আরো জনা বিশেক বাংলাদেশী ছিলো। ২০০৩ সালে তাদের কেউ কেউ ডিভি লটারী জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো। কারণ এদের অধিকাংশই মনে মনে বিশ্বাস করতো যে, বাংলাদেশের চেয়ে জার্মানী থেকে ডিভি লেগে যাবার চান্স বেশী! আমি তখন সবে মাস্টার্সের দ্বিতীয় বর্ষে। জার্মানীই পুরোপুরি দেখি নাই, এখুনি আবার এমেরিকাতে গিয়ে কি হবে?! সুতরাং সেই উত্তাপে গা ভাসাতে আমার যথেষ্ট আপত্তি ছিল।
২.
ডিভি নিয়ে আমাদের উলম শহরের কয়েকজনকে দেখলাম আদা-জল খেয়ে লেগেছেন। লটারীর বিষয়ে এদের অনেকের উৎসাহ আর উৎকন্ঠা দেখে মনে হবে যেন এবারই প্রথম আবেদন করছেন। অথচ ঘটনা হচ্ছে, এরা প্রতি বছরই ডিভি এপ্লাই করছেন। প্রতিবারই বলছেন, এবারই শ্যাষ! কিন্তু ফি বছর যখন আবার ডিভির ডাক আসে, তারা আবারও কোমর বেঁধে রেডি!শুধু তাইই নয়, আগের বছরের সকল ‘কুফা’ছবি বাদ দিয়ে নতুন ছবি তোলা, ফরম পুরণ করা, “এবারে নাকি প্রচুর বাংলাদেশী যাবে” এইরকমের অজানা (?!) তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে গদগদ হওয়া – সবই চলে দ্বিগুন গতিতে।
ডিভির আবেদনের পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে ছবি তোলাটাই মনে হলো সবচেয়ে হাঙ্গামার বিষয়। এই কঠিন কাজটি অবশ্য নিজের কাঁধে তুলে নিলেন এজাজ ভাই। উনি তখন সবেমাত্র নতুন একখানা ক্যামেরার মালিক হয়েছেন। নতুন ক্যামেরা-ওয়ালাদের মধ্যে
আকাশ-পাতালের মধ্যবর্তি সবকিছুর ছবি তুলে ফেলার একটা ঝোঁক কাজ করে। ডিজিটাল যুগে এসে ফিল্মের খরচা নেই বলে এই ঝোঁক উন্মাদনায় পরিণত হয়েছে। এজাজ ভাই তখন আশপাশের গাছপালা, জানালা-দরোজা, টয়লেট, সাদা চামড়ার তরুণী ইত্যাদির ছবি তোলা শেষ করে ফেলেছেন! নতুন সাবজেক্ট দরকার। সুতরাং এইরকম একটা প্রফেশনাল কাজের সুযোগ পেয়ে উনি হাতছাড়া করতে চাইবেন না – এটাই স্বাভাবিক।
৩.
কোনও এক শুক্রবারে ফটোসেশনের জন্য হাজির হলাম এজাজ ভাইয়ের রুমে।ভেতরে ঢুকে বুঝলাম আমিই দেরী করে এসেছি, আগ্রহীরা অনেক আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায়। ১৬ বর্গ মিটারের রুমটার অবস্থা হয়েছে শুক্রবারে পাড়ার একমাত্র হেয়ার কাটিং সেলুনের মতোন! একদল রুমের ছোট্ট ওয়াশ কর্ণারে লাইন দিয়েছে শেভ করার জন্য। আরেকদল ব্যস্ত ড্রেস-আপ করতে। একটামাত্র টাই বা ব্লেজার সবাই ব্যবহার করলে ডিভি’তে রিজেক্ট হবার সম্ভাবনা আছে কি না – এই জাতীয় উৎকন্ঠিত প্রশ্নও শুনতে পেলাম।
এজাজ ভাই স্বভাবগতভাবে সকল বিষয়েই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সিরিয়াস। এখানেও সেটার কোনও বাত্যয় ঘটে নাই। ছবি তোলার জন্য রুমে যে লাইটিং করেছেন সেটা দিয়ে ঢালিউড মানসম্পন্ন পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব বলে মনে হলো। ছবি তোলার
উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে উনি ‘জ্বলতে পারে’ এমন সকল কিছুকে একত্র করেছেন – মোমবাতি থেকে শুরু করে, ৪০, ৬০ আর ১০০ ওয়াটের বিভিন্ন আকারের বাতি (হ্যাজাক বাদে) জ্বালানো হয়েছে। অতঃপর সেইসব বাতিকে বিভিন্নভাবে বাধ্য করা হয়েছে একটা নির্দিষ্ট চেয়ারের দিকে আলোকক্ষেপণ করতে। ওই চেয়ারে বসেই ডিভি প্রার্থীকে ছবি তুলতে হবে! কিন্তু বসা দূরে থাক, তীব্র আলোর কারণে চেয়ারের দিকে তাকানোই যাচ্ছে না! একবার চেয়ারের দিকে তাকানোর পর ঘরের বাকি সবকিছু অন্ধকার দেখায়!
ক্যামেরা কিনলেও এজাজ ভাই অর্থনৈতিক কারণে ক্যামেরার স্ট্যান্ড কেনেন নাই। স্ট্যান্ডের বিকল্প হিসেবে বই, সিগারেটের খোল, কফির বয়াম ইত্যাদি ব্যবহার করে একটা টাওয়ার নির্মান করা হয়েছে। সেটা প্রচলিত ক্যামেরা স্ট্যান্ডের মতোন খাড়া না হয়ে পিসার হেলানো টাওয়ারের মতোন বাঁকা হয়েছে। হটসিটের দুইপাশ থেকে দুইটা ছাতা দেখলাম ফুলের মতোন ফুটিয়ে রাখা আছে। সেগুলোর কাজ হলো, আলো ধরে রাখা। প্রফেশনাল স্টুডিওতে যে ছাতা ব্যবহার করা হয় সেগুলো হয় সাদা রংএর – কিন্তু এরা ভেজা দাঁড়কাকের মতোন কালো। ফলে আলো ধরে রাখার বদলে এরা স্বভাবতঃই গিলে খাচ্ছিল। ঐ গিলে খাওয়া আটকানোর জন্য ছাতার ভেতরের দিকে কিচেন থেকে এলুমিনিয়াম ফয়েল এনে লাগানো হয়েছে। তবে এই জিনিস আলোর প্রতিফলনের পক্ষে সহায়ক হলেও সিটে বসা মানুষটির জন্য আযাবতূল্য হয়েছে। বসামাত্র মনে হবে, ‘যাত্রীসেবা’ নামক মুড়ির টিন বাসের গিয়ার বক্সের ওপরে বসে আছি! ঢাকার মুড়ির টিন বাসগুলোর এই জায়গাগুলোতে নিয়মিত বসেন এমন পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে!
যাহোক, হটসিটের প্রথম বলি হলেন দীপন ভাই। পড়নে টান টান ইস্ত্রী করা শার্ট, টাই আর লুঙ্গী। লুঙ্গীর ব্যাক্ষ্যাটা না দিলেও বুঝতে পারছেন, আবক্ষ ছবিতে সেটার প্রয়োজন নেই বলেই উপেক্ষা করা হয়েছে। বিটিভির সংবাদ পাঠকেরা নাকি প্রায়ই এরকম লুঙ্গী পরে খবর পরিবেশন করেন। রুমের তাপমাত্রা যেরকম অগ্নিশর্মা, সেখানে গায়ে সুতো রাখাই দায়! এজাজ ভাইয়ের ক্যামেরার বড় সমস্যা হচ্ছে সেটাতে সাটার চাপার পরে ছবি উঠতে ২ সেকেন্ড সময় লাগে। ঐ দুই সেকেন্ড কোনোরকমের নড়াচড়া নিষেধ। কিন্তুএই দুরুহ কাজটি ঐরকম গরমের মধ্যে করা যে প্রায় অসম্ভব সেটা কিছুক্ষণ পরেই বোঝা গেল। একের পর এক সাটার টেপা হচ্ছে, কিন্তু ছবি একটাও ঠিকঠাক উঠছে না।
ক্যামেরার এইরকম কারিগরি জটিলতার কোনও গ্রহনযোগ্য ব্যাক্ষ্যা পাওয়া যায় নাই। কিন্তু কারণ যাইই হোক, এমন কাউকে পাওয়া গেল না যে, ঐ ২ সেকেন্ড যাবৎ হাসির গুণগত মান ধরে রাখতে পারলো। কারো হাসিতেই কাঙ্খিত ভদ্রসদ্র ভাবটা খুঁজে পাওয়া গেল না। বরং ৫০০টি ফেনসিডিলের বোতলসহ ভারতীয় বর্ডারে আটক ‘ব্যবসায়ী’-দের সাথেই বেশী মানানসই লাগছিল ছবিগুলো। দীপন ভাই হাসি ধরে রাখা দূরে থাক, তৃতীয়বার পোজ দিতে বলায় রেগে গেলেন। ফলে শেষ ছবিটা হলো বৃটিশ আমলের মুনসেফদের মতোন রাগি রাগি চেহারার।
৪.
ওনার পরে লাইনে ছিলেন মনজু ভাই। মনজু ভাইয়ের গায়ের বর্ণ চাপা, অন্ধকারে দাঁত বের করে না হাসলে ওনাকে ভালোমতোন দেখা যায় না। অত্যাধিক কালোর কারণে আবার রিজেক্ট না করে দেয় এই ভয়ে উনি ১ ঘন্টা ধরে দাড়ি শেভ করার নামে মূলতঃ গালের চামড়া আঁচড়াচ্ছিলেন! ওনার এই বিলম্বে আমার সিরিয়াল অনাকাঙ্খিতভাবে এগিয়ে এলো। ক্যামেরার কারিগরি ত্রুটি আর গরমের কারণে আমি ততোক্ষনে ‘ডিভি এ্যাপ্লাই করবো না’ বলে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু সবাই ঠেলেঠুলে আমাকে ছবি তোলার সিটে বসিয়ে দিলো।
বাস্তবতা হচ্ছে, বাঘা বাঘা ক্যামেরাতেও আমার ছবি খুব খারাপ আসে! এজাজ ভাইয়ের ক্যামেরা বাঘা তো নয়ই বরং বিলো দ্যান এভারেজ; সুতরাং ছবি আসবে জঘণ্য – এটা আমার জানাই ছিলো। আরো সমস্যা হলো, ছবি তুলতে গেলেই আমি গাড়লের মতো সরাসরি ক্যামেরার লেন্সের দিকে তাকিয়ে থাকি। ক্যামেরা বাদ দিয়ে অন্য কোনওদিকে তাকাতে বললে আমি পারি না। এই কারণে, আমার যাবতীয় ছবির মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড আর পোষাক ছাড়া তেমন কোনও পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
যাহোক, এজাজ ভাই ‘রেডি’ বলার মুহুর্ত পরেই দুপাশ থেকে দুই ছাতা দেখলাম ঝলসে উঠলো। বিষয়টা ছাতার ওপাশ থেকে কেউ টের পাবে না। যুদ্ধের সময় বন্দী সেনাদের পেটের কথা বের করতে নাকি একটা ইলেকট্রিক চেয়ারের ওপর বসানো হয়। আমার মনে হলো ইলেকট্রিক চেয়ারের দরকার কি?! এরকমের একটা চেয়ারেই তো মনে হয় কাজ হয়ে যাবে! ধাতস্ত হবার পরে ছবি দেখলাম - যথার্থই জঘন্য হয়েছে। তবু আরেকবার ঐ ঝলসানি এড়াতে বললাম, “দৌড়াবে বস, মারাত্মক ছবি হইছে”!
মনজু ভাই ইতিমধ্যে রেডি হয়ে আসলেন। হাসিমুখে পোজ দিলেন। ওনার গরম সহ্য করার ক্ষমতা ঈর্ষণীয়!! শুধু যে হাসলেন তাইই নয়, দরকারের চেয়ে বেশী হাসলেন। কিন্তু এরকম দাঁতাল হাসি নাকি এক্সেপ্টেড হবে না। সুতরাং ওনার ছবিও বারবার তোলা হলো। কিন্তু হাসি এ্যাডজাস্ট করতে সময় লাগলো – হয় দাঁতাল হাসি, নয়তো বিডিআর জওয়ানদের মতোন গম্ভীর। মাঝামাঝি কিছু হচ্ছে না। মনজু ভাইয়ের মূল সমস্যা যে ‘ব্যালান্স’ সেটা সবাই জানে। যেকোনও জিনিসের মাঝামাঝি ব্যাপারটা উনি কম বোঝেন – সেটা হাসিই হোক, ভলিয়্যুম হোক আর গতিই হোক। যখন চওড়া এবং ফাঁকা কোনও ফুটপাথ দিয়ে হাঁটেন, তখনও এমন টালমাটাল থাকেন যে দেখে মনে হবে, উনি দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটছেন।
যাইহোক শেষ পর্যন্ত মনজু ভাই এবং বাকি সবার ছবি তোলার কাজটি যথাযথভাবেই শেষ হলেও আমাদের কারোই ডিভি'ই সেবারেও লাগেনাই। এটা নিয়ে অবশ্য কারোই কোনও মাথাব্যাথা ছিলো না। ডিভি'টা বরাবরই ছিলো একটা হুজুগ।
আড্ডা বা মাহফিলে ‘মিউনিসিপ্যাল দপ্তরের ওপর নিয়ন্ত্রনহীন’ কারো কারণে যদি হঠাৎ করে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে তাহলে প্রথম করণীয় হলো নাকে হাত দেওয়া। ভদ্রতা করে নাকে হাত না দিলে বিপদ বৃদ্ধি পায় -- সকলের অভিযোগের অঙ্গুলী বর্জনশীল পদ্ধতিতে দ্রুত খুঁজে বের করে, কার নাকে হাত নাই?!! এই আতঙ্কের কারণে যে কোনও সমাবেশে কেউ একজন কারণে বা অকারণে নাক ধরে বসলে, বাকিদের মধ্যেও এই প্রবণতা সাইক্লোনের বেগে ছড়িয়ে যেতে থাকে। ২০০৩ সালে ডিভি লটারীর উন্মাদনাটা অনেকটা এরকম ছোঁয়াচে আতঙ্কের মতোই গোটা উলম শহরে ছড়িয়ে পরেছিল –“সবাই এপ্লাই করছে! পরে সবাই এমেরিকা চলে গেলে আমার কি হবে”– এই ছিল সবার আতঙ্ক!
মন্তব্য
হা হা হা .............. সেইরকম!!!!!!!!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
একখান মন্তব্যে তিন-তিনখান ধাউশ মাথা! ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তিন-তিনখান ঢাউস মাথার প্রথমটা আমার দাদার ছবি। বড় ভাল লোক তিনি। দ্বিতীয়টা লেখকের জন্য। আর তৃতীয়টা? ওটা আপনার জন্য। কী? ডরাইছেন?
কী ব্লগার? ডরাইলা?
দ্রোহী ভাই,
আপনার জলপাই সালামটা জোস্ .... ....
প্রথম কমেন্ট করেছেন তাও আবার এমন সুন্দর একটা স্যালুট দিয়ে, মনটা ভরে গেল!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
স্যালুট দেখে মন ভরে গেল? এ কী শোনালে হে!!!!!!!
স্যালুটের উপরে কী লেখা ওটা পড়ার পরও একথা বলতে পারলেন?
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হু পারলাম তো
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
যথারীতি মজাদার।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
গুরুজীকে প্রণাম এবং আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনারা কয়েকজন না পড়লে হয়তো লিখার উৎসাহ পেতাম না ... !
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
এই কয়দিন টেনশান আর নানা ঝামেলায় মুখ গম্ভীর করে দিন কাটাচ্ছিলাম।
আজ মনে হচ্ছে লম্বা সময় পরে প্রাণ খুলে হাসলাম।
দুর্দান্ত বর্ণনা।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যাক, একটা ব্রেক তাহলে দেওয়া গেল
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হিঃহিঃহিহিঃ
মজাক মজাক!!
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
এলোমেলোকে অনেক ধন্যবাদ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
লা জবাব। কঠিন লেখা। সেইরকম হইছে!!!
আপনার নিক তো হওয়া উচিৎ ছিল "নেটদস্যূ"
... ... ...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ক্লাসিক!
পেট ফাটাইয়া হাসলাম বস )।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ওম শান্তি। দুনিয়ায় শান্তির বড়ই অভাব! চারিদিকে শুধু হট্টগোল ... ...!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
এতো দারুন বর্ণনা...সেইরকম মজা পেলাম...নিয়মিত চাই এই সিরিজ টা।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
এতো দারুণ সিগনেচার
সেইরকম মজা পাইলাম
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
- মঞ্জু ভাইয়ের আরো কাহিনী শুনছি লোকমারফত!
লেখাটা পড়ার সময় ঐ কাহিনীর কথা মনে হৈয়া যাওয়ায় আর ফটুক তোলার বিশদ বর্ণনার ঠেলায় হাসতে গিয়া নাকে ধরার বন্দোবস্ত হৈয়া গেছে বস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শোনার-ই কথা। উনি একজন বিখ্যাত মানুষ!
আমি ওনারে নিয়ে যতো লেখা লিখছি, আর কাউরে নিয়ে মনে হয় না অতো লিখছি।
ভালো থাকুন। মন্তব্যের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনার লেখার ধরণ আমার অসম্ভব ভালো লাগে, আরেফীন ভাই। অনেকদিন পর একটা মন ভালো করার মতো লেখা পড়লাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল,
এইটাই আমার ভরসা। নইলে যেসব হাবিজাবি লিখি, সেগুলা কখনই আমার হার্ডডিস্কের বাইরে যেতে পারতো না।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য অ-নে-ক ধন্যবাদ আপনাকে।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
মহাশয় এ আপনার বিনয়।
আপনার রম্য লেখার হাত অসাধারণ। যে কোন সাদামাটা ঘটনাকেও আপনি রসিয়ে বর্ণনা করতে পারেন। অন্য কারও কথা জানি না, আমি আপনার লেখার ভক্ত।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
সচলায়তন নিঃসন্দেহে আমার জন্য এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা! আমি লিখি মূলতঃ আনন্দের জন্য- দিতে এবং পেতে। এর গুণগত মান নিয়ে ভাবার অবকাশ কখনও নেই নি।
সুতরাং যখন কেউ বলে ফেলে যে, আমার লেখার ভক্ত তখন আনন্দে শরীর শিউরে ওঠে।
আপনি আমাকে আবার শিউরে দিলেন ভায়া।
আপনাদের মতোন ভক্ত পাওয়া ঠিক কতোখানি ব্যাপার সেটা আমি বুঝলেও হয়তো বোঝাতে পারবো না, সেই চেষ্টা বাদ ... আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
জটিল লাগলো। অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভালৈসে, দাদা!
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
কোনওভাবে ফেইসবুকের সর্বত্র আপনার ছবি চোখে পরে, ঘটনা কি? আপনি কিভাবে সর্বত্র বিরাজ করেন ভাইজান?
মন্তব্য পেয়ে খুশী হলাম
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভাগ্যিস এই ধরনের লেখায় মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ লেখা থাকে না! সুতরাং পড়তে দেরি হলেও স্বাদ-গন্ধ সবই মজাদার। শব্দ সাজিয়ে ছবি তৈরি করার একটা অসাধারণ ক্ষমতা আছে আপনার। পড়তে পড়তে ছবিটা চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে।
একটা নালিশ জানাই। আপনার লেখা এতো অনিয়মিত কেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
একে মুঃ জুবায়ের, তারপর আবার এতো সুন্দর একটা মন্তব্য! এই জন্যই অনিয়মিত হলেও লিখতে লোভ হয় ... !
আপনার অতি সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
একটু নিয়মিত হবো পিএইচডি খানা জমা দেবার পরেই। আপাততঃ ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিই শুধু কামনা করতে পারি।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
আপনার পুরান লেখাগুলো পড়তেছি। রেডি হয়ে নিছি যাতে হাসতে গিয়া ইনজুরড না হই, সুতরাং এবার জাস্ট ভাল ব্যায়াম হইল। মাত্র ৪টা ৫-তারা, এটাও ১০-১১টা পাওয়া উচিত ছিল।
আপনি দ্রুত সচল হয়ে ৫ তারা দিয়ে যাইয়েন
হাহাহাহহাহেহেহেহেহেয়াহাহাহা!! চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়াই বাকি আছে খালি!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
নতুন মন্তব্য করুন