হরর সিনেমা দেখা আমার খুব প্রিয় একটা কাজ। এর মূল কারণ সম্ভবতঃ এই যে, আমি হরর ছবির ট্রিকসগুলো ধরার চেষ্টা করি না। ভুতটা কিভাবে বানানো হলো সেটা নিয়ে ভাবতে গেলে ভুত সম্পর্কে ভয়টা আর কাজ করে না। আমার অবশ্য ট্রিকস জানলেও সেটা সিনেমা দেখার সময় মাথায় আসে না, ভয়টাই আসে। ফলে আমি যথারীতি ভয়ে জড়োসরো হয়ে হরর ছবি দেখি। দেশে থাকতে খুব একটা একা একা ছবি দেখা হয়ে উঠতো না। ফলে একা একা হরর ছবি দেখার অভিজ্ঞতাও ছিলো না। অভিজ্ঞতার এই অভাবটা কতোটা ভোগাতে পারে সেটার ধারনাটা পাই বিদেশে এসে। টরেন্ট দিয়ে গাদাগাদা ছবি নামালাম – অধিকাংশই হরর। একবার সন্ধ্যার দিকে ইউনি থেকে ফিরে অনেক আগ্রহ নিয়ে একটা হরর চালু করলাম। সিনেমা ছেড়ে দিয়ে নিজ হাতে বানানো নুডলস ভর্তা (কারণ, তখনও আমি নুডলস রান্না করা শিখি নাই, আমার নুডলস সর্বদা আলু ভর্তার মতোন থকথকে হতো!) প্লেট ভরে নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলাম।
একটু পরে যখন নানাবিধ ভয়াল দৃশ্য আসতে শুরু করলো, আমি প্রথমবারের মতোন অনুধাবন করলাম, এরকম ভয় জীবনে এর আগে আর পাইনি! নুডলস খাওয়া অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এবারে দম বন্ধ হবার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। রুমের যেইদিকের দেয়ালের সাথে বিছানাটা লাগোয়া ছিল, কম্পিউটারটা ঠিক তার উল্টোদিকের দেয়াল-সংলগ্ন। মাঝের ফ্লোরটুকু পাড়ি দিয়ে সিনেমাটা যে বন্ধ করে দিয়ে আসবো সেই সাহসটুকুও হলো না। ফলে নুডলস রেখে লেপ মুরি দিয়ে কান বন্ধ করে শুয়ে থাকলাম। সেভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরদিন ভুলেও সেই হরর ছবি আর চালাইনি।
এর পরে আমার স্ত্রী দেশ থেকে আসার পরে আমার আর হরর ছবি দেখা হয় না। কারণ সে ঐ জিনিস পছন্দ করে না। “আটা দিয়ে বানানো ভুত” দেখতে সে মোটেই আগ্রহী নয়। ফলশ্রুতিতে অনেকদিন যাবৎ ভয়ের কিছু দেখাই হয় না। তবে প্রচুর বাংলা নাটক দেখা হয়। সেদিন হঠাৎ একটা নাটক দেখে মনে হলো, ভয় পাবার জন্য শুধু হরর ছবিই দেখতে হবে এমন কথা নেই, পারিবারিক কথকথার একটা নাটকও তার গুণগত কারণে অনেক ভীতিকর হয়ে উঠতে হতে পারে।
নাটকের নাম ‘গুলশান এভিনিউ’। স্ত্রীর কাছে জানলাম সেটি বানিয়েছেন ‘নিমা রহমান’ নামক এক স্বনামধন্য অভিনেত্রী (ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর)। আরোও জানলাম, উনি নাটকটি বানাবার জন্য যাবতীয় কলাকৌশল পাশের দেশ থেকে শিখে এসেছেন। এতোদিন আশপাশের দেশের সাথে নিজেদের নাটকের তুলনা করে যে গর্বটুকু মনে মনে বোধ করতাম সেটা যে বেশিদিন আর স্থায়ী হবে না, সেরকমই একটা ভয় হলো নিমা রহমানের গুলশান এভিনিউ দেখে!
ভারতীয় টিভি নাটকে দেশ সয়লাব সেটা আর নতুন কোনও খবর নয়। সেই সয়লাব ভাবটাকে আরোও ছড়িয়ে দিয়েছে এই নাটকটি। এবারে আর হিন্দি ভাষা জানারও প্রয়োজন হবে না, বাংলাতেই ভারতীয় নাটকের রিমেক হয়েছে মনে হলো। আমি দেশে থাকতে অল্প যেকয়টা ভারতীয় সিরিজে টুকটাক চোখ বুলিয়েছি তাতে আমার মনে হয়েছে শিল্পচর্চার অন্ততঃ এই জায়গাটাতে আমরা এগিয়ে আছি – অভিনয় মান এবং কাহিনীর গভীরতায় আমাদের নাটক অনেক সমৃদ্ধ বলে মনে হয় আমার কাছে। যদিও নির্মান-শৈলীর দিক থেকে এগিয়ে, তথাপি আমাদের নাটকের তুলণায় ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালগুলোকে মনে হয়েছে অনেক বেশী গ্ল্যামার এবং ড্রয়িং রুম নির্ভর, অভিনয় অ-নির্ভর এবং কাহিনীশূন্য।
জার্মানীতে আসার আগে ‘কাহি কিসি রোজ’ নামক এক নাটকের নায়ককে দেখেছিলাম কয়েক পর্বের ব্যবধানে পর পর ২ বার মারা যেতে। প্রথমবার মৃত্যুর পরে নায়ককে বাঁচিয়ে তুলতে পরিচালক পূনর্জন্মের আশ্রয় নিলেন। কিন্তু এই বেঁচে ওঠা নায়কের বেশীদিন সইলো না; বেচারাকে আবারও মেরে ফেললেন পরিচালক। ইতিমধ্যে অবশ্য পূনর্জন্ম বিষয়ে পরিচালকের অবস্থান জেনে আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে, এবারের মরাই শেষ মরা কি না। সন্দেহটা যে অমূলক নয় সেটার প্রমাণ পেলাম ৩ বছর পরে দেশে গিয়ে। দেখি সেই নাটক এবং সেই নায়ক!! ভাবলাম, পূণঃপ্রচার হবে; কিন্তু না - আমার মা জানালেন, নাটকটা শেষই হয় নাই, পূণঃপ্রচারের তো প্রশ্নই আসে না। সাথে এও যোগ করলেন যে, এই সিরিজে ঐ নায়কের ‘মরা/বাঁচা’ কোনও ঘটনাই না, কারণ নায়ক মারা গেলেও পরিচালকের যখনই দরকার হয়, তখনই আবার তাকে ফিরিয়ে আনেন! আর নায়কের জীবন এরকম আরশোলার মতোন পোক্ত হওয়ায় সিরিজটাও আর শেষ হচ্ছে না। ভাবলাম, ‘নাটক’ যেখানে পরিচালকের এহেন ক্ষমতা-চর্চার জায়গা, সেখানে শিল্পমান নিয়ে মাথা ঘামানোর বেশী কিছু নাই। এর বিপরীতে দেশী নাটকে ‘বাকের ভাই’য়ের মৃত্যুটা মনে পরলো। ‘বাকের ভাইয়ের মৃত্যু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ -- এহেন মিছিল শ্লোগানের পরেও নাট্যকার বাকেরের মৃত্যুই ঘটালেন।
ফিরে আসি ‘গুলশান এভিনিউ’ নাটকে। প্রথমতঃ এই নাটকের সাউন্ডট্র্যাক শব্দদূষণের পর্যায়ে পরে - মুহুর্মুহু নানারকমের অতিনাটকীয় শব্দের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বুক ব্যাথা করতে শুরু করে। ৮০’র দশকের হরর ছবির সাউন্ডগুলো অনেকটাই এরকম ছিল। দৃশ্যকল্প দিয়ে দর্শককে কাবু করতে না পারলে অন্ততঃ শব্দ দিয়ে হলেও যেন কাবু করা যায়! এই বুক ব্যাথার কারণে পরবর্তিতে নাটকটা যখনই প্রচারিত হয়, আমি টিভির সাউন্ড মিউট করে রাখি। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোন বিষয় হলো, নাটকটি ডেইলি-সোপ। এই গোত্রভুক্ত নাটকের নিয়ম হলো, পছন্দ হউক বা না হউক সেগুলা প্রতিদিন প্রচারিত হবে এবং ২ বা ততোধিকবার করে প্রচারিত হবে। তদুপরি পর্ব সংখ্যা ৫০ বা ১০০ তে ঠেকলে ক্যামেরাম্যান গ্রীনরুমে গিয়ে ঢুকবেন। সেখানে মেকআপরত পাত্র-পাত্রীগন ‘নাটকটি কি কারণে এমন সাঙ্ঘাতিক রকমের দর্শকপ্রীতি পেয়েছে (?!!), সেটা তাদের কল্পনা অনুসারে বয়ান করবেন।
যাহোক, সাউন্ড মিউট করা অবস্থায় কম্পিউটারে কাজ করছিলাম। ঝরের রাতে বাইরে বিদ্যুত চমকালে যেমন বারবার সেদিকে চোখ চলে যায়, তেমনই নানারকম আলোক ঝলকানীতে মাঝে মাঝে নাটকের দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল। সেখান থেকেই উপলব্ধি করলাম নাটকটির নির্মান কৌশলের মধ্যে একটা বিশেষ দিক আছে। যারা কানে শোনেন না (আমার আন্তরিক সমবেদনা তাদের প্রতি) অথবা, বাংলা ভাষাটা বোঝেন না, তারাও নাটকটি দেখলে অনায়াসে ঘটনা ধরে ফেলতে পারবেন! কারণ, পাত্র-পাত্রীদের অভিনয়ের মধ্যে মূকাভিনয়ের কিছু কলাকৌশল ঠেসে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। বলে রাখা দরকার যে, জার্মানীতে থাকার কারণে বাংলা চ্যানেলগুলোর ওপর আমাদের বিনোদন-নির্ভর্শীলতা খানিকটা বেশী। ফলশ্রুতিতে অনেক বাংলা নাটক দেখা হয়। একই পাত্রপাত্রীদের অন্যান্য নাটকে পারফরমেন্স আমি দেখেছি - এই ‘অতি নাটুকে’ এক্সপ্রেশনটা যে একান্তই এই নাটকের নিজস্ব ব্যাপার, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। তারিক আনামের মতোন যশস্বী অভিনেতাও এখানে খিচুনী-সর্বস্ব অভিনয় করেছেন, যেটা নাটকেরই অভিনবত্ব বলতে হবে!
উদাহরণস্বরুপ, ‘সন্দেহ’র কোনও দৃশ্যে পাত্র-পাত্রী মাংসপেশীর সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে এমনভাবে ভ্রু কুঁচকাবে, যেটা বাংলা নাটকের চেয়ে চাইনিজ কুংফু ছবির জন্য অনেক বেশী মানানসই। সেই সময় ক্যামেরাও আশপাশ সব বাদ দিয়ে ঐ ভ্রুযুগলের দিকেই সমগ্র মনোযোগ নিয়োগ করবে। ১৫ মিনিটের নাটকে ১৫/২০ সেকেন্ড ধরে জুম-ইন করে সেই বঙ্কিম ভ্রুঁ দেখানো হবে - ফলে নাটক দেখছি, নাকি “বিউটি টিপস: আজকের বিষয় চোখ এবং ভ্রু” নামক কোনও অনুষ্ঠান দেখছি, সেটা ঠাহর করা মুশকিল হয়ে যায়! আর এই চুম্বক দৃশ্যের পুরো সময়টা ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজবে ঘটনার সাথে বেমানান অতি ভয়ঙ্কর সব শব্দ - অবস্থার ভয়াবহতা বোঝাতে পারুক বা না পারুক, একটা ত্রাহী ত্রাহী ভাব ঠিকই তৈরি হয়ে যায়। নাতি-পুতি বেয়াদবি করলে দাদীর মনে কেমন অনুভূতি হয় সেটা আমার জানা থাকার কথা নয়। এই নাটক দেখে জানলাম, অনুভূতিটা হচ্ছে ঝাল বোরহানী খাওয়ার পর হিক্কা ওঠার মতোন। নাটকে দাদী চরিত্রে রুপদানকারী ৬০’র দশকের অভিনেত্রী সুজাতার দাঁত-মুখ খিঁচানো অভিব্যক্তি দেখে অন্ততঃ সেরকমই মনে হলো।
যাহোক খুব গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলো (উদাহরনস্বরুপ, কোনও মহিলা যখe3eন তার স্বামীকে আরেক মহিলার সাথে মার্কেটে বা রেস্টুরেন্টে দেখে ফেলবে) লুপ হয়ে স্লো-মোশানে বারবার প্রদর্শিত হবে। আর এই দৃশ্য অবলোকন করে যদি মহিলাটির মাথা ঘুরে যায়, তাহলে সেটি বোঝাতে ৬০’র দশকের বাংলা ছবির অতি পুরোনো স্টাইলটি ব্যবহৃত হতে দেখলাম। সাদা-কালো যুগে কবরী (এম.পি.)-র যখনই মাথা ঘোরাতো বা স্মৃতিশক্তি অবলুপ্ত হতো, তখনই সেটি বোঝানোর জন্য কবরী (এম.পি.)-কে একটি বিন্দু কল্পনা করে গোটা ক্যামেরাকে সেই বিন্দুর সাপেক্ষে ১৫০০ R. P. M. (revolution per minute) - এ ঘোড়ানো হতো।
নাটকে এসব কিছুর সাথে আছে বাস্তবতা বিবর্জিত চকচকে মেকআপ। অলিখিতভাবেই হোক আর লিখিতভাবে, এই নাটকের কোনও পাত্র-পাত্রীই কৃষ্ণবর্ণ হতে পারবে না বলে মনে হলো। কারণ, মেকআপম্যান পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সবাইকে যেভাবে গৌরবর্ণ করার চেষ্টা করেছে সেটা চুনকামের পর্যায়ে পরে। এই কারণে, গভীর রাতে ঘুমানোর দৃশ্যেও দেখি পাত্র-পাত্রীদের চোখমুখ থেকে লাইটের মতোন আলো বেরোচ্ছে। পিতার মৃত্যু হোক আর ছেলের বিয়েই হোক, মেকআপম্যানের দক্ষতায় সকল দৃশ্যই বিয়ের দৃশ্যে পরিণত হয়েছে!
আগেই বলেছি, এই নাটকের সাউন্ডট্র্যাক শব্দদূষণের পর্যায়ে পরে। এই নাটকের পরিচালনা পর্ষদ যেহেতূ মেকআপের ক্ষেত্রে বিয়ের সাজকে আইডল মেনেছেন, সেহেতূ ওনারা সাউন্ডের ক্ষেত্রেও একই মাত্রার কোনও ঘটনা বেছে নেবেন, সেটাই অধিক যুক্তিসঙ্গতঃ। বাস্তবে ঘটেছেও তাই, করুণ যেকোনও দৃশ্যকে কারবালা বানানোর চেষ্টা যেমন ছিল, তেমনি উত্তেজনাকর দৃশ্যকেও জেমস বন্ড বানানোর চেষ্টা হয়েছে আবহ সঙ্গীতের মাধ্যমে। একটুও বাড়িয়ে বলছি না; দুঃখের একেকটা দৃশ্য আসার সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে জনৈক মহিলা ক্লান্ত গলায় এমনভাবে “আ আ আ আ আ আ আ আ” – শুরু করে দেন যেন মনে হবে এখুনি পানি না দিলে মারা পরবেন। বিষয়টা এতোটাই বিরক্তিকর যে, দুঃখের কোনও দৃশ্য আসা মাত্র ঐ মহিলার ভয়ে আমার মন বেদনার্ত হবার পরিবর্তে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে লাগলো। উত্তেজনার সিকোয়েন্স হলে তো কথাই নেই - কেয়ামত আপনার টিভির পর্দায় লাইভ দেখতে পারবেন!
‘টেকনলজি যতো আগাবে নাটকের মান ততো বাড়বে’ শীর্ষক আশাবাদে আমি আর গা ভাসানোর পক্ষপাতি নই। আমার বরং মনে হয়েছে টেকনলজিতে পিছিয়ে থাকাকালীন নাটকগুলোই আমাদের গর্ব। আজকাল নতুন ধারার নাটক শুরু হয়েছে দেশে, যেখানে ‘নাটক মানেই অভিনয় নয়’ – এই নীতি অনুসৃত হচ্ছে। মঞ্চ এবং টিভি মিডিয়ার নাটকের যে পার্থক্য সেটা মানসিকভাবে মেনে নিতে এবং উপভোগ করতে দারুণ সহায়ক এই ধারার নাটকগুলো। পাশাপাশি ‘গুলশান এভিনিউ’ ধারার নাটকের নির্মান দেখলে মনে হবে, ফিরিয়ে দাও অরণ্য, লও এ নগরী।
ডিসক্লেইমার:
লেখাটি সচলায়তনের সকল পাঠক-পাঠিকাদের জন্য নিবেদিত। তবে বিশেষভাবে কিছু লোকের প্রতি আমি লেখাটি উৎসর্গ করছি যারা আমার অনুপস্থিতির সময়টুকু নানাভাবে আমাকে লিখতে খুঁচিয়েছেন। তাদের খোঁচাখুঁচির কারণেই আমি সবসময় নিজেকে অপরাধী ভেবেছি সচল থেকে দূরে থাকার জন্য।
সবাই ভালো থাকুন।
মন্তব্য
কতদিন পরে লিখলেন আমার প্রিয় একজন লেখক। প্রথম কমেণ্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না।![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
পড়া হলে আবার কমেণ্ট করব।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি আপনার প্রিয় একজন লেখক! শুনে অনেক ভালো লাগলো, আমি নিজেও তো আপনার একজন গুণগ্রাহী পাঠক।
ধন্যবাদ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
অনেকদিন পরে ফিরলেন...।
ফেসবুকে লোকজন দেখি গুলশান এভিনিউ সিরিজ বন্ধের জন্য গ্রুপে আমন্ত্রণ জানায়। এইটা নাকি সব 'ছ্যাষ' করে দিচ্ছে। দেখি নাই কখনো।
ফেইসবুক গ্রুপটার খোঁজ পারলে দিয়েন, আমিও জয়েন করবো।![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আহ... বহুদিন পর! এতকাল বঞ্চিত রাখার পাপ মুছে দেওয়া পোস্ট। আপনার পোস্ট পড়েই নাটকটার এক পর্বে চোখ বুলাতে হচ্ছে।
নাটককে আমি সবসময় একটি শিক্ষামূলক সুকুমারবৃত্তি হিসেবে দেখি। দুঃখ হয় ইদানীংকার অবস্থা দেখলে।
কয়দিন ধরেই আপনার মন্তব্য খেয়াল করছিলাম। ভাল লাগছিল আপনি আসি আসি করছেন দেখে। আজ বোমা দিয়েই আবার শুরু করলেন।
রিভিউএর কথা আর কী বলবো। এরকম বিরক্তিকর কপি-পেস্ট নাটক নিমা রহমানের মত কেউ করতে পারে ভাবই যায়না। হয়তো টাকাই এখন সব। আমার টিভিতে বাংলাভিশন আর ইটিভি দুটোই আসে। গুলশান এভিনিউ মনে হয় বাংলা ভিশনে দেখায়। মাঝে মাঝে এমন হয় কোনটাতেই দেখার মতো কিছু পাইনা। বাংলাভিশন রেখে ইটিভিতে গেলেও প্রায়ই সময়ই দেখি এরকম পঁচা কিছু চলছে। ইটিভির যে এতটা পতন হয়েছে তা নতুন করে না দেখলে কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না।
হু বাংলা ভীষণে-ই দেখায়। ই-টিভি অনেকদিন দেখি না। আগে পছন্দই ছিল চ্যানেলটা।
নিমা রহমান সম্পর্কে আমারও ধারনা খারাপ ছিলো না। কিন্তু ওনার এই আচরণে বড়ই দুখ পাইলাম! যারা সংস্কৃতি নিয়ে সারাক্ষণ নাড়াচাড়া করেন তারাই যদি এরকম জিনিস পছন্দ করেন, তাইলে আর বলার কিছু নাই।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ভয়াবহ। আপনার পোস্টের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুদূর দেখার চেষ্টা করছিলাম। পুরনো একটা প্রশ্নই আবার মাথায় ঘুরছে। কত টাকা মেলে এমন একেকটা নাটক বানালে?
ভারতীয় সিরিজগুলোর আক্ষরিক অনুবাদ যেন।
আপনাকে আগেই সাবধান করা উচিৎ ছিলো, কিন্তু এগুলান ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা হলেই ভালো। তাই আর আটকাই নাই। যাই হোক এখন আর আমাকে নাটকের এন্টি ক্যাম্পেইনিং করতে হবে না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
জঘন্য একটা নাটক। আমি প্রথমে একদিন দেখা শুরু করলাম। হঠাৎ মনে হলো, কি জানি ঠিক নাই। পরে বুঝলাম। আরেকবার জঘন্য কই ...
শীত নিদ্রা শেষ হলো আপনার? এতো কম লিখেন ক্যান?
জার্মানীতে ৯ মাস-ই শীত। শীত নিদ্রা একটু লম্বা হওয়া অস্বাভাবিক না![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
কম লিখি না; মাঝে মাঝে লিখি, মাঝে মাঝে লিখি না -- হয়তো এইরকম।![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
লিখতে যখন শুরু দিছি, একেবারে জ্বালায় দিবো আশা করি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমার পরিচিত একজনের মুখে শোনা, নিমা রহমান নাকি কোন এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, "আমি যেহেতু উচ্চবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ে, তাই উচ্চবিত্ত ফ্যামিলির অভ্যন্তরীন পলিটিক্স নিয়ে আমার ভাবনার ফসল এই নাটক...।"!!!!
নাটকের একটা পর্ব দেখে আসলেই মার হিন্দি সিরিয়ালকে নতুন করে ঘৃণা করতে ইচ্ছা হয়েছে...
-------------------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
এইবার মেকআপের হিসেব খানিকটা মিললো, কিন্তু অভিনয়ে খিঁচুনীর প্রভাব সম্পর্কে ওনার ব্যাক্ষাটা শুনতে পারলে ভালো লাগতো![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
গুলশান এভিনিউ ভারতীয় সিরিয়ালের কপি না। এর নাট্যকার আপাদমস্তক ভারতীয়।
ভারত থেকে তাকে ধরে আনা হয়েছে এই সিরিয়াল লেখার জন্য।
নিমা রহমান এই সিরিয়ালের মূল কাণ্ডারী। তবে তিনি পরিচালক না। এতো সুক্ষ পর্যবেক্ষণে পরিচালকের নাম ভুল হলে কেম্নে কী?
এই ডেইলি সোপের পরিচালক "সৈয়দ আওলাদ"
এখন যে পর্বগুলো প্রচার হচ্ছে টিভিতে, এগুলো সৈয়দ আওলাদের পরিচালনার। যদিও তিনি গতমাসে এই সিরিয়াল থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছেন। সামনের পর্বগুলোতে হয়তো আসবেন নতুন পরিচালক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই আপনার মন্তব্য পেয়েও অনেক খুশী লাগছে। সচল ছেড়ে থাকা অনেক যন্ত্রণার![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
পর্যবেক্ষণে ভুল নাই মনে হয়। আমি 'পরিচালক' বলি নাই, বলেছি 'ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর' --- ঐটাই লেখা হয় ওনার নামের পাশে। পরেরটুকু অবশ্য আপনার থেকেই জানলাম, খুব ফলো করি না। রেখক সম্পর্কিত তথ্যটাও আপনিই দিলেন, ধন্যবাদ।
খুঁটিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
সৈয়দ আওলাদ, সৈয়দ দেলগীর ভাই ভাই।
দেলগীর ভাই, আপনিও একটা নামায়া ফালান... বারিধারা এভিনিউ![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কদ্দিন পর রে, ভাই! এতো লম্বা ডুব দিলে ক্যাম্নে কী!
লেখা নিয়া আর কী কমু! চ্রম জোশ পাইলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
গুরুজী আগে তো প্রণাম গ্রহন করুন। অধীর হইয়েন না গুরু, আরোও আসবে। এখন আমি রীতিমতোন বেকার জীবন যাপন করছি, সুতরাং আপনাদের জ্বালাইতে আর বাধা নেই।![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আপনার লেখা পড়ে খুব একচোট হাসলাম।
ঐটাই লেখার উদ্দেশ্য থাকে। আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হা হা হা হা আমিও এ নাটক টা দেখেছি, প্রথম দিকে কয়েকটা পর্বে সবার সাজগোজ শাড়ি, গয়না দেখতাম ফাস্ট ফরওয়ার্ড করে করে, এখন আর সেটাও হয়না। যদিও অভিনেতা অভিনেত্রীরা নামকরা তবুও গল্পের কোনো রিয়েলিটি নেই, আর ওদের মাথা ঘুরানো দেখাতে দেখাতেই এক একটা সিরিজ শেষ হয়ে যায়। তবে শাড়ি গয়না দেখার জন্য খারাপ না![খাইছে খাইছে](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/10.gif)
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার বোনও আগে এইসব ভারতীয় নাটক দেখার পক্ষে এই সাফাই টা গাইতো
হাহাহাহা....ভালো থাকুন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
নাটক তো এখন দেখার অযোগ্য। আরেকটা নাটকের কথা মনে পড়লো। স্বপ্নচুড়া। ঐটাতেও গথিক সিনেমার ভীতি দেখা যায়।
যথার্থ বলেছেন!
ঐটাকে আমি মাঝে মাঝে ভুল করে স্বপ্নপুরী বলে ফেলি! সাউন্ড টাউন্ড সব মিলিয়ে ঐটা আমার কাছে এরাবিয়ান নাইটস মনে হয়।
ভয়ঙ্কর নাটক ঐটাও সন্দেহ নাই!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
দেশে থাকতে আমার পরিবার/ নিকটজনদের কাছে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত ছিল, আর তা হল, আমি গল্পের বই পড়ছি, আর একটু পর পর খুট খুট করে হাসছি।
আজ অনেক দিন পরে, বিদেশের মাটিতে বসে আপনার লেখা পড়ে সেই আগেকার মত শব্দ করে হাসলাম....
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
খুবই সম্মানিত বোধ করছি![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
আমার বই কোনও একদিন আপনার হাতে দেখার আশা করছি
.... .... অবশ্যই ব্যপক হাস্যরত অবস্থায় ![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হ্যাঁ, একেবারেই হিন্দী সিরিয়ালের নকল। পার্থক্য শুধু ভাষায়। এই আর কি!
কি রে! কেমন আছিস![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
ভাষাটাও অনেকেরই জানা, সেই অর্থে হিন্দিতে নাটক করলেই পারতো, লোকে প্রশংসা হয়তো করতো যে বাংলাদেশী পরিচালক হিন্দি সিরিয়াল বানিয়েছেন!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ঘুম ভেঙ্গে আবার লেখা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় মসজিদ-উল-পোলাপাইন। আপনার রিভিউর ধরণ সম্পর্কে আগে থেকেই জানি বলে অসম্ভব আগ্রহ নিয়ে এই পোস্টটা পড়া শুরু করেছিলাম। না, মোটেও হতাশ করেন নি। আবারো ধন্যবাদ। তবে একটা বিষয় কি জানেন, এই রিভিউ পড়ার পর থেকে প্রথমবারের মত নাটকটি দেখতে ইচ্ছে করছে (আমি অবশ্য নাটকটির নামই জানতাম না)। ইচ্ছে আছে আপনার পোস্টটির প্রিন্ট আউট নিয়ে আমি আর আমার স্ত্রী বসব নাটকটি দেখতে। যেন বলতে পারি, "এই দেখ, এই দেখ, আরেফীন এই দৃশ্যটা নিয়ে এমনটা বলেছিলেন না"!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আনপার কমেন্টের মধ্যে অনেক "বলে", "না" এবং "তবে" পড়তে পড়তে বার বার ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম যে, হয়তো আপনার ভালো লাগে নাই! শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেলাম![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
আপনাকে আর আপনার স্ত্রীকে আবারও পড়ার আমন্ত্রণ (যদিও দরকার নেই) জানিয়ে রাখলাম। বেশিক্ষণ নাটকটা না দেখাই ভালো, বুকে ব্যাথা হয়।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
নাহ দীর্ঘ বিরতি দিলেও, আপনার লেখার আগের মতোই সুস্বাদু আছে।
লেখার জন্য শুক্রিয়া...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা, "নাহ্" দিয়ে কথা শুরু করেন ক্যান? ভয় পেয়ে যাই!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
কমেন্ট-টা অতি ভালো লেগেছে শেষ পর্যন্ত
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ইয়া হাবিবি... আইলেন শ্যাষ পর্যন্ত।
নাটাকটা দেখিনাই। ইচ্ছাও নাই। আপনার কল্যানে গল্পটা জানা হলো।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আইলাম, বলছিলাম না, থিসিসটা শেষ করেই আসবো? এহন আইছি
আপনার পিচ্চি কেমন আছে? ভাবী সাহেব?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
এট লাস্ট! চলতে থাকুক...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
তথাস্ত!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
বুইড়া আঙুল কেমনে জানি লাগায়!
চ্যানেল বদলাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে এই স্লো মোশন আর দ্রিম দ্রিম চোখে পরে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত ফ্যামিলিগুলো এরকম নাকি?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
জানি না; আমার নিজের উচ্চবিত্ত হওয়া ছাড়া আর জানার উপায় দেখি না![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
যাদের লেখা পড়ার জন্য উম্মুখ হয়ে বসে থাকি, তাদের মধ্যে আপনি একজন আরেফীন ভাই।![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
বহুউউউউউ দিন পর লিখেই মনটা ভালো করে দিলেন।
আর যাইয়েন না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
আমি আসলে কোথাও যাই নাই, তবে আরেকটু নিয়মিত লিখতে চেষ্টা করবো।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
লেখকের মন্তব্যের সাথে একমত না হয়ে উপায় নাই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ জাতীয় বস্তাপচা নাটক বাংলা চ্যানেলে দেখানোতে আমাদের মা বোন ভাতিজি ভাগ্নিরা ২০ মিনিট হলেও হিন্দি চ্যানেল রেখে বাংলা চ্যানেল দেখছেন।
আসলে আমাদের রূচির অধপতন ঘটেছে। নির্মাতাদের মুন্ডুপাত করে লাভ কি বলুন। যেই নাটক যত জটিল ও সন্দেহ-অবিশ্মাসে পরিপূর্ণ সেই নাটক তত হিট। এসব দেখে আজ আমাদের বউ ঝি রা কেউ কারও উপর আস্থা পর্যন্ত রাখতে পারছে না। সত্যি, বড়ই দুক্ষজনক।
নারী জাতি হয়ত আমার এই কথা শুনে ক্ষেপে যাবেন, তবুও বলছি। এই কথা আমি আমার বাসায়, আত্মীয়দের ও বলেছি, কোনো লাভ হয়নি। তাও বলছি। সুস্থ সুন্দর নাটক দেখুন। জীবনকে জটিল করে ভাববেন না। জটিলতার প্রতি দূর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসুন। সব কিছু সহজ ভাবে ভাবুন। দেখবেন জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর।
ধন্যবাদ। আমার ধারণাকে কেউ ভুল প্রমাণ করে দিলে খুব ই খুশি হব।
আপনার সাথেও একমত না হয়ে উপায় নেই![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
যেহেতু হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম তাই পপাত ধরণীতলের কোনো ছবি দিলাম না। বাংলা নাটক দেখে প্রচুর সময় নষ্ট হয়, এগুলো দেখা বাদ দেন
:):
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
ঠিক আছে![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দারুন একটা রিভিউ আরেফীন ভাই![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
এটাকে শ্রেফ একটা নির্দোষ বিনোদন হিসাবে দেখে এর প্রভাব শুধু টিভি পর্দায় সীমাবদ্ধ রাখলে হয়ত কোনো সমস্যা নেই। আমরাতো মাঝে মাঝে Action ছবিও দেখি। এর মানেতো এটা নয় যে, আমরা পিস্তল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি, বোমা মেরে শত্রুকে ঘায়েল করতে চাই। এটাকেও সে রকম কিছু ভাবতে পারা যায় কী? আমি নিশ্চিত নই যে, আমাদের নারীরা তাদের বাস্তব জীবনেও নাটকের আদলে চর্চা করেন বা করতে চান। এটা কেবলই এক ধরণের কৃত্রিম নাটকীয় দৃশ্যপট, "sort of female thriller"...
তবে সমস্যা হলো এটার ধারণা ও পরিবেশনা পাশের দেশ থেকে আনা। এরকম অনেক কিছুই তো আমরা আনছি। সেগুলোতো ভালই চলছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরণের নাটক নিয়ে সমালোচনা/ব্যঙ্গ বিদ্রুপ খোদ পাশের দেশেও হয়, ঠিক যেমনটা আমরা করছি।
--আপনিই কিন্তু বলে দিলেন! ঐ জন্যই আমরাও সমালোচনা করছি![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
নাটুকেরা নাটক বানাবেন আর আমরা দর্শকেরা আলোচনা আর সমালোচনা চালিয়ে যাবো, এটাই বোধহয় সাহিত্য সংস্কৃতির চালিকা শক্তি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
সুজন, তোর লেখার প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। আমি শুধু বল্ব-"আমি বাক্যাহত"।
চালিয়ে যা দোস্ত!
কত্তোদিন পর লিখলেন! মাঝখানে আপনাকে আসলেই অনেক স্মরণ করেছি। আমি যখন অতিথি হিসাবে লিখতাম, তখন আমার একটা গল্পে আপনি কমেন্ট করেছিলেন (এখনো মনে আছে)।![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
এরপর আপনার দুর্দান্ত সব হাসির পোস্ট পড়ে আপনার ব্যাপক ফ্যান হয়ে গেছি। এজন্যই আপনার অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে অনেক।
রিভিউ খুব... খুব ভাল্লাগল।
আপনার সব লেখা ই ভাল লাগে তবে এটা পড়এ হাসতে হাসতে গড়আ গড়ই খেলাম, এই নাট্কটা মাঝে মাঝেই দেখতে হয় বুয়ার কারণে--আগে বিরক্ত হয়ে দেখ্তlম এখন থেকে একটা ভিন্ন জিনিস মাথায় নিয়ে দেখব! বেশি বেশি লিখবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
দেশব্যাপী হিন্দি সিরিয়ালগুলোর মহামারী আকারের বিস্তার দেখে একসময় সত্যিই খুব আতঙ্কিত হতাম; আর গর্ব হতো আমাদের নিজস্ব নাটকগুলো নিয়ে। আমাদের দেশের নাটকগুলো অনেক অনেক গুনে ভালো ছিলো কোনো সন্দেহ নাই। যদিও অত্যাধিক চ্যানেলের কল্যাণে অগণিত নাটকের মধ্যে সবগুলোই যে খুব উঁচুমানের না সেটাও বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবুও সেগুলো অন্তত হিন্দি সিরিয়ালের অসুস্থ কাহিনীর চে' ভালো ছিলো। কিন্তু 'গুলশান এভিনিউ' আমার সেই স্বস্তিটুকুও কেড়ে নিয়েছিলো। আমি ২/১ পর্ব দেখেছিলাম। প্রথম খুঁজে পাই চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতেই। দেশী চ্যানেলগুলো সব এক সিকুয়েন্সে রাখা ছিলো, তাই হঠাৎ কেমন উৎকট সাজের মহিলা এবং রংবেরঙের দেয়াল দেখে আঁতকে উঠেছিলাম; এই ভেবে যে বোধহয় স্টার প্লাস চলে এসেছে! কিন্তু তারপর দেখলাম বাংলাতেই হিন্দি সিরিয়ালের কাহিনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। সেই একই কাহিনী বিহীন পর্ব, কয়েক সেকেন্ড পরপর বজ্রপাতের শব্দ, মুহুর্মুহু জুম ইন আর জুম আউটের অত্যাচার! কুটিলতায় ভরা এসব কাহিনী সুস্থ মানুষেরা কিভাবে হজম করেন তা জানার একটা বিশেষ কৌতুহল ছিলো আমার। পাঁচ মিনিটও যা সহ্য করা কঠিন, তা অনেককেই দেখেছি বছরের পর বছর দেখতে।
আপনার লেখাটা আবারও অসাধারণ লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের সাথে আমি যে একমত সেটা না বললেও বোধ করি বুঝে গেছেন![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
ভয়ঙ্কর ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে,ইদানিং আবার এই জাতীয় নাটক (!) বেশ দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু টিভি ,চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। যারা হিন্দি সিরিয়াল নামক বস্তুটি গিলেন এবং বাংলা নাটককে 'নন-গ্ল্যামারাস' বলেন,তারা আবার এইসব নাটক(!) দেখেন,এগুল যদি চলতেই থাকে,তবে আমরা যারা বাংলা নাটক নিয়ে গর্ববোধ করি তাদের জন্য তবে তা হবে অশনি সংকেত।
গুলশান-১ এ স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার এর কাছে নিমা আপার রেস্টুরেন্ট "Catalina Island" এর পুরো এক্সটেরিয়র-ইন্টেরিয়র ডিজাইন করেছিলাম। কন্সট্রাকশন শুরু করার পর টাকা পয়সা নিয়ে এমন ইতরামী কর্ল কী আর বলব ! উনার সাগরেদ এক প্রযোজক আছে, সেই ব্যাটার নাম তুহিন বড়ুয়া। ইনার যে মিডিয়াতেই ব্যপক কুখ্যাতি আছে সেটা আমার জানা ছিল না। ইনিই হলেন আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে খাচরামীর মূল হোতা
। একটা পয়সাও দেননি ইনারা, একেবারে পণ্ডশ্রম - অথচ তাদের রেস্টুরেন্ট কিন্তু এখন ঠিকই ব্যবসা করছে পুরোদমে।
ক্ষমা চাইছি সবার কাছে অপ্রাসংগিক কথা বলার জন্যে, কিন্তু দু:খটা শেয়ার না করে পার্লাম্না।
অকুতোভয় বিপ্লবী
এই না হলে রিভিউ!
অনেকদিন পর হাসতে হাসতে খাডের তলে হান্দাইলাম।
বাংলায় একটা শব্দ আছে, "বিবমিষা"। নাটকটা দেখলে আমার ঐ শব্দটার কথা মনে পড়ে।
নতুন মন্তব্য করুন