বুয়েটে পড়ার সময়কার ঘটনা। ছুটির দিন লিভিংরুমে বসে টিভি দেখছিলাম। আমার ছোট চাচার ৭/৮ বছরের মেয়েটা তখন আমার পাশে বসা। হঠাৎ সে বলে উঠলো, ‘আমাদের টিভিটা নষ্ট, রং আসে না’। আমি যদ্দূর জানতাম, ওদের বাসায় কোনও রঙীন টিভিই নেই। বোনের কথা শুনে ভাবলাম হয়তো চাচা নতুন টিভি কিনেছেন। জিজ্ঞেস করলাম, নতুন টিভি কিনেছে কি না।
-না না আমাদের আগেরটাই
-ওটা কি কালার টিভি?
-হু, আব্বু বলছে
-ও। কিন্তু আমি জানতাম ওটা সাদাকালো।
-না না। আব্বু বলছে টিভিটায় প্রবলেম হইছে, তাই অল্পের জন্য রং আসে না। ঠিক করাতে হবে।
ঘটনা সম্পর্কে কৌতূহল হওয়ায় চাচার কাছেই বৃত্তান্ত জানতে চাইলাম। শুনলাম, চাচার পক্ষে সহসাই রঙীন টিভি কেনা সম্ভব নয়; এদিকে মেয়ে সারাক্ষণ সাদাকালো টিভি নিয়ে অভিযোগ করে। তাই তিনি মেয়েকে বুঝিয়েছেন, টিভিটা আসলে রঙীন-ই, কোথাও কোনও সমস্যা হয়েছে, তাই রংটা আসি আসি করেও আসে না।
আমাদের দেশের শিশুরা এরকম আরোও অনেক মিথ্যের মাঝেই বড় হয়। আমিও অনেকদিন পর্যন্ত জানতাম গ্যাসবেলুন হাত ফস্কে উড়ে গেলে ইন্ডিয়া চলে যায়। দাঁত পরে গেলে সেটাকে ইদুরের গর্তে পূতে রাখার পরামর্শও মায়ের কাছেই শুনেছিলাম। এতে নাকি সুন্দর দাঁত গজায়! পোলাপানদের প্রশ্ন যতো জটিল বা ক্রিয়েটিভ হতো, সেটার উত্তর দিতে বাবা মা-ও ততোটাই সৃজনশীল মিথ্যের আশ্রয় নিতেন। বাচ্চা কিভাবে হয় - এই প্রশ্ন ছিলো সেইসব জটিলতম প্রশ্নের অন্যতম। তবে এসবের চে’ অনেক বড় মিথ্যের সাথে জাতিগতভাবে আমাদের বসবাস -- আমাদের জন্মতারিখ। আমাদের প্রজন্মে এমন একজনকে পাওয়া কঠিন হবে যার প্রকৃত জন্মতারিখ আর কাগজ-কলমের জন্মতারিখ এক। এ নিয়ে বিরম্বনাও কম হয় না, তবে প্রবাসে আসার আগে এই বিরম্বনার বিষয়ে কারোই সম্যক ধারণা হয় না।
২০০৩ সালের ঘটনা। আমি আর আমার ইউনিভার্সিটির এক জেষ্ঠ্য ভাই একসাথে গেছি জার্মানীতে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য। হঠাৎ দেশ থেকে খবর আসলো যে, বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার্থে আগত মেধাবীদের (?!) শতকরা ৭৫ ভাগ হারে তাদের যাতায়াত ভাড়া ফেরত দেবে সরকার। শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলাম। বাপের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে বিদেশে এসেছি। কিছুটা যদি ফেরত দেওয়া যায় তো ক্ষতি কি?
আমরা কাগজ-পত্র জোগাড়ে নেমে পড়লাম; আমাদের দেশে যেকোনও সরকারী কাজে কি পরিমান কাগজ-পত্রের দরকার সেই ফিরিস্তি না দিলেও সবাই সেটা অনুমান করতে পারেন। পৃথিবীর ইতিহাসের ব্যবচ্ছেদ করলে যেমন প্রস্তর যুগ, ইস্পাত যুগ, ব্রোন্জ যুগ ইত্যাদি পাওয়া যাবে, বাংলাদেশের ঐরকমের ব্যবচ্ছেদ করলে, আমার ধারণা, ‘কাগজ যুগ’ বলে একটা আলাদা যুগের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যাবে না। এই যুগটাই সবচেয়ে দীর্ঘ এবং অদ্যবধি বিরাজমান। এই যুগ থেকে সহসা বেরুনোও আমাদের পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় না। ফেরাউনের আমলে যদি বাংলাদেশ থাকতো তাইলে নীল-নদ শুকানোর জন্য মুসার মোজেজা লাগতো না, আমাদের সরকারী দপ্তরের কাগজ সব একত্রে ঐ নদীতে ফেলে দিলেই পুরা নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেতো!
যাহোক, আমরা বাংলাদেশ সরকারের টাকা ফেরতের অফার ধরার জন্য মরিয়া হয়ে কাগজ পত্র রেডি করতে লাগলাম। এরই মধ্যে প্রয়োজন হলো একটা রেকমেন্ডেশন লেটারের যেটা ইউনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পাঠাতে হবে। আমরা যে পড়াশুনার প্রতি বিশেষ নজরবান সেটা সত্যায়িত করে ওনাদের চিঠি দিতে হবে। রেকমেন্ডেশন লেটারের জন্য গেলাম ডিপার্টমেন্ট হেড মার্থির কাছে। মার্থি জানতে চাইলো জন্মদিন কবে? এখানে বলে রাখি, আমার প্রকৃত ডেট-অব-বার্থ জানুয়ারীর ১০ তারিখ হলেও সার্টিফিকেটে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেটাকে ১ তারিখ করা হয়েছে। বিদেশে আসার পর থেকে জন্মদিন ১ তারিখ বলাটা সকাল বিকেল প্র্যাকটিস করতাম। কারণ কেউ জন্মদিন জানতে চাইলেই আড়াই দশক ধরে বলা ১০-তারিখটা বেপরোয়াভাবে মুখে চলে আসতো। যাহোক মার্থির প্রশ্নের জবাবে আমি বললাম, "এক এক আটাত্তর।" মার্থি চোখ গোল করে বললেন: "বাহ্ অসাধারণ! তুমি বরাবর জন্মদিনের ছুটি পাবে, বছরের প্রথম দিন তো ব্যাঙ্ক হলি-ডে!" যেহেতূ জন্মদিনটা ভূয়া, সেটা নিয়ে আমার উত্তেজিত হবার কোনও কারণ ছিলো না। আমি মৃদূ হেসে "হ্যাঁ" বললাম। কিন্তু সাথে সাথেই টের পেলাম এই প্রতিক্রয়ায় মার্থি খুশী না; এরকম তারিখ-এ জন্মেও এতো অল্প করে হাসলাম, এটা সে মেনে নিতে পারলো না। পাছে নকল জন্মদিনের বিষয়টা ধরা পড়ে যায় সেই ভয়ে আমি তৎক্ষণাৎ যথাসম্ভব চওড়া একটা হাসি দিয়ে বললাম, "এ্যমেজিং, তাই না!" মার্থি এবার একটু আস্বস্ত হলো। সে পাশে দাঁড়ানো আমাদের কোর্স কো-অর্ডিনেটরকেও জন্মদিনের বিষয়টা অবহিত করলো। এবং তিনি হাসিমুখে আমার দিকে "থাম্বস্ আপ" করলেন - মনে হলো পহেলা জানুয়ারীতে জন্মানোটা আমারই ক্রেডিট। আমার পরেই দীপন ভাইয়ের পালা। ওনার লেটার লিখতে গিয়ে আবারও মার্থি প্রশ্ন করলো: “তোমার ডেইট অব বার্থ?”
আমি মনে মনে দোয়া করছিলাম যেন দীপন ভাইয়ের জন্মদিন আমার মতোন ফলস না হয়, আর হলেও যেন সেটা পহেলা জানুয়ারীর ধারে কাছে না আসে। খোদার মনে দয়া হলো না। দীপন ভাই হাড়ি ভাঙ্গার মতোন আওয়াজ বের করলেন: "আমারও এক এক আটাত্তর!"
মার্থি যেন ঠিক শুনলো না বা শুনলেও বুঝে উঠতে পারলো না। শিওর হবার জন্য আবার জিজ্ঞেস করল। দীপন ভাইকে খানিকটা হতবল মনে হলো। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম যে, ওনারটাও আমারই মতোন ভুয়া। শেষে আবার আসল জন্মতারিখ মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে, এই ভয়ে দীপন ভাই দ্রুত ঘাড় নেড়ে বললেন ‘পহেলা জানুয়ারীই, আমি শিওর’! মার্থি এবারে ক্রস চেক করার মতোন করে আমাকে দেখিয়ে বললেন, ওর আর তোমার জন্মদিন একই বছরের একই দিনে?! দীপন ভাই মরিয়াভাবে হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। এইবার মার্থির চোখ কপালে উঠলো। ওর চেহারা দেখে মনে হলো, এতো বড় চমকের জন্য সে ঠিক প্রস্তুত ছিলো না। সে চিৎকার করে বলে উঠলো, ডিপার্টমেন্টের দুইজন মাত্র বাংলাদেশী স্টুডেন্টের দুইজনেরই জন্মদিন একই দিনে, তাও আবার ফার্স্ট অব জানুয়ারী ১৯৭৮?!! তার সাথে সাথে আমাদের কোর্স কো-অর্ডিনেটরের চোখও দেখলাম এন্টাসিডের মতোন গোল হয়ে আছে। আমাদের জন্মদিন সংক্রান্ত তথ্য তাদের দুজনকেই তড়িতাহতের মতোন ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে হলো। মার্থি চিৎকার করে লোক জড়ো করার আগেই আমরা 'তাড়া আছে' সূচক ভাব করে ওর অফিস থেকে বের হলাম। ফিজিক্সের টিচারেরা কোনও বিষয়েই অবাক হতে জানেন না। এই লোক ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের হেড। এতদসত্বেও আমরা দুই আদম সন্তান আজকে ব্যাটাকে যেইরকম ভড়কে দিয়েছি, তাতে মনো হলো, মাত্র তিন যুগ পুরোনো আমাদের জন্মনিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির চাইতেও চমকপ্রদ! ফলে, জন্মদিন নিয়ে গর্ব করবো নাকি লজ্জিত হবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না!
করিডোরে এসে দীপন ভাই অপরাধীর মতোন চেহারা করে বললেন, "কি যে অবস্থা! শালার হাইস্কুলের টিচারদেরও কোনও আক্কেল নাই। দিবি তো দে' এমন ডেট-ই দিছে যে মাইনষের সামনে বেইজ্জতি হবার অবস্থা।" বললাম, “বস, সব সায়েন্স ফিকশন ছবিতেই দেখি এলিয়েনদের সবার চেহারা একরকম হয়। আমাদের দুইজনের চেহারা না হোক, জন্মদিন তো এক; আমরা সম্ভবতঃ দূর্বল জাতের এলিয়েন!”
ক্রমেই বিদেশের মাটিতে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ‘জন্মদিন’ আর ‘ইসলামী জঙ্গীবাদ’ আমার কাছে সমান ভীতিকর হয়ে উঠলো। ফলে বিভিন্ন সময়ে অফিসে কলিগরা এর-ওর জন্মদিন নিয়ে যখনই টুকটাক কথাবার্তা শুরু করতো, কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যেতাম বা প্রসঙ্গ ঘুড়িয়ে দেবার চেষ্টা করতাম। জন্ম-নিবন্ধীকরণ আইনের অভাবে এতোদিন ধরে আমাদের দেশে বয়স কমানোর যে চর্চা হয়েছে তা অনৈতিক হলেও সরকারী চাকুরীর বয়স ধরার অজুহাতে সেটা ক্ষমা করা যায়। কিন্তু তাই বলে ৭৬ বা ৭৭ সালে জন্ম নেওয়া শতকরা ৮০ ভাগের জন্মতারিখ পহেলা জানুয়ারী, ১৯৭৮ হবে -- এই অনাচার মেনে নেওয়া যায় না। এটা স্রেফ মিথ্যাচার নয় বরং জাতি হিসেবে আমাদের চিন্তার দীনতা প্রকাশ করে।
আমাদের দেশে জন্মতারিখটা কেবল জন্মদিন পালন করা ছাড়া এসএসসি পরীক্ষার আগে আর তেমন কোনও কাজে লাগে নাই। ফলে যখন সেই পরীক্ষা সামনে আসতো তখনই এই বয়স জুটিয়ে দেবার কাজটা সাগ্রহে সম্পাদন করতেন আমাদের হাইস্কুলের শিক্ষকগন। অসম্মান করছি না, শুধু আফসোস হয় যে, উনাদের মস্তিষ্কের Random Function-টা কিঞ্চিত দূর্বল ছিলো!, প্রশ্নব্যাঙ্কের যুগে এসে, আমরা যখন হাজার হাজার প্রশ্ন মুখস্ত করতে ব্যস্ত তখন আমাদের কিছু অতি বুদ্ধিমান বন্ধু দেখতাম পাইকারী হারে সকল প্রশ্নের উত্তর ‘খ’ অথবা ‘গ’ দিয়েও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে যেতো! এই ছিলো আমাদের শিক্ষকদের Random Function এর হকিকত। এই কারণেই জন্মদিন ধার্য করার সময়েও ১ থেকে ৩০ এর সুবিশাল রেঞ্জের মধ্যে থেকে বারবার ওনাদের মনে ধরেছে ১ তারিখটাই।
যাহোক বহুদিন পরে সেদিন হঠাৎ বর্তমান কর্মস্থলের এক কলিগের সাথে জার্মানীর একটা সরকারী অফিসে গেছি টুকিটাকি কাজে। সেখানেও আমাকে জন্মদিন ঘোষণা করতে হলো। আমি কাঁচুমাচুভাবে জন্মদিনটা বলেই সেটার প্রতিক্রিয়া সামাল দেবার জন্য মানসিকভাবে রেডি হচ্ছিলাম। কিন্ত আমাকে অবাক করে দিয়ে অফিসের সেই ভদ্রলোক মৃদূ হেসে বললেন: ‘হুমম,ওকে’। আরোও অবাক হলাম আমার কলিগও কোনও উচ্চ্যবাচ্য করলো না দেখে।
আমি অবশ্য যথেষ্ট স্বস্তি বোধ করছিলাম এই ভেবে যে, জন্মদিন হিসেবে ০১.০১.৭৮ তাহলে তামাদি হয়েছে। আজকাল অবাক করার মতোন আরও বিষয়-আশয় তৈরি হয়েছে - মঙ্গল গ্রহে মানুষ যাই যাই করছে, দেখি দেখি করেও অল্পের জন্য সত্যিকারের এলিয়েন দেখা হচ্ছে না; এমন যখন পরিস্থিতি, তখন সামান্য একটা জন্মদিন নিয়ে মাথা ঘামানোর দিন শেষ! কিন্তু আমার এই স্বস্তির ভাবটা বেশীক্ষণ স্থায়ী হলো না; একটু পরেই আমার নাম ডাটাবেইসে ঢুকানো শেষ করে অফিসার লোকটা ক্রস-চেকের জন্য ডাটাবেইস খুললেন। আর কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়েই আমার সকল স্বস্তি তীরোহিত হলো -- সেখানে মোহাম্মদ-যুক্ত যতো লোক আছেন তাদের ২/১ জন বাদে অধিকাংশের জন্মতারিখ ০১/০১/১৯৭৮! ছোটবেলায় টিচার শাস্তি দিয়ে একশোবার নিজের নাম লিখতে বললে ব্লাকবোর্ডের যেই চেহারা হতো মনিটরের চেহারা তখন সেরকম। এই অভাবনীয় দৃশ্য দেখে আর কাহাতক চুপ থাকা যায়। অফিসার লোকটা হেসে বললেন, "এদেশের সরকারী ডাটাবেইসে যখনই কারও সম্পর্কে তথ্য খোঁজার দরকার হয় তখন লোকটা বিদেশী হলেই আমরা জন্মদিন দিয়ে ফিল্টারিং করি - এতে করে পরিশ্রম কমে যায়, দেখা যায় অধিকাংশ বিদেশীর জন্মদিন-ই এক্সাইটেড হবার মতোন কোনও দিনে!" দেখলাম, নামগুলোর পাশে দেশের কলামে মূলত আমরা আর আমাদের মতোই আরোও কিছু গরীব দেশ।
আমার জন্মতারিখের বিষয়টা এদের ২ জনের কারো কাছেই এক্সাইটিং না হবার কারণও জানলাম। ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে জার্মানীতে ইমিগ্র্যান্ট জিয়্যুশদের আরোপিত নামকরণ হতো -- অনেকটা আমাদের আরোপিত জন্মতারিখের মতো। কারণ অফিস আদালতে ব্যবহারের জন্য প্রত্যেকের একটা লাস্ট নেইম থাকা আবশ্যক হলেও ইহুদিদের সেরকম কোনও ফ্যামিলী নেইম (বা লাস্ট নেইম) ছিল না। তাদের ফ্যামিলী নেইম হতো "অমূকের ছেলে" বা "তমূকের মেয়ে" ইত্যাদি; যেমন করিম-বিন-সাত্তার, অর্থাৎ সাত্তারের ছেলে করিম। এরকম ফ্যামিলি নেইম অফিসে ব্যবহারের উপযোগী নয়। সুতরাং তাদেরকে ধরে ধরে পারিবারিক নাম দেওয়া শুরু হলো। নামকরণ বাবদ যারা ৭০ ডয়েস-মার্ক খরচা করতে প্রস্তুত ছিল তারা ভালো একটা ফ্যামিলী-নেইম পেত। "জোনেনব্লুমেন (বা সূর্যমুখী)", "মরগেনটাউ (বা ভোরের শিশির)" অথবা "ব্লুমেনটাল (বা ফুল-বাগান)" ছিল এরকম ভালো কিছু নামের উদাহরণ। যারা এই পরিমান অর্থের জোগান দিতে ব্যর্থ হতো, তাদের কপালে জুটতো, "এজেলকপ্ফ (খচ্চরের মাথা)", "রিন্ডসকপ্ফ (গরুর মাথা)" বা "গালগেনস্ট্রিখ (ফাঁস)" - জাতীয় অবমাননাকর লাস্ট নেইম।
বিদেশে এসে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সাথে আমাদের নিজেদের খানিকটা মিশেল ঘটে। কথা-বার্তায় বা আচার আচরণে সামান্য পরিবর্তনও এই দীর্ঘ বসবাসেরই ফল। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের মাত্রা কিঞ্চিৎ বেশী থাকে। একবার এক ইন্ডিয়ান সুপার শপে জনৈক বাদামী চামড়া বিশিষ্ট ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন আপনি বাঙালী নাকি। হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। পরিচয়পর্বের সময় নিজেকে উনি ‘উলে’ বলে পরিচয় দিলেন। আমার বাংলা ডাটাবেইসে খুজে পেতে এই শব্দটার কাছাকাছি কোনও পরিচিত বাংলা নাম পেলাম না। ফলে উলে নামটাকে ‘সম্ভবতঃ বিদেশী নাম’ বলে ধরে নিলাম। পরে অবশ্য জেনেছি নামটার বাংলা তরজমা হচ্ছে ‘উল্লাহ্’। নিজের নামকে বিদেশী ফ্লেবার দেবার এরকম প্রচেষ্টা তখন আমাকে হতাশ করেছিলো। ঘটনাটা উল্লেখ করা দরকার মনে করলাম এই জন্য যে, ইংরেজরা আমাদের ২০০ বছর শোষন করেছে। জার্মানদের মতোন যদি ব্রিটিশ বেনিয়াদের মাথায় নামবিক্রীর আইডিয়াটা চলে আসতো তাহলে গোটা দেশ মাইকেল মধুসুদন এর মতোন, মাইকেল সালাম, রবার্ট মোখলেস বা মোহাম্মদ ক্লাইভ জাতীয় নামে ছেয়ে যেতো। আমাদের পাশ্চাত্য প্রীতির ভালো সদ্ব্যাবহারই করতো বেনিয়ারা। বাঙালী হয়তো জমিও বেচে দিতো ভালো একটা নামের জন্য। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমরা জার্মান ইহুদীদের চেয়ে ঢের ভাগ্যবান!
মন্তব্য
হে হে - আমার কিন্তু কাগজে এবং অকাগজে একটাই জন্মতারিখ!
ও দাদা, "বাবা কেন চাকর" বা এরকম কোন একটা সিনেমার রিভিউ লিখেন না .........
কংগ্রাচুলেশনস!!
ঐটার রিভিউ করতে গেলে তো সিনেমা টা দেখা লাগবে। সেই আযাব তো সহ্য করতে পারবো না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
"হে হে - আমার কিন্তু কাগজে এবং অকাগজে একটাই জন্মতারিখ!"
ওটাতো সবাই বলে!!
জন্মদিনের বিড়ম্বনায় না পড়লেও আমারও সার্টিফিকেটে ডেট অব বার্থ ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
এইটা খানিকটা স্বস্তিকর, ৩১ সে ডিসেম্বর হইলে বেশী লজ্জার হইতো, সবাই আপনারে নিউইয়ার বেবি বলে ডাকতো, আপনি খুশী হইতে পারতেন না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
- হাই ইশকুলের জনাব স্যার মহোদয়েরা আমার জন্মদিনরে অন্য মাসের অন্য তারিখে নিয়া গেছে। তবে জানুয়ারির পয়লাতে ফেলায় নাই সেইজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইটাই। অ-অশেষ কৃতজ্ঞতা!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমার এক সহকর্মীর প্রায়ই ব্যাঙ্কক যেতে হয় ব্যবসার কাজে। সে লক্ষ্য করেছে যে ইমিগ্রেশনের লোকজন ঢাকা থেকে নানা জাতের ফ্লাইট এলে বোর্ডিং ব্রীজে হাজির হয় এবং শার্লক হোমসের চোখ দিয়ে কে জেনুইন আর কে জেনুইন না বোঝার চেষ্টা করে। দু'একজন কে আলাদাও করে ফেলে, তার পর কার কি হয় জানা নাই, তবে ধারনা করা যায় যে সুখকর কিছু না।
তাকে যেবার আলাদা হতে হলো, সেবার নানা ভাবে তার পাসপোর্ট পরীক্ষার পর তাকে ছেড়ে দেয়াও হলো। ক্ষোভে সে যখন জিজ্ঞাসা করলো এর অর্থ কি। বিচারক তাকে উত্তর দিয়েছিলো যে ঢাকা থেকে আসা দুশো সিটের প্রায় প্রতি প্লেনের মোটামুটি অর্ধেকেরই জন্ম যদি পহেলা জানুয়ারী হয় তবে সে দেশের পাসপোর্ট পরীক্ষার দরকার আছে বৈ কি। বলা বাহুল্য যে তারো জন্ম তারিখ পহেলা জানুয়ারী।
এই ভেবে স্বান্তনা পাওয়া যেতে পারে যে যেহেতু ডেথ সার্টিফিকেটের উপর সার্জ়ারি করার সুযোগ নেই, সেহেতু...
মন্তব্যে
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
মজার লেখা
আমার লাইফে এই একটা কাজ একটু বুদ্ধিমানের মত হইছে ... জন্মসাল বদলাইলেও তারিখ বদলাই নাই ... আশেপাশের অনেকে যেখানে চোদ্দ বছর দুই দিন, চোদ্দ বছর এক মাস এক দিন জাতীয় বয়সে এসএসসি দিছে আমারে সেখানে চোদ্দ বছর পাচ মাস নিতে দিতে হইছে, আমার কোন আফসোস নাই
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এইটাও Randomly হইছে! আপনি লাকি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ভিয়েতনাম ওয়ারের সময় ওদের জনসংখ্যার একটা বড় অংশের জন্মনিবন্ধন হারিয়ে গিয়েছিল। পরে সবাইকে গণহারে ১/১ তারিখে জন্ম দেয়া হয়েছিল। এক ভিয়েতনামিজ ডাক্তারের কাছে গল্পটা শুনে আশ্বস্ত হলাম। ঘটনা ঠিক মত বুঝিয়ে বলে এই নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারতেন বেশ, আপনাকে এত বিব্রত হতে হতো না
উপায় নাই। ওদের কাছে এর একটা ব্যাক্ষ্যা আছে, ওরা মনে করে গরীব দেশের নানান দূর্নীতির আরেকটা হইলো জন্মদিন জালিয়াতি।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ভার্সিটিতে সেকেন্ড সেমিস্টারে একবার সিদ্ধান্ত হইলো, আমরা ক্লাসের সবার জন্মদিন পালন করবো। তাহলে মোটামুটি বছরে ৮০ দিনই ভাল খানা-দানা করা যাবে ।
কিন্তু এই উদ্যোগ ভেস্তে গেলো যখন আবিষ্কার করলাম ৭০% স্টুডেন্টের জন্মদিন হয় ১লা জানুয়ারী নয়তো ৩১শে ডিসেম্বর।
একাডেমিকভাবে না করলৈই হয়! আসলটা দিয়ে করতেন!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হে হে আমার স্যাররাও বয়স কমিয়ে দিছে। তবে তারিখের জায়গায় দিছে মাসের এক্কেবারে শেষ তারিখটা । ৩১ অক্টোবর।
বয়স বাড়ানোর নজিরও কিন্তু আছে! হায় সেলূকাস! কি বিচিত্র এই দেশ! যেইটা দরকার সেইটাই বয়স করা হইছে। মূদ্রার যেমন শুধু ২টা সাইড থাকে, আমাদের টিচারদেরও ঐরকম স্রেফ ২টা অপশন মাথায় খেলতো। নয় মাসের শূরু নইলে শেষ। মাঝখানে থাকলে মাথা খাটাইতে হয়, কি দরকার?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
খুবই ভাল লাগলো লেখাটা!
অ-নে-ক ধন্যবাদ সিরাত
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হে হে আমারডা ৩১ শে ডিসেম্বর দিছে । এইহানে সবাই কয় 'নিউ ইয়ারস ইভ বেবি' আমিত আর আসল কথা কইতে পারিনা আবার সইতেও পারিনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমাদের কারুরই জন্মের ঠিক নাই
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
এই ব্যাপারে আমার বাবার অনড় মত, বয়স যতো ইচ্ছা ততোই হোক, দিন তারিখ পালটানো যাবে না।
বাবার ইচ্ছাতেই সত্যিকারের দিন তারিখ সব জায়গাতে দিয়েছি। এই জিনিশটা এখন বেশ স্বস্তিদায়ক। আমার আশে পাশের সবাইকে যখন চিন্তা করে জন্মদিন লিখতে হয়, আমি লিখে ফেলি চোখ বুঁজে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এখন আমাকে আর চিন্তা করতে হয় না। কঠিন পরিশ্রম করে চিন্তা করার প্রক্রিয়া এখন সংক্ষিপ্ত বরে ফেলেছি
এখন অবশ্য ১০ জানুয়ারী লিখতে ভাবতে হবে। কিন্তু খোদার মর্জিতে সেটা লিখতে হয় না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
যথারীতি... একদম পুরনো ফর্মেই প্রত্যাবর্তন দেখি! আমার বাবা জন্মতারিখের বেলায় খুব কড়া ছিল। একটা দিনও বদলাতে দেয়নি।
খুউব নীতিবান হইলে আমি এফিডেবিট করাতে পারতাম। আমার তো আর বিসিএস ক্যাডার হবার সাধ নাই! কিন্তু নীতির জোর কম হওয়াতে সেটা করি নাই সময় থাকতে। আর এখন তো করাতে গেলে ম্যালা ফ্যাকরা হবে।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
মজা লাগল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমারও
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
উদ্ধৃতি :
এবং তিনি হাসিমুখে আমার দিকে "থাম্বস্ আপ" করলেন - মনে হলো পহেলা জানুয়ারীতে জন্মানোটা আমারই ক্রেডিট।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমার না হোক, ইন ফ্যাক্ট আমাদের ক্রেডিট তো বটেই! দিতেই পারে!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আচ্ছা ভাইজান, আপনার জন্মসালটা ঠিক রাখছেতো? না সেইটাও বদলানো? উত্তরটা দিয়েনকিন্তুক...
এইদিকে আরেক ঘটনা, আমার পুত্র পুঙ্গিরভাই এর জন্ম হইছে ১ তারিখে! অবস্থা বুঝেন এলা, তারিখের কারণে এখন লোকজনে ভাববো এইটা তার নকল জন্মের তারিখ। অথচ আগের দিন আমি বেটারে বহুত ডাকাডাকি করছি। সে আসেনাই। ঘুম তার ছাড়েই না। পরে ডাক্তার ছুরিচাক্কু টানাটানি করে বের করে আনলো বেটারে।
আমার কি? আমার কি তাতে? তোরেই লোকজনে সন্দ করবো. কইবো, নকল জন্মদিন। তখন কিছু বল্লে দিমুনে বেটারে হুড়কা...
----------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এহেম এহেম ... ... !!
সালটা ঠিক নাই রে ভাই। কিন্তু আপনের সেইডা জেনে কাম কি?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
না কইলো কমু ক্যা?
----------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
লেখা বরাবরের মত মজাদার
আমার জন্ম তারিখে কোন গন্ডগোল নাই, সাল এক বছর এদিক ওদিক করা হয়েছে (যথারীতি এস এস সি এর রেজিস্ট্রেশনের সময় )
আজকাল আপনার স্মৃতি বিপর্যয় হয় না?
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সবাই খালি স্মুতি বিপর্যয় আর রিভিউ চাইলে আমি কই যাই!
অনেক কিছুই মনে থাকে না। থাকলে আরোও ঘণ ঘণ বিপর্যয় হইতো, তাও যে একেবারে হবে না সেটা বলা যাচ্ছে না
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আহ্ আপনার লেখা পড়লে মুজতবা আলির লেখা পড়ার মতো আনন্দ পাই।
আমার জন্ম'দিন' টা ঠিক রাখসে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মুজতবা আলী????!!!!!!!!!!
কার সাথে কার তুলনা করেন ভাই?! কোথায় ...ইয়ে আর কোথায়...ইয়ে !!
(আসলে কিন্তু খুশী হইছি) ... ...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
অনেকদিন পরে পুরা ফর্মে ব্যাক।
জন্মতারিখ চুরির জন্য স্কুল শিক্ষকদেরকে পুরোপুরি দায়ি করা যায় না। আমরা যারা ভালো ইউনিতে পড়তে পেরেছি বা সহজেই ভালো জব পেয়ে গেছি বা দেশের বাইরে আসতে পেরেছি, তাদের কাছে এটা কিছুটা প্রেস্টিজ ইস্যু হলেও অধিকাংশ মানুষের জন্য বয়স চুরিটা বাধ্যতামূলক। সেশনজটের যাঁতাকলে পড়ে শিক্ষাজীবন থেকে ৩/৪ বছর সময় এমনিতেই গায়েব হয়ে যায়। সরকারী চাকুরীর বয়স থাকে না। এ অবস্থায় চুরি করে ৪ বছরের ২ বছরও যদি ক্ষতিপূরণ করা যায়, মন্দ কি?
স্কুলের শিক্ষকেরা এসএসসি পরীক্ষার জন্য মিনিমাম যে বয়স দরকার হয় (১৪ বছর সম্ভবত), সেটার কাছাকাছি থেকে একটা জন্মতারিখে রেজিস্ট্রেশন করে দেন। তারা এটা করেন মূলত ছাত্রের ভালোর জন্যই। আমার জন্মতারিখও সার্টিফিকেট আর অরিজিন্যাল আলাদা। অরিজিন্যালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারি, সার্টিফিকেটের দিনে অফিস থেকে কার্ড পাই। এ নিয়ে খুব একটা বিচলিত হই না। আমার জন্মতারিখ আমি যেদিন ইচ্ছা সেদিন রাখবো, কার বাপের কি!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেইটাই কার বাপের কি?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
কিন্তু, ব্রিটিশদের ব্যবসায়িক বুদ্ধির সামান ঘাটতির কথা বলতে গিয়ে দৃষ্টান্ত হিসেবে মাইকেল মধুসুদন দত্তের নাম আনায় খারাপ লাগলো।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
মধুসূদন নিজেও কিন্তু এই অপকর্মের (পাশ্চাত্য প্রীতি) জন্য পরে আফসোস করেছেন। 'সেই সময়' উপন্যাসে পুরো ঘটনাটা পাবেন।
তবে আপনার দুঃখ পাবার জন্য আমি দুঃখিত।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
মদুসুদনের বিষয়টাকে কি পাশ্চাত্যপ্রীতি বলবো? দুনিয়ার কথা বাদ দিলে বাংলার লেখক-চিন্তককুলকে এখনো বিশ্বসভায় কলকে পেতে হলে তো ইংরেজিতেই লিখতে হচ্ছে। মধুরও তো আসল লক্ষ্য ছিলো সেটাই। তবে নামটাকেও ইংরেজিতে ঘেষিয়ে নিলে সুবিধা হবে ভেবেছিলেন তিনি। এটা হয়তো একধরনের ভুল। আবার আজকের দুনিয়ায় শুধু লেখাকে ইংরেজিতে ছড়িয়ে দেয়া যতো সহজ তার আমলে তো ততো সহজ ছিলো না। এই কারণেই তিনি একেবারে শারীরিকভাবে (মানে নামের ভেতর দিয়ে) ইংরেজির দিকে ছুটেছিলেন হয়তো।
মধুসুদনের আফসোস কি তার নাম পরিবর্তন বিষয়ক, নাকি জন্মতারিখ বিষয়ক? যদ্দুর জানি, তার আফসোসটা নাম পরিবর্তন বিষয়ক। এই কারণেই আমি দুখিত হইছি; মানে তিনি তো আর জন্মতারিখ পাল্টান নাই
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
১ম প্যারা - আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত।
২য় প্যারা - আমি ভুল বুঝেছিলাম আপনার মন্তব্য থেকে
ঠিক কথাটা হবে, আফসোসটা ছিলো পাশ্চাত্য প্রীতির জন্য ঠিক আছে না এইবার?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
মুহুহাহাহাহা। বাঙালির জন্মতারিখ কিন্তু এখনো ঠিক হয় নাই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এতো মজা করে লিখেন আপনি।
আমার জন্মদিন ২৯ মে ১৯৮৬। যদিও বিশ বছর বয়স পর্যন্ত আমি জানতাম এইটা আসলে ১৯৮৭। পরে একদিন আম্মুর পুরানো ডায়রী ঘাটতে গিয়ে দেখি ১৯৮৬ যাই হোক সরকারী চাকরি করার কোন ইচ্ছা আপাতত নাই, যদি করি তাহলে একবছর এক্সট্রা চাকরি করতে পারবো।
গুডলাক!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
কোন এক কারনে আমার ছোট ভাই নির্ধারিত তারিখে এস,এস,সি দেয়নাই, পরের বছর তার ছোটটার সাথে একত্রে দিয়েছে। সে সময় ফর্ম ফিলাপের সময় স্যার দুজনের জন্মতারিখ গড়বড় করে ফেলেন, ছোটটার জায়গায় বড়টার আর বড়টার জায়গায় ছোটটার জন্ম তারিখ বসে গেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার স্ত্রীর আর তার বড় বোনের ক্ষেত্রেও এইরকমের একটা দূর্যোগ ঘটেছে। তবে তাদের ছোটত্ব বা বড়ত্ব একেবারে উলটে পাল্টে যায় নাই। বড় জন বড়্ই আছেন, শুধু বয়সের পার্থক্যটা একটু অবাস্তব হয়ে গেছে - বড় বোন ছোটর চেয়ে মাত্র কয়েকদিনের বড়!!!!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমার সার্টিফিকেট আর অরজিনালে তারিখের কোনো হেরফের নাই... খালি বছর আগায়া দিছিলো দুইটা...
আমি যেহেতু এখন সার্টিফিকেট নিয়া মাথা ঘামাই না... তাই পাসপোর্টে অরজিনাল বয়সই দেওয়া আছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অন্ততঃ তারিখটা বেঁচে গেছে!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আব্বুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর্ছি!
হাহাহাহাহা ... আমি কৃতজ্ঞ না হলেও আব্বুকে দোষ দিচ্ছি না
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমারও নির্ভেজাল, দিনমাসবছর নিয়ে কোন সূক্ষ্ম কারচুপি নাই ... কিন্তু পোস্ট গুল্লি হইসে!
তাইলে তো এক্কেবারে কিলিয়ার
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
বলি বলি করেও বলা হয়নাই এইকয়দিন। ভাইজান আপ্নে এতদিন ছিলেন কই?!
আমার জন্ম তারিখ ঠিক আছে। কিন্তু মাস বছর ঠিক নাই!
লেখা বরাবরের মতই বেশি জোস!
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কেস তো আরোও জটিল! ঐগুলা ঠিক থাকলেই তো ভালো ছিলো!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হাহাহা হাসতে হাসতে পরে গেলাম ভাইয়া, দারুন মজা করে লিখেছেন।
আমার আব্বুরও নকল জন্মদিন আছে তবে পহেলা জানুয়ারী না , আমরা আব্বুর আসলটাই পালন করি, একবার আব্বু নতুন চাকরিতে জয়েন করার পর সবাই শুভ জন্মদিন শুভ জন্মদিন বলার পর আব্বুর মনে পড়ল। আব্বু বাসায় এসে বলে যে আজকে যে আমার নকল জন্মদিন সেটাতো ভুলেই গিয়েছিলাম।
জার্মানীদের নামের এ ব্যপারটা জানতাম না ইন্টারেসটিং তো।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার বাবার অরিজিন্যাল জন্মদিনটা একটা মিস্ট্রি....কেউ জানি না আমরা, বাবা নিজেও জানেন না!
আমরা ওনার এসএসসি'র জন্মতারিখটা পালন করি।
নামকরণের বিষয়টা জার্মান ইহুদীদের, ইহুদীদের প্রতি জার্মানরা কতোটা নিষ্ঠুর ছিলো সেটা তো জানেনই। ওদের অপমান করার আরেকটা পথ ছিলো এই নামকরণ
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হা হা হা। অনেক মজার লেখা
আমার জন্মতারিখ ঠিক আছে, কিন্তু মাস ভিন্ন, বছরও একটা চুরি করা। তখন তো এসব কিছু বুঝতাম না তেমন, বা আমার কথারও গুরুত্ব ছিল না কোনো। আরেকটু বেশি বয়সে এই বিষয়টা বুঝতে পেরে আমার ভীষণ খারাপ লাগসে। এখনও লাগে। জন্মতারিখ চুরি করাটা একদমই সমর্থন করি না। আমার নিজের ক্ষেত্রেই, দুইরকম জন্মদিন নিয়ে চলাফেরা করা ভীষণ অস্বস্তিকর। আমার নকল জন্মদিনে অফিসে যখন কেক কেটে কার্ড দিয়ে সবাই উইশ করে, সেগুলো গ্রহণ করতে খুব খারাপ লাগে, নিজের 'জন্মদিনে' নিজেই আনন্দ করতে পারি না।
সাল চুরি করলেও না হয় হতো (যদিও এটাও সমর্থন করি না), কিন্তু মাসটাও কেন বদলে দিতে হবে, এটাই এখনও মাথায় ঢোকে না।
... আমারও না। বয়স কমানোটা আমি বেশ বুঝি। মাস তারিখ,, এগুলা বুঝি না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমাদের এখানে একজন বাংগালী আছেন। উনারা সাত ভাই, প্রত্যেকেরই জন্মদিন ১লা জানুয়ারী, উনাদের বাবার জন্মদিনও ঐ একই দিনে।
কয়েক বছর আগে একবার দেখেছিলাম একজনের বার্থ সার্টিফিকেট (বাংলাদেশী)। তার জন্মদিন হিসেবে দেখানো হয়েছে ২৯শে ফেব্রুয়ারী। সাল ১৯৬৩। আমি হাসবো না কাঁদবো, বুঝতে পারিনি।
সাতভাইয়ের জন্মের সাল এক হইলে ব্যাপারটা খুব মাইরের হইতো
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নির্বাসিত, এই সেই দুর্লভ মুহূর্ত - যখন তুশ্চু হাসি কান্নাতে কুলোয় না, তাই দু'টোই বাদ দিয়ে - হাঁআআআ করে চেয়ে থাকতে হয়
আমরা যে কী ভয়ংকর ইনোভেটিভ, ভাবলে গর্বে মনটা ভরে যায় ...... !
সাঙ্ঘাতিক অবস্থা!! লেখাটা পোস্ট না করলে হয়তো এতো এতো কাহিনীর কিছুই জানা হতো না!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমার সার্টিফিকেট এর জন্ম তারিখ আমার ই দেয়া। তাই তারিখ মাস ঠিক আছে, তবে বয়স টা কমাইছি, যদি ও কেও জানতে চাইলে অরিজিনাল বয়স টাই বলি। সমস্যা হচ্ছে বাইরে এসে, এখনো কেও জানতে চাইলে ভুম করে অরিজিনাল বয়স টাই বলে ফেলি।
সবচেয়ে ভালো হয় আসলটা ভুলে গেলে, কারণ কাগজ কলমের কথাটাই শেষ কথা
আমি অনেক প্রছাকটিস করে বিষয়টা দখলে এনেছি, আপনিও পারবেন
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
বাপ মা'র খেয়াল করার চান্স ছিলনা। এই সুযোগে আমার জন্মদিন তিনমাস আগানো। জুনে জন্ম.. সার্টিফেকেটে দেয়া হইসে ০১ মার্চ। বছর ঠিকাসে আবার...
আমি বোধ'য় রেয়ার কিসিমের আদম..সার্টিফিকেটে যার বয়েস বাড়ানো! (কষ্টের একটা ইমো হবে এই জায়গায়)
আরেফিন ভাই, কমেন্ট করা হয়না হয়তো... তবে আপনার লেখা মিস হয়না।
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম এই সুযোগে!
আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ক্ষেত্রেও এই অঘটন ঘটেছে!
আসলে যেটা দরকার সেটাই নির্ধারিত হতো।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আমার এক নিকট মহিলার পিতা কোথাও শুনেছিলেন যে ১৫ বছরের আগে এস, এস, সি পরীক্ষা দেয়া নিষিদ্ধ। ফলে ইনি এখন অফিশিয়্যালী আমার চাইতে শুধু বয়সেই বড় নন, তাঁর জন্ম তারিখ পিতা-মাতার বিয়ের তিন মাস পরে।
তবে তাঁর সন্তানদের বয়স এস,এস,সি সনদে দিন,মাস, বছরে হলি ফ্যামিলির জন্ম সার্টিফিকেট অনুসারে। ফলে তাদের এক বছর বড় বান্ধবীরা (কেকের মোমবাতি অনুসারে), এখন কাগজে কলমে এক বছর ছোট, কারণ সিস্টাররা নবম শ্রেণীতে বাবা-মার ইচ্ছেমত বয়স কমাবার সুযোগ দিয়েছিলেন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
হাহাহহা ....... দুর্দান্ত !!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সুজন ভাই,
আপনার আর নাম কিন্তু এক, আমিও সুজন।
আপনার আর আমার কামও কিন্তু এক
লোক হাসানোর কথা বললাম আর কি
মানুষকে হাসতে দেখলে সবচাইতে ভালো লাগে, এই কাজটা নিজে করতে পারলে তো কথাই নেই!
ভালো থাইকেন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
দারুন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়। দেরীর জন্য দুঃখিত!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
চ্রম রে, ভাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনার আইকনটাও চরম!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
জন্মদিন নিয়ে আমি-ও ভুগেছি। তবে আমারটা এক তারিখ না। মাস্টার মশাই দিন লিখে ফেলেছিলেন মাসের জায়গায়; মানে, সংখ্যা স্থানবদল করেছে।
লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল। সুখপাঠ্য।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
হাহাহাহাহাহা!!
আরোও কিছু যে বদল হয় নাই সেই জন্য মাস্টার সাহেবকে ধন্যবাদ
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
বরাবরের মতোই দারুন লাগলো
ভাল জিনিস শেয়ার করেছেন।
আমাদের যে কী হবে, কে জানে।
আমারও বেশ মজার অভিজ্ঞতা আছে এ নিয়ে। আমার প্রাক্তন ল্যাবে প্রফেসর সবার জন্মদিন পালন করতেন। আমার কাগুজে জন্মদিন ছিলো ৯-ই সেপ্টেম্বার, কিন্তু আসল জন্মদিন ছিলো ৯-ই জানুয়ারী। তো...সপ্টেম্বার সেমিস্টার শুরুতে প্রফেসর বলছিলেন জন্মদিন পালনের কথা, কিন্তু আমি ৯ই জানুয়ারীর কথা বলার পর তিনি হালকা হচকিয়ে গিয়ে বলেন, একজনের দুবার জন্মদিন হয় কি করে? আমি কি আর বলবো? বুদ্ধি করে বললাম, আমাদের লোকাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জন্মদিন ৯ই সেপ্টেম্বার পড়ে, কিন্তু গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানুয়ারীর ন তারিখ। অবশেষে সে যাত্রায় রক্ষে পেলাম
আমার মা নিজে যে স্কুলের শিক্ষক আমি সেই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছি, আসল জন্মদিনের তারিখেই, কিন্তু এখন কাউকে জন্মদিন বললে সম্পুরক প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, "আমার সার্টিফিকেট আর আসল জন্মদিন একই"
আমার জন্মতারিখ (বছর বাদে ) কাগজ আর আসল একই, কিন্তু সেটা কেউ বিশ্বাস করতে চায়না। এই বিষয়ে দুই নম্বরি করতে করতে আমরা বিশ্বাস করাটাও ভুলে গেছি।
তবে,
২৭শে জুলাই, ১৯XX - পৃথিবীতে আগমন।
২৭শে জুলাই, ২০০৬ - প্রথম চাকরীতে যোগদান।
২৭শে জুলাই, ২০০৯ - ওই চাকরীতে রেজিগনেশন লেটার সাবমিশন।
২৭শে জুলাই, ২০১০ - দ্বিতীয় চাকরীতে রেজিগনেশন লেটার সাবমিশন।
দেখি আর কোন বছরে কী ঘটে
আমার হাই স্কুলের স্যার তারিখ নিয়ে ঘাপলা করে নাই। করেছে নাম নিয়ে। তিনি আমার বাবাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন,যে আমার মিডল নেইম নামের মাঝখানে থাকতেই পারেনা। তাই আমার মিডল নেইম চলে গেল নামের শেষে। এখন ফ্যামিলি নেইম লিখতে গেলে আমার মিডল নেইমটা লিখতে হয় যার সাথে আমার ফ্যামিলির কোন সম্পর্ক নাই।
আমি আমার জন্ম তারিখে কোন গন্ডগোল করতে চাই নাই আমি ক্লাসের সবার চেয়ে এমনিতেই ছোট ছিলাম। কিন্তু আমার যে কী কপাল! মানুষের বয়স কমে আর আমার গেছে বেড়ে ২৪ নভেম্বরের জায়গায় হয়েছে ১৭ মে। এটা কোন কথা হলো! ১৭ মে! কী বাজে একটা তারিখ।
সারা জীবন আমাকে এই বাজে তারিখ নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে যেতে গেলে তো আরেক মুসিবতে পরে যাবো
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নতুন মন্তব্য করুন