স্মৃতিবিপর্যয় ৯: রান্না খেলা সারাবেলা!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৪/২০০৯ - ৪:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের দ্রুততম মানব বিমল সাহা দৌড়াতে দৌড়াতে একদা চট করে বিদেশী হয়ে গিয়েছিলেন। এরকম অল্প সময়ে এতো বড়মাপের পরিবর্তন কেবল ঢালিউডের সিনেমাতেই সম্ভব। বাংলা চলচ্চিত্রে আমরা অহরহই দেখি দুধের শিশু দৌড়াতে দৌড়াতে বুকভরা লোমবিশিষ্ট ঢাউস নায়কে পরিণত হয়ে গেছে! যদিও এদের অধিকাংশই দৌড়ের শেষভাগে গিয়ে হয় ট্রাক ড্রাইভার, নাহয় গলায় রুমাল বাঁধা টিকেটের ব্ল্যাকারে পরিণত হয়। দৌড়ে দৌড়ে ফারুক বা রাজ্জাক কখনও টমি মিয়ার মতোন তেজস্বী রাঁধুনী হয়ে রান্নাঘরে হাঁড়ি ঠেলছেন, সেরকম দৃশ্য তেমন একটা দেখি না। অথচ এগুলো সবই বাস্তবে হররোজ ঘটছে। বিদেশে পড়তে আসা অন্ততঃ ৮০ ভাগ পোলাপানই উড়তে উড়তে রাঁধুনী হয়ে যায় সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। রন্ধন বিষয়ে অকাট মূর্খ্য থেকে নিদেনপক্ষে খিঁচুরী এবং ডিমভাজি বিষয়ে পন্ডিত হবার মাঝখানে থাকে কয়েকঘন্টার একটা বিদেশগামী ফ্লাইট।

রান্না নিয়ে আমাদের একটা ভীতি থাকলেও টিভিতে মশলার বিজ্ঞাপনে রান্নার বিষয়টা অন্যরকম বলে মনে হতো। সেখানে দেখতাম পার্লারের জমকালো সাজ দেওয়া মেয়েরা এক হাতে খুনতি আর আরেক হাতে প্যাকেট মশলা নিয়ে রান্নার নাম করে মূলতঃ ‘জব্বারের বলি’ খেলছে! কাটাকুটি করা মাংসের সামনে এইসব গৃহিনীর মশলা হাতে উল্লাস আর মৃত শিকারের সামনে ‘ডায়াপার’ পড়া জঙলীদের বল্লম উঁচিয়ে নর্তন-কুর্দন মোটামুটি সমার্থক। নাচ প্রধান এই রান্নায় পাতিলে কি আছে রাঁধুনীকে সেটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত বলে মনে হতো না। বালি দিয়ে আগুণ নেভানোর মতো করে মাংসকে মশলা চাপা দিয়ে এবং আরোও খানিকক্ষণ নেচেকুঁদে চোখের নিমিষেই রান্না হয়ে যেতো! এই বিজ্ঞাপন দেখে শেষ অবধি রান্নার বিষয়ে খানিকটা হলেও ভরসা পেলাম। খাবারে স্বাদের জন্য রান্না জানার দরকার নাই, মশলাটাই আসল - এইরকমের একটা আশ্বাসও পাই এখান থেকেই।

যাইহোক, রেডি মশলার গুণে অল্পদিনেই লক্ষ্য করলাম দামের দিক থেকে আলাদা হলেও মূলতঃ গরু, মুরগী আর খাশীর মাংসে স্বাদের কোনও ফারাক ধরা যাচ্ছে না! কারণ বিশেষ একটা কোম্পানীর ‘শাহী মিট কারী’ দিয়ে যেকোনও কিছুর মাংস রাঁধলেই সেটার স্বাদ শেষ পর্যন্ত আমাদের পাড়ার হাক্কানী মসজিদের বাৎসরিক ওরশ মাহফিলে রান্না গরুর মতোন হতো! বিষয়টা যাচাই করার জন্য এক পর্যায়ে টুনামাছও সেই মাংসের-মশলা দিয়ে রেঁধে দেখা গেলো সেটাও গরুর মাংসের মতোই লাগছে!

শুক্রাবাদের এক রেস্তোরাঁতে ভাতের সাথে যে মাংসই খাই না কেন, একবারের বেশী একস্ট্রা ঝোল চাইলে সেখানে বিশেষ একটা তরল এনে দেওয়া হতো যার স্বাদের সাথে নির্দিষ্ট কোনও মাংসের মিল বা অমিল কোনওটাই নেই। গরুর মাংসের ঝোল হিসেবে এনে দিলেও প্রায়ই এই ঝোলের মধ্যে থেকে মাছের কাঁটা, চিচিঙ্গা বা লাউ এর টুকরো ভেসে উঠতো! সেটা দিয়ে ভাত ভেজানো গেলেও খাবারের স্বাদ হুট করে আমূল বদলে যেতো! গরু ভুনা মুহুর্তেই হয়ে যেতো চিচিঙ্গা আর লাউয়ের নিরামিষ! - চট করে মনে হবে যেন বাস্তবে খাচ্ছিনা, স্বপ্নের মধ্যে আরব্য রজনীর সরাইখানায় বসে খাচ্ছি! আর আলাদীনের জ্বীনি কোল বালিশের মতোন প্যান্ট পরে পাশে দাঁড়িয়ে খানিক পর পর তুড়ি মেরে মেরে হুটহাট তরকারী বদলে দিচ্ছে! এই অবিমৃশ্যকারী ঝোলের রেসিপি না জানলেও জেনেছিলাম যে, যাবতীয় খাবারের উচ্ছিষ্টের সাথে বিশেষ মশলা সহযোগে নাকি জিনিসটা রান্না হয়! খুব এলেমদার নাহলে সেই ঝোলের স্বাদ আলাদা করা কঠিন। বিশেষ মশলার গুণে এই ঝোলকে যেকোনও আইটেমের সাথেই ভিড়িয়ে দেয়া যায়! গরুর ঝোলের মধ্যে মাছের কাটা না পেলে আমিও বিষয়টা ইহজীবনে অনুধাবন করতে পারতাম না! মশলার এই ক্ষমতা চাক্ষুষ না করলে বিশ্বাস করা কঠিন!

এহেন রেডি মশলার কল্যানে রান্না সমস্যার আপাতঃ সমাধান হলেও এই মশলার ‘সকল কিছুকে গরু জ্ঞান করিবার’ প্রবনতায় অল্পদিনের ব্যবধানে আমরা অস্থীর হয়ে গেলাম - তদুপরি, বিষয়টা মুরগীর জন্য সম্মানকর হলেও খাশির জন্য নিতান্ত অবমাননাকর। অধিক মূল্য দিয়ে খাশীর মাংস কিনে যদি গরুর স্বাদ নিয়ে তুষ্ট থাকা লাগে, তবে সেটা কার সহ্য হবে?! সুতরাং তৈরি মশলার ওপর নির্ভরতা কমানো এবং রান্নায় বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে বছর জুড়েই নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতো আমাদের। আর পরীক্ষা নিরীক্ষার সুফল কুফল ঝালিয়ে নেবার জন্য মোক্ষম সময়টা ছিলো দুই ঈদের সময়।

একবার ঈদে ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সের দীপন ভাই পরিকল্পনা করলেন যে, জর্দা রেঁধে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ঝটপট জর্দার উপকরণ জোগাড় করে ফেললেন ইন্টারনেট থেকে। এরপর জার্মান ভাষায় সেগুলোর তরজমাও করে ফেললেন। সুপারশপে গিয়ে কাঁচামালের জোগারযন্ত্র করতে গিয়ে জাফরান জিনিসটা নিয়ে ঝামেলা বাঁধলো। বাজারে একাধিক রকমের জাফরান বিদ্যমান, কোনটা দিয়ে জর্দা হয়, সেই তথ্য জানা না থাকায় দীপন ভাই অনুমান করে একটা কিনে নিলেন। মূল কিচেনে থাকলে সবাই আগে ভাগেই সারপ্রাইজ দেখে ফেলবে বলে ডরমিটরীর নীচতলার একটা কিচেনে গিয়ে উনি জর্দার তোড়জোর শুরু করলেন। খানিক পর পর ওপরের কিচেনে এসে এটা সেটা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এরকমই একবার ওপরে এসে জিজ্ঞেস করলেন,

: হেই সুজন, জর্দার exact রংটা কিরকম মনে করতে পারো?
: বস, যদ্দূর মনে পরে কমলার আশেপাশে। লাড্ডু ভেঙ্গে গেলেই জর্দার মতোন হয়!
: হুমম ... ... ইন দ্যাট কেস একটা প্রবলেম হইছে!
: কি প্রবলেম, লাল হয়ে গেছে নাকি?!
: না ঠিক লাল না; কিরকম যেন হইছে।

দীপন ভাইয়ের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল জর্দার রং কমলার বেশ দূর দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু আসলেই রঙটা কিরকম হয়েছে সেটা যাচাই করতে সবাই দৌড়ে গেলাম নীচের কিচেনে। কিচেনে কে যেন পাশাপাশি দুইটা চুলোর একটাতে সবজি আর আরেকটাতে গাঢ় সবুজ রঙের একটা ভাত তুলে দিয়েছে। দুটোর একটাও আমাকে অবাক করলো না, কারণ ডরমিটরীর বহুজাতিক পরিবেশে সব রান্নাই পরিচিত হবে এমনটা আশা করা ঠিক না। আমি জর্দার খোঁজে এদিক ওদিক করতে থাকলাম। দীপন ভাই সেটা বুঝলেন কি না জানি না, সবুজ রঙের ভাতের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করে জানালেন ঐটাই জর্দা!

এই বিরল প্রজাতির জর্দা এর আগে খাওয়া তো দূরে থাক, দেখাও হয় নাই আমার! আমাদের অনেকের ধারনা ছিলো তরকারীতে হলুদের ভূমিকা শুধু রঙ সৃষ্টিতে, স্বাদের ক্ষেত্রে এর কোনও অবদান নেই। জাফরানও সেরকম নিষ্পাপ রঞ্জক পদার্থ হতে পারে! সেই ধারণার বশবর্তি হয়ে অনেকেই বললো, রঙ কোনো ঘটনা না; জিনিসটা টেস্ট করে দেখো, টেস্ট জর্দার মতোন হলেই হবে। আমরা সবাই এই বক্তব্য মেনে নিয়ে সেই সবুজ পদার্থের স্বাদ নিলাম। হলুদের থিওরী এই ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিফল হলো; জর্দার স্বাদটাও তার রঙের মতোই অপরিচিত হয়েছে!

পরে সিদ্ধান্ত হলো, জার্মানদেরকে ধরে ধরে এটা খাওয়ানো হবে। ওরা আমাদের সব খাবারই ব্যপক আগ্রহ নিয়ে খায়। বিকেলে মূল পার্টির সময় ডেজার্ট হিসেবে জার্মানদেরকে দীপন ভাইয়ের বানানো ‘সবুজ ভাত’ এগিয়ে দেওয়া হলো। ‘কেমন লেগেছে?’ এই প্রশ্নের উত্তরে এক জার্মান মেয়ে সংক্ষেপে বললো, ‘ইন্টারেস্টিং’! মেয়েটার ভাবলেশহীন চাহনী দেখে বোঝা মুশকিল যে জর্দা খেলো নাকি ইসবগুলের ভুষি খেলো। আমাদের কোনও খাবার খেয়ে বিদেশীরা সাধারনতঃ চোখ গোল করে ‘ওয়াও’ বা ‘উমমমম’ বলে থাকে; ‘ইন্টারেস্টিং’ এই প্রথমবার শুনলাম!

বিভিন্ন সময়ে জার্মান বন্ধুরা আমাদেরকে রান্নার নাম করে আধাসেদ্ধ নানান জিনিস খাওয়াতো, আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও সেই খাবার খাওয়া ছিলো শাস্তির মতোন। আমাদেরকে সেই অখাদ্য খেয়েও হাসিমুখে “ওয়াও!” বলতে হয়েছে। সবুজ জর্দার আবিষ্কারের পরে সেই শাস্তির খানিকটা বদলা নেবার অনুপ্রেরণা পেলাম। জর্দার এই ইন্টারেস্টিং স্বাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা জার্মানদের সামনে খাবারটাকে আরোও বেশি বেশি করে উপস্থাপন করার কথা ভাবলাম। কিন্তু সবার দিকে বারবার ঠেলে দিয়েও গভীর রাত অবধি জর্দার বাটির পঁচিশ ভাগও খালি করা গেলো না।

প্রত্যেক ঈদেই এরকম কিছু নতুন রান্নার পেছনে অহেতুক শ্রম এবং সময় নষ্ট হতো। তারপরেও খাবারে বৈচিত্র আনার এই আন্তরিক চেষ্টা অব্যহত ছিলো। কমিউনিকেশন্স-এর বায়েজিদ একবার উদ্যোগ নিল দই বানাবার। দিনের শুরুতেই বায়েজিদ দইয়ের কথা বলে সবার মাথা আউলা করে দিলো। কিন্তু জিনিসটা খাওয়ার জন্য আমাদেরকে নাকি রাত অবধি অপেক্ষা করা লাগবে, কারণ দই রান্না করতে মোট ৮ ঘন্টা সময় লাগবে! এই লম্বা সময় ধরে একদল ব্যাকটেরিয়া নাকি দুধটা সাবার করে দই উগড়ে দেবে! বাকটেরিয়া দইটা সামনে না পেছন দিয়ে উগড়াবে সেটা কারো কারো মাথাব্যাথার কারণ হলেও মূল বিষয় হলো, নিরেট প্রাকৃতিক নিয়মে আমরা দই পেয়ে যাবো। রান্নার তেমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে। জর্দার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিপর্যুস্ত আমাদের অনেককেই এই বিষয়টা খানিকটা আশ্বস্ত করে তুললো। সন্ধ্যার পর পর যখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হলো তখন সবাইকে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে বসিয়ে রেখে বায়েজিদ তার ব্লকের কিচেনে গেলো দই আনতে।

একটু পরেই সবাই ছুরিচাকু নিয়ে প্রস্তুত হলাম দই কাটার জন্য। কিন্তু হতচ্ছারা ব্যাকটেরিয়ার দল আমাদেরকে এভাবে হতাশ করবে সেটা ধারণা করিনাই! পাত্রের ঢাকনা সরে গেলে যে জিনিসটা গোচরে এলো সেটা কোনও মতেই ছুরি দিয়ে কাটার যোগ্য নয়। পাতলা তরল মতোন একটা জিনিস তৈরি হয়েছে যার স্বাদ খানিকটা মিষ্টি দইয়ের মতোন হলেও চেহারা হয়েছে মাঠা বা ঘোলের মতোন! দইয়ের বদলে ঘোল খাওয়ানোর দায়টা বায়জিদের নাকি ব্যাকটেরিয়ার সেটা অবশ্য ঠাহর করা গেলো না।

দইয়ের মতোন আরও অনেক আইটেমই আমাদের অধরা ছিলো - ইচ্ছে হলেও খুব সহজপ্রাপ্য ছিলো না। যেমন দেশীয় চাইনিজ খাবার আমার সবচাইতে প্রিয় হলেও রান্নার কলাকৌশল অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় খাওয়া হতো না। আমার ফ্লোরের চাইনিজ ছোকরাকে দেখতাম মাঝে মাঝেই লোভনীয় চেহারার এটা সেটা রান্না করতো। মাঝে মাঝে সাধাসাধিও করতো। কিন্তু চৈনিকের রন্ধনশৈলী দেখে খাওয়ার রুচি হতো না। রান্নার গোটা সময় জুড়ে ছোকরা খানিক পর পর পাছা চুলকাতো। চৈনিকদের শরীরের পেছনের অংশ নিয়ে শুধু আমি নই, ফ্লোরের বাকি সবাই অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিলো! এরা প্রতিনিয়ত কমোডের গাত্রে অজন্তা ইলোরার যেই পেইন্টিং করে সেটা অ-চৈনিক কারো পক্ষে কেবল ফুডপয়োজেনিং হলেই করা সম্ভব!

চৈনিক ছোকরার রান্নাবান্নায় আরোও সমস্যা ছিলো। ডিম বা মুরগী চুলোয় তুলে দিয়ে সে সময়মতোন জিনিসটা তদারক করতে ভুলে যেতো। আমি প্রায়শঃই দেখতাম চুলার ওপরে ডিম সেদ্ধ হতে হতে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির মতোন ফেটে চৌচির হয়ে আছে! সমস্ত পানি শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। পাতিলও সেদ্ধ হবার পথে। আবার, ওভেনে পিৎজা ঢুকিয়ে রেখে সম্ভবতঃ সে কয়েক ঘন্টার একটা ঘুম দিয়ে নিতো। গুণগত কারণেই এই সময়ের মধ্যে পিৎজা কয়লাবরণ করতো। আর আমরা যারা ওভেনটা ব্যবহার করার জন্য লাইনে ছিলাম তারা সবাই মিলে ওভেনের ভেতরে পিৎজা থেকে কয়লা উৎপাদনের প্রক্রিয়া অবলোকন করতাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। এক পর্যায়ে পিৎজা পুড়ে ভস্ম হয়ে নেই হয়ে যেতো! কিন্তু চৈনিকের ঘুম শেষ হতো না। প্রথম প্রথম এই ঘটনা ঘটলে ওর দরোজায় নক করে জানাতাম যে, ‘আরো দেরী করলে পিৎজা বের করার জন্য ফায়ার ব্রিগেড ডাকা লাগবে!!’। পরে যখন বুঝলাম যে চৈনিকটার এই চরিত্র ভোটের কালির মতোন স্থায়ী, তখন ডাকাডাকি না করে শুধু মজা দেখতাম। মাঝে মাঝে চোখের সামনে মুরগীর কয়লা হয়ে যাওয়ার এরকম হরর দৃশ্য দেখতে দেখতেই চৈনিক ছোকরা ঝড়ের মতোন এসে হাজির হতো - একটা হাত যথারীতি পেছনের দিকে। বাসমতি চালের মতোন সরু চোখ দিয়ে অবাক হয়ে আমাকে দেখতো, ভাবখানা এমন, “আরি-ই-ই চোখের সামনে জিনিসটা পুইড়া গেল! আমারে একটা খবরও দাও নাই!?” আমি নির্বিকারভাবে কাঁধটা ঝাঁকিয়ে আবার টিভির দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিতাম।

শুরুতে মশলার অবিমৃশ্যকারী ক্ষমতার কথা বলেছি। মশলার ছলনায় আমি জীবনে বহুবার ভুক্তভোগী হয়েছি। একবার রাতের দিকে বন্ধু কেল্টু সমভিব্যাহারে শেরেবাংলা হলে যাচ্ছিলাম। নীলক্ষেতের মোড়ের কাছটায় পৌছানোর সাথে সাথে গরুর কাবাবের সুরসুরি মাখা গন্ধ এসে দুইজনেরই মাথা আউলা করে দিলো। দাম প্লেটপ্রতি মাত্র ২ টাকা - শায়েস্তা খাঁর আমলের চেয়েও সস্তা! কিন্তু কেল্টুসহ যেকোনো কিছু খাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে ওর কাছে কখনোই কোনও টাকাপয়সা থাকে না। পকেটে টাকা সহ কেল্টু আর প্রাণীজগৎ-সহ মঙ্গলগ্রহ একই রকম বিস্ময়কর ব্যাপার! কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, কাবাবের হাতছানি কেল্টুকেওউ মড়িয়া করে দিয়েছে, নিজে থেকেই প্রস্তাব করলো কাবাব খাওয়ানোর। রিক্সা থেকে নেমে দুই প্লেট কাবাব সাবড়ে দিলাম চোখের নিমিষে। জনপ্রতি এক প্লেটে কারোই কিছু হলো না, উল্টো ক্ষুধা আরোও চাউড় দিয়ে উঠলো। পরের দুই প্লেটের মূল্য আমি দিলাম। হলে গিয়ে নামমাত্র মূল্যে নিজেদের কাবাব খাওয়ার কাহিনী বর্ণনা করার সাথে সাথেই জানলাম, যেটাকে গরুর মাংস মনে করে খেয়েছি সেটা আসলে গরুর অন্ডকোষ, পুংদন্ড ইত্যাদির মিশেল - বলা চলে গরুর গোটা প্রজনন দপ্তরটাই ভেজে ফেলা হচ্ছে ঐখানে! এইটা খোদ কাবাব বিক্রেতার স্বীকারোক্তি! সুতরাং অবিশ্বাসের কারণ নেই। পরের কিছুদিন এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভুলতে যে পারি নাই সেটা আজকের এই স্মৃতিচারণেই বেশ বোঝা যাচ্ছে!


মন্তব্য

কুয়াশা [অতিথি] এর ছবি

আরো ঘন ঘন লিখেন না কেন আপনি? প্রাণখুলে হাসা যায় আপনার লেখা পড়ে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কারণ, বেশী হাসলে আপনাদের মুখ বেশীক্ষণ হা হয়ে থাকবে, এই সময়টা নানান ফ্লু বাতাসে ভাসছে, হা করে থাকেন আর মুখে ঢুকুক!!!

আমরা যেন সবাই সব ফ্লু থেকে বেঁচে থাকতে পারি, এই দোয়া করি...
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পয়লা বার শুধু হেসে আর তারকা দিয়ে ভেগেছি। আবার পড়লাম, আবার হাসলাম। ভাই রে, পারেনও। আপনাকে গত কিছুদিন ধরে মন্তব্যে দেখে মনে মনে অপেক্ষা করছিলাম একটা পোস্টের জন্য। দেঁতো হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

না না, কথা ঠিক না। আজকাল আমি নিয়মিতই আসি সচলে। সবসময় লেখার মুড থাকে না।

মন্তব্য আর তারকা, উভয়ের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়ে ভয়ানক মজা পেলাম ।
হাসি

প্রথম মাল্যবান এর ছবি

"বাসমতি চালের মত সরু চোখ" আর "পুংদণ্ড"--উফফ্, ভাইরে হাস্তে হাস্তে শ্যাষ!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

@মূলত পাঠক আর মাল্যবান,

মাথায় যা আসে লিখছি দেঁতো হাসি
আপনাদের ভালো লাগলে বড়ই তৃপ্তি পাই!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মন্তব্যে আপনার ঘুরাঘুরিতেই অনুমান করা যাচ্ছিল এইরকম একটা কিছু নাজিল করতে যাচ্ছেন হাসি

এখন দ্রোহী'রে দরকার । আপনে, দ্রোহী আর মুখফোড় তিনজন মিললেই কেল্লাফতে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়েই তো হাসি পাচ্ছে ভায়া হাসি

মেলা ধন্যবাদ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

রেনেট এর ছবি

কোট করতে গেলে পুরো লেখাই কোট করতে হবে...
হাসতে হাসতে যায় বেলা।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আকতার আহমেদ এর ছবি

আপনি পারেনও ভাই হো হো হো

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসতে হাসতে ব্যাপক গড়াগড়ি খাইলাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

@রেনেট, আকতার এবং পান্থ ভাই,

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এতো উৎসাহের জন্য!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তানভীর এর ছবি

চলুক

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হুমম এটা তো বিপদের কথা! বউকেও পড়তে বলেন, তারপর বাজি ধরেন। তিনি যদি না হেসে পড়ে যেতে পারেন তাইলে আপনার শাস্তি হবে নচেৎ মাফি...! কেমন হইলো? হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

আনিস মাহমুদ এর ছবি

খুবই প্রাণবন্ত আর আড্ডা-মেজাজী লেখা। আরো চাই।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

দৃশা এর ছবি

লেখা তো সবসময়ি উমদা হয় মাগার সবচেয়ে মজারু হইলো গিয়া আপনার দেওয়া উপমা গুলা- 'কোলবালিশ প্যান্ট', 'বাসমতি চালের মত সরু চোখ', 'ডায়াপার পড়া জঙলী'।scuba diving news

দৃশা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

@আনিস ভাই,
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আশা করি আরোও পাবেন হাসি

@দৃশা,
আপনাকে গানের সিডি প্রকাশে শুভেচ্ছা!
লেখা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম, 'উমদা' মানে কি ভালো?
যাইই হোক, খারাপ কিছু বলেন নাই আশা করি দেঁতো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

জোশ রে সুজন জোশ! তোমার লেখা না দেখলে মনটা ভাল্লাগে না মিয়া... একদম আগের ফর্মে নামাইছ এইবারের লেখাটাও...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

যাক, মৃদূলের পছন্দ হলেই আমার পছন্দ। চোখ টিপি
আমার বউ পোস্টাইতে না করতেছিল। ও সব লেখা আগেই পড়ে। ওর মতে এটা তেমন জোশ হয় নাই, একটু আতঙ্কে ছিলাম, বলাই বাহুল্য।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সবজান্তা এর ছবি

হা হা হা...

লেখাটা পড়ে আপনা আপনিই জোরে জোরে হেসে উঠেছি... গুল্লি


অলমিতি বিস্তারেণ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেশ মজা পেলাম।
আপনার লেখার কায়দা ভালো।
আজই প্রথম পড়া হ'লো ব'লেই এভাবে বললাম।
হাসি
ভালো লাগলো।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমার পাঠক একজন বাড়লো?!! বাহ্ চমৎকার!
ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

স্বাগতম।
হাসি
ভালো থাকেন।

________________________
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মামুন হক এর ছবি

জয় হোক!!
অফিসের এক মিটিংয়ে বসে লেখাটা পড়লাম, হাসতে হাসতে বিষম খাইলাম, মিটিঙ গোল্লায় গেল, সবাই কয় কি পইড়া হাস? ট্রান্সলেট কর...কেমতে কই??
দ্যান না ভাই ইংরাজী কইরা, নোবেল পুরুস্কারের কমিটিতে পাঠাইয়া দেই হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাসি
ওদের (নো.ক.) সাথে যোগাযোগটা রাইখেন....ইঙরেজী করতে করতে টাইম লাগবে তো দেঁতো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

যেটাকে গরুর মাংস মনে করে খেয়েছি সেটা আসলে গরুর অন্ডকোষ, পুংদন্ড ইত্যাদির মিশেল - বলা চলে গরুর গোটা প্রজনন দপ্তরটাই ভেজে ফেলা হচ্ছে ঐখানে! এইটা খোদ কাবাব বিক্রেতার স্বীকারোক্তি! সুতরাং অবিশ্বাসের কারণ নেই। পরের কিছুদিন এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভুলতে যে পারি নাই সেটা আজকের এই স্মৃতিচারণেই বেশ বোঝা যাচ্ছে!

হা-হা-হা হা-হা-হা হা-হা-হা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কখনও খাইছেন নাকি ঐ কাবাব? হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আরোও একটা কাহিনী বলি,

পতেঙ্গা বীচে বইস্যা একবার কুকুরের মাংসের শিক কাবাবও খাইছি। নাউজুবিল্লাহ!....গরু ভেবেই খাইছিলাম, পরে শুনছি অত্র এলাকায় রিয়েল গরুর কাবাব অনেক আগেই বিক্রি শ্যাষ!

আশপাশের যাবতীয় কুকুর নাকি দিনে দিনে গায়েব হয়ে যা্চ্ছে!!!!!!!!!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, রঙ্গে ভরা বঙ্গদেশে কোন চিপা দিয়া কোন জন্তু যে খাইয়া হজম কইরা ফেলছি তার হিসাব কে কবে কুতায় রাখছে?

কোনদিন দেখবেন বংশগতির বিবর্তনের ধারায় যেমন পূর্বপুরুষের চিহ্ন পাওন যায় তেমনি আমাদের গুয়েও বিবর্তনের চিহ্ন ফুটে উঠবে। যদি হাতি সাইজের টয়লেট হয়ে যায় কোনো কালে তাইলে বুঝবেন বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির চিপাচুপায় কোনো এক কালে হাতি খাইয়া হজম করছিলেন বইলা বহু বছর পর আপনার বৃহদন্ত্র ঐ জিনিষের জন্ম দিছে!

এইটা বস বিবর্তনের সূত্র। অস্বীকার করার সিস্টেম নাই। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

মজারু লেখা, চ্রম হাসতিছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাসেন, হাসতেই থাকেন দেঁতো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

কীর্তিনাশা এর ছবি

হে হে হে দেঁতো হাসি

কিছু কইতে আসি নাই। খালি হাসতে আসছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমিও ... ... হো হো হো
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

জিজ্ঞাসু এর ছবি

হো হো হো

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

হিমু এর ছবি

সুজন ভাই, হয় আপনারা দুইজন কাসেলে আসেন নয়তো আমরা কয়জন ভুয়র্ৎজবুর্গ যাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মোটামুটি, আমি আর আমার স্ত্রী ছাড়া এইখানে বাঙালী জাতী নিয়ে গর্ব করার মতোন আর কেউ নাই। এইখানে একটা সচলাড্ডা করা দরকার। আপনাদের ভালো লাগবে Würzburg.
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হয়ে যাক তাইলে এই গ্রীষ্মেই।
টেনশন নিয়েন না, আমাদের খাদ্যের রেসিপি সময়মতো জানিয়ে দেয়া হবে আপনাদের (কী করুম সুজন ভাই, হিমুটা অনেক খাউকা। আমি এক প্লেট খাইতে খাইতে ও তৃতীয় প্লেটের জন্য লাইনে খাড়ায়)। আশা করবো ভরপেট খাইয়ে বিরাট লজ্জায় ফেলে দিবেন আমাদের! এ ধরণের লজ্জা আমরা খুশি মনেই পেতে চাই। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

দুপুরেই লেখাটা পড়ে হাসতে হাসতে মারা গেছিলাম। এখন বেঁচে উঠে মন্তব্য লিখলাম।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

তাইলে তো আমার কখনোই একদিনে ২ টা লেখা পোষ্টানো ঠিক হবে না। কি কন, মরনা থেইকা উঠে আবার মরলে বাঁচাবে কে?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মূলত পাঠক এর ছবি

ফাটায়া দিসেন ভাই। আবার পড়লাম, আবার মজা পাইলাম। তাই আবার কমেন্টাইলাম। হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনি তো আমারে ফাটায়ে দিলেন, এই লেখা ২বার পড়ার লোকও আছে!!!

.... .... হাহাহাহা, খুশি হলাম। মন্তব্যটা টনিকের মতোন লাগলো, আজকে শরীরটা খারাপ, সর্দিজ্বর, আপনার মন্তব্যে সুস্থ বোধ করছি হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

প্রিয়াংকা এর ছবি

বহু দিন পর কোন লেখা পড়ে এমন হাসলাম। এখনো দন্ত বিকশিত-ই আছে ... হেহে

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

দেঁতো হাসি
এরকম?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সিরাত এর ছবি

হা: হা: হা: হা: হা: হা: হা: হা:!!!!

পাগলা লেখা লিখছেন ভাই। লিংক ফেসবুকে শেয়ার কইরা ফালাইলাম! ওয়াও! পারেনও আপনারা!! আসলেই, কয়েকবার পড়লেও বার বার হাসন লাগবো!!

শোনেন আপনার সচল প্রোফাইল পিকে একটু দাঁতটা দেখায় হাসবেন। এত হাসির লেখা লিখা এরকম সৌম হাসি দিলে তো হইলো না!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনাকে আমার আগের লেখাগুলোতে কেন পেলাম না, এই আফসোস হচ্ছে! তাইলে এদ্দিনে বিখ্যাত হয়ে যাইতাম ... আমিও ফোইসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করছি দেঁতো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আরও নিয়মিত চাই চলুক

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হুমম ... ট্রাই করেই যাচ্ছি তো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মঞ্জুর এর ছবি

নাহ। পয়সা না নিয়া এইরকম একটা লেখা পড়তে দিলেন। আপ্নে ভাই মহামানব।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পয়সা দিবেন? তাইলে তো ভুলই হলো, আচ্ছা এরপর থেকে সেইভাবেই ব্যবস্থা নেবো চোখ টিপি
ভালো থাকেন, ধন্যবাদ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বহু, বহু দিন পর ব্যাপক একটা পড়লাম...
বোঝলাম সচলীয়রা আপনারে এতো বেইল দেয় ক্যান ...!!!!

চরম চরম চরম...বিটিভির ছায়াছন্দ দেইখাও এতো হাসি নাই...খাইছে

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাহাহাহা...এরকম কমেন্ট পড়ার আনন্দটা জানতামই না আপনে না থাকলে।
আপনি তারাতারি সচল হন, বেইল পান, সেই আশা করি।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উফ... ব্যাপক মজার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

নজু ভাই এতোক্ষণে আপনার পড়ার সময় হইলো?!
যাক আপনার চোখে পড়ছে, আমি তাতেই খুশী হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনে এতো কম লেখেন ক্যান? রেগে টং

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেখা মাথায় আজকাল আসেই কম, অনেক বিষয় আশয় নিয়ে ভাবি তো, কূল পাই না। সাহিত্য (আমার লেখা ঐ পর্যায়ে পরে কি না যাচাই না করেই বললাম) চিন্তা ঠাই পায় না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

দ্রোহী এর ছবি

গুল্লি
গুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লিগুল্লিগুল্লি
গুল্লিগুল্লি
গুল্লি

চুপচাপ এসে ধুমধাম গোলাগুলি করে গেলাম (গতকাল রাতেই পড়েছি আর আজ রাতে মন্তব্য করলাম)।

আপনার সেন্স অফ হিউমার নিয়ে মন্তব্য করার দুঃসাহস আমার নেই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনাকে তো আমিও কম দেখি রে ভাই, কৈ থাকেন?
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তানবীরা এর ছবি

আল্লাহ মালুম কতো সচল জার্মান দখল করে রেখেছে। যাউকগগা,
Here is the recipe of Misti Doi.

Ingredient:
2 liter volle milk
400 ml volle youghurt
400 gram sugar
1 can sweetened condensed milk

Procedure:
1) First, you need to boil the milk such that it becomes half. That is, make it 1 litter from 2 litter.
2) Now add the sugar. You can mix less sugar if you don’t like too much sweet.
3) Wait to get the milk cold. When the milk is totally cold add then youghurt and condensed milk. Mix them properly. Pour the mixture in an ovenproof bowl.
4) Keep the bowl in the oven at 175-degree Celsius temperature for 30 minutes. It is better if you preheat the oven. After 30 min switch off the oven but don’t bring the bowl out of the oven. Let the bowl stay there for couple of hours. Normally I put it in oven at night and keep it there for the whole night. Following morning I keep the bowl at refrigerator. Then Doi is ready.

This quantity is enough for 8 - 10 ppl.

Eet smakkelijk.

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

তানবীরা,
দইয়ের রেসিপির জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। ট্রাই করে দেখবো, পারলে বায়জিদকে ফরোয়ার্ডও করে দেবো এই রেসিপি।
লেখা কেমন লাগলো বলেন নাই। যাইহোক, ভালো থাকেন।:-)
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তানবীরা এর ছবি

না খাইয়া ক্যামনে বলব লেখা ক্যামন হইছে? মাগনা নাকি? আগে দাওয়াত করেন, খাই তারপর ভাবি ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। আপনে ভাই পারেনও! হো হো হো
আপনার সেন্স অভ হিউমাররে সালাম।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ওয়ালাইকুম আসসালাম .... দেঁতো হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তাহমিনা এর ছবি

বরাবরের মত খুব হাসলাম; ভিযণ মজার! যে জিনিস এর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে চাই (এই প্রশ্নের উত্তরে এক জার্মান মেয়ে সংক্ষেপে বললো, ‘ইন্টারেস্টিং’!)তাকেই " Interesting" বলে পাশ কাটাই। আপনার রসাল লেখা আর চাই, আপনার সেন্স অভ হিউমারর জবাব নাই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বরাবর পড়ে পড়ে হাসেন কিন্তু বরাবর মন্তব্য দেখি নাই কেন?
যাইহোক, হেসে যদি ভালো থাকেন, সেটা আমারও ভালো লাগবে।

রসালো লেখা আরোও লিখবো, আমি কষা লেখা খুব বেশী লিখি না দেঁতো হাসি
পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

নজমুল আলবাব এর ছবি

পোস্ট করার পরেই পড়ছিলাম। লগানো ছিলাম বলে কমেন্টানো হয়নি। আজ আবার পড়লাম, সেদিনের মতোই হাসলাম। মেজাজটা অনেক ঠান্ডা হলো। ধন্যবাদ।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ইজাজ এর ছবি

হা হা হা !!!!! খুবি মজা পেলাম !!! ডিপনের ঐ জরদা আসলেই ভয়ানক ছিল!! বেচারা আর সারাজীবন জরদা বানানোর চিন্তাই করে নাই হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল হয়েছে ভাই। নতুন হিসেবে সচলায়্তনে ঢুকেছি।
২ ঘন্টা ধরে আপনার লেখাই পড়ছি খুঁজে খুঁজে।

সপরিবিদ

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

মেজাজ ভয়ানক খারাপ ছিল, আপনার লেখা পড়ে এখন হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছি প্রায়। ধন্যবাদ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চৈনিকরে নিয়া রসিকতা করতেছেন, সে আবার এসে কুংফু মাইর দিবে নাতো? জিজ্ঞেস করেন নাই, দাউদ, বিখাউজ, চুলকানি মার্কা কিছু আছিল কিনা?

রান্না বান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট অল্পবিস্তর করিনাই, তা না, তবে ২ টা জিনিস আমি এখনো রান্না করতে পারি না, একটা ভাত, আরেকটা ডাল। পোলাও কোর্মা, বিরিয়ানী, খিচুরী রান্না করতে পারি, কিন্তু ভাত পারি না। এখন আমি রাইস কুকারের উপর একান্ত নির্ভরশীল।

লেখাটা চরম মজারু হয়েছে, লেখাগুলোতে মন্তব্য করা হয়নি কেন, ঠিক বুঝলাম না, তাই ফিরে ফিরে মন্তব্য করে যাচ্ছি, আশাকরি বিরক্ত হবেন না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আশাকরি বিরক্ত হবেন না।

প্রশ্নই ওঠে না। তবে জবাব হয়ত দেব না, সেটাতে আপনি আবার মাইন্ড খায়েন না।

তনয় এর ছবি

ভাইয়া, অসাধারণ লিখেছেন।
"কমোড গাত্রে অজন্তা ইলোরার পেইন্টিং"__হাসতে হাসতে পেট ফাটার উপক্রম

ঊর্ণনাভ এর ছবি

বাহঃ! বেশ মজাতো!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।