ওয়াসা বিশুদ্ধ পানির নাম করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকাতে আজকাল যে খয়েরী বর্ণের তরল সরবরাহ করছে, তার সাথে নিউমার্কেটের সামনে বিক্রী হওয়া সাগুর সরবতের চেহারাগত কোনও পার্থক্য বের করা মুশকিল! পানি ছাড়াও এতে অন্যান্য উপকরণ এতো বেশী যে আর দশটা পণ্যের মতোন এটারও গায়ে লেবেল এঁটে Main Ingredients জাতীয় কিছু তথ্য সংযোজন করা জরুরী হয়ে পরেছে। তাহলে লিস্টি দেখে চট করে জেনে নেওয়া যাবে পানিতে ক্লোরিন ছাড়াও উদ্ভিজ্জ ময়লা, প্রাণিজ্জ ময়লা, কারখানার ময়লা, অন্যান্য ময়লা ইত্যাদি কতোটুকু করে মিশ্রিত আছে। সেদিন টিভিতে পানি-সঙ্কটাপন্ন মিরপুর এলাকায় জনৈক ভুক্তোভোগীর সাক্ষাৎকার দেখানো হলো। কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ। রিপোর্টার সাহেব মহিলার সামনে মাইক্রোফোন বাড়িয়ে ধরতেই মহিলা জলসঙ্কটের বয়ান দিতে শুরু করলেন। মন্ত্রী আমলাদের জীবনে মিডিয়া ডেইলি সোপ নাটকের মতোন বিরক্তিকর বিষয় হলেও এই সব আটপ্রৌঢ়ে মানুষ চট করে মিডিয়া হজম করতে পারে না। একদিকে জলসঙ্কটে দূর্বিষহ জীবনযাপনের যন্ত্রণা, আরেকদিকে টিভিতে নিজেকে দেখানোর অপরিশোধিত আনন্দ! দুইয়ের মধ্যে শেষমেষ সেলিব্রিটি হবার আনন্দই জয়যুক্ত হলো - গত কয়েকদিন ধরে গোসল বন্ধ, খাওয়ার পানিতে ভাসমান আবর্জনা, সাথে উৎকট গন্ধ! ভয়াবহ এই সমস্যা গুলোর কথা মহিলা বর্ণনা করলেন হাসি হাসি আনন্দিত মুখে! দেখে যে কেউ মনে করবে, পানি-সমস্যার বিষয়টা পুরোটাই গুজব, এদের কল দিয়ে নিয়মিত জমজম কূপের মতোন বিশুদ্ধ পানি বের হয়!
‘যন্ত্রণা’ আর ‘আনন্দ’র টানাটানির মধ্যে ‘আনন্দ’র এভাবে উৎড়ে যাওয়াটা নতুন কিছু না। টানাটানিটা যখন আনন্দর সাথে ভয়ের, তখনও জয়ের পাল্লাটা ভারী থাকে ঐ আনন্দের দিকেই! ফ্যান্টাসী কিংডোমে গিয়ে আমি নিজে এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছি! তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু আমি। সাহসের অভাবে ছোটবেলা থেকেই শিশুপার্ক জাতীয় জায়গাতে গিয়ে আমি ট্রেন বা নাগরদোলা ছাড়া অন্য কিছুতেই উঠতে চাইতাম না। চিড়িয়াখানায় গিয়ে জীবিত প্রাণীর কাঁধে ওঠার সাহস হতো না বলে শিশুপার্কের নির্জীব হাতি-ঘোড়ার ওপর চড়ে স্বাধ মেটাতাম। বড়বেলায় এসে অবশ্য বন্দুবান্ধবদের ওসওসায় পরে এমন কিছু রাইডে চড়তে বাধ্য হয়েছি যেগুলোতে ওঠার জন্য আমি মানসিক বা শারিরীক, কোনওভাবেই ফিট নই।
অনেকদিন পর্যন্ত দেশে শিশুপার্ক বা ওয়ান্ডারল্যান্ড-ই ছিলো এইসব শারীরিক বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র। ফ্যান্টাসী কিংডোমের আবির্ভাব এসবকিছুকে একেবারে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দিলো। ঐখানে যেসকল রাইডের সমাগম ঘটলো সেগুলো দেশের বিনোদন জগতে একেবারেই নুতন। কিন্তু সেগুলাও হজম করতে বাঙালীর বেশিদিন সময় লাগলো না। আজকাল দেখি, আসামীরা রিমান্ডে গিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রাখে, সহজে খুলতে চায় না। আমার মনে হয়, ঐসব রাইডে নিয়মিত চড়ার ফলেই লোকজনের যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা দিন দিন বেড়ে গিয়ে এই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে!
আমার ছোট শ্যালিকা অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পাওয়ার পরে উপহার হিসেবে তাকে ফ্যান্টাসী কিংডোমে নিয়ে যাবার আইডিয়া দিলো আমার হবু স্ত্রী। এতে করে শ্যালিকা মহলে আমার ইজ্জত বাড়বে এবং বহুত ফায়দা হবে। এই লোভে পা দিয়ে আমি আমার গোটা চারেক শ্যালিকা সমভিব্যাহারে ফ্যান্টাসী কিংডোমে গমন করলাম। এর আগে কখনও না গেলেও এর সু- এবং কুক্ষ্যাতি দুইই আমার কানে এসেছিলো। তবে কোনও রাইড সম্পর্কেই পূর্ণাঙ্গ নসিহত কারো কাছে পাইনাই। ফলে নিজেকে পুরোপুরি খোদার হাতে সমর্পন করে ঢুকলাম সেই কিংডোমে।
ঢোকার খানিক পরে বাম্পিং কার, দোলনা এসব পার করে আমরা আনন্দদিত চিত্তে এসে পৌছালাম রোলার কোস্টারের সামনে। বনভোজন করতে গিয়ে শালবনের মধ্যে চিতাবাঘ দেখলে যেমন ভড়কে যাওয়াই নিয়ম, আনন্দ করতে এসে এই জিনিস দেখেও আমি নিয়মমাফিক ভড়কে গেলাম! কারণ একটু আগেই মরনপণ চিৎকার করতে থাকা একদল নারী-পুরুষ নিয়ে মাথার ওপর দিয়ে ঐ জিনিসটাকে উড়ে যেতে দেখেছি। তখন ‘ঐপথ মাড়াবো না’ বলে ঠিক করে রাখলেও ভাগ্যের ফেরে একসময় ঐটার সামনেই এসে হাজির হলাম! সবাই মিলে অনেক জোড়াজুড়ি এবং মূলতঃ পৌরুষে আঘাত করায় একরকম বাধ্য হলাম উঠতে। এখানে আসার আগে শুনেছিলাম কে বা কারা যেন কোনও এক রাইডে উঠে কীটনাশক ছিটানোর ভঙ্গীতে চারিদিকে বমি ছিটিয়েছে - খানিক পরে যখন আকাশ আর পাতালের মাঝখানে দুলতে লাগলাম তখন মনে হলো, ‘এইটা সেই রাইড না হয়েই যায় না’। মোকসেদুল মো’মেনিন-এ কঠিন দিল নরম করার একটা দোয়া ছিলো, দেরী না করে আমি রোলার কোস্টারের চালকের উদ্দেশ্যে সেই দোয়া পরে গায়েবানা ফুঁ দেওয়া শুরু করলাম। এতে কাজ না হওয়ায় কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে ভয় কমাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু চোখের খোলা বা বন্ধ থাকার সাথে হৃৎপিন্ডের কোনও সম্পর্ক নাই; সুতরাং হৃদযন্ত্রের মাধ্যমে ভয়ের উদ্রেক হওয়া অব্যহত থাকলো।
মনে হলো, বাংলাদেশে বিদ্যুত জিনিসটা আরোও দুষ্প্রাপ্য হওয়া উচিৎ, তাইলে অন্ততঃ এইসব বিদ্যুতচালিত রাইডের মেয়াদ খানিকটা করে কমবে বলে আশা করা যায়। যাইহোক, কেমনে যেনো এক সময় রোলার কোস্টারের ‘জার্নি টু ইটার্নিটি’ শেষ হলো, কোনওরকমের হার্ট এ্যাটাক ছাড়াই অক্ষতভাবে নীচে নেমে আসায় নফল নামাজের নিয়ত করছিলাম মনে মনে। হঠাৎ কে যেন চিৎকার দিয়ে উঠলো “ম্যাজিক কার্পেট! ম্যাজিক কার্পেট!” জিনিসটার নাম শুনেছি। দিব্যচোখে দেখার পর মনে হলো, ‘ও এইটাই ম্যাজিক কার্পেট?’ জিনিসটা দিয়ে কি হয় সেটা তখনও বুঝিনাই। নামকরণ শুনে ধারণা করেছিলাম যে, হয়তো ফ্লাইং সিমুলেশন (উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা) টাইপের কিছু হতে পারে। বলতে দ্বীধা নেই, জিনিসটার প্রতি একরকমের আগ্রহও বোধ হচ্ছিল। সবাই এগিয়ে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি ৮ বছরের কম শিশুদের ওঠা নিষেধ করা আছে। এটা দেখে একটু দমে গেলাম - আট বছর পর্যন্ত কি কি জিনিসে সবচেয়ে বেশী ভয় পেতাম, মনে করতে চেষ্টা করলাম। ভূত আর ছেলেধরা ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসলো না। বেশী চিন্তাভাবনার সুযোগ নেই, পেছন থেকে সবাই ঠেলছে। সুতরাং ওঠা হলো ম্যাজিক কার্পেটে।
‘কার্পেট’ নাম দেওয়া হয়েছে যে জিনিসটার সেটা মূলতঃ একটা কাঠের বেন্চ। আশেপাশে কোথাও কার্পেটের চিন্হ পর্যন্ত নাই। কথায় কাজে এইরকম অমিল দেখে শুরুতেই খানিকটা ঘাবড়ে গেলাম। কিন্তু যাইহোক, এই পর্যায়ে এসেও আমি ঠাহর করতে পারছিলাম না কি ঘটতে যাচ্ছে। তবে যখন কার্পেট নাম্নী সেই বেন্চটা আমাদের সবাইকে নিয়ে উর্দ্ধমুখে ধাবমান হলো তখন হঠাৎ করে মনে হলো আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের ছুটিতে চাঁদে যাচ্ছি। এতো দ্রুত এতো উপরে এর আগে উঠিনাই! কে জানি পাশ থেকে বলে উঠলো ‘এইবার কিন্তু নামবে, সাবধান’! বিনোদন করতে এসে এইরকম সাবধান বাণী শুনতে হলে ভয় তো লাগবেই। আমি দুই হাতে সামনের রডটা এমনভাবে আঁকড়ে ধরলাম যে হাত আর রডের মধ্যে কোন পার্থক্যই রইলো না। দুইটাই জবরজং শক্ত! যাহোক, আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতেই বেন্চ নিম্নগামী হলো। অনেকটাই অভিকর্ষজ ত্বরণে মুক্ত-পতন। মরতে মরতে বেঁচে যাবার একটা অনুভুতি টের পেলাম। হাশরের ময়দানে নাকি বারবার মৃত্যুর স্বাদ দেওয়া হবে। মরা মানুষকে জিন্দা করে আবার মেরে ফেলা হবে। ঘটনা সত্যি হলে তখন যন্ত্রণা কিঞ্চিত কম হবে বলেই আশা রাখি! কারণ, আমি যে জিনিসকে ফ্লাইট সিমুলেশন ভেবে ভুল করেছিলাম, ওঠার পরে বুঝলাম সেটা আসলে রোজ কেয়ামতের সিমুলেশন! আগেপিছে সবাই আর্তচিৎকার করছে, যেমনটা হাশরের দিন করার কথা! যন্ত্রটা একদম উপরে ওঠার পরে খানিক ক্ষনের জন্য দাঁড়ায়। ঐ সময়টার মধ্যে কেবল ‘কুলহুয়াল্লাহ’ সূরাটা পড়া সম্ভব, আমি সেটাই করছিলাম। পাশে থেকে আমার ছোট শ্যালিকা ভয়ার্ত গলায় বললো, ভাইয়া কখন থামবে? প্রশ্ন কমন পড়লেও উত্তর দিতে পারলাম না! হাশরের দিনে নাকি পিতা সন্তানকে চিনবে না, আমি অবশ্য তখনও আমার শ্যালিকাকে চিনতে পারছিলাম; বললাম, ‘হাত দিয়ে রডটা যতো জোরে সম্ভব ধরে রাখ, ভয় পাইস না’। বারবার ঘুরেফিরে চললো এই আযাবের পর্ব। মনে মনে ভাবছিলাম, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মাফ-ছাফ নিয়ে আসা দরকার ছিলো, এইখান থেকে বেঁচে ফেরাটা ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগ থেকে জীবিত ফেরার মতোই বিস্ময়কর হবে!!
সেদিন বেঁচেই ফিরেছিলাম। কিন্তু আমার সেই মৃত্যু আতঙ্ক জার্মান দেশ পর্যন্ত তাড়া করেছে। এখানে বসন্ত- আর গ্রীষ্মকালে ফোল্কস ফেস্ট (Volks Fest) বলে একটা মেলা হয়। ৭দিনের মধ্যে এরা একটা খোলা জায়গাতে ফ্যান্টাসী কিংডোমের মতোন সেটা-আপ দাঁড় করিয়ে ফেলে! সেখানে আরোও ভয়ঙ্কর দর্শন সব রাইডও থাকে। দুই সপ্তাহ মতোন মেলা চলে। আমরা দলবেঁধে একবার গেলাম সেই মেলায়। আর সবারটা জানি না, আমার উদ্দেশ্য ছিলো নিরাপদ দূরত্বে থেকে কেয়ামত সম্পর্কে আরোও বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করা! মনজু ভাই দেখলাম আমারই মতোন মুরগী-কলিজা বিশিষ্ট। আমাদের সঙ্গীসাথীরা একের পর এক বিভিন্ন রাইডে উঠছে। আমি আর মনজু ভাই যদ্দূর সম্ভব ওদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলাম।
যাহোক, আমাদের এই সহজ সরল বিনোদন একদল পোলাপানের পছন্দ হলো না। একটা রাইডের সামনে এসে ঠেসে ধরলো, ‘এইটাতে সব্বাইকে একসাথে উঠতে হবে’। কোনোরকম আপত্তিই কেউ কানে তুললো না। জিনিসটা দেখতে মূলতঃ একটা বিশালাকার বালতির মতো - খালি গভীরতা একটু কম। বালতির একদম ধার দিয়ে বৃত্তাকারে বেন্চ পাতা আছে। এবং ঐটুকুই; অন্যান্য রাইডের মতোন এটাতে ধরার জন্য একটা রেলিং থাকলেও বেল্ট বা ঐ জাতীয় কোন কিছুর বালাই নেই। রেলিংটা বেন্চের পেছন দিকে হওয়ায় পিছমোড়া করে ধরে রাখতে হয়। বালতি ঘুরতে শুরু করলে কেন্দ্রবিমুখী বলের কারণে সবাইকে ঠেলে ফেলে দিতে চাইবে, আর যাত্রী সাধারনকে রেলিং ধরে সেই পতন ঠেকাতে হবে। আমি এর মধ্যে আত্মরক্ষার একটা বিষয় খুঁজে পেলেও মজার জায়গাটা চিন্হিত করতে পারলাম না।
সবাই মিলে বালতিতে উঠলাম। একটু পরে আবিষ্কার করলাম বালতির ঘোরাটা কোনও সাধারণ ঘোরা নয়। অর্থাৎ শুরুর দিকে নিষ্পাপ ভাবে ঘুরতে থাকলেও একটু পরে ঘূর্ণনের সাথে সাথে ২য় আরেকটা গতি যুক্ত হলো। দ্বিতীয় গতিটাকে বলা হয় ‘ইয়োইং’। এটা অনেকটাই আমাদের দেশের কুলো দিয়ে চাল ঝাড়ার সাথে তুলনীয়। সমস্যা হচ্ছে কুলোয় চাল ঝাড়া হলেও সেখানে চালকে কুলোর ভেতরেই রাখার একটা চেষ্টা থাকে, এখানে আদম সন্তানদের শুধু ঝাড়াই হচ্ছে না, ফেলে দেবারও একটা প্রচেষ্টা আঁচ করা যাচ্ছে। ঘড়ি, মোবাইল আর ওয়ালেট রাইডে ওঠার আগেই বন্ধক রেখেছিলাম। এবার খোদার দেওয়া দুই পিস পা নিয়ে পরলাম বিপাকে। বসার জন্য বেন্চ থাকলেও মনে হচ্ছিল কেউ কৌটা ভর্তি বোরিক পাউডার ঢেলে ফেলেছে বেঞ্চের ওপর; সেটার সাথে পশ্চাদদেশের নিবিঢ় কোনও সম্পর্কই স্থাপন করা যাচ্ছিল না! ফলে বালতির ঝাঁকুনীর তোপে পদযুগল গ্যাস বেলুনের মতোন খালি আকাশমুখো হতে চাইছে; গোটা শরীরকে সেই আকাশ-বিহার থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব চেপেছে দুইটামাত্র হাতের উপরে। ছোটবেলায় বাবা যখন দুইটা হাত ধরে ঝোলুই খেলতেন তখনও তেমন একটা উপভোগ করিনাই বাবার প্রতি অশেষ ভরসা থাকা সত্বেও। এই যন্ত্রের প্রতিও ভরসা কম বোধ করছি না। সমস্যা হলো, যন্ত্রটার কাজই হচ্ছে মানুষজন যাইই উঠুক, সব ঝেড়ে ফেলা - আর কাজটা যে খুবই সম্ভব সেই বিশ্বাসও পুরোপুরি ছিলো! আমি হন্য হয়ে আশেপাশে আশ্রয় খুঁজতে থাকলাম।
সব ঘুর্ণিঝড়েরই নাকি ‘চোখ’ বলে একটা জায়গা থাকে - আশপাশ উল্টে গেলেও ঐ চোখ থাকে শান্তশিষ্ট। পার্শ্ববর্তি গাট্টাগোট্টা এক বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মনে হলো এই ঝড়ের চোখটা ওনার ‘ইয়ে’র নীচেই চাপা পরেছে! আমরা সবাই ব্যপক ওজনহীনতায় ভুগলেও অন্ততঃ ওনার পাছার নীচের জায়গাটায় মাধ্যাকর্ষণের কোনও অভাব আছে বলে মনে হলো না। ওনাকে সরিয়ে চোখের ওপর নিজের দখল নেবো এই সাহস আমার হলো না। তবে গোটা শরীর না হলেও অন্ততঃ পা দুটোকে চোখের মধ্যে ঢুকানোর পাঁয়তাড়া করতে লাগলাম। উনি যে জিন্স প্যান্ট পড়েছিলেন সেটাকে আমরা বলি ‘হাগা প্যান্ট’। বাচ্চা পোলাপাইন প্যান্টের মধ্যে হেগে ফেললে পেছন দিকে একটা স্ফীত ভাব সৃষ্টি হয় যেটা এইসব প্যান্টের ক্ষেত্রে হাগা ছাড়াই তৈরি হয়!! এই সাদৃশ্যের কথা ভেবেই এরকম নামকরণ। সাধারণ প্যান্টের পকেট পাছা বরাবর থাকলেও এই জাতীয় প্যান্টের পকেটগুলা থাকে হাটুর কাছাকাছি! তদুপরি পকেটের আকারও হয় বাজারের ব্যাগের মতোন বড়সর। সুতরাং আমি সুযোগ বুঝে দুই খান পা-ই ঠেসে দিলাম ওনার পকেটের মধ্যে! এর ফলে পাদু’টো অন্ততঃ খাবি খাওয়া থেকে রেহাই পেলো!
নিজে খানিকটা স্থিত হতেই চোখ পরলো মনজু ভাইয়ের ওপর। ওনার ঠোট দেখে মনে হলো অনবরত বিরবির করে কিছু জপছেন। ভূমিকম্প হলে মা বলতেন কালেমা পড়তে। মনজু ভাইও নিশ্চয়ই এখন কালেমাই পড়ছেন। উনি স্বাভাবিক অবস্থাতেই সোজা হয়ে ঠিকঠাকভাবে হাটাচলা করতে পারেন না। প্রশস্ত রাস্তাতেও ওনার হাঁটা দেখলে যে কেউ ভাববে উনি সার্কাসের দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটছেন। সুতরাং এরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ওনার অবস্থাই যে সবচেয়ে বেশী বেসামাল হবে সেটা সহজেই অনুমেয়। বাস্তবেও তাইই হলো। বাসাবাড়ির ছাদে দড়ির সাথে সারি বেঁধে কাপড় শুকানোর দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। প্রবল ঝড়ের মধ্যে পরলে দড়িতে ঝুলানো সবচেয়ে লম্বা প্যান্টটার যে অবস্থা হয় মনজু ভাইয়ের অবস্থা তথৈবচ মনে হলো। লম্বায় ছয়ফুটের মতোন হওয়াতে বালতির কুদৃষ্টি ওনার ওপরেই বেশি করে পরেছে! মনজু ভাইয়ের চেহারাই বলে দিচ্ছে, উনি জীবনের আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন! যাহোক, একসময় বালতির চালক যখন নিশ্চিত হলো যে, এদের ঝাঁকুনী যথেষ্ট হয়েছে তখন ঝর থামলো। বিনোদনের আরেক নাম যে এইরকমের প্রান বাঁচানোর যুদ্ধ সেটা আরেকবার টের পেলাম।
যাহোক, চরম হেনস্তা হয়ে আমরা যখন বালতি থেকে নামলাম, তখনই রাইডে চড়ার প্রণোদনা দাতাদের একজন বলে উঠলো, ‘এই তো! ভেরি সিম্পল! কি মনজু ভাই? বলছিলাম না ব্যাপার না!? ঠিকই তো পারলেন, শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিলেন’! একটু আগে জীবন-মৃত্যূর মাঝখান থেকে অলৌকিক উপায়ে বেঁচে ফেরা মনজু ভাই অবশ্য এই ‘চিয়ারআপ’ বক্তব্যে খুশী হতে পারলেন না। উল্টো উনি চটে গেলেন। মাছ, পাখি এইসব প্রাণীকূলের চোখের ওপরে ভ্রুঁ না থাকায় তারা রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে না। মনজু ভাইয়ের সেই সমস্যা নাই। সুতরাং, উনি পঞ্চ ইন্দ্রীয় কুঁচকে নিজের উষ্মা ঝাড়লেন - ‘শাট আপ! দিস ইজ নো জোক! দিস ইজ এ ম্যাটার অব (টু-ট্) লাইফ এন্ড ডেথ!!’
মন্তব্য
সেইরকম মজা পাইলাম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমিও
ধন্যবাদ
হা হা হা...........কী রসিয়ে যে আপনি লিখতে পারেন!!!
জয় রাইড ভীতি আমার মধ্যে প্রবলভাবে বিদ্যমান। গতবছর বউয়ের প্ররোচনায় তিনদিনের জন্য ডিজনীওয়ার্ল্ড ও ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। পৃথিবীতে বসেই নরকযন্ত্রনা ভোগের অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে। তবে আনন্দ পাইনি একথা বলবো না।
আপনি এখনও বেঁচে আছেন দেখে অভিনন্দন! বেঁচে থাকাটাই আসল। আনন্দটা ফাও!
- মেম্বরনী তো আর আপনেরে আনন্দ দেয়ার লাইগ্যা সেইখানে নিয়া যায় নাই। নিছিলো ভূতের রামলীলা দেখানোর জন্যই। সেইটা অবশ্য মওলানা তার পুষ্টে খানিকটা 'টাচ' দিছিলো। যাউক্গা, বাঁইচা ফিরা আসছেন বইলা আমারে ডাইকা একদিন শির্ণী খাওয়াইয়া দিয়েন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো পারফেক্তো বলিয়াছো।
মেম্বরনি কেন যে কি করে সেইটা আমাদের সবারই বুঝে এসে গেছে। মেম্বরে কেন নিজেরে দ্রোহী বলে সেইটাও পাবলিকে জানে। কোন মেম্বরনির বিরুদ্ধে তার দ্রোহ সেইটা কি আর আমরা বুঝি না...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জটিল হৈসে রে ভাই..পুরা যা তা
ক্যাম্নে যে লেখেন এত জমায়া..
একেকজন একেকটা পারে, আমি আবার অতো সুন্দর ছড়া যে লিখতে পারি না!
সেইরকম হাসির হইছে। জোস জোস জোস।
আপনার অরোরা লেখায় কমেন্টানো গেলো না বহু চেষ্টা করেও না। মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনার ব্লগ পাতায় অরোরা ইফেক্ট দূর করার জন্য।
ও...ধন্যবাদ!
হ্যাঁ আমিও বার দুয়েক চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিয়েছি। ভুতুমের অরোরা নিয়ে লেখা পোস্টটায় মন্তব্য নিচ্ছে না।
আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। আসলেই অত্যন্ত রসালো আপনার লেখা।
জয়রাইড আমার কাছে কোন ব্যাপারই না। ফ্যামিলি থেকে ফ্যান্টসি কিংডম গেলে আমি নিজের টিকেটের রাইড তো চরিই আবার যারা ভয় পায় তাদের টিকেটেরও সদ্ব্যাবহার করি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনার অন্ততঃ তাইলে কেয়ামত নিয়া ভয় থাকলো না!
আরে আপনার অভিজ্ঞতা শুনে আমার নিজের গল্প মনে পড়লো। বাচ্চাকালে কাঠের নাগরদোলাতেই সঁিটিয়ে যেতাম। অনেকদিন পর ভেগাসে গিয়ে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের একটা ভয়ানক রাইডে চড়ে যখন বঁেচে ফিরে এলাম তখন মনে হলো যে না, এই বার সত্যি বড়ো হয়ে গেছি, আর ভয় হয় না যখন। কিন্তু সেইটা যে একটা বিভ্রম ছিলো সেটা নিউ ইয়র্ক- নিউ ইয়র্কের রোলারকোস্টারে চড়ে বুঝলাম। বিশদ বর্ণনা থাক, শুধু ঐ সময় ভগবানকে ডেকে বললাম, স্যার এ যাত্রায় যদি একপিসে নামিয়ে দাও তো আর এই ভুল করবো না কথা দিলাম। তা উনি প্রার্থনা শুনেছেন। এখন কেউ জোর করলেই আমি ভগবানের দোহাই দেই, আফটারঅল ওনাকে দেয়া কথার খেলাপ তো করতে পারি না।
তবে সম্প্রতি হোয়াইট ওয়াটার রাফটিং-এ গিয়ে কিন্তু মজা পেলাম। আপনি ওটা কখনো ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমাদের জন্য রাইড বেশি তো নেই, কাজেই.....
এইসব আমার বউ অতি পছন্দ করে। তার পাল্লায় পরে একবার কোন এক রাইডে চড়ার পর আমার মৃতপ্রায় শরীর সামলাতেই তারে ব্যস্ত থাকতে হইছে। সেও কানে ধরছে আমারে আর টানবে না।
ওয়াটার আমার এই জীবনের আরেক আতঙ্কের নাম। সাঁতারের তো ছাতা কিছুই পারি না। আমি পোলাপইনের মেরি-গো-রাউন্ডের পাশে দাড়িয়ে মজা দেখি আর আফসোস করি। ঐগুলাতে আমার ওঠা নিষেধ। তবে দোলনায় উঠি। ভয় পাই, তো সেটা আতঙ্কের পর্যায়ে পরে না।
আপনার লেখা পড়লে যে অনাবিল আনন্দ পাই, তাতে মাঝে মাঝে মনে হয় আপনারে নোবেল শান্তি টা দেওয়া দরকার।
আপনার লেখা তো মারাত্মন হইসেই, কিছু কিছু জায়গায় যা উপমা দ্যান না, একদম হাসতে হাসতে গড়াগড়ি...
দুর্দান্ত লাগলো লেখাটা...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লেখার গুণ কতোটা জানি না; তবে আপনাদের কমেন্টে যে কিছু একটা আছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই!
বেরকম কমেন্ট করলে লেখা তো লিখতেই ইচ্ছে করে
!!ব্লগর ব্লগর সফল হউক!!
‘হাগা প্যান্ট’
প্রবল ঝড়ের মধ্যে পরলে দড়িতে ঝুলানো সবচেয়ে লম্বা প্যান্টটার যে অবস্থা হয় মনজু ভাইয়ের অবস্থা তথৈবচ মনে হলো।
মাছ, পাখি এইসব প্রাণীকূলের চোখের ওপরে ভ্রুঁ না থাকায় তারা রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে না। মনজু ভাইয়ের সেই সমস্যা নাই। সুতরাং, উনি পঞ্চ ইন্দ্রীয় কুঁচকে নিজের উষ্মা ঝাড়লেন - ‘শাট আপ! দিস ইজ নো জোক! দিস ইজ এ ম্যাটার অব (টু-ট্) লাইফ এন্ড ডেথ!!’
ভাই হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে.....
একবার ইউনিভার্সেল ষ্টুডিওতে গিয়ে "গোষ্ট হাউজে" ঢুকে আমার প্রান আয় যায় অবস্থা হয়ে গেছিল তবে মজাও পেয়েছি।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আপনার আনন্দ দেখেও আমার ভালো লাগছে, সচলের পরিবেশ ভারী হয়ে যাওয়াতে তারাহুরো করে পোস্ট করলাম। আমার আবার গম্ভীর জিনিসপত্র পছন্দ না।
ভালো থাকেন
আপনার তাইলে চারটি শালি। মান্যবর ধূগো কী জানে এই তথ্য?
নন্দনে গিয়ে রোলার কোস্টারে চড়েও আমি এমন ব্যাপক ভয় পাইছিলাম। মনে হইতেছিল, এই বুঝি শ্যাষ হইয়া গেলাম।
সারছে! এইটাতো মনেই আছিলো না!!!
...
...
যাউক আমার দলেও লোকজন আছে!!
আপনার মন্তব্য ধার করেই বলিঃ কোন লেখা ধারাবাহিকভাবে (মান অক্ষুন্ন রেখে) লিখে যাওয়া খুবই কঠিন কাজ। আপনি সেই কঠিন কাজটি অবলীলায় করে যাচ্ছেন।
আপনাকে নিয়মিত লিখতে দেখে খুব খুশি হলাম।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নামটা স্মৃতি বিপর্যয় দিতে চেয়েও দেই নাই, ভাবলাম লোকজন স্মৃতি বিপর্যয়ে হয়তো বোরড হয়ে যেতে পারে!
ধন্যবাদ রেনেট।
ফাটাফাটি লেখা আরেফিন ভাই। হাসতে হাসতে শেষ।
ফ্যান্টাসি কিংডমের রোলার কোস্টারটা চলে, খারাপ না। তবে ম্যাজিক কার্পেটটা আসলেই ভয়াবহ জিনিষ। আমি উঠার পর অপারেটর গম্ভীর স্বরে আমারে কইলো, "আপনার চশমাটা খুলে দিন"। আমি হালকা ভয় পাইলাম। তারপর ব্যাটা সবাইরে উদ্দেশ্য কইরা কইলো, "যাদের হার্টের সমস্যা আসে, তারা নাইমা যান"... এইবার আমি পুরা ভয় পাইলাম, আর রাইড শুরু হওয়ার পরে আত্মারাম পুরা খাচাছাড়া... তারপর ভয়ে আর বিরাট নৌকাটায় (নোয়াজ আর্ক, না কি যেন নাম, ভুলে গেসি) উঠি নাই।
=========================================
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আপনার মন্তব্যে
হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি
- পেন্টাসী কিন্ডমে আরেকটা আছে, সান্টা মারিয়া। মাইয়া টাইপের নাম, ভাবছিলাম নরমশরম কিছু একটা হবে। ওখানে উঠে বসে পিচ্চি পাচ্চার সাথে বিন টাইপের দুষ্টামীও করলাম। কিন্তু ওমা, যখন মারিয়া উপরে নিচে ওঠানামা করতে শুরু করলো, আমি চিল্লান শুরু করছি, ড্রাইভর ভভাইগো, মারিয়ারে থামান। আমি বাইত যামুগা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা হা ... ... ... কমেন্টে
মারিয়া গিয়াছে মরিয়া। উহা এখন আর চলে না...
আপনে দেশে আসলে লিচ্চিন্ত মনে পেন্টাসী কিঙ্গমে যাইতে পারেন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কি লোডশেডিং এর জন্য বন্ধ নাকি পার্মানেন্টলি বন্ধ?
পুরা ব্যাপক একখান পুষ্ট। চ্রম্মজা পাইলাম
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনাদের কারো কারো বাংলা লেখায় ডারউইনের বিবর্তণ বিশেষভাবে লক্ষণীয়, ঘটনা কি? কি দিয়ে লেখেন?
যাউগ্গা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ভাই রে, কী আর কমু...
আপনের লেখার প্রশংসা করতে গেলে আমার লজ্জা লাগে। মনে হয়, এত ভালো লেখা নিয়া কথা কওয়ার যোগ্যতাই আমার নাই!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দূর হ মৃদূল!
আর প্রশংসা লাগবে না, তোমারে আমি এমনিতেই ভালো পাই
ভাই, আপনি বহুদিন পরে স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হলেন। আপনি পারেনও বটে। হাসতে হাসতে আমার ক্ষুধা লেগে গেছে। ম্যাজিক কার্পেটের বর্ণনার সাথে হাশরের তুলনাটা অসাধারণ লেগেছে। আপনার লেখনীর তুলনা আপনি নিজেই। কিভাবে যে এগুলা লেখেন!
যাই লিখি সেগুলা আপনাদের প্রণোদনায়। পিঠ চাপড়াতে থাকেন! আমিও লিখতে থাকবো
মন্তব্যে
হা হা হা ! ভাই, এইটা কী ঝাড়লেন ! অসাধারণ উপস্থাপন !
যাক্, জীবনটারে আবার ফিরা পাওয়ায় অভিনন্দন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আর যেন গোমড়া মুখ না দেখি, হু!
ছেলের সাথে চড়তে হয়েছে অনেক বার। একবার প্যারিসের ওয়ার্ল্ড ডিজনীতে। সেটা ছিল ভয়াবহ।
মিউনিখে অক্টোবরফেস্ট হয়। সেখানেও থাকে ভয়ঙকর সব রাইড। চলে আসুন, আপনাকে চড়িয়ে যাতে ভয় না পান, সেজন্যে নীচে দাঁড়িয়ে থাকবো। কোথায় আছেন জার্মানীর? নিশ্চয়ই খুব দুরে নয়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এই পোস্টের সেরা কমেন্ট।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তীরু দা! কি বললেন এইটা!! এবার আমার হাসি থামাবে কে?!
.... ... আমি আছি Würzburg এ। হাসিব ভাইয়ের কাছে আপনার অনেক কথা/প্রশংসা শুনেছি। আর লেখার কথা তো সবাই জানে
খুউব খুউব মজার লেখা। খুউব ভালো লাগল
অনেক ধন্যবাদ
আপনার লেখাও তো খুবই হ্যাজারডাস (আবার ইংলিশ!); হাসতে হাসতে মানুষ মারা গেলে তো সু হইয়া যাইবেন লুৎফুল ভাই! এইসব পরিকল্পিত হাসি-মারনাস্ত্র ছাড়ার আগে ডিসক্লেইমার দিয়া নিয়েন; শুইয়া শুইয়া হাসতে গিয়া পিঠে ব্যথা পাইছি মিয়া! কি বিপদ - কই ভাবলাম সচলে আইসা সাহিত্য পড়ুম - সহজ সরল বিনোদন করতেই দিলেন না!
:D
এরপর থেকে দিমু ডিসক্লেইমার। ভালো বুদ্ধি দিছেন।
পিঠের ব্যাথা বেশি হইলে আমার পরের পোস্টটা না পড়ার অনুরোধ রইলো।
আরেফিন কি শুরু করছো এইসব? হ্যা? মিয়া পেটের ভেতর যে বেদনা হইতেছে এইটার চিকিচ্চা কে করাবে?
এই যে পাগলের মতো একলা একলা হাসতেছি, লোকজনে যে সন্দো করতেছে, এর ক্ষতিপুরণ কে দিবো?
আমার বউও যদি মেম্বরনির মতো সচল নিয়া ক্ষেইপা যায় (জামাইর পাগলামোতে) সেইটার বিচার কে করবো?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নাহ্ ডিসক্লেইমারটা দিতেই হইবো। খাঁড়াও ভাই, এরপর থেইক্যা।
গতকাইল তো মনে কয় বিশ্ব হাসি দিবস ছিলো, তা সেটা ভাবীরে কইলেই হয়!!
নজমুল আলবাব - আমার সমস্যা তো আরও প্যাঁচালো! আমার মেয়ে প্রা্যই দেখে তার মা কম্পিউটারে কী কী যেন পড়ে আর খ্যাক খ্যাক করে হাসে - অবধারিতভাবেই তারও সাথে সাথে হাসার ইচ্ছা হয়!! এবং সেখানেই হয় সমস্যা - আমার পৌণে ইংরেজ মেয়েকে কী করে ব্যাখা করি কেন আমি হাসছিলাম!
মেয়েটা সচলায়তন চেনে না, কিন্তু আমার 'বাংলা thing' নিয়ে সে বড়ই বিরক্ত
জলদি মেয়েরে বাঙলা শেখান স্নিগ্ধাদি। এরপরে আরেফিনের লেখা ধরায়া দেন। এরপরে মা মেয়ের টানাটানি দেখবো আমরা।
আমার ছেলে রোজ রাগারাগি করে, আমি নাকি সময় গময় নাই কাজে বসে যাই। [তারে আমিই বুঝাইছিলাম, যে কম্পুতে বসে আমি জরুরি জরুরি কাজ করি] কম্পুতে বসতে দেখলেই বলবে, 'এই হইলো, তান কাজ শুরু হইগেলো।'
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাপ্রে ম্যাজিক কার্পেটে উঠে আমি যেই ভয় খাইছিলাম। লেখা যে সিরুম হইছে সেইটা তো সবাই বললোই। আমি একটা পাঁচতারা দিয়ে সন্মান জানাইলাম খালি
ওয়ালাইকুম সম্মান, যথারীতি ৫ বার
উফফফফফফফফফ !!!!!! কী যে মজার লেখা!!!!!! পারেনও আপনি
আপনার মেয়ে বড় হয়ে বাংলা শিখে পড়ুক এই লেখা আর হাসুক - এই দোয়া করি
কারণ ইংরেজীতে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না। ইংরেজীতে পাবলিকেশন লিখতে লিখতে হাতের কি জানি হইছে, সাহিত্য কিছুতেই হবে না। যাইই লিখবো দেখা যাবে পাবলিকেশন হয়ে যাচ্ছে!
... ... পারাপারি যাইই বলেন সবই আপনাদের কাছে। আপনারা যদ্দিন হাসবেন আমিও তদ্দিন পারবো
ধন্যবাদ!
সম্ভব না। মেয়ের সাথে সঙ্গ দিতে গিয়া উঠছিলাম নাগরদোলায়। ঘুরতে ঘুরতে ফুট দশের উঠার পর আমার কেয়ামত দশা। বমি করি নাই, কিন্তু মাথায় হাত দিয়া ফুটপাথে পড়েছিলাম মিনিট দশেক। গাড়ী চালাইয়া বাসায় ফিরতে খুব কষ্ট হইছে।
ভাল লাগল আপনার লেখা।
ফুট দশেকেই কাইত?
তাইলে আপনি বেশী লম্বা লেখাও তো পড়তে ভয় পাইবেন
আপনারে মনে হইলো আমার চেয়েও ইয়ে, তাই চান্সে একটু ঝারি দিলাম, সবাই আমারে ঝারে তো!
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
সিরাম হইছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনারে সিরামভাবে ধন্যবাদ
আমি শিব্রাম-নারায়ণ পড়া মানুষ। এই দূর প্রবাসেও শিব্রাম আমার নাগালের মধ্যেই থাকে। বিছানায়, বালিশ লাগোয়া দূরত্বে। আমার মন খারাপ থাকলে শিব্রাম আমার মনটার দেখভাল করে।গতকাল থেকে মনটা(বলা উচিত মেজাজটা)খুবই খারাপ ছিলো।
এতোই খারাপ যে শিব্রামকেও কাছে ঘেঁষতে দিইনি। সকালে সচলায়তনে ঢুকলাম, গেরিলা কায়দায়(লগ ইন না করে) কয়েকটা লেখা পড়েও ফেললাম। সত্যি বলতে কি লুৎফুল আরেফীন আপনার এই লেখাটা পড়ে এতো আনন্দ পেলাম যে মনটাই ফ্রেস ঝরঝরে হয়ে গেলো। আমি খুব হাস্যরসপ্রিয় মানুষ। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, গত
সপ্তাকয়েক আমি এতোটা হাস্য করিনি যা আজ করা হলো আপনার প্রযত্নে।
হাস্যরসাত্মক রচনায় আপনার লেখার হাতটি সত্যি ঈর্ষণীয়।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, আমি নাহয় একটু বিয়াই করছি, তাই বলে আপনি আমারে 'আপনি' 'আপনি' করবেন? আমারটা নাহয় বাদ দিলাম, আপনার নিজের বয়সখানাও কি ভুলে গেলেন?
আপনার মতোন একজন গুণী শিল্পী আমার লেখায় মন্তব্য করার কষ্ট নিয়েছেন, সেটা আমার সাত জনমের ভাগ্য! অধমকে আপনার ছোট ভাই বলে গ্রাহ্য করবেন।
আমার স্ত্রীকেও দেখালাম আপনার মন্তব্য, সেও যথারীতি Excited!
ভালো থাকুন। রবিঠাকুরের জন্মদিনে আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষাতে আছি।
এই লাইনটা পড়ার পর আক্ষরিক অর্থেই চেয়ার থেকে পইড়া গেছি। মাথায় বরফ ঘষতে ঘষতে কমেন্ট লিখতেছি।
হেলথ ইন্সুরেন্স আছে তো না?
খুশি (মনে মনে) হইলেও আপনার জন্য আফসোস হচ্ছে (মিছা কথা)!
লেখায়
ফ্যান্টাসি কিংডম যখন নতুন শুরু হয় তখন আমিও একবার এই ম্যাজিক কার্পেটে ধরা খাইসিলাম। ভাবসিলাম নাম যেহেতু 'ম্যাজিক কার্পেট' তাই মনে হয় এটা আলাদিনের কার্পেট জাতীয় কোন উড়াউড়ির সিমুলেশন হবে। উইঠা দেখি পুরা কেয়ামতের আলামত! এরপর কিরা কাটসিলাম জিন্দেগীতেও আর রোলার কোস্টার জাতীয় কিছুতে উঠুম না।
এরপর ২০০৪-এ এক বন্ধুর সাথে গেলাম সি-ওয়ার্ল্ডে। ওইখানে স্টিল ইল নামে বিশাল এক হাইপারকোস্টার (রোলার কোস্টারের আব্বা) আছে। আমি তো ওইখানে কিছুতেই যামু না, কইলাম 'ম্যাজিক কার্পেটে উঠে আমার শিক্ষা হইছে, এইগুলার মইধ্যে আমি নাই'। কিন্তু নাইম মানো ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলো সে নাকি কয়দিন আগেই ভেগাসের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উঠছে, খুবই আনন্দ পাইছে। এইটা তার কাছে মনে হচ্ছে কিছুই না, আর ম্যাজিক কার্পেটের মত ভগিজগি নাকি এইগুলাতে নাই। পড়সি মোগলের হাতে, খানাও খাইলাম। এই যে ফটুক আসমানের-
স্টিল ইল
স্টিল ইলের উপরে আমার কান্দাকাটি অবস্থা হইলেও নীচে নেমে আমি তাড়াতাড়িই সামলে উঠছিলাম। কিন্তু আমার দোস্ত যে এত ফাল পারছিল তার প্রায় হার্ট এটাক হয় হয় এমুন অবস্থা ওইটা দেখেই পয়সা দিয়া এই ছবি কিনসিলাম। তবে এরপরও ধরা খাইসিলাম ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে 'মামি' দেখতে গিয়ে। তবে মামির শো ভয়ংকর হলেও রাইড এত খারাপ ছিল না।
আজকাল এইসব মেলায় গেলে আমি বড়জোড় ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির শো গুলোতে ঢুকি। আমার আসলে সবটাতেই ভয় লাগে কমবেশী। এইগুলান আমার জন্য না।
একদম ছোটবেলায় ব্যঙ্ককে রোলার কোস্টারে উঠছিলাম, সেইটা আরোও উপর দিয়ে যায়, তাও ডরাই নাই। তখন বয়েস কম ছিলো তো, জীবনের মায়া টায়া বুঝতাম কম। যতো বয়েস বাড়লো, ততো জীবনের মায়াও ...
আমারও ভয় লাগে।
লেখায়
শিমুল! অনেক ধন্যবাদ
হাসতে হাসতে খিল খুলে তো গেলোই, মাথার ঢিলা স্ক্রুগুলি খুলে আসতে চায়। ইচ্ছা করে খুব নাচি।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার নাচেরও বিদ্যা আছে জানা ছিলো না
নাচলে এনকিদুরে বইলেন, নাচের একটা ছবিও এঁকে ফেলতে, তারপর পোস্ট করেন
এগুলা blogs of mass destruction! দুর্দান্ত! উদ্ধৃতি দিতে গেলে পুরো পোস্ট তুলতে হবে, তাই সে-পথে গেলাম না।
আপনি যেভাবে কমেন্টান আমার পোস্টে ইচ্ছে করে ডেইলি সোপ শুরু করি, সেইটা তো বান্দার সাধ্যের বাইরে, এইবার শুধু সচলের মন ভালো করার জন্য তারাতারি পোস্টালাম।
মন ভালো থাকলেই আমি খুশী
...আরেকটি বিটিভির ছায়ছন্দ সম পোস্ট দেয়ার জন্যে অতিথিয় আভিনন্দন ...।
সেই রকম লাগলো !!!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
- ছায়াছন্দ? অঞ্জুঘোষ নাচে না ক্যান তাইলে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কঠিন লিখেছেন
আপনি একটা জ্বলজ্যান্ত হাসির মেশিন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রশংসা গৃহীত হইলো!
... ... ... মেশিন বললেন তো, তাই মেশিনের মতো করে বললাম
উফ সুজন !! মারাত্বক হয়েছে । হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি। মন্জু ভাইয়ের সেই বিখ্যাত ফেইস!!!।। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে লেখাটা।।। ভালো থেকো।।
আমার এই রাইড গুলা ভালই লাগে, আপনার লেখা বরাবরের মত মারাত্মক মজার, হাসতে হাসতে পেটের মাসল গুলা জানান দিচছে যে তারা আছে! ভাল লাগল!!!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
@ইজাজ,
ইজাজ ভাই বহুত ধন্যবাদ! বোজোকে পড়তে দিয়েন লেখাটা। আমার ধারনা সে এখন পড়লে আবার ভয় পাবে!
@তাহমিনা,
আপনি তাইলে গেছো স্বভাবের। আমি তো ছোটবেলায় বাপের ভয়ে ডাংগুলীও খেলি নাই। এই সব শক্ত শক্ত খেলা আমি কেমনে খেলবো?!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই দুঃস্বপ্নের কথা মনে করিয়ে দিলেন ম্যাজিক কার্পেটের কথা বলে। আমার জীবনে এমন বিপদে আর কোনদিন পড়েছি বলে মনে পড়ে না। অথচ নামটা শুনে ভেবেছিলাম না জানি কি অদ্ভুত হবে জিনিসটি। তবে একথা সত্য যে ওখান থেকে নেমে দুনিয়ার পরবর্তী জীবনের কথাই মনে এসেছে সবচেয়ে জোরালো ভাবে।
আপনার লেখার স্টাইল এবং উপস্থাপনার মান সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার মত ক্ষুদ্রজ্ঞান সম্পন্ন লোকের ধৃষ্টতা বৈ কিছু নয়। তবে আমার বক্তব্য-আমার অসাম্ভব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদের চেয়ে বেশি দেবার মত কিছু আমার কাছে নেই, তাই সাধ্যের মধ্যস্থিত সকল ধন্যবাদ এমন চমৎকার লেখাটি উপহার দেয়ার জন্য।
সালাহউদদীন তপু
আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ছোট হয়ে যাবে, তাই সেপথে না যাই, আপনি ভালো থাকুন।
সেইরকম মজা পাইলাম।
আপ্নের লেখা বেশি পড়া ঠিক না হাসতে হাসতে হার্টফেল করতে পারি!
---------------------
আমার ফ্লিকার
অসাধারন....
আমি আপনার লেখা পড়লে হাসতে হাসতে হার্ট এ্যাটাক করে মরে যাওয়ার দশা হয়...
হো হো হো হো....
(জয়িতা)
লেখার সময় কি আঙ্গুলের মাথায় নাইট্রোগ্লিসারিন লাগায় নেন নাকি বস? পড়তে গেলে একটু পরপর লম্বা লম্বা দম নিয়ে নিতে হয়, পাছে দম ফুটে মরি। আপনার হাগা প্যান্টের উৎস তাহলে এখানে
আমার মনে হয় শরীরে মোশন সেন্সর বেশ দুর্বল, তাই পরপর ৬ বার ম্যাজিক কার্পেটে উঠেছিলাম, বেশ ভালই লেগেছিল, রোলার কোস্টারটাও তেমন ভয়ের লাগে নি। সে তুলনায় আপনার বালতির ব্যাপারটা বেশ ভয়াবহ বলেই মনে হল।
ফ্যা কিতে সান্তা মারিয়া নামে একটা জাহাজের রাইড ছিল, মনে আছে? ঐটাতে এক মহিলাকে দেখেছিলাম বমি করতে, যেহেতু পুরা জাহাজটা ৯০' কোণে ছিল, এক মাথা থেকে তিনি বমি করেছিলেন, আর এসে পড়েছিল অপর পাশে।
কেন যেন এইসব অসুস্থ রাইডগুলা আমি ব্যাপক ভালু পাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরেফীন ভাই,
বলার ভাষা নাই, এই লেখা পড়ে মাঝরাতে বান্ধবহীন প্রবাসে অনেকদিন পর হাসতে হাসতে শীর্ষেন্দুর ভাষার 'কুমড়ো-গড়াগড়ি' অবস্থা! আমি আমার ল্যাপটপে, আর অন্যপাশে আমার স্ত্রী তার ডেস্কটপে আপনার লেখা একটার পর একটা পড়ছি আর রাত ৩:৪৫ মিনিটের সময় গলা ফাটিয়ে হাসছি।
আপনার যতগুলো লেখা পড়েছি, সবগুলোতেই কিছু না কিছু কমেন্ট করতে ইচ্ছা হয়েছে, কিন্তু তা না করে পরের (বা আগের) লেখাটার দিকে গেছি, কিন্তু এবার আর ঠেকাতে পারলাম না। ফ্যান্টাসী কিংডমে আমি ম্যাজিক কার্পেটে উঠেছিলাম রোলার কোস্টারে ওঠার আগে, তাই রোলার কোস্টার আমার কাছে ব্যাপক সোজা মনে হইছিলো, কিন্তু ম্যাজিক কার্পেটে যে একবার উঠছে, তার পক্ষে বোধহয় সারাজীবন ওইটা ভোলা সম্ভব না!
ধন্যবাদ আপনাকে, অদ্ভুত সুন্দর লেখাগুলির জন্যে। মা নিয়ে লেখাটা পড়ে যেমন খারাপ লেগেছে, তেমনি এটা বা আরো কিছু লেখা পড়ে হাসতে হাসতে চোখে পানি এসেছে। ভালো থাকবেন আপনি, আর চমৎকার চমৎকার লেখা লিখতে থাকবেন।
অবশ্যই, এতদিন পরে মন্তব্য পেতে আমারও বেশ লাগছে
আপনাকে এবং আপনার স্ত্রীকে আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা।
এই লেখা খাদ্যগ্রহণকালে পড়া মানা! ক'বার বিষম খেতে খেতে বেঁচেছি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
জ্বর নিয়ে পড়ছিলাম, হাসতে হাসতে জ্বর প্রায় পালালো। গড়াগড়ি অবস্থা...
রাইডভীতি আমার অসম্ভব রকমের। তাও দৈব দুর্বিপাকে পড়ে সেই ম্যাজিক কার্পেটেই চড়া হয়েছিল ফ্যান্টাসি কিংডমের শুরুর দিকে। নামার পরে কেবল ভাবছিলাম কখন বাড়ি ফিরব। মনে হল কেউ ঝালমুড়ির কৌটায় ভরে ঝাঁকিয়েছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ওরে বাবারে হাসতে হাসতে একেবারে পেটব্যথা হয়ে গেল৷
আমিও এই রাইডগুলো ভীষণ ভয় পাই৷ এই পর্যন্ত এড়িয়ে এসেছি, কক্ষণো চড়িনি৷ শত প্ররোচনাতেও না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
মন মেজাজ খারাপ ভাবছিলাম না হেসেই বছরটা পার করে দেব। পুরানো লেখা ঘাঁটতে গিয়ে এইটা পড়ে ফেললাম। আমার দম বন্ধ অবস্থা এখন!
আগের বহু বাজে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও নিজের ভয় জয় করতেই ফ্যান্টাসি কিংডম খোলার পরে গেছিলাম সাহস দেখাতে, ম্যাজিক কার্পেট হলো দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে রাইডগুলোর একটা!
মানুষ এইসব অ্যাড্রেলানিল রাশের রাইডে যে কী মজা পায় বুঝিনা! দুইন্যায় কি খারাপ জিনিসের অভাব?
কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আমি ব্যপক বিনোদন পেলুম। ক্যান যে ঘন ঘন লেখেন না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এখন থেকে আপনার কোন লেখা আর অফিসে বসে পড়ব না। হাসি চাপতে যে কী কষ্ট হয়, পড়ব না হাসি চেপে রাখব। দুই এক বার হেসে ভয়ে ভয়ে অফিসের সবাই কে দেখি কেউ দেখল কী না। এর পর থেকে আপনার লেখা রুমে বসে পড়ব, যেন প্রাণ খুলে হাসতে পারি।
ভাই কেমনে লেখেন এত্ত মজা কইরা? লেখাতো দূরের ব্যাপার... এমুন মজা কইরাতো কথাও কই নাই জীবনে... হাসতে হাসতে আমি শেষ
আমি প্রথম যেইবার উঠলাম রোলার কোষ্টারে ... লাফায় গিয়া প্রথম সিটে বসলাম। চিন্তা করছিলাম এইটা আসলে কোনো ব্যাপার না। আমার সাথে যে ছিল তারও মনের ভাব একই পর্যায়ের ছিল। প্ল্যান করে রাখছিলাম, যখনই রাইড নামা শুরু করবে গলা ফাটায়ে চিল্লাচিল্লি লাগায় দিব (ওইটা রোলার কোষ্টারের ষ্টাইল... ইংরেজি ছিনেমাগুলিতে দেখছি)..... তো কোষ্টার রোলিং করা শুরু করলো... আমি আর আমার সঙ্গী চিৎকার করতেছি... সেটা আস্তে আস্তে নিচে পড়ার আগে চুড়ায় যখন হালকা থামলো আমরা ততক্ষণে তারস্বরে চেচাচ্ছি। পেছনের মানুষ বেজায় বিড়ক্ত আমাদের আচরনে। তো হঠাৎ কি হইল জানি না। কোষ্টার নামা শুরু করল.....মনে হইতেছিল শরীরের নিম্নাংশ আর আমার সাথে থাকার প্রয়োজন মনে করতেছে না, কোষ্টারের সাথে সমর্থন দিয়া আলাদা হওয়ার ফন্দি করতেছে। আর ততক্ষণে আমাদের গলা ফাটায়া চিল্লানোর প্ল্যান সব চৌপাট হইয়া গেল। এইবার রাইড চলতেছে আমরা একেবারে চুপ। পেছনের মানুষ সব গলা ফাটায় চিল্লাইতেছে... আমরা চুপ। মাথা নিচে. পা উপরে ভঙ্গীতে একটা পেঁচ দিল... সবাই জান-প্রাণ দিয়ে চেচাচ্ছে.. আমাদের গলা দিয়ে চিঁ..চিঁ করেও শব্দ বের হচ্ছে না। সে যে কি ভীষন ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা আপনি মনে হয় বুঝবেন....
শুধু আপনার লেখা পরার জন্য এখানে নাম ধাম লিখে প্রবেশ করলাম। চমৎকার লেখা।
দিস ইজ এ ম্যাটার অব (টু-ট্) লাইফ এন্ড ডেথ!!’
নতুন মন্তব্য করুন