১.
বৃষ্টির পর পর আরিচা ঘাটের যেই পিচ্ছিল এবং আর্দ্র চেহারাটা দাঁড়ায়, আমার বাবা গোসল শেষ করার পরে বাথরুমেরও একইরকম একটা চেহারা হয়। উনি বরাবরই একটু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গোসল করেন। উপরন্ত, সুগন্ধী সাবান এমনভাবে গায়ে মাখেন যে গোসলের পরপর ওনার চোখ, নাক, কান ইত্যাকার 'সাবান-অবান্ধব' অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো টকটকে লাল হয়ে জ্বলতে থাকে। শুধু সাবান নয়, যেকোনো প্রসাধন সামগ্রীর প্রতি বাবার আকর্ষণটা শৌখিনতার চাইতেও কিঞ্চিৎ বেশি।
ছোটবেলায় ঈদের দিন সকালে বাবা ছোট্ট একটা বোতল থেকে আতর নিয়ে বডি-লোশনের মতোন গোটা শরীরে মাখাতেন! পান্জাবীতেও মাখতেন। মানব দেহে অনবরত নতুন কোষ এসে শরীরের উপরিভাগের মরা চামড়াকে প্রতিস্থাপন করে, কিন্তু পাঞ্জাবীর ক্ষেত্রে এইরকমের কোনও রিজেনারেশনের প্রক্রিয়া নেই। ফলে, আতরের গন্ধটা একসময় বাবাকে ত্যাগ করলেও পাঞ্জাবীকে ছাড়তো না। পাড়ার 'চিটাগাং ড্রাই ক্লিনার্স' থেকে শুরু করে বুয়ার 'পঁচা সাবান' পর্যন্ত - সকলেই সেই গন্ধের কাছে নতি স্বীকার করতো। পাঞ্জাবীর পকেটে রাখা টাকা-পয়সা এবং রুমাল তো বটেই, বাবার স্পর্শ করা কোরবানির মাংস দিয়েও সেই আতরের গন্ধ বেরুতো!
শুধু গোসলের সময় পানি ছিটানোই নয়, ছিটানো সম্ভব এমন যেকোনও কিছু বাবা 'ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ছড়ানো'র ক্ষিপ্রতা নিয়ে ছিটিয়ে থাকেন। বডি স্প্রে, পারফিউম, এমন কি থুথুও এই ক্ষীপ্রতার অন্তর্ভুক্ত। আর দশজনের মতোন বাবা সরু ধারায় 'পিচ' করে থুথু ফেলতে পারেন না, উনি থুথু ফেলেন এরোসল স্প্রে করার মতন করে - শত ধারায়, 'থুঃ থুঃ' শব্দ করে এবং চারপাশ ভিজিয়ে। সুগন্ধী জিনিসের ক্ষেত্রেও এই তথ্য প্রযোজ্য। বাইরে যাবার আগে বাবা শরীরে এমনভাবে পারফিউম স্প্রে করেন যে দ্বিতীয় কেউ চাইলে, বাবার ঘরে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিলেই আলাদাভাবে তাকে আর সুগন্ধী নেবার প্রয়োজন পরবে না!
২.
বাবা প্রসঙ্গের ব্যাখ্যাটা দেওয়া দরকার; চলতে ফিরতে অনেকের গায়ের 'বদ' গন্ধে অনেক সময় বিরক্ত হয়েছি, কিন্তু বাবার শরীর থেকে কখনও এরকম গন্ধ পাই নি। ওনার অসম্ভব রকমের শৌখিনতা এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলেই আমার ধারণা। অথচ বড় হবার এক পর্যায়ে শরীরে যখন 'গৌরব করিবার অযোগ্য' বিভিন্ন স্থানে চুল গজানো শুরু করলো তখন মাঝে মাঝে নিজের শরীরের গন্ধে নিজেই বেকুব হয়ে যেতাম! একবার স্কুলের ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় নাম লেখালাম। প্রতিযোগীর সংখ্যা আর পুরস্কারের সংখ্যা প্রায় সমান, নাম দিলেই প্রাইজ নিশ্চিত। দৌড়, লাফঝাঁপ ইত্যাকার আউটডোর ইভেন্টগুলোতে টানা ব্যর্থতার পরে হোয়াইট ওয়াশ ঠেকানোর জন্য ক্বেরাতে নাম লেখানোর কোনও বিকল্প ছিলো না। ক্বেরাতের বিচারক ছিলেন এক হুজুর স্যার। দুর্ঘটনাক্রমে ওনার নিজের ছেলেও ক্বেরাত প্রতিযোগীতায় নাম দিলো। সুতরাং আমি ১ম স্থান ছেড়ে দিয়ে ২য় আর ৩য় স্থানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। প্রতিযোগীতার দিন খুব সুর করে, কানে হাত চাপা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ সূরা পরে স্যারের মনোহরণের চেষ্টা করলাম। শেষ করার পরে বন্ধুবর হেলালকে শুধালাম, 'কি রে, কেমন হলো?!' হেলাল ক্বেরাতের ধার দিয়েই গেলো না; বললো,
: কানে হাত দিছোস ক্যান?
: ঐটাই তো স্টাইল
: কিন্তু তোর তো বগল ঘাইম্যা শেষ! হাত না তুললেই ভালো করতিস!
৩.
গায়ের গন্ধ নিঃসন্দেহে একটা বিব্রতকর বিষয়। এর মূল কারণ আলস্য এবং অপরের সংবেদনশীলতার প্রতি তীব্র উদাসীনতা। এই দুইটার একটাও যদি থাকে, তাহলে গায়ে গন্ধ হতেই পারে। এই প্রসঙ্গে দুই-একটা অভিজ্ঞতা এখানে বলার লোভ সম্বরণ করা যাচ্ছে না। একবার (জার্মানীতে) ডরমিটরির কিচেনে প্রতিবেশী চৈনিক বালক নুডলস রান্না করছিলো আমার পাশের চুলোয়। জিরার গন্ধ নাকে আসায় ভাবলাম এরাও হয়তো আমাদের মতোন জিরা-খোর জাতি! কিন্তু পাতিলে দেখলাম পানি আর নুডলস ছাড়া আর কিছুই নেই। লবণ অদৃশ্যমান হলেও জিরার তো লুকিয়ে থাকার জো নেই। তাছাড়া নুডলসে জিরা দেবার রীতি চীনদেশে আছে কি না সেটাও ভাববার বিষয়। জীবনে প্রথম নুডলস রান্না করতে গিয়ে আমি অবশ্য অজ্ঞতাবশত যাবতীয় মশলাই দিয়েছিলাম - জিরা, ধনিয়া এমনকি হলুদ বা মরিচের গুঁড়াও বাদ পরে নাই। যাহোক, আপাতত চৈনিকের রান্নায় জিরার গন্ধটা রহস্যই হয়ে রইলো।
খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশ্য রহস্যের মীমাংসাও হলো। চৈনিকটার অভ্যেস হচ্ছে রান্না তুলে দিয়ে কমপক্ষে ২ ঘন্টার জন্য রুমে গিয়ে ঘুম দেওয়া - সেটা আলু-ই হোক আর গরুর পায়াই হোক। এবারেও ব্যতিক্রম হলো না, নুডলসকে চিতায় তুলে দিয়ে সে কিচেন থেকে বেরিয়ে নিজের রুমের দিকে গেলো। সাথে সাথেই লক্ষ্য করলাম জিরার গন্ধটা আর পাওয়া যাচ্ছে না! বুঝলাম, চৈনিকটা নুডলসে জিরা দেয় নাই ঠিকই, কিন্তু পর পর কয়েকদিন গোসল না করায় ওর বোগলের নিচেই জিরার প্রাকৃতিক ভান্ডার গজিয়ে গেছে!! দেশে কাছাকাছি একটা প্রক্রিয়ায় মাশরুম চাষাবাদ হয় - সেটার জন্যও বদ্ধ ঘর, গরম আর আর্দ্র আবহাওয়া অতি জরুরী। সেই হিসেবে, টানা কয়েকদিন গোসল না করলে মনুষ্য-বগলের নীচেও মাশরুম জন্মানোর কথা! তো, সেটা না হয়ে জিরা জন্মালে অবাক হবার কোনও কারণ দেখি না!
টিভিতে সেদিন রেক্সোনা ডিওডোরেন্টের একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম। মূলত সেটা দেখেই আজকের লেখার উৎপত্তি। মানুষের গায়ের নানান বদ গন্ধ কিভাবে রেক্সোনা ব্যবহার করে দূর করা যায় সেই সব ফন্দি-ফিকির নিয়ে বিজ্ঞাপন। বদ গন্ধের নজির দেবার জন্য পর্যায়ক্রমে ডাস্টবিন, শুটকি মাছ, মোজা, ইত্যাকার জিনিসপত্রের উপমা টানা হলো। কিন্তু একবারও 'জিরা'র উদাহরণ টানা হলো না দেখে আমি যথার্থই অবাক হলাম! কারণ, ঐ চৈনিকের মতো শতকরা ৮০ ভাগ লোকের (আমার নিজের সহ) ঘামের গন্ধের সাথে আমি জিরার একটা মিল পাই! একই কারণে আমি খাবারে জিরা কম দেই। জিরার গন্ধ নাকে আসলেই অরুচি হয়।
৪.
কিছু লোককে আমি দেখেছি আজীবন এরকম বদ গন্ধ বয়ে বেড়াতে। রাস্তায় চলতে ফিরতে মিউনিসিপ্যালের উদোম ট্রাকের পেছেনে জ্যামে আটকে যাওয়া আর এই জাতীয় লোকজনের সাথে কথাবার্তায় আটকে যাওয়া মূলত একই ধরনের বিরম্বনা। আগে ভাবতাম আমাদের বঙ্গদেশের বদ আবহাওয়াই এরকম গন্ধের জন্য দায়ী। কিন্তু ইউরোপে এসেও যখন কারো কারো গা থেকে নানাবিধ 'পিলে চমকানো গন্ধ' নাকে আসে, তখন আর দেশের আর্দ্র আবহাওয়াকে একতরফাভাবে দায়ী করার উপায় থাকে না।
আমার এক নিকটাত্মীয় সারাজীবন শরীরে 'মূলা সেদ্ধ করা গন্ধ' বয়ে বেড়িয়েছেন। উনি নিজে ঢাকা ওয়াসায় চাকরী করেন। ঢাকা শহরের পানি বাঁচানোর জন্যই কি না জানি না, ওনার পায়খানা এবং গোসলে পানির ব্যবহার দেখলে মরু এলাকার লোকজনও ভিরমি খাবে! তিনি গোসলে কোনও সময় ব্যয় করতেন না। অধিকাংশ লোকের কুলি করার জন্য যে সময় দরকার সেই সময়ের মধ্যে উনি পুরো গোসল সম্পন্ন করে বেরিয়ে আসতেন!
আরেক বড় ভাই আছেন যার পাশে দাঁড়ালে, চিড়িয়াখানায় গিয়ে ঘোড়ার খাঁচার পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে পড়তো! মনে আছে, ছোটবেলায় এই খাঁচার আশেপাশে গেলেই একটা ত্রাহী ত্রাহী অবস্থার সৃষ্টি হতো। মানুষের ঘাম থেকে ঘোড়ার মতোন গন্ধ আসাটাও জিরার গন্ধের মতোই আম (কমোন) বিষয়। অনেকের গায়েই এই গন্ধ আমি পেয়েছি। আমার অফিসেই আছেন একজন। এর কাছ থেকে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপির তালেম নিতে হয় অফিসের সবাইকে। স্বভাবতই দুই হাত নেড়ে/উঁচিয়ে বিভিন্ন জটিল বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করেন এই কলিগ। কিন্তু যতোবার সে হাত উঁচু করে ততোবারই আমাদেরকে দম বন্ধ করে ফেলতে হয়, হাত ফের নিচু না করা পর্যন্ত দম ছাড়ার কোনও সুযোগ নেই। আর হাত নিচু করামাত্রই লম্বা করে দম নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হয় আবার কখন হাত উঠবে! দম খোলা আর ছাড়ার এইরূপ ডামাডোলে পরে মনে হয়, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি ল্যাব নয়, যোগব্যায়ামের ক্লাস করছি!
৫.
ঘামের গন্ধের আরোও রকমফের আছে। একবার মিউনিখ থেকে ঢাকা যাবার পথে যাত্রাবিরতিতে আবু ধাবি নেমেছি। ছোট্ট এয়ারপোর্ট। মানুষে গিজগিজ। এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করে আমি আর আমার স্ত্রী পর্যাপ্ত পরিমানে ক্লান্ত। গুটিকতক বসার চেয়ারের অধিকংশই দখল হয়ে আছে। হঠাৎ শ্রীলংকান মহিলাদের ছোট্ট একটা দলের পাশে দুইটা খালি চেয়ার পেয়ে আমরা আর সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।
ক্লান্তি ঝড়াতে কেবলই হাত পা ছড়িয়ে শরীরটা এলিয়ে দিয়েছি। হঠাৎ একটা ঝাঁঝালো গন্ধে আপাদমস্তক তড়িতাহতের মতোন কেঁপে উঠলো। ছোটবেলায় লেপতোষকে অনবরত হিসু করতে করতে সেগুলোর বর্ণ, গন্ধ - দুটোই বদলে ফেলতাম! বাধ্য হয়ে প্রায়ই সেগুলো ছাদে শুকোতে দেওয়া হতো। লেপতোষক যতক্ষণ ছাদে শুকোতো ততোক্ষণ মনে হতো ছাদে কেউ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পালিয়েছে! এয়ারপোর্টে সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল ঐ লেপতোষক দিয়েই কেউ যেন মুখ ঠেসে ধরেছে! আমি ঠাস করে স্ত্রীর দিকে চাইলাম, সে বললো তারও গন্ধে মাথা ঘুড়াচ্ছে! এখানে বসবে না! অগত্যা উঠে পড়লাম। নানান জাতের মানুষ, বাচ্চাকাচ্চারা এটা সেটা খাচ্ছে আর ফেলছে। জায়গাটা খুব পরিস্কারও নয়। গন্ধটা ওখান থেকেও আসতে পারে!
যাহোক ভালো একটা জায়গার জন্য এদিক ওদিক চোখ ঘোড়ানো অব্যাহত রেখে আবারও হাঁটাহাঁটিতে মন দিলাম। এক পর্যায়ে দোতলার রেলিং-এ ঠেস দিয়ে থেকে নীচের স্বর্ণের দোকানে লোকজনের কেনাবেচা দেখছিলাম আমরা। 'ভরির হিসেবের সাথে গ্রামের সম্পর্ক কী?' এই নিয়ে চলছিলো আলোচনা। এরই মধ্যে হঠাৎ আবারও সেই ঝাঁঝালো গন্ধ এসে নাকে বারি খেলো!! ঢাকা ভার্সিটি এলাকায় দল আর লীগের মারামারি লাগলে কাঁদানে গ্যাস ছাড়া হতো। এখানে নিশ্চই পরিস্থিতি অতোটা জটিল নয়, তাহলে এই গন্ধের উৎস কোথায়?!! দিশেহারা হয়ে কোনদিক পালাবো ভাবছি! সুগন্ধীর দোকান দেখে সেদিকেই পা বাড়ালাম, কিন্তু ঘাড় ঘুড়াতেই দেখি আমার পাশে শ্রীলঙ্কান মহিলাদের সেই ছোট্ট দলটি দাঁড়িয়ে। তাদের একজন যাত্রার ক্লান্তি দূর করতে প্রকান্ড সব 'হাই' তুলছে আর দুই হাত উঁচু করে "ই-য়া-লী" ভঙ্গী করে আড়মোড়া ভাঙ্গছে - মহিলা হাত উঁচু করামাত্র মনে হলো, বারোয়ারী গণমূত্রাগারের সামনে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে এই মাত্র কেউ দরোজা খুললো! আর দেরি করলাম না, সমস্ত ক্লান্তি ভুলে দুইজনে উল্টোদিকে দৌঁড়ালাম। বাকি সময়টুকু এই শ্রীলঙ্কান দলটিকে যথাসম্ভব চোখে চোখে রেখে পার করলাম!
আবু ধাবি এয়ারপোর্টের ঘটনাটি নিছক একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ধরে নিতাম। তবে, বিষয়টি সেরকম নয়। শ্রীলঙ্কান সম্প্রদায়ের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি, ঘামের গন্ধের এই তীব্র রূপটি রীতিমতোন সিংহলীদের ট্রেডমার্ক! বিষয়টা উপলব্ধি করি আমাদের শহরের শ্রীলঙ্কান মুদি দোকানে গিয়ে। এই দোকানে আরও হাজারও পণ্য থাকলেও ঢোকামাত্র যেকারোও মনে হবে এরা শুধু জিরা আর ইউরিয়া সারের পাইকারি বিক্রেতা! কারণ, দোকানে আরোও শতেক পণ্য থাকলেও মালিক এবং তার সুযোগ্যা স্ত্রীর গায়ের গন্ধের কাছে আর কোনও কিছুর ঠাহর পাওয়া যায় না। এই কৃষ্ণকলি যুগলের শরীর থেকে যথাক্রমে জিরা এবং ইউরিয়া সারের যে তীব্র গন্ধ পাওয়া যায় তাতে দোকানের বাকি পণ্যের গন্ধ তলিয়ে যায়!
৬.
আমার ধারণা, কোনও অঞ্চলে মানুষের গায়ের গন্ধের ভয়াবহতা নির্ভর করে দুইটা বিষয়ের ওপর - এক, সেই অঞ্চলে পানির সহজপ্রাপ্যতা আর দুই, গড়পরতা মানুষের পানি ব্যবহারের প্রতি সংবেদনশীলতা। জার্মানীতে টয়লেটগুলোয় পানি বা বদনা কোনওটাই থাকে না। লোকজন পানি খায় অনেক, কিন্তু নিজের পয়ঃদপ্তর ধোয়ামোছায় ব্যবহার করে কম। সে তুলনায় আমাদের বঙ্গদেশে পানির ব্যবহার অনেক বিস্তৃত। আর আরব দেশে দেখলাম সেটা আরোও ব্যপক। একবার দুবাই এয়ারপোর্টের পাবলিক টয়লেটে ঢুকে দেখি এক এলাহি কান্ড! কমোড উপচে পড়ছে পানি দিয়ে, এইটা যে মরুর দেশ সেটা এই দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই। ভাবলাম এটা হয়তো নষ্ট হয়ে থাকবে, পাশেরটায় ঢুকে দেখি অবস্থা তথৈবচ! উপরন্ত, দেখলাম মলবন্দী কেউ এহেন টয়লেটের কার্যবিধি আঁচ করতে না পেরে কমোডের রীমের ওপরেই নিজেকে ভারমুক্ত করে চলে গেছে! এই অজ্ঞাত লোকটি যে বাংলাদেশী সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিলো না, কারণ বঙ্গদেশে ক্ষেতের আলপথে বসে মলত্যাগের অভিজ্ঞতা যার নেই, তার পক্ষে এতো নিখুঁতভাবে রীমের ওপরে এই কারুকাজ করা মোটেই সম্ভব নয়! যাহোক, বসার পরে আবিষ্কার করলাম, শরীরের তলদেশ আর পানির উপরিভাগ প্রায় ছুঁই ছুঁই। এইরকম পরিস্থিতিতে মলত্যাগ করলে, শান্ত পুকুরে উল্কাপাতের মতোন বিষয় ঘটবে!
আরবীয় টয়লেটে আরোও বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য। ওজন লাঘবের কাজ শেষে পানির খোঁজ করতেই দেখলাম কমোডের পেছন থেকে ব্যবহারকারীর পয়ঃদপ্তর বরাবর জলকামানের মতোন করে নল তাক করা আছে, সেটার বোতাম আবার সামনের দিকে, হাতের নাগালের মধ্যে; টিপ দিতেই জলকামান থেকে বর্ষণ শুরু হলো। তবে আগন্তুক কারো পক্ষে বিনা প্রশিক্ষণে এই যন্ত্র চালনা করা রীতিমতোন দুঃসাধ্য ব্যাপার। এর জন্য এয়ারপোর্টেই একটা ছোট্ট কর্মশালা থাকা উচিত।
যাহোক, গন্ধ বিষয়ক আলোচনা থেকে খানিকটা দিকভ্রান্ত হয়ে গেছি বলে মনে হচ্ছে। গায়ের গন্ধ দূর করতে অনেক কিছুই করা যায়। তবে সবচাইতে সাশ্রয়ী পথটি হলো নিয়মিত গোসল করা। গোসলের সাময়িক বিকল্প হতে পারে ভালো ডিওডোরেন্ট। তবে দুই ঈদে মোটে দুইবার গোসলের পরিকল্পনা থাকলে (আমার বন্ধুমহলে অনেকেই আছেন) ডিওডোরেন্টে কাজ হবে না। গোসলে যাদের আলসেমি তাদের জন্য কোনও বিকল্প আসলে নেই।
ছোটবেলায় ছুটির দিনে আমাদের গোসল করানোর দায়িত্বটা বাবার ওপরে ন্যস্ত ছিলো। বাবার স্বভাব হচ্ছে, যেকোনও সমস্যাকে শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা - সুঁইয়ে সুতো পড়ানো থেকে কোরবানীর মাংস কাটা পর্যন্ত বাবা একই নীতি অনুসরণ করেছেন। বলা বাহুল্য, আমাদের শরীরের ময়লা পরিস্কারের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনাই। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে উনি আমাদের কোমল গায়ে কসকো সাবানের ডলা দিতেন। স্কুলের টিচার দুই আঙ্গুলের ফাঁকে পেন্সিল দিয়ে চাপ দিলে যেই অনুভূতি হয়, কসকো সাবানের ডলা খেয়ে গোটা শরীরে সেই অনুভূতি হতো!
কসকো সাবান সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।
দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁতে একসময় (এখনও কি না জানি না) ব্যাপকভাবে 'কসকো' সাবান ব্যবহৃত হতে দেখেছি। এই সাবানের অক্ষয় চরিত্রই এর মূল কারণ। জিনিসটা নামে সাবান হলেও কাজের দিক দিয়ে অনেকটা বাটা'র জুতোর মতোন, যতোই কচলানো হোক, ক্ষয় হওয়া দূরে থাকুক, ফেনাই তৈরি হতে চায় না! হোটেলের মতোন বারোয়ারী জায়গাতে এই জিনিস জনপ্রিয়তা পাবে, এটাই স্বাভাবিক। যাহোক, কসকো সাবানের ডলা খাওয়ার ভয়ে, ছুটির দিনগুলোতে আমরা দুই ভাইবোন 'ড্রাই-ডে' পালনের নানা উছিলা খুঁজতাম।
৭.
ডিওডোরেন্ট আ পারফিউমের কথা যেহেতূ এসেছেই, সেই প্রসঙ্গে কয়েকটা কথা বলেই শেষ করি। আতরের মতোন আরোও কিছু প্রাণঘাতি সুগন্ধী আছে। লোকজন 'পয়জন' নামক একটা সুগন্ধীর খুউব সুনাম করে। অথচ জিনিসটার গন্ধের সাথে আমি নামের প্রচুর মিল পাই। এত ভয়ঙ্কর গন্ধ গায়ে নিয়ে কীভাবে চলাফেরা করা সম্ভব আমি ভেবে পাই না! আমাদের অফিসের আলেক্সান্ড্রা এই জাতীয় কোনও একটা পারফিউম গায়ে মাখে। জিনিসটা শুধু নাকের জন্য বানানো হলেও অত্যাধিক তেজী ভাবের কারণে চোখ, কান এবং গলার ওপরেও সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ফল স্বরূপ, আলেক্সান্ড্রার সাথে খানিক্ষণ কথা বললে যে কারো অবস্থা হয় 'ইবিস চক' খাওয়া তেলাপোকার মতোন। শরীর কেমন জানি নিস্তেজ হয়ে আসে। শুধু আমিই নই, গোটা অফিস আলেক্সের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। আমার ধারণা, বায়তুল মোকাররমের সামনে ফুটপাথে হুজুর সাহেবরা ছোট ছোট শিশিতে যেই আতর বিক্রি করেন তার রেসিপি আর আলেক্সের পারফিউমের রেসিপি একই, শুধু জ্বালে কম-বেশী। একটু বেশীকক্ষণ জ্বাল দিলে ঐ আতরও পয়জন বলে চালানো যাবে। পারফিউম বা সুগন্ধী নির্বাচনে অপরের কথা ভাবাটা বেশী জরুরী, বিশেষ করে যাদের সাথে নিত্য ওঠাবসা। নইলে শুধু সৌখিন হয়েই সামাজিক বলয়ের উপযোগিতা লাভ করা যাবে না।
_______
মন্তব্য
দিলেন তো একটা ঝামেলা লাগায়া, এখন থেকে তো আর জিরা খাইতে পারবো না
লেখা সেইরকম "গান্ধা" হইসে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সকালে অফিসে এসে ব্রেডে দাঁত বসিয়ে আপনার মন্তব্য পড়লাম
ব্রেডেও জিরা দেওয়া, এখন বোঝেন অবস্থা!!
গান্ধা লেখা জিন্দাবাদ!!
মহাত্মা গান্ধীদের নিয়ে আসলেই সমস্যা । তারা মহাত্মা বলে শুধু কাছে আসতে চায়, আর গান্ধী বলে নাকের ওপর অত্যাচার করে। কে বলে অহিংসা পরমো ধর্ম?
হু বেশীরভাগ গান্ধী-ই মহাত্মা - কথাটা কাকতালিয়ভাবে সত্যি মনে হচ্ছে!
যাহোক পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সিরাম লেখা
খুশী হলাম
ধন্যবাদ
কোট কইরা সারা যাইব না, তাই খালি একখান করলাম, বাকীগুলাও অসাধারণ!!
পুরাই হাহাপগে, মিয়া আছিলেন কই এতদিন, তবে কাম ব্যাক লেখা জটিল হইসে, চোখ ডিয়া পানি বাইর হইয়া গেসে মিয়া, পুরাই হাসির অ্যাটম বোম্ব হইসে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নামের আগে ডক্টর বসানোয় ব্যস্ত ছিলাম
একটু হাল্কা হয়েই লিখলাম। আপনার সরেস মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এতোগুলা লোক গড়াগড়ি দিয়া হাসতেছে --- এরা কি আপনার পুলাপাইন?!!
যে লেখা দিসেন মিয়া, হাসতে হাসতে আমার গায়ের থেকে ক্ষুদ্র আমি ছিন্ন হয়ে পড়া খুব অসম্ভব কিছু না , তবে, কমেন্ট পড়তে গিয়াও ব্যাপক মজা পাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার আম্মার কাছে শুনেছিলাম ওনারা হজ্জ করতে গিয়ে যে জায়গায় ছিলেন সেখানকার টয়লেটে নোটিশ টাংগান ছিল, " Please don't use the comode water to drink or any other food preparation purpose". আমার আব্বা একজন ভলেন্টিয়রকে এর মাজেজা জিজ্ঞেস করায় সে জানাল আগের বছর এক বাংলাদেশী কমোডের পানিকে চিড়া ভেজানোর কাজে ব্যাবহার করায় এই নোটিশ!!!
সেরকম হয়েছে। পুরাটাই একবসায় পড়ে ফেললাম।
উল্কার অংশটা পড়ে অনেকটা বন্ধমুখে জোরে হাসি দিলে যেমন হয়, তেমন হলো। ওপাশ থেকে মেয়ে এসে বলে "কিভাবে করলা? আবার করো"। বৌ বলে কি হইছে তোমার?
মেয়েকে আবার করে দেখিয়েছেন তো পিপি ভাই?
দোয়া করবেন আমিও মেয়ের বাবা হতে যাচ্ছি
এরকম আরেকখান লেখা দিলে এমনি এমনি ওরকম করা হয়ে যাবে।
প্রথম নাকি? তাহলে তো গুরুজনদের মতে আপনি বড়-কপালে।
...............................
নিসর্গ
হাসলাম একচোট। বিশেষ করে শিরোনামটা পড়ে। খুবই উপেক্ষিত কিন্তু জরুরি একটা বিষয় এই ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারটা। খুব উপভোগ্য করে পরিবেশন করেছেন।
_______
চিন্তিত (sajjadfx@জিমেইল.কম)
শিরোনামটা নিয়ে আটকে ছিলাম ১৫ মিনিটের মতোন। লেখা পোস্ট করতে গিয়ে এরকম আটকে থাকা মহা যন্ত্রণার বিষয়।
ভাইরে, কী ভয়ংকর একটা লেখা! হাসতে হাসতে শেষ! বানান ভুল না থাকলে আরও আরাম পেতাম। বলেন তো তালিকা পাঠিয়ে দেই মেসেজে।
আপনাকে মন্তব্য করতে দেখেই বলেছিলাম লেখা আসছে... দেখলেন?
আপনারা বানান নিয়ে খুউব লাগছেন দেখতে পাই। তালিকা পাঠাবেন অবশ্যই; সব ঠিক করে দেবো।
আপনার সিরিজটা দেখে ভাবি, এতো সব জিনিস পত্র ভাবেন কিভাবে?!
হু লেখা এলো। আপনি থেকে থেকে ঐসব কমেন্ট করলে একটা তাড়না যে অনুভব করি না সেটা না।
বিশাল এক তালিকা পাঠালাম। আশা করি সব ধরতে পেরেছি। নিজেরই অনেক কিছু আবার ঝালাই করে নেওয়া হয়, এটা একটা বড় কারণ বানান নিয়ে খুঁতখুঁতে হওয়ার।
যেমনটা ওখানেও বলেছি -- ভাবনাটা ইচ্ছা বা আয়োজন করে করা না। দেশ নিয়ে দুর্ভাবনা হয় অনেক। সেগুলোই একটু ঠিক পথে চালিত করার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
কম দিন তো হলো না। আপনি কখন লিখবেন, সেটা মোটামুটি টের পাই। এমন ভয়ংকর রকম ভালো লেখার পেছনে যদি কোনো তাড়না দিয়ে থাকতে পারি, তবে ধন্য। বানান দেখতে গিয়ে আবার পড়লাম, আবার খিলখিল করে হেসে গেলাম কতক্ষণ।
ইশতি বানাগুলো ঠিকঠাক করে দিলাম
অদৃশ্যমান- টা রেখে বাকিগুলো। ঐ শব্দটা যদি ভুলও হয়, তাও আমার লেখার ফোর্সটা সে ভালো বোঝায়। শুধু অদৃশ্য দিয়ে কাজটা হচ্ছিল না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সামনে মনে থাকলেই হয়।
এখানে কর্মসূত্রে ২জন শ্রীলঙ্কানকে চিনি। এখন নিশ্চিত, শ্রীলঙ্কানরা জাতিগতভাবেই হয়ত...
আমার স্ত্রী লেখাটা দেখে বলেছিলো, শ্রীলঙ্কার পার্টটা আরোও রিয়েল করে লেখা উচিৎ। আমি তাকে বোঝালাম, সেটা করলে একটু রেসিস্ট লেখা হয়ে যাবে! তাইলে এখন বোঝেন প্রকৃত অবস্থা কতোটা বেশী ভয়াবহ ছিলো!!
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাচ্ছে।
এই মহাপরাক্রমশালী রসবোধ আর বর্ণনা করার ক্ষমতা আপনি কোত্থেকে পেলেন!?
সবই উপর থেকে, আধ্যাত্মিকভাবে পাওয়া। পাথর নিলে আপনিও পারবেন। নেবেন নাকি একটা পাথর? দাম নিয়ে পরে আলোচনা হবে
পাথর নিয়ে কি বস আপনার আগ্রহ আছে?
পাথরে কি কোন গন্ধ আছে ? সু অথবা দু ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
@ সিমন,
পাথর নিয়ে আমার আগ্রহ নেই, তবে লাগলে আগ্রহী কারো সাথে যোগসাজস করিয়ে দিতে পারবো আশা করি
@এনকিদু,
পাথরে পাথর ঘষলে একটা গন্ধ হয়; শুঁকে দেখতে পারেন। তবে যদি পাথর না পান তাইলে হাতের তালুতে আরেক হাতের তালু অনবরত ঘষে শুঁকে দেখেন। এতেও পাথরে পাথর ঘষার সিমুলেশন হয়ে যাবে খানিকটা।
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল আরেফীন ভাই।
ওয়েল্কাম্ব্যাক.......
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এ্যাই!!! 'ওয়েলকাম ব্যাক' বানান ভুল হইছে .... ... .!! ধরছি একটারে, ইশতি কই গেলো?!!!
হি হি হি হি ........ ইহা হইলো শৈল্পীক ভুল আরেফীন ভাই ! এই ভুল ধরিতে নাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অসাধারণ রম্য লিখেছেন গো দাদা ।
কসকো সাবান হল বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্যবাহী জিনিস । কে কবে এই বস্তু আবিষ্কার করেছিল জানিনা, কিন্তু এখন পর্যন্ত স্বমহিমায় রয়েছে । কত সরকার আসল গেল, কত রকম ভেজালে দেশের বাজার ছেয়ে গেল । কিন্তু কসকো এখনো সেরকমই আছে ।
এইবার একটা সিরিয়াস কথা কই । গায়ের গন্ধের জন্য দায়ী আমাদের দেহের একটা বিশেষ প্রোটিন আর এক জাতের ব্যাক্টেরিয়া । প্রোটিনটা আবার একজন থেকে অন্যজনে ভিন্ন হয়ে যায় বয়স, খাদ্যাভ্যাসে ইত্যাদির কারনে । ঘামের সাথে এই প্রোটিনটা বেরিয়ে আসে আর দেহের গৌরব-করিবার-অযোগ্য চিপা-চাপায় লুকিয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়া তাকে ডিকম্পোজ করে বিভিন্ন রকম অ্যারোমেটিক পদার্থ উৎপন্ন করে । ডিসকভারীতে দেখেছিলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সিরিয়াস কথাটা জেনে ভালো লাগলো।
কসকো এখনও আছে জেনে আনন্দিত হলাম, আমি নিজের হাতে ঐ কোম্পানী ভাঙ্গতে চাই, অন্য কেউ ভেঙ্গে ফেললে দুঃখ পেতাম!
বলেন কী , হায় হায় । ঐ কারখানা ভাঙ্গলে বাংলার গরীব জনগন হাত মুখ ধুবে কি দিয়ে ? গরীব জনগনের কথা বাদ দেন । ঐ বিজ্ঞাপণের কথা মনে আছে ? কসকো দিয়ে গোসল করানর পর মেয়েকে দেখে সবাই টাশকি । কসকোর কারাখানা ভাঙ্গলে তো বিয়াপক গ্যাঞ্জাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জটিল লেখা। প্রায় লজ্জায় ফেলে দিলেন ভাই। আমি আবার ঐ ব্যাপারে একেবারে কনফিডেন্ট না
ওমরের ব্লগ
না হলে হয়ে যান
লজ্জায় ফেলার জন্য দুঃখিত! তবে সেই জন্যই লিখি নাই। আমি লিখি মজা করার জন্য।
ভালো থাকুন।
সচলে একটা আইন হওয়া দরকার যে মাসে আপনাকে অন্তত একটা এমন পোস্ট দিতে হবে। এই লেখাতে পাঁচ তারা দিয়ে আমার নিতান্তই অকিঞ্চিতকর মনে হল।
ক্বেরাত প্রসঙ্গে একটা ঘটনা যোগ করি, আপনারও মনে পড়ার কথা।
আর সব জায়গার মত বুয়েটেও হলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় যথারীতি ক্বেরাতে কেউ নাম দিতে চাইতোনা। অনেকে স্ব-উদ্যোগে অমুসলিম বন্ধু-বান্ধবদের নাম লিখে দিত। প্রতিযোগিতার দিনে দেখা যেত তিন জন প্রতিযোগীও নেই। সেই অবস্থায় হলের মসজিদে অভিযান চালানো হত। নামাজ পড়ারত কাউকে পেলেই তাকে ধরে আনা হত ক্বেরাত করার জন্য। একবার প্রথম বর্ষের এক ছাত্র সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় হেন বিষয় নেই যাতে সে নাম দেয়নি। তার সেকি পারফর্ম্যান্স! তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতকে সবাই নতুন নামকরণ করল "আমিনসঙ্গীত" হিসাবে। প্রতিযোগিতা শেষে দেখা গেল সেই কলাকার শুধু ক্বেরাতে তৃতীয় হয়েছেন (বলাইবাহুল্য সেখানে প্রতিযোগীর সংখ্যা তিন)। আর কোন কিছুতে কিছু হন নাই। পুরস্কার দেবার সময় যখন তার নাম ঘোষনা করা হল বদ পোলাপান আকাশ ফাটিয়ে হাততালি দিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হাহাহাহাহা ... জট্টিল বলছেন তো! আমিনসঙ্গীত। হাহাহাহা....অসাধারণ!!
আমি বার্ষিক ক্রীড়া নিয়ে প্রচুর বিরম্বনায় পরেছি সারাজীবন। সেসব নিয়ে পারলে পরে কখনও লেখা যাবে।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হাসতেই আছি
আমিও
আমার ধারণা ৯৬- এ শ্রীলনংকা বিশ্বকাপ জিতছে, বগল উঁচা কইরা খেলার কারণে
যাই হোক, এর পর থেকে গান্ধী পরিবারের কারো সাথে দেখা হইলে গাইবেন,
"যেন কস্তুরী মৃগ তুমি... আপন গন্ধ ঢেলে এ হৃদয় ছুঁয়ে গেলে, সে মায়ায় আপনারে ঢেকেছি " ( আমি দূর হতে তোমারে দেখেছি)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হাহাহা .... আমি অবশ্য ঐ দলটার বড়ই ফ্যান। গানটা মনে করানোর জন্য থ্যাঙ্কস! এটার জার্মান ভার্ষণ দরকার। এরা তো বুঝবে না!
লেখা সেইরকম "গান্ধা" হইসে
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেওয়া কি উচিৎ ছিলো
এই নিন: "এই লেখা পড়ার আগে নাসিকাতন্ত্র অঙ্গুলী বা সমরুপ ছিঁপি দ্বারা বায়ূরোধী করে আটকাইয়া লইবেন।।"
হাসতেই আছি
সচলে নামের প্রতি সুবিচার করে আপনার মত আর কেউ লেখে বলে মনে হয় না। এই লেখা নাম ছাড়া আসলেও দিব্যি বলে দেয়া যাবে এটা আপনার লেখা।
আপনার বই বের করার কতদূর?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনি কি প্রকাশক? হইলে কন এখুনী পান্ডুলিপি পাঠাইয়া দিমু। টাকা কতো দিবেন?
আপনার দরাজ প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা।
একটু লেটে পড়লাম কিন্তু হাসলাম প্রচুর!
লেট বলে কিছু নাই। পড়ছেন এই বেশী। বললেন না যে হাসছেন? ঐটাই উদ্দেশ্য। আগে সিরিয়াস লেখার চেষ্টা করছি অনেক। কিন্তু লোকজন সেগুলো পড়ে সিরিয়াস হয় না মোটেও। পরে হাসির লেখা লিখে দেখি সবাই হাসছে
এখন আর সিরিয়াস লেখা তেমন একটা লিখি না।
হা হা হি হি 'লেখা সেইরকম "গান্ধা" হইসে'
আমাদের ক্লাস এ একজন কে আমরা রজনিগনধা ডাকতাম।
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
রজনীগন্ধা কি এখানে ব্লগিং করেন? করলে ওনারে এই লেখার লিঙক দিয়েন না। রেটিং খারাপ করে দেবে
আপনাকে ধন্যবাদ।
সব খবর বললনে কিন্তু মৎস্যগন্ধার কথা কিছু বললনে না?
০২
আমার একখান বিশেষ অজ্ঞীয় কোবতে ছিল প্রথম বই কবন্ধ জিরাফে
আপনার সুচরণে নিবেদন করলাম বিবেচনার আকুল আবেদনসহ
লীলেন ভাই, কিসের আকুল আবেদন? কোবতে তো বোম্বাস্টিং!!
রসায়ণটা যে রমণীয় গলিতেই টার্ন নিচ্ছে সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল
অতি সম্ভাবনাময় একটা প্রশ্ন তৈরি করছেন। অন্য গুলার কথা জানি না, টক আর লবণ উদঘাটন করা তো সাহস এবং সময়ের ব্যাপার
বলছেন, পুরানা কোবতে, আশা করি এতোদিনে জেনে গেছেন! বয়স তো হইছেই, এখনও যদি না জানেন তাইলে তো আফনেরে গাইল দেওয়া দরকার!
- মামার বাসায় গাড়ির যে চালক ছিলেন তিনি গাড়ি গ্যারেজে ঢুকিয়ে বাসায় ঢুকে চাবি ফেরত দিয়েই পাশে বেসিনে গিয়ে সাবানে কচলে হাত ধুতেন। বেসিনটা খাবার টেবিলের পাশে হওয়াতে সাবানের স্থায়িত্ব হতে লাগলো কম। অবস্থার বিশেষ বিবেচনায়, বাসায় অবস্থিত তৎকালীন জনৈক বুদ্ধিজীবির বুদ্ধিতে সেই জায়গায় পরে কসকো সাবান রাখা হলো। এবার দেখা গেলো সাবান এক মাসেও আর শেষ হয় না!
আমাদের এলাকায় এক খান্দানী গান্ধী ছিলো। খান্দানী মানে সত্যিকার অর্থেই খান্দানী। পুরা খান্দান জুরেই মাশাল্লাহ কাঁঠালচাঁপার গন্ধ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেহেহে!
কি কন কাঠার চাঁপা কি খারাপ নাকি?! আমি অবশ্য ফুলেল এক্সপার্ট নই।
হাহাপগে :D
কতো কি যে শিখমু আরো এই সচলে!
রান্নায় জিরা ব্যবহারের প্রতি আমার কিছুটা দুর্বলতা আছে। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এখন থেকে রান্নায় জিরার পর্ব শেষ।
আর লেখা ভালো হইছে বলি কী করে, পেটের ভেতর যে ভাবে সব ঘোলাচ্ছে.....
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
না না শেষ হবে কেন?! জিরা ভেজে রান্নায় দিন, গন্ধটা দুর্দান্তভাবে বদলে যাবে
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
সবগুলো পড়া হয় নাই, যে কটা পড়েছি খুব মজা পেলাম, পরে ঢুকে বাকিগুলো পড়ব। দারুন মজার ব্লগ...
কৃতজ্ঞতা। অগ্রিম স্বাগতম জানানো হলো।
দোয়া করবেন আমিও মেয়ের বাবা হতে যাচ্ছি
খোশ আমদেদ। আপনাকে মেয়ের বাবা ক্লাবে স্বাগতম। আর কয়দিন বাকী? সে কি জার্মানীতেই আসবে?
--
ঘামের গন্ধের সাথে আমি জিরার একটা মিল পাই! একই কারণে আমি খাবারে জিরা
কম দেই। জিরার গন্ধ নাকে আসলেই অরুচি হয়।
করসেন কি মিয়াভাই। এক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আরেকদিকে না আবার সমস্যা দেখা দেয়। মেশিনের কন্ডিশানের উপর ভিত্তি করে গুরুপাকের পর ভুট-ভাট, ভুস-ভাস ইত্যদি সমস্যায় জিরাপানি বা জিরা-দই এ বিস্তর কাজ হয়। তবে মেশিন টাইট থাকলে কোই বাত নেহি।
--
'শান্ত পুকুরে উল্কাপাত' - সুন্দর উপমা!
--
আলেক্সান্ড্রার পয়জনের গল্প শুনে মনে পড়ল উইল ফেরেল এর এন্করম্যন এর কথা। ফেরেলের সহচর এক মেয়েকে পটাবে। এই ঐ করে ফেল মেরে শেষকালে সে তার ব্রহ্মাস্ত্র উন্মোচন করল;
"No, she gets a special cologne... It's called Sex Panther by Odeon. It's illegal in nine countries... Yep, it's made with bits of real panther, so you know it's good. [...] They've done studies, you know. Sixty percent of the time, it works every time. "
- আশা করছি অক্টোবরে কোলে পাবো
আমি তো জানতাম শুধু টক-দই দিয়েই বেশ কাজ হয়। আপনি খালি খালি জিরা যোগ বরেন কেন বুঝলাম না! তবে পয়ঃদপ্তর বেশি আওয়াজ দিলে ফ্লাজিল খাইয়া নিয়েন।
বাকিটা সাইফ ভাইয়ের থেকে জেনে নিবেন
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য এবং কোটেশনের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখা দেখলেই চোখ বন্ধ করে ঢুকে পড়ি, কারণ এখানে হতাশ হবার কোন সম্ভাবনা নেই। শেষরাতে পড়ছিলাম, খেতে খেতে, কয়েকবার গলায় আটকে গেছে, আপনি ভাই বিপজ্জনক মানুষ, ভবিষ্যতে আপনার লেখা পড়ার আগে সাবধান হয়ে নিতে হবে।:)
আপনিই পথ বাতলে দিলেন, আমি আর নাইই বললাম
লেখা পড়তে পড়তে তো হাসতে হাসতে জান খারাপ ভাইজান।
আর যেসব উপমা ব্যবহার করেছেন সেগুলোর তো তুলনাই হয়না।
=))
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
সম্পুর্ণ গন্ধবহুল লুৎফুলীয় লেখা ! !
ভাই, এই গুলান পান কই ?? আবারো বিটিভির ছায়াছন্দের কথা মনে পইড়া গেলো ...।
আপনি পারেন ও ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
পাথরের গুণে পাই
দুর্দান্তিস, দুর্দান্তিস...
এই জায়গায় বইলেন ক্যামনে? অবশ্য ঠেকায় পড়লে নাকি বাঘেও ঘাস খায়।
ঠিক ঐটাতেই বসি নাই রে ভাই, সেটা জীবনেও সম্ভব নয় আমার পক্ষে। দরকার হলে মলবন্দী হয়ে মারা যাবো তথাপি সেইখানে বসবো না। বসেছিলাম পাশেরটায়; ভাষাগত ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইছি।
খুবই 'গান্ধা' লেখার জন্য আপনারে ব্যাপক ধন্যবাদ
আপনারেও ব্যাপক ধন্যবাদ
আপ্নে মানুষ টা আসলেই সিরাম লেখেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বলেন কি?!
লেখা পড়ে বিশেষ মজা পাইলাম
ছেলেদের পারফিউম শুনেছি মেয়েদের নাকের জন্য বানানো হয়। আবার মেয়েদেরটা ছেলেদের। তাই ছেলেদের সব পারফিউম ছেলেদের ভালো না লাগারই কথা।
গন্ধটা কি লংকান সিংহলীদের ট্রেডমার্ক? নাকি তামিল বোঝাতে চেয়েছিলেন?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
- একদম খাঁটি কথা। তবে আমাদের আলেক্সান্ড্রা কিন্তু মেয়ে, ছেলে না। আমি কি ভুল বুঝলাম আপনার কমেন্ট?
- লংকানদেরকেই তো সিংহলী বলে জানতাম! না না তামিল বোঝাতে চাইনি। শ্রীলঙ্কান বোঝাতে চেয়েছি। তবে কিই বা এসে যায়, অত্র অঞ্চলের মানুষদের কথা-বার্তা, জীবনচরিত সবই মোটামুটি এক কাতারে ফেলা যায়
ওহ, ওইটা আমি একটা জেনারেল মন্তব্য করেছি। ঠিক ওই বিষয়ের প্রেক্ষিতেই নয়। "ই" প্রত্যয় যোগ করে ঝামেলা করে দিয়েছি। দুঃখিত
শ্রীলংকায় দুই ধরণের মানুষ বাস করে, সিংহলি ও তামিল। সিংহলিদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল, উত্তর ভারতীয়দের মতো। তামিলরা দেখতে ভারতের দক্ষিণাংশের তামিলদের মতোই, গাঢ় গায়ের রঙ। দুই জাতির ভাষাও আলাদা। সিংহলিদের ভাষা সিংহলিজ, তামিলদের তামিল। মোটাদাগে বললে এতোদিন শ্রীলংকায় এই দুই জাতির মধ্যেই গৃহযুদ্ধ হয়ে আসছিলো। তামিল টাইগাররা তামিলদের হয়ে যুদ্ধ করছিলো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
ব্যাপক মারাত্মক। অতি গুরুত্বপূর্ণ লেখা! আমারো দোহা এয়ারপোর্টে একইরকম অভিজ্ঞতা ছিল; কি যে গন্ধ! ১২ ঘন্টা চেপে রাখছিলাম। প্লেনে ঢুকেই সোজা বাথরুম! আর চাইনিজগুলানের গন্ধের কথা একদিন মামুনভাইতো কইছেই।
খুবই মজা পাইলাম...কিছু জিনিস খাইতে সমস্যা হইব কয়দিন!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
- ধন্যবাদ ... কি বিপদেই না ফেললাম!!
আসেন একটা জরীপ করি...দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ গন্ধ কি?...
এইটা পইড়া আমার এক দোস্ত আপনার লেখার বিশাল পাংখা হইয়া গেছে...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আরোও পাংখা দরকার, সামনে বই বাইর হইতাছে সচল থেকে, পড়নের লোক লাগবে
সুজন, তোমার লেখা নিয়া আর নতুন কিছু বলার নাই।
তোমার মতো লেখক হইতে পারলে দুনিয়া কিইনা ফেলতে পারতাম।
তোমারে নিয়া কী কমেন্ট করতে চাই, সেইটা জানতে হইলে সন্দেশের প্রকাশায়তন সংক্রান্ত আমার মন্তব্যের শেষ অংশ দেখতে পার!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দেখলাম, গালিও দিলাম তোমারে তোমার মন্তব্য সবসময়েই আমি খুব বিব্রত হয়ে পড়ি। এবারেও সেভাবেই পড়লাম।
যাইহোক, দুনিয়া কি চাঁন্দ সহ কিনতে চাও, অবশ্য গ্রহ কিনলে উপগ্রহ ফ্রী দেবার কথা! বাত্তি ছাড়া ঘর কিন্না লাভ কি?!!
ভালো থাকো
হাসতে হাসতে শেষ।
হায়রে!! জিরার ব্যাপারটা খেয়াল করিনি কখনো
কনফিউশনে ফেলে দিলেন পুরা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
শুনেন, জিরা খাওয়ার আগে একটু ভেজে নিয়েন, তাইলে গন্ধটা বেশ লাগে! এই লেখা লেখার আগে বিষয়টা ভাবিনাই। আরো কতোজন যে, জিরা খাওয়ার আগে আমারে গাইল দিবে সেইটা ভাবি!
কাইল্কা পরীক্ষা ছিলো ভাবলাম বড় লেখা পরে পড়বো!
আজকে পড়ার পর আমি মনে হয় হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাব
সিরাম লেখা!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
লেখা আসলেই বড় হইছে, স্ত্রীকে তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, "দেখো তো বেশী বড় হইলো কি না?" সে বললো "কই বড়?!!"
তখন পোস্টালাম। আপনারও ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশী হলাম
আপ্নের জবার আপ্নেই। কিছু বলার নাই। আপাতত হাসতে ব্যাস্ত।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম,
কথাগুলো পড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগলো মন্তব্যের সাথে। তবে খুশী হইছি
হাসিতেছি লেখা পইড়া
হাসিতেছি কমেন্টস পইরা
...........................
Every Picture Tells a Story
হু এখানে সবই হাসাহাসির কারবার। মন খারাপের কোনও জায়গা নাই
এতো ভালো লেখেন কেমনে? অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি যদি এইভাবে বলেন তাইলে তো আমার শরম লাগে
আরেফীন ভাই , এটা পড়লাম এবং আর কিছুই পড়তে পারছিনা। আপনার প্রিয় সাবান / বডি ওয়াশ কি তাতো জানলাম না! আর গন্ধ বিষয়ে আমি ভীষণই রেসিস্ট, বমিও করে দেই সুতরাং আপনার সাথে স হমত সবগুলোতেই। কিভাবে মানুষ েটা লালন করে আমি জানিনা, সত্যিই জানিনা।
আপনি তো আমারেও ছাড়িয়ে গেলেন!
আমি গন্ধ বিষয়ে অত্যন্ত Sensitive, আমাকে লোকে খাবার চেক করার জন্য প্রায়ই ডাকে - খাবারটা ঠিক আছে নাকি পঁচে গেছে সেটা জানার জন্য। যেটার পচন মাত্র শুরু হয়েছে সেটা অনেকেই ধরতে না পারলেও আমি ঠিকই ধরে ফেলতে পারি!
আমার প্রিয় অনেক কিছুই আছে, আমি বদলে বদলে ব্যবহার করি। তবে সাবান আর ডিও-র ব্র্যান্ড হিসেবে axe আর adidas প্রিয়। এদের 'cotton dry' বা শুধু 'dry' টা আমার জন্য অত্যন্ত কার্যকর; আমি অনেক ঘামি।, পারফিউম তো তেমন ব্যবহার করি না, তবে 'হিলফিগার' আর 'বস' প্রিয় (এদের যেকোনওটাই আবার না!!)
আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পেরেছি বলে আশা করি
ভালো থাকুন।
একটু দেরীতে পড়লাম। যথারীতি অসাধারণ লেগেছে। পাঁচ কি আর বলা লাগে? রীতিমত dissertationette!
সমস্যা নাই,মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
হাহাহাহাহহা......
আপনাকে দুপুরে বাংলাদেশের লোকাল বাসে চড়ে বেড়ানোর আমন্ত্রন রইল...
( জয়িতা )
হ, ঠিক। আপ্নেরে দুপুরে লোকালে চড়াই দিমু...।
মজা আর মজা পাইলাম।।
একজন নীল ভুত।
গোঁয়ানদো
সবসময়ের মত এবারও আমি লেটলতিফ (মনে হয় টার্মটা বদলে কদিন পর লেটফারাবী হয়ে যাবে!)। এমন রসাল লেখা আর পড়েছি বলে মনে পড়ছে না এই মুহূর্তে, একেবারেই ইউনিক স্টাইল আপনার। এরকম লেখা ঘন ঘন চাই। অনেক ভাল থাকুন।
মন-মেজাজ খারাপ থাকলে আরেফীন ভাইয়ের পোস্টগুলো ঘুরে যাওয়া কর্তব্য। এইটা পড়ে যত হাসলাম তত হাসি বের হবে ধারণা ছিল না! কিন্তু এত চরম লেখা এতদিন পড়া হয় নাই দেখেই যা একটু দুঃখ।
আচ্ছা, গায়ের গন্ধের কথা বললেন, পায়েরটার কথা বললেন না? জুতো আর মোজা দিয়ে যেটা বের হয় আমার কাছে সেটা অনেকটা পোলাওয়ের চালের মতন মনে হয়!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভার্সিটির হলের আমার রুমমেট সারারাত টিটি খেইলা রুমে আসলে সকালে ঘুম থেকে নিজকে রসুনের আড়তে আবিস্কার করতাম......ওকে সবাই গন্ধরাজ বলে ডাকতাম.........আমার মনে হয়, শুধু শরীর না, ওরা কাপড়-চোপড় পরিস্কারের ব্যাপারে বেশি উদাসীন...
...ইকরাম...
অসাধারণ এখনও হাসিতেছি
হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি! যাবতীয় বদ গণ্ধ নিয়ে এমন সুস্বাদু সুগণ্ধী লেখা পড়ে দারুণ মজা পেলাম! শুনেছি, ফরাসীরা নাকি গোসলের বিকল্প হিসাবে সুগণ্ধি ব্যবহার করে...আপনার কি অভিজ্ঞতা?! আসলেই আপনার গন্ধ গোকুলদের একটা তালিকা করা দরকার আর তাদের নিয়ে বিস্তৃত লেখা দরকার...এটার সিরিজ হতে পারে! তার মধ্যে অবশ্যই অন্যদের মত আমিও বাংলাদেশের লোকাল বাসে ঘুরে নেয়ার আমণ্ত্রণ করতে চাই।
আসলেই মন খারাপ হলে এমন পোস্ট খুলে বসলে মন খারাপ পালাতে বাধ্য! আমি এটা অনেক আগে পড়েছিলাম। তখন মন্তব্য করিনি........ গুলশান এ্যাভিনিউ ধারাবহিকটা নিয়েও আরেকটা মারাত্নক মজারু লেখা আছে আরেফিন ভাইয়ার। এখন আর লেখেন না কেন রে ভাইয়া? আমাদের এভাবে বঞ্চিত করা ঠিক না।
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা...পরীক্ষার চিন্তায় মন মেজাজ ভারাক্রান্ত ছিল......... লেখাটা পরে হাসতে হাসতে শেষ......
হালকা লাগছে...... এবার পড়ায় মন দেয়া যায়... :D
থ্যাঙ্ক ইয়ু...
উফফ, মুখের সাথে সাথে নাকটাও ধুয়ে আসি, জিরার গন্ধ পাচ্ছি বাতাসে।
facebook
ওয়াও !! অনেক মজা পেলাম অনেক
হাহামগে-------------
এরকম মজারু গান্ধা লেখা কেমনে লিখেন?
নতুন মন্তব্য করুন