বান্দরবন থেকে বের হবার আগে থেকেই প্যানপ্যান করে যাচ্ছিলো অঙ্কুর, তার প্যানপ্যানানির ঠেলায় অতিষ্ট হয়ে একবার রাদ প্রায় বলেই বসেছিলো, “তুই থাক, তোর যাওয়ার দরকার নাই|” কিন্তু চিন্তা করে বললোনা| একা একা গেস্ট হাউসে থেকে করবেই বা কি? আর ওদের ফিরতেও প্রায় দিন দশেক| এদিকে মোটা জামিল একবার দাঁত কেলিয়ে বলেছিলো, “কিরে অঙ্কুইরা, একলা থাকবি নাকি? রাইতের বেলা, জোস্নায় বিড়ি খাইস আর জঙ্গল দেখিস, যদি কিছু হাত-ফাত নাইড়া তরে ডাক দেয় আর কি?? হে হে হে...” দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ওকে প্রায় মারতেই গিয়েছিলো অঙ্কুর, সেই দৃশ্য মনে করলেই হাসি পায়|
তবে কালকে রাতে গেস্ট হাউসের ছাদে যে কীর্তি করেছে অঙ্কুর তারপর থেকেই ওকে খেপাচ্ছে পালাক্রমে ওরা| বেচারা এমনিতেই খিঁচে আছে| শুভ্রর বাবা পর্যটনের সিনিয়র অফিসার হওয়ার সুবাদে বান্দরবনের এই সরকারী গেস্ট হাউসটা বিনে পয়সায় পেয়ে গেছে ওরা, আর এভাবেও এখন অফ সীজন, ঘুরতে আসার লোকজন খুব একটা নেই| প্ল্যানটা হঠাৎ করেই একদিন হয়ে গেলো, হয়ে গেলো বলতে, শুভ্র ধুম করে বুধবার দিন রাদ এর ঘরে ঢুকেই বললো, “ওই চল ঘুইরা আসি|” রাদ অবাক হয়ে বললো, “এই বর্ষার সময় কোথায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়লো?” শুভ্র প্রায় বিরক্ত হয়েই বলেছিলো, “সব কাজেই খালি প্রয়োজন খুঁজিস কেন রে তোরা??” রাদ আমতা আমতা করে কিছু বলার আগেই আবার শুরু করলো, “ঐ গানটা তো জানিস, চলো না ঘুরে আসি অজানাতে, এর মানে বুঝিস?” রাদ প্রায় জোর করেই ওকে থামিয়ে বলেছিলো মানে বুঝানোর কোনোও দরকার নাই, মনে মনে ভাবছিলো এই রে সাহিত্য শুরু হলেই খবর আছে| শুভ্রর কথা সংক্ষেপে মোটামুটি এরকম দাড়ায়, তার ইচ্ছে হয়েছে ভরা বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ে বৃষ্টি দেখবে, শুধু তাই নয় তার আরও ইচ্ছে এর মধ্যে বান্দরবনের জঙ্গল ঘুরে সে আমাজন জঙ্গলের স্বাদ মেটাতে চায়| তাই বাবাকে ম্যানেজ করে বান্দরবনের গেস্ট হাউসটা ঠিক করেছে, কিন্তু সাথে জামিল আর অঙ্কুর কেও নিতে চায়|
রাদ বললো, “অঙ্কুর এর বাবা এমনিতেই যে মানুষ, তার উপরে এই রকম সময়ে জঙ্গলে যেতে দিবে??” শুভ্র এবার প্রায় খেঁপেই গেলো, “আররে আমরা কি জঙ্গলে ঘোরার কথা বইলা যাবো ভাবছিস? আমরা বলবো বান্দরবন শহরে ঘোরার কথা| তুই খালি অঙ্কুর আর জামিল রে রাজি করা”, এতক্ষণে আসল মতলব এ আসলো অঙ্কুর| তারপরের দুইদিন কি করে গেলো জানেনা রাদ, শুক্রবার রাতের ট্রেনে যখন বসেছিলো, ভাবছিলো, মন্দ নয়, এমন হুট করে বেরিয়ে পড়াটা, তবে ফেরত আসার পড়ে কি পরিমান চাপ থাকবে ভার্সিটির সেটাও মনেমনে একবার হিসেব করে নিলো| জামিল মোটু ট্রেনে ওঠার পর থেকেই নাক ডাকাচ্ছে, সে নাকি এনার্জি সঞ্চয় করতে চায়, অঙ্কুর নাক কুঁচকে রেখেছে তখন থেকেই, বেচারার পাশে যে লোক বসেছে সে নাকি থেকে থেকেই বায়ু ত্যাগ করছে, আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছে অঙ্কুর, কিছু বলতেও পারছেনা| এদিকে তখন থেকেই একমনে কি একটা ম্যাপ দেখে চলেছে শুভ্র| কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলছে, গুগল ম্যাপ থেকে নাকি সে জঙ্গলে ট্রেকিংএর রুট প্রিন্ট করে এনেছে, তাই দেখছে| রাদ একবার বলেও বসেছিলো, “এতে দেখার কি আছে, যখন যাবি তখন তো দেখবই|” শুভ্র একবার অদ্ভুত ভাবে আরমোড়া ভেঙ্গে বলেছিলো, “বুঝবিনা রে, তোরা বুঝবিনা|” রাদ এর বলতে ইচ্ছে করছিলো, “বুঝবো কি করে ছাগল, বোঝালে তবে তো?” নাহ থাক কি দরকার তার থেকে বরং ঘুমানো যাক, এই ভেবে চোখ বুজলো সে| সে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবেনা পরের কিছু দিনে তার সাথে কি হতে চলেছে|
বান্দরবন পৌঁছানো নিয়ে কোনো হাঙ্গামা হলো না বললেই চলে, সকালে চট্টগ্রাম নামার পড়ে হোটেলে নাস্তা করেই বাস ধরেছিল, রাস্তা বেশ ভালোই, দুলুনি আর ঠান্ডা হাওয়ায় চোখ বুঁজে গিয়েছিলো টের পায়নি রাদ| যখন চোখ খুললো ততক্ষণে পাহাড়ি রাস্তার মাঝ দিয়ে চলছে বাস, দুপাশে পাহাড় আর জঙ্গল দেখা যাচ্ছে| ও মুখ ঘুরাতেই পাশে বসা শুভ্র চোখ টিপলো হাসি হাসি মুখে| ওদিকে অবাক কান্ড, মোটু জামিল জেগে আর অঙ্কুর ঘুমে| নাহ তাহলে এনার্জি ভালোই সঞ্চয় করেছিলো জামিল বোঝা যায়| আর বেচারা অঙ্কুর, ভাবতেই হাসি পেলো| দুপুর থাকতে থাকতে গেস্ট হাউস পৌঁছে গিয়েছিলো ওরা, গেস্ট হাউসটা দারুন লাগলো পড়ন্ত আলোতে, টিলার উপরে, বেশ উঁচুতে, আশ-পাশটা বেশ অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় বোঝা যাচ্ছিলো গেট থেকেই| কেয়ারটেকার সন্তু চাকমার নাম বলার আগেই চেহারা দেখেই বোঝা যায় সে চাকমা, ওদের দেখে দাঁত কেলিয়ে হেসে এগিয়ে এলো| তারপর নিয়ে গেলো দুই তালার একটা ঘরে, পাশেই খোলা ছাদ, বেশ বড়-সড় ঘর, দারুন ব্যাবস্থা| কেয়ারটেকার জানিয়ে গেলো, খাবারের ম্যানু আগেই বলতে হবে, এমনকি কালকে কি খাবে তা আজকে বললেই ভালো হয়| এভাবেই বৃষ্টির সময়, বাজার বলতে গেলে যে টং দোকান গুলো আছে তা রাতের আগে ভাগেই বন্ধ হয়ে যায়, তাই যত আগে বলবে জিনিসপত্র আনাও ততো সহজ হবে|
সন্ধের পড়ে হালকা হালকা ঠান্ডা লাগা শুরু হলো, আর অন্ধকারটাও যেনো ঝুপ করে নেমে এলো মাথার উপর, এতদিন শুনে এসেছে পাহাড়ে অন্ধকার হয় হঠাৎ আজকে চোখের সামনে দেখেও বেশ অবাক লাগছে| ছাদে বসে আড্ডা মারছিলো চার জন, রাতের খাবারের অনেক দেরি আছে, চারপাশটা একদম নিরব-নিঝুম, শেষ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি গেছে, অন্ধকারটা তাই যেনো আরও একটু ভারী হয়ে আছে| আকাশে মেঘের জন্য একটা তারাও দেখা যাচ্ছেনা| যতদুর চোখ যায়, শুধু অন্ধকারে আবছা পাহাড়ের ঢেউ বোঝা যাচ্ছে| মাঝে মাঝে অনেক দুরে কোথাও দু-একটা টিমটিমে আলো, সাথে কুকুরের হালকা ডাক| অদ্ভুত একটা পরিবেশ| শহরের কোলাহল থেকে দুরে, অন্যরকম| এর মাঝেই কথা গিয়ে দাড়ালো ভূত-প্রেত-প্যারানরমাল একটিভিটি নিয়ে| যা হয় আর কি এরকম পরিবেশে| রাদ মজা করে ওদের গ্রামের বাড়ির একটা ঘটনা বেশ রসিয়ে রসিয়ে মশলা মাখিয়ে মাখিয়ে বলছিলো, শেষ হবার আগেই, অঙ্কুরের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো তার মাথার পেছন দিকে তাকিয়ে| ও ভাবছিলো ওকে ভয় দেখাচ্ছে, কিন্তু কিছু বলার আগেই, অঙ্কুর প্রায় চিত্কার করে বললো, “ঐযে হাতের মতো কি জানি নড়ে|” ওরা বাকি তিন জন ঘুরে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে গেলো, আসলেই তো!! শুভ্রর সাহস মোটামুটি, রাদ এরও কম না, কিন্তু এই পরিবেশে যেনো, আড়ষ্ট হয়ে গেছে সবাই| একটু পরেই বুঝতে পারলো ভুলটা, আর সাথে সাথেই হেসে উঠলো রাদ জোড়ে, শুভ্র যোগ দিলো একটু পরেই, জামিল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকালো, অঙ্কুরের তো প্রায় চোখ উল্টায়| শুভ্র হাসতে হাসতেই বললো, “ধুর, ছাদের কিনারায় বাঁশের সাথে বাধা একটা কাপড় ঝুলছে, আর ওটাই বাতাসে দুদিক থেকে দেখতে হাতের মতো মনে হচ্ছে, আর যতবার দুলছে মনে হচ্ছে হাত নাড়ছে কেউ|” আর এর পর থেকেই বাকি রাতটা অঙ্কুর বেশ জব্দ হয়ে কাটিয়েছে, ভয় ভালোই পেয়েছে, কিন্তু বুঝতে দিচ্ছেনা| এদিকে ওরা খেঁপিয়ে চলেছে একসাথে| তবে শোবার আগে শুভ্র একবার ফিসফিস করে রাদ এর কানের কাছে যা বললো তা মোটেও ভালো লাগলোনা ওর| কি একটা জানি জায়গা আছে বগা লেকের ওদিকে, অনেক পুরনো একদল আদিবাসী থাকে, তাদের ওখানে কি নাকি পুরনো মন্দির এর যাওয়ার রাস্তা আছে, খুব নাকি দুর্গম, সেখানে নাকি কি এক প্রাচীন মূর্তি-ফুর্তি দেখতে যেতে চাইছে| শেষ করার আগে একবার খালি বললো. কার কাছ থেকে জানি শুনে এসেছে, আদিবাসীদের পূর্বপুরুষরা নাকি আগে নর-খাদক ছিল| রাদ কথাটা হেসে উড়িয়ে দিলেও প্ল্যানটা ভালো লাগলোনা| তবে শুভ্র যখন একবার বলেছে ওকে ঠেকানো যাবেনা, আর এটাও বুঝলো, আগে থেকেই এই প্ল্যান করে এসেছে ও, ম্যাপটাও ঐ জায়গার| এখন দেখার বিষয় বাকি দুজন রাজি হয় কিনা| অঙ্কুরকে দেখে লাগছেনা ও ঐ জায়গা কেন বগা লেকেও যেতে চাইবে, আর জামিলের যা আয়তন ও বগা লেকে নামলে হয়তো লেকের সব পানি পাড়ে উঠে যাবে| দেখা যাক, কালকে সকালের নাটকটা ভালোই জমবে| ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো সে|
পরের দিন সকালেই কেয়ারটেকারকে বলে বুঝিয়ে দিলো শুভ্র, কি কি করতে হবে, তাদের বগা লেক যাবার কথা গোপন থাকবে যতদিন তারা ফেরত না আসে, আর প্রয়োজনে তার বাবার ফোন নাম্বারটাও লিখে দিলো| তবে তার আসল প্ল্যান শুনে সন্তু চাকমা খালি একবার অদ্ভুত একটা চোখে তাকালো, তারপর শুধু একবার ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বললো, “আপনারা শহরের লোক, কাজটা ঠিক করতেছেন না|” শুভ্র ওকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বিজয়ীর ভঙ্গিতে নিজের প্ল্যান ঘোষণা করলো বাকি দুজনের কাছে, জামিল শুনে মুখভর্তি খাবার নিয়ে কিছু একটা বলতে যেয়েও পারলোনা, অঙ্কুর একবার তিড়িং করে এক অদ্ভুত ভঙ্গিতে লাফ দিয়ে দাড়ালো, তারপর বাদরের মতো কিছুক্ষণ একজায়গাতেই দাপালো, তারপর ফোসফোস করতে করতে বললো, “বাবা জানলে আস্ত রাখবেনা| আমি যাবোনা|” শুভ্র মোলায়েম হেসে বললো, “ঠিক আছে দেখ তুই থেকে যা এখানেই, ভালো ব্যাবস্থা আছে, আরামে থাকবি, আমি, রাদ আর জামিল ঘুরে আসি, খুব বেশি তো দুরে না|” রাদ অবাক ভাবে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে ভাবলো, “একবার তো জিজ্ঞেসও করলিনা ব্যাটা, নিজেই বলে দিলি??” কিছু বলার আগেই হাত তুলে শুভ্র বললো, বিকেলের মাঝে রুমাবাজার পৌঁছতে চাইলে এখুনি সব কিছু গুছিয়ে নে, তাড়াতাড়ি, চান্দের গাড়ি ধরতে হবে| জামিল এতক্ষণে বললো, “চান্দের গাড়ি কি একেবারে বগা লেকে নিয়ে যাবে নাকি??” শুভ্র হতাশ ভঙ্গিতে একবার মাথা নাড়তে নাড়তে বললো, “কিচ্ছু হবেনা, কিচ্ছু হবেনা|” রাদ অনেক কষ্টে হাসি আটকালো জামিলের চেহারা দেখে, অঙ্কুর তখনো খেঁপে আছে|
পড়ে অবশ্য নিজেই সব কিছু গুছিয়ে সাথে এলো অঙ্কুর| কি আর করবে বেচারা, তখন থেকেই তাকে ইতিহাস শুনতে হচ্ছে, জামিল একটু পর পর কে কবে কখন এই ছাদে গায়েবি ডাক শুনেছিলো তার মর্মস্পর্শী বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে, আর অঙ্কুর নিজের রাগ সংবরণ করার বৃথা চেষ্টা করছে| ওরা যখন বের হচ্ছিলো তখন হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে, পাহাড়ি বৃষ্টির এমনিতেই কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, তার উপরে বর্ষার সময় তো কথাই নেই, তবুও যেতে যখন হবেই দেরি করে লাভও নেই, তাই বেরিয়ে পড়লো বৃষ্টি মাথায় নিয়েই| চান্দের গাড়ি যেখান থেকে ছাড়ে সেটা বেশ খানিকটা দুরে, যাওয়ার জন্য ওদের স্থানীয় মুড়ির টিন ধরনের একটা গাড়ি ধরতে হবে, গাড়ি দেখেই অঙ্কুরের চেহারা আমসি হয়ে গেলো, রাদ ভাবছে আসল প্ল্যান শোনার পড়ে অঙ্কুর আর জামিলের চেহারা কেমন হবে?? সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই গাড়িতে চড়ে বসলো ওরা সবাই| শুরু হলো যাত্রা অজানার উদ্দেশ্যে| একটা জিনিস খটকা লাগছে রাদ এর মনে, ওরা যখন গেস্ট হাউস থেকে বের হচ্ছিলো, কেয়ারটেকার খুব অদ্ভুত ভাবে ওদের দিকে তাকাচ্ছিলো, আর মাথা নাড়ছিলো, সেটা কি ওদের পাগলামি দেখে, নাকি কোনো আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে?? কে জানে?!!
[ক্রমশঃ]
মন্তব্য
ক্যাটেগরিতে গল্প লেখা না থাকলে আমি বুঝতেই পারতাম না, এতা ভ্রমন কাহিনী নয়, গল্প। দারুন! পরের পর্ব কবে আসবে? অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ, পরের পর্ব শীগ্রই দেওয়ার চেষ্টা করবো ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাম গুলো কি মাঝে মাঝে উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে? একজনের কথা আরেকজন বলছে মনে হয়। নাকি আমারি বোঝার ভুল? মোটের উপর ভাল লাগলো। চলুক। খালি দয়া করে সচলের আর ধারাবাহিকগুলোর মতো ঝুলিয়ে দিয়েন না ভাই। এইটাই অনুরোধ।
ধন্যবাদ, না নামগুলো উল্টাপাল্টা নয়, বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা চরিত্র থেকে কথাগুলো এসেছে তাই হয়তো কিছুটা জট মনে হচ্ছে ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পড়ছি। লিখে যা।
কেমন লাগছে বলিস ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভালোই লাগছে। পরের পর্বে আরও থ্রিল থাকবে আশা করি
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ..... থ্রিল আসবে অবশ্যই...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন