"ভালোই, শেষ পর্যন্ত নিজেদের দেশে যাচ্ছিস", ঠিক এই কথাটাই শুনতে হয়েছিল ১১ বছরের পরিচিত, একই সাথে স্কুলে পড়া, এক বন্ধুর মুখ থেকে, যখন স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে এসেছিলাম| প্রতিউত্তর দিতে ইচ্ছা করছিলো খুব, কিন্তু শুধু একবারই বলেছিলাম, "কোনটা যে আমার দেশ সেটা যদি তোর বোঝার ক্ষমতা থাকতো !!" আমার সাথে পড়তে আসা ভিন্ন ধর্মালম্বী বন্ধুদের কিছু শুনতে হয়েছিল কিনা জানিনা| আমাকে শুনতে হয়েছিল কারণ
"ভালোই, শেষ পর্যন্ত নিজেদের দেশে যাচ্ছিস", ঠিক এই কথাটাই শুনতে হয়েছিল ১১ বছরের পরিচিত, একই সাথে স্কুলে পড়া, এক বন্ধুর মুখ থেকে, যখন স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে এসেছিলাম| প্রতিউত্তর দিতে ইচ্ছা করছিলো খুব, কিন্তু শুধু একবারই বলেছিলাম, "কোনটা যে আমার দেশ সেটা যদি তোর বোঝার ক্ষমতা থাকতো !!" আমার সাথে পড়তে আসা ভিন্ন ধর্মালম্বী বন্ধুদের কিছু শুনতে হয়েছিল কিনা জানিনা| আমাকে শুনতে হয়েছিল কারণ জন্মের পর থেকেই একটা সীল আমার নামের সাথে লেগে গেছে "সংখ্যালঘু"|
সাম্প্রদায়িকতা খুব অদ্ভুত ভয়ংকর একটা জিনিস, গল্পের পরশ পাথরের মতো এরও অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, তবে সোনাতে রূপান্তরের নয়, একজন নিরীহ-পরিচিত মানুষকে অপরিচিত হিংস্র-জন্তুতে পরিণত করার| যখন ভারতে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক মদদে সৃষ্ট রাজনৈতিক দাঙ্গায় বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল, তখন আমি যথেষ্ঠ ছোট| সাম্প্রদায়িকতা বোঝার বয়স তখন হয়নি, কিন্তু দেখেছি আমাদেরই এলাকায় চকচকে তরবারি নিয়ে মিছিল করেছিলো কিছু পরিচিত মানুষ| তাদের মুখে ছিলো ধর্মীয় স্লোগান, আর বিধর্মীদের নিঃশেষ করার প্রতিজ্ঞা| বাবা তখন শহরের বাইরে চাকরি করতেন, আমি আর মা, ঘরের আলো বন্ধ করে আমাদের জানালার সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া মিছিলগুলো দেখতাম| এখনো মনে পড়ে আবছা আবছা, কতোটা নিঃশ্চুপ কাটত সেই সময়গুলো| আমাদের বাড়ির মালিক একদিন মাকে ডেকে বলেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে উনি কোনো নিরাপত্তা দিতে পারবেননা, শুধু কিছু হলে আমাদের লুকিয়ে থাকার ব্যাবস্থা করতে পারেন, জিনিসপত্র এর মায়া ছাড়তে হবে| মাকে তখন অসহায় হতে দেখেছি, চুপ থাকতে দেখেছি|
যখন আফগানিস্থানে হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তখন বাসার সামনে দিয়ে মিছিল হতো, ঠিক আগের মতো, এবার বোঝার বয়স হয়েছে যথেষ্ঠ| স্লোগানগুলো মনে আছে এখনো, "আমরা হবো তালেবান, দেশ বানাবো আফগান"| ঠিক কোন ধরনের জাতীয়তাবোধ থেকে এই মানসিকতার উদ্ভব হতে পারে আমার জানা নেই| যখন দেশে একের পর এক সংখ্যালঘু গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা, তখন মনে হতো ৭১ যেনো আবার ফিরে এলো| আমি দেখেছি অনেক পরিচিত পরিবারকে লুকিয়ে চলে যেতে, অনেক পরিবারের মেয়েকে ভারতে আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়ে দিতে| যেরকম ভাবে আমি দেখেছি অনেক বছর আগে আমার মায়ের বোনকে তার পরিবার নিয়ে চলে যেতে|
আমাদের দেশটা বিচিত্র, সংখ্যালঘু তা যে ধর্মেরই হোকনা কেনো, সে বিষয়ে লোকজন খুব একটা কথা বলতে চায়না| তাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন নিয়ে কেউ খুব একটা চিন্তিত হয়না| দেশের সব সরকারের মুখেই শোনা যায়, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ| কিন্তু বাস্তব ঘটনাও কি তাই??
আজকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে যা ঘটেছে বা ঘটে চলেছে তা নিয়ে কোনো মিডিয়াতেই খুব একটা তোরজোর নেই, ফেসবুকে এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে দেখলাম, "হিন্দু হয়ে জন্মানো কি আমার অপরাধ?এই অপরাধে আজ আমার পরিবারকে পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে।আগুন জলছে আমার বন্ধুর বাড়িতে। সব মন্দির জালিয়ে দেয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সব হিন্দু দোকান। কারণ হিন্দুরা তো মানুষ না। ২জন শিবির কর্মীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া হচ্ছে হিন্দু মেরে।প্রশাসন বসে আছে চুপচাপ। তাদের সরকার এর ভাবমুর্তি যদি ক্ষুণ্ণ হয়......।" তারপর দেখলাম আরও কিছু খবর, শেষপর্যন্ত দেখলাম সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে| ঠিক কি ঘটলে একটি স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে? প্রশ্নটা হয়তো সেখানকার মানুষগুলোকে করলে আরও ভালো ভাবে উত্তর দিতে পারতো|
একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হওয়া সত্তেও যখন শুধুমাত্র জন্মসুত্রে প্রাপ্ত ধর্মের কারণে একজন মানুষকে নির্যাতিত হতে হয়, তখন সেই মানুষটির কি অনুভূতি হতে পারে?? যখন সেই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, শরণার্থী হয়েছে, ধর্ষিত হয়েছে, শহীদ হয়েছে এই মানুষগুলোই| ধর্মীয় কারণে বারংবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দেশ ছেড়ে, নিজের ভিটে-মাটি ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া মানুষের কি অনুভূতি, কি কষ্ট, তা বোঝার ক্ষমতা কজন রাখে আমি জানিনা| যখন রাজনৈতিক দলগুলো দাঙ্গাকে রাজনীতির ঘুটি হিসেবে ব্যাবহার করতে চায়, যখন কিছু নিরীহ মানুষের লাশ কিংবা ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিলের উপর দিয়ে ক্ষমতায় বসার উপলক্ষ খোঁজে, তখন গণতন্ত্রের কোন ঝান্ডাটা সমুন্নত থাকে?? কোন সম্প্রীতির সমাজে বাস করার স্বপ্ন দেখে সাধারণ মানুষ??
লেখার ইচ্ছে ছিলো অনেক কিছুই, লিখতে ইচ্ছে করছেনা, এই কথাগুলো নতুন কিছু নয়, ঘটনাগুলোও নতুন কিছু নয়| শুধু একই ঘটনার বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত| এক বন্ধুর লেখা কথাগুলো ভেতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দিয়ে গেলো, "সাম্প্রদায়িক চেতনা ধারী, হিংস্র, তীব্র অনুভূতি সম্পন্ন অসংখ্য মানুষের সামনে ভীরু, নিরস্ত্র কিছু আজাদের ন্যায় মানুষ দ্বারা গঠিত এক অসাম্প্রদায়িক দেশ মোদের এই বাংলাদেশ।"
ঠিক এই একটি জায়গায় হেরে যাই আমরা, হেরে যায় আমাদের জাতীয়তাবোধ|
মন্তব্য
দুঃখ প্রকাশ ছাড়াও আমাদের করার আছে অনেক কিছুই
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শুধু বলব, ভালো থেকো।
আর এগুলি দাঙ্গা নয়। দাঙ্গা তো তখন হয়, যখন দুপক্ষ মারে, দুপক্ষই সমানে চালায়। ...... ৯২ এর ঘটনা তুমি দেখনি আমি দেখেছি, শুনেছি, অনুভব করেছি। সেদিনও দাঙ্গা ছিলনা, আজও দাঙ্গা নয়। না এপারে , না ওপারে। কারণ পিষেছে বিনা হাতিয়ারে নিরস্ত্র মানুষ, এপারেও , ওপারেও......ওরা কেউই হাতিয়ার তুলে নিতে পারেনি। তো দাঙ্গা কি করে হল, শুধুই মরেছে।
আর, স - ন - খ্যা - ল - ঘু ...... এই শব্দটাতে এসেই মাথাটা ঝিমঝিম করে......
ডাকঘর | ছবিঘর
সহমত, আপনিও ভালো থাকুন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সহমত
facebook
কোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা কল্যাণকর নয়। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয়। তবে আপনার বন্ধুর যে স্ট্যাটাস উদ্ধৃত করলেন সেটাতে সম্ভবত ভূল তথ্য রয়েছে। আমি অন্তর্জালে প্রায় সবকটি সংবাদ মাধ্যমে চোখ বুলানোর চেষ্টা করেছি। তাতে যা বুঝলাম সেটা হল স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যকার বাড়াবাড়ি থেকে ঘটনা গুরুতর আকার ধারণ করে। এতে মন্দিরের প্রতিমা যেমন ভাঙ্গা হয়েছে তেমনি ভাঙা হয়েছে মসজিদের কাঁচও। জামাত-শিবিরের এখন এতো সাহস নাই যে মন্ত্রী আফসারুল আমিন ও সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ধাওয়া করবে, দীর্ঘ ৬ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখবে। এদের জড়িয়ে কারা নিজেদের গোপন করছে সেটা যেমন জানা দরকার তেমনি মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলার নীরবতা বা দায়সার গোছের সংবাদ পরিবেশনের কারণ জানা প্রয়োজন।
দোষীদের যথার্থ শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশু ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
জামাত-শিবিরের সাহস নাই বলে তাদের হিসাব থেকে বাদ দিয়ে দেয়ার কায়দাটা কি ভালো?
@ফুয়াদ, ঠিক কোন সংবাদ মাধ্যমে আপনি চোখ বুলিয়েছেন আমি জানিনা, চোখ কিন্তু আমিও বুলিয়েছি, যেখানে অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে হয় ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে নয়তো গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি| আর যেসব মাধ্যমে সংবাদ এসেছে, তা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, আর আমার লেখায় যেই বন্ধুর কথা বলা হয়েছে, তার পরিবার এই ঘটনার শিকার, এবং আরেক জন বন্ধুর বাড়িতে আগুল লাগানো হয়েছে, আমি জানিনা, একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনার শিকার মানুষের চেয়ে আপনার কাছে আর নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র আছে, সেরকম কিছু সূত্র উল্লেখ করলেই পারেন|
মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গার কথা বললেন, একটু ভুল হয়ে গেলো ভাই, বলুন জানামতে ৩টা মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে আর একটায় আগুন দেওয়া হয়েছে, মসজিদের কাঁচ ভাঙ্গার কথা এমন ভাবে বললেন, মনে হচ্ছে ঘটনাটা পাল্টাপাল্টি, মোটেও তা হয়নি, মসজিদের ক্ষতি সাধন করা হয়েছে রাতের অন্ধকারে, কারা করেছে নিশ্চিত নয় কেউ, কিন্তু মন্দিরের উপর আর হিন্দু দোকানগুলোর উপর হামলা হয়েছে দিনের আলোতে, দল বেধে| এইতো ভাই, আপনার সূত্রের খবরের ফাঁকগুলো দেখা যাচ্ছে|
একটু সমস্যা হয়ে গেলো, এটা কি আপনার ব্যাক্তিগত অভিমত, নাকি কোনো বিশ্বস্ত সূত্রের খবর?? যেমন উপরের খবরগুলো পেয়েছেন?? জামাত শিবিরের কি সাহস আছে কি নাই, এটা আপনার সাথে অযথা তর্ক করে বলতে যাবোনা, দেশের বহু ঘটনা এর সাক্ষী, এদের নাম ব্যাবহার করে কারো নাম লুকাতে হয়না, এদের নাম দিনের আলোর মতো ফকফকা দেখা যায় ঘটনাগুলোতে| শুধু চোখ বুজে থাকে কিছু মোটা চামড়ার মানুষ|
কত মানুষকে ক্ষতিপূরুন দিবেন?? ক্ষতি তো শুধু ইট-কাঠ-পাথরের না, ক্ষতি তো মনুষ্যত্ব এর, এই ক্ষতি কি দিয়ে পোষাবেন?? জানালে ভালো হয়|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ খবরের ফাঁকগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আজকের সংবাদপত্রগুলোতে চোখ বুলাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত মন্দির ভাঙার সংখ্যা ৩টারও বেশী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও আমার ধারণার চেয়ে বেশী। মূলধারার সংবাদপত্রগুলোর মাঝে ইত্তেফাক আর সমকালই সবচে বিস্তারিত লিখেছে। জা-শি'র ব্যাপারটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। এরই মধ্যে হামলা-লুন্ঠন নন্দীর হাট থেকে ছড়িয়েছে হাটহাজারী সদর পর্যন্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েচে সাধারণ মানুষ, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে। আবার যারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে তারাও সাধারণ মানুষের একটা অংশ, যাদের গুজব ছড়িয়ে সংক্ষুদ্ধ করা হয়েছে।
মনুষ্যত্বের ক্ষতি পোষাণো যায় কি না জানি না। তার চেয়ে বড় কথা আদৌ আমাদের মাঝে মনুষ্যত্ব বোধ আছে কিনা? তা না হলে কোন কিছুর সত্যতা যাচাই না করে, গুজবে ভেসে গিয়ে, শক্তিতে বলীয়ান হয়ে কেন দুর্বলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সবল? কেউ যদি অপরাধী হয়েই থাকে কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় না?
বাহ !! এই তো দেখি বলেই ফেললেন
সাবাশ। তা ভাইডি এই ব্যাপারে কিছু হেদায়ত দিয়েন সময় সময়।
ডাকঘর | ছবিঘর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, ১৯৪৭ সালের পর এই উপমহাদেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। যা কিছু হয়েছে সেটা ঠাণ্ডা মাথায়, পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে খুন করা, তাদের বাড়ি-ঘর-দোকান-পাট লুট করা, তাদের উপাসনালয় আর আবাস ধ্বংস করা, তাদের নারীদের ধর্ষণ করা। 'সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা' - এই নামে অভিহিত করে অমুক কমিশন, তমুক কমিশন গঠন করে গোটা অন্যায়টির ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াকে ডিপ ফ্রিজে পাঠানো হয়। অথচ এগুলো বিদ্যমান ফৌজদারী আইনের আওতায় পড়া এক একটা জঘন্যতম অপরাধ। হত্যা করা, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা, জখম করা, ধর্ষণ করা, লুটপাট করা, অগ্নিসংযোগ করা - এইসব ফৌজদারী অপরাধের জন্য অপরাধীদের ধরে দ্রুততম সময়ে বিচার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তাদের এই অপরাধের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, শান্তিভঙ্গ করা, দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার চেষ্টার জন্য আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে।
এক বারও যদি এমন একটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একমত।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
শতভাগ সহমত।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাবরি মসজিদের দাঙ্গা আমি পুরান ঢাকায় ভাল মতই দেখেছি। বেশ মনে পরে বাবার চোখের অসহায় দৃষ্টিটা। আমরা থাকতাম তিন তলায়। এখনও মনে পরে বাবা বলেছিল আমাদের তিন তলা থেকে লাফিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে লাফ দিতে হবে।
কতগুলো অপদার্থের জন্য আমাদের আজ এ অবস্থা। হিন্দু টিন্দু বুঝিনা ভাই, আমি যদি মুসলমানও হই আমার নামের আগে পরেই শুধু পরিবর্তন আসবে কিন্তু আমার নিজের কোন পরিবর্তন হবে না। ধর্ম কর্ম, কর্মহীনদের কাজ আমার ওসবে সময় নাই। জন লেলনের ইমাজিন গান যদি সবাই বুঝতো তবে এসব লঘু চাপ টাপ থাকতো না। ডাইনোসারদের মত একদিন ধর্মও বিলুপ্ত হবে। তার পরেও মানুষে মানুষে হিংসা বিবাদ কি বন্ধ হবে? মানুষ পশুর চেয়েও হিংস্র। আমি মানুষ জাতি হিসেবে লজ্জিত।
আমাদের বাসাও ঐ এলাকাতেই ছিলো, আমাদের ছিলো চার তলায়, ধর্ম বিলুপ্ত হবেই, আমি নিজেও ধর্ম মানিনা, যে স্রষ্টার নামে রক্তপাত হয় তাকে মানার প্রশ্নও অবান্তর| আমার মজা লাগে, যখন মানুষ বলে পাশবিকতা, আমার তো মনে হয়, মানুষ যেরকম হিংস্র তার জন্য শব্দটা কোনো ভাবেই পাশবিকতা হওয়া উচিতনা, কোনো পশু নিজেদের মধ্যে এরকম করেনা, বরং মানুষের পক্ষেই এরকম সম্ভব, পশুদের সাথে তুলনা করে বরং আমরা তাদেরই অপমান করি|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সহমত|
না কমবেনা, যখন ধর্ম মানুষের জন্য না হয়ে মানুষ ধর্মের জন্য হয়ে যায়, তখন সেটা সম্ভব না|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার বসবাস এই এলাকাতেই। ঘটনাটা ঘটেছে আমার বাড়ির ১-২ মাইলের মধ্যেই। সকাল থেকেই বিষয়টা নিয়ে পোড়াচ্ছে - কেন আমি কিছুই করতে পারছিনা। আমাদের এলাকাটা ছিল অসাম্প্রদায়িক। অথচ আজ ধর্মের ঝান্ডাধারীরা এখানে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনে গেল।
আজকের পর থেকে আর কখনোই আমার কোন হিন্দু বন্ধু আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে চাইবেনা। কোন মুখে এখন থেকে আমি তাদের বাসায় যাব মাসীর হাতে বানানো মোয়া খেতে, আমার প্রিয় কাত্যায়নী ভাত (আশ্বিনে রান্না কার্তিকে খাওয়া) খেতে।
কিছুতেই মানতে পারছিনা । কানে লেগে আছে আমার ছোটবোনকে মুঠোফোনে বলা তার বান্ধবীর কথাগুলো "আমাদের সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। জানিনা আমরা বাঁচব কিনা।" আমি কি করে এখন এদের সামনে গিয়ে দাড়াব। কিসের বলে ফিরিয়ে আনব মুসলমান এই আমার প্রতি তাদের হারানো বিশ্বাস
মানুষে মানুষে বিভেদের জন্য ধর্মকে ব্যাবহার করার প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়, আর আমাদের মতো দেশগুলোতে ধর্ম তো রাজনৈতিক হাতিয়ার, ধর্মীয় স্লোগান দিলে যেসব মানুষের রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে, তাদের আর অন্য কিছুতে কেনো পাওয়া যায়না সেটা একটা প্রশ্ন|
আমি নিজেই ধর্মের প্রশ্নে পরিচিত মানুষকে বদলে যেতে দেখেছি, বিশ্বাস তো এখন বাজারে সব থেকে সস্তা জিনিস|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জগতসংসারে যে অধর্ম যে বঞ্চনা, সত্যি যদি এই জগতকে দেখার কেউ থাকতো, এক মুহূর্তও সে এটা বরদাশত করতোনা।
হয়তো
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একদিন ভোর আসবেই, এই প্রত্যাশাতেই ঐ দেশকে নিয়ে আজো স্বপ্ন বুনে চলি। ধর্মের বিষে নীল হয়ে থাকা এক জাতির কাছে থেকে খুব বেশি আশা করা খুব দুঃষ্কর। তার পরেও আপনাদের পাশে আছি, আজীবন থাকবো। ঐ দেশ আপনার এবং আমার এবং এই চরম সত্যের মাঝে যে দেয়াল আসবে সেই দেয়াল ভাঙ্গার চেষ্টা চলবে! হাটহাজারীর সচেতন মানুষ আপনাদের জন্য এগিয়ে আসবে এই আশা করি! ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কবে যে আমরা হিন্দু, মুস্লিম, বৌদ্ধ বা খৃস্টান হবার আগে মানুষ হব!! এরকম দিন কি আসলেই আসবে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একদিন এরকম হতেই হবে, নয়তো মানব সভ্যতার কিছুই হয়তো বাকি থাকবেনা|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মন খারাপ হয়ে গেল লিখাটা পড়ে । আমি মানুষ, আমার ধর্ম আছে । কিন্তু আমার শুধু ধর্মই থাকল, আমি মানুষ থাকলাম না এই বেঁচে থাকা কি অর্থহীন মনে হয় না ?
বেঁচে থাকা অর্থহীন নয়, তবে বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম অর্থহীন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেশকে অসাম্প্রদায়ীক বলে প্রমান করার গুরু দায়িত্ব কিন্তু আলু ভালো ভাবেই করে চলেছে। তাদের করা রিপোর্টটা দেখুন। সাম্প্রদায়ীকতার ছিটেফোটা খুজে পাবেন না।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-11/news/223787
অসাধারণ রিপোর্ট, এভাবেই সত্যিটা চেপে যেতে হয়| প্রথম আলু বদলাতে যেয়ে সব কিছুই দাউ দাউ করে বদলে দিচ্ছে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মানুষের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ না।
এইটা না বুঝলে কোন কিছুই ঠিক হবেনা। আইন করেও লাভ হবেনা।
এটা বুঝলে তো আর ধর্মের ব্যাবসা চলতোনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
না সব কিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যেতে দেওয়া যাবেনা, তাই প্রতিরোধ আমাদেরই করতে হবে|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনেক নিরীহ মানুষকে চিনি যারা সাম্প্রদায়ীকতা আর সংখ্যালঘুত্ব ব্যাপারটা অনুধাবনই করতে পারেননা। ধর্মের নামে এসব মানুষকে প্রভাবিত করা খুবই সহজ।
অনেকে দেখি "মসজিদের কাঁচ ভাঙ্গা হয়েছে" এটা বলে একধরণের ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে। এই ছাগুদের বলি যদি গোটা বাইতুল মোকাররমও ভেঙ্গে ফেলা হয়, তাহলেও দেশের কোনও মুসলিম পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেনা, কারণ তারা সংখ্যালঘু নয়। নিজের দেশে সবাই মাস্তানি করতে পারে, জীবনে অন্তত একটা দিন সংখ্যালঘু হয়ে দেখেন, বিদেশে আসেন। মাত্র একবার নিজেকে টেররোরিস্ট শুনতে কেমন লাগে, তারপর সেই খারাপ লাগাকে হিন্দুদের জীবনে যতবার মালাউন বলে গালি দিয়েছেন সেটা দিয়ে গুন করেন। গণ্ডারতো আর না , ছাগু, ঠিকই বুঝতে পারবেন।
ছাগুদের সাথে গন্ডারের তুলনা করে গন্ডারের অপমান করে কি লাভ??
ভাই, যখন সামনাসামনি "মালাউন" বলতে পারে, তখন আর কি সমস্যা, আর দেখেননা, জিহাদিরা বোমা মারলে যদি কেউ টেরোরিস্ট বলে, তাহলে নিজের ব্যক্তিত্ব জেগে যায়, তখন নাকি এগুলো পশ্চিমা মিডিয়ার ষড়যন্ত্র। আবার যতই হাউ কাউ করুক আমেরিকা না হইলে পেটও ভরেনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন