খুব একটা বেশি সময় লাগলোনা, এই আধ ঘন্টা, ওরা পৌঁছে গেলো যেখান থেকে চান্দের গাড়ি ছাড়বে। নেমে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো ওরা ছাড়া আর কোনো যাত্রী নেই, বাকিরা এদিক ওদিকের গ্রামে চলে গেলো| শুভ্র একটু এগিয়ে গিয়ে কয়েকজন লোকের সাথে মাথা নেড়ে নেড়ে কথা বলতে শুরু করলো| এদিকে টিপ টিপ বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশ আগের থেকে বেশি মেঘলা হয়েছে, চারিদিকে একটু অন্ধকার অন্ধকার ভাব। রাদ জামিলের দিকে তাকিয়ে বললো, "এখনই রওনা না হলে, মনে হচ্ছে ফেরত যেতে হবে শহরের দিকে|" অঙ্কুরও সম্মতিসূচক মাথা নাড়লো। এসময় শুভ্র এসে বললো, "এখান থেকে যাওয়ার সকালের শেষ গাড়ি চলে গেছে আবার যাবে একদম বিকেলে, কিন্তু আমরা যদি এখনি না যাই, তাহলে আজকে রুমা বাজার যেয়ে পৌঁছতে পারবোনা, কারণ এরা আমাদের নিয়ে যাবে শঙ্খ নদীর পাড় পর্যন্ত, সেখান থেকে নৌকা করে ঘন্টাখানেকের নদী পার করে তবে রুমা বাজার।" জামিল বললো, "এদিকে আকাশের অবস্থাও ভালো মনে হচ্ছেনা, যেকোনো সময়ে পুরোদমে শুরু হবার জন্য মুখিয়ে আছে।" সবাই মিলে ঠিক করলো কোনো একজন চালককে ধরে একটা পুরো গাড়িই জোগাড় করা হবে| রাদ আর শুভ্র পাশে ঝুপড়ি দোকানে গিয়ে কথা বলতেই একজন এগিয়ে এলো, বললো সে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক তবে তার জন্য বেশি টাকা লাগবে, কত প্রশ্ন করতেই বললো ৩০০০।
নিজেদের অবস্থা দেখে আর আকাশের পরিস্থিতি দেখে খুব বেশি দরদাম করতে পারলোনা, ঠিক হলো ২০০০ এ। সবাই মিলে যখন সামনেই রাখা ক্যাটক্যাটে নীল রঙের গাড়িতে উঠে বসলো তখন আবিষ্কার হলো "চান্দের গাড়ি" নামকরণের সার্থকতা। গাড়ি বলতে যা বোঝানো হচ্ছে আসলে সেটা গাড়ির অবশিষ্ট বললে ভুল হবেনা। পিকআপ জীপ, পেছনে বসার জায়গা, কোনো হেডলাইট নেই, গাড়ির গীয়ার দড়ি দিয়ে কোনমতে লাগানো, হর্নের আওয়াজ ড্রাইভার নিজেও শুনবে কিনা সন্দেহ আর বসার জায়গায় দুটো কাঠের তক্তা রেখে দেওয়া। আর এই গাড়িতেই নাকি ৪০-৫০ জন অনায়াসে ভিতরে আর ছাদে বসে চলে যায়| অঙ্কুর বলে উঠলো, "এই গাড়ি যদি কোনভাবে ব্রেক ফেল করে, তাহলে তো চাঁদে যাওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা দেখিনা।" একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো চারজন।
এদিকে গাড়ির এই অবস্থা দেখে শুভ্র নিজেও দমে গেলো কিছুটা| তবে রাস্তা শুরু হলো কিছুক্ষণ পড়ে, যেনো রোলার কোস্টার চড়ছে গাড়ি। একবার এই উঠে যাচ্ছে তো আরেকবার সাই করে নিচে নামছে, যখন গাড়ি মোড় নিচ্ছে তখন মনে হচ্ছে পিছনের চাকা এই খাদে চলে গেলো| বসার জায়গার ভিতরের দিকে অঙ্কুর আর জামিল গাড়ির দুইপাশের রড ধরে কোনমতে বসার চেষ্টা করছে, আর এদিকে শুভ্র আর রাদ পিছন দিকের খোলা জায়গা দিয়ে রাস্তার পাশের খাদ অনায়াসে বসে বসেই দেখতে পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই গাড়ি অনেকটা উঁচুতে উঠে গেলো, নিচে দিয়ে মেঘ চলে যাচ্ছে, এবার ওরা ছবি তোলার জন্য গাড়ি দাড়া করলো রাস্তার পাশে, রাস্তায় নেমে বিচিত্র ভঙ্গিতে ছবি তোলা শুরু করলো, দেখলো রাস্তার উপর দিয়েই হালকা হালকা মেঘ ভেসে যাচ্ছে| ছবি তুলতে তুলতেই আবার বৃষ্টি শুরু হলো, গাড়ি চলতে শুরু করার পরে বৃষ্টির বেগ আরও বাড়তে থাকলো, একসময় আশেপাশের কিছু আর দেখা গেলোনা। এরই মধ্যে নিঃশ্চিন্ত মনে গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরাচ্ছে ড্রাইভার, এবার অঙ্কুর প্রশ্ন না করে পারলোনা, ড্রাইভার কি আসলেই দেখে চালাচ্ছে?? জোর গলায় ড্রাইভারকে এই কথা জিগ্গেস করতেই ড্রাইভার বললো, "দেখা তো কিছু যাইতাছেনা, কিন্তু আন্দাজ কইরা চালাইতাছি আরকি।" অঙ্কুর প্রায় ভয়ার্ত গলায় প্রশ্ন করলো,"তাহলে থামাচ্ছেন না কেনো??" ড্রাইভারের উত্তর এলো, "আপনারা বলেন নাই যে !!" এরপর সবাই মিলে বলে-কয়ে গাড়ি থামানো হলো একটা আদিবাসী দোকানের পাশে, রাস্তায় নামতে গিয়ে দেখলো পা রাখা যাচ্ছেনা এতটাই পিছলে যাচ্ছে। উপর থেকে বৃষ্টির জল মাটি ধুইয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কোনমতে বাঁশ ধরে ধরে দোকানের ভিতরে ঢুকলো সবাই| শীতকাল নয়, তবুও বৃষ্টি কাপুনি ধরিয়ে দিয়েছে শরীরে, ওদের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে কিছু বাচ্চা-কাচ্চা| দোকান বলতে যেটা মনে হয়েছিল, সেটা আসলে থাকার ঘর, কিন্তু সামনের অংশ দোকান হিসেবে চালানো হচ্ছে, সেখান থেকেই ধুমায়িত চা হাতে নিলো সবাই| এদিকে বেশি ওস্তাদি দেখাতে গিয়ে জামিল আছাড় খেলো গাড়ির সামনে, ওকে ধরে তুলতে গিয়ে শুভ্র আর অঙ্কুরের নিজেদের আছাড় খাওয়ার অবস্থা| কোনমতে হাচড়ে-পাচড়ে নিজেকে আর নিজের ভুড়ি সামলিয়ে উঠে এলো জামিল, এদিকে বৃষ্টি পুরো না কমলেও তেজ কমে গেছে, আবার শুরু হলো যাত্রা| তবে এবার প্রতিবার গাড়ি মোড় ঘোরার সময় রাদ দেখলো পেছনের চাকা রাস্তা থেকে অনেকটাই পিছলে যাচ্ছে, নিরবে তাকালো শুভ্রর দিকে, শুভ্র মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিলো সেও দেখেছে, কিন্তু ভেতরের দুজনকে বলার ঝুঁকি নিলো না কেউ|
অনেকটাই উপর দিয়ে চলছে গাড়ি, নিচে সদ্য বৃষ্টিস্নাত জঙ্গল দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হচ্ছে ঝিরঝির এর মধ্যেই রোদ দেখা যাচ্ছে, অদ্ভুত সুন্দর লাগছে চারদিকে, গল্প বন্ধ করে চারিদিকে দেখতে লাগলো সবাই, অদ্ভুত এক নিরবতা চারিদিকে, মাঝেমাঝে শুধু ওদের গাড়ির আওয়াজ এছাড়া প্রায় নিরব বলা চলে আশপাশ। রাস্তার একপাশে উঠে গেছে উঁচু পাথরের দেয়াল, উপরে জঙ্গল, অনেক জায়গায় দেখলো বৃষ্টির জন্য মাটি ধুয়ে উপর থেকে বড় পাথড়ের খন্ড খসে পড়েছে, এর একটা যদি গাড়ির উপরে পড়ত তাহলে আর বলতে হতোনা। একপাশে দেখলো একটা গাড়ি চাকা উপরে তুলে পড়ে আছে, ওদের মনে হলো এর ড্রাইভার নিঃশ্চিত আন্দাজে চালানোর ঝুকি নিয়েছিলো। এভাবে কখনো দুপাশে জঙ্গল, কখনো একপাশে উঁচু পাহাড়ের দেয়াল এরকম করে চলতে থাকলো, পিচ্ছিল রাস্তায় কোনমতে ক্যাঁচক্যাঁচ আর টায়ারের কর্কশ আওয়াজ তুলে চলছে ওদের গাড়ি| প্রায় ঘন্টা খানেক চলার পড়ে, ওরা পৌঁছালো একটা ছোট বাজারের মতো জায়গায়| ড্রাইভার নেমে ঘোষণা দিলো এটাই সেই জায়গা, এখান থেকে নেমে নিচে গিয়ে নৌকা নিতে হবে| ড্রাইভারকে টাকা দিয়ে চারজন এগিয়ে চললো ঘাটের দিকে| ঘাটে নেমে নৌকা করার কথা বলতেই মাঝিরা বললো, আগে উপর থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে নাম লিখিয়ে আসতে হবে। হতাশ ভঙ্গিতে উপরে তাকিয়ে দেখলো নদীর পাড় থেকে সেই ক্যাম্প ভালোই উঁচুতে| অগ্যতা চারজনকেই আবার উপরে উঠতে হলো, ক্যাম্পে গিয়ে দেখলো, বেশ কয়েকজন প্রায় ওদের বয়সী সেনাসদস্য আরাম করে গল্প করছে| ওদের দেখেই হেসে একজন এগিয়ে এলো, কথাবার্তা শেষে নিজেই ঘুরিয়ে দেখালো ক্যাম্প|উপর থেকে শঙ্খ নদীর কিছু ছবিও তুলে নিলো এই ফাঁকে রাদ| নৌকার জন্য অনেক দরদাম করার পরেও খুব একটা অল্প পয়সায় কেউ যেতে রাজি হলোনা, তখন শুভ্র কোথা থেকে ছোট একটা ছিপ নৌকা জোগাড় করলো, যার মাঝি আবার দুজন ১০-১২ বছরের ছেলে|
নৌকার আকার আর তার মাঝি দেখে বাকি তিনজনেরই অবস্থা খারাপ, একে তো কখনো পাহাড়ি নদীতে যায়নি, তার উপরে বৃষ্টির মৌসুম, কিরকম স্রোত থাকবে কেউই জানেনা, কিন্তু কিছু করারও নেই, বাকি মাঝিরা প্রায় ঐ নৌকার তিনগুন ভাড়া চেয়ে বসে আছে| বাধ্য হয়ে শেষপর্যন্ত ঐ নৌকাতেই যাত্রা শুরু হলো রুমাবাজারের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারলো স্রোতের উল্টো দিকে চলছে ওরা, আর স্রোতের ধাক্কায় নৌকা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মাঝিরা| রাদ আর জামিল দুজনে দুটো লগি নিয়ে নিজেরাই নৌকা এগোনোর কাজ শুরু করলো। কিছুক্ষণ পরেই হাত প্রায় অকেজো হবার জোগাড়, বুঝতে পারলো স্রোতের বিপরীতে লগি ঠেলা কতোটা কঠিন| গল্প চলছে এরই মাঝে, অঙ্কুর মাঝিদের একজনকে জিগ্গেস করলো এই নদীতে কুমির আছে কিনা, শুনে সেই ছেলে দাঁত বের করে হেসে জবাব দিলো, ভরা মৌসুমে দুই-একটা থাকতে পারে| জবাব শুনে অঙ্কুর আঁতকে উঠলো, এদিকে হেসে উঠলো বাকিরা। এর পরে প্রায় বেশ কয়েকবার স্রোতে ভেসে আসা কাঠের গুড়িকে কুমির বলে চিত্কার করে উঠেছিলো অঙ্কুর। চারপাশের দৃশ্য অসাধারণ, বৃষ্টি ভেঁজা পাথুরে জায়গা, নদীর পাড় ঘেষে যাওয়া সবুজ জঙ্গল, কখনো হঠাৎ দেখা যাচ্ছে আদিবাসী লোকেদের, ওদের দিকে তাকিয়ে কখনো হাত নাড়ছে ছোট আদিবাসী শিশুরা। শহুরে কোলাহল থেকে অনেক দুরে প্রকৃতির একদম অদ্ভুত এক আয়োজন|
প্রায় ঘন্টা দুয়েক স্রোতের বিপরীতে লগি ঠেলে, ক্লান্ত হয়ে পৌঁছলো রুমা-বাজার| নেমে দেখলো কিছুটা উপরে উঠে বাজার এর শুরু, সেখানে গিয়ে প্রশ্ন করতেই জানা গেলো এখানের একটাই পাকা হোটেল, বাকিদের অধিকাংশ টিনের নয়তো বাঁশের বেড়া। সেই পাকা হোটেলে গিয়ে জানা গেলো, সব রুম ভর্তি, তবে দুটি সিঙ্গেল রুম খালি আছে, যদি চায় সেখানে নিজেদের ব্যাবস্থা করতে হবে| হোটেলের অবস্থা করুন, আর এতেই যদি এই অবস্থা, বাকি আর জায়গা খোঁজার পরিশ্রম করার কোনো ইচ্ছাই নেই চারজনের| তাই ঐ দুই রুমেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলো| এদিকে আবার কালকে রুমা বাজার থেকে বগা লেক যাওয়ার জন্য আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি আর গাইড দুটোরই ব্যাবস্থা করতে হবে, রুমে ঢুকে একটু ধাতস্ত হয়েই আবার রওনা হলো আর্মি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে| লোকজনকে জিগ্গেস করে করে জানতে পারলো ক্যাম্প অবস্থিত একটা টিলার উপরে, বেশ অনেকটাই উপরে উঠতে হবে| যখন চারজন ক্যাম্পে পৌঁছলো, হাঁফাতে হাঁফাতে অবস্থা কাহিল সবার| কোনমতে সামনে পেতে রাখা বেঞ্চে বসলো, ওদের দেখে হাসছে টেবিলে বসা অফিসার| আলাপ হলো আস্তে আস্তে, জানা গেলো এখানে সব কিছু বিস্তারিত জানাতে হবে, এখান থেকেই গাইড ঠিক করে দেওয়া হবে নাম্বার দেখে, আর শুধু তাই নয়, কালকে যদি ওরা হাঁটা পথে যেতে চায় তাহলে ৮ ঘন্টার মধ্যে বগা-লেক পৌঁছে ওখানকার আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট না করলে,ওদের খুঁজতে বের হবে এখানকার টহলদল| আর অফিসার ভালোভাবেই জানিয়ে দিলো হাঁটা রাস্তা এমনিতেই দুর্গম, তার উপরে বর্ষা, যদি চায় ওরা চান্দের গাড়ি করে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে পারে| তবে সকালের চান্দের গাড়ির অভিজ্ঞতার পড়ে, ওরা হাঁটা রাস্তাতেই যাওয়াটাকে ভালো মনে করলো। গাইডের সাথে পরিচয় হলো একটু পড়ে, তরুণ গাইড, নাম জাহিদ| বেশ হাসি-খুশি| জানিয়ে দিলো কালকে সকাল সকাল বের হতে হবে, রাস্তায় খাবার কিছু ব্যাবস্থা নেই, তাই খাবার আর প্রয়োজনীয় জিনিস এখানকার বাজার থেকেই কিনে নিতে হবে। কালকে খুব ভোরে ওদের হোটেল থেকে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিয়ে জাহিদ চলে গেলো|
বাকি সময়টা এদিক ওদিক ঘুরে কাটালো চারজনে| রাত নামতেই প্রায় অন্ধকার হয়ে গেলো চারিদিক, যেসব দোকানে আর ঘরে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যাবস্থা আছে ওখানেও টিমটিম করে ধরছে কম পাওয়ারের বাল্ব। আর বাকি সব জায়গাতেই দেখা গেলো কুপি ভরসা| শুভ্র কালকের প্ল্যান গুছিয়ে বললো| তবে সেখান থেকে অন্য আদিবাসী গ্রামে যাবার কথাটা এড়িয়ে গেলো, আর রাদ কেও বললো কথাটা কাওকে না বলতে| বেশি রাত করতে চাইলোনা, তাই আগে ভাগেই রাতের খাবার খেয়ে নিলো একটা দোকান থেকে, কিনে নিলো কিছু দরকারী জিনিস| অন্ধকারে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে কয়েকবার বিড়বিড় করলো জামিল, অঙ্কুর পুরো সময়টাতেই বেশ চুপচাপ কাটালো, বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো ধকল যাচ্ছে বেচারার উপর দিয়ে| হোটেলে ফিরেই শুতে গেলো ওরা, কথা বলার মতো শক্তি কারোই অবশিষ্ট নেই| কোনমতে নিজেদের ব্যাবস্থা করে শুতে হলো, অন্ধকার ঘরে শুয়ে শুয়ে বেশ অনেকক্ষণ চিন্তা করলো রাদ কালকে বগা-লেক পৌঁছানোর পড়ে শুভ্রর বাকি প্ল্যান শুনে কি করবে বাকি দুজন সেটা নিয়ে| ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেলো টের পেলোনা। সামনে অপেক্ষা করছে অনিঃশ্চিত কয়েকটা দিন|
[ক্রমশ:]
মন্তব্য
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলতে থাকুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ইমোগুলো বেশ দারুন !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এটা কি গল্প না ভ্রমণপকাহিনী?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভ্রমণের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে পটভূমি নিয়ে গল্প তৈরির অপচেষ্টা। গল্প একদমই বাজে লিখি আমি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধুর মিয়া, মজা নিয়েন না, চলুক
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দোয়া করলেন যখন, তখন তো চালাইতেই হয়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক
ধন্যবাদ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"দেখা তো কিছু যাইতাছেনা, কিন্তু আন্দাজ কইরা চালাইতাছি আরকি।"
...........................
Every Picture Tells a Story
গল্পেও কি কিছু দেখা যাচ্ছেনা
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
অনেক ধন্যবাদ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাল লাগল ।
চালিয়ে যান ।
ধন্যবাদ দাদা, সাহস পেলাম
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন