ঠিক কিসের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে একজন অতি সাধারণ মানুষ নিজের ক্ষুদ্র জীবনের গন্ডি পেরিয়ে নিজেকে অসামান্য উচ্চতায় তুলে ধরে? ঠিক কিসের নেশায় নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সম্ভব? কিংবা ঠিক কিসের তাগিদে একজন মানুষ প্রতিবাদের ইস্পাত কঠিন বর্ম তুলে ধরে আগলে ধরে নির্যাতিতকে? এইরকম অজস্র প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়তো সম্ভব নয়। সভ্যতার ইতিহাস এরকম অসংখ্য মানুষের উদাহরণে ভারী, যারা পারিপ্বার্শিকতার কথা চিন্তা না করে, কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে গেছেন নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে| তাদের কঠিন সংকল্পে পরাস্ত হয়েছে আগ্রাসী শক্তি। বাধ্য হয়েছে পিছু হটতে। সভ্যতার ইতিহাস তাই এই বীরদের কথা বলে।
তিয়ানানমেন স্কয়ার, ১৯৮৯।
চীনের বেইজিং শহরে ১৫ এপ্রিল, ১৯৮৯-৫ জুন, ১৯৮৯ পর্যন্ত সময়ে ঘটে যাওয়া প্রতিবাদ কর্মসূচি, আধুনিক বিশ্বে সাধারণ জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের একটি জ্বলন্ত উধাহরণ| অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা, শাসকগোষ্ঠির নির্যাতন-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাগ্রত জনতার তীব্র প্রতিবাদে চমকে উঠেছিলো চীনের আধুনিক সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা| চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন এর প্রচেষ্টায় সত্তর দশকের শেষের দিকে, নেতা ড্যাং জিয়াওপিং মাওবাদী কম্যুনিজম থেকে জাতিকে "সোশ্যাল মার্কেট ইকোনমি"-তে রূপান্তর করেন|আশির দশকের শেষের দিকে, বর্ধমান অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা, বেকারত্ব, অবকাঠামোগত সমস্যা এবং শাসকগোষ্ঠির উচ্চশ্রেনীর দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ| ১৯৮৯ সালের এপ্রিল মাসে এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হু য়াওবাং এর মৃত্যুতে| সাধারণ ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমা হয় তিয়ানানমেন স্কয়ারের মধ্যে| মে মাসের ১৩ তারিখের মাঝে আন্দোলন এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, সেখানে ৫ লক্ষাধিক লোক জমায়েত হয়| সাধারণ ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই আন্দোলন খুব শীঘ্রই জনমতের ভিত্তিতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি থেকে, রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিনত হয়| শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান প্রতিবাদকে দমিয়ে দিতে রাজনৈতিক মহলে তোড়জোড় শুরু হয়| কর্তৃপক্ষ ২০ মে, সামরিক আইন জারি করলেও ৪ জুন পর্যন্ত সেরকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি| কিন্তু এরপরেই শুরু হয় নির্লজ্জভাবে সামরিক দমন পীড়ন। তিয়ানানমেন স্কয়ারের আশেপাশের রাস্তাগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়া প্রতিবাদকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করতে করতে প্রধান স্কয়ারের দিকে এগোতে থাকে সামরিকযান এবং ভারী ট্যাঙ্ক। নিহত এবং গুরুতর আহত হয় অসংখ্য সাধারণ মানুষ|
৫ জুন, ১৯৮৯।
৪ জুন এর রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে, এদিন প্রতিবাদকারীদের সম্পূর্ণ স্তব্ধ করতে প্রধান স্কয়ারের দিকে এগোতে থাকে প্রায় ২৫টি ট্যাঙ্ক। সবার আতঙ্কিত দৃষ্টির সামনে, পূর্ব-পশ্চিম কোণের রাস্তা দিয়ে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে থাকা সাজোয়া গাড়িগুলোর সামনে হঠাৎ দৌড়ে গিয়ে দাড়িয়ে পড়েন একজন সাধারণ মানুষ| সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়া মানুষটির দুই হাতে বাজারের ব্যাগ। নির্দ্বিধায়-নিঃসংকোচে, দৃঢ় সংকল্পে একা দাড়িয়ে থাকেন তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকা ট্যাঙ্কগুলোর সামনে| ঠিক তার সামনে এসে থামতে বাধ্য হয় সারির প্রথম ট্যাঙ্কটি| সেই মানুষটি নির্ভয়ে হাত নেড়ে ট্যাঙ্কগুলোকে চলে যেতে বলতে থাকেন| সামনের ট্যাঙ্কচালক বেশ কয়েকবার ডানে-বামে সরিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রতিবারই এই মানুষটি সামনে গিয়ে রাস্তা আটকে দাড়িয়ে যান| একসময় তার শরীরের প্রায় ইঞ্চিদুয়েক দুরে এসে থামে প্রথম ট্যাঙ্কটি| সেই মানুষটির এই অসীম সাহসে যেনো রীতিমত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে সময়|
[গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে বামদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সাদা শার্ট পরিহিত মানুষটি অগ্রসরমান ট্যাঙ্কের রাস্তায় দাড়িয়ে গেছেন| (আলোকচিত্রী- টেরিল জোনস, এসোসিয়েটেড প্রেস।)]
এরপরে হঠাৎ লাফ দিয়ে ট্যাঙ্কের উপরে উঠে দাড়ান তিনি| ঢাকনার উপর থেকে চালককে ফেরত যাওয়ার জন্য বলতে থাকেন| তর্কের কিছু সময় পরে নিচে নেমে এসে আবার দাড়িয়ে যান সামনে| বারবার চেষ্টা করেও তাকে সরাতে ব্যার্থ হয় ট্যাঙ্কের চালক| এসময় দুজন মানুষ এসে সরিয়ে নিয়ে যায় এই অসীম সাহসী প্রতিবাদী মানুষটিকে| ট্যাঙ্কের সারি এগিয়ে যাওয়া শুরু করে|
[ট্যাঙ্কের সামনে দাড়িয়ে আছেন সেই প্রতিবাদী মানুষটি। (আলোকচিত্রী- জেফ ওয়াইডেনার, এসোসিয়েটেড প্রেস।)]
কে এই মানুষটি? যিনি নিজের সাধারণ জীবনের আকর্ষনকে তুচ্ছ করে অগ্রসরমান ভারী ট্যাঙ্কের সামনে এভাবে নির্ভয়ে দাড়িয়ে যেতে পারলেন। বাজারের ব্যাগ হাতে এই মানুষটির কোনো সঠিক পরিচয় আজ অবধি পাওয়া যায়নি| নাম না জানা এই মানুষটিকে টাইম ম্যাগাজিন "আননোন রেবেল" হিসেবে আখ্যা দিয়ে "শতাব্দীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে|
[পুরো ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও।]
আজও সারা পৃথিবীতে ট্যাঙ্কের সামনে নির্ভয়ে দাড়িয়ে থাকা এই মানুষটির ছবি প্রতিবাদের প্রতীক এবং আদর্শ| সেই সময়টিতে ৪ জন আলোকচিত্রী এই ঘটনাটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন| যাদের মাঝে জেফ ওয়াইডেনার এর ছবি সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে|
সামরিক শাসকের রোষানলে পরে এই প্রতিবাদের সাথে সম্পৃক্ত অনেককে গ্রেফতার করা হয়| এই প্রতিবাদের সব ধরনের ছবি ও ভিডিও নিষিদ্ধ করা হয়| চরম সামরিক নির্যাতন চলে এই প্রতিবাদী মানুষগুলোর উপরে| একই সাথে হারিয়ে যায় "ট্যাঙ্ক ম্যান" হিসেবে পরিচয় পাওয়া এই নাম না জানা মানুষটির কথাও। পরে সাধারণ ছাত্রদের মাধ্যমে মানুষের হাতে আসে এই মানুষটির অসীম সাহসিকতার প্রমানস্বরূপ ছবিগুলো| অধিকাংশ মানুষ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি এই ছবিটির সত্যতা| পরবর্তিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে থেকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে বিশ্বে| আর মুহুর্তেই প্রতিবাদী মানুষের প্রতীক হয়ে দাড়ায় এই ছবি| কিন্তু এই ঘটনার পরে আর কোনদিন এই মানুষটির কোনো দেখা পাওয়া যায়নি, এমনকি পাওয়া যায়নি কোনো পরিচয়| জানা যায়নি কি ঘটেছিল তার ভাগ্যে|
এই ঘটনার পরে, চীনের সরকার সংবাদ মাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে| আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয় এবং যেকোনো ধরনের সংবাদের উপরে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়| বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয় এবং এই প্রতিবাদকে ধামা চাপা দেয়া হয়| নিহত মানুষের সংখ্যা কখনো জানা যায়নি, ধারণা করা হয় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল ৪ জুন এর ওই সংঘর্ষে|
ঠিক কি কারণে সেই মানুষটি হঠাৎ একা এগিয়ে গিয়েছিলেন সেদিন? কিসের তাগিদে? সামনে নিঃশ্চিত মৃত্যু জেনেও এভাবে মাথা উঁচু করে কিভাবে দাড়িয়ে থাকা সম্ভব? জানিনা| আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো তিনি পারতেন বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে| চুপচাপ সরে যেতে, কিংবা লুকিয়ে পড়তে| তিনি হয়তোবা পাশের ফুটপাত থেকে চিত্কার করতে পারতেন, ঢিল ছুড়তে পারতেন, বেছে নিতে পারতেন আরও কোনো সাধারণ উপায়| কিন্তু তা না করে, এই চরম দুঃসাহসী মানুষটি নিজের সাধারণত্ব এর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, নিজের জন্য নয়, তাদের জন্য যাদের তাকে দরকার ছিলো| নিজের জীবন বিপন্ন করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন সমগ্র বিশ্বকে, প্রতিবাদ কাকে বলে, বিপ্লব কাকে বলে|
আসন্ন ৫ই জুন, ২০১২ তে তিয়ানানমেন স্কয়ার এর এই ঘটনার ২৩ বছরপূর্তি হবে। সেই আন্দোলন, শহীদ ছাত্র-জনতা এবং এই অতি সাধারণ মানুষটি, বছরের পর বছর ধরে পৃথিবীর অগুনিত সংগ্রামী মানুষকে নিজের শক্তির প্রতি আস্থা জাগিয়ে চলেছেন| অসংখ্য প্রতিবাদী-বিপ্লবীর প্রতিটি নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা এই পরিচয়হীন মানুষটির জন্য স্যালুট|
[ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।]
মন্তব্য
প্রথম ছবিটি টেরিল জোনসের, দ্বিতীয়টি জেফ ওয়াইডেনারের তোলা। দুটি ছবিই এপি-র। ছবির নিচে ফোটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ করে দিতে পারেন।
ধন্যবাদ| নামগুলো উল্লেখ করে দিলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ, কি আজিব, আমি গতকালই ভাবছিল আলোকচিত্রে বিশ্ব ইতিহাস এমন একটা সিরিজ করে এই ছবি নিয়ে লেখব! দারুণ হল, সেই ব্যক্তিকে নিয়ে একটা ডকু বানানো হয়েছে সম্প্রতি।
facebook
অনুদা, আর বলোনা, অনেকদিন ধরেই এই লেখাটা লিখবো ভাবছি| বলতে পারো প্রায় মাস চারেক আগে থেকে, কিন্তু কোননা কোনভাবে হয়ে উঠছিলোনা| আজকে ছবিগুলো দেখলাম নেটে, আবার চোখে পড়লো তারিখটার দিকে, সামনেই ৫ই জুন আসছে, ভাবলাম আজকে না লিখলে আর হবেনা| লিখে ফেললাম তাই|
ডকু এর নামটা (নয়তো লিঙ্ক) দিওতো, ডাউনলোড করে নিবো|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হাহাহা আমার এই সিরিজের পরবর্তী পর্ব কোন একটায় অবশ্যই ট্যাঙ্ক ম্যান আসত, আপনি আরো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন
ধন্যবাদ সাফি ভাই।
আপনিও লিখুন, এরকম অজস্র শক্তিশালী মুহুর্তের ছবি রয়েছে, জানার ইচ্ছে তো আছেই|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। যুদ্ধ শেষ হয়না।
ডাকঘর | ছবিঘর
সহমত|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
স্যালুট
কড়িকাঠুরে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
২৩ বছর হয়ে গেছে!
অথচ মনে হয় এই সেদিন...
কী সময় ছিলো... এদিকে চলছে ব্যাপক গণআন্দোলন... প্রতিদিন মিছিল মিটিং... সাংস্কৃতিক আন্দোলন...
কী উত্তাল সেই সময়টা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুমম, ২৩টা বছর চলে গেছে|
১৯৮৯ এ ছিলাম শিশু !!! কিছুই অনুভব করিনি তখন, কিন্তু গল্প শুনলে এখন মনে হয় কি সব দিন ছিলো !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় অথবা থাকেনা কিছুই হারানোর তখন হয়তো মানুষ নাম না জানা ঐ মানুষটির মতো আচরণ করে। জানিনা সেই লোকটির ভাগ্যে কি হয়েছিলো তবে তার এই বাঁধভাঙ্গা সাহস যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক মূর্ত প্রতিক হতে পেরেছে সেটাই মনে হয় এক পরম প্রাপ্তি।
আবারও স্যালুট ঐ পোড়খাওয়া মানুষটিকে।
লেখাটি ভালো লাগলো অরফিয়াস।
ধন্যবাদ আপনাকে|
আসলে সাধারণ মানুষের হাতেই সত্যিকারের বীরত্বগাঁথা রচিত হয়|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আর এই চীনের প্রতি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিষ্ঠ বাবুদের কত্তো ভালোবাসা!
পশ্চিমবঙ্গ এর কমিউনিস্ট পার্টি তো আরেক আজব !! এরা নিজের দেশের খেয়ে চীনের গুনগান করে, দেশের সরকার চীনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিলে চীনের আগে এরাই হাউকাউ শুরু করে দেয়|
আসলে গণমানুষের জন্য সাম্য কখনো সেভাবে অর্জিত হয়নি, শাসকগোষ্ঠির পরিবর্তন হয়েছে মাত্র| সিংহাসনে চেহারা তো বদলেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনের চেহারা বদলায়নি কখনই| পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এরই প্রমান|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এরকম গুটিকয়েক মানুষই নতুন করে বাঁচতে ও ভাবতে শেখায়।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সৌরভ কবীর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তখনতো শিশু আমি। যকবে প্রথম এই ছবিটা দেখি মনে নাই। কিন্তু এর পর থেকে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের কথা আসলেই আমার এই ছবিটা মনে পড়ে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুমম আমিও কোলের শিশু তখন। তবে ছবিটি দেখেছিলাম অনেক আগেই, এতোটা জানা ছিলোনা তখন। পরে যখন জানতে পারলাম, তখন মনে হতো, একজন মানুষ একাই হয়তো বদলে দিতে পারে অনেক কিছু।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি তখনো শিশু হতে পারিনি-
প্রথম ছবিটার কথা আমারও মনে নেই- তবে পরেরটি কেম্নে ভুলি...
কড়িকাঠুরে
হুমমমম
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবা, সময়োপযোগী আপনার পোস্টটি দারুণ লাগলো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাক্রুদ্ধ হয়ে গেলাম।
সেই মহান মানুষটিকে স্যালুট।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন