আজকাল পত্রিকা খুললেই যে খবরগুলো সব থেকে বেশি চোখে পড়ে তা হচ্ছে বিভিন্ন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে দেশের বিভিন্ন সড়কগুলোতে। গত সোমবার এভাবেই ঢাকার ফার্মগেটে মিনিবাসের ধাক্কায়, চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় নটরডেম কলেজের বানিজ্য বিভাগের, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, জেসন জেভিয়ার গোমেজ (১৭)। পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে পাশেই থাকা পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত পুলিশদের কোনো ভূমিকাই ছিলোনা। শুধু তাই নয়, বাসের চালককে গ্রেফতার করতেও কোনো তত্পরতা দেখায়নি তারা। বরং পথচারীরা চালককে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আবার দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার খবর থেকে জানতে পারলাম, মঙ্গলবার ঢাকার অদূরবর্তী নারায়ানগঞ্জ এ দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজি পুরো দুমড়েমুচড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা যায় ৫ জন। এরকম অসংখ্য সংবাদ প্রতিদিন আমাদের দেশের দৈনিক খবরের কাগজগুলোতে ছাপা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে কোনো পদক্ষেপই কার্যকরী কোনো ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়নি। বিশেষ করে অশিক্ষিত বেপরোয়া গাড়ি চালকদের দৌরাত্ম্যে প্রতিদিনই রাস্তায় চলাচল করা সাধারণ পথচারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পাঁচ বছর পরে দেশে এসে প্রথম যেই জিনিসটি লক্ষ্য করলাম আর তা হলো এই বেপরোয়া গতির গাড়িগুলো অত্যন্ত বিপদজ্জনক ভাবে রাস্তায় চলাচল করছে। শুধু তাই নয়, আগের থেকে আরও বেশি বেপরোয়া এদের আচরণ। বিশেষ করে পুরনো ঢাকায় একধরনের লোকাল প্যাসেঞ্জার গাড়ি চলে যেগুলো ফোর হুইলার হলেও কোন শ্রেণীতে ফেলা যায় আমি জানিনা। এই না-জীপ না-ট্যাম্পু ধরনের গাড়িগুলোর অবস্থা দেখলেই বোঝা সম্ভব এদের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। কিন্তু তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব গাড়িগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করছে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে আরামসে আইন ভঙ্গ করে চলেছে এই গাড়িগুলো।
বিশেষ করে রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামানো এবং উঠানো হতে শুরু করে, বেপরোয়াভাবে সংকীর্ণ রাস্তায় ক্ষিপ্র গতিতে গাড়ি চালানো, রাস্তায় চলাচলরত পথচারীদের প্রায় শরীরের উপরে চাকা উঠিয়ে দেয়া ইত্যাদি নানাধরনের কার্যক্রম থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এইসব যাত্রীবাহী গাড়িগুলোর কোনো চালকই অন্তত আইনগতভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়। এমনকি হয়তো এদের কেউই শিক্ষিত লাইসেন্সধারী চালক নয়। এছাড়াও ব্যস্ত রুটগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য বাস এবং মিনিবাস চলাচল করে যাদের অধিকাংশ চালকই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখেনা। আর ট্রাক চালকদের কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। সাধারণ সড়ক কিংবা হাইওয়ে সব জায়গাতেই অসংখ্য দুর্ঘটনার কারণ এই ট্রাক চালকরা অধিকাংশ সময়ই প্রচন্ড বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে নানা ধরনের আইন অমান্য করে অসংখ্য মানুষের জীবনহানির কারণ। হাইওয়ের অধিকাংশ চালককেই রাতের বেলা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাতে দেখা যায়। এসব ব্যাপারে সরকারিভাবে নেই কোনো বিশদ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা। তাই দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।
সরকারী হিসেব মতে দেশে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন যন্ত্রচালিত গাড়ি চলাচল করে এর সাথে আছে আনুমানিক ৩ মিলিয়নের মত সাধারণ রিকশা,ভ্যান,সাইকেল ইত্যাদি। যন্ত্রচালিত গাড়ির মাঝে প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ হচ্ছে দুই বা তিন চাকার। দেশে বিভিন্ন সড়কের উন্নয়নের সাথে সাথে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা একই সাথে বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনার ফলে। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার রেজিস্টার্ড যানবাহনের বিপরীতে সড়ক দুর্ঘনায় মৃতের সংখ্যা ৮৫ জন। যা পার্শ্ববর্তী যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এদের মাঝে শতকরা ৫০ ভাগ হচ্ছেন পথচারী। দেশের সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর প্রায় শতকরা ৭৭ ভাগ মারাত্মক প্রকৃতির। যাতে আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকিই বেশি।
দেশের প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটে গ্রামাঞ্চলে। এছাড়াও প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ দুর্ঘটনাই ঘটছে হাইওয়েগুলোতে। বিশেষ করে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে। দুর্ঘটনাগুলোর পরিসংখ্যান যাচাই করলে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায় যে, শতকরা ৩৮ ভাগ ঘটনা ন্যাশনাল হাইওয়েগুলোতে, শতকরা ১২ ভাগ আঞ্চলিক রাস্তাগুলোতে, শতকরা ১৫ ভাগ সাধারণ রাস্তাগুলোতে এবং শতকরা ৩৫ ভাগ আরও বিভিন্ন রাস্তায় যার মাঝে শহরের রাস্তাগুলোও রয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যম হতে পাওয়া তথ্যগুলো একসাথে করার চেষ্টা করি। ২০১০ সাল পর্যন্ত রেজিস্টার্ড যানবাহনের সংখ্যার হিসেব-
প্রতিবছর যেভাবে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-নিহত মানুষের সংখ্যাও। ১৯৯৫-২০১০ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রাপ্ত তথ্যগুলো-
একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় যে, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত আহত-নিহত ব্যক্তির মোট সংখ্যাটি কখনোই ৪,০০০ এর নিচে নামেনি। এই সংখ্যাগুলোকে যদি একটি চার্টের মাধ্যমে প্রকাশ করি তাহলে দেখা যাবে, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাটি সম্পর্কযুক্ত।
দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি বছরই আশংকাজনক মাত্রায় ঘটে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরেও সরকারী উদ্যোগে যানবাহন ও তার চালক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কঠোর ব্যবস্থা বেয়া হচ্ছেনা। এছাড়াও অশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণবিহীন এসব চালকদের মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রনের ফলে রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুন। অনেকসময় দেখা যাচ্ছে গাড়ির হেলপার কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালিয়ে নিচ্ছে। এতে করে যেভাবে যাত্রীদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে একইসাথে বেড়েছে পথচারীদের ঝুঁকি।
২০১১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যকে যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় শতকরা ৬০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এই চারমাসে সংঘটিত ৮৬৩টি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮৬ জন মানুষ।
এসবই সরকারীভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা কিছু চার্ট। তবে পুলিশের খাতায় রেজিস্টার করা দুর্ঘটনা ছাড়াও প্রতিবছর অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। যাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও অনেক। তাহলে বাস্তব প্রেক্ষাপটে এই হিসেবগুলোর বাইরে সত্যিকার অর্থে দুর্ঘটনা এবং আহত-নিহত ব্যক্তির সংখ্যাও আরও অনেকটাই বেশি।
দক্ষিন-এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের হার সব থেকে বেশি। প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে যদি একটি গ্রাফের মাধ্যমে প্রকাশ করি তাহলে দেখা যায়-
দেখা যাচ্ছে, ১ লক্ষ গাড়ির বিপরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬,৩০০। এর পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে একমাত্র পাকিস্তান যাদের সংখ্যা ২,৩০০। নেপাল ছাড়া বাকি দেশগুলোর কারোই এই সংখ্যাটি হাজারের উপরে নয়। এই আশংকাজনক মাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটে চলার পরেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও প্রশিক্ষণবিহীন চালকের সংখ্যা। একইসাথে সাধারণ জনগণও উপেক্ষা করে চলেছে ট্রাফিক আইন।
১৯৯৫-২০১০ সাল পর্যন্ত রেজিস্টার্ড গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি-
১৯৯৫-২০১০ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা-
দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হওয়া কিছু পুরনো যানবাহনের ছবি দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর হয়ে উঠে এইধরনের গাড়ি রাস্তায় চলে কি করে। কিন্তু বাস্তবে রাস্তায় বের হলেই এদের দেখা মেলে হাজারে হাজারে।
বিশেষ করে সিএনজি গ্যাস চালিত অটোরিক্সাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু তারপরেও এদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছেনা।
পরিবারে সদস্যরা রাস্তায় বের হলেই এখন প্রধান চিন্তার বিষয় তারা ঠিক ভাবে ঘরে ফিরবে কিনা? প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি এখন চরম মাত্রা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের এই নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। এমনকি সাধারণ জনগণ এর মাঝেও এই বিষয়ে সচেতনতা খুবই কম।
দেশের রাস্তাগুলোতে রোড-সাইন একটি দুর্লভ বিষয়। অধিকাংশ হাইওয়ের অবস্থাও তাই। পর্যাপ্ত সাইন এর অভাব এবং একই সাথে অশিক্ষিত প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের রোড সাইন সম্পর্কে অজ্ঞতা দুর্ঘটনার আরও একটি কারণ।
এই রোড-সাইনগুলোর অধিকাংশই দেশের কোনো রাস্তায় খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এমনকি চালক কিংবা সাধারণ পথচারী অনেকেই এই সাইনগুলোর সাথে পরিচিত নন।
দেশে বেপরোয়া গতির যানবাহনের গতিরোধ করার জন্য যে অদ্ভুত আকৃতির কিছু গতিরোধক নির্মান করা হয়েছে তাও অনেকক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। এই ধরনের অসংখ্য গতিরোধক দেশের রাস্তাগুলোর যত্রতত্র নির্মান করা হয়েছে এবং অধিকাংশের আগে কোনো ধরনের সতর্কতা নির্দেশনা নেই। তাই বিশেষ করে রাতের বেলা চলাচলকারী যানবাহনের জন্য এটি অন্যতম দুঃশ্চিন্তার কারণ। ট্রাফিক সিগন্যাল এর সাথে সাথে দেশে নিয়োজিত আছে ট্রাফিক পুলিশ কিন্তু অধিকাংশ যানবাহনের চালকই এই সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। এরকম অসংখ্য দুর্ঘটনা খোদ ঢাকা শহরেই ঘটেছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালাতে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক বাস চালকই বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে নিয়মিত গাড়ি চালাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, এই ধরনের চালকদের থামানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে গিয়ে দুই হাত ছড়িয়ে সংকেত দিয়ে গাড়ি থামাতে হচ্ছে। এই যদি হয় একটি সভ্য দেশের রাস্তার চিত্র তাহলে কি করে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে?
বাংলাদেশের বিভিন্ন সড়কের অবস্থাও সঙ্গিন। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তায় চলাচল করা একধরনের অভিযানের মতো। তার উপরে সারা বছর ধরে রাস্তা আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে চলে নানা ধরনের সরকারী-বেসরকারী নির্মান কাজ। একেই দেশের রাস্তাগুলো যানবাহনের মোট সংখ্যার তুলনায় নগন্য তার উপরে এভাবে রাস্তা বন্ধ করার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভোগান্তি ও নানা ধরনের ছোটখাটো দুর্ঘটনার সংখ্যা। এছাড়াও দেশের অধিকাংশ রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা নেই। তাই অন্ধকারেই দৌড়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শহরের আবাসিক এলাকার ভেতরের অনেক রাস্তাই সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে। রাস্তাগুলো নির্মাণগত দিক থেকেও ত্রুটিপূর্ণ অনেকাংশেই। কিন্তু তারপরেও সরকারীভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। অধিকাংশ রাস্তাতে পথচারীদের চলাচলের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থাই নেই! রোড ডিভাইডার হতে শুরু করে প্রয়োজনীয় জেব্রা ক্রসিং পর্যন্ত নেই আমাদের দেশের রাস্তাগুলোতে। এমনকি যেসব রাস্তায় জেব্রাক্রসিং আছে সেখানেও মানুষ এর কোনো ব্যবহার জানেনা কিংবা জানলেও ব্যবহার করছেনা। অধিকাংশ চালক জেব্রাক্রসিং দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের দেখে গাড়ি ধীরগতির না করে বরং তীব্র গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছে।
দেশের শহরগুলোতে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য যেসব ফুটওভারব্রিজ রয়েছে তাতে বিভিন্ন হকার নিয়ে বসছে তাদের পসরা। এতে করে জায়গা সংকীর্ণ হচ্ছে একই সাথে পথচারীদের ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারেও নানা অনীহা কাজ করছে। অধিকাংশ মানুষ রাস্তা দৌড়ে পারাপার হওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করেন। এছাড়াও যেসব সাবওয়ে বানানো হয়েছিল সেগুলো অধিকাংশই এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী অসংখ্য ঘটনা ঘটার ফলে মানুষ এগুলোও ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত চলাচল করছে মানুষ। প্রধান সড়কগুলোতে এরকম অজস্র যানবাহনের মাঝখান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত পারাপার হয় সাধারণ মানুষ।
অনেকসময়ই রেলক্রসিংগুলোতে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাচ্ছে মানুষ। দেশের অধিকাংশ রেলক্রসিংয়ে নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা, নেই কোনো সঠিক আগাম সংকেতের ব্যবস্থাও। অনেকক্ষেত্রে রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিগুলোর অসচেতন বাসিন্দারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেলক্রসিংগুলোতে উন্নত সুরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োগে এই দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
এছাড়াও দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে দ্রুত চিকিৎসা সাহায্য পৌঁছানো, এম্বুলেন্স, ইমার্জেন্সি সার্ভিস এবং ফার্স্ট-এইড টিম সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো দেশে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। হাইওয়েগুলোতে পুলিশের পেট্রোল কারের সংখ্যাও নগন্য। নেই কোনো মেডিকেল হেলিকপ্টার এর ব্যবস্থা। তাই দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষদের হাসপাতালে স্থানান্তরে জন্য অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে এবং তাতে মৃত্যু সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলোতে সরকারের আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন।
গাড়ির সিটবেল্ট এবং হেলমেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনীহা, ঝুঁকিপূর্ণ গতিতে গাড়ি ওভারটেক করা, ওভারলোডিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ইত্যাদি নানা কারণে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটিতে রাস্তার তুলনায় যেরকম বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের সংখ্যা একই সাথে বাড়ছে সড়কে মানুষের জীবনের ঝুঁকি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিভিন্ন গাড়ি ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে সাধারণ জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তারা ভুলে যাচ্ছে এটা কোনো পন্থা নয়। বরং নিজের দেশের সম্পত্তিই বিনষ্ট করা হচ্ছে কিন্তু সঠিক পদক্ষেপ কিংবা সচেতনতা কিছুই হচ্ছেনা। এভাবে চলতে থাকলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকার এবং জনগণ উভয় ক্ষেত্রেই সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন। প্রয়োজন ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান। দেশে উন্নত ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থা, উন্নত সড়ক তৈরী, কঠোরভাবে ফিটনেসবিহীন যানবাহন প্রতিরোধ এবং প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের অপসারণ সহ অজস্র জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন সড়কে যানবাহন চলাচল এবং দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলোতে আইনের সঠিক প্রয়োগ। নাহলে একদিন এভাবেই আবার হারিয়ে যাবে কোনো প্রিয়জন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে।
[তথ্য:
বাংলাদেশ যোগাযোগ মন্ত্রনালয়
পুলিশ হেডকোয়ার্টার (এফআইআর রিপোর্ট)
বিভিন্ন সংবাদপত্র
বিআরটিএ
সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত উইকিপিডিয়া রিপোর্ট
ইন্টারনেট]
মন্তব্য
গাড়িগুলোর চালক নাহয় অদক্ষ বা অসচেতন, গাড়ির মালিকও কি তা-ই? যে লোক নিজের গাড়ি কোনো অদক্ষ চালকের হাতে তুলে দিচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটলে তাকেও চালকের সমান অপরাধী করার বিধান করা হোক।
হ্যাঁ, মালিক পক্ষের বিষয়টি লেখায় উঠে আসেনি। উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একটা ব্যাপার দেখে বেশ অবাক হই, অনেকে দামী একটা গাড়ি কিনছে ১৫-২০-৩০-৪০ লাখ টাকা দিয়ে অথচ ড্রাইভার রাখার সময় মাত্র ২,০০০ টাকা বেতন বাঁচানোর জন্যে অদক্ষ লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ দিচ্ছে! এরা নিয়ম-কানুন জানেনা, জানলেও মানেনা। সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো তো অনেক দুরের কথা। মালিকদের মাথায় আসেনা যে সে নিজেই এই অদক্ষ চালকের দ্বারা কতোটা ভালনারেবল হতে পারে!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মানুষ পয়সা বাঁচানোর জন্য অনেক কিছু করে যা অনর্থক কিংবা বুমেরাং হয়ে যায়। যে ব্যক্তি চোখ থাকতেও অন্ধ তাদের জন্য আর কি বলার থাকে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুবই পরিশ্রমী এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
আপনাকে ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন এবং সাবধানে থাকুন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তথ্যবহুল লেখা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ অরফিয়াস
'হতাশাবাদি আমি' বলছে কিছুতেই কিছু হবে না - দেশটা এখন নস্টদের অধিকারে
কিন্তু 'আশাবাদি আমি' আবারো গা ঝাড়া দিয়ে জেগে উঠে আপনাদের এইসব জন গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস দেখে
ধন্যবাদ আপনাকেও সময় করে লেখাটি পড়ে দেখার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সর্বশেষ রেখচিত্রটাই প্রমান করে যে এছলাম ও নাসারাদের বানানো গাড়ীঘোড়া কম্পাটিবল না। যতদিন না মরনশীলদের জন্য উঁট ও পয়গম্বরদের জন্য বোরাক নিশ্চিত করা যাচ্ছে, ততদিন এই আযাব-গজব বাড়তেই থাকবে, বেশাক।
মনে হয় কিছুদিন পরে যানবাহনের পরিবর্তে উট/ঘোড়া/হাতি এসবই ব্যবহার করতে হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুবই পরিশ্রমী আর গোছানো লেখা অরফিয়াস। অনেক ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ আপনাকেও ত্রিমাত্রিক কবি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুব অসহায় লাগে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আসলেই সড়ক আর যানবাহনের অবস্থা খুবই খারাপ, দেশের উন্নতির সাথে সাথে অন্তত এইদিকটা উন্নত হবে এটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু বিপুল সংখ্যক জনগনের তুলনায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন কম আবার রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির তুলনায় রাস্তা কম। সব মিলিয়েই খারাপ অবস্থা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনেক তথ্যবহুল লেখা তাতে কোন সন্দেহ নেই। আসলে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । গাড়ি চালকদের পাশাপাশি আমরা যারা পথচারী তারাও কিন্তু সচেতন নই। ফুটওভার ব্রিজ থাক্লেও আমরা তা ব্যবহার করতে অনীহা প্রকাশ করি। সর্ট কাট মারতে যেয়ে বিভিন্ন সময় আমরা দুর্ঘটনায় পতিত হই।
হকারদের পাশাপাশি ফুটপাত এখন অনেকটা বাইক চালকদের দখলে। তারা সিগন্যাল পড়লেই আবার সর্ট কাট করে বাইক তুলে দেন ফুটপাতে । এই দৃশ্য এখন বেশ কমন মনে হয়। ফলে সাধারণ পথচারীরা অনেক সময় দুর্ঘটনায় কবলে পড়েন ।
আর আপনার দেখানো গাড়ির ছবিগুলো দেখে সত্যি খুব মায়া লাগলো দেশের জন্যে। ফিটনেস সার্টিফিকেট আর রোড পারমিট ছাড়া এখানে যেভাবে গাড়ি চলে প্রশাসনে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সম্মুখ দিয়ে তা মনে হয় আর কোন দেশে নেই।
কঠোর আইন করে তার যথার্থ প্রয়োগ যতদিন না হবে এরকম তাজা প্রাণ আমাদের মাঝ থেকে এভাবেই হারিয়ে যেতে থাকবে। আর এসব ঘটনার পর কয়দিন খুব চেচামেচি করবে মিডিয়া গুলি তার কিছুদিন পর আবার সবাই ভুলে যাবে। এভাবেই আর কিছু হয়না কারো শুধু হারিয়ে যায় ওই প্রাণ ।
আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। আর কিছু আইন পরিবর্তন প্রয়োজন। একবার সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত আইন নিয়ে কিছু কাজ করেছিলাম তাতে যা ধারণা হলো দুর্ঘটনায় চালকের শাস্তি খুবই কম এবং এর প্রয়োগেও নানা অসুবিধে আছে। আর মালিকের কোনো দায়-দায়িত্বও নেই। এসবেরই পরিবর্তন প্রয়োজন। সাথে সাথে সাধারণ জনগনেরও সচেতনতা বৃদ্ধি আবশ্যক।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারণ চালক এবং জনগন উভয়েরই সচেতনতার অভাব। বাংলাদেশের সবখানেরই শৃঙ্খলার বড় অভাব।
বাংলাদেশ আসলেই বিশৃঙ্খল একটা দেশ। এর প্রধান কারণ ব্যক্তি সচেতনতার অভাব।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুবই তথ্যবহুল একটা লেখা। ভালো লাগলো।
Divider, speed reducer can cut 30pc crash
সৌরভ কবীর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্রথমে জানাই সচলাভিনন্দন।
বিশেষ তথ্যবহুল একটা লেখা। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে জনসচেতনতা বিশেষ জরুরি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টরে সচেতনতার স্থান নেই। এখানে জোর যার মুল্লুক তার অবস্থা বিরাজমান। এই সেক্টরকে যারা প্রতিনিয়ত কলুষিত এবং বিপদজনক করে চলেছে, তাদের পিছনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। এই কারণেই বাসের হেল্পার একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করে না। যাত্রীবাহী গাড়ি ঠিকমতো চালাতে বললে কপালে গালি জোটে। প্রাইভেটের ড্রাইভারকেও কথা শোনানো মুশকিল যদিও প্রাইভেট গাড়িগুলোতে মালিকরাই ড্রাইভারকে রাফ চালাতে বলে থাকে। এখানে শিষ্ঠাচারের বড়োই অভাব, সবারই যেনো সদাসর্বদা মাল মাথায় উঠে থাকে।
আমি ৪-৫ জন লোকের নাম জানি, এই ৪-৫ জনকে গণপ্যাদানী দিলে পরদিনই বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসবে। তবে আমি তাদের নাম বলবো না, বললে আমি নিজেই প্যাদানী খেয়ে বসতে পারি। এই সেক্টর নিয়ে আমার তিক্তরা এতো বেশি যে আমি 'পরিবহন সেক্টরের মাকে চুদি' থেকে ভালো বা শালীন কিছু বলতে পারছিনা, দুঃখিত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রথমত, বাংলাদেশে "শিষ্ঠাচার" নামক শব্দটির সাথে ঠিক কতো ভাগ লোক পরিচিত এ সম্পর্কে একটি বিশদ গবেষণা হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, দেশের সব কিছুর মাঝেই রাজনীতি থাকে। সাধারণ পাবলিক না বুঝেই হাউকাউ করে।
তৃতীয়ত, যতদিন দেশে অপ-রাজনীতি চর্চা বন্ধ না হবে ততদিন কোনো কিছুর হাত থেকেই নিস্তার নেই। আর দুই চারটা সাধারণ পাবলিক মরলে কারো কিছু আসে যায়না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পরিপাটি, গুছানো, তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।
আমাদের নীতি নির্ধারকরা এভাবে ভাবেন কিনা কে জানে!
ধন্যবাদ আপনাকে। নীতিনির্ধারকরা না ভাবলেও আমাদের ভাবা উচিত কারণ পরিবর্তন একদিনে আসবেনা। পরিবর্তন আনতে হলে চাই সচেতনতা। আজকে ফিটনেসবিহীন এইসব গাড়িগুলোতে যাত্রীরা যদি একযোগে চলাচল বন্ধ করে দেন, মালিকপক্ষ সুরসুর করে লাইনে আসতে বাধ্য হবে। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা কেউই ঐক্যবদ্ধ হতে পারবোনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গুরুত্বপূর্ণ লেখা, পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ।
facebook
ধন্যবাদ অনুদা, সময় করে পড়ে দেখার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে তথ্যবহুল লেখটার জন্য ধন্যবাদ। মাস দুই আগে একটা ফিচার আর্টিকেল করতে হয়েছিল এই বিষয়ে। ইন্টারভিউতে চালক, মালিকপক্ষ, ট্রাফিক, হতাহতের পরিবার সবাই শুধু একে অপরকে দোষারোপ করে গেছে। সবার কথা শুনে মনে হয়েছে এদের নিজেদের কার কি দায়িত্ব আছে সেটা কেউই ভাল করে জানে না। এই ইস্টেহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় এর এত অভাব যে কেউই কাউকে বুঝতে চাই না যার ফলে একটি ফলপ্রসু ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর উপর্যুক্ত কতৃপক্ষের অবহেলা তো আছেই। কবে যে আমদের এবং উপর্যুক্ত কতৃপক্ষের বুদ্ধি হবে!
ধন্যবাদ আপনাকেও। আশা করি অতি শীঘ্রই যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুমতি হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কালকে রাতে সবার প্রথম কমেন্ট আমার ছিল। অনেক বড় করে দিলাম, পোস্ট এর পর দেখি ইরোর! হলো না। পোস্ট দুর্ঘটনা
৩/৪ দিন আগে মৌচাকের দিকে না উত্তরার দিকে মনে নাই; ডিভাইডারের মাঝে ট্রাক উঠে বসে আছে!!
প্রায় বছর দুয়েক আগে ক্যান্টনমেন্ট এর এম.ই.এইচ গেটের অপজিটে একটা যাত্রী ছাউনি আছে।ফুটপাথ থেকেও বেশ ভেতর দিকে। একদিন সকালে দেখি এক বাস পুরো যাত্রী ছাউনি উধাও করে দিছে!!
আবার ড্রাইভারের দোষ ছাড়া নিতান্ত পাবলিকের অসতর্কতা আর বোকামির জন্যেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়। একদিন উত্তরা থেকে ক্যান্টনমেন্ট আসছিলাম এক ফ্রেন্ড এর গাড়ি করে। বিপরীত রাস্তায়, মানে ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তরা পথে দেখি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এয়ারপোর্ট রোডের ডিভাইডার গুলো অনেক উঁচু যে মানুষের স্বভাবিক ভাবে উঠতে কষ্ট হবে। এক লোক দৌড় দিতে ডিভাইডারে উঠলো আর সাথে সাথে লাফ দিয়ে নামলো অপর সাইডে। দৌড়ে ওঠা ও নামার কারনে ব্যালেন্স না থাকায় একটু বেশী ভেতরে নামলো। একটা গাড়ি বাধ্য হয়ে হার্ড ব্রেক করলো তাকে বাঁচাতে। পিছনের গাড়ি সংঘর্ষ এড়াতে পাশের লেনে গেল।আর পাশের লেনের বাস এসে লাগিয়ে দিল ঐ গাড়িকে। রক্তারক্তি কান্ড। কজন মারা গেল জানি না, কারন আমরা বিপরীত দিকে চলন্ত। উল্ল্যেখ্য যে ঠিক ২০ কদম দূরেই ফুট-ওভার ব্রিজ।
লেখা ভালো লাগলো। অনেক তথ্যবহুল।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এক হাতে তো তালি বাজেনা, দোষ সবারই আছে। এটা যত তাড়াতাড়ি সবাই বুঝতে পারবে তত ভালো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্রথমে সচলাভিনন্দন
তারপর ধন্যবাদ
দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা
আগের যুগ থাকলে লেখাটা সোজা প্রিয়তে নিতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আন্তরিক ধন্যবাদ নজরুল ভাই। ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তথ্যবহুল লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
দেশে প্রায় ১৫ লক্ষ নিবন্ধিত যানবাহন আছে। এর বাইরেও প্রচুর অনিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে। ইজি বাইক নামীয় এক ধরণের যান জেলা শহর আর মফস্বল ভরে গেছে। এর পাশাপাশি ভটভটি, আলম সাধু, টেম্পো ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ছোট ছোট যানবাহন রয়েছে। আর আছে মাহিন্দ্র ট্রাক্টরের পেছনে ট্রাকের মতো ক্যারিজ যোগ করে মাল, বিশেষ করে বালি আর মাটি বহনের ত্রুটিপুর্ণ যান। এগুলোর অধিকাংশের কোন নিবন্ধন নেই বলেই জানি। আর এদের চালকদের পেশাগত দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই শ্রেয়। এই যানবাহনগুলো মানুষ যে খুব শখ করে ব্যবহার করে, তেমনটি নয় মোটেও। সড়কপথে চলমান অসংখ্য যানবাহনে কোথাও তিল ধারণের যায়গা নেই। মানুষকে তো তার বাড়ি পৌঁছতে হবে কোন এক উপায়ে!
ঢাকা শহরে একাধিকবার ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো কিছুদিন ধোলাইখালের পাড়ে বুড়িগঙ্গার হাওয়া খেয়েছে। আর শহরের বিপুল ঘরমুখী মানুষ দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছে। কদিন পরে ঐ গাড়িগুলোই রং বদলে রাস্তায় হাজির হয়েছে। নিয়ম নীতি করেও ওদের ঠেকানো যায় নি। কারণ সরকার মানুষের চলাচলের উপযুক্ত বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি।
আমাদের সড়কগুলো খুবই নাজুক অবস্থায় থাকে। একে তো প্রশস্ততা কম। তার উপর যথাযথ মেরামতের অভাবে সড়কপথ একটা জ্যান্ত মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
অসংখ্য যানবাহন থাকা সত্ত্বেও পেশাদার চালক তৈরির ভালো কোন প্রতিষ্ঠান এদেশে নেই বললেই চলে। ঢাকা কেন্দ্রিক অধিকাংশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রর মূল বিজ্ঞাপনটি থাকে তারা খুব সুলভে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে দিতে পারবে। গাড়ি চালনার দক্ষতা তাদের কাছে মোটেও মুখ্য নয়।
চালকের অদক্ষতা দূরীকরণে বিদ্যমান আইন আর তার প্রয়োগ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালনের কথা থাকলেও তা হয়ে উঠে নি। চালকের অদক্ষতায় কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত অপরাধটি ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩০৪(বি) উপধারায় সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড শাস্তিযোগ্য। ১৯৮৫ সালের আগে এটি ৭ বছর ছিল। ২০০২ সালের ল কমিশন রিপোর্টে এই শাস্তিটি বাড়ানোর সুপারিশ ছিল। একজন মানুষের জীবনের মূল্য ধরে এই শাস্তিটি বাড়ানোর গুরুত্ব অনুধাবনে আমরা রীতিমত ব্যর্থ হয়েছি।
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮২ এ বর্ণিত বিভিন্ন অপরাধগুলোর বিচার খুবই সীমিত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নাকি প্রতিবার এই আইন লঙ্ঘনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সে এক বা একাধিক ফুটো (পাঞ্চিং) করে দেয়া হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুটো হয়ে গেলে তার লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হয়, অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থগিত রাখা হয়। দিল্লি শহরের মূল সড়কে পার্কিং প্লেস ছাড়া কোথাও আমি কোন গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখিনি। আমাদের দেশে এসব অভিযোগে ট্র্যাফিক পুলিশ সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্সের বদলে ড্রাইভারের মানিব্যাগ ফুটো করে থাকে।
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে আরও একটি কারণ খুব অলক্ষ্যে থেকে যায়। ঢাকার ভেতরে এবং বাইরে বিস্তর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি প্রচুর যাত্রী রয়েছেন, যারা বাসে উঠে খুব দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছুতে চান। ড্রাইভার একটু দেখেশুনে আস্তেধীরে চলছেন, এই দেখে একাধিকবার উত্তেজিত যাত্রীদের দেখেছি তারা ড্রাইভারকে দ্রুত চালাতে তাগাদা দিচ্ছেন। ' ড্রাইভার কি বাস চালায় না গরুর গাড়ি?' এমন মন্তব্য শোনার পর ড্রাইভারদের পক্ষে মেজাজ ধরে রাখা কঠিন হয় বৈকি!
সবকিছুর পরেও আমি বলব, আমাদের সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা হ্রাসের মূলমন্ত্র অন্য কোথাও নিহিত। সেটি রেলপথ। এই খাতটি বাস মালিক শ্রমিক আইনপ্রনেতা প্রভুদের থাবামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের কোন সম্ভাবনা আমি দেখছিনা।
--------------
পথিক পরাণ
ঢাকা শহরে নাকি হাজার হাজার বাস আমদানি করে ছাড়া হবে। এটা বছরের পর বছর ধরে শুনে আসছি। এখন পর্যন্ত আনতে দেখলাম না। ঢাকার মেয়র থেকে শুরু করে যোগাযোগমন্ত্রী, সব কয়টারে যদি পাবলিক বাসে চড়তে বাধ্য করা হতো, সুড়সুড় করে সবকিছু ঠিক হয়ে যেতো। এরা থাকে সুখে, তাই ফুঁ দিলে বাজে।
বাস আমদানি করে রাস্তায় ছাড়া তো রকেট সায়েন্স না। এটা যেহেতু কর্তৃপক্ষ করে না, তার মানে হচ্ছে এটা না করলে তাদের পকেট ভারি হয়। ঢাকায় বেসরকারি পরিবহন মালিকদের সাথে এই খাতের মন্ত্রী-সচিবদের সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করা জরুরি।
বাস আমদানি না করলে পকেট ভারী হয়। করলেও নাকি হয়। ঢাকা দেখে হঠাৎ ভলভো ডাবল ডেকারগুলো উধাও হয়ে গেছে। সবগুলো বাসই কি একসাথে অকেজো হয়ে গেলো?
একাধিক জেলায় শোনা যায় পরিবহন মালিক সমিতি বি আর টি সির বাস নামাতে দেয় না। কি আজব দেশ! সরকারী গাড়ি নামাতে পাবলিকের পারমিশন নিতে হয়!
পথিক পরাণ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঢাকাসহ অন্যান্য যায়গা গুলোতে আরেকটা সমস্যা রয়েছে, তা হলো মানবচালিত যান এবং যন্ত্রচালিত যান একই রাস্তায় চলাচল করা। ঢাকার ব্যাপারটা আরেক্কাঠি সরেস। এখন কিছু রাস্তাকে ভিআইপি মর্যাদা দিয়ে সেখানে রিকশার প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। যেটা আদৌ ভাল হয়েছে না খারাপ হয়েছে সেটা নিয়েও হয়তো থিসিস হতে পারে। সে রাস্তাগুলোতে রাত ৮টা / ৯টার পর থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত রিকশা চলে। যদিও ঢাকার ট্রাফিকজটের কারনে আজকাল সকাল ৭টা, দুপুর ১২টা বা রাত ১০টার কোনও তফাৎ করতে পারিনা। কাজেই কী দেখে শুধু দিনের বেলা রিকশা চলতে পারবে না তা বোঝা দুষ্কর। আবার রিকশা বন্ধ হলেও অল্প দূরত্বের পথ যাওয়ার কোনও বিকল্প বাহন রাস্তায় নামেনি। যার জন্য সবসময়েই অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যেমন, সোনারগাঁ হোটেলের মোড় থেকে কেউ যদি পান্থপথের কোথাও অথবা কলাবাগান পর্যন্ত যেতে চায় তবে দূরত্বটা সবসময় হন্টনযোগ্য নয়; কোনও বাহনও নাই। আবার এলিফ্যান্ট রোডে রিকশা বন্ধ করে দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে আসুন হাঁটি। এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার মার্কেট থেকে একটা মনিটর বা কম্পিউটার কিনে ভূতেরগলি বা পরীবাগের কোনও বান্দা বাসায় ফিরতে পারবে না। আমার বলার উদ্দেশ্য এই না যে রিকশা বন্ধ করা ঠিক হয়নি; কিন্তু পাশাপাশি বিকল্প কিছুর ব্যবস্থাও করা উচিৎ ছিল। এযেন আমাদের সেই অতিপরিচিত পুনর্বাসন ছাড়াই বস্তিউচ্ছেদ কাহিনী।
এমন অনেকবার হয়েছে সকালে যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছি বিকেলে এসে দেখি সেটা ওয়ানওয়ে করে দিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে যে পুলিশ দায়িত্বে আছেন তিনি জানেনিনা যে এই রোড ওয়ান ওয়ে হয়েছে। কাজেই দিব্যি গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন কিন্তু ওই রাস্তার অপর মাথায় থাকা পুলিশটি সেই গাড়িগুলো আটকে দিয়ে একটা হচপচ বাজিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ, এঁদের নিজেদের ভিতরেই কোনও সমন্বয় নাই।
অনেক যায়গাতেই রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই যেন সেটা চোখেই দেখেন না। তবে এইটাও একটা কথা যে বয়স্ক যারা আছেন তাঁদের কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগ ব্রিজের সিঁড়িই তৈরি হয়না। আড়াইতলা বা তিনতলা উঁচু ব্রিজে উঠতে পারাটা তাঁদের অনেকের কাছেই হয়তো এভারেস্ট বিজয়ের চেয়েও কঠিন। আবার কিছু কিছু ব্রিজতো হকার এবং হাইজ্যাকারদের পিঠস্থান।
ব্যক্তিগত গাড়ীর জন্য সবসময় হাজার দুয়েক টাকা বেশি হলেই যে শিক্ষিত এবং মানসম্মত ড্রাইভার পাওয়া যায়না এইটা যেমন ঠিক তাঁরচাইতে বেশি ঠিক বোধহয় যে এই গাড়িতে যারা চড়েন তাঁদের সিংহভাগই জ্ঞানপাপী। জ্ঞানপাপী হওয়ার চেয়ে মূর্খতাই শ্রেয় বলে মনে হয় অনেক সময়।
রাস্তাঘাটের অবস্থার কথা নাই বলি। লেইন আলাদা করে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সার্কাসতো আর কম দেখালো না। বাংলাদেশে টাকা কামানো সবচেয়ে সহজ বলে মনেহয়। এইখানে নিজের উপার্জিত টাকা কতটা কাকে দেব, কেন দেব, কতটা তার সত্যি প্রাপ্য সে বিচার মনে হয়না কেউ করে। যার কারনেই মিটার থাকার পরেও যেমন আমরা নিজে থেকেই প্রস্তাব দেই যে ভাই কত নিবেন বলেন, তেমনি বাসে ডিরেক্ট যাবে বলে ভাড়া নিয়ে চরম লোকাল হিসেবে চল্লেও কিছু বলার থাকে না। আবার ছাত্র নামধারী কিছু অদ্ভুত দু'পেয়ে জীব দেখি আজকাল যারা হাতে আইফোন নিয়ে গানা শুনতে শুনতে ভাড়া কেন চাওয়া হলো সেই জন্য বাসের কন্ডাকটর বা হেল্পার পিটাতেও দ্বিধা করে না। আর যেহেতু ছাত্ররা একজোট, কাজেই গাড়ির হেল্পার-ড্রাইভার তাদের সাথে না পেরে এর শোধতুলে আমজনতার উপর।
আমারাও সেরকম ভাবেই শোধতুলি গাড়ির উপর। বেতন দিলি না ক্যান? ভাংগাড়ি! কালকে হরতাল? পোড়াও গাড়ী! সরকার কথা শুনে না? জ্বালা পাবিকের গাড়ি! বিরোধী দলের হরতালে লোক আসা বন্ধ করতে হবে? ভাংগাড়ি!
সরকারিভাবে যত্রতত্র সভা-সমিতি-সমাবেশ নিষেধ। কয়েকদিন আগেই দেখলাম প্রেসক্লাবের সাম্নের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে হেব্বি গরম বক্তিমা ঝাঁড়ছেন একজন। সরকারী দল নিজেরাই সমানে রাস্তা-ঘাট দখল করে অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। আশা করি সাম্নের ১৫ আগস্টেও তারা সফল হবেন এব্যাপারে।
পরিশেষে ঐ রাতঃস্মরনীয়দার কথাতেই ফিরতে হয়। যায়গামত কয়েকজনরে চিপি দিয়া ধরতে পারলে এমনিতেই অন্যগুলো আস্তে আস্তে লাইন এ চলে আসত। তারপরেও বলি, হবুরাজার দেশে এইসব আছে জন্যই কিন্তু এখনও আমাদের দেশের মানুষ সবচেয়ে সুখী হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন