[ছবি কৃতজ্ঞতা হাল্টন সংগ্রহশালা]
২০১২ সালের অলিম্পিক গেমস এর পর্দা উন্মোচন হওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষের দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন লন্ডন এ। মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই অলিম্পিক জন্ম দিয়েছে নানা কৌতূহলের। লৌহ কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নানা বিষয়েই খবরের শীর্ষে এখন "লন্ডন অলিম্পিক :২০১২"।
প্রতি বছরই অলিম্পিক জন্ম দেয় নানা ঐতিহাসিক ঘটনার। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অসংখ্য ক্রীড়াবিদদের আরাধ্য এই অনুষ্ঠানটি এর জন্মলগ্ন থেকেই নিজ বৈশিষ্ট্যে অতুলনীয় হয়ে আছে। এরকমই একটি অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলো "মেক্সিকো অলিম্পিক : ১৯৬৮"।
আজকে বিশ্বের অনেকের কাছেই এই ঘটনাটি অজানা হিসেবেই রয়ে গেছে। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়া সেই অনন্যসাধারণ ঘটনাটি আজকের দিনেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় মোটেই। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ক্রীড়াবিদ টমি স্মিথ এবং জন কার্লোস এর সেই অবিস্মরণীয় কীর্তি মানবতার ইতিহাসে তাদের অমর করে রেখেছে। আর সেই সাথে ১৯৬৮ সালের মেক্সিকান অলিম্পিক অনুষ্ঠানটিকে আপন মহিমায় আলাদা করে রেখেছে এতো বছর পরেও। কিন্তু আজ অনেক ক্রীড়াবিদও হয়তো এই দুজন ব্যক্তিত্বের নাম সম্পর্কে অবগত নন।
তখন মানব সভ্যতার এক ক্রান্তিলগ্ন। গায়ের বর্ণের পার্থক্যের জন্য মানুষকে সহ্য করতে হতো অমানুষিক নির্যাতন-নিগ্রহ। ধাপে ধাপে উন্নত সভ্যতার দিকে এগিয়ে চলা সমাজব্যবস্থা তখন সাদা-কালো বর্ণের বিভেদে টালমাটাল। অসংখ্য ঘটনা কালো মানুষের মুক্তির আন্দোলনকে আরও তরান্বিত করে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিত নিপীড়িত কালো মানুষেরা তখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকার মাটির মানুষেরা রুখে দাঁড়িয়েছে বহু বছর ধরে তাদের উপরে চলে আসা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। এই দ্বন্দ-বিক্ষুব্দ সময়েই ১৯৬৮ সাল হয়ে দাঁড়ালো আরেকটি প্রতিকী বছর। এ বছরেই আততায়ীর হামলায় নিহত হলেন রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং, দাঙ্গা হলো প্যারিসে, মূল অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার কিছুদিন পূর্বেই মেক্সিকোতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর হলো বর্বরোচিত হামলা। আর এরকমই একটি বছরকে আরও স্মরনীয় করে রাখতে ১৬ অক্টোবরের এক সকালে, পুরস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে টমি স্মিথ এবং তার বন্ধু জন কার্লোস মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে রচিত করলেন প্রতিবাদের এক অসামান্য দৃশ্য।
[ছবি কৃতজ্ঞতা স্পার্টাকাস এডুকেশনাল]
১৬ অক্টোবর সকালে টমি স্মিথ ২০০ মিটার দৌড়ে ১৯.৮৩ সেকেন্ডের বিশ্ব রেকর্ড তৈরী করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একইসাথে তারই বন্ধু জন কার্লোস তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ২০.১০ সেকেন্ড সময়ে। দ্বিতীয় স্থান এ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়াবিদ পিটার নর্মান, তার সময় ছিলো ২০.০৬ সেকেন্ড। দৌড় শেষে এই তিনজন ক্রীড়াবিদই মেডেল গ্রহণ করতে যান মঞ্চে। এসময় দুই আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীড়াবিদ খালি পায়ে শুধু কালো মোজা পায়ে মঞ্চে উঠেন "কালো মানুষের দারিদ্র্য" এর প্রতিকী রূপ উপস্থাপনের জন্য। কালো মানুষের গর্বের প্রতীক হিসেবে স্মিথ এর গলায় ছিলো কালো একটি স্কার্ফ, কার্লোস তার জ্যাকেট এর চেইন খোলা রেখেছিলেন, গলায় ছিলো একটি নেকলেস যা ছিলো নির্যাতিত নিপীড়িত নিহত সকল কালো মানুষের জন্য। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে পিটারও ধারণ করেছিলেন একটি ব্যাজ। তাদের তিনজনের বুকেই ছিলো "অলিম্পিক প্রজেক্ট ফর হিউম্যান রাইটস" এর প্রতিকী ব্যাজ। মেডেল গ্রহণ করার পরে টমি স্মিথ এবং জন কার্লোস দুজনেই কালো দস্তানা পড়া মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ধরেন। [জন কার্লোস তার দস্তানা নিজের ঘরে ভুলে রেখে এসেছিলেন, পিটার নর্মান এর বুদ্ধিতে তিনি টমি স্মিথ এর বাঁ হাতের দস্তানা ব্যবহার করেছিলেন। তাই তুলে ধরেছিলেন বাঁ হাত।] মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ধরা ছিলো কালো মানুষের মানবাধিকার আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে নিরব প্রতিবাদ।
[ছবি কৃতজ্ঞতা "দ্যা টেলিগ্রাফ"]
তাদের এই প্রতিকী প্রতিবাদে সাথে সাথে সমগ্র স্টেডিয়ামে হৈ চৈ পড়ে যায়। ছুটে আসেন অলিম্পিক এর কর্মকর্তারা। পরবর্তিতে বিশ্রামকক্ষে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে অনেক দর্শকই দুয়োধ্বনি দিয়ে উঠে। এ সম্পর্কে পরে স্মিথ বলেছিলেন, "If I win, I am American, not a black American. But if I did something bad, then they would say I am a Negro. We are black and we are proud of being black. Black America will understand what we did tonight."
[ছবি কৃতজ্ঞতা উইকিপিডিয়া]
পরবর্তিতে অলিম্পিক কমিটির সভা থেকে এই প্রতিবাদকে দুঃখজনক এবং অগ্রহনযোগ্য বলে অভিহিত করা হয়। তাদের গৃহিত সিদ্ধান্তে দুই ক্রীড়াবিদ টমি স্মিথ এবং জন কার্লোসকে অলিম্পিক গেমস থেকে বহিঃস্কার এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আমেরিকান দল এর পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ করলে তাদের পুরো দলকে বহিঃস্কার এর হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তিতে এই দুজন ক্রীড়াবিদকেই বহিঃস্কার আদেশ মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে বলে হয়, "a deliberate and violent breach of the fundamental principles of the Olympic spirit." আজও অলিম্পিক কমিটির ওয়েবসাইটে তাদের সম্পর্কে লেখা আছে, "Over and above winning medals, the black American athletes made names for themselves by an act of racial protest."
পরে দেশে ফেরৎ যাওয়ার পরেও তাদের দুজনকেই বিভিন্নভাবে অপমানিত হতে হয় এমনকি মৃত্যুহুমকি পর্যন্ত সহ্য করতে হয়। এধরনের বিরূপ পরিস্থিতিতেও তারা দুজনই ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখেন।
এই দুই ক্রীড়াবিদের প্রতিবাদ সমগ্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরে কালো মানুষের মানবাধিকার বিষয়ক আন্দোলনকে। এমনকি কালো ক্রীড়াবিদদের অধিকারের বিষয়টিও সবার সামনে উঠে আসে। দলের কোচ হিসেবে যোগদানের ক্ষেত্রেও তাদের অধিকারের বিষয়টি আলোচিত হয়। সামগ্রিকভাবে মানবাধিকারের আন্দোলন পায় এক নতুন মাত্রা।
এই তিনজন ক্রীড়াবিদ এর সম্মানে অস্ট্রেলিয়ার নিউটাউন এ একটি মুরাল তৈরী করা হয়। নাম দেয়া হয় "THREE PROUD PEOPLE MEXICO 68"। তবে পরবর্তিতে বিভিন্ন কারণে এটি অপসারণ এর জন্য চেষ্টা করা হলেও এটিকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা এখনও চলছে।
টমি স্মিথ এবং জন কার্লোস পৃথিবীর ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন তাদের কীর্তির জন্য। অসংখ্য মানুষের কাছে তারা মানবাধিকার আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক হয়ে থাকবেন আজীবন। তাদের মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের সেই ছবি হয়ে থাকবে প্রতিবাদের জ্বলন্ত প্রমান। এই লেখাটি সেই সব মানুষের জন্য যারা আজও স্বপ্ন দেখে শোষনমুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন একটি পৃথিবীর।
মন্তব্য
অসাধারণ ব্রাদার! চমৎকার ! মোক্ষম দিনে ছাড়া হয়েছে!
facebook
অসংখ্য ঘনুদা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
স্মিথ আর কার্লোসই শুধু নয়, তাদের সমর্থন করে ব্যাজ পরার কারণে পিটার নর্মানকেও অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাবার পর নিগৃহীত করা হয়। টমি স্মিথের একটা সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার আছে এখানে।
ধন্যবাদ হিমুদা তথ্যসংযুক্তির জন্য। সাক্ষাৎকারটা পড়ব।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বর্ণবাদ এখনো শেষ হয় নাই।
অফটপিক: গণহত্যার দায় অস্বীকার কারা পাকি পতাকাধারীদের সাথে কোনো এক খেলার শেষে বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা এইরকম অহিংস এবং নীরব পন্থায় 'খেলার সাথে রাজনীতি মিশায়া' ফেললে খারাপ হইত না বিষয়টা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বর্ণবাদ শেষ হয়নি, তবে হয়তো একদিন মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
[অট: বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তো আবার অনেকেই পাকিস্তানি পীর বাবাদের দোয়া নিতে খেলার আগে পাকিস্তান যায়। প্রতিবাদ করতে হইলে তো আগে নিজের বোধটা ঠিক করতে হইবো।]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখা, কিছুই জানতাম না এঁদের ব্যাপারে। ধন্যবাদ অরফিয়াস। মানুষ মানুষকে মানুষের সম্মান দিক, এতে সে নিজেকেও মানুষ হিসেবে সম্মান করতে পারবে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ। অলিম্পিকের আসল মর্যাদাটা তো এইখানেই
ধন্যবাদ সুহান। হ্যাঁ, আসলেই অনেক ঘটনার ভিড়ে সত্যিকারের মর্যাদাটা এটাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লেখার জন্য
১৯৬৮ সালের অলিম্পিকে এই প্রতিবাদ মূলত আমেরিকার সিভিল রাইটস মুভমেন্টের সাথে সম্পর্কিত। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমেরিকার কালো এথলেটদের ১৯৬৮ সালের অলিম্পিক বর্জনের আহবান জানানো হয়েছিলো। অলিম্পিক প্রজেক্ট ফর হিউম্যান রাইটসের উদ্যোক্তা অধ্যাপক এডওয়ার্ডস বলেছিলেন- "black Americans should refuse "to be utilised as 'performing animals' in the games." কিন্তু বয়কটে সাড়া দেয়ার পরিবর্তে স্মিথ ও কার্লোস তাদের নিজস্ব উপায়ে প্রতিবাদ জানাতে মনস্থ করেছিলেন। এটা না করলে তারা হয়তো তাদের নিজ সমাজের কাছেই তখন একঘরে হয়ে যেতেন। সঠিক সময়ে প্রতিবাদ তাঁদেরকে ইতিহাসে স্থান করে দিয়েছে।
ধন্যবাদ তানভীর ভাই।
আসলে কালো ক্রীড়াবিদরা যদি খেলা বর্জন করতেন তাহলে সেটা খুব একটা সাড়া জাগাত না বলেই মনে করি, বরং তারা স্টেডিয়ামে অসংখ্য দর্শকের সামনে আর পৃথিবীর নানা কোণ থেকে আসা অসংখ্য সাংবাদিক/টিভি ক্যামেরার সামনে যে প্রতিকী প্রতিবাদ দেখাতে পেরেছিলেন সেটার প্রভাবটি সুগভীর ছিলো। বিশেষ করে ক্রীড়া ক্ষেত্রে যখন কালো মানুষকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিলো সেই সময়ে এই প্রতিবাদের আবশ্যকতা ছিলো বৈকি। সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর ইতিহাসটা জানতাম। এছাড়াও টমি স্মিথ নিজেও কালো খেলোয়াড়দের শুধু দেশের জন্য গৌরব অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার বিপক্ষে কথা বলেছিলেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জানা ছিল না। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ রু।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনেক ধন্যবাদ ।
স্যালুট তাদের যারা যুগে যুগে উঠে দাড়িয়েছে ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছবিটা দেখলেই বুকের মধ্যে একটা শিহরণ জেগে উঠে। প্রতিবাদের এমন ভাষা সবল, সরব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আসলেই একই অনুভূতি আমারও।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাহ! অজানা একটি ইতিহাস জানা হোল।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যতবারই দেখি ততবারই অন্যরকম অনুভূতি হয়।
ছবিটার মাঝে অন্যরকম একটা আকর্ষণ আছে। অন্য সকল প্রতিবাদ থেকে আলাদা, নিরব কিন্তু এর আওয়াজ যেনো সহস্রগুণ বেশি শক্তিশালী।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অসাধারণ একটি লেখা। জানা ছিল না আগে আজ জানলাম এসব তথ্য। অনেক ভালো লেগেছে অরফিয়াস ভাই ।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চমৎকার আলোকপাত। আমার রীতিমত গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল!
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি শুনে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লেখার শুরুতে ছবি দেখে ভাবিনি দুজন এ্যাথলেটের মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে রাখার পেছনে এত গভীর এবং সর্বব্যপী, বিশ্বজনীন তাৎপর্য রয়েছে।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
প্রথম যখন জেনেছিলাম আমি নিজেও ভাবিনি এতোটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ অরফিয়াস, চমৎকার লেখাটার জন্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ লেখা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ ভাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চমৎকার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ব্যাপারটা জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।
স্যালুট তাদেরকে।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
আপনাকেও ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জানতাম্না এই ব্যাপারটা, অসাধারন একটা লেখা অরফিয়াসদা।
ধন্যবাদ। লেখাটা সাধারণই কিন্তু ঘটনাটা অসাধারণ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কী জীবনে আসলাম, জান্তাম-ই অলিম্পিক শুরু হয়ে গেসে।
এই ঘটনা জানা ছিল না। সুখপাঠ্য লেখা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ রিশাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নিগৃহিত হওয়া অবশ্যগামী জেনেও প্রতিবাদের ঝান্টা উঁচাতে দুর্দান্ত সাহসের প্রয়োজন হয়। স্যালুট তাদেরকে।
ধন্যবাদ, চমত্কার এই বিষয়টাকে আলোকপাত করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকেও সময় করে লেখাটা পড়ে দেখার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
স্যালুট তাদের জন্য। ছবি দেখে রীতিমতো শিহরিত হয়েছি!
_________________
[খোমাখাতা]
ধন্যবাদ নিটোল।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অরফিয়াস,
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। এইধরনের প্রতিবাদ যুগে যুগেই প্রেরণা জাগিয়েছে নিপীড়িত ও শোষিত মানুষকে ।
নির্ঝরা শ্রাবণ
আপনাকেও ধন্যবাদ "নির্ঝরা শ্রাবণ"।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চমৎকার লেখা ও ধন্যবাদ এরকম বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরার জন্যে; অনেক কিছুই জানছি..
ভালো লাগলো অনেক।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ, চমৎকার তথ্যপূর্ণ সময়োচিত একটি লেখার জন্য।
এটাইতো অলিম্পিকের স্পিরিট।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছি ছি, এরা খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশায়!
তবে আমেরিকায় কালোদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদই এখনও রয়েছে কিছু কিছু জায়গায় - http://www.abpnews.com/culture/social-issues/item/7658-church-refuses-to-marry-black-couple
আসলেই রাজনীতি মেশানো ঠিক না !!
খবরটা সেদিন দেখলাম, আজব লাগলো!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অসাধারণ পোস্ট।
অজানা ইতিহাস জানার যে আনন্দ শুধু তা নয়, মনে হলো আরো বেশি কিছু পেয়েছি।
ভালো লাগায় মন ভরে গেল।
স্যালুট টমি স্মিথ এবং জন কার্লোস-কে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ একটা বিষয় জানা গেলো। খুব ভালো লেগেছে।
সৌরভ কবীর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এতো ডিটেলে জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ব্যাপারটা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ধন্যবাদ
তাদেরকে যে নিগ্রহ করা হলো সেটা ভালো লাগে নি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন