১.
দাঁতে দাঁত চেপে দশটি বছর অপেক্ষা করেছে সে ছয় বাই আট ফুটের এই অন্ধকারাছন্ন সেলে। ছোট্ট একটা ছিদ্রের মতো জানালাটা দুই ধাপে শক্ত লোহার শিক দিয়ে আটকানো। আর তার ফাঁক গলে যতটুকু রোদের আলো সেলে ঢোকে তাতে জমাট বাঁধা অন্ধকারটা যেনো আরও ঘনীভূত হয়। প্রতিটি দিন নয়, প্রতিটি মুহূর্ত যেনো এক একটা বছরের সমান দৈর্ঘ্য নিয়ে কেটেছে। প্রথম প্রথম যখন এখানে আসে সে, ধারণা ছিলো না কতোটা নিষ্ঠুরতা অপেক্ষা করছে তার জন্য। কিন্তু প্রথম সপ্তাহেই একটা ঝামেলায় জড়িয়ে যখন সাত দিনের সলিটারি কনফাইনমেন্ট এ থাকতে হলো, তখন বুঝলো জীবন কতোটা শক্ত।
ঘুটঘুটে অন্ধকার, পাথর শীতল ছোট্ট সেলে থাকার সময় নিজেকে মানুষ বলে মনে হতো না। আর কয়েদীদের মানসিক অত্যাচার করার জন্য জেল গার্ডরা বেছে নিত খুব প্রাচীন কিন্তু অমানবিক একটা পন্থাকে। মাটির বহু নিচের সলিটারি কনফাইনমেন্ট সেলগুলোতে নিস্তব্দতার মাঝে কোনো এক অন্ধকার কোণ এর কল থেকে টিপ টিপ করে জল পড়ার শব্দ শোনা যেতো দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বিরামহীনভাবে। মাথার ভেতরে হাতুড়ির মতো আঘাত হানতো শব্দটা। খুব বেশি দিন লাগাতর এই শব্দ শুনতে শুনতে অনেকে পাগল হয়ে যেতো। ঐসময় দিনে একবার খাবার মিলতো তাও সেটা খাবার কিনা সন্দেহ হতো। রাতের বেলা প্রচন্ড ঠান্ডায় অনেক সময় অচেতন হয়ে যেতো কয়েদীরা কিন্তু উলঙ্গ শরীরে পড়ে থাকতে হতো ঠান্ডা মেঝেতেই।
বলতে গেলে পৃথিবীতেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করে টিঁকে থাকার জন্য যুদ্ধ করে যেতে হয় এখানকার অধিবাসীদের। এখানে তাকে সবাই ডাকতো শুধু “ডি”। কিভাবে এই নামটা এলো সেটা একটা রহস্য তবে মুখে মুখে এটাই চলতো এখানে। প্রথম দিনের ভিতু সাদামাটা মানুষটি এই সুকঠিন জীবনের মাঝে নিজেকে তিলে তিলে তৈরী করেছে, যেভাবে পাথর কুঁদে মূর্তি তৈরী করা হয়। এই কারাগারে বেঁচে থাকাটা অনেকের কাছে দুঃস্বপ্নের মতই, কিন্তু তাকে বেঁচে থাকতে হয়েছে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য যে একটা লক্ষ্য দরকার ছিলো তা তার আছে, “প্রতিশোধ”। তীব্র প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করেছে সে, আর এক এক করে মানবীয় সকল অনুভূতিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। প্রতিদিনের প্রচন্ড পরিশ্রমের ফলে শরীরের যতটুকু মেদ ছিলো তা পরিণত হয়েছে শক্ত পেশীতে, গাইতি আর শাবল চালাতে চালাতে হাতগুলো এখন লোহার মতো শক্ত, কাঁধের পেশী ফুলে উঠেছে। এখন রক্ত মাংসের এই দেহের ভেতর আসলে গ্রানাইটের তৈরী দেয়ালের মতো। ভাবলেশহীন চোখের দিকে তাকালে যে কারো রক্ত শীতল হতে বাধ্য। এভাবেই বহু বছর আগের ছাপোষা অনুভূতিপ্রবণ মানুষটি আজকে রুপান্তরিত হয়েছে লৌহমানবে।
আর ঠিক এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলো সে, যেদিন শুনলো ভালো আচরণের জন্য তার সাজার মেয়াদ বিশ বছর থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হলো কোনো অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করেনি সেদিন। শুধু নিজের সেলে ফিরে প্রতিদিনের মতো দেয়ালে আর একটা দাগ কেটেছিলো সে, তবে সেদিনের দাগটা হয়তো অন্য যেকোনো দিনের থেকে একটু বেশি গভীর ছিলো। আর আজকে তার এখান থেকে বিদায় নেয়ার দিন।
আন্দামান সাগরের মাঝখানে একটা দ্বীপে, জাতিপুঞ্জের তৈরী এই কুখ্যাত কারাগারটি নৃশংস-ভয়ঙ্কর সব অপরাধীর জন্য তৈরী করা হয়েছিল বছর দশেক আগে। কয়েক ধাপে শক্ত কংক্রিটের তৈরী দেয়াল আর বৈদ্যুতিক তারে ঘেরা এই কারাগারটিতে রাখা হয় পৃথিবীর মারাত্মক সব অপরাধীকে। নানা দেশ থেকে বিভিন্ন দীর্ঘ মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এখানে নিয়ে আসা হয়। এদের অধিকাংশেরই যাবজ্জীবনের শাস্তি। এক কথায় সমাজ থেকে নির্বাসন। এখান থেকে খুব কম লোকই জীবিত ফেরৎ গেছে। এখান থেকে পালাবার চেষ্টা করাও বৃথা। দ্বীপের চারপাশেই সাগর। দূর দূর পর্যন্ত আর কোনো দ্বীপ নেই। পুরু কংক্রিটের দেয়াল আর মেঝেতে সুড়ঙ্গ বানানোর মতলব এখানে বৃথা। তার উপরে কারাগারের দেয়াল যেখানে শেষ হয়েছে তার ঠিক পর থেকেই নেমে গেছে খাদ, সোজা সমুদ্রে। নিচে প্রচন্ড ঘুর্নাবত সৃষ্টি করে ফেনিল জলরাশি সীমাহীন ক্রোধে আছড়ে পড়ছে পাথরগুলোর উপরে। দেয়াল বেয়ে অলক্ষ্যে নিচে নামতে যাওয়া যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যুর সমার্থক। শুধু একটা দিক থেকেই নিচে নামা যায়, যেদিক দিয়ে সমুদ্রতট থেকে কারাগারে চলাচলের জন্য সরু একটি রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। রাস্তাটি সর্পিল আকৃতি নিয়ে উঠে গেছে একদম কারাগারের প্রধান ফটক পর্যন্ত। এদিক দিয়েই প্রবেশ করতে হয়, আর সাজা শেষ করে যদি জীবন্ত বের হওয়ার ভাগ্য থাকে তাহলে এদিক দিয়েই বিদায় জানাতে হয়। প্রধান ফটক দিয়ে পালানোর চিন্তা কারো মাথায় আসবেনা, কারণ পুরো কারাগার ঘিরে পঁচিশটি উঁচু গার্ডপোস্টে দুজন করে গার্ড সারাদিন পাহাড়া দেয়, তাদের একজনের হাতে স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক রাইফেল আর আরেকজনের হাতে দুরপাল্লার স্নাইপার।
প্রচন্ড অত্যাচারের জন্য বিখ্যাত এখানকার গার্ডরা। যেনো এদের হাত নিশপিশ করে বন্দুকের ট্রিগারে, একটু এদিক সেদিক দেখলেই গুলি চলে এখানে। দ্বীপের প্রচন্ড রুক্ষ আবহাওয়ার মতই এখানের সব কিছু। সকালে অধিকাংশ সময় তীব্র সুর্যের আলো আর আর্দ্র বাতাস, রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় দ্রুত, হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে তখন। এরই মাঝে কয়েদীদের শারীরিক শ্রম দিতে হয় প্রতিদিন দশ ঘন্টা করে নিয়মিত। লোহার ব্যাটন হাতে পাহাড়া দেয় একদল গার্ড। বড় বড় পাথড়ের চাই ভেঙ্গে ছোট করা থেকে নানা রকমের ভারী কাজ করতে হয় কয়েদীদের। আর এক মুহুর্তের জন্য কাজ থামালে পিঠে লোহার গুঁতো। চড়া রোদে কাজ করতে করতে অনেক কয়েদী অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তাকে টেনে হিঁচড়ে পাশে নিয়ে ফেলে রাখা হয়। কয়েদীদের উপরে বাজ পাখির মতো নজর রাখে গার্ডরা। প্রায় প্রতি মাসেই অত্যাচারে টিকতে না পেরে কিংবা পালাতে যেয়ে মারা পড়ে বেশ কয়েকজন। আক্ষরিক অর্থেই এই দ্বীপটার নাম হয়ে গেছে “কিলার আইল্যান্ড”। বহির্জগতের কাছে ভয়ঙ্কর এক দুঃস্বপ্নের নাম এই কিলার আইল্যান্ড। আর এখানকার অধিবাসীদের এই দুঃস্বপ্নটাকেই পার করতে হয়।
[ক্রমশ:]
[গল্পটা চলবে কিনা কথা দিতে পারছিনা।]
মন্তব্য
চলুক। শুরুটা ভালো লাগলো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক.. আরো কিছু পর্ব আসলে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে আশা করি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আশা করছি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলবে মানে? দৌঁড়ুবে গল্পটা। প্রথমে ভেবেছিলাম শশাংকের সংশোধনাগারের অন্য কোন কয়েদীকে নিয়েই বুঝি গল্পটা।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
গল্পটা এগিয়ে নেয়ার ইচ্ছা তো অবশ্যই আছে, চেষ্টা করবো আমি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গল্পটি বন্ধ হলে তোমার নিস্তার নাই।
শুরুটা দারুন হয়েছে।
চলুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ রাজা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ উৎসাহের জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কথা না দিলেও আশা রাখছি পরের পর্ব পড়বো...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আন্দামান? আহ্, কালাপানি পাড়ি দিয়ে কল্পনার কিলার আইল্যাণ্ড না হোক, বাস্তবের পোর্ট ব্লেয়ার আইল্যাণ্ডে স্বদেশী বিপ্লবীদের আটকে রাখা সেই জেলটা দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। যেখানে সূর্যসেনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, বিনোদবিহারীদের বন্দী করে রাখা হয়েছিল (?)। কোলকাতা থেকে নাকি মাসে ৪টা জাহাজ আছে। ১২০০ নটিকাল মাইল। ৩ রাত ৪ দিন সাগরের পথ।
****************************************
সূর্যসেনকে তো জানতাম চট্টগ্রাম কারাগারে ফাঁসী দেয়া হয়েছিল। পরে তাঁর লাশ সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে সূর্যসেনকে যে ফাঁসীকাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল তা খুব সম্ভবত এখনও আছে। বিনোদবিহারী বলতে কি আপনি বিনোদবিহারী চৌধুরীর কথা বলছেন যিনিও চট্টগ্রামের লোক?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
থুক্কু, আমারই ভুল! আমি আসলে ক্ষুদিরামের কথা বলতে চেয়েছিলাম। তবে তাকেও আন্দামানে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত না। যাজ্ঞে, আসলে নির্দিষ্ট কোন নাম আমার উপ্রের কমেন্টে তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। আমি শুধু ২০ শতকের শুরুর দিকে আন্দামানের জেলে বন্দী, নির্যাতিত ও মৃত্যুমুখে পতিত বৃটিশ-বিরোধী বিভিন্ন স্বাধীণতা-আন্দোলনকারীদের স্মরণ করতে চেয়েছিলাম
****************************************
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হ্যাঁ, এখন ওটা তো টুরিস্টদের জন্য বেশ আকর্ষনীয় করে তোলা হয়েছে, বিমানও যাতায়াত করে, খুব বেশি একটা খরচও নাকি নেই শুনলাম, বন্ধু গিয়েছিলো, বললো দারুন একটা জায়গা। দ্বীপের আদিবাসী গোত্রগুলো নাকি এখনও আছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অনেক ছোটবড় দ্বীপের সমষ্টি। বিদেশিদের জন্য দক্ষিণের নিকোবর অংশে যাওয়া নিষিদ্ধ। আন্দামানের রাজধাণী পোর্ট ব্লেয়ার সহ আন্দামানের অন্যান্য দ্বীপে যেতে নামকাওয়াস্তে হলেও আলাদা পার্মিট লাগে বিদেশিদের। ওদের বিখ্যাত আদিবাসী জারোয়ারা মূলত নিকোবরেই থাকে। এদের সাথে যদ্দুর জানি এদের আদিম জীবনযাত্রাকে প্রোটেক্ট ও বিশুদ্ধ রাখার জন্য সরকারী নীতি অনুযায়ী "সভ্য" মানুষদের যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না।
বিমানের চেয়ে আমার কাছে সাগরপথে জাহাজে যাওয়াটাই বরং অনেক বেশি আকর্ষনীয় লাগে।
আচ্ছা, আপনি কি আপনার বন্ধুর কাছ থেকে বা অন্য কোন ভাবে জেনে নিতে পারবেন (আপনি কি এখনো ইন্ডিয়াতেই?) এই আন্দামানগামী জাহাজগুলির মান কেমন? এগুলি প্রকৃত সী-ওয়ার্দি ভেসেল, নাকি আসলে বড়োসড় লঞ্চ? বাংলাদেশের সেন্ট-মার্টিন্সে যেগুলি যায়, সেগুলি কিন্তু আসলে নদীর রুট থেকে তুলে আনা লঞ্চ, সী-ওয়ার্দি জাহাজ বা ভেসেল না। তবে মাত্র ৩৫-৪০ নটিকাল মাইল দূরে বিধায় তাতে তেমন কিছু আসে যায় না শীতকালের শান্ত সাগরে।
****************************************
না আমি এখন বাংলাদেশে তবে জেনে নেয়া যাবে সমস্যা নেই। আর আমি নিজে যতটুকু জানি ওগুলো আসলেই জাহাজ, আমাদের দেশেগুলোর মতো লঞ্চ নয়। তারপরেও আমি নিঃশ্চিত হয়ে নিবো আরেকবার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শুরুর দিকটা অনুবাদের মতো লাগলো। কি জানি, মাথায় হেনরী শ্যারিয়ার ঘুরছিলো কিনা! তবে পরে ভাষা বেশ সাবলীল হয়ে উঠেছে। আন্দামান সাগর নামটা সম্ভব হলে পালটে দিন। জেলখানা মানেই আন্দামান এটা একটু ক্লিশে লাগে। কয়েদীদের দিয়ে পাথর ভাঙানোর ব্যাপারটাও ক্লিশে। জেলখানায় বানানো যেসব জিনিস বিক্রি হয় সেগুলোতে স্টোন চিপ্স কি কখনো দেখেছেন? অথবা রাস্তা-ঘাট বানানোর জন্য জেলখানা থেকে স্টোন চিপ্স সরবরাহ করা হয়েছে বলে কি কখনো শুনেছেন?
যে অসম্পূর্ণ গল্প আর চলবে কিনা আপনি নিশ্চিত নন্ সেটা পাঠকের পাতে দেয়াটা কি ঠিক হলো?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
অনুবাদ নয়, তবে নিজের পড়া অনুবাদ গল্পগুলোর একটা প্রভাব রয়ে গেছে। আর আন্দামান সাগর বেছে নিতে চাইনি, তবে প্লট যেভাবে এগিয়ে নিতে চাইছি, তাতে অবস্থানগত সুবিধের জন্য এটাই দরকার ছিলো। তাই সাগর এর নাম পরিবর্তন করতে পারছিনা। আর পাথর ভাঙ্গার কাজ করানো হয় জেলখানার ভেতরের সংস্কারের জন্যই, জেলের পরিবর্ধন এবং দেয়াল তৈরিতে কাজে লাগে সেগুলো। আর গল্প আগে বাড়লে এই বিষয়গুলো পরিস্কার হবে।
গল্প যখন শুরু করেছি তখন সেটা শেষ করার দায়িত্বও আমার নিজের, এর আগেও গল্প আমি শেষ করেছি পর্ব হিসেবে। এটাও শেষ করবো আশা রাখি, তবে কিছু ব্যক্তিগত কারণে যদি গতি খুব বেশি মন্থর হয় কিংবা শেষ না হয়, তাই আগে থেকেই জানিয়ে রাখা। বিশেষ কিছু নয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শুরুতে কিছুটা অনুবাদের মত লাগছিল (যদি সত্যি অনুবাদ হত তো এটাকে "পরমোৎকৃষ্ট" বলতাম ), তবে ভাল লেগেছে। বর্ণনা কি গুয়াতানামো বের মত হল কিছুটা?
আপনি "দ্যা কাউন্ট অভ মন্টে ক্রিস্তো" চলচ্চিত্রটি দেখে থাকলে সেই কারাগারের সাথে মিল খুঁজে পেতে পারেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সেটাই মনে হচ্ছিলো। পছন্দের বই, চলচ্চিত্র
আমারও বেশ পছন্দের একটা চলচ্চিত্র এবং বই, তানিম ভাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অবশ্যই চলবে
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঘ্যাচাং----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলবে মানে , চলতেই হবে অরফিয়াসদা।
চালাতেই হবে দেখছি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভালো হয়েছে, শেষ করার পরও ঘষামাজা করার সুযোগ থাকবে। পাঠকেরা মারাত্মক সিরিয়াস চালানোর ব্যাপারে, লেখক দেখি খুব মজায় আছেন
লেখা শেষ না হলে দেখা-সাক্ষাতে সেটার একটা দীর্ঘস্থায়ী পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থেকে যাওয়া বিচিত্র নয় কিন্তু
যেমন ত্রিমাত্রিক কবি মশাই ফিরবেন বলে ফেরা হয়নি, চরম হতাশ করে ফেরেনি ‘সাহিত্যিক’, লিস্টিতে আরও আছে, মডু’দের কাছে শীর্ষ কথা-খেলাপিদের তালিকা প্রকাশের দাবী জানানো হইলো
ডরাইলাম তানিম ভাই, শেষ করতেই হবে তাহলে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভালো লেগেছে বন্ধু
অবশ্যই শেষ করবে।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ বন্ধু।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলবে মানে? দৌড়াবে---
দৌড় দৌড় দৌড় ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পপ্পন লয়া বৈলাম
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাবের জলপড়া দরকার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কিল্লাই?
..................................................................
#Banshibir.
মন দুব্বল !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনেকের মতই শুরুতে আমারও অনুবাদ মনে হচ্ছিল।
পরের পর্ব জলদি আসুক।
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভালো লাগলো । চলুক
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নিয়ে আমিও
অট- আচ্ছা সচলায়তন এ এমন কোন ব্যবস্থা নাই পরের পর্ব এলে কোনভাবে নোটিফায়েড হব? মেইল এ বা অন্য কোথাও?
ধন্যবাদ।
বুকমার্ক এবং নোটিফিকেশন দুটো সুবিধাই আছে, লেখার নিচে দেখবেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার কাছে চমৎকার লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
ধন্যবাদ ঘনুদা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন