[ছবি কৃতজ্ঞতা: দ্যা ডেইলি স্টার। চিত্রগ্রাহক: প্রবীর দাস।]
সরকার এবছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা পুরনো খবর। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে মতামতও এসেছে অসংখ্য। বর্তমানে এই সিদ্ধান্তটি কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি অংশ প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে, সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহব্বান জানিয়েছে এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখাও করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে জনগনের মতামত আসবে, তর্ক-বিতর্ক চলবে, প্রতিবাদ হবে এটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। জনগনের মত প্রকাশের অধিকার গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভগুলোর একটি। তবে আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কর্মসূচির পেছনেই রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য থাকে, কখনো কখনো সেটা রূপ নেয় সহিংসতায়। কিন্তু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়। এতে অংশ নিয়েছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এখন পর্যন্ত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে সহিংসতার কোনো খবরও আসেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই পারে। এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোর মধ্যে একটি। শুধু তাই নয়, এটি তাদের জীবন এর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর সাথেও জড়িত। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির অধিকার সকল সাধারণ নাগরিকেরই আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি জানমালের নিরাপত্তার প্রতি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এতে সরাসরি হস্তক্ষেপের কোনো কারণ দেখিনা। নিরাপত্তা প্রদান অবশ্যই তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিন্তু শান্তিপূর্ণ একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে হামলা করা কোনো সভ্য সমাজেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। এটি সাধারণ জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি চরম আঘাত।
আজকে দৈনিক ডেইলি স্টার এর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হওয়া এই চিত্রটি এরকমই একটি ঘটনা। "COPS OR CRIMINALS?" শিরোনামে ছাপা হওয়া এই ছবিটি দেখে আমি স্তম্ভিত, লজ্জিত, ক্ষুদ্ধ এবং ভীষনভাবে অপমানিত। আমি নিজেও একজন ছাত্র। একজন নিরপরাধ ছাত্রের উপরে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এরকম আক্রমন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। এই যুবকটিকে আমি চিনিনা। কোনদিন দেখিওনি। কিন্তু এই মানুষটির বিরুদ্ধে কতিপয় মানুষের নির্দয় আচরণ আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। এভাবে একজন মানুষকে দলবদ্ধভাবে বুটজুতা পায়ে কেউ লাথি মারতে পারে এটা ভেবে আমি শিউরে উঠেছি, আর তাদের হাতেই কিনা আমরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দিয়েছি??!! এহেন পাশবিক নির্যাতন যারা আইনের রক্ষক হয়ে করতে পারে তাদের আমি লাইসেন্সপ্রাপ্ত গুন্ডা ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারিনা। খাকি পোশাক পড়ে মানুষকে নির্যাতনের লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া এই মানুষগুলো নিজেরাও একসময় ছাত্র ছিলো ভাবতে অবাক লাগে!! এদের মধ্যে মানবিকতার ছিটেফোঁটাও বাকি আছে কিনা এই নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
চট্টগ্রামের নন্দন কাননে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে জমায়েত হওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে এভাবেই হামলা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাধারণ জামা-কাপড় আর স্যান্ডেল পড়া এই যুবকটিকে একদল পুলিশ এভাবেই নির্বিচারে মারধর করে। পরে তার সাথে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ৮ জনকে। যুবকটির হাতে নেই কোনো আগ্নেয়াস্ত্র, নেই কোনো লাঠি, এমনকি নেই কোনো ইটের টুকরো। কোনভাবেই এই যুবকটি কি জানমালের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ? যদি তা নয়, তাহলে শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অংশগ্রহণকারী এই যুবকটিকে এভাবে অত্যাচার করার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? যদি যুবকটি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিচার প্রচলিত আইনের মাধ্যমে হবে, কিন্তু তাকে গ্রেফতারের সময় এভাবে অত্যাচার করার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে? খাকি পোশাক গায়ে থাকলেই সাধারণ মানুষকে এভাবে অত্যাচার করার অধিকার পুলিশবাহিনীকে কোন আইনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে? সরকারের কাছে এর জবাবদিহিতা আশা করি আমরা।
দেশের মেধাবীরা সুযোগ পেলেই দেশের বাইরে চলে যায়। আর কখনো দেশে ফেরৎ আসতেও চায়না। এরকম অভিযোগ অনেকদিন ধরেই। কিন্তু দেশে থাকবে কোন আশায়? কোনো একদিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে কিংবা এভাবেই সরকারী গুন্ডাদের নির্দয় লাঠিপেটা আর লাথি সহ্য করতে?
মেডিকেলে ভর্তির ব্যাপারে যারা সরকারের হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা আমার থেকে অনেক বেশি জ্ঞানী মানুষ এ আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এহেন অত্যাচারের শিকার কেন হতে হবে? একজন সাধারণ নাগরিক যদি নিজের মত প্রকাশ না করতে পারে,সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ নাই করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রযন্ত্র আর গণতান্ত্রিক থাকে কি করে? যদি যেকোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এভাবে খাকি পড়া সরকারী গুন্ডা লেলিয়ে দেয়া হয় তাহলে সে দেশের নাগরিকদের অধিকার বলতে কি আর কিছু বাকি থাকে?
আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক আগেই নিজেদের কর্মগুণে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও তাদের সুনাম অনেক আগেই ছড়িয়ে পড়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বাহিনী হিসেবে পরিচিত হয়ে। কিন্তু এভাবে আর কতো? আজকে এই যুবকটির শরীরে যে লাথিগুলো পড়ল তার একটা লাথি যে এরপরে আমার কিংবা আপনার গায়েও পড়বেনা এর কি কোন নিঃশ্চয়তা সরকার দিতে পারে? সরকারের অধীনে থাকা পুলিশবাহিনীকে যদি সরকারই নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই দেশের জনগনের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার?
খালেদ মোহাম্মদ সাইদ, নামটি হয়তো হঠাৎ করে কারো পরিচিত মনে হবেনা। কিন্তু ২৮ বছরের এই যুবকের মৃত্যু সারা পৃথিবীর ইতিহাসে বেশ বড় এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। ২০১০ এর ৬ই জুন, এই যুবককে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরের একটি সাইবার ক্যাফে থেকে গ্রেফতার করে মারতে মারতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর নির্দয় ভাবে মারধর করে হত্যা করে তাকে। রাষ্ট্রযন্ত্রের এহেন অত্যাচারে চুপ করে থাকেনি অন্যরা। প্রতিবাদ শুরু হয়। "উই আর অল খালেদ সাইদ" নামে তৈরী হয় একটি ফেসবুক গ্রুপ আর ফেসবুক এবং টুইটারের কল্যানে তারুণ্যের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে পুলিশের অত্যাচারে বিকৃত হয়ে যাওয়া সাইদ এর মুখমন্ডলের ছবি। ব্যাস বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে। সেই আগুন শুধু মিশরেই থেমে থাকেনি। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিলো আশেপাশের দেশগুলোতেও। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বহুকাল ধরে চলে আসা একনায়কতন্ত্র আর রাষ্ট্রযন্ত্রের অত্যাচার দমনের তীব্র প্রতিবাদে একে একে পতন ঘটে বেশ কয়েকটি দেশের স্বৈরাচারী সরকারের। বর্তমানে প্রতিবাদের এই ঘটনাটি "আরব বসন্ত" নামে পরিচিত।
যদি আরব বসন্তের মতো ঘটনা থেকেও আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র শিক্ষা না নিয়ে থাকে, তাহলে হয়তো কিছুই বলার থাকেনা। সাধারণ জনগনের প্রতি অযথাই নির্যাতনের এরকম ঘটনাগুলিই মিলিত হয়ে একসময় চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একের পর এক এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। জনগনের অসন্তোষ ধীরে ধীরে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ক্রমশই লাগামছাড়া হয়ে যাওয়া এই গুন্ডাবাহিনীকে যদি সরকার সামলাতে ব্যর্থ হয় তাহলে আর একটি আগুন বসন্তের জন্ম যে হবেনা তার নিঃশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবে??
মন্তব্য
এই পুলিসরূপী পশুগুলোকে দ্রুত সাসপেন্ড করে বিচারের মুখোমুখি আনা হোক।
এদেরকে এবং এদের মতো সকলকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে অপসারণ করা হোক।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পুলিশ এবং রাজনীতিবিদরা ভুলে যায় যে তারা জনগণের চাকর, মালিক না।
জনগণ শক্ত হয়ে লাত্থি না দিলে এই মূর্খগুলোর আক্কেল হবে না কোনদিনই, আমরাই মার খেয়ে যাব,
কিন্তু ঐ যে আশা করি- একদিন ভোর হবেই। বর্বররাও সুসভ্য হবে।
facebook
আমাদের দেশের বর্বররা একটু অন্য জাতের, এরা দিনকে দিন আরও বর্বর হয়, কখনো সভ্য হয়না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দুই পুলিশকে নামকাওয়াস্তে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পড়লাম। ছবিতে তো কমপক্ষে চারজনকে দেখা যাচ্ছে।
সাময়িক বরখাস্ত তো বিনোদন ছুটির মতো!! বরখাস্ত থাকাকালীন সরকারী ভাতাও পাবে আবার ডিউটিও নেই। ওরকম সাময়িক বরখাস্ত তো প্রতিদিনই হচ্ছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মনে আছে টিভিতে অ্যাড দিত "ঢাকা মহানগরী পুলিশ আপনার বন্ধু"।
..................................................................
#Banshibir.
পুলিশ জনগনের বন্ধু এটা মনে হয় ফুলিশরাও বিশ্বাস করেনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আরব বসন্তের ভয় এই রাষ্ট্রের নেই। যে দেশে বিনা বিচারে ক্রস-ফায়ারের নামে মানুষ খুন হয়ে চললেও মানুষ থাকে নির্বিকার, সড়ক-নৌ পথে শয়ে হয়ে মানুষ মরে গলেও মানুষ থাকে ভাবলেশহীন, খুন-রাহাজানি নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা, সেখানে পুলিশ একজন মানুষকে বা ছাত্রকে পেটাচ্ছে সে তো তেমন কোন খারাপ কিছু নয়। পেটানোর কারণে একজন বা কয়েকজন মরে গেলেও কিছু হবে না। আমাদের সহ্য শক্তি অনেক। তাই আরব বসন্তের সম্ভাবনা অন্তত এই রাষ্ট্রে নেই সেটা মনে হয় আমাদের রাষ্ট্রপ্রতিনিধিরাও বেশ ভালো ভাবে জানে।
জনগনের চামড়া গন্ডারের থেকেও মোটা হয়ে গেছে। রপ্তানিযোগ্য!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাবনা নাই, কয়দিন পরে বুলেট প্রুফ হয়ে যাবে। সেইরকম সমাধানের দিকেই যাচ্ছি আমরা।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আরব বসন্ত হলে ও কি হবে?
ভয় হয় বসন্তের পরের কালবৈশাখীর
প্রায়ই পুলিশ এরকম ধিক্কারজনক কিছু ঘটনা ঘটায়। পুলিশের উপরভাগের কর্তাব্যক্তিরা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না কেন? তাদের নিজেদেরই তো ইম্প্রেসন নষ্ট হয় সাধারন মানুষের কাছে। আর এসব ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা দেখে মনে হয় না যে তাদের আগুন বসন্ত জন্ম হওয়া নিয়ে কোন ভয় আছে।
পুলিশের আবার ভাবমূর্তি ??!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সাধারণ মানুষ পুলিশকে কোন্ চোখে দেখে তা ওদের অজানা নয় । আবার এ নিয়ে ওদের কোন মাথাব্যথা আছে বলেও মনে হয় না । ভাল কিছু নেই এটা বলছি না, কিন্তু এই ঘটনাগুলো কোন ভালকেই আর ভাল রাখতে দেয় না । বারবার নেতিবাচক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ওদের প্রতি নেতিবাচক ধারণাকেই পাকাপোক্ত করে আসছে । এর দায়ভার ওদেরই ।
প্রথমে পিটিয়ে শিক্ষক মারলো, তারপরে কোর্ট প্রাঙ্গনে নারীর শ্লীলতাহানি করলো, এরপরে আবার এই !! আমার পরিচিত যারা আছেন পুলিশবাহিনীতে তাদের কাছে জানতে ইচ্ছা করে এখন আদৌ কোনো মানুষ ভর্তি করানো হয় নাকি?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বা যারা ভতিঁ হয় তারা আদৌ মানুষ থাকতে চায় না নাকি???
সকালে ছবিটি দেখার পর বেশ কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে বসে ছিলাম!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি প্রথমে ভাবলাম কোথাও বুঝি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে পরে খবর পড়ে তো স্তম্ভিত !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পুলিশ এ আমাদের অনেকেরই বন্ধু/পরিচিত আছে তারা কিভাবে দেখে এই ছবিটাকে বা এই লেখাকে জানতে ইচ্ছা করছে - আমারগুলো জানাব আপনাকে!
তারা জাত ভাইদের দোষ খুব একটা দেখবে বলে তো মনে হয়না !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাই, সবাই কমবেশী "স্ট্যাটাস ক্যুও" তে থাকতে চায়, কিন্তু আমাদের মত অদ্ভুত নির্বিকার জাতি মনে হয় খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিনই হবে।
আমারা নির্বিকার নই, আমরা পিঠ বাঁচিয়ে চলতে পছন্দ করি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পোশাকটা বদলানোর সাথেই বোধহয় এনারা মানবীয় সব আবেগ অনুভূতিগুলো খুলে রাখে। ক্রিমিনালও ক্ষেত্রবিশেষে মানুষ, কিন্তু পুলিশ গালি শুধুই 'পুলিশ' হওয়া উচিৎ! মোর হরিবল দ্যান আ ক্রিমিনাল!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পুলিশি এই বর্বর অত্যাচার কোনভাবেই সমর্থন করছিনা
যদিও চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানববন্ধনের পিছনে ছাত্রশিবিরের হাত আছে
------------------
বাপ্পীহায়াত
ছাত্রশিবির জুজুর ভয় দেখিয়ে আর কদ্দিন? আর তাতেও তো এই আচরণ জায়েজ হয়ে যায়না !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কিছুদিন আগে একটা ওরিয়েন্টেশনে আমদেরকে বলা হচ্ছিলো যে যে কোন সময়ে এবং যে কোন বিপদে সবসময় প্রথম পুলিশকে ফোন করতে। তারপরের কথাটাই ছিল "I know that for some country it’s not the case at all and perhaps police is the last person you want to call, but here cops are very trusworthy and very very dependable. So pealse don’t hegitate to inform or call them whenever you need to.” কথাটা হয়তো আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি কিন্তু লজ্জায় মাথাটা ঠিকই নুইয়ে এসেছিলো। আর কত লজ্জা পেতে হবে ক জানে!
বাংলাদেশ বললেই যেসব মন্তব্য শুনতে হয় দেশের বাইরে গেলে সেগুলো আসলেই অপমানজনক !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাংলাদেশ 'গণতান্ত্রিক-স্বৈরাচারী' রাষ্ট্র। এ ধরণের রাষ্ট্রে 'সরকার' তাদের মতের বিরুদ্ধে যাওয়া সকল মানুষদের দমন করবে, এটাই নিয়ম।
আমি সবচেয়ে অবাক হয় কোন ঘটনায়, জানো?
আরব বসন্তের মত আমাদের এখানেও বসন্তের সুযোগ এসেছিল। গত বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর হতে গত নির্বাচন পর্যন্ত। আমাদের বাংলাদেশী জনগণ আন্দোলনও করেছিল। তবে, সেই আন্দোলন রাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের স্বার্থে ছিল না, সেই আন্দোলন ছিল "লীগ vs. বিএনপি-জামাত"।
আমার প্রশ্ন জাগে, অধিকাংশ বাংলাদেশীদের মনে দেশ বড় নাকি দল বড়?
প্র-ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান কলোনিয়াল ধারণা থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমাদের দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কিন্তু কোনো সরকারের আমলেই ছিলোনা সেভাবে দেখতে গেলে। তবে তরুনদের ভোটে আগত এই সরকার যেধরনের আচরণ করছে তাতে সমাজের এই স্তরে তাদের নিজেদেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাইরে, রাস্তা ঘাটে এখন পুলিস দেখলে না দেখার ভান করে কাচুমাচু হয়ে পাশকাটিয়ে চলে যাই। সত্যি এদের এখন আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। আমার বন্ধুরা বলে, পুলিশের চেয়ে চোর-ছিনতাইকারী এরা ভাল, কারন এরা সব নিয়ে নিবে কিন্তু পুলিস তো শুধু নিয়েই ক্ষান্ত দিবে না, আমার ট্যাক্সের টাকায় খেয়ে-পড়ে আমাকেই পত্রিকার শিরোনাম করে ছাড়বে। এমনই এক দুর্ভাগা আমি!!!
দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণ দেখলে বোঝা যায় দেশের আইন-শৃঙ্খলার আসল পরিস্থিতি কি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সরকারের আরেকটি অবিবেচনাপ্রসূত সিধান্ত এবং তা নিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা।
আমি আর অবাক হইনা।
যখন আমাদের এর (যত রকমের কম্বিনেশন দেখলাম) চেয়ে ভাল সরকার নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই, পিঠ পেতে মার খাই আরকি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কতগুলি পশুর হাতে মানুষের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হইসে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
উদ্ভট উটের পিঠে চড়ে কোনদিকে যে রওনা দিয়েছেন আমাদের রাস্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা, সেটা বোধকরি খোদ ঈশ্বরও আন্দাজ করতে পারছেন না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো এই নীতিনির্ধারকদেরই অধীন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দানব তৈরী করেছে নিজেরাই এখন এই দানবের হাতে নাজেহাল হওয়ার অপেক্ষায় !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পুলিশ বা র্যাবকে দোষ না দিয়ে, সত্যিকার যারা দোষী তাদের দিকে হাত তুলে দেখান উচিৎ। সবার প্রথমে নিশ্চিত করা উচিৎ যে সবার মনে এই ধারনা যেন বদ্ধমূল হয় যে আইনের শাষন সবার প্রতি সমান ভাবে প্রযোয্য।
যখন খবরে দেখি - "after arrest of the Destiny fraud racket member Abul Kalam Azad, the police accorded him VIP treatment at the police station. An influential member of the current government reportedly called the Paltan Police station instructing them not to "show any rude behavior" with the arrested member of Destiny Group."
তারপর এটাও লেখা হয় - "no law in Bangladesh can keep any of the members of Destiny Group into prison, as their boss Mohammad Rafiqul Amin has "huge connections" with various influential figures in the government and the ruling party."
এখন আমি হাসিনা বা খালেদাকে ভালবাসবো আর পুলিশের ঘাড়ে সব দোষ চাপাবো - এটা হয় না।
সাইফ শহীদ
আমার মনে হয় পুলিশ বা র্যাব এর দোষের জন্য পুলিশ না র্যাবকেই দোষ দিতে হবে। একজনের দোষ আরেকজনকে দিয়ে তো লাভ নেই!! আর এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তো ছিলোনা বলেই জানি, সেখানে এধরনের হামলা তো গ্রহনযোগ্য নয়। আইনের রক্ষক বলে তো আর আইনের বাইরে নয়!! সরকার চলে টাকায়, সমাজে যার টাকা আছে তার সমাদর বেশি, এটা সারা পৃথিবীতেই। সরকার যে দেশের অর্থশালী অপরাধীদের কিছুই করবেনা এটা তো নতুন কিছু নয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছবিটা দেখে চোখে পানি চলে আসলো। এই ছেলেটি যদি সত্যিই কোনদিন ডাক্তার হতে পারে তাহলে পুলিশের প্রতি তার মনোভাব কেমন থাকবে ? সে কি প্রতিহিংসায় ভুগবে না ? আর যদি ভুগে তাহলে কি তাকে দোষ দেয়া যাবে ?
ছবিটি দেখে খুব ই মন খারাপ লাগছে। ছেলেটি আমার পরিচিত নয়, কিন্তু মনে হচ্ছে আমার ছোট ভাই, বা ভাস্তে অথবা ভাগ্নে। চোখের পানি লুকানো ছাড়া আর কি করতে পারি???
মনের রাজা টারজান/mahinaaa@ymail.com
নতুন মন্তব্য করুন