সেই আড্ডা

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ২৬/১০/২০১২ - ৫:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুলে থাকাকালীন খুব একটা বেশি আড্ডা হতোনা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ফলাফল বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যে সময়টা ছিল এক্কেবারে ফাঁকা তখন ধুমিয়ে আড্ডা দেয়া হতো। পুরনো ঢাকায় এক বন্ধুর বাড়ির ছাদের উপরে উঁচু একচিলতে জায়গায় বসে চলতো সেই মহাড্ডা। সবে বিঁড়ি ধরেছি তখন, বিষয়বস্তুহীন সেই আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে চরম ভাব নিতাম। কতো কি নিয়েই না চলতো কথোপকথন। মোড়ের পুরির দোকানে আলু কম কি বেশি, এই থেকে শুরু করে আম্রিকার গুষ্ঠিশুদ্ধ আলাপে চলে আসতো। বেশ বড়সড় একটা দল ছিলো তখন। কেউ গান গাইতো, কেউবা নিজের একদম নতুন ব্যর্থ ভাব বিনিময়ের কাহিনী শোনাত। হতো সবই। তারপরে রাত বাড়তেই গুটিগুটি পায়ে যে যার বাড়ির দিকে হাঁটা ধরতো। আড্ডার শুরুতে যোগ দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাদের হাঁটাটা যত দ্রুত থাকতো, ফেরার পথে থাকতো ততোটাই ধীর। সেই দিনগুলো চলে গেল খুব দ্রুত। এখনও মনে পড়ে সেই নোনায় ধরা ছাদ, তাতে গাদাগাদি করে বসে থাকা, মন কষাকষি। কখনো ঐ ছোট্ট ছাদেই লর্ডসের ক্রিকেট, কিংবা রঙ্গিন ঘুড়ি। পাশের বাসার মেয়েটির সাথে একটু চোখাচোখি, সলজ্জ হাসি। এসবই অতীত।

কলেজের প্রথমবর্ষে থাকাকালীন আড্ডার রেশটা তখনও ভালোভাবে আসেনি। নটরডেম এর হঠাৎ চিড়েচ্যাপ্টা হওয়া যাওয়া জীবন, সাথে "জীবনে দৌড় ছাড়া কিছু নেই" এর প্রথম উপলব্ধি। তখন কোনমতে ক্লাস শেষ করে বাসায় আসতে পারলেই যেন বাঁচা যেত। তার উপরে সাপ্তাহিক পরীক্ষা, স্যার এর পড়া আরও আরও কতো কি! কিন্তু তবুও ধীরে ধীরে আড্ডা জমলো। তাছাড়া উপায়ই বা কি? এক ক্লাস শেষ হয়ে আরেক ক্লাস শুরুর মাঝের যে কিছু মুহূর্ত মাত্র, ঐটুকু সময়েই কি কথাই না বলতাম আমরা! আর ছিলো মধ্যবিরতির সেই মূল্যবান দশ-পনের মিনিট। প্রাণখুলে আড্ডা হতো। ছোট ছোট দলে কিংবা মাত্র দু-তিনজনে। বন্ধুত্ব গাড় হচ্ছিলো এভাবেই।

দেখতে দেখতে দ্বিতীয়বর্ষ। ততদিনে শিখে গেছি কি করে সবকিছুকে উপেক্ষা করে নিজের মতো করে চলতে হয়। পরীক্ষা আছে? তাতে কি, ওতো থাকবেই। পড়া আছে? তাতেই বা কি, ওরকম তো থাকেই। তখন আমরা মাত্র স্বাধীন। পড়ন্ত বিকেলের আলোয় ক্লান্ত-শ্রান্ত আমরা তখন আড্ডা দিতাম রাস্তার মোড়ের চা-সিগারেটের দোকানে কিংবা আরামবাগ কলোনিতে বন্ধুর মেসের ছোট্ট একটা ঘরে। কখনো হেঁটে যেতাম বেইলি রোড পর্যন্ত, কখনও বা রিকশায় টি.এস.সি। দিনগুলো চলে যাচ্ছিল খুব খুব দ্রুত। কলেজে উঠার আগে কেউ একজন বলেছিল, "দেখো, কলেজের দুইবছর চোখের পলকে চলে যাবে"। সত্যিই তাই! আড্ডায় উজির মেরে মাত্রই রাজাকে কব্জা করে এনেছি তখন দেখলাম হঠাৎ একদিন সব বদলে গেল। সবাই খুব মনোযোগী হয়ে উঠলো, ফালতু সময় নষ্ট করার মতো হাতে বাড়ন্ত সময় কারো কাছেই আর রইলো না। স্রোতের টানে আমিও হাবুডুবু খেতে খেতে এগিয়ে চললাম। জীবনের পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে মেলাতে আমি হাঁফিয়ে উঠতাম কখনো কখনো। তখন ছুটে যেতাম আরামবাগ কলোনির সেই ছোট্ট ঘরে, যেখানে তিন চারজন মানুষ তাদের মূল্যহীন জীবনের কিছু মূল্যবান সময় হেলায় নষ্ট করে দিতাম। তারপরে আবার সেই দৌড়,দৌড়।

এরপরে বদলে গেল সবকিছু। দেশ ছেড়ে আরেকদেশে পড়তে গিয়ে দেখলাম, আশেপাশের মানুষগুলো ঠিক আগের মতো নয়। চলনে-বলনে কাছাকাছি হলেও এরা আমার মতো নয়। এরা জীবনকে চেনে অঙ্কের হিসেবে, নিক্তিতে মেপে নেয় সময়। এরা আড্ডাকে ফালতু সময় নষ্ট বলে মনে করে! কখনও একসাথে বসলেও ঘুরেফিরে প্রকৌশলী হয়ে মোটা অঙ্কের মাইনের একটা চাকরি ছাড়া এদের আর কোন কিছু নিয়েই কথা বলার থাকেনা। জীবন যান্ত্রিক, বুঝতে সময় লাগেনা মোটেও। তবুও খুঁজে নিলাম গুটিকয়েক আমার মতো ফাঁকিবাজ মানুষকে যারা ঘন্টার পর ঘন্টা বাজে বকে যেতে পারে অনায়াসে, বিনা ক্লেশে। ধীরে ধীরে ঐ নতুন পরিবেশেও মানিয়ে নেয়ার যুদ্ধটা আর যুদ্ধ রইলোনা।

তখন আড্ডা হতো ছাত্রাবাসের অনির্দিষ্ট কোন ঘরে, যখন যেমন। ঘর হতে দুরে এসে অপরিচিতের আপন হতে সময় লাগেনা। তাই দুই টাকার সিঙ্গারার সাথে চা হোক কিংবা শুধু চাটনি, আমরা লেগে থাকতাম, তর্ক করতাম, অযথা চিৎকার করে উঠতাম। কিন্তু প্রথমবর্ষ চলে যেতেই আবার ছিটকে গেল একেকজন, ছাত্রাবাসগুলোর একেক অংশে। তখন দল ছোট হয়ে কয়েকজন নির্দিষ্ট মানুষেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল, তাতে নতুন মুখ যোগ দিতো কদাচিৎ। আমরা তখনও রাজা-উজির মারতাম। গভীর রাতে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতাম পাঠাগারের বারান্দায় কিংবা ভলিবলের মাঠে, কখনোবা বাস্কি-গ্রাউন্ড। যেই রাতগুলোতে বিদ্যুৎ থাকতো না সেই রাতগুলোতে চলে যেতাম ছাদে কিংবা যমুনার উপরে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো সেতুতে। সেই রাতগুলোতে আমরা যান্ত্রিকতা ছেড়ে স্বপ্নবিলাসী হয়ে উঠতাম। আমাদের ভেতরের দ্বিতীয় স্বত্তারা সব বের হয়ে আসতো কবি, গায়ক,তার্কিক কিংবা শুধুই শ্রোতা হিসেবে। হোক না মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্যই।

সব বদলে যায়। তাই পরিচিত মুখগুলো বদলে গেল। সবাই জীবনকে সাজানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলো। জীবনের তাগিদে জীবনকে দেয়ার মতো ফুসরত কারো কাছেই আর রইলোনা। সবাই ইঁদুর দৌড়ে সামিল হয়ে একজন একজন করে সৈনিক হয়ে গেল। আমি তখনও হতে পারিনি কিছুই। তাই সময়ের অভাব ছিলোনা আমার। আমি তখনও হেঁটে যেতাম পাঠাগারের বারান্দায়, ভলিবলের মাঠে, বাস্কি-গ্রাউন্ডে কিংবা ভাঙ্গা সেতুতে, একা। এক সময় এই অধ্যায়েরও শেষ হলো। আমি পরাজিত আর একাই থেকে গেলাম।

দেশে ফিরে আর আগের মত আড্ডা জমেনা। সবাই ব্যস্ত নিজের জীবন নিয়ে। "আমরা" থেকে সবাই এখন "আমি" কে নিয়ে ব্যস্ত। রাস্তায় এখন হাঁটা দায়। গলির মুখে দাঁড়ালেও ধুলো আর ধোঁয়ার চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। আমার আড্ডা দেয়ার পুরনো জায়গাগুলো আর নেই, নেই পুরনো মুখগুলোও। সরল থেকে জীবনের জটিল সমীকরণগুলো মেলাতে মেলাতে গোপনে কখন নিজেরাই জটিল হয়ে গেছি। তাই কদাচিৎ একসাথে হলেও আমরা এখন আর আগের মতো গান গাইনা, হুল্লোড় করিনা। আমাদের অনির্দিষ্ট হাঁটার পথগুলোর দৈর্ঘ্য এখন অনেক কম।

বাড়ির ছাদে উঠা নিষেধ! তাই টেবিলের পাশের জানালা দিয়ে ইট আর লোহার জঙ্গলের মাঝে যে ছোট্ট এক টুকরো আকাশ দেখা যায় সেটাই প্রাকৃতিক বিনোদন।আকাশচুম্বী দালান বানাতে গিয়ে আকাশটাই আজ ঢেকে গেছে, চলে গেছে দৃষ্টিসীমার বাইরে। যন্ত্র দিয়ে ঘেরা জীবন যান্ত্রিক হবে এটাই অবশ্যম্ভাবী। তাই সব কিছুর পেছনে আমরা শক্ত কারণ খুঁজি। অহেতুক কিছু করার মতো ছেলেমানুষী আমাদের আর পোষায় না।

আমি তারপরেও নিয়ম করে অহেতুক আড্ডা দিই। গভীর রাতে, তারাদের সাথে, একা।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

শেষের অংশটুকু বাদ দিলে লেখা -গুড়- হয়েছে

অরফিয়াস এর ছবি

শেষের অংশটুকু কি খুব খারাপ হয়েছে? ইয়ে, মানে...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

খারাপ হবে কেন পাগলা, মন খারাপ করিয়ে দিল।

অরফিয়াস এর ছবি

মন খারাপ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আউটসাইডার এর ছবি

দারুণ। সবার গল্পই একই রকম।

চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কার লাইনে খাড়াইলা ভাই? সত্যপীরের?

অসাধারণ হৈছে। চলুক

আমার গল্পটা একটু আলাদা। আড্ডার দলের মানুষের সংখ্যা সময়ের সাথে কমছে খালি, এখন দুইজন আছি, আমি আর রুবাব পাগলা; দুইজনে ঘুইরা, উইড়া, আড্ডাইয়া বেড়াই। তবে জানি শীঘ্রই একা হতে চলেছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য........ মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

অরফিয়াস এর ছবি

না না, পীরসাব এর লাইনে দাঁড়ানোর সাহস নাইরে ভাই। তাঁর পানিপড়াতে যা একটু আধটু লিখি আর কি!

আড্ডায় মানুষের সংখ্যা কমবেই রে ভাই, এটাই নিয়ম। দেশের বাইরে গেলে ঐ সংখ্যা কমই থাকে শেষপর্যন্ত। মন খারাপ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আসলে তুমি যেই বিষয় নিয়া লিখ সেইখানে তুমি অসাধারণ আবার পীরসাব যেই বিষয়ে নিয়া লিখে সেইখানে সে অসাধারণ। পীরসাবের আরেকখান ক্যাটেগরি হৈতেছে কিছুদিন পরপর নস্টালজিক লেখা দিয়া আমাগো ভারাক্রান্ত কৈরা ফেলা; তাই কৈলাম তুমিও কী ঐ লাইনে খাড়াইলা! দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

কুমার এর ছবি

এক্কেরে মনের কথা কইছেন মৃত্যুময় ভাই।

অরফিয়াস এর ছবি

চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কুমার এর ছবি

অনেক মিল পাইছি বস। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আড্ডা যাদের মনেপ্রাণে তাদের আড্ডার সঙ্গীর অভাব হয়না, সঙ্গীরা বদলে যায়। আর আমার মত প্রৌঢ়দের আড্ডার সদস্যের সংখ্যা কমতে থাকে। তারা চলে যায়, না ফেরার দেশে। তা বলে কিন্তু আড্ডা থেমে থাকেনা, মাঝেমধ্যে পাত্র বদলায় বটে। আড্ডা ঠিকই চলে। আমি চলে গেলেও আমাদের এই আড্ডা চলবে, মনেহয়।
লেখাটা পড়ে দার্শনিক হয়ে উঠলুম। স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত হলাম। চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

কিছু কিছু সময় মনে হয় স্মৃতিচারণটা সব থেকে বড় আনন্দের যুগপৎ বেদনারও।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

দারুণ চলুক

একদিন ঠিকই তেলেভাজা আর ঝালমুড়ি সহকারে আড্ডা হয়ে যাবে। সাথে থাকবে ঝাঁঝালো সরিষা বাটা সহযোগে গরম চিতই পিঠা। অথবা সরিষা বাটার বদলে শুঁটকি ভর্তাই বা নয় কেন...

ঠিকাছে?

..................................................................
#Banshibir.

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

না গ্রম গ্রম চিতৈ পিঠার সাথে সরিষা বাটা বেশি ভালো লাগে না আমার; শুটকির মশলা বা ধৈনা পাতা ভর্তা, ঠিকাছে?

পুতুল এর ছবি

শুটকির মশলা বা ধৈনা পাতা ভর্তা, ঠিকাছে?

না, ঠিক নাই। চিতৈ পিঠার সাথে লাগে সিমের বিঁচি দিয়ে রান্না কঁচুশাক।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সত্যপীর এর ছবি

এইটা খাই নাই মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

পুতুল এর ছবি

কয় কী!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সত্যপীর এর ছবি

সিমের বিচি দিয়া কচুশাক খাইনাই মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

পুতুল এর ছবি

দেশে গেলে এইটা খাবেন বস। অমৃত।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

খাইশুই এর ছবি

খাঁটি কথা।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

মন খারাপ আমিও না.......তাইলে আড্ডায় এই আইটেম আয়োজন করার দায়িত্ব আপনি নিলেন.......done!

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

ঠিকাছে।

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

ঠিকাছে পীরসাব আপনে যা বলেন। হাসি খাওয়ায় আমার অরুচি নাই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পুতুল এর ছবি

বস আড্ড একটা খানকী পাড়া। সেখানে স্খলনের মতো যথেষ্ট বীর্য কোন আড্ডাবেজেরই থাকেনা। আড্ডা এতো মধুর যে, পিঁপড়ে মতো আড্ডাবাজরা সেখানে যাবেই। আড্ডায় যায় বুদ্ধের মতো মঙ্গলাকাঙ্খী নির্লোভ দার্শনিকেরা। আড্ডা একটি প্রতিষ্ঠান। আড্ডা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনে যা কিছু শিখেছি বা শিখিনি সব সঠিক/বেঠিক আড্ডার কারণে। আড্ডা যে মারে না বা মারে নাই, বীর্যস্খলনের আনন্দও সে ভোগ করে নাই। জয়তু আড্ডা, জয়তু আড্ডাবাজ।

একদম শেষ লাইনটা আমার ভাল লাগল না। একজন আড্ডাবাজ মানুষ বিষন্ন হবে কেন! আড্ডবাজের অভাব পরসে দুনিয়ায়? আরে এই সচলায়তনই তো এক বিশাল আড্ডাখানা। তবে তারাদের সাথে আড্ডাও একটা ভীষণ মজার ব্যাপার। খুব কম লোকেই তা জানে। আমি ব্যাপারটা আঁচ করতে পারি কারণ; দ্যা আমি লিটলপ্রিন্স পড়েছি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

সাংঘাতিক উপমায়ন!!! চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

উপমা তো সেইরকম লাগলো !! হাসি বিষন্ন কারণ মনের মতো আড্ডাবাজ এর বড় অভাব আমার চারিদিকে। সচলে আর খোমাখাতায়ই যা আড্ডা হয়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পুতুল এর ছবি

মনের মতো আড্ডাবাজ পাওয়া সত্যিই সহজ ব্যাপার না। আমিও বেশীর ভাগ সময় ভীষণ চুপচাপ আর নিড়িবিলি মানুষ বা অন্তরমূখী মানুষ। কিন্তু সঠিক আড্ডাবাজ পেলে মূখে কথার খৈ ফুটে। যেমন এখন। সচলায়তন আমার জন্যই আবাষ্কার হৈসে। না হলে এতো আড্ডাবাজ কোথায় পেতাম!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অরফিয়াস এর ছবি

এটা ঠিক। আড্ডাবাজি আসলে হয় সঙ্গের উপর ভিত্তি করে। লোকজন ঠিক থাকলে কথার খই ফুটবেই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঢাকায় থাকলে কোঞ্চিপা/ভ্যাঞ্চিপার আড্ডায় চলে আসুন। নিয়মিত লিখুক আর না লিখুক আড্ডার জন্য, ছোট রেঞ্জের ভ্রমণের জন্য সচলদের তুলনা নেই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

একসময় ঢাকার ধাঙড়পট্টিতে সান্ধ্যকালিন আড্ডায় দীর্ঘদিন উপস্থিত থেকেছি। সে সব গল্প বলবো একদিন।
সত্যিই সে আড্ডা ছিল নেশা ধরানো। আড্ডার পাত্ররা ছিলেন মূলত, সে সময়কার উঠতি কবি, সাহিত্যিক, গায়কেরা। প্রতিদিনই বসতো কবিতাপাঠ অথবা গানের আসর অথবা সাহিত্যালোচনা।

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাজি মামুন এর ছবি

পুরনো ঢাকার কোথায় আড্ডা দিতেন?
কলেজের দুইবছর সত্যি চোখের পলকে চলে যায়। আমার মতে, একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ডানা মেলতে শুরু করে, আর বাবা-মারাও বাঁধন খুলে দেন প্রায়। স্কুলে তুখোড় ফলাফল করা অনেককে দেখেছি এই সময়ে এসে মুখ থুবড়ে পড়তে, আত্মনিয়ন্ত্রণের আকস্মিক চাপ তাদের পক্ষে নেয়া সম্ভব হয়নি।

আমি তারপরও নিয়ম করে অহেতুক আড্ডা দেই। গভীর রাতে, তারাদের সাথে, একা।

আপনার তবু একটা ছাদ আছে, যেখান থেকে তারা দেখা যায়। অনেক বাড়ি আছে, যার ছাদ সংরক্ষিত শুধু বাড়ির মালিকের জন্য, সিংহভাগ ভাড়াটের প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে। আবার অনেক বাড়ির ছাদে ভাড়াটিয়াদের প্রবেশাধিকার থাকলেও তারা তারা দেখতে পায় না। আশেপাশের বিল্ডিংগুলোর পেটে চলে যায় সেখানকার সব তারা।
লেখাটি ভাল লেগেছে, কারণ লেখাটা কষ্ট দিয়েছে, কারণ সেইসব লেখাই পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, যা তাদের ভিতরের গভীর বেদনাকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়।

(পরিশিষ্ট: আজ ঈদ। একজন বাংলাদেশীর জন্য ঈদাড্ডাও তার জীবনের একটা বড় অনুষঙ্গ। এই ঈদাড্ডা নিয়ে কিছু লিখবেন নাকি? সচল পরিবারের সবাইকে জানাচ্ছি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। )

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

স্মৃতিচারণটা সবসময়ই মধুর। কোথায় যেন পড়েছিলাম, স্মৃতি হলো মুত সময়ের বমি। অথচ মাঝেমাঝে স্মৃতিগুলোই এই সময়টাকে ছাপিয়ে বেশী জীবন্ত হয়ে ওঠে। আমাদের সবার গল্প এখন সেই সুমনের গানের মতো

"হঠাৎ রাস্তায়, আফিস অঞ্চলে, পুরনো চেনা মুখ চমকে দিয়ে বলে.. বন্ধু কি খবর বল.."

অথচ, সেই পুরনো মুখে চেনা ফটোগ্রাফ ভাসে, কিন্তু পুরনো সুর বেসুরো লাগে। সম্পর্কে কেমন যেন একটা ফরমাল ভাব চলে আসে।

স্কুল লাইয়ে তেমন আড্ডা দেবার চান্স ছিল না, শুরুটা নটরডেম খেকে। ফকিরাপুল, আরামবাগ, শান্তিনগর এর রোদ ছাপিয়ে কমলাপুর রেলষ্টেশনের ছায়া সব কিছুই গায়ে মেখেছি। নটরডেমিয়ান সবাই জানে সেখানকার সিটিং সিস্টেম; খুব হিসেব করে মাসে এমন ভাবে (নাকি সপ্তাহে?) ক্লাশ মিস দিতাম যে, ক্লাশের ব্যাক বেঞ্চ পারমানেন্ট করে রাখতাম। অনেকে বলতো নটরডেম খুব কড়াকড়ি.. অথচ নটরডেম বোধহয় বেশ ফেক্সিবল ছিল; সব কিছুই নিজের হাতে ছিল। শুধু হিসেব করে চলা। (শুধু প্রতি সপ্তাহে সকাল বেলা ২টা কুইজ ছাড়া )।

এরপর ভার্সিটি লাইফ.. তুমুল আড্ডা.... প্রতি সেমিষ্টার শেষ হলেই ঢাকার বাইরে। এমনিকি শেষ এক্সামটাও দিতে যেতাম ব্যাগ গুছিয়ে। এখন পুরনো মুখের সাথে আড্ডা মানে মাঝে মাঝে ফেসবুক! মানুষ বড় হলে দুনিয়াটাও বড় হয়.. একে একে সবাই আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়.. আর আড্ডার দুনিয়াটা শুধু ছোট হয়ে আসে.. এতটাই ছোট যে মাঝে মাঝে মনে হয়.. এই যে.. কম্পিউটার টেবিল টাই তার শেষ বিন্দু!

স্মৃতিচারণটা ভালো লাগলো আপনার।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আড্ডার গল্প পড়তে ভালো লাগে। চুপচাপ পড়ে চলে যাই।
আড্ডার গল্প বলতে ভালো লাগে না।
আড্ডার মানুষগুলো বদলে গেছে।

অরফিয়াস এর ছবি

আড্ডার মানুষগুলো বদলে গেছে।

আসলেই তাই। মন খারাপ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

চলুক চলুক

তিথীডোর এর ছবি

চলুক
শেষাংশটুকু বেশি ভাল্লাগলো...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অরফিয়াস এর ছবি

রিফু খালি মন খারাপের জায়গাটুকুই ভালো লাগলে হবে?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
আড্ডাগুলোর রং মনে হয় সবখানেই এক। আপনার লেখা দেখে আমাদের আড্ডার দিনগুলোর কথা মনে পড়ল।

সাফিনাজ আরজু

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ কবি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সবজান্তা এর ছবি

আমার গল্পও অনেকটা আপনার মতোই। স্কুলে পড়া অবস্থায় বাসার বাইরে যেয়ে আড্ডা মারার তেমন অনুমতি ছিলো না, পাড়ার মধ্যেই টুকিটাকি যা আড্ডা। সেইটাও সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বাসায় আসার হুলিয়ার কারণে সুবিধা করতে পারতাম না। আপনার মতোই ডানাটা প্রথম মেললো কলেজে উঠে- নটরডেমের নিয়ম শৃঙ্খলার বেড়াজালের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে আড্ডা মেরে, সেই সাথে প্রতিটা টিচারের বাসা থেকে ব্যাচে পড়া শেষে আড্ডা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার তেমন কোন স্মৃতি নাই, শুধুই আড্ডা। মাঝে এমন একটা সময় ছিলো ক্লাস যখনই শেষ হোক, দুপুর বারোটা কিংবা বিকাল পাঁচটা- সন্ধ্যা সাতটার আগে ক্যাম্পাস ছেড়ে বের হতাম না। সাধারণত মানুষজন পাশ করার পর আড্ডারও বারোটা বেজে যায়, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম হলো না। বেশ দৌড়ের উপর থাকা একটা চাকরিতে ঢুকেও আমি আড্ডা দেওয়া ছাড়িনি। শাহবাগের প্রতি সন্ধ্যায় আমাদের এক জমজমাট আড্ডা ছিলো, আমরা নাম দিয়েছিলাম মাশরুমআড্ডা (আড্ডা যখন শুরু করি শাহবাগে তখন মাশরুম ভাজা বিক্রির জমাট ব্যবসা)। ধুন্ধুমার সেই আড্ডার লোভে পড়িমরি করে অফিস শেষে বাসে উঠতাম- মাঝে মাঝেই বসের অনুরোধ, ঝাড়ি ইত্যাদি উপেক্ষা করে। শুধুমাত্র যাতে অফিস শেষ হওয়া মাত্রই রওনা দিতে পারি, সেইজন্য অফিসে যেতাম সকালে প্রায় দেড় ঘন্টা আগে। এমনও দিন গিয়েছে, আড্ডা ভেঙ্গে যাওয়ার সময় হয়েছে, তবু আড্ডায় গিয়েছি- শুধু এককাপ চা আর সিগারেট খেয়ে উঠে এসেছি সবার সাথে।

এতো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যেই আমি আড্ডা মারা ছাড়িনি, সেই আমি-ই এখন আট-নয় হাজার মাইল দূরের এক শহরে বোকা হয়ে বসে থাকি। ঢাকাতে বাস ট্রাকের উৎকট হর্ন, গাড়ির ধোয়া, অদূরের ডাস্টবিনের গন্ধ, আচমকা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও তুমুল আড্ডা দিতাম আর এখানে এতো চমৎকার পরিবেশ আড্ডা মারার জন্য, কিন্তু আড্ডার কোন মানুষ নেই।

এখানে এসেই হার মানলাম হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

এটা ঠিক যে, নটরডেম জীবন আমার এখন পর্যন্ত জীবনের সেরা অংশ। জানিনা এর থেকে ভালো আর কোন সময় আসবে কিনা। জীবনে যে কজন ভালো বন্ধু পেয়েছিলাম সব এই সময়ে। ঐ স্মৃতি এখনও মনে পড়ে প্রায়ই। দেশ ছেড়ে গেলে আর হয়তো কোনদিন এভাবে একসাথে বসাও হবেনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

***********‌, এইসব মনে করায় দেস ক্যান!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অচল  এর ছবি

কত সুন্দর করে লেখছেন !!! পড়তেই কত ভাল লাগে। এক পলকে দশ বছর পিছনে আমার ক্যাম্পাসের এফএইচ হল এর তিন তলার ছাদে নিয়া গিয়া ফেলাইলেন। তখন নতুন গাঞ্জা খাওয়া শিখছি, কি আড্ডা !! কি সেই দিন!! কি জীবন !! মাঝে মাঝে নিজেই নিজের অতীতকে ঈর্ষা করি ।

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রংতুলি এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- রংতুলি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

নিয়ম করে অনিয়মের সাথে আড্ডা এখন আর খারাপ লাগে না... মানুষ বড় বিচিত্র...

অরফিয়াস এর ছবি

মানুষ আসলেই বিচিত্র।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার জীবন তো মোটামুটি ব্যর্থ! আমি জীবনে আড্ডামারা ছাড়া আর কিছু করছি বলে মনে হয়না!
আপনি তো ঢাকায় থাকেন বলে জানি। মাশ্রুমাড্ডায় যাননাই কখনো?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অরফিয়াস এর ছবি

মাশ্রুমাড্ডায় যাওয়া হয় নাই। আসলে আড্ডা মারার মোক্ষম সময়গুলো কোননা কোন কারণে একাই কাটাতে হয়েছে। আর আগের যেসব বন্ধুরা ছিলো তারা কেউই এখন এক জায়গায় নাই। বলতে পারেন আপাতত ব্যর্থ জীবনই কাটাতে হচ্ছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ওডিন এর ছবি

বুচ্ছি, আপনারে কোঞ্চিপায় আনতে হইবো। অমি ইরেগুলারলি রেগুলার অবশ্য।

আহেন মিয়া, একদিন একলগে তেঁতুলের শরবত খাই। অনায্য, এনকিদু আর সবজান্তা নাই। নতুন পাপী আসলে ভালোই লাগে। হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

একদিন আওয়াজ দিয়েন আমি তো সামনেই থাকি আসতে দেরি হবেনা। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনার্য, এনকিদু, সবজান্তা নাই। মেহদী মৃত। সুহান অর্ধমৃত। নিবিড় অনিয়মিত। মাশ্রুমাড্ডার কুলখানি হয়ে গেল তো! খেঁকু কি একা একা গিয়ে ভ্যাঞ্চিপায় বসে থাকে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অরফিয়াস এর ছবি

"ভ্যাঞ্চিপায় আসো ফিরে" আন্দোলন জোরদারের দাবি উত্থাপন করি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আন্দোলনে সংহতি হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খালি একটা ডাক দিয়া দেখেন কত্তজন লাইনে দাঁড়ায় যাবে নে............. দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

অরফিয়াস এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

জুন এর ছবি

কোঞ্চিপাতো চিনলাম মাগার ভ্যাঞ্চিপা কোনটা? চিন্তিত

এই লেখার লেখক একজন অতিশয় খ্রাপ লুক। মন খারাপ

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

অরফিয়াস এর ছবি

শয়তানী হাসি খাইছে

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আশালতা এর ছবি

আমি কোঞ্চিপা চিনি ভ্যাঞ্চিপা চিনি, তপোবঞ্চিপা এমনকি রতঞ্চিপাও চিনি! মু হা হা হা হা দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অরফিয়াস এর ছবি

অ্যাঁ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।