প্রাচীন মায়া সভ্যতা একটি অসাধারন অতীতের প্রমান বয়ে নিয়ে চলেছে। তাদের জোতির্বিদ্যা এবং গণিত সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং তাদের উন্নত সমাজব্যবস্থা সময়ের থেকেও যথেষ্ট উন্নত একটি সভ্যতার পরিচায়ক। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত নানা জ্ঞান তারা ব্যবহার করেছিল তাদের দৈনন্দিন জীবন-যাপনে। পৃথিবী এবং নানা গ্রহ-উপগ্রহের চক্র নির্ধারণ করে তারা নির্ণয় করতে শিখেছিল সময়। আর এথেকেই তারা নির্মান করেছিল এমনই দিনপঞ্জিকার, যাতে সময়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাবে সৌরবছর নির্ণয় করা সম্ভব।
মায়ান এই দিনপঞ্জিকার উপর ভিত্তি করেই নানা গল্প এবং পৃথিবী ধ্বংসের জল্পনা-কল্পনা গড়ে উঠেছে অনেক বছর ধরেই। আজকে যখন মানুষ আমার এই লেখাটি পড়বে তখন আর এক বারের মতো পৃথিবী ধ্বংসের জল্পনা-কল্পনা ব্যর্থ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কারণ শুরু হয়ে গেছে সেই দিন ২১-১২-২০১২।
তাই মায়ান দিনপঞ্জিকার গঠন প্রক্রিয়া এবং তাদের দিন-বছর গণনার হিসাবের উপর আজকের এই লেখাটি পড়ে অন্তত এটুকু জানার চেষ্টা করা যাক, ঠিক কি ভাবে এই সভ্যতার মানুষগুলো সময়ের এরকম নিপুন হিসাব করতে শিখেছিল।
ছবি- মায়ান দিনপঞ্জিকা
মায়া সভ্যতা মহাজগতের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে ১৭টি ভিন্ন ধরনের দিনপঞ্জিকার ব্যবহার জানতো। এগুলোর মাঝে কিছু কিছু ১০ মিলিয়ন বছর পুরনো এবং অত্যন্ত জটিল জোতির্বিজ্ঞান এবং গাণিতিক হিসাব সম্পন্ন। তারা চন্দ্র এবং সূর্য "গ্রহনের" সময় নির্ণয়ের পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিল এবং কক্ষপথে শুক্রগ্রহের ঘূর্ণন নির্ণয়ে সক্ষম ছিল।
দিনপঞ্জিকাগুলোর মাঝে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তিনটি। হাব (The Haab), তুন-উক্ (The Tun-Uc) এবং ত্জোল্ক'ইন (The Tzolk'in)। আবার এর মাঝে ত্জোল্ক'ইন ছিল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবসম্পন্ন।
হাব (The Haab) : পৃথিবীর ঘূর্ণনের হিসাবের উপর ভিত্তি করে গঠন করা হয়েছিল হাব। এতে দিনসংখ্যা ছিল ৩৬০+৫, মোট ৩৬৫ দিন। এই পঞ্জিকায় মাস ছিল ১৮টি যাতে প্রতি মাসে ২০ দিন করে হিসাব করা হতো। এই পদ্ধতিতে ১৯ তম মাসের নাম ছিল ভায়েব (a Vayeb), যেখানে ৫টি অতিরিক্ত দিন ব্যবহার করা হতো। এই অতিরিক্ত দিনগুলোকে বিপদজনক সময় হিসেবে চিহ্নিত করার পদ্ধতি ছিল। প্রতিটি মাসের নিজস্ব নাম কিংবা গ্লিফ ছিল, একইভাবে প্রতিটি দিনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট গ্লিফ বা চিহ্ন ব্যবহার করার রীতি ছিল।
তুন-উক্ (The Tun-Uc) : এটি ছিল চন্দ্র পঞ্জিকা। এতে ২৮ দিনের চক্র ব্যবহার করা হতো যেটি নারীর ঋতুচক্রের প্রতিফলন ছিল। ২৮ দিনের এই চক্রটি ৪টি ছোট চক্রে বিভক্ত করা ছিল, যাতে ৭দিন করে হিসাব করা হতো। এই ছোট চক্রগুলো চন্দ্রের চক্রের চারটি ভিন্ন পর্যায় বা অবস্থান।
ত্জোল্ক'ইন (The Tzolk'in) : এটি ছিল মায়াদের পবিত্র দিনপঞ্জিকা যা সেভেন সিস্টার্স (Pleiades) এর চক্রের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছিল। Pleiades এর ২৬,০০০ বছরের চক্র এই পঞ্জিকাতে ২৬০ দিনের চক্রে ব্যবহার করা হতো। এক্ষেত্রে পবিত্র সংখ্যা ১৩ এবং ২০ ব্যবহৃত হতো। ১৩ প্রকাশ করতো সংখ্যা এবং ২০ প্রকাশ করতো গ্লিফ। এই পঞ্জিকাতে চারটি ছোট চক্র ছিল যেগুলোকে বলা হতো মৌসুম। প্রতিটি মৌসুম ৬৫দিনের ছিল যা চারটি সূর্য - চিচ্চান (Chicchan), Oc (অক), Men (মেন) এবং Ahau (আহাউ) দিয়ে ঘেরা থাকতো। এই দিনপঞ্জিকাটি এখনও ঐতিহ্যবাহী মায়ান পঞ্জিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ত্জোল্ক'ইনকে ৩৬৫ দিনের সৌরচক্রের হাব পঞ্জিকার সাথে একত্রে ব্যবহার করা হতো। ৫২ বছর সময়ে এই দিনপঞ্জিকার একটি পূর্ণচক্র সম্পন্ন হতো।
প্রত্নতাত্বিকদের মতে মায়ানরা সময় গণনা করা শুরু করেছিল ৩১১৪ বি.সি থেকে। এটাকে ধরা হয় বছর শুন্য। দিন গণনার এই চক্রের শুরুকে লেখা হয় ০-০-০-০-০। ৩৯৪ বছরের ১৩টি চক্র সম্পন্ন হলে পরবর্তী নতুন চক্র শুরু হয়। যার শুরু হচ্ছে ২০১২ এ.ডি (১৩-০-০-০-০)।
ত্জোল্ক'ইনকে হাব পঞ্জিকার সাথে ব্যবহার করে ১৮,৯৮০ দিনের একটি পূর্ণচক্র হিসাব করা হতো। ৫২ সৌরবছর থেকে কিছু কম দিনের হিসাব ছিল এতে।
পরস্পরের সাথে সংযুক্ত দুটি আলাদা আলাদা গিয়ার ব্যবহার করা হতো ত্জোল্ক'ইন এবং হাব এর গণনার জন্য।এর ছোট চক্রগুলো একসাথে ২৬০ দিনের হিসাবে ব্যবহার করা হতো। আর ভেতরের দিকের চক্রটি যাতে ১-১৩ খোদাই করা থাকতো সেটি ২০ দিনের গ্লিফ খোদাই করা বাহিরের দিকের চক্রটির সাথে সংযুক্ত থাকতো। বড় চক্রটি, ৩৬৫ দিন অর্থাৎ ১৮ মাস, প্রতিটি ২০ দিন করে হিসাব করতো। অতিরিক্ত ৫দিনকে খারাপ হিসেবে দেখা হতো। এই পুরো ব্যবস্থায় যেকোন একটি দিন গণনা হয়ে গেলে নতুন চক্র শুরু হওয়ার আগে সেটি আর ফেরত আসতো না অর্থাৎ ১৮,৯৮০দিন (৫২ বছর) সম্পন্ন হওয়ার আগে আর ফেরত আসতো না।
কিন্তু সমস্যা ছিল ৫২ বছরের (ধরা যাক ১০০ বছর পরে) বেশি হিসাবে একটি নির্দিষ্ট দিন খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে কারণ এই হিসাবে একই তারিখ ৫২ বছর পরপর ফেরত আসতো। এর জন্য তারা আরেকটি দিন গণনার হিসাব উদ্ভাবন করে। এর মাধ্যমে তারা ১৮,৭২,০০০ অর্থাৎ প্রায় ৫,১২৫.৩৬ সৌরবছরের মাঝে যেকোন একটি নির্দিষ্ট দিন আলাদা করে বের করতে সক্ষম ছিল। এর জন্য তারা ২০ ভিত্তিক (Vigesimal) সংখ্যা গণনার পদ্ধতি ব্যবহার করতো।
এই পদ্ধতিতে মায়ানরা বিভিন্ন জিনিস এর হিসাব করলেও দিন গণনার ক্ষেত্রে এই হিসাবের কিছুটা পরিবর্তিত রূপ ব্যবহার করতো। একটি বিশুদ্ধ Vigesimal পদ্ধতিতে গণনার ক্ষেত্রে সকল সংখ্যাকে অবস্থানের ভিত্তিতে ২০ এর ভিত্তিতে হিসাব করা হয়।
যেমন-
২.৩.৪ = ২x২০x২০ + ৩x২০ + ৪x১ = ৮৬৪
১১.১২.১৩ = ১১x২০x২০ + ১২x২০ + ১৩x১ = ৪৬৫৩
১.৩.৫.৭ = ১x২০x২০x২০ + ৩x২০x২০ + ৫x২০ + ৭x১ = ৯৩০৭
কিন্তু দিন গণনার ক্ষেত্রে অবস্থানের ভিত্তিতে মায়ানরা একক স্থানের মান ১, দশক স্থানের মান ২০ হিসাব করলেও শতক স্থানের মান ২০x২০ (=৪০০) হিসাব না করে ১৮x২০ (=৩৬০) হিসাব করতো। পরবর্তী অবস্থানে হিসাব এভাবে চলতে থাকতো যেমন- ৭,২০০ (২০x১৮x২০) ইত্যাদি। এরকম একটি পদ্ধতিতে গণনা হতো এভাবে-
১১.১২.১৩.১৪.১৫ = ১১x২০x২০x১৮x২০ + ১২x২০x১৮x২০ + ১৩x১৮x২০ + ১৪x২০ + ১৫x১ = ১৬,৭৫,৩৭৫
মায়া দিন গণনার পদ্ধতি ২০ ভিত্তিক সংখ্যা গণনার একটি পরিবর্তিত রূপ যেখানে একটি নির্দিষ্ট দিন ৫টি অবস্থানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো। যেমন- ৯.১১.১৬.০.০।
দিন গণনার পদ্ধতিতে মায়ানরা হিসাব করতো এভাবে-
১ কিন (kin) = ১ দিন
১ উইনাল (uinal) = ২০ কিন (kin) = ২০ দিন
১ তুন (tun) = ১৮ উইনাল (uinal) = ৩৬০ দিন
১ কাতুন (katun) = ২০ তুন (tun) = ৭,২০০ দিন
১ বাক্তুন (baktun) = ২০ কাতুন (katun) = ১,৪৪,০০০ দিন
দিন গণনার জন্য ৫টি অবস্থানের গণনা ছিলো দীর্ঘ গণনার পদ্ধতি। অর্থাৎ বাক্তুন.কাতুন.তুন.উইনাল.কিন।
অর্থাৎ, ৯.১৫.৯.০.১ দিনটি গণনার পদ্ধতি হচ্ছে-
৯ বাক্তুন, ১৫ কাতুন, ৯ তুন, শুন্য উইনাল, ১ কিন।
৯x১,৪৪,০০০ + ১৫x৭,২০০ + ৯x৩৬০ + ০x২০ + ১x১ = ১৪,০৭,২০১ দিন।
মায়াদের দিন গণনার মূল/শুরুর দিনটি ছিল ০.০.০.০.০।
এই হিসাবে মনে হতে পারে যে বাক্তুন এর হিসাব আগে বাড়তে থাকবে কিন্তু মায়া সভ্যতায় ১২ বাক্তুন এর পরে অর্থাৎ ১৩.০.০.০.০ এর পরে আর আগে কোন বাক্তুন পাওয়া যায়না। ধারণা করা হয় যে, এর কারণ হচ্ছে, ১৩.০.০.০.০ এর পরে নতুন একটি পূর্ণচক্রের হিসাব শুরু করার ব্যবস্থা ছিল। অর্থাৎ আবার ০.০.০.০.০ থেকে নতুন করে শুরু, ১৩ বাক্তুনকে সর্বোচ্চ চক্র কিংবা এক মায়া যুগ হিসাবে ধরা হয়। যা ১৩x১,৪৪,০০০ = ১৮,৭২,০০০ দিনের সমান অর্থাৎ প্রায় ৫১২৫.৩৭ সৌরবছর।
পবিত্র দিনপঞ্জিকা - ত্জোল্ক'ইন
ছবি- ত্জোল্ক'ইন
এই পঞ্জিকাতে ২৬০ দিনের (১৩x২০) চক্র ব্যবহার করা হতো। যাতে ১ থেকে ১৩ সংখ্যার হিসাব ব্যবহার করা হতো আর দিনের নাম ব্যবহার করা হতো ২০টি। ক্রমানুসারে-
১. ইমিক্স (Imix')
২. ইক (Ik')
৩. একবাল (Ak'b'al)
৪. কান্ (K'an)
৫. চিক্চন (Chikchan)
৬. কিমি (Kimi)
৭. মানিক (Manik')
৮. লামত (Lamat)
৯. মুলুক (Muluk)
১০. অক (Ok)
১১. চুবেন (Chuwen)
১২. ইব (Eb')
১৩. বেন (B'en)
১৪. ইকস (Ix)
১৫. মেন (Men)
১৬. কিব (Kib')
১৭. কাবন (Kab'an)
১৮. এত্জ্নাব (Etz'nab')
১৯. কাবাক (Kawak)
২০. অজব (Ajaw)
১৩ ত্জোল্ক'ইন দিনের সংখ্যা ২০ ত্জোল্ক'ইন দিনের নামের সাথে ব্যবহার করে ২৬০ দিনের চক্র হিসাব করা হতো।
মায়ানরা কেন ২৬০ দিনের চক্র ব্যবহার করলো এর পেছনে অনেক কারণ হতে পারে। তবে সব থেকে গ্রহনযোগ্য কারণ এদের জোতির্বিদ্যা সম্পর্কে উন্নত জ্ঞান এবং গাণিতিক দক্ষতা। ২৬০ দিনের চক্র বেশ কিছু মহাজাগতিক ঘটনার সাথে মিলে যায় এটা তারা আগেই বুঝতে পেরেছিল, যেমন গ্রহন-বছর। আরেকটি তত্ত্ব অনুযায়ী মায়া সভ্যতায় দুটো সমাজব্যবস্থা ছিল যাদের একপক্ষ ব্যবহার করতো ১৩ দিনের সংখ্যা হিসাব আরেকপক্ষ হিসাব করতো ২০ দিনের নামের হিসাব। এই দুটো সমাজব্যবস্থাই যখন একত্রিত হয় তখন দুটো গণনা পদ্ধতি এক করে এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু হয় যাতে কোন পক্ষেরই কোন সমস্যা তৈরী না হয়। মায়াদের ১৩ জন দেব-দেবীর সংখ্যা থেকেই দিন গণনার ক্ষেত্রে ১৩ সংখ্যাটি পবিত্র হিসেবে ধরা হতো এই ধারণা করা হয়।
সাধারণ নাগরিক দিনপঞ্জিকা - হাব
এই দিনপঞ্জিকাটি অনেকটা আমাদের বর্তমান যুগের পঞ্জিকার মতো। এখানে মাস হিসেবে দিনের গণনা হতো এবং ৩৬৫ দিনের হিসাব করা হতো। কিন্তু পার্থক্য ছিল যে, এতে ছিল ১৮ মাস আর তাতে ২০টি করে দিন এবং শেষে ১৯ তম মাসে ৫টি অতিরিক্ত দিনের হিসাব।
ছবি- হাব
১৮টি মাসের তালিকা ক্রমানুসারে নিম্নোক্ত-
১. পপ (Pop)
২. বো (Wo')
৩. সিপ (Sip)
৪. সত্জ (Sotz')
৫. সেক (Sek)
৬. ক্ষুল (Xul)
৭. ইয়াকিন (Yaxk'in')
৮. মল্ (Mol)
৯. চেন (Ch'en)
১০. ইকস (Yax)
১১. সাক্ (Sak')
১২. কেহ্ (Keh)
১৩. মক্ (Mak)
১৪. কান্কিন (K'ank'in)
১৫. মুওয়ান (Muwan')
১৬. পাকস (Pax)
১৭. কয়ব (K'ayab)
১৮. কুম্কু (Kumk'u)
১৯. ভায়েব (Wayeb')
৫টি অতিরিক্ত দিনকে বলা হতো ভায়েব অর্থাৎ "নামহীন"। এই পাঁচটি দিনকে খারাপ মনে করা হতো। কোন ধরনের ভালো কাজ (যেমন-বিবাহ) এই পাঁচ দিনের মাঝে করা হতো না। এই ৩৬৫ দিনের চক্র ৩৬৫.২৪২২ অর্থাৎ গড় সৌরবছরের সমান ছিল।
মায়া ইতিহাসে প্রথম পপ কে লেখা হতো শুন্য পপ এবং শেষ পপকে লেখা হতো ১৯ পপ হিসেবে।
মায়া দিনপঞ্জিকা চক্র
ত্জোল্ক'ইন এবং হাব এই দুটি গণনা পদ্ধতি এক করে যে দিন গণনার পদ্ধতি ছিল তাতে দিনের হিসেব চলতো পাশাপাশি চক্রে ক্রমানুসারে নিম্নরূপ-
ত্জোল্ক'ইন তারিখ
১০.বেন
১১.ইকস
১২.মেন
১৩.কিব
১.কাবন
২.এজ্নাব
৩.কাবাক
৪.অজব
৫.ইমিক্স
৬.ইক
৭.একবাল
৮.কান্
...........
১২.ইমিক্স
১৩.ইক
১.একবাল
২.কান্
৩.চিক্চন
৪.কিমি
৫.মানিক
৬.লামত
মুলুক
...........
হাব তারিখ
১১.কয়ব
১২.কয়ব
১৩.কয়ব
১৪.কয়ব
১৫.কয়ব
১৬.কয়ব
১৭.কয়ব
১৮.কয়ব
১৯.কয়ব
০.কুম্কু
১.কুম্কু
২.কুম্কু
...........
১৯.কুম্কু
০.ভায়েব
১.ভায়েব
২.ভায়েব
৩.ভায়েব
৪.ভায়েব
০.পপ
১.পপ
২.পপ
...........
যেহেতু, ২৬০ = ৪x৫x১৩ এবং ৩৬৫ = ৫x৭৩, ত্জোল্ক'ইন/হাব এর মূল তারিখটি ৪x৫x১৩x৭৩ = ১৮,৯৮০ দিন পরে পুনরায় আসতো। এই ১৮,৯৮০ দিনের একটি সম্পূর্ণ চক্রকে মায়া দিনপঞ্জিকা চক্র বলা হয়ে থাকে।
ছবি- দীর্ঘ গণনার দিনপঞ্জিকার কর্মপদ্ধতি
দিন গণনা চলতো এভাবে-
৮.১১.৭.১৩.৫ = ৩ চিক্চন ৮ কান্কিন
১০.১.১৯.১৫.১৭ = ১২ কাবন ০ ইকস
১০.৩.৮.১৪.৪ = ৬ কান্ ০ পপ
১০.৬.২.০.৯ = ৯ মুলুক ৭ ইকস
১০.৬.১০.১২.১৬ = ৩ কিব ৯ বো
একটি নির্দিষ্ট ত্জোল্ক'ইন/হাব তারিখ ১৮,৯৮০ দিন পর পর ফেরত আসতো। কিন্তু দীর্ঘ গণনার একটি (০.০.০.০.০-১৩.০.০.০.০) দিন ফেরত আসতো ১৮,৭২,০০০ অর্থাৎ ৫,১২৫.৩৭ বছর পর পর। আর এদুটোর সমন্বয়ে গঠিত গণনা পদ্ধতিতে কোন একটি নির্দিষ্ট দিন ফেরত আসতো ১৩,৬৫,৫৬,০০০ দিন অর্থাৎ ৩,৭৪,১৫২ বছর বা ৭৩ মায়া যুগ পর পর !!
মায়া দিনপঞ্জিকার হিসাবে প্রাপ্ত নিম্নোক্ত দিনগুলো এরকম-
মায়ান দিনপঞ্জিকার শুরু (দীর্ঘ গণনা চক্র) : ০.০.০.০.০ [ ৪ অজব ৮ কুম্কু] অর্থাৎ আগস্ট ১০, ৩১১৩ বি.সি
মায়ান দিনপঞ্জিকার শেষ (দীর্ঘ গণনা চক্র) : ১৩.০.০.০.০ [ ৪ অজব ৩ কান্কিন] অর্থাৎ ডিসেম্বর ২১, ২০১২ এ.ডি
ধারণা করা হয় যে, মায়ান দিনপঞ্জিকার শুরু নির্ধারণ করা হয়েছিল এর শেষের দিন এর হিসাব নির্ধারণ করে যা ডিসেম্বর ২০১২ এর সূর্যের অয়ন (Solstice) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। এতে দুটো কোরিলেশন ফ্যাক্টর ব্যবহার সম্ভব ৫৮৪২৮৩ এবং ৫৮৪২৮৫। যদি জোতির্বিদ্যা সম্পর্কে উন্নত জ্ঞান এবং গাণিতিক দক্ষতার কারণে, মায়ানরা ৫৮৪২৮৩ কোরিলেশন ফ্যাক্টর এর হিসাব অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকে তাহলে ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২ কে তাদের চক্রের শেষ দিন নির্ধারণ করেছিল।
এই দিনে মিল্কিওয়ে সূর্যের গ্রহণরেখা অতিক্রম করবে। মায়ানদের কাছে মিল্কিওয়ে ছিল পবিত্র বৃক্ষ কিংবা পৃথিবী বৃক্ষ। তাই মিল্কিওয়ের গ্রহণ রেখা অতিক্রম করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মায়ানদের কাছে।
কিন্তু আবার দেখা গেছে, মায়ানরা যদি কোরিলেশন ফ্যাক্টর ৫৮৪২৮৫ ব্যবহার করে থাকে তাহলে ২৩শে ডিসেম্বর, ২০১২ হচ্ছে চক্রের শেষ দিন যা আদতে গুরুত্বহীন। হতে পারে যে মায়ানরা সূর্যের গ্রহণরেখা অতিক্রমের সময় হিসাব করে কাজটি করেছিল তাই দিনটি নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২, কারণ এদিনেই সূর্য ১১:১২ সময়ে Southern solstice অতিক্রম করবে। দিন রাত সমান হওয়ার এই বিষয়টি হয়তো তারা সঠিকভাবে জানতো এবং একারণেই এই দিন-ক্ষনকে নির্ধারণ করেছিল তাদের চক্রের শেষ দিন এর জন্য।
কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে কোন উপসংহারেই যাওয়া সম্ভব নয়। তবে পৃথিবী ধ্বংস সংক্রান্ত সেসব ধারণা কিংবা গল্প উঠে এসেছে তার আসলেই কোন গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই।
সুপ্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস সবসময়েই মানুষকে আকৃষ্ট করে, পূর্বপুরুষদের ইতিহাস সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ প্রাচীনকাল থেকেই ছিল। প্রত্নতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা আবিষ্কার করে চলেছি আমাদের অতীতের নানা চিহ্ন। এভাবেই হয়তো একদিন আমরা পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব সমাজের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আবিষ্কারে সক্ষম হবো। সেই লক্ষ্যে জ্ঞানের চর্চা চলুক অবিরাম।
তথ্যসূত্র-
১. Strange Artifacts: The Aztec & Mayan Calendar by World Mysteries.com
২. Project Mayan Calendar, Prepared for: Assoc Professor Helmer Aslaksen [National University of Singapore]
৩.উইকিপিডিয়া
* অন্যান্য তথ্যসূত্রের লিঙ্ক, ছবি এবং লেখায় সংযুক্ত
মন্তব্য
দারুন! অনেক সাধুবাদ মায়ান দিনপঞ্জীর উপর এরকম পরিশ্রমী এবং তথ্যবহুল লেখা উপহার দেবার জন্য। আশা করি এই লেখার মাধ্যমে মায়া সভ্যতা সম্পর্কিত মিথগুলো মাথা থেকে দূর হবে অনেকের। শেয়ার করলাম।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে লেখাটি পড়ে দেখার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইসব বলে কোন লাভ নেই বুঝলেন। আপনাড়া নাষ্টিক লুকজন খুব খ্রাপ। মায়ান ক্যালেন্ডার তো সত্যি। কোন সন্দেহ নেই এতে।
দেখেন আজ একুশ তারিখ। তাই পৃথিবী ধংস হয়ে গেছে। আমি মারা গেছি। আখিরাত জায়গাটা কিন্তু বেশ মজার
হুরপরী আছেতো ৭২টা ??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনিতো আসলেই লুক খ্রাপ! আখিরাত নিয়েও মস্করা করেন! জানেন না, নাষ্টিকদের জন্য কোন হুর নাইক্যা, আপনার জন্য এখানে অপেক্ষা করছে বিশাল বিশাল আগুনের চুল্লি (আল্লাহ দেখলাম পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে), গলন্ত পুঁজ আর আরো জানতে চাইলে বুখারি, সহিহ হাদিস পইড়া নেন।
খাইছে !!! গল্লিপ সিরকেট নাই ?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চমৎকার তথ্যবহুল লেখা, সব টাইমলাইনে ২১/১২/১২ র ২৩:৫৯ বাজার পরে মানুষজন পৃথিবী ক্যান ধ্বংস হইল সেই নিয়া যখন ফেবুতে কান্নাকাটি করবে তখন তাদের মুখের উপর ছুড়ে মারার জন্য ভাল একটা বাংলা লেখা পাওয়া গেল
হে হে, ছুড়ে মারলেই কি আর পড়ে দেখবে রে ভাই ??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সেটাও কথা, এখন ফেবুতে ঢোকা যাচ্ছেনা কান্নাকাটির ঠেলায়, চোখের পানি মুছবে নাকি পড়বে!?!?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাব্বা, বড়ই জটিল ও কঠিন বিষয়। মাথাটাই গুলিয়ে গেছে।
একটি অতি উত্তম কাজ। বাহবা দেই আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সেইরাম!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম কিন্তু পিথিমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না কিছুতেই ক্লান্ত হয়ে তাই ঘুমোতে চলে যাচ্ছি এটা শেয়ার দিয়ে
চমৎকার লেখা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আমি তো পিথিমি ধবংস হবেনা জেনেই লেখাটা শুরু করেছিলাম !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মাথা গুলিয়ে গেল যে!
সাব্বাশ লেখা , দারুণ পরিশ্রমী লেখক তো তুমি! যাও, কাল মানে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস না হলে তোমার গলায় ঝুলাবার জন্য খোদ মেক্সিকোর মায়াদের তৈরি একটা স্পিশাল জিনিস পাবা, তোমার লেখাটা পড়ে খুব উদার হতে ইচ্ছে করল
এবার গুয়াতেমালার জঙ্গলে যে নতুন মায়ান ক্যালেন্ডার পাওয়া গেছে সেটা নিয়ে একখান লেখা ঝাড় জলদি-
facebook
এই যে পরিশ্রম করলাম দেখে গলায় ঝোলানোর ইস্পিশাল জিনিস পাওয়া যাচ্ছে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুন!
অনেক ধন্যবাদ - পড়ে কিছু নতুন তথ্য জানলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মাথাও মায়া ক্যালেন্ডারের মত গোল গোল ঘুরা আরম্ভ করলো!!
আমি আগেই বলছিলাম সব ধান্দাবাজদের ধান্দাবাজি, এইবার হলো তো...
হা হা হা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম্ম, বিশমিক পদ্ধতি (২০ ভিত্তিক গণনা) আমাদের দেশের সাঁওতালদের ভিতরেও প্রচলিত (অন্যান্য মুন্ডা-উদ্ভুত ভাষা-ভাষীরাও এইভাবে নাকি গণনা করে থাকে)। মায়ানদেরও যে একই সিস্টেম জানতাম না। ইন্টারেস্টিং লেখা।
সাঁওতালদের ব্যাপারটা জানতাম না, ধন্যবাদ তথ্য সংযোজন এর জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আরেকটা দেখলাম
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মায়ান ক্যলেন্ডার নিয়ে এমন তথ্যবহুল লেখা বাংলাতে আমি আগে পাইনি । আপনি যত্ন করে হাব এর ছবিগুলিও দিয়েছেন ।বেশ কিছু ডকুমেন্টারি আছে এর উপরে National Geographic এর যা আমার খুব ভালো লেগেছে । আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো ! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন ভালো একটা কাজের জন্য। .
ধন্যবাদ আপনাকেও, ইভা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সকাল সকাল মাথাটা এইরম গুলাইয়া দিয়া কি ঠিক করলেন ভাইয়া ?
জানেন না, আমি অঙ্কে কাঁচা।
তিন নম্বর কাপ চা খাইতেছি।
তয় হ্যাঁ, যা খাটা খাটি করছেন ভাইয়া তার কোন জবাব নাই।
দারুণ পোষ্ট। পাঁচতারা।
হে হে, আমিও তো অঙ্কে কাঁচা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চমৎকার অনেক কিছু জানা হল! খিপিঠাপ!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হে হে, এই আর কি !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইডা কি বস্তু ভাই
একটু অ্যাক্সেন্ট লাগাইয়ায়া কইলাম আরকি - 'কিপ ইট আপ'
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সালাম তোমায় সালাম জানাই
মায়ান সভ্যতা,
আজকে নাকি এই পৃথিবী
ধ্বংশ হবার কথা!
কিন্তু দেখ বেঁচে আছি!
করছি অসভ্যতা?
ছড়া ভালো পেলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কী পরশ্রমীরে বাবা!!
_____________________
Give Her Freedom!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুণ!!!
ধন্যবাদ স্যাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মায়ানদের সম্পর্কে কোনো ব্লগে একবার পড়ছিলাম কিন্তু সেটা ছিল গোবেচারা টাইপের…
আর আপনারটা দারুণ হইছে… অনেক তথ্যবহুল কিন্তু গাণিতিক হিসাবগুলো ভালো করে বুঝিনি…
আর একদিন ভাল করে বুঝমুনে না হলে বন্ধুদের কাছে জ্ঞান ফলাব কিভাবে…?
কষ্ট করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ…
এখানে দেয়া গাণিতিক হিসাবগুলো বেশি কিছুনা সাধারণ গুন আর যোগ, ঠান্ডা মাথায় দেখলে হয়ে যাবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মায়ানদের ক্যালেন্ডারে ফুলদানি সাজিয়ে রাখা রেখে দেয়া ছাড়া আর কিছু ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছিনা।
''দিবাকর''
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মায়ানদের চিন্তাধারা অত্যন্ত জটিল। এতক্ষন চেষ্টা করে কিছুই মাথায় ঢুকল না।
কিন্তু লেখায় পাঁচ তারা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আরেকবার ধীরে ধীরে পড়লে হয়তো হয়ে যাবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লেখায় পাঁচতারা ভাই। আর আপনারে
এই রকম জটিল বিষয় লেখার আগে তো আপনাকে বুঝতে হয়েছে, কেমনে যে লিখলেন?
অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে গেল।
কিন্তু ধাপ্পাবাজির মুখোশ খুলে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগেই জানতাম পৃথিবী ধ্বংস এই সব হাবিজাবি পুরাই ফাউল। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমাকে কয়েকবার পড়তে হয়েছে, তবে একবার ধরতে পারলে তেমন কঠিন লাগবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খাইছে, দিন তারিখের হিসাব রাখা এত কঠিন?
হ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাপ রে, মাথা ঘুচ্ছে
কচুরি আর ছোলার ডাল খেয়ে নাও, আর ঘুরবে না !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মাথার দশ হাত উপর দিয়ে গেলো। যাই, আবার প্রথম থেকে শুরু করি। এটুকু বুঝলাম ব্যাটারা জিনিয়াস ছিল।
ফারাসাত
জিনিয়াস তো ছিলই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
অবুঝ শিশু
নতুন মন্তব্য করুন