• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'theme_imagefield_image' not found or invalid function name in theme() (line 669 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/theme.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতার স্বরূপ !

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০১/২০১৩ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বেশ গরম। ঘটনাটা প্রথম দিকে আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ব্যাপক শীতে একটু গরম আঁচ গায়ে লাগায় একটু নাক গলালাম। তাতে যা দেখলাম, বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য বজায় রেখেই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে ইতিমধ্যে বেশকটি পক্ষ তৈরী হয়েছে এবং তারা নিঃসন্দেহে সরব।

তবে যেই যুক্তিটি চোখে লাগলো তা হলো, "মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে সিলেটবাসীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত" !! ধর্মানুভূতি নিয়ে দেশ অনেকদিন ধরেই উত্তপ্ত। তার উপরে এই ঘটনাটি আবার সেই একই বিষয়ের পালে হাওয়া লাগানো। বিভিন্ন লেখা আর খবর পড়ে সবার অভাব-অভিযোগ নিয়ে এক ধারণা হলো। তার থেকেই এই লেখার অবতারণা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত একটি ভাস্কর্য বানানো হবে। একজন মা তার সন্তানকে যুদ্ধযাত্রায় মাথায় হাত রেখে আশির্বাদ করছে, এই হচ্ছে ভাস্কর্যটির বিষয়বস্তু। এর বিরোধিতা শুরু হয় বিভিন্ন পক্ষ থেকে, আর এই বিরোধিতাকে আরও চাঙ্গা করে তোলে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৫১ জন শিক্ষকের একটি স্মারকলিপি। যাতে সাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত নিরপেক্ষ কয়েকজন শিক্ষকও। পরিস্তিতি আরো জটিল হয় যখন বিরোধিতাকারীদের প্রতি অভিযোগ উঠে যে, এরা আসলে জামাত-শিবির তথা যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠির সমর্থক। এই তর্ক-বিতর্কের পরিস্থিতি দেখলাম, তাতে অভিযোগকারী এবং অভিযোগের বিরোধিতাকারীদের যুক্তিও দেখলাম। দেখে যারপরনাই আশ্চর্য হলাম।

প্রথমেই সবার সুবিধার্থে স্মারকলিপির একটি ছবি নিচে সংযুক্ত করছি। এবার স্মারকলিপির মূল বক্তব্যটি দেখি-

"হজরত শাহজালাল (র:) এর নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে মূর্তি স্থাপনের চেষ্টা হজরত শাহজালাল (র:) তথা গোটা সিলেটবাসীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার শামিল।"

এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে মূর্তি (ভাস্কর্য) স্থাপন না করে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এই স্মারকলিপিটিতে যারাই সাক্ষর করেছেন তারা এর সরল বাংলা বোঝার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখেন বলেই মনে করি। যখন এই শিক্ষকদেরকে "ছাগু" সম্বোধন করা হয়েছে তখন তাদের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেরই বক্তব্য ছিল এরকম, "যেহেতু ইসলাম মূর্তিপূজা সমর্থন করেনা, সেহেতু একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাত্রই মূর্তি স্থাপনের বিরোধিতা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে ছাগু বলা হবে কেন? "ছাগু" তো তারা, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক।"

ভালো কথা। ধরে নেই তারা "ছাগু" তর্কের উর্ধ্বে। কিছু "কিন্তু" যে তারপরেও থেকে যায়। ইসলাম ধর্ম মূর্তি পূজা সমর্থন করেনা এবং পৌত্তলিকতা বিরোধী। কিন্তু যেই ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা কি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করে? না, বরং এটি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবান আবেগের একটি রূপক মাত্র। মা, তাঁর সন্তানকে যুদ্ধযাত্রায় আশির্বাদ করছে, এটি মায়ের সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমা। এই ভাস্কর্যে সেই ত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধের মহান অনুভূতিকে সম্মান জানানো হয়েছে, সেই অনুভূতি এবং মানসিকতা বর্তমানের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার একটি চেষ্টা মাত্র। যেহেতু এই ভাস্কর্যটি দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের রূপক তাই এটি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বহন করেনা বরং সমগ্র বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের রূপ তুলে ধরে। আমার জানামতে, ইসলাম ধর্ম প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের কোন বিরোধিতা করেনা। এখানে পৌত্তলিকতা বিষয়টিই একটি ভ্রান্ত যুক্তি। এখানে কোন ব্যক্তিপূজার উদ্দেশ্যে ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা চলছে না। তাই এখানে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক।

এবার প্রসঙ্গ যখন উঠে জামাত শিবির এর প্ররোচনার তখন অনেককেই বলতে দেখলাম, "সাক্ষর দানকারী কিছু শিক্ষক হয়তো এই গোষ্ঠির সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু তাতে কি? সবাই তো আর না !!" কথাটা একটু সরল করে দেখলে এরকম- ধর্মের বাতাবরণে যুদ্ধাপরাধী, জামাত-শিবির, ধর্মপ্রাণ আর নিরপেক্ষ শিক্ষক সবার এক কাতারে দাঁড়ানো জায়েজ হয়ে যায় !! না, জায়েজ হয়না। আর সমস্যা এখানেই। ধর্মপ্রাণ মাত্রই জামাত-শিবির এর অংশগ্রহন চোখ এড়িয়ে যাবে এই যুক্তি এখন অসার। যদি ৫১ জন শিক্ষকের মাঝে ৫ জনও জামাত-শিবিরের হন তাহলে বাকি ৪৬ জন তাদের দায় এড়াতে পারেন না। কারন জামাত-শিবির এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে অনুপ্রবেশ করে, পরে তারা গাছেরটাও খায় তলারটাও কুড়ায়। তাই এখানে তথাকথিত নিরপেক্ষ শিক্ষকদের জামাত-শিবির সম্পৃক্ততার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার না এবং তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ।

স্মারকলিপির মূল বক্তব্যটি লক্ষ্য করি। "সমগ্র সিলেটবাসীর ধর্মানুভুতিতে আঘাত" !! সমগ্র সিলেট একই ধর্মানুভূতি সম্পন্ন এই ধারণা কি অনিচ্ছাকৃত ভুল নাকি নিরপেক্ষতার চরম উদাহরণ? সমগ্র সিলেটের অন্যান্য ধর্মালম্বী সকল সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে এই যে বাক্য রচনা এবং তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা নামি-দামি শিক্ষকদের সাক্ষর, এটাকে কি আমি নিরপেক্ষ হিসেবে দেখব নাকি চরম সাম্প্রদায়িক মানসিকতা হিসেবে দেখব? যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রূপক ভাস্কর্যের সাথে মূর্তিপূজার কোনই সম্পর্ক নেই তবুও ইচ্ছাকৃতভাবেই স্মারকলিপিটিতে বারবার "ভাস্কর্য" এই শব্দটির বদলে "মূর্তি" ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও অর্থ একই কিন্তু একটু গভীরে ভাবলেই দেখা যায় এর আসল উদ্দেশ্য। "ভাস্কর্য" শব্দটি ব্যবহার করলে "মূর্তিপূজা" সংক্রান্ত যে সরাসরি ধর্মীয় বিরোধিতার আবেশ তৈরী করা, সেটি অনেকটা খাপছাড়া লাগে। আর যেই কারণে শব্দ নিয়েও এতোটা সুচিন্তিত কার্যকলাপ। তাহলে এই কর্মকান্ড এবং এতে অংশগ্রহনকারীরা ঠিক কোন দৃষ্টি থেকে নিরপেক্ষ বিচারের দাবিদার?

সিলেটের আঞ্চলিক কিছু সংবাদ দেখলেই বোঝা সম্ভব এই বিষয়ে করা সব থেকে বেশি সক্রিয়। খবরগুলো লক্ষ্য করুন-

শাবিতে মূর্তি স্থাপন করা হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ ---- প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান

এই খবরে বিশেষ একটি অংশ- "সিলেটের মানুষ ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার আন্দোলন জানে বিগত ১৯৯৯ সালে শাবিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নামে হলসমূহের নামকরণ করার পায়তারা করা হলে আমরাই সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য করেছিলাম। এবারও অনতিবিলম্বে মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে তৌহিদী জনতাকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।"

এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হলের নামকরণ করার সময় বিরোধিতা করে জামাত-শিবির গোষ্ঠী। যতদূর মনে পড়ে, ছাত্রী হলের নাম শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে করার প্রস্তাব করা হলে চরম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় এবং এখনও এই বিষয়টি জানামতে অমিমাংসিত।

অবিলম্বে শাবিতে মূর্তি নির্মাণ বন্ধ না করলে পরিনতি হবে ভয়াবহ ---মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

শাহজালালের পবিত্র মাটিতে মূর্তি নির্মানের অপচেষ্টা সহ্য করা হবেনা---শিবির

শাবিপ্রবি’তে মূর্তি স্থাপন বন্ধের দাবীতে ভিসি বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

এই খবরটির প্রথম অংশ দেখুন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন

"ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন"- এই অংশটি উপরে দেয়া আমার আশঙ্কাটিকে আরও জোরালো করে মাত্র !!

শাবিতে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে মাননীয় রাষ্ট্রপতি বরাবরে স্মারকলিপি

এই সংবাদগুলো দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের হয়তো নয়, কিন্তু এতে বুঝতে অসুবিধা হয়না, ধর্মানুভূতির কথা বলে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টিতে সক্রিয় কারা।

কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড: শহীদুর রহমানকে "ছাগু" সম্বোধন করায় ক্ষেপেছেন অনেক শিক্ষার্থী। আমার নিজের এক বন্ধুকেও দেখলাম এই সংক্রান্ত একটি লেখা শেয়ার করতে। লেখাটিতে হাস্যকর যুক্তির উপস্থাপন দেখে অবাক হলাম। দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতোটা অবুঝ হয় কি করে !! একজন বিভাগীয় প্রধান যিনি বিভিন্ন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীর শিক্ষক, তিনি যখন এমন একটি বিতর্কিত বক্তব্যসম্পন্ন স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেন এবং তার পেছনে যুক্তি হিসেবে নিয়ে আসেন তার ধর্মানুভূতি, তখন আমি অবাক হই !! আরও অবাক হই, নিজেকে ধর্মপ্রাণ হিসেবে পরিচয় দেয়া একজন মানুষ যখন ধর্মের বিধিনিষেধ সম্পর্কে এরকম ত্রুটিপূর্ণ ধারণা পোষণ করেন। আরও অবাক হই যখন এই বিতর্কিত বিষয়ে, জেনে বুঝে তিনি জামাত-শিবির সমর্থকদের সাথে একই কাতারে দাঁড়ান !! আর সবশেষে বাকরুদ্ধ হই যখন দেখি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রূপক ভাস্কর্যকে তিনি মূর্তিপূজার মতো ধর্মীয় একটি বিষয়ের সাথে একই মানদন্ডে বিচার করেন। আমি হয়তো তাকে "ছাগু" বলার ধৃষ্টতা করবোনা, কিন্তু অন্তত আমি তাকে একজন শিক্ষক তদুপরি একজন জ্ঞানী মানুষ হিসেবে সম্মান করতে পারবনা। তার জ্ঞান আমার প্রয়োজন নেই। যারা তাকে সমর্থন করছে, তাদের মানসিকতা নিয়েও আমি যথেষ্ট সন্দিহান। একজন জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যখন কোনটা ধর্মান্ধতা/ধর্মের অপব্যাখ্যা আর কোনটা অপরাজনীতি এই জিনিসগুলোর পার্থক্য নিরুপনে ব্যর্থ হয় তখন তার জ্ঞান কতটা, সে বিষয়ে আমার সন্দেহ থাকে।

এই নাজুক ধর্মানুভূতির সুশীল গোষ্ঠীর ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতা থাকলেও, মাজার এর ব্যাপারে তাদের কোন সমস্যা নেই। আমার জানা মতে, ইসলাম ধর্ম মাজারকেও সমর্থন করেনা। কিন্তু যেই সিলেটে হজরত শাহজালাল (র:) এর মাজার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত হতে পারে সেই সিলেটেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত একটি ভাস্কর্য স্থাপন হলে নাকি হজরত শাহজালাল (র:) এরই অপমান হয়। এই ধর্মপ্রাণ সুশীল নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর মানুষদের ধর্ম বিশ্বাসে এহেন পক্ষপাতিত্ব দেখে আসলেই অবাক হতে হয়।

দেশের রাজনীতিতে আমি যা দেখছি তা হলো, জোর করে বর্তমান সরকারকে নানাভাবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা। নানাভাবে দেশের ধর্মভীরু মানুষকে অপব্যাখ্যা দিয়ে প্ররোচিত করে অশান্তির তৈরী করা। আর বারংবার এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে নানা বিভ্রান্তিকর সংবাদ আর ব্যাখ্যা তুলে ধরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করে এই সরকার ইসলামবান্ধব নয় এমন একটি গুজবকে হাওয়া দেয়া। শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধী বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধ এসব কিছুতেই ধর্মকে জড়িয়ে নানা আপত্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন এবং সেই সাথে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠির সাথে ধর্মকে একই কাতারে নিয়ে নানা প্ররোচনা সৃষ্টি করা।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব। আমাদের অস্তিত্বে, আমাদের মননে। স্বাধীনতার যেই যুদ্ধে রক্ত দিয়েছে সকল ধর্মের সাধারণ মানুষ সেই যুদ্ধের চেতনা কখনো কোন নির্দিষ্ট ধর্মের গন্ডিভুক্ত নয়, সেই অনুভূতি কখনও সাম্প্রদায়িক হতে পারেনা। তাই যারা সজ্ঞানে-অজ্ঞানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করে। আর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করে তারা আমার শত্রু, আমি তাদের সমর্থন করিনা। আমি প্রতি পদক্ষেপে তাদের বিরোধিতা করবো, এটা আমার অঙ্গীকার।


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

দেশে প্রতি ১০ জনে ৯ জন ছাগু

অরফিয়াস এর ছবি

হয়তো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

Emran এর ছবি

"শাহজালাল" এবং "বিজ্ঞান" কিন্তু পরস্পরবিরোধী কনসেপ্ট। "বিজ্ঞান" বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ যখন হয় একজন পীরের নামে, তখন সেখানে এধরণের ঘটনা ঘটলে খারাপ লাগে, কিন্তু অবাক হই না। লেখার জন্য ধন্যবাদ।

সত্যপীর এর ছবি

"শাহজালাল" এবং "বিজ্ঞান" কিন্তু পরস্পরবিরোধী কনসেপ্ট।

(Y)

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়, তা তো ঠিকোই কইছেন, আমার বাপ-মায়ে আমার নামের আগে "মুহাম্মদ" বসাইছে, আমি তো যারে বলে একেবারে মার মার কাট কাট বিজ্ঞান-বিরুধী!

---দিফিও

সত্যপীর এর ছবি

:))

..................................................................
#Banshibir.

সাফি এর ছবি

:D

অরফিয়াস এর ছবি

):)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা
=))

সুবোধ অবোধ

অরফিয়াস এর ছবি

কথা ঠিক। বিজ্ঞানরে অজ্ঞান করার কোন যুক্তি নাই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

একমত ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে নির্মিত 'চেতনা ৭১' এর উদ্বোধনের সময় দেয়া জাফর ইকবাল স্যারের ছোট বক্তৃতাটি এখানে খুবই প্রাসঙ্গিক ---
http://www.youtube.com/watch?NR=1&v=6zn_-T_SKTc&feature=endscreen

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধর্ম আর ধর্মান্ধতার মধ্যে পার্থক্য করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার, অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব। আমার কাছে ধর্ম আর অন্ধত্ব ব্যাপারটা অনেকাংশে সমার্থক মনে হয় আর 'ধর্মান্ধ' শব্দটা মনে হয় ডিকশনারীতে একটা অপ্রয়োজনীয় সংযোজন। দুইটা শব্দ দিয়েই খুব সুন্দর কাজ চালানো যেত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মূর্তি আর ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না ব্যাপারটা আমার বিশ্বাস হয় না। মূল চালটা অবশ্যই জামাত-শিবিরের, সাথে কিছু ভোদাই শিক্ষককে দলে টানছে। ব্যাপারটা এর থেকে জটিল কিছু বলে আমার মনে হয় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাব্বানী এর ছবি

যারা নিজেরা ধার্মিক কিন্তু অন্যে কি করলো সে ব্যাপারে নাক গলায় না তারাই ধর্মভীরু কিন্তু যারা ধার্মিক এবং অন্যের ব্যাপারে নাক গলায় তারা ধর্মান্ধ :D

অরফিয়াস এর ছবি

ধর্ম এবং ধর্মান্ধতা পরস্পর সম্পূরক।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্মানুভূতির রাজনীতি সিলেটে পুরোনো এবং বেশ কার্যকরী একটা ট্রিক্স, মাঠ গরম করার জন্য আর পানি ঘোলা করার জন্য। জাহানারা ইমাম ও নামকরণ সম্পর্কেও আপনার স্মৃতি প্রায় সঠিক (সেখানে জিসি দেব সহ আরো কয়েকজনের নামে আরো কিছু ভবনের নামকরণের প্রস্তাব ছিল), সেটাকে ব্যাবহার করে জামাতে ইসলামী সহ অন্যান্য সমমনা দল ভার্সিটি প্রায় ৭ মাস বন্ধ করে রাখে, তখন আওয়ামী লীগও মোটামুটি গা বাঁচিয়ে চলার নীতি অবলম্বন করেছিলো, এমনকি দলের অনেকে পরোক্ষভাবে নামকরণ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন।

এবারও মোটামুটি সেভাবেই পানি ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে। যে ৫১ জন বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের বড় অংশই চিন্হিত ছাগ-বান্ধব, এদের নিয়ে তেমন বিতর্ক নেই। বিতর্কের মূল কারণ অধ্যাপক শহীদুর রহমান, বর্তমানে সিএসসির হেড। তার স্বাক্ষর বিবৃতিতে থাকায় অনেকেই তাকে ছাগু বলছেন, আর ডিপর্টমেন্টের প্রাক্তন আর বর্তমান ছাত্র আর শিক্ষকরা অধিকাংশই স্যারের এই কাজে হতাশ হলেও ছাগু বলতে রাজী নন, বিতর্কটা এখানেই।

আমি নিজেও স্যারের ছাত্র, স্যারকে অত্যন্ত ভালোভাবেই চিনি তাই মোটামুটি নিশ্চিত জানি যে স্যার ছাগুদের দলে নন। ছাগুত্বের কোনো লক্ষণ তো দূরে থাক, তাবলীগ করা শহীদ স্যারের কাছ থেকে কোনো রকম গোঁড়া ধর্মীয় বক্তব্য/মনোভাব/বডি ল্যাঙ্গুয়েজও কোনোদিন পাইনি। ডিপার্টমেন্টের সবার প্রিয় শিক্ষক তিনি, যদিও সেটা অন্য প্রসঙ্গ।

তবে স্যারের কাজটা যে অদূরদর্শী হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাসখানেক আগেই তিনি হেড হয়েছেন, স্যার আরেকটু বুঝেশুনে পাফেলবেন ভবিষ্যতে, এটাই আশা করি।

--দিফিও

সাফি এর ছবি

শাহজালাল শাহপরাণের মাজার সম্পর্কে স্যারের মতামত জানা গেলে ভাল হত।

দিফিও এর ছবি

সেটা অবশ্য আমি জানিনা। স্যার তাবলীগ করেন/করতেন, মাজার কালচার নিয়ে তার মতামত বিরুপ হওয়ারই কথা। তবে এটাও ঠিক, যে ভাস্কর্য যেহেতু ভার্সিটিতে, সেখানেই তার মন্তব্য বেশী প্রাসঙ্গিক, এবং সেটা করার জন্য মাজার নিয়ে তার মতামত আগে দিয়ে আসারও কোনো প্রয়োজন দেখিনা, যেমনটা কিনা অনেকেই দাবী করছেন (আপনি করেননি অবশ্য)।

সাফি এর ছবি

স্যার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছেন, শিরকের আশংকায়। খেয়াল করে দেখুন সেই শিরকই তার চোখের সামনে দিনের পর দিন চলছে। এই নিয়ে আমি তার বক্তব্য দাবী করছিনা। বক্তব্য দেওয়ার তার কোন দায়ও নেই। কিন্তু শিরক সচেতন মুসলিম হিসেবে ওনারা যেমন ভিসির কাছে পিটিশন করতে পারেন, তেমনি পারেন সিলেট জেলা প্রশাসনের কাছেও। যেই হাইপোথেটিক্যাল পাপের আশংকা তিনি করছেন, সেই পাপ তার চোখের সামনেই হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। এইখানে যদি শাহ জালাল/ শাহ পরাণের ভাস্কর্য নির্মাণ হত, আমি বুঝতাম, তার আপত্তি মেনে নিতাম। কিন্তু ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে একদম জেনারেলাইজড। এখানে মা বা ছেলের পরিচয় পর্যন্ত নাই। এই মা বাংলাদেশের সব মানুষের মা, এই ছেলে দেশের প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধা। একে কে উপাসনা করবে?

এখন এই ভাস্কর্য নির্মাণ হলে, দুইটা সিনারিও হতে পারে -

১। ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে আরাধনা শুরু।
২। ভাস্কর্য থাকবে ভাস্কর্যের মতন।

১ এর আশংকায় তিনি ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতা করছেন। কিন্তু ১ কতখানি বাস্তব সম্মত? মা সন্তানকে যুদ্ধে যাওয়ার আগে বিদায় দিচ্ছে। এই ভাস্কর্যকে কেউ আরাধনা করবে? এই আরাধনার উপাস্য কে? ওনার প্রতি ওনার ছাত্রদের শ্রদ্ধাবোধ আর ওনার বর্তমান কর্মকান্ড কিছুতেই মিলাতে পারছিনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাস্কর্য বিষয়ক আপনার কথার সাথে আমি একমত।

আর এতদিন ধরে চেনা শহীদ স্যারের সাথে তার এই ভুলে-ভরা-যৌথ-বিবৃতি আমিও মেলাতে পারিনি। আপাতত এটাই মনে হচ্ছে যে তাঁর রক্ষণশীল ইসলামী চিন্তাধারা থেকেই তিনি এটা সাইন করেছেন। আর ছাগুদের মত এটা নিয়ে ক্রমাগত পানি ঘোলা করার চেষ্টা বা এরকম কিছুও তার কাছ থেকে দেখছিনা, এটা বলেই মনকে স্বান্তনা(বানানটা কি ঠিক হইল?) দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রসঙ্গত, শুধু বিবৃতিই নয়, বিবৃতিদাতাদের একাংশ নিয়ে ভার্সিটিতে "মূর্তি প্রতিরোধ কমিটি"ও নাকি গঠিত হয়েছে খবর পেলাম, সেখানে সম্ভবত তিনি নেই। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।

---দিফিও

সাফি এর ছবি

আপনারা কিন্তু যারা স্যারের কাছের এবং স্যারের ভাবমূর্তি নিয়ে চিন্তিত, তাকে এই ব্যাপারটা বুঝাতে পারেন। উনি একটা ছোট বিবৃতি দিয়ে নিজেকে ঠিকই পৃথক করে নিতে পারেন - এখনও সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

(Y)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু তিনি এখন ও সে বিবৃতি দেন নি , এতে কি প্রমাণিত হয়? :-?

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

পিয়াল এর ছবি

এদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে মূর্তিপূজার জন্যই এই ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে। ইসলাম ধর্মে তো গান বাজনা, ছবি আকাও নিষেধ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে এসবও বন্ধ করা দরকার! তারপর আস্তে আস্তে মেয়েদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা, অমুসলিমদের সিলেট থেকে বের করে দেয়া এইসব দাবি আসবে। “আধ্যাত্মিক রাজধানী” বলে কথা।

আমার ধারণা এটা নিয়ে জামাতিরা মাঠ গরম করার চেষ্টা করবে আর সঙ্গী হিসাবে জামাতকে পছন্দ করেনা কিন্তু ধর্মান্ধ এমন বেশ কিছু মানুষের জোরালো সমর্থন পাবে। গত তিন দশক ধরে জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মকে এমন ভাবে ব্লেন্ড করে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে যে অনেক নিরীহ গোছের মানুষও চিন্তা ভাবনায় নিজের অজান্তেই সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছেন, স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি লুপ্ত হয়েছেন। কাউকে তো দেখিনা মিথা বলা মহা কবীরা গুনা এই বলে তওবা করে মিথ্যা বলা বন্ধ করে দিতে অথবা অভক্ত প্রতিবেশীকে খাবার দিয়ে আসতে, এরকম হাজারটা উদাহরণ দেয়া যাবে। ডিজিটাল যুগে মাছের গায়ে কলেমা লেখা ছবিতে লাইক দিয়ে আর “...ওড়না...” পেজ এর ফ্যান হয়েই মনে হয় যথেষ্ট সওয়াব কামানো সম্ভব। যত সব ভণ্ডের দল।

অরফিয়াস এর ছবি

ডিজিটাল যুগে মাছের গায়ে কলেমা লেখা ছবিতে লাইক দিয়ে আর “...ওড়না...” পেজ এর ফ্যান হয়েই মনে হয় যথেষ্ট সওয়াব কামানো সম্ভব। যত সব ভণ্ডের দল।

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাবেকা এর ছবি

(Y)

স্যাম এর ছবি

(Y)

সত্যপীর এর ছবি

বুইঝা স্বাক্ষর করলে ছাগু, আর যদি পিয়ার প্রেশারে স্বাক্ষর করে থাকে তাইলে নির্লজ্জ সুবিধাবাদি। একান্নজনের প্রত্যেকে দুইটার যেকোন একটা, অথবা দুইটাই।

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

আমার জানামতে তাকে কেউ প্রেশার দেয় নাই !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পরমার্থ এর ছবি

একজন জ্ঞানী বিজ্ঞানী যখন ব্যক্তি-স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন .. তখন স্পষ্টতই তিনি সুবিধাবাদী ..প্রসঙ্গত, শাহজালাল ভার্সিটিতে সুবিধাবাদী না হলে পরীক্ষায় ভালো ফল করা যায় না ..

সাম্য এর ছবি

একটা ভাস্কর্য বা মূর্তি দেখলেই ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগবে, এত দুর্বল ঈমান নিয়ে ওনারা ধর্ম পালন করেন কীভাবে!

অরফিয়াস এর ছবি

ধর্মানুনুভূতি বড়ই নাজুক রে ভাই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রাব্বানী এর ছবি

'আধ্যাত্মিক রাজধানী' কথাটা আগে শুনিনি কেন? সোজা বাংলায় পীর ব্যবসা কেন্দ্রস্থল বললে কতখানি ভুল হবে?

অরফিয়াস এর ছবি

ঐখানে গেলেই আপনার মধ্যে প্রবল আধ্যাত্মিকতা জাগ্রত হবে, আপনে না শুনলেও সমস্যা নাই !

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

(Y) (জাঝা) ^:)^ শেয়ার করলাম ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ মানিক ভাই। :)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আগ্রহীরা গুগলে "fish sculpture in jeddah" লিখে খুঁজে একটা মাছের ভাস্কর্য (মূর্তি) দেখতে পারেন।
অথবা,
مسابقة النحت على الرمال
লিখে ১০ ও ১১ই জানুয়ারী ২০১২-তে রিয়াদে অনুষ্ঠিত বালু ভাস্কর্য (মূর্তি) নির্মাণ প্রতিযোগিতার খবর জানতে পারেন।

একটু লেখাপড়া করা যাক।

প্রতিমা = বি. প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি; ঈশ্বরের কোনো রূপের সাদৃশ্যকল্পনায় গঠিত বা নির্মিত দেবমূর্তি; বিগ্রহ, মূর্তরূপ (সৌন্দর্যের প্রতিমা)। [সং. প্রতি + √ মা + অ + আ]।

পুতুল = বি. (প্রধানত খেলার সামগ্রীরূপে নির্মিত) মানুষ ও জীবজন্তুর প্রতিমূর্তি।

মূর্তি = বি. দেহ, শরীর (মূর্তিমান); আকৃতি, চেহারা, রূপ (সৌম্যমূর্তি); প্রতিমা (মূর্তিপূজা)। [সং. √ মূর্ছ্ + তি]। ̃ .ধারণ, ̃. পরিগ্রহ বি. (অশরীরীর) শরীর ধারণ, দেহধারণ। ̃ .পূজা বি. সাকার-উপাসনা, প্রতিমাপূজা। ̃ .মন্ত. ̃ .মান (-মত্) বিণ. মূর্তিবিশিষ্ট, দেহধারী, সাকার; স্পষ্ট, প্রত্যক্ষ, সাক্ষাত্ (মূর্তিমান শয়তান) স্ত্রী. ̃ .মতী।

ভাস্কর্য = বি. ধাতু পাথর প্রভৃতি দিয়ে মূর্তি নির্মাণের শিল্প।

যা বুঝলাম তা হল, উপাসনার উদ্দেশ্যে নির্মিত ঈশ্বর বা তার অবতার বা কোন দেবদেবীর ত্রিমাত্রিক প্রতিরূপকে প্রতিমা বলে। এতদ্বভিন্ন, অন্য যে কোন উদ্দেশ্যে নির্মিত, সকল ত্রিমাত্রিক প্রতিরূপের সাথে উপাসনার সম্পর্ক নাই। তাই উপাসনার উদ্দেশ্য ভিন্ন অন্য কোন উদ্দেশ্যে নির্মিত যে কোন মূর্তিকে প্রতিমা হিসাবে গণ্য করা যায় না।

"sculpture" শব্দটি দিয়ে খোঁজ করে কুরআন, সহীহ্‌ বুখারী, সহীহ্‌ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ ও মুয়াত্তা'র ইংরেজী অনুবাদে কিছু পাইনি। এই ব্যাপারে কারো কিছু জানা থাকলে জানান।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

(Y) ছাগুরা (কু)যু্ক্তি দেখায়,ইসলাম ভাস্কর্য নির্মাণে অনুমতি দেয়না। মোল্লা ও ছাগুদের চ্যালেঞ্জ করলাম এটা প্রমাণে । আমি পূজার নিমিত্তে তৈরি মূর্তির কথা বলছি না । সো হুদায় কোরান-হাদিস থেকে মূর্তিপুজা বিরোধী বানী কোট করে লাভ নেই । আর যারা ভার্ষ্কয্য ও মূর্তির পার্থক্য বুঝেন না তাদের CTN

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অরফিয়াস এর ছবি

(Y) । আমি নিজেও তেমন কিছু জানিনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

(Y)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y) ^:)^ । ধর্মের দোহায় দিয়ে আর কতদিন !

অমি_বন্যা

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

ঘ্যাচাং

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সিলেটে শাহ্‌ জালাল শাহ্‌পরানের মাজার বানায় রাখছে তখন সাচ্চা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা। আর মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করতে গেলেই ধর্ম গেল ধর্ম গেল রব উঠে। যতসব বেঈমান রাজাকারের দল ! দেশ যে কবে এইসব নোংরা আগাছা থেকে মুক্তি পাবে???
কিন্তু ড: জাফর ইকবাল স্যার কবে থেকে এবং কেন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব ছেড়েছেন, কারো কি বিষয়টা জানা আছে? আমি জানতাম না, কেউ জেনে থাকলে জানালে ভাল হত।

(জাঝা) (Y) আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস ভাই এই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। জামাতিরা যে কিভাবে সব কিছু দখল করে নিচ্ছে, ভাবা যায়না। লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করতে চাইলাম কিন্তু এরর দেখাচ্ছে, পরে লিংকটা কপি করে শেয়ার করলাম। এরর দেখানোর কারণটা বুঝলামনা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

ফেসবুক শেয়ারের জায়গাটায় দেখলাম এখন পর্যন্ত শুন্য শেয়ার, কি জানি, এরর হতে পারে, মডুরা দেখবেন আশা রাখি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

দ্রোহী এর ছবি

আমরার লগে ফাট লইলে মাইরা ফাডায়ালায়াম!

অরফিয়াস এর ছবি

মাইরা হোতায়্লাম !!! ;)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

হিমু এর ছবি

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে "মূর্তি" স্থাপনের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেয়া সিলেটবাসীদের অনেকের আত্মীয়ই লন্ডনের ইস্ট এন্ডের অধিবাসী বলে অনুমান করি। টাওয়ার হ্যামলেটস বরাতেও তাঁদের ব্যাপক প্রাধান্য। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ভাস্কর হেনরী মুর প্রণীত একখানা "মূর্তি"র মালিকানা নিয়ে লন্ডনের আরেক টাউন কাউন্সিলের সঙ্গে কাইজ্যায় জড়িয়ে পড়েছে, মাত্র তিন সপ্তাহের আগের খবর

আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের লোকজন সুদূর আংরেজের দেশে আংরেজের বানানো "মূর্তি"র মালিকানা পেতে এবং ৩০ মিলিয়ন পাউণ্ডে সেটা বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বেয়াকুল হয়েছেন দেখে শিহরিত হলুম। এ ব্যাপারে শাবিপ্রবির পিটিশনার শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া জানতে পেলে ভাল্লাগতো।

অরফিয়াস এর ছবি

৩০ মিলিয়ন পাউণ্ডই আসল রহস্য !!! গোয়েন্দা ঝাকানাকা কে প্রয়োজন !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্যাম এর ছবি

(Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ভাস্কর্যকে যে লোক আরাধনার উদ্দেশ্যে নির্মিত "মূর্তি" এর সাথে তুলনা করে, তার সাথে জামায়াতের কার্যত কোন পার্থক্য নাই, সে জামায়াতের স্থানীয় অফিসের ঠিকানা না জানলেও কিছু যায় আসে না। জামায়াত শুধু একটা দল না, একটা মতাদর্শের প্রতিনিধি। দল না করেও যেই ব্যক্তি মতাদর্শটা ধারণ করে, তাকে ছাগু না বলার কোন কারণ নাই।

তবে আধ্যাত্মিক লোকজনদের তো ভাস্কর্য/মূর্তি, জামাকাপড়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা না, আধ্যাত্মবাদীরা এসব বাহ্যানুবর্তিতার উর্ধ্বে উঠে চিন্তা করে বলেই জানি। আধ্যাত্মিকতার মুখোশ পড়ে এরুপ "হেন করা যাবে না, তেন করা যাবে না" রাজনৈতিক এক্টিভিজমও ছাগুত্বেরই সামিল।

পৃথিবী

অরফিয়াস এর ছবি

এই ভাস্কর্যকে যে লোক আরাধনার উদ্দেশ্যে নির্মিত "মূর্তি" এর সাথে তুলনা করে, তার সাথে জামায়াতের কার্যত কোন পার্থক্য নাই, সে জামায়াতের স্থানীয় অফিসের ঠিকানা না জানলেও কিছু যায় আসে না। জামায়াত শুধু একটা দল না, একটা মতাদর্শের প্রতিনিধি। দল না করেও যেই ব্যক্তি মতাদর্শটা ধারণ করে, তাকে ছাগু না বলার কোন কারণ নাই।

(জাঝা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বাংলাদেশের মানুষের প্রধান সমস্যা অজ্ঞতা। জীবন সংগ্রামের চাপেই হোক আর পড়াশুনা করার আনীহা থেকেই হোক, অধিকাংশ মানুষ কোন বিষয়ের গভীরে গিয়ে জানতে আগ্রহী না।

ধর্ম রসাতলে গেল, এই উস্কানি দিয়ে যে কোন আকারের অরাজকতা করা সম্ভব। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা ভদ্র অরাজকতার একটা ছোট নমুনা।

মিথ্যা কথা বললে, ঘুষ খাইলে, মাপে কম দিলে, জমিজমা নিয়া মাথা ফাটাফাটি করলে ধর্ম রসাতলে যায় না, এই হইল তথাকথিত ধর্মানুভূতি।

অরফিয়াস এর ছবি

মূল সমস্যা তো এখানেই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সৌরভ চে এর ছবি

আমি এর সাথে আধ্যাত্মিক শহর সিলেট সম্পর্কে কিছু ইনফো দেই-
১) বাংলাদেশে সব থেকে বড় প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির স্পট সিলেটের মহাজন পট্টি। (মসজিদ থেকে মাত্র ৪০/৫০ গজ দূরেই প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি হয়)।
২)বাংলাদেশের সব থেকে বেশি যৌন কর্মী(রেজিস্টার্ড) বাস করে সিলেট শহরে।
৩)এইডস রোগীর সংখ্যা বেশি সিলেটে।
আর মাজার বিজনেসের কথা নাই বা বললাম।
সিলেটের ধর্মান্ধ মানুষ গুলো নিজের শহরের এই সমস্যা গুলো দূর করতে কোন দিন মসজিদে মসজিদে কথা বলতে শুনি নাই। তারা নিজ শহরের নোংরামি দূর করতে পারে না, আসছে আমার ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য ভাঙতে। সত্যি সেলুকাস।

আর যারা বলছেন শহীদ স্যার ভালো, ছাগু না, তাদের জানার কথা তাবলীগ জামাত শহীদ স্যারকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে মূর্তি বানানো প্রতিরোধ করতে প্রত্যেক হলে গিয়ে ছেলেদের ইসলামী বয়ান শোনাচ্ছে। কাল অবশ্য দুই তাবলীগ বলদরে দিছি ইচ্ছা মতন বাঁশ।
অস্থির পোষ্ট দিছেন। ফেবুতে শেয়ার দিলাম।

অরফিয়াস এর ছবি

আপনাদের ওখানের কোন আপডেট ??

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ভাস্কর এর ছবি

আপনার কমেন্টের ২ এবং ৩ নং ইনফো-র সুত্র দাবি করছি। আর নং এর ব্যাপারে আপনাকে বিশ্বাস করলাম।

সজল এর ছবি

ধর্ম, বিজ্ঞান, ব্ল্যাক ম্যাজিক, অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট যার দোহাই দিয়েই হোক না কেন, কেউ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণে বাঁধা দিলে তাকে কি কোলে নিয়ে আদর করতে হবে ছাগু না বলে? দুঃখিত, আমাদের যাদের মেরুদন্ডের সবকটা কশেরুকা জায়গা মত আছে, আমরা তা পারছি না।
ত্রিশলাখ শহীদ, চার লাখ ধর্ষিতা, এককোটি শরণার্থী- এত এত বিসর্জনের মাঝে পাওয়া স্বাধীনতাকে স্মরণ করতে গিয়ে আজ এই স্বাধীন দেশে আমাকে কার কোন অনুভূতি জেগে উঠবে তার তোয়াক্কা করে চলতে হবে?
ইসলামে কী বলে তা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই তেমন, কিন্তু ইসলাম নিষিদ্ধ করলেই কি আমাদের সব চেয়ে গৌরবের জায়গাটাকে আমরা স্মরণ করব না, করলেও রেখে ঢেকে? একাত্তরে শুধু পাকিস্তানীরাই পরাজিত হয়নি, হয়েছিল একটি বমনযোগ্য আদর্শ। সেই গলে পঁচে যাওয়া আদর্শকে চল্লিশ বছর পর কবর থেকে তুলে জীবন্ত করার চেষ্টা করে, সেই সব দেশদ্রোহীদের মুখে থুথু দেই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরফিয়াস এর ছবি

(গুলি)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারাপ কোয়াস এর ছবি

(গুলি) ^:)^


love the life you live. live the life you love.

অন্যকেউ এর ছবি

(গুলি) ^:)^

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ধুসর জলছবি এর ছবি

(জাঝা)

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

(Y) (গুলি)

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাইদ এর ছবি

আজকাল অনেকেই তাবলীগ করে কাউকে ছাগু বললে মনে বেজায় কষ্ট পায়।
কিন্তু আমি তো এই পর্যন্ত কোন তাবলীগিরে ছাগু থেকে ভাল দেখলাম না। তাবলীগপন্থি অনেকরেই দেখছি যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে জামাইত্যা থেকে কম যায় না।

অরফিয়াস এর ছবি

ভাতের হাড়ির একটা ভাত টিপলে বাকি ভাতের অবস্থাও বোঝা যায়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্যাম এর ছবি

পিথিমীর ভাষার ইতিহাসে 'আধ্যাত্মিক রাজধানী' শব্দযুগল এক অনন্য সংযোজন - কিবলা কি পিথিমীর মতই ঘুর্নায়মান?! - মক্কা, ইস্লামাবাদ, সিলেট...

অরফিয়াস এর ছবি

=))

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

=))

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

প্রথম কিবলাহ্ কিন্তু ছিল, 'টেম্পল মাউন্ট' জেরুজালেম। পরে ইহুদিদের নানা মন্তব্যের কারনে মোহাম্মদের নির্দেশে 'কাবা' কে কিবলাহ্ নির্ধারন করা হয়।

সাবেকা এর ছবি

‌ থুথু দিতে ইচ্ছা করে এদেরকে । এই 'ধর্মানুভুতির' সুযোগ নিয়েই জামায়াত রাজাকারেরা এই দেশের মানুষগুলোর মগজ টাকে কব্জা করে ফেলল ! হায়রে ধর্ম, হায়রে তার অনুভূতি !

লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

এই বিষয়ের লেখা জিরো শেয়ার দেখে মাথা চুলকাচ্ছি...

রাব্বানী এর ছবি

শেয়ার মনে হয় কাজ করছে না

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

পোলাপান মাথা চুলকাইতেসে ;) (পপ্পন)

অরফিয়াস এর ছবি

ফেবু প্লাগিনটা মনে হয় কাজ করছিল না, শেয়ার করলে এরর দেখাচ্ছিল। অনেকেই লিঙ্ক পেস্ট করেছে। এখন মনে হয় ঠিক হয়েছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারাপ কোয়াস এর ছবি

(Y)


love the life you live. live the life you love.

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সবার প্রতি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আচরণ করতে চাই আমি বা চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব ঘটনা ঘটে যে গালি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

এইটা একজন শিক্ষিত মানুষের (মুসলমান) কাছে জলের মত স্পষ্ট হবার কথা যে- কোন স্থাপনা উপাসনার জন্য আর কোন স্থাপনা স্মৃতিরক্ষার্তে বা নান্দনিক। বাংলাদেশের কোন ভাস্কর্যে কে কবে উপাসনা করছে- আমারে কেউ একটু বলতে পারবেন? অন্তঃত একটা ছবি? আর এতজন শিক্ষক এই প্রভেদটা স্পষ্ট বুঝেও প্রতিবাদপত্র জমা দিছে। এর মধ্যে জামাতীরা কী জন্য করছে সেটা তো সবাই জানিই কিন্তু যারা ধার্মিক কিন্তু জামাত সমর্থক না তারা কী জন্য সমর্থন করে এইটা বুঝি না। তাদেরও ছাগু বলবে না কেন এইটাও প্রশ্ন! যারে তারে যখন তখন পুরা না জাইনা না বুইঝা না খবর নিয়া একটা বা কিছু রেফারেন্সে ছাগু বা যে কোন ট্যাগ লাগানো আমি মানবিক ও নীতিগত কারণে পছন্দ করি না কিন্তু 'মাঝে মাঝে এমন সব ঘটনা ঘটে যে গালি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।' :(

এই জাতীয় বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মে উপাসনামূলক আচরণ নিষিদ্ধ জানা সত্তেও যেইখানে আসলে উপাসনা জাতীয় কর্মকাণ্ড হয় সেইখানে নিয়মিত যায়, সমর্থন করে, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে। নামী অনামী বিভিন্ন মাজারে। সেইটা নিয়া মাথা ব্যথা নাই কিন্তু যেইখানে বিন্দুমাত্র উপাসনা চর্চা নাই সেইখানে ভণ্ডামির চূড়ান্ত করে। আবালামো আর ভণ্ডামিতে ভরপুর।

( মন্তব্যটা ধর্মানুভূতিকে গুরুত্ব দিয়ে করছি। আসলে ধর্মানুভূতিরে কোন গুরুত্ব দেওয়ার দরকার আছে কী না সেইটা চিন্তার বিষয়। কার ধর্মানুভূতিতে কেমন লাগলো এত কিছু দেখার দরকার নাই রাষ্ট্রের।)


_____________________
Give Her Freedom!

অরফিয়াস এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্যাম এর ছবি

(Y)

ধুসর জলছবি এর ছবি

(Y)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যদি ৫১ জন শিক্ষকের মাঝে ৫ জনও জামাত-শিবিরের হন তাহলে বাকি ৪৬ জন তাদের দায় এড়াতে পারেন না। কারন জামাত-শিবির এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে অনুপ্রবেশ করে, পরে তারা গাছেরটাও খায় তলারটাও কুড়ায়।

এইটাই কথা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অরফিয়াস এর ছবি

হ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মনি শামিম এর ছবি

বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে তাকে মূলধারায় নিয়ে আসলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। এগুলোই উগ্র ধর্মান্ধতার বীজ বপনের কারখানা। ভোটের আশায় রাজনৈতিক দলগুলো এটি করতে অপারগ। তাহলে আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করব সেদিনের জন্য যখন গ্রামে গঞ্জের কচি নিষ্পাপ ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হবার জন্য মাদ্রাসা গরম করে রাখবে? মনে আছে আমার প্রগতিশীল (!) বাবা মা আমাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোরআন পড়াবার জন্য মসজিদে পাঠিয়েছিলেন আর আমরা নিয়ম করে সেখানে আরবি ভাষা শিখতাম, মধুর সুরে (!) কোরআন পড়তাম আশির দশকে। কবে সেইদিন আসবে যেদিন আমরা আমাদের সন্তানকে বলব যে এইসব শিক্ষা অপ্রয়োজনীয়, ধর্ম একটা মৃত বিষয়, তুমি বরং তার চাইতে বাগানে গিয়ে ফুলের কাছে যাও, পাখির কাছে যাও, গান শেখো, কবিতা পড়ো, ছবি আঁকো। এইসব মুল জায়গায় হাত না দিলে তো কোনকিছু পরিবর্তন হবার আশা নেই। ধর্মকে পারিবারিক, সামাজিক এবং জাতীয় জীবন থেকে নির্বাসিত না করলে যে লাউ সেই কদু হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ, এটাই আমাদের দেশের বাস্তবতা। কিন্তু এইজন্য কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ তো নেয়া চাই।

-মনি শামিম

অরফিয়াস এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

ধর্মান্ধতার বিনাশ কবে যে দেখতে পারবো!! আদৌ পারবো কিনা কে জানে.. এর হার শুধূ দেখি বেড়েই যায় ...!

ভালো লেখা।

(Y)

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

মূলধারায় আনলে মিডল ইস্ট থেকে ডোনেশন দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। হুজুরগো রাজি করাইতে ফাইরতেন্ন

অরফিয়াস এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক এর ছবি

জালাল পিরের (বাংলা প্রতিশব্দ কি?) মাজার করে তার পুজা করা সবচেয়ে বড় বেদাতি। সিলেটের হাটে-মাঠে-ঘাটে এরকম বহ পির রয়েছে, ইনি বড় হয়েছেন সিলেট শহরের মাঝখানে বড় একটা মাজার পেয়ে (শুনেছি এর মাজারে অনেক বড়ে একটা পাতিলা ’শরিফ’ আছে।) তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশের সব বড় বড় পেতিষ্ঠানের নাম এনার (এবং এনাদের) নামে করার যুক্তি কি? (তাও আবার বিজ্ঞান বা বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের নাম !) আমাদের নবি সাহেবের নামে তো কোন নাম দেখি না। আর এসব নিয়ে কোন হুজুরদের তো মাথা গরম করতেও তো দেখি না!

স্যাম এর ছবি

(Y) (Y)

আমাদের নবি সাহেবের নামে তো কোন নাম দেখি না। আর এসব নিয়ে কোন হুজুরদের তো মাথা গরম করতেও তো দেখি না!

আসলেই তাজ্জব ব্যাপার !!!

রু এর ছবি

নাক গলানোর জন্য বিরাট একটা ধন্যবাদ জানাই।

অরফিয়াস এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

খালি মুর্তি নাকি, ছবি মাত্রেই তো গুনাহ, নাকি?

এখন হুজুরেরা/ ৫১ জন স্যারেরা, দয়া করে বলেন, আপনার ঘরে, অফিসে, ব্যাগে/ঝোলায়, পকেটে, মোবাইলে, টিভিতে কোথায় ছবি নাই? যদি থাকে, তাইলে বোঝা যাচ্ছে আপনাদের সমস্যা হলো মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য! আপনার পকেটের/ঘরের/অফিসের/টিভির/মোবাইলের/পত্রিকার ছবি নিয়ে আপনার মাথাব্যথা নাই!

অতএব আপনাদের ছাগুমাত্রিক আন্দোলনে সম্মিলত গদাম!!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

এ প্রসঙ্গে একটু আনিসুলপনা না করলেই নয়।

যে সৌদি রিয়ালে বাংলায় ওয়াহাবি তৎপরতা সরগরম, সেই সৌদি রিয়ালেই দেখি ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ছবি।

সত্যপীর এর ছবি

ধুর হিম্ভাই টাকার নোটে ছবি...কাগজের নোটই তো তাগুতি। শেষ থেকে ২ লম্বর প্যারায় ইরশাদ হয়ঃ

"ইসলামে ফাপড়ঁবাজি নেই, তাই ইসলাম হাওয়ার উপর অবিনিময়যোগ্য কাগুজে মুদ্রা ছাপানো অনুমোদন করে না। ইসলামে কারেন্সির স্ট্যান্ডার্ড হল, ধাতব মুদ্রা, যেমন-সোনা এবং রুপা।বায়তুল মালে যে পরিমাণ ধাতব মুদ্রা আছে তার উপর কাগুজে টাকা ছাপান যাবে, এর বেশি নয়।ফলে টাকার মুদ্রামান স্থিতিশীল থাকবে। রাসূল (সাঃ) কারেন্সির ভিত্তি হিসেবে স্বর্ণ এবং রুপাকে গ্রহণ করেছেন এবং এটি চালু ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে নিক্সন চূড়ান্তভাবে ধাতব মুদ্রাকে কারেন্সি হিসেবে বাতিল করে কাগুজে মুদ্রা ডলারকে কারেন্সির ভিত্তি হিসেবে নেয়ার আইন পাশ করে এবং আমরা মুসলিমরা আল্লাহর দেয়া বিধান পরিত্যাগ করে নিক্সনের বিধান গ্রহণ করি। ফলাফলস্বরুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (এবং উন্নত) দেশগুলোতে মুদ্রার ক্রমাগত দরপতনের পিছনে এই ফিয়াট কাগুজে মুদ্রার ভূমিকাই প্রধান। সুদানে কাগুজে মুদ্রা ডলারকে রিসার্ভ হিসেবে নেয়ার পর তাদের টাকার দাম কমেছে ৬৬ চাগের ১ ভাগে।"

বুচ্চেন্নি?

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

সৌদি বাদশারা নিক্সনের কথা শুনলো কা?

অরফিয়াস এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

অতএব আপনাদের ছাগুমাত্রিক আন্দোলনে সম্মিলত গদাম!!

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

যুমার এর ছবি

(Y)

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মেহদী হাসান খান এর ছবি

স্মারকলিপিতে লেখা:

আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মনে করি সিলেট বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এবং এ অনুভূতিকে বিবেচনায় রেখে সিলেট অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি সৌধ নির্মিত হলেও কোথাও মূর্তিস্থাপন হয়নি

শাবিপ্রবিতে ২০১১ সালে নির্মিত "চেতনা '৭১" এর ছবি এইটা (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া):

বকধার্মিকতার উদাহরণ হিসেবে আর কিছুর দরকার আছে? নাকি ধর্মের নামে সব চাপাবাজিই জায়েজ?

অতিথি লেখক এর ছবি

'চেতনা ৭১' যখন স্থাপিত হয় তখন কেউ স্মারকলিপি দিয়েছে বলে শুনিনি। আর এখনকার প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সস্তা আবেগ নিয়ে খেলাধূলা করে ফায়দা আদায় করবার আশায় বিভোর হয়ে আছে অনেকে। মনে হয়না এসব করে ক্যাম্পাসে শিবিরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে এসব শিক্ষকরা।

সৌরভ কবীর

অরফিয়াস এর ছবি

স্মারকলিপি হয়তো দেয়নি, কিন্তু বিরোধিতা ঠিকই হয়েছিল বলে শুনেছি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

(Y)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বেপথু এর ছবি

বেজায়গায় একটা অটপিক মন্তব্য করতে বাধ্য হচ্ছি বলে পোস্টলেখকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

বাংলাদেশ থেকে আমি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সচলায়তন দেখতে পাচ্ছি না অনেকক্ষণ (এখন ভোর ৩টা, ১৩ জানুয়ারী)। তবে অন্য সব ওয়েবসাইটই দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। শুধু সচলায়তনের ক্ষেত্রেই বিশেষ পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে দেখার জন্য - নাহলে কিছুই দেখা যায় না। প্রথমে স্বভাবিক পন্থায় দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলাম সচলের সার্ভার ডাউন বা ঐরকম কিছু - কিন্তু কি মনে করে বিশেষ পন্থায় চেক করতে গিয়ে দেখি তখন ঠিকই দেখা যায়!

ঘটনাটা কি বুঝতে পারছি না! বিশেষ পন্থায় দেখা গেলে সমস্যাটা সচলায়তনের প্রান্তে না বলেই তো মনে হয়, তাই না? তাহলে কি সেটা বাংলাদেশ প্রান্তে? তাহলে অন্য ওয়েবসাইটগুলি কেন স্বাভাবিক ভাবে দেখা যাবে? তাহলে কি সচলায়তন ব্লক করা হচ্ছে?

অরফিয়াস এর ছবি

ঠিক আছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দারুণ তথ্যসম্বৃদ্ধ প্রয়োজনীয় একটি লেখা। (Y)

অরফিয়াস এর ছবি

(ধইন্যা)

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধুত্তোর... এইসব বাদ দিয়া, ধর্মানুভুতির বড়সড় একখান ভাবমুর্তি স্তাপন করেন দেহি...
জিনিস টা আসলে কেমন, বুইঝা দেখি :D

অরফিয়াস এর ছবি

:))

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

সেইক্ষেত্রে মূর্তিটা হতে হবে ছোট। কেউ এসে একটু মূর্তিতে ঘষাঘষি করলে মূর্তি আকারে দশগুন হয়ে যাবে। (মনে আবার কুচিন্তা আইনেন না কেউ, সরল মনে বললাম)।

অরফিয়াস এর ছবি

খাইছে, পুরাই তেলেসমাতি !

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নৈর্ব্যক্তিক এর ছবি

:-?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।