নয় মাসের যুদ্ধে রক্তস্নাত স্বদেশের জন্ম, বাংলাদেশ। হ্যাঁ, বাঙালি এর মূল্য দিয়েছে, অশ্রু, সম্ভ্রম আর রক্তে। মাত্র সাত কোটি মানুষের ছোট্ট একটা জাতি যে চরম মূল্য দিয়ে নিজের মাতৃভূমিকে শত্রুর কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তারপর প্রায় ধবংসপ্রাপ্ত একটি দেশ ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বারবার প্রমাণিত হয়েছে স্বাধীনতা অর্জন করার থেকে, রক্ষা করা আরো বেশি কঠিন। প্রতি মুহুর্তে শকুনের মতো ঘাড়ে চেপে বসা ষড়যন্ত্রকারীদের বিষবাষ্পে আক্রান্ত হয়েছে এই দেশ। স্বপরিবারে জাতির জনক এর হত্যাকান্ড, জেলবন্দী চার নেতার হত্যা কান্ড, দেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির আগ্রাসন এবং যুদ্ধাপরাধীদের আবার ক্ষমতার আসনে বসানো, একটার পর একটা কলঙ্কের দাগ এই দেশের ললাটে লেগেছে। আর এই কলঙ্কগুলো জাতিকে বহন করতে হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকগুলো বছর। কিন্তু যে জাতি পরাক্রমশালী বর্বর শত্রুর হাত থেকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে, যে জাতি রক্তের দামে স্বাধীনতার মূল্য দিতে জানে, সে জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায়না।
চলার পথটা কখনই অনুকূলে ছিলনা। বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে, অবিশ্বাসের ভ্রান্ত সন্দেহে অসংখ্যবার পথভ্রষ্ট হতে হয়েছে। কিন্তু দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলা থেমে থাকেনি। সময় লেগেছে, আত্মত্যাগ ছিল সবক্ষেত্রে। কিন্তু ধীরে ধীরে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দুবেলা খাবার না জুটুক, কিন্তু রক্তঋণ শোধ করার জন্য মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের হত্যাকান্ডের বিচারের রায় দিয়ে শুরু। এরপর নানা বিভ্রান্তির বেড়াজাল ছিন্ন করে, দৃপ্ত শপথে জাতি আর একবার যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু মাঠে-ময়দানে নয়, এই যুদ্ধ ছড়িয়ে ছিল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, চিন্তা-চেতনায়, মননে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ট্রাইবুন্যাল গঠন করে, বিচার শুরু হলেও, এর বিপক্ষে প্রতিরোধ ছিল পর্বতসম। দেশের রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসা যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের দোসর নব্য রাজাকাররা প্রথম থেকেই নানাভাবে এই বিচারকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের বাপেদের দিয়ে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে সরকারের উপর। কোটি কোটি ডলার দিয়ে টবি ক্যাডম্যান এর মতো ইতর লবিস্ট নিয়োগ করেছে তারা, মিথ্যা প্রপাগান্ডার পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। জামাত-শিবির এর জারজ সমর্থকরা নানাভাবে এই বিচার কার্যক্রমকে বন্ধ করার প্রানপন চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইবুন্যালকে নানা অপ-তৎপরতায় প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।এমনকি মাননীয় বিচারকের স্কাইপি কথোপকথন হ্যাক করার মতো দৃষ্টান্তমূলক অপরাধ করতেও তারা দ্বিধা করেনি। তাদের এই সকল অপ-তৎপরতার একটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল, জেগে উঠা জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
জামাত-শিবির আর সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে এ ছিল এক অন্যরকম যুদ্ধ। তাদের অস্ত্র আর তান্ডবের বিরুদ্ধে এ ছিল জনতার নিরব অভ্যুত্থান। গণতান্ত্রিকভাবে, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্বপুরুষের আত্মদানের প্রতি সম্মান জানানোর আর নরপশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তাই অসংখ্য মানুষ নিরবে কাজ করে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর মতো দুর্দান্ত একটি কার্যক্রম পরিচালনা করা গেছে স্বেচ্ছাশ্রমে। মাঠে-ময়দানে "ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির" মতো অসংখ্য সংগঠন জামাত-শিবিরের নারকীয় তান্ডবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। প্রানের ভয় তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছে অসংখ্য সাক্ষী। জনতা প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করেছে, অপেক্ষা করেছে স্বাধীনতা অর্জনের ৪০ বছর পরে আরো একবার কলঙ্কমুক্ত হবার স্বাধীনতা অর্জন করার।
আজ ২১শে জানুয়ারী, ২০১৩। আজ ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকার একটি দিন। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নরপশুদের বিরুদ্ধে প্রথম একটি রায় ঘোষিত হলো। বাচ্চু রাজাকার ওরফে জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল।শুধু তাই না, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে ‘পাকিস্তান রক্ষার’ নামে ‘সশস্ত্র বাহিনী’ তৈরির মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া প্রথম রায়ে। ঐতিহাসিক এই বিচার কার্যক্রম তার এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে আরও একবার প্রমান করলো এই জাতি পরাজয় মানেনা। জাতি তার পূর্বপুরুষের রক্তের ঋণ শোধ করবেই। যেই কলঙ্ক এই জাতিকে বহন করে চলতে হয়েছে এতগুলো বছর, আজকের রায়ের মাধ্যমে সেই কলঙ্ক মোচন এর অধ্যায় শুরু হলো।
যেদিন অভিযুক্ত সকল নরপশুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শেষ হবে, আমি জানি সেদিন ভোরের সূর্য আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। রাত্রির অন্ধকার বিদীর্ণ করে, পুব আকাশে আরও একবার ঘোষণা করবে জয় বাংলা, বাংলার জয়।
ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা সে সকল মানুষকে যাদের নিরলস পরিশ্রম এই বিচার কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী, ত্রুটিমুক্ত ও ঐক্যবদ্ধ করেছে।
এই ক্ষণে স্মরণ করি সকল মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ, মহিয়সী নারী, মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত সবাইকে-
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙ্গা
বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা
তারা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি।
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি।
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজি রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয়লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরি গলে।।
-কথা : মোহিনী চৌধুরী, সুর : কৃষ্ণ চন্দ্র দে
[ছবিসূত্র]
মন্তব্য
দায়মুক্তির সূচনা।
পোস্ট ভালো হইসে।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
রিশাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দায়মুক্তি শুরু হল। বড় হারামজাদাটাকে - গোআকে যেদিন ঝোলানো হবে সেইদিন দায়মুক্তি শেষ হবে
রায় কার্যকর হলেই দায়মুক্তি, এর আগে নয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা কারো দানে পাওয়া নয়"
জয় বাংলা
জয় বাংলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দায়মুক্তির একটু আগেই সুচনাতে বলছিলাম। আশা করবো এই মামলার রায় কার্যকর করা যেনো আইনী দীর্ঘসুত্রিতায় আটকে না পড়ে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আজ এই বিশেষ দিনটিতে দৈনিক প্রথম আলোর উপ সম্পাদক জনাব আনিসুল হক সারাদিন ফেসবুকে চুপচাপ কাটিয়েছেন। গত দুই দিন তিনি ফেসবুকে বিযি ছিলেন যথাক্রমে তার উপন্যাস ফৃডমস মাদার ও মস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিজ্ঞাপনে। আজ দিন শেষে তিনি তারই চামচা আশীফ এন্তাজ রবির এক জঘন্য ও অশ্লীল তামাশা শেয়ার করে বাচ্চু রাজাকারের রায় আর শেখ মুজিবের অবিস্মরনীয় ভাষনকে যুগপত পোঙ্গা মেরে দিলেন।
আনিসুল হক, আপনার চক্ষুলজ্জা নাই। চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হন।
যতোই নীরব থাকুন, আপনার বাচ-চুদাকে বাঁচাতে পারবেন না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আনিসুল হককে আমি লিখেছিঃ
আমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনিসুলমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনিসুলমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও! আমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনিসুলমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!াআনিসুলমার ধারণা আপনি একটা বিষদ লেখা দিবেন প্রথম আলোতে। আশা করছি প্রথম আলোতে 'বাচ্চু রাজাকার' কে কেন এত সম্মান দেখানো হল সেই ব্যাখ্যাও দিবেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ তাকে বাচ্চু রাজাকার নামেই চিনে, আর প্রথম আলো তাকে আবুল কালাম আযাদ নামে পরিচয় করিয়ে দিল। শুধু এক জায়গায় বলেছে, ফরিদপুরের মানুষের কাছে সে নাকি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত! তাহলে কি আমার বন্ধুর কথাই ঠিক!! ভয়?? কিছুদিন আগে প্রথম আলোর আমার সেই সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম 'আমার দেশ আর সংগ্রাম' পত্রিকার নোংরামী নিয়ে কেন রিপোর্ট করছিস না? সে বলেছিল, আসলে এরকম বড় পত্রিকা তাদের ঘাটাতে চায়না! কিসের এত ভয় আপনাদের? আমি আপনার সকল লেখা পড়ি সেই ২০০০ সাল থেকে! সব সময় আপনাকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখতে! আপনার কমপক্ষে ১০ টা বই আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। এত সুন্দর করে আমাদের যুদ্ধ আর বীরদের উপস্থাপন আর কেউ করেনি। আর সেই আপনি আপনার নিজের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে অন্য একজনের স্ট্যাটাস লিখে দিলেন, যেটা কিছুটা অন্য সুর খুজে পাওয়ার মত। youtube খুলে দেয়ার কথা বলার আরো অনেক সময় পাওয়া যেত! আমার মত হাজারো ভক্ত আপনার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল আপনি সেটা করেননি। আশা করছি দেরিতে হলেও আপনি যে অনেক অনেক খুশি হয়েছেন এই ইতিহাস সৃষ্টি করা রায়ে সেটা লিখবেন! আমি জানি আপনি সেটা করবেনও!
একই মন্তব্য এতবার কেন আসছে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বুঝলাম না এতবার কেন আসল!!! আর আমি এখানেও লেখি নাই। এখানেই বা কেন আসল??? লিখছিলাম আনিসুল সম্পর্কিত পোস্টের জবাবে!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
টাইমস এর এই মুক্তিযোদ্ধাই আজকের ব্যানারে - দেখেই মনে হয় বলছে
জয় বাংলা
আজকের ব্যানারটা দুর্দান্ত হয়েছে। আর এই ছবিটা নিয়ে বলার কিছু নেই, দেখলেই এক মুহুর্তে রক্ত গরম হয়ে যায়।
জয় বাংলা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জয় বাংলা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জয় বাংলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শুরু হলো। শেষ দেখতে চাই।
অবশ্যই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যেদিন অভিযুক্ত সকল নরপশুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শেষ হবে, আমি জানি সেদিন ভোরের সূর্য আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। রাত্রির অন্ধকার বিদীর্ণ করে, পুব আকাশে আরও একবার ঘোষণা করবে জয় বাংলা, বাংলার জয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জয় বাংলা !!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
জয় বাংলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি কৈছিলাম সুবহানাল্লাহ!
জয়য় বাংলাআআ..................
_____________________
Give Her Freedom!
জয় বাংলা!
জয় বাংলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জয় বাংলা!!!
ফারাসাত
জয় বাংলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কলঙ্কের মেঘ কাটিয়ে বাংলার আকাশে উড়ুক মুক্তির বৈজয়ন্তী
ঈয়াসীন
অনেক দিনের বন্ধ জানালা খুলে গেল যেন!
ঈয়াসীন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনারা যেভাবে একের পর এক ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তুলে চলেছেন, ভয় হয় কত ল্যাপটপ না জানি নষ্ট হয়। জানেনই তো, ‘জয় বাংলা’ শব্দটা শুনলে এখনও রাজাকারদের বাপ পাকি জেনারেলরা ভয়ে কাপড় ভিজিয়ে ফেলে। এই শব্দের তোড়ে পাকিদের বাংলাদেশি জারজ রাজাকাররা তো বটেই, তাদের ভাবশিষ্য তরুণ রাজাকারেরাও শুনেছি পাজামা গন্ধ করে ফেলে। যেসব তরুণ রাজাকার গোপনে আপনাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য সচলায়তন খুলে পড়তে বসেছে, তারা যে এমন মুহুর্মুহু ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি শুনে ল্যাপটপ নষ্ট করে ফেলতে পারে, সে সম্ভাবনার কথাও মাথায় রাখতে হবে বৈকি।
শব্দদুটো বরং রেখে দিই ওদের লাশ দেখে উল্লাস করার জন্য।
একটা জানোয়ারের ফাঁসির রায় হয়েছে। কিন্তু নতুন আইনে যে ওদের দানবাধিকার রক্ষার জন্য আপিলের নিয়ম আছে, সে পর্যন্ত যেতে যেতে আবার পাশার দান উল্টে যাবে না তো? সরকারের মতিগতি তো সব বুঝতে পারি না, তাই ভয় হয়।
এই রায়ে কি ন্যায়বিচার হবে? এত শান্তির মৃত্যুতে কি ওদের অধিকার আছে? ন্যায়বিচার তো সেদিন হবে, যেদিন এসব জানোয়ারের প্রত্যেককে রায়েরবাজারের কোনও এক জলাশয়ের পাশে পেছনে হাতপা বাঁধা, চোখ উপড়ানো, হৃদপিণ্ড খুবলে নেওয়া অবস্থায় মরে পড়ে থাকতে দেখব। এর কমে তো ন্যায়বিচার হয় না।
হাজার হোক, প্রকৃতিতে সমতা বলে একটি ব্যাপার তো এখনও আছে।
নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।
ন্যায়বিচার কিন্তু সভ্য মানুষ আর পশুর মাঝে পার্থক্য তৈরী করে দেয়, আর সেদিক থেকে ন্যায়বিচার আমরা করছি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বিচারে আস্থা থাকলে আপিলে বেশি ভীত হবার কারন দেখিনা।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
নতুন মন্তব্য করুন