যতদূর মনে আছে, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাজের সাথে আমার পরিচয় তার "ব্যাচেলর" চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। তখন সবে আমি কলেজের প্রথম বর্ষে। সেটি তরুনদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়, অনেক সংলাপ তখন আমাদের মুখে মুখে, গানগুলোও মন্দ ছিলনা। হঠাৎ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ফারুকী এর পরে অনেক কাজ করেছেন। বিশেষ করে টিভি নাটকে। সেগুলোর অধিকাংশ আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে দেখা না হলেও, লোকমুখে শোনার সৌভাগ্য হয়েছে সেগুলোর নানা সংলাপ। বিশেষ করে, বাংলা নাটকের জগতে অদ্ভুত ভঙ্গিতে চিবিয়ে চিবিয়ে কিংবা কৃত্রিম উচ্চারণে বাংলা বলার চল প্রচলনের অগ্রদূত মনে হয় তিনিই। যাই হোক, আমি আন্তর্জাতিকমানের কোন চলচ্চিত্রবোদ্ধা নই যে পরিচালক হিসেবে তার পরিচালিত চলচ্চিত্র কিংবা নাটক এর তুমুল সমালোচনা করবো। তবে কয়েকদিন ধরে আলোচনার মাঝে থাকা তার একটা সাক্ষাৎকার পড়ে, সাধারণ একজন দর্শক হিসেবে কিছু কথা বলার ধৃষ্টতা করতে আগ্রহী।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর বিনোদন বিভাগের প্রধান গোলাম রাব্বানীর সাথে পরিচালক ফারুকীর আলাপের কিছু অংশ [যেটি তাদের মতে "দীর্ঘ বাহাস থেকে চুম্বক অংশ"] পড়ার পরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তার বিশাল (!!) অবদান সম্পর্কে একটু ধারণা হলো। মনে হল, ফারুকীর জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় আমাদের দেশের চলচ্চিত্র হঠাৎ করেই আসমানের মহান যে উচ্চতায় উঠে গেছে সেটি এর আগে কারও পক্ষেই সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতেও তার আগে আর কোন চলচ্চিত্র দেশকে সঠিকভাবে তুলেই ধরতে পারেনি। খালি সস্তা সেন্টিমেন্ট বিক্রি করে গেছে।
প্রথমে একটা কথা বলি। আমাদের এখানে একটা মিথ আছে যে, বাইরের উৎসবে যে ছবিগুলো যায় সেগুলো হয় মেন্দামারা ছবি। কিন্তু রিয়ালিটি ভুল। ফেস্টিভ্যালে মেন্দামারা যায়, আগুনলাগা যায়, কমেডি, অ্যাকশন ছবিও যায়। ফেস্টিভ্যালে কোন বিশেষ ধরণের ছবি যায় না। আমাদের এখানে সবাই মনে করে ফেস্টিভ্যালে যায় ক্ষুদা, দারিদ্রতা, ধর্ম, রাজনীতি বিষয়ের ছবি যায়। এটা ভুল ধারণা। এবার আসি আমার ছবির প্রসঙ্গে। হলিউড রিপোর্টে আমার ছবি নিয়ে অনেক প্রশংসা করে অনেক কথা লিখেছে। তবে একটা জায়গায় লিখেছে , এই ছবি ম্যারম্যারা দক্ষিণ এশিয়ার ছবির যে একটা আর্ট আছে ঐ ভঙ্গি থেকে মুক্ত। এবং এই ছবি ট্রিপিক্যাল দারিদ্র দুঃখ বেদনা, বন্যা, ধর্মকে বিক্রি করতে চায়নি। এই ছবিতে পরিচালক ইউনিক ভঙ্গিতে গল্পটা বলতে চেয়েছেন। আমি আশা করি এই কথা থেকেই বুঝা যাবে আমার ছবি কি হয়েছে।
আসলেই আমাদের প্রজন্মের সৌভাগ্য যে, ফারুকী আমাদের ম্যারম্যারা কিংবা মেন্দামারা চলচ্চিত্রর বদলে দুর্দান্ত কিছু উপহার দিচ্ছেন। কারণ পরিচালক ফারুকীর ব্যাক্তিত্বই এমন। তার মুখেই শুনুন-
আমার ব্যক্তিত্বে তো ম্যারম্যারা কোন বিষয় নাই। আমি অনেক পরিশ্রম করেও ম্যারম্যারা ছবি বানাতে পারবো না।
ধন্য আমরা।
না না, এখানেই শেষ নয়। কিভাবে আমাদের অন্য পরিচালকরা ছবি "বিক্রি" করে গেছেন, সেটি নিয়েও পাঠ দান করেন তিনি।
মজার কথা হচ্ছে এই ছবিগুলো এখন আর সেল হয় না। পৃথিবীর সব দেশেই ঐ দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে সমালোচনা করে। ফিল্ম মেকাররা তো আর পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর না। যে শুধু একটা দেশের সুন্দরের গল্প করবে। সাহিত্যিক, কবি বা ফিল্ম মেকাররা এ দায়িত্ব নেয় নাই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে জীবনের সাদা কালো ভালো মন্দ সব দিকটা দেখানো। এখন আপনি কোন ছবিগুলোকে ইঙ্গিত করেছেন। যে ছবিগুলো দেখলেই বুঝা যায় তারা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য জীবনের বিশেষ কোন একটি দিককে দেখছেন। যখন আপনি বাংলাদেশের ধর্মান্ধদের নিয়ে সিনেমা বানাবেন তখন জীবনের আরেকটি দিককেও তো আপনাকে দেখাতে হবে। যারা ধর্মান্ধ না তারা কতটা মানুষ হিসেবে ভালো এবং তাদের জীবনের দৃষ্টি ভঙ্গি কি। আবার কথা হচ্ছে আপনার ছবিটা দেখে যদি বুঝা যায় যে আপনি আমেরিকার দৃষ্টিকোন থেকে ধর্মান্ধ বলছেন তাহলে তো ঠিক না।
এইবার তিনি তার মোক্ষম অস্ত্রটি ছাড়েন।
গত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে এরকম দুইটা ছবি হয়েছে যেটাতে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা হয়েছে। যা খুবই সহজে সেল করা যায় পশ্চিমাদের কাছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে এই দুটি ছবি পৃথিবীর বড় ফেস্টিভ্যাল তো নয় কোন ছোট ফেস্টিভ্যালেও জায়গা পায় নাই। ছবির নাম দুইটা বলতে চাই না।
ফারুকী ভাইয়া ছবি দুটোর নাম বলতে না চাইলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ দর্শক অনুমান করে নিতে পারবেন তিনি কাকে এবং কোন চলচ্চিত্র দুটো নিয়ে তার এই বিশেষ উক্তিটি করেছেন। তো পরিচালক ফারুকীর এই আত্মদম্ভের নিঃশ্চয়ই কোন শক্তপোক্ত কারণ আছে। একবার খুঁজে দেখি ফারুকীর চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে ঠিক কতটা পরিচিত।
সাল ২০০৩ : চলচ্চিত্র "ব্যাচেলর"-
নমিনেশন-
- New Jersey Independent South Asian Cine Fest
- Third Eye IFF Mumbai
- Asiaticafilmmediale Rome
সাল ২০০৭ : চলচ্চিত্র "মেইড ইন বাংলাদেশ"-
নমিনেশন কিংবা পুরস্কার- কিচ্ছু না
সাল ২০০৯ : চলচ্চিত্র "থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার"-
নমিনেশন-
-Premiered in - Pusan International Film Festival (2009)
-Official selection - International Film Festival Rotterdam (2010)
-Official competition - Middle East International Film Festival (2009)
-Winner Best Director - Dhaka International Film Festival (2010)
-Official competition - Tiburon International (2010)
-Official competition - Festival Cinema Africano,Asia,America,Latina,Milano,Italy (2010)
সাল ২০১২ : চলচ্চিত্র "টেলিভিশন"-
পুরস্কার-
-awarded A C F Busan International Film Festival 2012 for post production fund.
-Special mention award, Muhr Asia Africa film competition Dubai International Film Festival 2012
নমিনেশন-
-Nominated Best screenplay & best cinematography Asia Pacific Film Festival 2012
-Nominated Lino Brocka Grand Prize Cinemanila International Film Festival 2012
হ্যাঁ, ২০১২ সালের "টেলিভিশন" নামক চলচ্চিত্রটি দিয়েই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান ফারুকী। তার "ফেস্টিভ্যালম্যান" কিংবা "নমিনেশনম্যান" ইমেজ তিনি ভুলে যেতে চাইতেই পারেন, দোষের কিছুনা। কিন্তু তিনি যখন বাংলাদেশের অন্যান্য চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের মতো নাদান দর্শককে পাঠদান করতে আসেন, ঝামেলা শুরু হয় সেখানেই। একটু দেখার ইচ্ছা জাগে "সুপারম্যান" পরিচালক ফারুকীর আগে আর কারও কি সৌভাগ্য হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার?
আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতির কথা উঠলেই আসে নন্দিত পরিচালক তারেক মাসুদের কথা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসাধারণ অবদানের জন্য পরিচিত ক্ষণজন্মা এই মেধাবী মানুষটির কাজ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁর অবদান শুধু পুরস্কারের মানদন্ডে বিচারযোগ্য নয়। তবুও আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সফলতা একটু দেখি-
সাল ১৯৯৭ : চলচ্চিত্র "মুক্তির গান"-
পুরস্কার-
-1997 Film South Asia, Special Mention
সাল ২০০২ : চলচ্চিত্র "মাটির ময়না"-
নমিনেশন-
-2002 International Film Festival of Marrakech, Golden Star
-2004 Nominated, Directors Guild of Great Britain, Outstanding Directorial Achievement in Foreign Language Film
পুরস্কার-
-2002 Cannes Film Festival, FIPRESCI Prize in section Directors' Fortnight outside competition
-2002 International Film Festival of Marrakech, Best Screenplay Award - Tareque Masud & Catherine Masud
"মাটির ময়না" বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসে প্রথম চলচ্চিত্র যেটি অস্কারে "Academy Award for Best Foreign Language Film" এর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
শুধু তাই না, তারেক মাসুদ এবং ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত "মুক্তির গান" বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপরে নির্মিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলোর একটি।
এছাড়াও ২০১১ সালে নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত চলচ্চিত্র "গেরিলা" কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে NETPAC Award for the Best Asian Film এ ভূষিত হয়েছিল।
পরিচালক ফারুকীর আগেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজারো দেশের হাজারো চলচ্চিত্রের ভিড়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে সম্মানিত হওয়া দেশের এই চলচ্চিত্রগুলো ঠিক কোনটা কোনটা "ম্যান্দামারা" কিংবা "ম্যারম্যারে" কাহিনী নিয়ে পশ্চিমা দেশের কাছে "ধর্ম,দারিদ্র আর দুঃখ-বেদনা" বিক্রি করে এসেছিল তা আমি খুঁজে পাইনা। আরো খুঁজে পাইনা, মাত্রই ২০১২ সালে একটি চলচ্চিত্রে দক্ষিন কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে আত্মদম্ভের উন্নাসিকতায় হারিয়ে যাওয়ার মতো কোন কারণ।
একটি "মুক্তির গান" কিংবা "মাটির ময়না" তৈরী করার মতো মেধা এদেশে বছরে বছরে জন্মায় না। "রানওয়ে" তৈরী করে দেশের জঙ্গিবাদের চিত্র তুলে ধরার মতো সাহসী পরিচালক এদেশে সার্চলাইট জ্বালিয়ে খুঁজতে হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের প্রতিভারা ক্ষণজন্মা কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। জহির রায়হান, তারেক মাসুদের মতো মানুষগুলো খুব দ্রুত হারিয়ে যান, না ফেরার দেশে। আর তাই আমাদের মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাছ থেকে চলচ্চিত্র শিক্ষায় পাঠ নিতে হয়। দেশের ইতিহাস আর সমাজের বাস্তব চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র অনায়াসে হয়ে যায় "ম্যারম্যারে" কারণ তাতে চটুল সংলাপ থাকেনা, নর-নারীর প্রেমালাপ থাকেনা। তাই "মুক্তির গান", "মাটির ময়না" কিংবা "গেরিলা" এই চলচ্চিত্রগুলোর পেছনে ফারুকী খালি "বিক্রয়" উদ্দেশ্য খুঁজে পান।
"ফারুকী" পরিচালিত "টেলিভিশন" দেখলাম আনিসুল হক (আরেক সুপারম্যান এবং "পু" বিপ্লবী) আর ফারুকীর যৌথ প্রজেক্ট। কিন্তু দুর্মুখেরা কানাঘুষা করে এটা নাকি কোন এক তুর্কি সিনেমার কপিপেস্ট। কি জানি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিপ্লবীরাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে আমার ব্যক্তিগত একটা অনুরোধ স্যার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আপনি আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র সম্পর্কে পাঠদানের আগে অন্তত একটি বার এইদুটি ভাব সম্প্রসারণ করুন-
১. শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ এক ফোঁটা দিলাম শিশির।
২. হাতি, ঘোড়া গেল তল, পিপড়ে বলে কত জল !
এরপর না হয় আপনার বিপ্লব চালিয়ে যাবেন।
[আপডেট : বর্তমানে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর পাতায় যেই সাক্ষাৎকারটি শোভা পাচ্ছে সেটি পরিবর্তিত রূপ। অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে লেখায়। কিন্তু তাদের মূল খবরটির স্ক্রীনশট এখানে।]
মন্তব্য
ডাউনলোডেবল পদক বিজয়ী রিভিশনিস্ট সিনেমা সম্পর্কে স্যারের বক্তব্য কী?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাংলার মজিদ মাজিদির কথাবার্তা শুনে আবেগে আপ্লুত হয়ে আজ থেকে তাকে বঙ্গমজিদ বলে ডাকতে চাই। ওনারও টুপিদাড়ি আছে, লালসালু উনি টাঙাতেই পারেন।
আমি-আমি-আমি রোগের কোনো ঔষধ নাই। এই রোগ নিয়ে তাই শুধু গান হয়।
আরেক "আমি-নবী" ফারুকী !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
http://m.imdb.com/title/tt0270053/
Here is the original one,i guess!
দুর্মুখেরা এরকমই বলে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বহুত কিছু বায়রায় আসতেছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জব্বর কাগুর নামে আগেও "মোস্তফা", স্যারের নামের আগেও "মোস্তফা"! গঠনা কি??
ফারাসাত
চোট্টামি ছাইড়া ভালা হ ফারুকী, সিনেমা যা বানাইছস তাতে এক মাইয়া কেমতে তিন ব্যাডার লগে থাকতে পারে এইডা শিখান ছাড়া পোলা পাইনরে আর কিছু দিতে পারছ নাই। বাস্তবে ও কি তাই করছ নি???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একজন বিজয় টেবলেট দিয়ে অনলাইন থাকে আরেকজন মনে হয় বিজয় টেবলেট এর জন্য অনলাইন থাকে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আসলেই বাংলাদেশের মানুষ খুব দুর্ভাগা। আর সেইজন্যই জহির রায়হান, তারেক মাসুদরা খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়। আজ যদি জহির রায়হান বেঁচে থাকতেন আমাদের সিনেমা জগত অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারত। ব্যাচেলর মুভির মাধ্যমেই যতদূর সম্ভব ভাষার বিকৃতি শুরু।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তারেক মাসুদ সম্পর্কে ফারুকি যেভাবে বলেছে, সেটা পড়ে মুখে এক দলা থুথু চলে এসেছিল। রানওয়ে আমি প্রথমে একা দেখেছিলাম, তারপর আমার স্ত্রীকে নিয়ে আবার দেখেছি। দেখার পর দুজনই স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। এত শক্তিশালি ম্যাসেজ বাংলা ছবিতে আমি আগে দেখি নি। তারেক মাসুদ এমনিতেও আমার অসম্ভব প্রিয় পরিচালক। সেদিন আবারও মন থেকে এই ক্ষণজন্মা পরিচালককে কুর্নিশ জানিয়েছিলাম।
যাইহোক, ফারুকির প্রসঙ্গে ফিরে আসি। ফারুকির কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না যদিও। ঢাকঢোল পিটিয়ে ব্যাচেলার করেছিল; তাই দেখেছিলাম। ঐ শুরু, ঐ শেষ। ফারুকির আর কোন চলচিত্র, নাটক বা টেলিফিল্ম কোন দিন দেখি নি। স্রেফ আগ্রহ হয় নি। মিডিয়া-ব্লগে গত দুটা চলচিত্রের রিভিউ পড়ে এবং ব্যাচেলার দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ফারুকি আসলে 'সুরসুরি' সর্বস্ব পরিচালক। তার ভাষায় যদি অন্য পরিচালকরা ক্ষুধা, ধর্ম, জঙ্গিবাদ বিক্রি করে থাকে, তাহলে আমি বলবো ফারুকি সেল করে 'সুরসুরি'। এতে হয়তো দুই পয়সা আয় হবে, কিন্তু যে পুরস্কারের অভিলাষ তার মনে জন্মেছে, সেটা পূরণ হবে না নিশ্চিৎ। ঠিক আগের চলচিত্রটাই এর প্রমাণ।
টুইটার
চিবিয়ে বাংলা না বললে হয়তো ছিঃনেমা হয়না, আর সুরসুরি না দিলে পুরস্কার পায়না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুব দরকার আছিল লেখাটা, ওইদিন শালার সাক্ষাৎকারটা পইড়াই মুখটা তিতা হইয়া ছিল। শালা মাচো একটা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি দেখলাম লেখাটা পরে ভাবলাম এধরনের আচরণের প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মিনহোয়াইল, ইন ফারুকীজ ফ্যান পেইজ সাম শিট রিটেন বাই ফারুকী। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে সিনেমার উপর উনার গোস্বা নতুন না দেখা যাইতেছে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাত দিয়ে দরজায় টোকা না দিয়ে মাথা দিয়ে বাড়ি দিলেও আমরা কিছু কমু না।
আপনি কান পেতে রইলেও সে কান আমরা টানমু না।
ফারাসাত
হ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইসব ফালতু লোকজন মার্কেট কীভাবে পায় সেইটাই কথা।
অজ্ঞাতবাস
ফালতু লোক বলেন কি সুমনদা !! উনি তো বিপ্লবী !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পুরস্কারটা কি সেইটাই বুঝলামনা। ACF (Asian Cinema Fund ) শুনেছি শুধুমাত্র ফান্ড (কাজ করার জন্য ভিক্ষা) দেয়। কোন পুরস্কার দেয়না। পুসান ফিল্ম ফেস্টিভালের পার্টনার/স্পন্সর ওরা, পার্টনার/স্পন্সর বলে ওরা যাদের ফান্ড দিয়েছে তাদের ছবি গুলা ঐ ফেস্টিভালে কোন এক সময় দেখায়। ACF আর Pusan International Film Festival দুই জিনিষ।
ওরা সেখান থেকে দুইবার ফান্ড নিছে, প্রথমে স্ক্রিপ্ট ডেভোলোপমেন্ট, পরে পোস্ট প্রোডাকশনের জন্য।
...........................
Every Picture Tells a Story
পড়ে যা মনে হলো, পুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে "টেলিভিশন" চলচ্চিত্রটি মনোনিত হয়েছে আর পুরস্কারটা হলো ওই ফান্ড এর টাকাটা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
না ঐটা ঠিক না। ACF ওদের টাকা দিছে প্রথমে স্ক্রিপ্ট ডেভোলোপমেন্ট, পরে পোস্ট প্রোডাকশনের জন্য। ACF এ সঠিক ভাবে এপ্লাই করলে যে কেউ টাকা পেতে পারে।
...........................
Every Picture Tells a Story
তাহলে তো পুরস্কার প্রাপ্তির খবরেও ঘাপলা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মেজাজটা খুব তিতা হয়ে ছিল পড়েই, ফারুকী র 'কি হনুরে' ভাব দেখে আর বাচি না !
বুঝতে পারছি কে বানাইছে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাংলা ভাষাকে প্রায় জঘন্য করে ফেলেছে ফারুকী। আর কোন কিছু না ভাবলেও এই দোষে তাকে আর ফিল্ম তৈরী করতে দেয়া উচিৎ না। দীর্ঘমেয়াদে আমাদের ক্ষতি করছে মনে হয়।
তারেক মাসুদের মতো এতো অসাধারণ মাপের একজন মানুষকে নিয়ে ফারুকী সাহেবের এই ফটকা কমেন্ট পড়ে মেজাজ খুব খারাপ হয়েছিল! ভাব-সম্প্রসারণ করতে পারলে তাকে আমার পক্ষ থেকে ভাষা শিক্ষার বই পুরষ্কার দিবো
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফারুকী এর চলচ্চিত্র পরিচালনা পছন্দ করি না। কথা বলার ভঙ্গী কিংবা সমাজের বিষয় গুলো অবিকল একই ভাবে তুলে ধরার মধ্যে শিল্প টা ফাঁকি এর খাতায় থেকে যায়। আমি বিদেশপ্রেমিক না-কিন্তু চলচ্চিত্র নিমার্নে সত্যি অনেক কিছু তাদের কাছ থেকে শিখার আছে। সবচেয়ে বড় যেই ব্যপারটা বর্তমানে এড়িয়ে যাওয়া হয় তা হল সরল সহজ কিছু উদ্ধৃতি কিংবা দৃশ্য এর মাধ্যমে রুপকভাবে নিদারুন সত্যিটা তুলে ধরা। আমার মনে হয় ফারুকী ভাই এর বেশীদূর যাবার দরকার নেই। সত্যজিৎ রায়-এর পথের পাঁচালী দেখুন আরেকবার- সেকেন্ড বাই সেকেন্ড , ফ্রেম বাই ফ্রেম- বুঝতে পারবেন।
তুলনা করতে চাই না। কিন্তু তারেক মাসুদ বেঁচে থাকলে সত্যি আমরা অনেক কিছু পেতাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আবার না এখন পু পু এর বদলে টু টু শুরু হইয়া যায় , যেমনে আলু প্রমো দিতাসে । খেয়াল কইরা ;)
" পু পু " + "টু টু" = "পুটু" !!! খেয়াল কইরা !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আরেকটা কথা, "মাটির ময়না" কিংবা "রানওয়ে" এ ধরনের সিনেমা কম্পেয়ার করাটাই ভয়াবহ রকমের মুর্খামি। একটা পুরষ্কার পেয়ে ধরা কে সরা জ্ঞান করলে আখেরে পতন ছাড়া আর কিছুই হবে না।
পোষ্টের জন্যা হ্যাটস অফ।
ধন্যবাদ আপনাকে সাকিন উল আলম ইভান।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুকি কে আমার কাছে "গায়ে মানে না আপনি মোড়ল" মনে হয়। বাংলা নাটক এবং ভাষার "বিকাশ" এর দায়িত্ব নিজ স্কন্ধে "তুলে" নিয়েছে। বিরক্তিকর !
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুকীর কথাবার্তা শুনে শুধু একটা কথাই তার উদ্দেশ্যে বলতে ইচ্ছে করছে - "Scooby dooby dooo, where are you....♪♫"
****************************************
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অরফিয়াস রক্স!!!
অনেক ধন্যবাদ 'স্যার' এর বাচলামি নিয়ে লেখার জন্য -
মন্তব্যে জানা যাচ্ছে আরো মেলা কিছু (বহুত কিছু বায়রায় আসতেছে - এরএকটা ইমো থাকা উচিত)
Viziontele দেখতে হবে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হতে পারেন তিনি প্রতিভাবান, ম্যান্দামারা ব্যাপার স্যাপার নেই তার মধ্যে কিন্তু তার মানসিকতা এখনো যে গাঁজার গন্ধ থেকে বেরোতে পারেনি সেটা স্পষ্ট হয়েছে কথাবার্তায়। হাওয়ায় উড়ছেন বঙ্গমজিদ। আগের সেরা চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে যে অপমানের টোনে কথা বলেছেন তার ফিল্ম এক ডজন ক্যাটেগরিতে অস্কার পেলেও তার অপরাধ বিন্দুমাত্র ম্লান হয়না।
সময়োপযোগী লেখাটার জন্যে ধন্যবাদ।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুকী লিখতে 'ফ' লাগে ফটকা লিখতেও
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"আমাদের দুরভাগ্গ প্রতিভারা খনজন্মা"---- খনজন্মা অরথ শল্পায়ু না। dictionary check করেন।
"ক্ষণজন্মা" বানানটা আগে লিখতে শেখেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লেখাটা পড়ে বুনো মোষ আর বাঘা তেঁতুল সংক্রান্ত বাগধারাটাও মনে পড়ে গেল!
খাসা লিখেছেন,খুব আনন্দ পেলাম মাইরি!!
মোষ নয়, ওল
শুধরানোর সময়টাও পেলাম না
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্লাস নেন
এ+ নাকি এনার্জি+ ??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমিও যোগ করতে চাই "পেচা ঢোল পিটিয়ে বলে পেলে কোনো ছুতা, জানোনা সূর্যের সাথে আমার শত্রুতা" (exactly মনে নাই লাইন দুইটা)
প্যাঁচা রাষ্ট্র করে দেয় ......
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুকী বলতে ভুলে গেছে যে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছাতার নিচে না গেলে ফিল্ম ফেস্টিবেলে বাংলাদেশী সিনেমা পাঠানো যায়না ।বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি আর ইমপ্রেস টেলিফিল্মে এই গিল্ডে র মাধ্যম ছাড়া বিদেশী ফিল্ম ফেস্টিবেলে কোন ছবি যায় না ।
তৌকির কেন তার জয়যাত্রার স্বত্ত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কাছে বিক্রি করে সে প্রশ্নের উত্তর ও এখানে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শালায় একটা পাঁকা ফাউল ... এক্কেলে ফাত্রা ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হ, ফারুপটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব ফিনিক্সের তাঁবুতে না ঢুকে মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে এইরামই হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
“রানওয়ে সিনেমা তারেক মাসুদ নির্মাণ করেছে পশ্চিমাদের কাছে সেল করতে” ফারুকির এই উক্তির জন্য আমি ক্যাথারিন মাসুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
...জিপসি
আপনি ক্ষমা প্রার্থী কেনো?
ক্যাথারিন মাসুদ রানওয়ে সিনেমার প্রযোজক। তারেক মাসুদ আজ সব বিতর্কের উর্ধে চলে গেছেন। রানওয়ে নিয়ে সমালোচনা যে কেউ করতে পারে কিন্তু ফারুকির উচ্চারিত “সেল” শব্দটি জন্য আমি আহত।
...জিপসি
নামটি ঠিক করে লিখুন, ক্যাথরিন মাসুদ, ক্যাথারিন না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হের স্যাক্বাতকারটি হৈল আদর্শ 'মুই কী হনু রে'! কত বড় আস্পর্ধা তারেক মাসুদের মত চলচ্চিত্রকারকে কটাক্ষ করে! শাস্তি চাই।
_____________________
Give Her Freedom!
নারে ভাই, এর জন্য তো শাস্তি চাওয়া যায়না, তিরস্কার করা যায়। শাস্তি চাওয়াটা বেশি হয়ে যায়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইসব মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ভাইয়ার চরিত্র হননের অপচেষ্টা। উনি আব্বাস কিয়োরুস্তমির সাথে ছবি তুলেছেন, উনি অনেক বস লোক।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
৯০-দশকের যখন বাংলাদেশের সিনেমা জগত একেবারে মুখথুবড়ে পড়েছে তখন ওই তারেক মাসুদের কল্যাণে আমাদের কিছু ভালো সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অশ্লীল দৃশ্য আর কু-রুচিপূর্ণ সংলাপে যখন বাংলা সিনেমা জর্জরিত তখনও আমাদের টিভি নাটকগুলো ছিল গর্ব করার মতো। ঠিক সে সময় উদয় হলো ''ছাগলা ফারুকী''র। বিকৃত ভাষা আর কৃত্রিম সংলাপে ভর করে সস্তা জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে টিভি নাটকে। ''ছাগলঅ ফারুকী'' সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই, কিন্তু আনিসুল হকের কাছে একটা প্রশ্ন- বহুদিন আগে ''কালি ও কলমে'' ''ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়'' শিরোনামে বিকৃতির মহাযজ্ঞের বিরোধীদের কটাক্ষ করে যে বাক্যবাণ ছুঁড়েছিলেন, তারই পুনর্মঞ্চায়ন করল ব্যাটা ''ছাগলা''। ধিক্কার ছাগলাকে, তারচেয়ে বেশি ধিক আনিসুল হক-কে। বিকৃতি দামামা বাজিয়ে অন্তত আরেকজন প্রমথ চৌধুরী হওয়া যাবেনা--সে প্রমাণ একদিন সময়রে কাছেই পেয়ে যাবেন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনন্ত রে নিয়া ফারুকি ছবি বানাইলে এক্কেবারে মানাইত
ফারুকী নিজেকে ভাবে বাংলার মজিদ মজিদি। আর জলিল নিজেকে ভাবে বাংলার টম ক্রুজ। বঙ্গমজিদের সঙ্গে বঙ্গটমের যোগাযোগ কি হবে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হিমু ভাই, কয়েকদিন আগে ৭১ চ্যানেলের জয়তু অনুষ্ঠানে এসে জলিল দাবি করলেন তার সমস্ত আগ্রহ, প্রেরণা, আইডল সব নাকি জেমস বন্ড। তিনি নিজেকে বাংলার বন্ডের হিরোই মনে করেন বলে বুঝালেন। আর জলিলের নায়িকা বর্ষা বললেন বন্ডের নায়িকা হতে যা কিছু প্রয়োজন সব তার আছে। একদম সব।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লেখাটা চমৎকার...
বাংলা নিউজের ঐ রিপোর্টে
এই অংশটুকু পাচ্ছিনা, মনে হয় বাদ দিয়েছে। তবে আরেকটা লিঙ্ক পাইলাম। সেখানে দেখি আছে কথা গুলান।
গুগল কেইশেও পাবেন।
বাংলানিউজ২৪.কমের যে পাকনা ভাইয়া ঐ অংশটুকু গায়েব করে দিয়েছেন, তাঁর জন্যে একটা স্ক্রিনশট। এই গায়েবিকরণ যদি বঙ্গমজিদের পক্ষ থেকে হুড়ো খেয়ে করা হয়ে থাকে, তবে তাকে জানাবেন, কথা যদি হাপিস করে দেওয়ার মতোই হয়, তাহলে তার জন্যে দুঃখপ্রকাশও করা যেতে পারে।
আরও কয়েক জায়গাতে পরিবর্তন করে খবরটা পোস্ট করেছে আবার, আমারও মনে হচ্ছিল এরকম হতে পারে, ভাগ্যিস স্ক্রিনশট নেয়া আছে হিমুদা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হ্যাঁ, পরিবর্তন করা হয়েছে মূল খবরে, পড়ে দেখলাম। আর আপনার দেয়া লিঙ্কের "লক্ষীপুর ওয়েব" যা করেছে তা হলো লেখকের নাম না দিয়ে সোজা কপি পেস্ট করে দিয়েছে সাক্ষাৎকারটা। চোরামি করলেও একদিক থেকে উপকারও বটে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যা বলার উপরে সবাই বলে ফেলেছেন। সিনেমা খুবই কম দেখা হয়। অনেকদিন আগে ব্যাচেলর সিনেমাটা দেখেছিলাম। কিন্তু পুরাই মাথার উপর দিয়ে গিয়েছিল। কিছু ব্যাচেলরের লুচ্চামি একটা পুরো সিনামার কাহিনী হতে পারে আমার ধারণা ছিল না!! এর পরে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার দেখেচিলাম বন্ধুদের সাথে গিয়ে। চূড়ান্ত রকমের ফালতু লেগেছে। কোন কাহিনী নাই, কিচ্ছু নাই। আসলে বুঝতেই পারিনি সিনেমাটা কি দিয়ে বুঝাতে চাচ্ছিল। পরকীয়া কে প্রমোট করা? আমার মস্তিস্কের বিকাশ হয়ত ঠিকমত হয়নি তাই ধরতে পারিনি!
যাই হোক ফারুকীর সাক্ষাৎকারটা দেখার পর থেকেই খুবই বিরক্তি লাগছিল! লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুবই সুখপাঠ্য।
ঈয়াসীন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
টেলিফিলম "চোড়ুইভাতি" আর নাটক "৫১বোরতি" এই দুইটা একটু ভালো লাগছিলো,কারন একটু নতুনতত ছিলো।।।।পরে দেখলাম এইটাই উনার পাগলামি এটা ছাড়া কিছু পারে না।।।।।।উনার ভাই-বারাদার এখন রাসতা ঘাটে নাটক বানায়া বিকরি করে।।।।
সোসতা নাটক।।।।।।।মারকেট বেইজ কাহিনি (যা টিন এজার রা খাইবো)।লুচ্চামি,পাগলামি,আতলামি উপজিব্য ।।। ।।।।।।।
ফারুকি সাহেব পারলে Story base কিছু বানান।।।।।
পারলে একটা "রানওয়ে","মাটির ময়না"," মুক্তির গান","আমার বোনধু রাসেদ"কিংবা "গেরিলা" বানান।।।।।।।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুকীর উচিৎ চলচ্চিত্র কী ভাবে তৈরী করতে হয় সেটা আগে শেখা, তারপর এই সব বিষয়ে জ্ঞনদানের চেষ্টা করা। কালকের বৈরাগী, আজ ভাতকে বলে অন্য! আর বাংলাদেশটাও একটা আজব জায়গা; আলি-কুলি-মালি যে কেউ কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে পারলেই মৃৎ শিল্পী বানিয়ে ফেলে!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এটাই কথা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বঙ্গমজিদের গালে চড়টা যা মেরেছেন না, এতদুর থেকেও শুনছি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জলিলও অর চেয়ে বালা বানায়, মজা তো পাই!! অয় গেছে তারেক-ক্যাথরিন নিয়া কথা কইতে!!! শিওর এর আগে আজিজ হইয়া সরওয়ার্দী ঘুইরা গেছে।।।।।।আপনের দেওয়া হিল পুটু থেকে বের করতে ওর মনে হয় স্পেশাল ক্রিম লাগবে!! সেলাম আপনারে।।(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট )
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন - " আমার শত্রুদের সংখ্যা দেখে আমার শক্তি টের পাই "।
ফারুকীর শত্রুর সংখ্যা দেখেই তার শক্তি কতখানি তা বোঝা যাচ্ছে। হা হা হা হা ।
হা হা হা হা। আপনার মতো ভক্ত দেখেও ফারুকীর শক্তি টের পাওয়া যায়। ভক্তি প্রদর্শনের জায়গা আছে।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
হ, ডরাইছি !! যান আজকে থেকে ফারুকীর নতুন নাম দিলাম "বঙ্গরেম্বো"।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কোথায় রাজধানী আর কোথায় ফুলদানী??
কার সাথে কার তুলনা করলেন ভাই ??
কোথায় ফারুকী আর কোথায় তারেক মাসুদ???
ফারুকী কি বাংলা ছবির ইতিহাস জানে???
মনে হয় "টেলিভিশন" ছবি পুরস্কৃত হবার পর সব কিছু ভুলে গিয়েছেন।
জনাব ফারুকি বড় হয়েছেন বলে কি জন্মের শিশুকাল অস্বীকার করবেন ???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দুইটা ভাব-সম্প্রসারণই কঠিন হইছে। শিউর সাকসেস সাজেশনেও এগুলা ছিল না। তাছাড়া লেখকের সাথে সাথে কয়েকজন মন্তব্যকারি ভাব-সম্প্রসারণ কয়েকটা বাড়াইয়া দিছে। ভাব সম্প্রসারণের সাথে 'অথবা' দিয়া সারাংশ দিতে হপে। আপনারা কি জানেন না প্রশ্নপত্রে ভাব-সম্প্রসারণ কঠিন দিলে সারাংশটা সহজ দিতে হয়।
হ। পরের বার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গাঁজায় মস্তিষ্কের ক্ষতি বিষয়ক একটা ১২০০ শব্দের রচনা লিখতে বলাও উচিত ছিল বোধ হয়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার ব্যক্তিগত একটা অনুরোধ স্যার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আপনি আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র সম্পর্কে পাঠদানের আগে অন্তত একটি বার এইদুটি ভাব সম্প্রসারণ করুন-
১. শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ এক ফোঁটা দিলাম শিশির।
২. হাতি, ঘোড়া গেল তল, পিপড়ে বলে কত জল !
এরপর না হয় আপনার বিপ্লব চালিয়ে যাবেন।
নতুন মন্তব্য করুন