জামাতের কোন পদক্ষেপই ভুল বা হঠকারী সিদ্ধান্ত না, এটা জেনে রাখুন। আজকে ব্লগার থাবা বাবার হত্যাকান্ড একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। আর এর পেছনে কাজ করেছে জামাতের দুর্দান্ত কিছু স্ট্র্যাটেজি।
একটা জিনিস চিন্তা করুন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষের মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা আপনি কি সমর্থন করেন? যদি কোন কারণে সমর্থন করেন তাহলে এই লেখাটা আর পড়ার দরকার নেই। আর যারা সমর্থন করেন না তারা পড়ুন।
জামাতকে বুঝতে হলে তাদের কর্মপদ্ধতি বুঝতে হবে। কেন তারা কোন একটি পদক্ষেপ নিল তার পেছনের কারনগুলো মাথা খাটিয়ে বের করতে হবে। নাহলে তাদের আসল উদ্দেশ্য বোঝা যাবেনা কখনই।
আজকে এই আন্দোলনের সাথে জড়িত অনেকেই হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এটা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এই প্রথম শাহবাগের এই আন্দোলনের সাথে জড়িত একজন উদ্দ্যোক্তা নৃশংসভাবে খুন হলেন। কিন্তু কেন? অনেকেই ভাবছেন, জামাত এই কাজটা করে তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ করে দিল, তারা ভুল করলো। না, তারা ভুল করেনি।
থাবা বাবার মৃত্যুর পরে, অনলাইন থেকে দেশের প্রথম সারির সব মিডিয়া সরব। ফেসবুক থেকে ব্লগ সব জায়গায় এখন এই আলোচনা। মানুষ শেয়ার করছে তাঁর লেখাগুলো। এমনকি অনেকে শেয়ার করছে তাঁর প্রোফাইলের লিঙ্কও। কিন্তু এরইমাঝে একটি আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, "আরে, থাবা বাবা, তো নাস্তিক ছিল !!" অনেকেই মন্তব্য করছেন এরকম, "সে যেসব লেখা লিখেছিল, এখন যা হয়েছে তার জন্য কোন দুঃখ নেই।" একবার চিন্তা করে দেখুন, একটি মানুষ নাস্তিক হোক কিংবা আস্তিক, তার মানসিকতার জন্য তাকে হত্যা করা কিভাবে সমর্থনযোগ্য? কিন্তু মানুষের মতামত ঠিক এই জায়গায় এসে বদলে যাচ্ছে।
জামাতিরাও এটাই চায়। আজকে শাহবাগ এর এই আন্দোলন ভন্ড করার জন্য জামাতের একটা অন্যতম প্রোপাগান্ডা ছিল এটা ইসলাম বিরোধী নাস্তিক আর বামেদের আন্দোলন, "ব্লগার থাবা বাবা" এর থেকে ভালো টার্গেট আর ছিলনা, এ কারণে এখন যখন রাজীব হায়দার এর হত্যাকান্ডের পরে মানুষ তার ব্লগ আর লেখা শেয়ার করা শুরু করবে মানুষ এমনিতেই জানবে সে নাস্তিক ছিল, স্পষ্টতই বিভক্তি আসবে, যা এখনই শুরু হয়ে গেছে, আন্দোলন সমর্থকদের অনেকেই এই ব্যাপারে দ্বিধান্বিত।
এমনকি জামাতের সুপরিচিত ব্লগ সোনার বাংলাদেশেও ব্লগার রাজীব নাস্তিক এই বিষয়টিকে আগে থেকেই পোস্ট করে উসকে দেয়া হয়েছে। এমনকি শুধু থাবা বাবার বিরুদ্ধেই না, এরকম পোস্ট গত কয়েকদিনে এসেছে কয়েকটা আর তাতে টার্গেট করা হয়েছে এরকম অনেককেই। সুতরাং এটা যে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একবার বাইরের বিশ্বে জামাতি প্রোপাগান্ডাগুলো দেখুন, সব কটাতেই আসল ফোকাস হচ্ছে দেশের সরকার ইসলাম এর বিরুদ্ধে কাজ করছে। দেশের ইসলামী দল নিষিদ্ধ করছে, নেতাদের জেলে মিথ্যা মামলায় শাস্তি দিচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনকে দ্বিধাবিভক্ত করতে তাদের অন্যতম একটা ট্রাম্পকার্ড হচ্ছে ধর্ম। যেটা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ছিল। আজকে যদি দেশের মানুষের ধর্মানুভূতির এই জায়গায় আঘাত দিয়ে নূন্যতম ১০০ জন মানুষকেও আন্দোলন থেকে বিমুখ করা যায়, সেটা তাদেরই লাভ।
একবার চিন্তা করে দেখুন, কি সুপরিকল্পিত ভাবে এরা আন্দোলনকারীদের থেকেই বিভক্তি বের করে আনছে !!
এরকম মানুষের সংখ্যা এদেশে কম না। সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ এর উপর যখন হামলা হয়, তখন আমি অনেক পরিচিত মানুষকেই বলতে শুনেছি, যা হয়েছে ঠিক হয়েছে। আজকে ঠিক একইভাবে আবার দেখছি, অনেক মানুষ সেই একই পথে হাঁটছেন।
চিন্তা করে দেখুন, একজন মানুষের মতবাদের জন্য তাকে হত্যা করা যদি আপনি সমর্থন করেন। তাহলে একইভাবে বিরুদ্ধমতের জন্য আপনারও যে একদিন সময় আসবেনা, তার কি কোন গ্যারান্টি আছে? মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস কখনই শাহবাগ আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলনা, প্রধান উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ, সামগ্রিকভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ। আজকে যদি ধর্ম বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের প্রশ্নে আন্দোলনকারীরা দ্বিধাবিভক্ত হয় তাহলে লাভ জামাতের। একবার চিন্তা করে দেখুন, ফেসবুকে কিংবা টুইটারে সব থেকে বেশি ব্যবহার হওয়া জামাতি প্রোপাগান্ডা কি? অবশ্যই ধর্ম। তাই দয়া করে, যেই বিভক্তি জামাতিদের নীল নকশা, সেটাকেই উসকে দেবেন না।
মনে রাখুন, ব্লগার রাজীব হায়দার, আপনার আমার মতই একজন সাধারণ মানুষ। তারও নিজস্বতা আছে, আছে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। কিন্তু তার আন্দোলন আর আমাদের আন্দোলন এক। দেশকে যুদ্ধাপরাধী, জামাত-শিবির মুক্ত করা। তাই কোন ধরনের প্ররোচনায় কান দেবেন না। দয়া করে জামাতিদের তৈরী করা গুজব নিজের অজান্তেই ছড়িয়ে দেবেন না। এখন দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার সময় না। এখন সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার, কারণ আঘাত আসবে আরও, নানাভাবে, নানা সময়ে।
হোল্ড দ্যা লাইন !!
মন্তব্য
উই উইল, উই হ্যাভ টু ..
আমরা এ্তোদিন যে লক্ষ্যে ছিলাম, আজকের এই হত্যাকান্ড এটাও প্রমান করে যে, তারা ভীত.. আমরা ঠিক পথেই এগুচ্ছি। আন্দোলন আরো বেগবান..আরো তুমুলভাবে হবে ....
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভোরেই যাবো সম্ভব হইলে,আজকে যদি গতকালকের অর্ধেক মানুষও আসে তাহলে বলবো "ইয়েস, উই ক্যান হোল্ড দ্য লাইন"
হোলিং ।
ফেসবুকে কিছু বলদের মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা জামাতের এই প্রোপাগাণ্ডা গিলে নিয়েছে। তারা এমন 'কদর্য্যভাবে ধর্মবিরোধী' কারো মৃত্যুতে দুঃখিত না।
যারা এই ধরণের কথা বলছে শুরুতেই তারা আসলে ঘাপটি মেরে থাকা বিপক্ষ শিবিরেরই লোক। ধুয়া তুলতেছে যদি ওদের সাথে কেউ আসে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ঠিক। পূর্ব প্রস্তুতি নেয়াই ছিলো এই ধুয়া তোলার জন্য।
দেখুন কারা খুশি - তারা কি মানুশ ?
http://www.defence.pk/forums/bangladesh-defence/235241-blogger-thaba-baba-murdered.html
এভাবেই করে আসছে সবসময়, প্রথমে মালাউন, তারপর নাস্তিক, তারপর ইন্ডিয়ার দালাল। দেখে দেখে ধর্মান্ধ ভুদাইরা বলে যাবে "কাউকে হত্যা করা ঠিক না, তবে ...
- এই দলটা আরো বড় ছিল মনে হয়, হুমায়ুন আহমেদের বক্তব্যেও ছিল এরকম কথা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ওরা খুব চিন্তাভাবনা করে বিভক্তি আনার উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে। তবে যারা এই ফাদের পা দেবে তারা দিক ও শিবিরের দলে ভিড়ে যাক তারা। শত্রু মিত্র বিভক্তিটা আরোও স্পষ্ট হোক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমাদের ক্যাম্পাসে আগে যখন শিবির এর সাথে এন্টি শিবির গ্রুপের মারামারি হতো একটি জিনিস বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করতাম, সামান্য ঘটনা থেকে মুহূর্তের ভেতরের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিবির কর্মীরা এসে ক্যাম্পাস ঘেরাও করে ফেলত। এই কথা বলার অর্থ হচ্ছে এই তারা প্রস্তুতি ছাড়া কিছু করে না। আমাদের যোদ্ধা রাজীবের উপর এই ধরনের আক্রমন তাদের এজেন্ডা বাস্তচবায়নের পথ। দুইটি ফল তারা ভেবে রেখেছে। তুমি যেটা বলেছ সেটা আর মানুষকে ভয় দেখানো। ট্রগ্রাম এবং রাজশাহী ভার্সিটির ক্যাম্পাস আশির দশকে এরকম লাশের খেলা শুরু করে জা-শি ক্যাম্পাস দখল করেছিল। এবারো তারা তাই চাইছে মানুষ যেন ভয় পায়, ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়। কিন্তু এটা কোনো ভার্সিটির ক্যাম্পাস না, এটা আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। আমি নিশ্চিত এতদিন যারা শাহবাগে যান নি, কাল থেকে তারাও যাবেন, কেবল স্লোগান নয়, এখন থেকে প্রতিরোধ হবে।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শাহবাগের যোদ্ধারা সাবধান ।
টপ ব্লগারদের চেয়ে সক্রিয় কিন্তু অল্প পরিচিত ব্লগারদের বিপদ বেশী। এক মুজিবকে আটকায় ৭১এ পার পায় নাই পাকিরা। তাই টপ সংগঠকদের চেয়ে মাঝারি সারির যারা তাঁদেরকে এ্যাটাক করার সম্ভাবনা বেশী। ওরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছে, স্ট্র্যাটেজিতে, ন্যায়-অন্যায় বোধে না।
তাঁদের জন্য মাঝবয়সী একজন পলায়নপর মানুষের কিছু অনুরোধ
- একা ঘোরাফেরা করবেন না। কাউকে সংগী রাখুন। পরিবারকে জানান কার সাথে থাকছেন, কোথায় থাকছেন, কখন থাকছেন। ফোনে জানান।
- অল্প পরিচিত বা অপরিচিত মানুষের সাথে (এমনকি শাহবাগ চত্বরে) কোথাও যাবেন না। চা-সিগারেট খাওয়া, বা কোন দলিল দেখার জন্য। শাহবাগে জামাত-শিবিরের অনেক চর আছে। ৭১এও মেজর রফিককে এরকম টোপ দেখানো হয়েছিলো। এক লোক এসে বলে, কক্সবাজারের কোন এক দ্বীপে নাকি এক বিদেশী জাহাজ এসেছে সাহায্যের জন্য। উনি যান নাই। কোন জাহাজের খবর আর কখনো পাওয়া যায়নি।
- ইভটিজার দেখলেই ধোলাই দিন
- ধর্মের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলবেন না
- যারা ব্লগে/ফেইসবুকে ছদ্মনামে লিখেন, তাঁদেরকে সেখানে সে নামেই ডাকুন। রিয়েল লাইফে রিয়েল নামে ডাকুন। মনে রাখবেন, আপনার নাম/পরিচয়টা মুখ্য না, মুখ্য হলো কত মানুষ সেখানে আছে। কতদিন ধরে।
- ফেইসবুকে যারা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার নামে ধর্মীয় বিষোদগার ছড়ায় সেইসব পেজ/ইউজারকে রিপোর্ট করুন। পারলে স্ক্রিনশট, পিডিএফ প্রিন্ট রেখে দিন।
(এটা অন্য ব্লগে পোস্ট হিসাবে লিখেছিলাম। তিন দশক ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাঠক। মনে হলো, কথাগুলো এখনকার ছেলেমেয়েদের জানা দরকার। ঠিক পুরো অনটপিক কমেন্ট না। ক্ষমাপ্রার্থী সেজন্য। )
ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি । এই মৃত্যু যেন কিছুতেই শাহবাগের গণজোয়ারকে বিভ্রান্ত করতে না পারে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মানুষের রিএকশন দেখে হতভম্ব। ফেইসবুকের এক জনপ্রিয় পেইজ এর স্ট্যাটাস মেসেজ এ দেখলাম বলছে এরকম নাস্তিক ব্লগিং যে করে থাকে তার জন্য জামাত শিবির লাগে না, তাকে তো র্যাব আর পুলিশ এই ধরবে। সেই স্ট্যাটাস এ অনেকে মন্তব্য করছে যে এরকম নাস্তিকদের নাকি এরকম শাস্তিই হওয়া উচিত, আরো কয়েক টুকরো করা উচিত ছিল!!!!! কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না এসব কি হচ্ছে?????
history repeats, shob jugei notun kore rajakar jonmabe... ai hate gona rajakarder fashi holei desh rajakar mukto hobena..
আজ সকাল থেকে মানুষের রিএকসন দেখে আমি হতাশ।
ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম এরকম:
খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ : সত্য উম্মোচিত
আসল ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দিন, শেয়ার করুন
--------------------------------------------------
যাকে থাবা বাবার ব্লগ বলে প্রচার করা হচ্ছে, তার সত্যতাঃ
ব্লগটি দেখাচ্ছে ২০১২ সালে কিন্তু এলেক্সাতে এর কোন রেকর্ড নেইঃ
ব্লগটি ১ বছর আগে হলে ওয়েব আর্কাইভ এ এর কোন হুদিস নেইঃ
কিছু লেখা একই দিনে একই তারিখে লেখা, যা সন্দেহজনক। আপনিই বলুন আপনার একটা ব্লগ থাকলে ৫-৭টা লেখা কি একই দিনে লেখবেন নাকি কয়েক দিন পর পর লেখবেন?
এত সমালোচিত লেখা অথচ একটাও কমেন্ট নেই? কেন? এধরনের একটা লেখা দিলেই তো কমেন্ট এর বন্যা বয়ে যায়।
এর মানে কি? এর মানে WordPress এর এই ব্লগটি ১-২ দিন আগে তৈরী করা, এবং লেখাগুলো আগের তারিখ দিয়ে পাবলিশ করা -হ্যা এটা সম্ভব!
এরপর থাবা বাবার নাম দিয়ে লেখা যেন তার খুনের মামলা চাপা পড়ে যায় আর আমরা তাকে ঘৃনা করি।
তাহলে কে এগুলো লেখলো? অবশ্যই যারা তার খুনের সাথে জড়িত। যদি ২০১২ সালে কেউ এব্যাপারে লেখে থাকে তাহলে তো তার খুন হত ২০১২ সালে তাই না?
এটা হল তাদের চক্রান্ত যারা চায় শাহাবাগ আন্দোলন ভন্ডুল হয়ে যাক। লেখাটি অবশ্যই শেয়ার করবেন আর একটা কমেন্ট দিবেন।
এ ব্যাপারে কেও কিছু বলতে পারবেন? আর সচলের ডেভেলপারদের উপর এখন সত্যি আমি বিরক্ত, অনেকদিন থেকে অনেকেই অভিযোগ করছে লিংক পোস্ট করতে গেলে অদৃশ্য ক্যাপচা দেখায়, সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখছিনা। এই কাজটা করাতো এমন কোনো কঠিন কিছুনা।
আসলেই। এজন্যই তারা রাজীব হায়দারকে বেছেছে, তার নামে ভুয়া ব্লগ তৈরি করে লিংক ছড়িয়ে দিচ্ছে পঙ্গপালের মত। আমার কিছু পরিচিত তরুণ, প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলন নিয়ে যাদের ছিল তুঙ্গ-স্পর্শী আবেগ, উত্তেজনা আর আগ্রহ, যারা ব্লগারদের মহা-ফ্যান হয়ে গিয়েছিল, রাজীব হত্যার খবর শুনে যারা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল, তাদের আজ যথেষ্ট কনফিউজড দেখলাম। আমার মনে হয়, এই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই তারা এখন এগুচ্ছে।
শাফায়েত ভাইকে ধন্যবাদ, এমন একটি সত্য তুলে ধরার জন্য। আর অরফিয়াস ভাইকেও ধন্যবাদ এমন সময়োপযোগী লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
আমি তুলে ধরিনি, আমি ফেসবুকে পেয়ে সবার কাছে মতামত জানতে চেয়েছি। পরে অবশ্য একাধিক মানুষ জানিয়েছে ব্লগটা আসলে রাজিবের।
নতুন মন্তব্য করুন