শতভাগ মুসলমানের দেশ হতে আর কত দেরি, পাঞ্জেরী?

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০১৪ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক অনুভূতি সম্পন্ন নাগরিকদের দেশে জীবন-যাপন করা খুব একটা সহজ কাজ না। বাংলাদেশে এক টাকার জন্যও মানুষ খুন হয়, অনুভূতির মাত্রা এমনই চরম অবস্থায়। তার উপরে দেশের শতকরা ৯০-৯২ ভাগ নাগরিক একই ধর্মালম্বি। এই ৯০-৯২ ভাগের মধ্যে অধিকাংশেরই অনুভূতি বাকি সকল ক্ষেত্রে নেতিয়ে থাকলেও মালাউন সংক্রান্ত যে কোন ক্ষেত্রেই ভায়াগ্রাপুষ্ট ঈমানদণ্ডের মত উত্থিত থাকে সর্বদা। এই তালিকায় যদিও নতুন সংযোজন ভয়ংকর জঙ্গি নাস্তিকরা, যাদের কলমের আঘাতে নিত্য ক্ষত-বিক্ষত হয় মুমিন মুসলমানের নাজুক হৃদয়। তবুও পুরনো চাল যেমন ভাতে বাড়ে, তেমনি বাপ-দাদার আমলের ইস্যু "মালাউন কোপানোর" একটা আলাদা আনন্দ। আর দু-চারটা মালাউন গনিমতের মাল পেলে তো ব্যস কোন কথা হবে না, শুধু একশন।

এহেন নাজুক অবস্থায় এদেশে বিপরীত একটি ধর্মের অনুসরন করা গর্হিত একটি অপরাধ তো বটেই। সেই হিসেবে এই দেশে অপরাধী কম করে হলেও মোট জনসংখ্যার ৮-৯ ভাগ মানুষ। রাষ্ট্রীয় সকল (!!!) সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এসকল অপরাধী নিত্য মুক্ত (!!!) বাতাসে শ্বাস নেয় ভাবতেই ভয় হয়। তাই দেশকে সকল প্রকার দুর্ঘটনা থেকে মুক্ত করতে অতি সত্বর সকল মালাউন অপসারন প্রয়োজন।

পাটিগণিত হালকা-পাতলা মনে থাকা উচিত সবার, সোজা একটা ঐকিক নিয়মের অঙ্ক কষি।

১৯৭৪ এ শতকরা ১৪ ভাগ থেকে যদি ৪০ বছরে মালাউন কমে ২০১৪ তে প্রায় ৮ ভাগ হয়, তাহলে সম্পূর্ণ সাফ হতে আর কত বছর লাগবে?

আমি অঙ্কে খুবই কাঁচা, আশা করি জ্ঞানী ব্যক্তিরা খুব সহজেই এর উত্তর বের করে দিতে পারবে।

সমস্যা হল, ফি-মাসে কিছু হিন্দু মালাউন কেলিয়ে এপারওপার করা হয়, কিন্তু তাও সব দ্রুত সাফ হয়না, এর উপরে কিছু বেয়াদব হাউ-কাউ করে দেশে শান্তি প্রতিস্থাপনের এই চমৎকার প্রক্রিয়ায় বাগড়া দেয়ার কুচেষ্টা করে। এরমধ্যে আবার "একখানা বিবৃতি না দিলে পাছে লোকে কিছু বলে" রোগে আক্রান্ত কিছু সুশীল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে স্ট্যাটাস বিপ্লব ঘটিয়ে গরম আবহাওয়া আরও গরম করে তোলে। এত হাউকাউ অবশ্যই দেশের প্রগতি-প্রশান্তি-ঐক্য এসবের বিরুদ্ধে। সুতরাং যত দ্রুত মালাউন সাফ হয় ততই ভাল।

মাঝখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মালাউন্দের দৌড়ানি দেয়া দেখে অনেকেই সুধাংশু যাবে না, যাবে না করে বড় দুঃখিত হয়েছিল। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সুধাংশু যে পাটিগণিতের মাইনকা চিপায় আছে তাতে তার পালানটাই স্বাভাবিক। না পালিয়ে জীবন্মৃত হয়ে থাকার মাঝে কোন আনন্দ নেই।

আমি বলি, সুধাংশু তুমি বাবা পালাও। আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলো নিয়ে তুমি চোখ বন্ধ করে পালাও। এই ভূমিতে তোমার নতুন প্রজন্মকে জন্ম দিয়ে অভিশপ্ত একটি জীবন তাকে উপহার দিও না।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনি উগ্র নাস্তিক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বিষয়বস্তু এর ছবি

উহু। ওদের ভাষায় নাস্তিক মৌলবাদী।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

সাচ্চা মুসলমানের দেশ গড়ে তুলতে হবে, এ লক্ষ্যে ডান-বাম, আওয়ামি-বিম্পি-হেফাজত এখন এক হয়ে কাজ করছে। আসুন দেশকে মালাউন মুক্ত করি।

মাুসদ সজীব

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

একটু অপেক্ষা করেন। ওপারে কলিযুগের অবতার মোদী ক্ষমতা পেয়ে নিক আগে। এনশাল্লাহ, আগামী দুই বছরের মধ্য আট শতাংশ থেকে দশমিক শুণ্য আট শতাংশে নিয়ে যেতে পারবো আমরা। বায়বীয় ছুতোনাতায় ঠিক মালাউন কোপানো জমে না, জানুয়ারীতে সাতক্ষীরার কোন গ্রাম, ফেব্রুয়ারীতে পাবনা, মার্চে রাজবাড়ি, এপ্রিলে কুমিল্লা এরকম ছোটখাটো ঘটনা ঘটালে সুখও মেটেনা আবার হিন্দুরাও বড় গলা করে কথা বলার সুযোগ পায়। মোদী ক্ষমতায় আসলে কিছু না কিছু অনাসৃষ্টি তো করবেই। তখন সেই বাবরি মসজিদ কেসের মত একযোগে সারা দেশে জিহাদী জোসে ঝাঁপিয়ে পড়বো আমরা। গণিমতের কথা ভাবতেই তো ঈমানদন্ড টানটান হয়ে উঠছে এখনি।

আর এই অর্ফিয়াসের মত উগ্র নাস্তিক ছুপা হিন্দুদের নিয়ে যত সমস্যা। আমরা শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মডারেটলি দুটু হিন্দু কোপালেই এরা উগ্র মানসিকতা নিয়ে জঙ্গিবাদী লেখালেখি শুরু করে। কই মোদী যখন মুসলিমদের নিয়ে কুকথা বলে তখন এ ছুপা হিন্দু উগ্র নাস্তিকদের কোন আওয়াজই পাওয়া যায় না। এদের কল্লাও মডারেটলি আমরা নামিয়ে দেব। ইসলামি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে, তার জন্য বিশ পঁচিশ হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া বা দুই চারশ কল্লা ফেলে দিতে তো হতেই পারে। হিন্দুরাই এদেশের সকল অশান্তির মূলে এদের প্রতি ইসলামি শান্তি বর্ষন আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

উল্লেখ্য, হোমনায় হবু জাহান্নামী হিন্দুগ্রামে শান্তিবর্ষন কার্যক্রম চালিয়েছে পাঁচকিপ্টা গ্রামের কয়েকশ নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসলিম। তারা কোনভাবেই উগ্র মুসলিম নয়।

----ইমরান ওয়াহিদ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দাঁড়ান না, এর সাথে হেফাজতি ১৩ দফা বাস্তবায়ন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে - এ দেশকে আমরা বিধর্মী কাফেরদের হাত থেকে মুক্ত করবোই এনশাআল্লাহ!!

____________________________

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

পাঞ্জেরীকে অযথা খোঁচান কেন? শততে পড়ে আছেন এখনও !!সহস্র ভাগ মোছলেম দেশ হয়ে গেছে সেই কবে!!! এখন যা হচ্ছে তা হল মোছলমানি মানে আগাটা ছেঁটে ফেলা হচ্ছে আরকি ।!!

শরাফত আলী এর ছবি

৯৬ থেকে হিন্দুদের ওপারে যাওয়া কমে এসেছিল, যেজন‌্য পরে ২০০১ সালে ওরকম তাণ্ডব হয়েছিল। এরপরে এখনো যেসব হিন্দুরা রয়ে গেছে তাদের হয়তো যাবার জায়গা নেই।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

শারদোৎসবের সময়ে পাঞ্জেরী আবারও খড়্গহস্ত হয়ে উঠেছে। এই খবরটা পড়ে হাসি পেল, নাস্তিকদের খাওয়ানো-পড়ানোর দায়ে না জানি কবে আল্লাহর ওপরে আত্মঘাতী বোমা হামলা কিংবা চাপাতি হামলা হয়। দুনিয়াটা পটলানন্দময়!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।