আওয়ামীলীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারটি সত্যি সত্যি বেশ আকর্ষনীয় ছিল । অনেকগুলো বিষয়ের মাঝে যে জিনিষটি আলাদা করে মনে করা যেতে পারে , সেটি হচ্ছে " ডিজিটাল বাংলাদেশ" নামের টার্মটি । তরুণ সমাজকে নি:সন্দেহে এই টার্মটি বেশ আকর্ষন করেছে । এই শতাব্দীতে দাড়িয়ে" ডিজিটাল বাংলাদেশ " নিয়ে কেউ ভাবছে , বিষয়টি সত্যিই আশাবাদী করে আমাদেরকে ।অবেশেষে নতুন মন্ত্রীসভা শপথ নিয়েছে এবং একই সাথে আওয়ামীলীগের ইশতেহার বাস্তবায়নের নৈতিক বাধ্যবাধকতা শুরু হয়ে গেছে ।
ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক অনেক উদ্যোগ নেয়া হোক ,এটাই আশা করি । নিশ্চয়ই তথ্যপ্রযুক্তির সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের একটি বিরাট জনশক্তি আমাদের দেশে বিদেশে কাজ করছেন এবং তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারলে একটি সুন্দর ফল পাওয়া যাবে ।
একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর প্রাথমিক পর্যায়ে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে সরকার জনসাধারনের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিতে পারেন বলে মনে করি , সেগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্যই এই লেখার অবতারনা ।
১. প্রথমেই চাই প্লাস্টিক মানি :
আওয়ামীলীগের গত সরকারের সময় প্লাস্টিকে যে দশটাকার নোট ছাপা হয়েছিল তার কথা বলছি না , প্লাস্টিক মানি বলতে বুঝাতে চাচ্ছি সত্যিকারের প্লাস্টিক মানি । অর্থাৎ ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ।
বাংলাদেশে ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার খুবই সীমিত , কিছু এটিএম বুথ আর বড় বড় কয়েকটি শপিং মল ছাড়া আর কোথাও এর ব্যবহার নেই ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এর যাত্রার শুরুতেই এই প্লাস্টিক মানির ব্যাপক প্রচলন আশা করি । সরকারী সবগুলো ব্যাংকে এই কার্ডের প্রচলন করতে হবে । সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কথা স্মরণ করে অনেক ব্যাংকই হয়তো ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারকে সীমিত করে রাখতে চাইবে , কিন্তু ডেভিট কার্ডের বেলা এই ঝামেলা নেই । ডেভিট কার্ড মানে হচ্ছে আমার একাউন্টের টাকা আমি নিজে তুলব , ঋণ নেয়ার কোন প্রশ্ন নেই ।
এই কার্ডের বহুল ব্যবহার কাম্য ।
আমি চাই সরকারী সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর বিল যাতে এই কার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসেই ইন্টারনেটে পরিশোধ করা যায় সেই ব্যবস্থা চালু করা । মোবাইল ফোন কোম্পানির বিল প্রদানকে বর্তমানে খুবই সহজ করে দেয়া হয়েছে , যে কোন পাড়া মহল্লাতেই দোকান পাওয়া যায় যেখানে অল্পায়াসেই মোবাইল ফোন বিল প্রদান করা যায় । এই সহজ ব্যবস্থাটি সরকারী সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোতে চালু করা যাবে অনায়াসেই । সেটি করলে জনগনের ভোগান্তি কমবে । প্রতি মাসে বিদ্যুত , গ্যাস , টেলিফোন বিল জমা দেয়ার জন্য ব্যাংকের সামনে লাইন ধরতে ধরতে প্রতিটি পরিবারেরই অনেক কর্মঘন্টা নষ্ট হয় । তার বদলে মোবাইল কোম্পানির মতোই পাড়া মহল্লার দোকান থেকে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করলে একদিকে যেমন জনগনের ভোগান্তি কমবে , অন্যদিকে অনেক বেকারেরও কর্মসংস্থান হতে পারে ।
২. চাই গুগল ম্যাপ , অনলাইন টিকিট :
বিদেশে যে কোন স্থান খুঁজে বের করতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই চলে । বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একেবারে হিসেব কষে দেখিয়ে দেয়া হয় কিভাবে কতোদূর বাসে যেতে হবে , কতোদূর হাটতে হবে , কতোক্ষন সময় লাগতে পারে ...এর সব কিছুই ।
বাংলাদেশেও এমন ব্যবস্থা চাই । হয়তো খুব তাড়াতাড়ি এটা করা সম্ভব নয় পুরো দেশ জুড়ে , কিন্তু অন্তত ঢাকা , চট্টগ্রাম এসব বড় শহরে শুরু করা যেতে পারে ।
একই সাথে চাই অনলাইন টিকিট কাটার ব্যবস্থা । ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাড়িয়ে তারপর টিকিট নেই , এরকম হরহামেশার দৃশ্যকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা । এতে করে অনেক ভোগান্তির অবসান হবে , স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে ।
৩. সরকারী অফিসে যেতে চাই না :
আমাদের সংস্কৃতি থেকে ঘুষকে একেবারে সরিয়ে ফেলার সময় বোধহয় এখনও আসেনি ।
তবে অনেক কিছুই অনলাইনে নিয়ে আসা গেলে , সরকারী অফিসে সরাসরি যাওয়ার দরকার পড়বে না জনগনের । সেক্ষেত্রে দূর্ণীতির প্রকোপ কিছুটা হলেও কমবে ।
টিএন্ডটির ফোন নেয়ার আবেদন অনলাইনে নেয়ার ব্যবস্থা করা যায় , সেক্ষেত্রে সরকারী ফিসের টাকাটা হয় কার্ডের মাধ্যমে দেয়া যায় অথবা সরকারী টাকা জমা দেয়ার রসিদ নম্বরটি ফরমে উল্লেখ করে দিলেই অনলাইনে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ব্যাংকে চেক করে নিতে পারেন এমন ব্যবস্থা করা যায় ।
প্রতিটি আবেদনের স্ট্যাটাস নিয়মিত ওয়েবে আপডেট করা বাধ্যতামূলক করা যায় । তখন ফোন নিতে গেলে কেবল নেই ..এমন মৌখিক তথ্য দিয়ে টাকার বিনিময়ে ক্যাবল খুঁজে বের করার সংস্কৃতি দূর হবে ।
ক্যাবল যদি সত্যি সত্যিই না থাকে তাহলেই শুধু ওয়েবে সেটা বলা যাবে । ক্যাবল থাকা সত্ত্বেও তখন ক্যাবল নেই এমন অজুহাত দেখানো যাবে না । কোন অফিসে কতোটুকু ক্যাবল দেয়া হয়েছে এবং তার কতোটুকু ব্যবহার করা হয়েছে , সেটি কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকবে বলেই ওয়েবে ভুল তথ্য দেয়া যাবে না ।
একই কথা বলা যায় থানায় জিডি করার ব্যাপারেও । সার্টিফিকেট হারানো বা এ ধরনের দৈনন্দিন অনেক কাজেই থানায় জিডি করতে গিয়ে মানুষ হয়রানির মুখে পড়ে । স্বয়ংক্রিয় করে ফেলা যায় এই পদ্ধতিটি । অনলাইনে সাবমিট করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই একটি জিডি নম্বর সেখানে বসে যাবে , যিনি জিডি করেছেন , তিনি তখন সেটা প্রিন্ট করে নিয়ে নিজের কাজ করবেন ।
৪. চাই নাগরিক তথ্যের উন্মুক্ত ব্যবহার :
আমাদের দেশের একটা বিরক্তিকর প্রথা হচ্ছে যে কোন কাজের জন্য গেজেটেড অফিসারের স্বাক্ষর দিয়ে সত্যায়িত করতে হয় । অধিকাংশ মানুষই সরকারী অফিসারের দোড়গোড়া পর্যন্ত পৌছাতে পারেন না ।
তাদের জন্য বিভিন্ন সরকারী বিভাগে জাতীয় ভোটার ডাটাবেজে এক্সেস দেয়ার সুযোগ করতে হবে ।
যাতে করে একজন মানুষ যদি তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরটি জানিয়ে দেন , তাহলে আর আলাদা করে তার সত্যায়ন প্রয়োজন পড়বে না । এতে অনেক হয়রানি থেকে জনগন মুক্তি পাবে ।
উপরে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো নিতে খুব বড় আর্থিক চাপ তৈরী হবে না । বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটগুলোকে কার্যকর করার মাধ্যমে অল্প সময়ে এবং অল্প আয়াসেই অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব ।
তবে সদিচ্ছাটা প্রয়োজন । গতানুগতিকতায় পা না বাড়িয়ে নতুন কিছু করার তীব্র ইচ্ছাই শুধু আমাদের দিন বদলের স্বপ্নকে অনেক দূরে এগিয়ে নিতে পারে ।
মন্তব্য
এই প্রসঙ্গটা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নাম করে স্কুল কলেজে কিছু কম্পিউটার দিয়ে দায় সারলে চলবে না - এটা সরকারের মাথায় রাখা উচিত ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপাকে ফটোকপি করে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না, এই লেখাটা?
=============================
না, ফটোকপি পাঠাতে চাই না ,ইমেল করে পাঠাতে চাই ।
আমি জীবনে কোন সরকারী অফিসে মেইল করে উত্তর পাইনি , এখন থেকে উত্তর পেতেও চাই ।
সরকারী অফিসে ই-মেইল করে উত্তর পেতে চাই না। যেহেতু সরকার কার্যত পনেরো কোটি লোকের কোয়েরির জবাব দিতে বাধ্য।
আমি শুধু চাই যে কোন বিবেচনাধীন প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস জানতে (উদাহরণঃ গ্যাস কানেকশন, পাসপোর্ট)। একটা টিকেট রেইজ করলে, তার সমাধানের যে ধাপগুলো আছে, তার কোনটা কবে সমাধা করা হলো তা জানার অধিকার চাই। এ কাজটা করা গেলে রেডটেপিজমের একটি ইতিবাচক মৃত্যু, নিদেনপক্ষে প্যারালাইসিস সম্ভব।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক , ইমেইলে আমার উত্তর এককভাবে দেবে এমন দিবাস্বপ্ন দেখি না । কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটা ফিডব্যাক দরকার ।
কিংবা আপার ইমেইল আড্রেসে মেইল করে দিতে পারেন:
(আ লীগের কন্টাক্টস থেকে সংগ্রহকৃত)
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
না , প্রধানমন্ত্রীর ইমেল এড্রেসে পাঠিয়ে দেব ।
জনাব আরিফ,
প্রথমেই আমার ধন্যবাদ "ডিজিটাল বাংলাদেশ" ধারণাটিকে সবার কাছে বোধগম্য করে তোলার জন্য। প্রকৃত অর্থেই এবার মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহার একইসাথে চমকপ্রদ এবং যুগোপযোগী ছিলো, যে কারণে তরুণ ভোটাররা সমর্থন দিয়েছে।
এখন সরকারকে এসবের বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সচেতন প্রতিটি নাগরিকই এগিয়ে আসবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে।
আপনার শেষ কথা দিয়েই শেষ করি -
"তবে সদিচ্ছাটা প্রয়োজন । গতানুগতিকতায় পা না বাড়িয়ে নতুন কিছু করার তীব্র ইচ্ছাই শুধু আমাদের দিন বদলের স্বপ্নকে অনেক দূরে এগিয়ে নিতে পারে ।"
- বুনো জারুল,
ধন্যবাদ জারুল ।
গরীবের আত্মমার্কেটিং।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সব যদি আপনে লেখে ফেলেন , তাহলে আমরা কী লিখব ?
৫) হাই স্পীড ইন্টারনেট-ও চাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ওটার লাইসেন্স আজকে দেয়া হয়েছে । ৬ মাসের মাথায় ঢাকায় ডোরটুডোর ফাইবার অপটিক বসানো শুরু হবে ।
আসলেই?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বিট মে টু দ্য পাঞ্চ।
আমাদের সবারই উচিত নিজের নিজের বিশেষায়নের ক্ষেত্র নিয়ে কিছু লেখা।
এই দফায় আওয়ামী লীগের এত বড় বিজয় ঠিক হয়নি। সত্যিকার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার ব্যাপারে কাজে আসতে পারেন, এমন প্রায় সব মানুষই "প্রতিবাদ-প্রতিরোধ"-এ ব্যস্ত ছিলেন এই ৫-৭ বছর। দেশের জন্য চিন্তাগুলো গুছিয়ে ওঠার কাজে আসতে পারেন নি কেউ। বড় পরিকল্পণা বাস্তবায়নের জন্য বড় জয় কাজে আসতো।
ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে গেল আর কি। পরিকল্পণা এল না, সরকার এসে হাজির।
কথা সবসময় সত্যি না । এই যে আমি কাপড়ের দর্জি , লিখে ফেললাম ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়া ।
সবার আগে সরকার আর প্রশাসনকে দূর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে ডিজিটাল বা ভিজিটাল, যাই হোক না কেনো, সবই উপরের আবরণ মাত্র। গুটিকয়েক শিক্ষিত, আধাশিক্ষিত মানুষ হয়তো ভালো থাকবে, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস আগের মতোই থেকে যাবে।
একেবারে মূল থেকে কোন পরিবর্তন না এলে বাইরের প্রলেপে আরো কিছু সুবিধাভোগী মানুষ সৃষ্টি করবে মাত্র। এসব শ্লোগানের কোন সুদুরপ্রসারী ফলাফল আছে বলে মনে হয়না আমার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বস , প্রায়োরিটি আর শর্ত এক হতে পারে না ।
দূর্ণীতি দমন অবশ্যই প্রায়োরিটি , কিন্তু এটা বাস্তবায়নেও ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক সাহায্য করবে ।
পাসপোর্ট অফিসের সামনে লাইনে দাড়াতে হবে কেন বুঝি না , পাসপোর্ট অনলাইনে দরখাস্ত করে পাওয়ার সুবিধা করে দিলেই পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ দেয়া লাগে না ।
শর্ত আর প্রায়োরিটি এক না। কিন্তু শর্ত পুরণ না করে প্রায়োরিটি বসিয়ে কোন সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে না। আমার সেখানেই দ্বিধা।
আমি নিজে আইটির লোক। বাংলাদেশে এসেও আইটির কোর্স দিয়েছি। জানি আমাদের এ বিষয়ে ছেলেরা এখানকার ছেলেদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। (কারন আমাদের দেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরারাই আইটিতে আসেন )। বাংলাদেশে আইটির ভালো কোন কাজ হয়না বলে ওদের প্রোজেক্ট অভিজ্ঞতা হয়নি বলে ওরা এগুতে পারছেন না। সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশ যে আমাদের জন্যে জরুরী, তাতে কোন সন্দেহ নেই আমার।
কিন্তু আমাদের আগে সত রাজনীতির সত শাসন দরকার। সে আলামতটুতু সবার আগে দেখতে চাই। তারপর বাকী কথা, বাকী চাওয়া।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আরিফ ভাই, বিষয়টা সময়োপযোগী। আরো অনেক বিষয়ই এতে একে একে অন্তভূক্ত করা যেতে পারে..। আমার তো মনে হয় এটাকে একটা সিরিজ পোস্ট বানিয়ে ফেলা যায়। এভাবে অনেক অনেক প্রয়োজন প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ এতে সন্নিবিষ্ট হয়ে ওঠবে।
সিরিজ পোস্টের বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি তো শুধু সূচনা করে দিলাম । সচলে যেসব টেকী লোকজন আছে , উনারা নিশ্চয়ই লক্ষগুন ভালো বলতে পারবেন ।
আমি শিক্ষায় না হলেও সার্টিফিকেটে টেকি। ইচ্ছা আছে এই কাজে হাত দেওয়ার। খসড়া তৈরিই আছে, সময় করে লিখতে হবে আর কি। পাথরটা গড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর, পাইওনিয়ার হতে আলাদা করে কোন পেশা বা শিক্ষা লাগে না।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে আওয়ামীলীগ আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছে?? আরিফ ভাই যেভাবে ভাবছেন আওয়ামীলীগও কি একইভাবে ভাবছে?
ডিজিটাল হলো শূন্য আর একের খেলা... আরো সহজ ভাষায় সবকিছুকে এক্কেবারে কম্পিউটারাইজড করে ফেলা... জীবনকে আরো সহজ করার মন্ত্র। কিন্তু সরকার যদি মনে করে যে ডিজিটাল করার মানে হল প্রাইমারী স্কুলগুলোতে তিনচারটা কম্পিউটার সাপ্লাই দেয়া যেগুলো শেখানোর জন্য আবার এমনসব টীচারদের নিয়োগ দেয়া যারা মনে করে যে কম্পিউটার অন-অফ করাটাই বেশ বড় ব্যাপার তবে তা হবে খুব দুঃখজনক।
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
চমৎকার বিষয় । ছোট্ট একটা অভিজ্ঞতা বলি ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ই.এম.এস (EMS-Express Mail Service) এর কথা অনেকেই জানেন । এইটা হইল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারি ডাক বিভাগের সম্মিলিত একটা এক্সপ্রেস সার্ভিস, ৩-৪ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেয় বলে দাবী করে । এর একটা সুবিধা হইল ইন্টারনেটে প্যাকেট ট্র্যাক করা যায় (যেমনটা যায় ফেডেক্স কিংবা ডি.এইচ.এল এ) । তো আমি জিপিও তে গিয়া একটা প্যাকেট দিলাম, ইউ.এস.এ তে পাঠানোর জন্য । আমি কাউন্টারম্যান রে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, ইন্টারনেটে দেখতে পারব তো প্যাকেট কই গেল, কবে গেল? আবার জিগস্ !! দেখতে পারবেন না মানে? আমাদের এই সাইটে যাইবেন আর দেখবেন আপনার প্যাকেট কই যায় !
এরপরে ৩ দিন কি, ১৩ দিন পরেও খুঁইজাও প্যাকেটের কোন খোজ নাই । চিন্তায় পইড়া গেলাম । শেষমেশ কি মনে কইরা ইউ.এস.এ-র ডাকবিভাগের সাইটে ঢুইকা একটা সার্চ দিলাম, দেখি আমার প্যাকেট সুন্দরমত পৌছায় গেছে, ওরা ওদের সাইট ঠিকমতই আপডেট করে রাখছে ! তখনও বাংলাদেশের ই.এম.এস সাইট দেখাইতেছে "তোমার ডকুমেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি" !!
সুতরাং নতুন নতুন ডিজিটাল সিস্টেমের সাথে সাথে এইসব নাম-কা-ওয়াস্তে "ডিজিটাল" ব্যবস্থারও ব্যাপক ঘষামাজা চাই ।
প্লাস্টিক মানির ব্যাপারটা খুবই জরুরি, বিশেষ করে ইন্টারনেটে যদি টাকা/ডলার/ইউরো পরিশোধ করার জন্য সহজ ব্যবস্থা করা যায় তাইলে বিদেশে পড়তে যাইতে ইচ্ছুক ছাত্রগোষ্ঠী একটা বিশাল যন্ত্রনা থেকে রেহাই পাবে ।
শাহান মিয়া, আর কত কাল স্রেফ কমেন্টায় ভাগবা? ফাঁকিবাজি বন্ধ কর এবার।
হে হে ... দেখি চেষ্টা করব
আরিফের প্রস্তাবগুলো দেখে মনে হচ্ছে সে এই সরকারের পরবর্তী তিন নম্বর জেনারেশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছে
তারা যদি তথ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনকে শুধু ইমেইল করা আর ওপেন করা শেখাতে পারে তাতেই আমি খুশি
লীলেন ভাই , হইতে কতোক্ষন ?
এই যখন দুই বছর আগে আমরা অনেকেই ব্লগ গজত থেকে রাজাকার বর্জনের অব্যাহত হাল্লাগোল্লা করতাম আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই বলতাম , তখন অনেকেই বলতো , এগুলো আর কোনদিন হবে না ।
এখন কিন্তু মনে হচ্ছে , বিচার একটা শুরু করতেই হবে সরকারকে , সেটা যেভাবেই শেষ হোক না কেন ।
--------
আমি যখন লিখেছিলাম -"ঝুলন্ত ব্রীজ নয় , চাই কীনব্রীজে সুর্যোদয়" তখন সিলেটের অনেকেই বলেছিলেন , কীনব্রীজের অংশের নদীতীরকে সাজানো গোছানো নাকি একদম আমার মতো লোকের দিবাস্বপ্নেই সম্ভব ।
কিন্তু সাইফুর রহমান কিছুদিন পরেই প্রজেক্টটি হাতে নিয়েছিলেন এবং সার্কিট হাউস , সারদা হল মিলিয়ে একটা সুন্দর জায়গা তৈরী করেছিলেন । পুরোটা হয়তো সম্ভব হয়নি , কিন্তু যতোটুকু হয়েছে ততোটুকুই বা মন্দ কী !
-----
সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটটি সত্যিই বেশ কাজের । অনেক তথ্য আমি সেখান থেকে পেয়েছি গত কয় মাসে ।
একটা যদি সম্ভব হয় বাকীগুলোও সম্ভব হবে ।
অন্তত তৃতীয় প্রজন্মের সরকার কী করবে , সেটাও নাহয় এখন থেকে বলা শুরু হোক । কেউ না কেউ কখনো না কখনো শুনতেও তো পারে ।
প্রস্তাবগুলো ভালো। তবে আমিও লীলেনদার সাথে একমত। আরও বছর বিশেকের জন্য তোলা থাক।
আপনি এত হৎসাবাদি কেন?
কী কর্তাম? ভাত খাইতে পাই না, কম্পিউটার দিয়ে কী করুম?
কম্পিউটার তো তরকারী না যে ভাত পাইলেই শুধু কম্পিউটার খাইবেন ।
তাইলে চাওয়ার বাকী রাখলেন কী ?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হিমুর আগের লেখাটাও পড়লাম। কমেন্টগুলোও পড়লাম .....
... কর্তৃপক্ষকে যতটা মাথামোটা ভাবা হচ্ছে ততটা হয়তো নয়।
ইনসেনটিভের অভাব -- সকলে ভাবে, এতে আমার কী লাভ? এবং ভাল কাজ আটকে বসে থাকে যদি প্যাঁচে পড়ে তার ভাগের লাভ পকেটে আসে এই আশায়।
ইন্টারনেটে, সমস্ত তথ্য সহজলভ্য হলে তো উল্টা মানুষকে চড়কীর মত ঘুরিয়ে হয়রানি করে ঘুষ দেয়াতে বাধ্য করার উপায় থাকবে না .... কাজেই এতে ওদের লাভ তো হবেই না বরং লস হওয়ার আশঙ্কা। কাজেই বোকা/ভোদাই সেজে বসে থাকাই ভালো।
একই কারণে ইমেইলের উত্তরও দেয়াও যাবে না ... মিয়া অফিসে আসো, কিছু মাল ছাড়ো ... আমরা চা-পানি খাই - তারপর তোমার কী দরকার সেইটা শুনি।
মূল সমস্যাটা কোথায় বলে আমার ধারণা সেটা বুঝাইতে পারলাম কী?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হ , পুরা বুঝাইতে পারলেন ।
অধিকাংশ অফিসেই কিছু সিস্টেম তৈরী করে রাখা যেগুলো শুধুমাত্র হয়রানির জন্যই তৈরী করা হয়েছে ।
- আগে গ্রাসরুটসে ব্যাপক ভাবে ডিজিট ওরফে অংক ওরফে শিক্ষার প্রচলন করুন। ডিজিটের মাহাত্ম না জেনে কী-বোর্ড নিয়ে উঠে পড়ে লেগে গেলে কোনো কাজের কাজ-ই হবে না। পাশাপাশি পুরো স্কেলে না হলেও অল্প স্কেলে শুরু হোক কিছু নাগরিক সেবাদান। অনলাইন (কিংবা টেলিফোন) ব্যাংকিং কিংবা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েব সাইটটা সাইজ করা। এই সাইটটাকেই পরবর্তীতে সমৃদ্ধ করে জনগণের যাত্রাপথের কোয়েরীর উত্তর দেওয়া সম্ভব।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলটা বলেছেন ।
আরিফ ভাইয়া
একটু অদুর ভবিষ্যত চিন্তা ভাবনা হয়ে গেল না?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হ , সবার কথা শুনে তাই তো মনে হচ্ছে রে !
তবে আগাম চিন্তা করা ভালো । বর্তমান নিয়া চিন্তার সাবজেক্ট পাচ্ছি না , তাই একটু আগায়া থাকলাম ।
"Digital Bangladesh" is perhaps just an ornamental expression for a realistic dream. It can have several dimensions. Some of you have highlighted some important points above. I would just like to add a simple example. Any kind of sale and purchase of land take too much time in Bangladesh due to the arcane system of land registration and taxation system. The same thing can be done in Hydrabad (India's new IT and business hub) in five minutes just because they have digitalized the land records. Just imagine how much money and time can be saved if we make such transactions less costly.
প্রিয় সুব্রত সরকার, কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপ দিলে আপনি ফোনেটিক লেআউটে বাংলা লিখতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি AMI লিখলে বাংলায় "আমি" লেখা হবে। ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটা ভালো পয়েন্ট বলেছেন । ধন্যবাদ ।
ভবিষ্যতে বাংলায় লিখে আমাদের সাথে যুক্ত হবেন , এমনটা আশা করছি ।
বিজ্ঞান থেকে আইসিটি মিনিস্ট্রি আলাদা হোক। মানে একটা পূর্ণাঙ্গ আইসিটি মিনিস্ট্রি হোক যার মন্ত্রী হবেন পুরোপুরি আইসিটি এক্সপার্ট এবং তার প্রথম কাজ হবে দ্রুততম সময়ে সব মিনিস্ট্রিকে 'ডিজিটাল' করা।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
আগে আমাদের নেতাদের মাথার Digital Change করতে হবে।
এদের মাথার ভেতর "তথ্য পাচার হয়ে যাবে", এই চিন্তা AntiVirus দিয়ে দুর করতে হবে।
আচছা, এদের নতুন Digital বাল্যশিখ্যা বই পড়ালে কেমন হয় .......
ভালো ভালো প্রস্তাব
১ নংয়ের এটিএম বুথের ব্যাপক প্রচলন ছাড়া বাকী প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন হবার কথা না ... শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ব্যবহার করে অনায়াসেই (আমার তো মনে হচ্ছে ওয়েবপোর্টালে প্লাস ড্যাটাবেজের মাধ্যমেই) এগুলো করা সম্ভব
এটিএম বুথের জন্য ডেডিকেটেড নেটওয়ার্ক (হার্ডওয়ার লেভেলে) বেটার, আমি নিশ্চিত না এখনকার ব্যাংকগুলোর কি নিজেদের এরকম নেটওয়ার্ক আছে নাকি উন্মুক্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা লেনদেন করে। এই ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানাতে ব্যাংকগুলো পয়সা খরচ করতে রাজী হবে কিনা একটা প্রশ্ন। এই কাজটায় হয়ত একটু সময় লাগতে পারে।
স্কুলে স্কুলে পোলাপানদের কম্পিউটার বিতরণ হাস্যকর শোনালেও, স্কুল লেভেল থেকেই কম্পিউটার ব্যবহারের এবিসিডিটা সবাইকে শিখিয়ে রাখা জরুরী। সেদিকেই সরকারের সুদূরপ্রসারী মনোভাব দরকার।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যেটা, সেটা হলো, যেহেতু ডিজিটাল হয়ে ওঠাতে আমরা যখন পিছিয়েই পড়েছি, কাজেই এখন ডিজিটাল হবার ক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব সর্বাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহন করাই বেটার। এ জায়গাটায় আমাদের পলিসিমেকাররা প্রায়ই ভুল করেন।
যেমন এবার ন্যাশনাল আইডি করার কাজটি -- এত শ্রমসাধ্য কাজটি যখন করাই হলো, তখন আইসি কার্ডে ইম্পলিমেন্টেশন করাটা হতো বুদ্ধিমানের কাজ। দশকোটি স্কেলে বাংলাদেশী টাকা ১৫/২০ টাকায় আইসি কার্ড দেয়া সম্ভব হতো বলে আমার ধারনা। এই কার্ডের সামনের পিঠে এখনকার ন্যাশনাল আইডির মতো সব তথ্য আর ছবি প্রিন্ট করে নিলে সেটা এখনকার মতোও ব্যবহার করা যেত, আবার পরবর্তীতে ডিজিটালাইজেশনের সাথেসাথেও ব্যবহারটা চালানো যেত। মান্ধাতা আমলের লেমিনেটেড কার্ডের বুদ্ধিটা কে দিছে কে জানে!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চমৎকার সব প্রস্তাব। যদি জাতির ভাগ্নে-ভাগ্নীদের মনপোলী কন্ট্র্যাক্ট দেয়া হয়, নিশ্চয়ই অনেকগুলো বাস্তবায়িত হবে। হয়তো দামটা একটু বেশী পড়ে যাবে। তাতে কি!
নতুন মন্তব্য করুন