আমাদের পাশের বাড়িটা

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ০৬/০২/২০০৯ - ৩:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক
সিলেট শহরে কেন্দ্রস্থলে তালতলা নামের যে ঘিঞ্জি বানিজ্যিক এলাকায় এখন সারাদিন ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে , সেই তালতলা আসলেও একদিন খুব সুন্দর একটা জায়গা ছিল ।
আমাদের ছোটবেলায় সেখানে ১৫ বিঘার একটা বিশাল দীঘি ছিল , দীঘির চারপাশে সারি সারি তালগাছ ছিল , সেই তালগাছে বাবুই পাখির বাসা বাতাসে দোল খেত দিনমান ।

নামহীন সেই দীঘিকে ঘিরে কোন এক একান্নবর্তী বাড়ি ছিল । দেশ বিভাগের পরে আমাদের বাবা চাচারা সেই বাড়িটি ভাগ ভাগ করে কিনলেন যার যার সাধ্যমতো । সবার ভাগে কমপক্ষে আধবিঘা জায়গা পড়ল । আমাদের ছোটবেলাতেও সেই বাড়িটা যে আসলে একটাই বাড়ি সেটা বুঝা যেত । এক অংশ থেকে অন্য শরিকে ঘরে যাওয়ার জন্য মাঝখানে টিনের চালা দেয়া করিডোর ছিল , পেছনে দুই তিন শরিক মিলে একটা করে ছোট্ট পুকুর ছিল বউঝিদের স্নানের জন্য ।
আমরা ছোটরা এবাড়ির বৈঠকখানা , ওবাড়ির রান্নাঘর , সেই বাড়ির ভাড়ারে লুকিয়ে থেকে লুকোচুরি খেলতাম ।

বাড়িটিকে আধবিঘা করে করে যে প্লটগুলো করা হয়েছে তার সবগুলোতেই মুসলমানরা কিনে নিয়েছিলেন । শুধু একটা প্লট বিক্রী হলো না , সেখানে রয়ে গেলেন মথুরা নাথ পাল , সিলেট কোর্টের বুড়ো উকিলবাবু । উনার ছেলে মলয়দা আর মিঠুদা । তাঁরাও অনেক বড় , আমার জন্মের সনেই মিঠুদা চট্টগ্রাম ইউনি থেকে মাস্টার্স করেছেন , আর মলয়দা তরুন উকিল হয়ে উনার বাবার সাথে কোর্টে যাতায়াত করেন ।

মিঠুদা চলে গেলেন বিদেশে , আর এলেন না । মথুরা নাথ পাল বুড়ো হতে হতে একদিন মারা গেলেন স্বাভাবিক নিয়মেই ।
রয়ে গেলেন মলয়দা ।

একসময় পাড়ার সকলেই যার যার জায়গা দেয়াল দিয়ে ঘিরে আলাদা করলেন , এখন গেটে খটখট না করলে একবাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে যাওয়ার কোন উপায় নেই ।
তবু পাড়ার মাঝে হৃদ্যতা ছিল ।

আমরা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলাম । পাড়ার মাঝে সবকাজে মলয়দার সস্নেহ উৎসাহ । ৯০ এর দিকে তখন আজকের কাগজ নয়তো ভোরের কাগজে শব্দজব্দ নামে একটা বিভাগ ছিল । সেই বিভাগে যারা পাজল মিলাতে পারত , তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল পাঁচ টাকা । টাকাটা বড় নয় , শুধু তুমুল উৎসাহে আমরা সবাই সেই কাছারিতে সন্ধ্যার সময় শব্দজব্দ মেলাতাম ।

আমাদের বাসা আর মলয়দার বাসা ছিল পাশাপাশি । মলয়দার একমাত্র ছেলে জনিকে ক্লাস থ্রি থেকে আমি পড়াতাম ।

তারপরের গল্পটা অনেক বেশি ঝামেলার । সংক্ষিপ্ত করে বললে , মলয়দাও একদিন ক্যান্সারে মারা গেলেন , তার একমাত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটি এসএসসি দেয়ার আগেই পালিয়ে চলে গেল আমাদের এক বন্ধুর সাথে ।

রয়ে গেলেন অসহায় বউদি আর মলয়দার ক্লাস এইট পড়ুয়া ছেলে অভিজিৎ ।

দুই.
যে যাই বলুক , দেশ এগুচ্ছে বটে । আমাদের পাড়ার দিকে তাকালেই সেটা বুঝা যায় । প্রায় সকলের বাড়িতেই আজকাল গাড়ি আছে , সকলের পুত্রকন্যারাই পেট্রো ডলার পাউন্ডের দেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা পাঠায় ।

একদিন পাড়ার মুরুব্বি ফজলুল হক অভিজিৎকে ডেকে নিয়ে গেলেন বাসায় । চা বিস্কুট খাওয়ানোর পরে হেসে বললেন - বাবা , তোমাকে নিজের ছেলের মতোই দেখি । বাড়ি বিক্রী করতে চাইলে আগে আমাকে জানিও , ঠকবে না ।
অভিজিৎ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ।

তারও আটমাস পরে অভিজিৎকে পাড়ার মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মাথায় হাত রেখে আদর করেন আলহাজ্ব সোনা মিয়া । আবদার একটাই , বাবারে , বাড়ি যদি বিক্রী করো একটু আমার সাথে কথা বলে নিও , ঠকবে না ।

দুই মাস পরে মুহিতুল ইসলাম অভিজিৎকে দেখেন রিকাবি বাজারে রিক্সার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে । আদর করে গাড়িতে তুলে নেন । পথে আসতে আসতে এসি চালানো গাড়ির হিম হিম ঠান্ডায় গলায় উষ্ঞতা ফুটিয়ে চরম আত্মীয়তায় জানিয়ে রাখেন - বাড়িটা যদি কখনো বিক্রী হয় , তাহলে অবশ্যই মুহিতুল ইসলামকে যেন একটু আগে থেকে খবর দেয়া হয় । উনি নায্য দাম দেবেন ।

আমি সিলেট গেলে খুব ব্যস্ত থাকি । আগের মতো পাড়ায় আড্ডা মারা হয়ে ওঠে না । পাশের বাসাতেই অভিজিৎরা থাকে , তাই জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে বউদির সাথে , অভিজিৎ এর সাথে গল্প হয় ।

সেদিন সন্ধ্যায় আমাকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখে অভিজিৎ এগিয়ে আসে । গল্প করে । গল্পের ফাঁকে এই গল্পগুলো উঠে আসে । অভিজিৎ এর গলায় দূ:খ , ক্ষোভ , রাগ । বলে- পাড়ায় আর কারো বাড়ি বিক্রীর কথা তো উঠে না , খালি আমাদের বাড়িটাই বিক্রীর কথা উঠে । আশ্চর্য !

সন্ধ্যার অন্ধকারে আমি আর অভিজিৎ চুপচাপ বসে থাকি ।
অভিজিৎ এর বাড়িটা আমাদের লাগোয়া দেয়াল । ব্যবসাপাতি করে আমিও কিছু টাকার মালিক বটে । অভিজিৎকে ছোটবেলা আমি পড়িয়েছি , অভিজিৎ এর বাবা আমাকে অনেক স্নেহ করতেন , একবার তার সংগ্রহ থেকে প্রায় দুইশ বই আমাকে দিয়ে দিয়েছিলেন ।
সেই স্নেহের একটা দাম আছে ।

অভিজিৎ এর বাড়িটা বিক্রী হলে তাই আমাকেই আগে জানানো উচিত । কথাটা তাকে বলতে গিয়েও কী ভেবে যেন বলা হয়ে ওঠে না ।


মন্তব্য

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

শেষে তো দেখি ভালই পেজগী লেগে গেলো...!!!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পেজগীটা লাগানোই ছিল । টের পাওয়া যায়নি । হাসি

অমিত আহমেদ এর ছবি

কাঁপ ধরানো লেখা।
লেখা দিয়ে এভাবে পাঠককে শিউরে দেয়া আরিফ জেবতিকের পক্ষেই সম্ভব।

চলুক


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সচেতনা এর ছবি

কিছু মানুষ এখনও আছে তাই সব কিছু হারিয়েও যায় না একেবারে - এই লেখাটা পড়ে এরকমই মনে হলো।

হিমু এর ছবি
আরিফ জেবতিক এর ছবি

শুকরিয়া ।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ অরূপ । অনুপ্রানিত হলাম ।

নিবিড় এর ছবি

দারুন গল্প ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রাসেলের শ্বশুর বাড়ির ঘটনা, তাইনা?
তোদের পাড়ার মুখে যে গীর্জাটা ছিলো, সেটা ও শুনেছি গেছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হু , গেছে ।
প্রীতিলতা শিক্ষকতা করা ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি ভেঙ্গে সেখানে মার্কেট বানানোর ঘোষনা দিয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়র ,
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে আমরা তৈরী করছি মাদ্রাসা ,
আর তুই এখনও কোথাকার কোন গির্জা নিয়ে পড়ে আছিস ?

নিঝুম এর ছবি

তীব্র, সুতীব্র,ভয়াবহ, যাই বলি না কেন...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আরিফ জেবতিক এর ছবি

যখন মলয়দার বাড়িটা কোন একদিন কারো কাছে বিক্রী হয়ে যাবে , সেদিন ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার তাই মনে হয় আরিফ ভাই? মলয়'দার বাড়ি বিক্রী হলে আমরা হাত বাড়াবো গোপাল কাকার বাড়ির দিকে। সেটা হয়ে গেলে শংকর'দার বাড়ি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমাদের পাড়ার গোপাল কাকা আর শংকরদার বাড়িটা তো আগেই বিক্রী হয়ে গেছে । এই একটা বাড়িই শুধু ঝামেলা করছে , এই অভিজিৎদের বাড়িটা । এটা বিক্রী হয়ে গেলেই আমাদের পাড়ায় আর বিক্রীযোগ্য বাড়ি থাকবে না । ঝামেলা শেষ । হাসি

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

লেখাটা কাঁপ-ধরানো, শিউরে ওঠার মত! চমতকার বর্ণনা।

অভিজিৎ এর বাড়িটা বিক্রী হলে তাই আমাকেই আগে জানানো উচিত । কথাটা তাকে বলতে গিয়েও কী ভেবে যেন বলা হয়ে ওঠে না ।

শেষ এই দুটো বাক্যে একটা মনযুদ্ধ চমতকার ফুটে উঠেছে।

রায়হান আবীর এর ছবি

গুরু মানলাম। অসাধারণ একটা লেখা।

=============================

আলাভোলা এর ছবি

চলুক

অসাধারন।

guest_writer এর ছবি

অসাধারন।

সবজান্তা এর ছবি

নীরবে গোলাগুলি করে চলে যাই, গুল্লি


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জার্নাল টাইপের লেখা ছেড়ে আরিফের উচিত রিয়েল কারেক্টারের এইরকম গল্পগুলো লেখা

০২

দুর্দান্ত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

লীলেন ভাই , এই স্টাইলটা আপনার কাছ থেকে মেরে দেয়া ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আজকেই আমার বইয়ের প্রকাশকালে খুব বন্ধুকীর্তন করেছিলি বলে যে ''ধন্যবাদ''টা জমা রেখেছিলাম, সেটা তুলে নিয়ে, বদলে দিয়ে, একটা''প্রণাম'' রেখে গেলাম ।

হুম, লীলেন ভাই'র কথার প্রতিধ্বনিই করি, জার্নাল টাইপের লেখা ছেড়ে আরিফের উচিত রিয়েল কারেক্টারের এইরকম গল্পগুলো লেখা

শুভ কামনা ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ঠিক সময়মতো কথা বলতে দিয়েছিল । হাতে মিষ্টি দিয়েছে মাত্র , তার মাঝে বলে কিছু বলেন ।
মিষ্টি আবার ফেরত নিয়ে নেবে এই ভয়ে বেশি সুন্দর সুন্দর কথা বলে ফেলেছি । এতোটা বলা উচিত হয় নাই ।

রানা মেহের এর ছবি

কী অসাধারণ একটা লেখা আরিফ ভাইয়া
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দ্রোহী এর ছবি

এই গল্প অথবা লুকিয়ে রাখা নগ্ন সত্যের প্রকাশভঙ্গীটা অসাধারণ! হয়তো আরিফ জেবতিক বলেই!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দুর্দান্ত!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কারুবাসনা এর ছবি

বেশ ভাল লাগল।

দিঘীটার নাম ছিল তালদিঘী বা তাল পুকুর।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

দীঘি আর তার নামটা নস্যি , আপনার আমার মতোই দর্শক মাত্র ।
দীঘির পারের মানুষগুলো আসলে একেকটা গল্প ।

অনিকেত এর ছবি

এ যাবত কালে সচলায়তনে পড়া শ্রেষ্ঠ লেখাগুলোর মাঝে একটা!
সশ্রদ্ধ প্রণতি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক ভেবেও মাথা থেকে কিছু বের হল না। ঝিম মেরে বসে আছি লেখাটা পড়ে...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই চমৎকার। অসাধারণ!

apala এর ছবি

!!!!!

দৃশা এর ছবি

একদম ভালু না, এইসব লেখা লিখা, পড়া কুনুটাই ভালু না।
তাও যে কেন তারা দিতাম মঞ্চায়, বুঝি না!
------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হু , ভালু না। খালি তারা দিবার সিস্টেমটা ভালু ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

...।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

??

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

(মন্তব্য করার সামর্থ্য নাই)

দময়ন্তী এর ছবি

সামান্য এদিক ওদিক করে এরকম গল্প যে কতগুলো সত্যি সত্যি দেখলাম ৷
কিচ্ছু বলার নেই ৷
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আমাদের কেওয়াপাড়ার বাসার পাশের বাড়িটা মনিপুরিদের।ক্রমেই সেই বাড়িটা বাসায় এসে ঠেকেছে।এই বাসাটা যেকোন সময় ইমফলে স্থানান্তরিত হয়ে যেতে পারে।এই ঠেকানো ও সম্ভাব্য স্থানান্তরে যারা ভুমিকা রাখছেন তাদের গল্প আরেকদিন করা যাবে।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

নিঘাত তিথি এর ছবি

লেখাটা নিয়ে কি বলব? শুধু বলি, অনুভূতিকে এরকম সজোরে ধাক্কা দিয়ে এরকম করে লিখা আরিফ জেবতিকের পক্ষেই সম্ভব।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

লীনা ফেরদৌস এর ছবি

Lina Fardows

চমতকার বর্ণনা। একদম চখের সামনে ভেসে ঊঠছিল সব, অনেকটা টেলিফিল্মের মত।

অভিজিতদের গল্পের পরিণতি একই রকম । শেষ মেষ অভিজিতদের বাড়ী বিক্রি করে দিয়ে চোখের জল নিয়ে চলে যেতে হয়, আমরা আফসোস করি, দীর্ঘশ্বাস ফেলি,কিন্ত কখনো প্রতিবাদ করি না, পাশে দাঁড়াই না । লেখাটা পড়ে খুব কষ্ট লাগল। কষ্ট পাবার ক্রেডিটটা লেখকের। কষ্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ।

Lina Fardows

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম। মন খারাপ

শেষের চটকনাটা ফাটাফাটি হইছে বস। বিষয়গুলা এমনই, ক্যামন জানি!

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পলাশ দত্ত এর ছবি

জীবন এইরকমই।

এই লেখাটি ভালো লেগেছে- কমেন্টের এই অংশটুকু আমার রুমমেটের। হাসি

======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অনেক ভেবেও বলার মত কিছু খুঁজে পেলাম না।
মুগ্ধতা য়ে শেষ হচ্ছে না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তানবীরা এর ছবি

চিত্রা নদীর পারে, সিনেমাটার কথা মনে হলো আর একবার। প্যালেষ্টাইনের কথাতো মনেই করতে চাই না। কবে শেষ হবে এই খেলা?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

s-s এর ছবি

ভালো লাগলো না --- ---- খুব মন বিষণ্ণ করে দিলো ----- লেখাটা হয়তো ভালো কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই নয়, একেবারেই নয়-----বাস্তবতা বোধ করি এরকমই! কান্তজীর মন্দিরের কথা আগেই পড়ছিলাম। এই অরকেস্ট্রেটেড হেইট্রেড এবং ধ্বংস আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, আমি ঠিক জানিনা -- --- --

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

স্যালুট। আপনাকে তো বস্ মেনেছি সেই ভ্যালেরি যুগ থেকেই।

তিথীডোর এর ছবি

Hats অফ !!

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্যাম এর ছবি

বাহ!! অসাধারন!!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।