এক.
পায়ের নিচে নোনাজল আর মাথার উপর গনগনে সূর্যকে রেখে আমাদের ইঞ্জিন নৌকা পাড়ি দেয় একের পর এক চর , আমাদের শহুরে চোখে যেগুলোকে দ্বীপের মতো মনে হয় । সেই দ্বীপে গাছ আছে , ধানক্ষেত আছে , মানুষও আছে । তবে মানুষদের অনেকেই নেই , নেই তাদের গোলার ফসল , ঘরের হাড়িবাসন , এমনকি ঘরটাও নেই ।
মাথার উপর পলিথিনের আচ্ছাদন , অথবা রিলিফে পাওয়া চকচকে টিন , দুইএকটি হাড়িকুড়িতে রিলিফের চালডাললবনকে একসাথে করে ঘ্যাট বানিয়ে উদরপূর্তি ।
মির্জা খুব অবাক হয় , অবাক হয় আফ্রিকা থেকে ছুটে আসা কালো সাংবাদিকটাও , শুধু আমি অবাক হই না তেমন । অবাক হওয়ার ক্ষমতাটা আমার অনেক আগেই লোপ পেয়ে গেছে ।
রিলিফের টাকা ঝড়ের মতো উড়ে যায় , চারিদিকে অভাবী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ,সকলেরই বড়ো দরকার ।
সেই ফাকে আমি রিলিফ ক্যাম্পের বাইরে এসে সিগারেট ধরাই । সাধারন মানুষগুলোর অনেকেই বোধহয় মনে করে দান করা টাকা গুলো আমার পকেট থেকেই এসেছে । তারা আমার পাশে এসে দাড়ায় , সুখ দূ:খের আলাপ করে ।
একজন আবেগের আতিশয্যে বলেই বসে - আপনারা বড় ভালো কাজ করলেন ভাইরে । এ সপ্তাহের কিস্তিটা কেমনে দেব সেই চিন্তায় ছিলাম । সবাই চাল ডাল দেয় , কেউ নগদ টাকা দেয় না । এদিকে কাজ কর্ম কিছু নাই ।
এই প্রথম আমি কিস্তির টাকা সম্মন্ধে জানতে পারি । তারপর একে তাকে আমি বারবার জিজ্ঞেস করি । গ্রামের লোকগুলো বুঝতে পারে না , টাকা দিয়ে কী করা হবে সেটা নিয়ে আমি উদগ্রীব কেন । তারা সহজ উত্তরই দেয় ।
-কিস্তি দেব ।
আমি এবার অবাক হই । অবাক হওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও অবাক হই । আমি জানতে পারি , এই না চর , না দ্বীপ অঞ্চলে , এই অঞ্চলটা যে বাংলাদেশে আছে সেটা হয়তো সিডর না এলে আমরা জানতেই পারতাম না , বঙ্গোপসাগরের এই মোহনায়, না সমুদ্র না নদীর পাশে এই সব উদ্বাস্তু মানুষদের মাঝেও আশা , ব্র্যাক , গ্রামীন এসে তাদের ব্যবসার প্যান্ডোরা বক্স খুলে বসেছে । এখানেও চলছে সুশীল দাদন ব্যবসা ।
গ্রামের লোকগুলো আষ্ট্রেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ঋনের জালে , যদিও তাদের দারিদ্র ঘোচানোর জন্যই এতো আয়োজন , তবু তাদের দারিদ্র ঘুচে না । তারা আশা'র কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গ্রামীনের কিস্তি দেয় , গ্রামীনের ঋণ নিয়ে ব্র্যাকের কিস্তি দেয় ।
এই সব এনজিওরা সবাই একজোট হয়ে এদের দারিদ্র বিমোচনের জন্য এতো যে খাটাখাটনি করছে , তার সবই বিফলে যাচ্ছে ।
তবু এনজিওদের পরিশ্রমে ক্লান্তি নেই , যখন পুরো বাংলাদেশ জানে এই অঞ্চলের মানুষগুলো সর্বহারা হয়েছে , তখনও তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই , তারা ঠিকই এসে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিয়ে গেছে ।
কেউ কেউ এমনও ইঙিত দিয়েছে , রিলিফের চকচকে টিনগুলো যেন পেরেক দিয়ে জুড়ে দেয়া না হয় , কিস্তি না মেটাতে পারলে এসব আনকোরা টিনের মালিক তো শেষ পর্যন্ত অন্য কেউ হবে , কী দরকার খামোখাই পেরেক মেরে টিন ছিদ্র করা ।
দুই.
মির্জার দায় ছিল সিডরের ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য একটা ডকুমেন্টারি বানানোর । আর আমি কিভাবে যেন জড়িয়ে পড়লাম আফ্রিকান টিভি চ্যানেলের দোভাষী হিসেবে কাজ করার ।
সারাদিন আমরা চরে চরে ঘুরে বেড়াই , মাথার উপর গনগনে রোদ । রিলিফ দেয়ার কোন দরকার তেমন একটা দেখি না আমি । পুরো রিলিফটাই উৎসব উৎসব হয়ে গেছে । ঢাকা থেকে এক ট্রাক মিনারেল ওয়াটারের বোতল নিয়ে এসেছে কোন একটা চেম্বারের নেতারা । সেই বোতল লাইন ধরে বিলি করা হচ্ছে , গ্রামের লোকজন সবার সামনেই সেই পানি মাটিতে ঢেলে খালি বোতলগুলো নিয়ে চলে যাচ্ছে ।তাদের কাছে বিশুদ্ধ পানির কোন দাম নেই, খালি বোতলটা হয়তো অন্য কোন কাজে লাগবে ।
তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে । আমাদের ফেরা দরকার । রাতে ফিরেই মির্জাকে এডিট করতে বসতে হবে , আফ্রিকানটা উড়াল দেবে এমিরেটস এর ফ্লাইটে ।
তবু মির্জা জানতে চায় , পরিবারের কেউ মারা গেছে এমন কারো দেখা কি এই স্বল্প আলোয় পাওয়া সম্ভব । খুব দেরী করা যাবে না , কাছেপিঠে কেউ থাকলে তার স্বাক্ষাতকারটা নিয়ে ফেলা যাবে এই সময়ের মাঝে ।
ইউপি চেয়ারম্যান হাজী লিটন বড্ড স্বজ্জন মানুষ । তিনি আমাদের নিয়ে হাজির হন পাশেরই একটা উচুঁ দ্বীপ মতো জায়গায় ।
তিনি জানান , সিডরে আক্রান্ত হয়ে এই পরিবারের গৃহিনী মারা গেছেন ।
বাড়ি বলে আসলে সেখানে কিছু নেই । চারিদিকে ধূ ধূ করছে । তার মাঝে একটা জাল দিয়ে ছাউনির মতো বানানো হয়েছে ।
সেখানেই বুড়ো মানুষটা তার পোয়াতি মেয়েকে নিয়ে আছেন ।
আমরা খুব দ্রুত ক্যামেরা সেট করি । সূর্য অস্ত যাবে যেকোন সময় , দিনের আলো থাকতে থাকতেই রেকর্ড করে ফেলতে হবে ।
আমার খুব খারাপ লাগে । নিজেদেরকে মনে হয় শকুনের মতো । এই বুড়ো লোকটাকে প্রশ্ন করতে হবে আমার । জেনে নিতে হবে তার স্ত্রীর মৃত্যু কাহিনী । বুড়ো লোকটি নিশ্চয়ই কাঁদবেন , সেই কান্নাটা ক্লোজ শটে ধরার জন্য আমি ক্যামেরাম্যানকে বলে দেই ।
সিগারেট টানতে টানতেই আমি প্ল্যান করি। মির্জাকে বলি , এই কান্নার দৃশ্যটা সব শেষে দিবি , একসময় ফ্রিজ হয়ে যাবে মুখটা , তার উপর টাইটেল উঠবে । কোন মিউজিক নেই, কান্নাটাই হবে মিউজিক ।
মির্জা নরম মনের মানুষ , আমার কথায় আহত হয় । এসব নাকি পরে ভাবা যাবে ।
আমি দ্রুত প্রশ্ন করতে থাকি ।
-আপনার নাম কী ?
- ইউনূস আলী । লোকটা জবাব দেয় । আমার ইচ্ছে করে ফাজলামো করে প্রশ্ন করি , এক ইউনূস আলী নোবেল পেয়েছেন , সেটা কি আপনি জানেন ? প্রশ্নটা করা হয় না , মির্জা নিশ্চয়ই মেজাজ খারাপ করবে । মানুষের দূর্দশা নিয়ে ফাজলামো করা তার পছন্দ হওয়ার কথা না ।
- আচ্ছা , ইউনূস আলী , এবার সিডরে আপনার কেমন ক্ষতি হয়েছে ?
ইউনূস আলী ফ্যাল ফ্যাল করে তাকান আমার মুখের দিকে । তারপর চোখ দিয়ে আশপাশ দেখেন । ঐ দূরে তার পোয়াতি মেয়েটা দাড়িয়ে । পেছনে জাল দিয়ে ঘেরা একটা আশ্রয় । সামনে নদী ।
তাঁর বোধহয় ক্ষতির কোন শেষ নেই । আমি অপেক্ষায় থাকি কখন তিনি কেঁদে উঠবেন ।
ইউনূস আলী অনেকটা অসহায়ের মতো বলেন ,
-আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে স্যার ।
-কী ক্ষতি হয়েছে ? আমি অপেক্ষা করি কখন তিনি তার স্ত্রীর কথাটি বলবেন ।
ইউনূস আলী হতবিহ্বল স্বরে বলেন - স্যার , লোনের টেকায় দুইটা ছাগল কিনেছিলাম , আমার ছাগল দুইটা মরে গেছে স্যার ।
তিন
আমি হাতের মাইক্রোফোনটা ছুড়ে ফেলি । সিগারেট ধরাই । ঐ দূরে একটা ট্রলারে করে আরেকদল রিলিফ কর্মী আসছে । আমরা সবাই শহর থেকে আসি , শহরে উড়ে যাই ।
একদল যায় না । তারা ইউনূস আলীদের কাছে স্ত্রীর চাইতে লোনের ছাগলকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে ।
মন্তব্য
আগের লেখাটার মতোই এইবারও বাক-হারা হলাম। কেমনে লেখেন এইসব
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমিও অবাক হই; কেমনে লেখেন!!
দুর্দান্ত!!!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনি মানুষটা আসলেই নির্মম। ইউনুস আলীর কষ্ট এখানে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
খুব খারাপ লাগলো পড়ে। এসব কথা নতুন করে জেনে নতুন করে ক্রোধ হয় শুধু।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমাদের গ্রামাঞ্চলে এটা নতুন কোন ঘটনা না। অনেক জায়গায় প্রচলিত আছে, " ভাগ্যবানের বউ মরে, অভাগার গরু মরে"। যদিও ঠাট্টাচ্ছলে ব্যবহার্য্য, এর চেয়ে নিষ্ঠুর সত্য কমই আছে।
অসাধারন
আরিফ ভাই
দূর্দান্ত...
পুঁজিবাদী বিশ্বে কেন ইউনুস ফর্মূলা এতো জনপ্রিয়... তা তো আর নতুন করে বোঝার কিছু নাই...
তবে গ্রামীন ব্যাঙ্ক যদি আরেকটা আইএমএফ টাইপ কারবার করতে পারে... আর তাতে সারাবিশ্বে একটা ব্যাপক ক্যাচাল লাগায়া দিতে পারে তাইলে ভালোই হয়... (শুধু এই অভাগা দেশ থেকে এই ব্যাঙ্কটা তুলে দিন ভাই)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অবাক পৃথীবি নির্বাক করলে তুমি।
স্বাধীন মাটিতে পরাধীন জন্মভূমি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
অন্তর্ভেদী দৃষ্টি আপনার। স্টকের বিশেষণ ফুরিয়ে গেছে। অসাধারণ বর্ণনা!
কিছু বলার নেই।
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমিও একটা শকুন... কমার্শিয়াল শকুন।
---------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
অসাধারণ!
মর্মস্পর্শী লেখা।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লেখা নীরব ঘাতকের মতো তীক্ষ্ন হয়েছে। অভিনন্দন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই ব্যাপারে সচলে আমার চেয়ে অভিজ্ঞতা আর কারোর নাই। আমি সেটা হলফ করেই বলতে পারি। কিন্তু সেগুলো লেখার মতো অনুভূতিগুলো এখন বোধহয় ভোতা হয়ে গেছে। এনজিওর চাকরিটা ছাড়তে পারলে হয়তো আস্তে আস্তে অনুভূতিগুলো ফিরে পাবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সব ইন্ডাস্ট্রি'রই তার পারমানেন্ট এক্সিস্টেন্স-এর জন্য এই ধরনের প্রব্লেমগুলাও পারমানেন্ট হওয়া দরকার পড়ে, যেইগুলার বিরুদ্ধে বা যেইগুলারে নিয়ে তাদের কাজ, কামাই, ব্যবসা!
মার্কেট স্যাচ্যুরেটেড হয়ে গেলে, আর প্রব্লেম বেঁচে না থাকলে তো সল্যুশন ইন্ডাস্ট্রিও বেঁচে থাকবে না!
বি-ভীষণ এই ভিশাস সাইকেল থেকে কি আর কোনোকালে বের হ'তে পারবে ম্যানকাইন্ড?!
আমরা এই যে এভাবে ইন্টেলেকচুয়ালাইজ ক'রে কথা বলছি এগুলো নিয়ে, এতেই আর কী বা হয় সেই প্রব্লেমের কমোডিফিকেশন ছাড়া?!
ধুর্!
স্যরি গৌতমদা', স্যরি আরিফ ভাই।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কি বলব !
বলার ভাষা নাই।
===================
আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।
হুঁ !
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অসহায় অনুভব।
কিছুই বলার নাই! ...
লেখা আর পড়ার বাইরে কিছু একটা করতে চাই।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এতো প্রতিকুলতার মধ্যেও মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয়।
Lina Fardows
আমি মুগ্ধ পাঠক ।অনেক কাজ হাতে, সব কাজের মাঝেও লেখাটি আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে।
Lina Fardows
রাগ রাগ লাগে...
কষ্ট লাগে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দীর্ঘশ্বাস! শুধুই দীর্ঘশ্বাস!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চরম খারাপ সত্য!
জ্বি আরিফ ভাই, পৃথিবীটাই জুড়ে আছে "সুশীল দাদন ব্যবসা"!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কিছু বলতে পারলাম না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভাষাহীন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক দেরীতে এই লেখাটা পড়লাম।
ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ইউনুস আলী এমন আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল মাথাটা নীচু হয়ে গেল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই লেখাটা এদ্দিন পড়ি নাই।
আরিফ ভাই,
আপনার লেখাটা পড়ে মুহ্যমান হয়ে রইলাম---
ভাষাহীন।
love the life you live. live the life you love.
ভাই,
আরিফ জেবতিক,
আপনার লিখাটা পড়লাম। মুগ্ধ হইলাম। সত্যি বলতে কি শুধু শাহপরীর দ্বীপে নয় শকুনগুলো সারা বাংলাতেই নিজের হিস্যা আদায় করে কলিজায় ছুবল দিয়ে। আমরা তাকিয়ে থাকি ভাষা হারিয়ে, "সুশীল দাদন ব্যবসা" ক্রমশ অসহায় করে তুলে আমাদের, তবু আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন সংশোধিত হয়ে আকাশ দেখব , সীমাহীন আকাশ .................
নতুন মন্তব্য করুন