সিলেটের পথে যখন ছোট গাড়িটি রওনা দিল , তখন সেই চলতি গাড়িতে শহীদুল জহিরও লাফিয়ে উঠে পড়লে , গাড়ির আরোহী আরিফ জেবতিক একটু বিরক্ত হয়েই বলল , আর উঠনের টাইম পাইলেন না , এই ঝামেলায় একটু দেরীতে উঠলে কী বা এমন হৈতো , তখন আরিফ জেবতিকের এই অভদ্রতা দেখে আমরা বিরক্ত হইলেও শহীদুল জহির তেমন বিরক্ত হলেন বলে মনে হলো না ।
সম্প্রতি মরে যাওয়ার পরে শহীদুল জহিরের মাঝে একটা পরিবর্তন এসেছে , তার পুরানা অভ্যাসগুলোর মাঝে যে একটা মুখচোরা ভাব ছিল সেটা অনেকটাই চলে গেছে , উনি তাই কোন ধরনের ভানভনিতার মাঝে না গিয়ে বললেন , আরে থোও , থোও , এরকম আমার বহুত দেখা আছে । তুমিই না কইলা আবু ইব্রাহীমরে নিয়া সিলেট যাইতে , এখন এরকম ঝাঁজ দেখাইতেছ কেন , তখন আরিফ জেবতিক কিছুটা লজ্জিত হয় বটে , তবে সেটার প্রমান তার আচার আচরনে বা কথায় পাওয়া যায় না , সে বলে উঠে , আবু ইব্রাহীম কই , আপনি একলা আইলেন যে বড় !
শহীদুল জহির তখন তার পকেট থেকে আবু ইব্রাহীমরে বের করে পাশে বসান , এবং তারা তিনজন মানে ঐ আরিফ জেবতিক , শহীদুল জহির আর আবু ইব্রাহীম তারা একসাথে সিলেটের দিকে যেতে থাকে ।
আরিফ জেবতিক তখন ফ্লাস্ক থেকে চা ঢেলে চুকচুক করে খেতে থাকে , শহীদুল জহির কিংবা আবু ইব্রাহীমকে সাধে না , তখন আবু ইব্রাহীম কিছু না বললেও , শহীদুল জহির বলেন , তুমি মিয়া এমন কিপ্টা হইলা যে এক কাপ চাও সাধলা না , তখন আরিফ জেবতিক বলে আপনে না মইরা গেছেন , আপনের এখন চা খাওয়ার দরকার কি, থাকলে দুই পেগ শরাবন তহুরা মাইরা দেন এবং এই যে আবু ইব্রাহীম , তারে কেন মারলেন সেই কথাটা এখন বলেন ।
শহীদুল জহির সিগারেট ধরিয়ে দুইটা টান দিয়া বলেন , ওরে তো আমি মারি নাই , ও তো মইরা গেছে , আর মইরা গেছে বইলাই তো বইটা আমি লিখতে পারলাম , আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু , দেখছ বইটার নামটাই এমন সাদামাটা যে একবারে তুমি বুইঝা ফালাইবা , এই আবু ইব্রাহীম লোকটা , এতো এখন আর বাঁইচা নাই ।
আরিফ জেবতিক তখন বলে , ঐ লোকটা মইরা গেল বইলা আপনি বই লিইখা ফালাইবেন এইটা আমার বিশ্বাস হয় না , ঢাকা মেডিকেলে ঘন্টায় ঘন্টায় লোক মরে , তাইলে আমিও ঘন্টায় ঘন্টায় বই লেইখা ফালাইতাম , এইসব বাদ দিয়া এই আবু ইব্রাহীমের মৃত্যুর ঘটনাটা আমারে আপনি বলেন , গপসপ কইরা কইরা রাস্তা পার করি ।
শহীদুল জহির তখন প্রতিবাদ করে বলেন , না না , তুমি যেমন ভাবতেছ তেমন না , আসলেই এই আবু ইব্রাহীম লোকটা সাদামাটা চরিত্রের , এই লোক আর দশটা মানুষের মতোই ।
কিন্তু আরিফ জেবতিক তর্ক করে , আপনি বলতেছেন সাদামাটা কিন্তু আমি দেখি এই লোক বেইলি রোডের উপর দিয়ে সারস পাখি উড়ে যাইতেছে দেখে এক গভীর রাতে তার স্ত্রী মমতাকে ডেকে তুলে সারস পাখির ডানার ঝাপটার শব্দ শোনাতে যায় , আর এইটাই পরে , বহুদ্দিন পরে যখন আবু ইব্রাহীম মারা যায় , তখন তার স্ত্রী মমতার মনে পইড়া যাইব , কারন শববাহকদের কলমা পড়ার শব্দের মাঝে সেই সারস পাখির ডানার শব্দটা তার কানে বাঁজব ।
এখন এই লোকটারে আপনি সাদামাটা কইবেন ক্যামনে , সাদামাটা লোকের মাঝে তো সারসের ডানার শব্দ শোনার ইচ্ছা হবে না , তারা তো বউরে জড়ায়া ধইরা ঘুমাইবে ।
শহীদুল জহির আরিফ জেবতিকের কথার কোন জবাব দিবেন না , না দিয়ে একটা সিগারেট ধরাবেন , দুই টান দিয়ে তারপর ধীরে সুস্থে বলবেন , এই মমতারে বেশি গুরুত্ব দিবার দরকার নাই , কারন মমতা তো আবু ইব্রাহীমের কেউ না , যদিও সে স্ত্রী , কিন্তু তার তো একজন প্রেমিকা আছে তাঁর নাম হেলেন , সেই হেলেন তো কিছুদিন পরে বিদেশ থাইকা আসবে , এবং আবু ইব্রাহীম তার সাথে একটা অভিসার কামনা করবে ।
আরিফ জেবতিক তখন বলে , আপনার গল্পের তো কোন আগামাথা পাইলাম না , এই হেলেন কেন আইব এবং একসময় চইলাও যাইব , কিন্তু তারে আইনা আপনে মমতারে অপমান করলেন না কি সেইটাও বুঝলাম না ।
শহীদুল জহির তখন আবার প্রবল বেগে মাথা নাড়াবেন , বলবেন , না তুমি যেটা মনে করতেছে ঘটান তেমন না , আসলে ঐ যে কইলাম শহীদুল জহির লোকটা আসলেই সাদামাটা এইটা বুঝানির জন্য হেলেনরে দরকার , আবার হেলেনরে দরকার এইটা দেখাইতে যে আবু ইব্রাহীম একটু আলাদা , সে একটা জায়গায় হেলেনের লগে অভিসারে যাইব কইয়া যায় না , ঐদিকে হেলেনও যাইব কইয়া রাখে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ও তো আগেই বিদেশ চইলা গেছে , মানে এইখানে আবু ইব্রাহীম যে জিতে চায় আবার জিতবার জন্য কিছু করতে চায় কিন্তু করতে পারে না , কারন সে কোন তৃপ্তি পায় না , হেলেন তো আগেই চইলা গেছে , এইটা দেখলাইলাম আর কি , মানে ধরো এই যে তুমি , তুমি একটা সাদামাটা লোক , আমারে নিয়া বেড়াইতে যাইতেছ , তোমার মাঝে কিছু একটা করার ইচ্ছা আছে , মাঝে মাঝে তুমি ট্যাটনামি করতে পছন্দ করো , কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্যাটনামি করতে পারো না , এইটাই আর কি ।
আরিফ জেবতিক তার নিজের প্রসঙ্গ উঠায় বিরক্ত হয়ে বলবে , এসব বাদ দেন , আবু ইব্রাহীমের গল্পটা বলেন । এই আবু ইব্রাহীম লোকটা ট্যাটনামি কইরা ঘুষ নিল , কিন্তু সে ঘুষ হজম কইরা ফালায় নাই , কিন্তু কাজও করে নাই , আবার ঘুষও ফেরত দেয়া না , খালি বইয়া থাকে , এইটা দিয়া কী বুঝাইতে চাইলেন ।
শহীদুল জহির সিগারেটটা জানালা দিয়ে ফেলে বলেন , ধুরো মিয়া তোমার লগে কথা কইয়া সুখ নাই । আমি আবার কী বুঝাইতে যামু , আমার তো কিছু বুঝানির ঠ্যাকা নেই নাই , আমি খালি আবু ইব্রাহীমের গল্পটা তোমারে কইলাম , যা বুঝনের সেইটা তুমি নিজে বুইঝা নিবা ।
আরিফ জেবতিকও তখন কিছুটা রাগ করে বলে ,আপনার লগে এই গল্পটা শুইনা আমারও সুখ হইতেছে না , এইটা সাদামাটা একটা গল্প । ঐ যে ডলু নদীর হাওয়ায় বইসা যে গল্প শুনাইছিলেন , কোথায় পাব তারে'র আব্দুল করিম , যে ময়মনসিংহ যাইতে চায় , আমি ভাবছিলাম সেইরকম একটা গল্প আপনে লেখছেন ।
এই সময়ে এই প্রথমবার , হু, আসলেই প্রথমবার কারন গাড়িতে উঠার পরে আমরা তাঁর কোন কথা শুনিনি , আবু ইব্রাহীম কথা বলে উঠবে , সে জানাবে যে এই গল্পটা তার নিজেরও পছন্দ না , আবার পছন্দও , কিন্তু যেহেতু সে মরে গেছে এবং এইগল্পটা লেখা হয়েছে ১৮ বছর আগে , তাই সে স্মরণ করতে পারে না , আসলেই এই গল্পটাতে কী লেখা আছে এবং সেটা তার পছন্দ করার কোন কারন আছে কি না বা অপছন্দ করারও কোন কারন আছে কি না ।
এই সময়ে আরিফ জেবতিক বিজ্ঞের মতো মাথা দুলিয়ে শহীদুল জহিরকে বলবে , আমার মনে হয় এই গল্পটা আপনার নিজেরও পছন্দ না , আপনি নিজেই এই গল্পটারে লুকায়া রাখতে চাইছিলেন , এইটা হয়তো হুট কইরাই আপনি নিপুন পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় কয়া ফেলেছিলেন , তারপরে আর ভালো লাগে নাই , তাই এই ১৮ বছর এইটারে বই করনে নাই , এখন আপনে মারা যাওয়ার কারনে আপনের অগোচরে প্রকাশক এটাকে বই করে ফেলেছে , মানে আপনার লেখা তো আপনার মইরা যাওয়ার পরেই বেশি চলবে , তাই হয়তো এইটা বই আকারে বাইরাইছে , আপনি কি বলেন , আমার সন্দেহটা কি ঠিক আছে ?
আলাপের মাঝখানেই তারা সিলেট পৌঁছে যায় , এবং গাড়ি থেকে নমে পড়ে , সুতরাং গাড়িতে আমরা যারা চুপচাপ বসে ছিলাম , তারা আর বাকী কথাগুলো শুনতে পাই না ।
মন্তব্য
দিলেন মেজাজটা খারাপ করে। বইটা খুঁজে পাচ্ছি না। এতদিন সহি সালামতেই ছিলো। কদিন আগে পড়া শুরু করলাম। কিছুদূর পড়লামও। তারপর থেকে আর খুঁজে পাচ্ছি না। বাড়ি থেকে কেউ নিয়ে গেলো? নাকি আমিই কোথাও ফেলে আসলাম? মেজাজটা কিঞ্চিৎ খারাপ আছে।
আচ্ছা... আপনে তো পুরাটা পড়ছেন, আপনার কাছে কি মনে হইছে যে লেখকের অগোচরে এইখানে কেউ হাত দিছে? হুদা কৌতুহল থেকে জানতে চাইছি... সন্দেহ করি নাই... অথবা হয়তো করবো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার কাছে ঠিক তা মনে হয়নি , তবে মনে হয়েছে এই লেখাটিকে শহীদুল জহির নিজেই গুরুত্ব দেননি ।
এই লেখাটা ৯১ সালে নিপুনের ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত , তারপর শহীদুল বেঁচে ছিলেন আরো ১৭ বছর , অথচ তিনি এটিকে বই করেননি । এমন তো না যে শহীদুল জহিরের প্রকাশকের অভাব , কিন্তু তিনি এটাকে বই করেননি ।
লেখা পড়ে মনে হয়েছে এটা শহীদুল জহিরের অন্যান্য লেখার তুলনায় দুর্বল , এ কারনে উনি নিজেই এই লেখাটিকে হয়তো বই করতে আগ্রহী হোননি । এটা আমার একটা ধারনা মাত্র ।
একেবারে ভিন্ন স্টাইলের এবং খুবই চমৎকার একটা রিভিউ পড়লাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল ।
বইটা পড়তে হবে তো! গ্রন্থালোচনা চমৎকার!!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
পড়ে ফেলেন ।
একদম অন্যরকম রিভিউ লিখা হয়েছে। আসলে নতুনত্বই জীবনকে চাঙ্গা রাখে। বই পড়তে কেমন লাগবে জানি না কিন্তু রিভিউ পড়তে জটিলজ লেগেছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সবসময় নতুনত্বই চাঙ্গা রাখে , কথাটা ঠিক নয় ।
পুরানা ওয়াইন আর পুরানা গাওয়া ঘি উত্তম ।
পুরানা রোলেক্স ঘড়ি বিক্রী করলে তো লাখ টাকা ।
আর বাদবাকী সবকিছুই নতুন উত্তম বটে ।
এটা শহীদুল জহিরের অন্যান্য লেখার তুলনায় দুর্বল , এ কারনে উনি নিজেই এই লেখাটিকে হয়তো বই করতে আগ্রহী হোননি ।
বইটি পড়ে আমারো সেটাই মনে হলো।
যাক , একজনকে পাওয়া গেল ঐক্যমতে ।
যাদের সাথে আলাপ করেছি , তাদের অনেকেই দেখেছি শহীদুল জহিরের উপর পীরত্ব আরোপ করে এই লেখাটাকে দুর্বল মানতেই রাজী হচ্ছে না ।
রিভিউ ম্যাজিক হইছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ম্যাজিকটা শিখতে পারলাম না ,বুড়ো হয়ে গেলাম রে ।
অন্য রকম একটা রিভিউ কিন্তু ভাল লাগল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এইটা কি রিভিউ, না কি আরেকটা সৃজনশীল রচনা বুঝতে পারছি না !
এই এত্তো মোটা মানুষটার মাথায় এরুম চিকনা বুদ্ধিটা আইলো কেমনে !!
ফ্যানটাস্টিক !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঐ আর কি চামে চিক্কনে , আপনার ছবি তোলার মতোই বিষয়টা ...।
শহিদুল জহিরের কোনো রচনা আমার সংগ্রহে নেই। বইমেলায় কিনবো বলে আশায় ছিলাম, তালে-গোলে ভুলে গেছি। অনুগ্রহ করে কেউ জানাবেন, কোথায় কোনটা পাওয়া যাবে ??
...রিভিউ দারুণ হয়েছে।
পাঠক সমাবেশে পাবেন শহীদুল জহিরের নির্বাচিত গল্প, নির্বাচিত উপন্যাস। আর আসলে আজীজে খোঁজ করলে তার সব বই-ই পাবেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আজিজ সুপার মার্কেটের বইয়ের দোকানগুলোতে খোঁজ নিন ।
বইটা পড়িনি।
তবে রিভিউ মনে হচ্ছে বই থেকে ভালো হয়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বেশি হইয়া গেল না ?
এ যাবৎ কালের মাঝে পড়া সবচাইতে ব্যতিক্রমধর্মী রিভিউ---
ধইন্যা , অনিকেত ।
"আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু" পড়ে আমিও তেমন আনন্দিত হতে পারি নি।
"ডলু নদীর হাওয়া" কিংবা "জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা"-র শহীদুল জহিরকে অনেক খুঁজলাম, পেলাম না।
জাদুবাস্তব লেখকের বইয়ের জাদুবাস্তব রিভিউ লেখার জন্য
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রথমে আমিও খুঁজলাম , পেলাম না ।
পরের বার না খুঁজেই পড়লাম ,দেখি আর কোন শহীদুল জহিরকে পাই কি না । নাহ , এবারও পেলাম না ।
ডলু নদীর হাওয়া কোথায় পাওয়া যাবে?
"মুখের দিকে দেখি", "আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু" আর "ডলু নদীর হাওয়া" - তিনটাই মাওলা ব্রাদার্সে পাওয়া যাবে।
"জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা" সম্ভবত পাঠক সমাবেশের...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শহীদুল জহিরের সবগুলো বইই আপনি আজিজ মার্কেটের বইয়ের দোকানগুলোতে পাবেন । পাঠক সমাবেশে তো পাবেনই , না পেলেও আশেপাশের দোকানগুলোতে ঢু মারুন ।
বইটা পড়া হয়নি। রিভিউ পড়ে বইটা পড়ার ইচ্ছে জেগেছে। অতি ব্যতিক্রমি রিভিউ, চমৎকার বললে কম হয়ে যায়...কেম্নে কী কই।
হুম , চিন্তার বিষয় । ব্যাতিক্রমী কিছু একটা বলে ফেলেন ।
ম্যাজিকাল রিভিউলিজম
হা:হা:হা:!
ঢংটা খুব ভাল লাগলো।
রিভিউ পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। খালি মনে হয় অন্য ভাবে কী লেখা যায় না। এইটা পড়ে মনে হলো -এইতো পাোয়া গেলো।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এজন্যই তো এভাবে লেখা ।
আপনার মেজাজ খারাপ হলে তো চলবে না , প্রকাশকের মেজাজ খারাপ মানে আমাদের মতো গুড়াগাড়া লেখকদের মাথায় হাত ।
তাই প্রকাশকের মেজাজ ঠান্ডা রাখিতে হইবে ।
এই কমেন্টটা প্রকাশক আহমেদুর করে নাই।
আর আমার অভিজ্ঞতায় প্রকাশকের চেয়ে দলিত জাত এদেশে আর কেউ নাই। অতএব আগাবড়া বা গুড়াগাড়া কারোরই প্রকাশককে গুনায় ধরতে নাই।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ওহহো ! তাইলে ঠিকাছে ।
রিভিউটা উপাদেয় থাইকাও বেশি কিছু হইছে। গ্রেট আইডিয়া।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধইন্যা ।
রিভিউটা ফাটাফাটি হয়েছে। একদমই অন্যরকম। অসাধারণ বললেও কম বলা হয়।
বিডিআর বললে তো অস্বীকার করতে পারি না ।
নতুন মন্তব্য করুন